ফিচার ডেস্ক
ট্রেনের জানালা দিয়ে দিগন্তজোড়া প্রান্তর দেখার যে আনন্দ, তা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে মেলে না। তবে আপনি ট্রেনে চড়া ছাড়াই সেই অনুভূতি পেতে পারেন। বিশ্বে এমন কিছু হোটেল রয়েছে, যেখানে ট্রেনের কামরাতেই অতিথিদের রাত্রিযাপন করানো হয়। কখনো স্টেশনের পাশে, কখনো জঙ্গলের ভেতরে, কখনো সাগরের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এই ট্রেন হোটেলগুলো প্রতিটিই আলাদাভাবে ভ্রমণ গন্তব্য হতে পারে।
ক্রুগার শালাটি, দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের ভেতরে সেতুর ওপর স্থায়ীভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন, যেটি এখন বিলাসবহুল হোটেল ক্রুগার শালাটি। ২০২০ সালে চালু হওয়া এই হোটেলের প্রতিটি কামরা সাজানো হয়েছে পাঁচ তারকা মানের স্যুট হিসেবে। এখানে কাচঘেরা জানালায় দেখা যায় নিচের নদী আর পাশের ঝোপে ঘুরে বেড়ানো হাতি, সিংহ কিংবা হরিণ। গ্লাস ওয়ালের ডাইনিং স্পেসে বসে রাতের খাবার খাওয়ার সময় দূর থেকে মাঝে মাঝে শোনা যায় জঙ্গলের কোনো হিংস্র পশুর গর্জন। এখানে রাত কাটাতে চাইলে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ৮০০ ডলার।
রেড কাবুস মোটেল, পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
পেনসিলভানিয়ার এক ছোট শহরে অবস্থিত রেড কাবুস মোটেল দেখলে মনে হয় যেন শতাধিক মালবাহী ট্রেন থেমে আছে। কিন্তু আসলে এগুলোর প্রতিটি বগিই একেকটি হোটেল রুম। ১৯৭০ সালে এক ট্রেনপ্রেমীর উদ্যোগে গড়ে ওঠে এই মোটেল। এখানে পুরোনো মালগাড়ির বগিগুলোকে রঙিন করে সাজিয়ে কেবিনে রূপান্তর করা হয়েছে। এগুলোতে রয়েছে কাঠের তৈরি পুরোনো দিনের রুমে থাকার ব্যবস্থা। খরচ প্রতি রাতের জন্য ১২০ থেকে ২০০ ডলার। ছোটদের জন্য এখানে রয়েছে রেল থিম খেলার মাঠ আর বড়দের জন্য আছে পাশেই অ্যামিসপল্লির ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘোরার ব্যবস্থা।
ট্রেন হোস্টেল হোকুটোসেই, জাপান
টোকিও শহরে ২০১৬ সালে চালু হয় ট্রেন থিমে হোস্টেল হোকুটোসেই। এটি তৈরি হয়েছে আসল একটি স্লিপিং ট্রেনের পুরোনো বগি দিয়ে। এই হোস্টেলে ঢুকলে মনে হবে, আপনি আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের কোনো ট্রেনযাত্রায় এসেছেন। কামরাগুলোর আসন, স্লিপিং বার্থ, জানালা—সবই রাখা হয়েছে আসল ট্রেনের মতো করে। অতিথিরা শেয়ার রুমে থাকতে পারেন মাত্র ৩০ থেকে ৬০ ডলারে। আর ব্যক্তিগত রুমের জন্য লাগবে প্রায় ১০০ ডলার। এর সুবিধার মধ্যে রয়েছে সাধারণ কিচেন, পড়ার ঘর, লকার আর আশপাশে রেল মিউজিয়াম দেখার সুযোগ। হোকুটোসেই মূলত সেই বিখ্যাত নাইট ট্রেনের নাম, যা একসময় টোকিও থেকে হোক্কাইডো পর্যন্ত চলাচল করত। এখন সেই স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছে এই হোস্টেল।
কন্ট্রোভার্সি ট্রাম ইন, নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসের গ্রামীণ এলাকায় এক অদ্ভুত হোটেলের নাম কন্ট্রোভার্সি ট্রাম ইন। এখানে ট্রেন তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে ট্রাম, বাস, এমনকি হেলিকপ্টারও। সেগুলোকে রুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রতিটি রুমের আলাদা থিম রয়েছে। কোথাও পুরোনো আমলের ইউরোপীয় ট্রাম, আবার কোথাও স্কুলবাসের আদলে ডিজাইন। পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে এই হোটেল হতে পারে দারুণ এক গন্তব্য। প্রতি রাতের ভাড়া ৮০ থেকে ১৫০ ইউরো।
ট্রেনের জানালা দিয়ে দিগন্তজোড়া প্রান্তর দেখার যে আনন্দ, তা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে মেলে না। তবে আপনি ট্রেনে চড়া ছাড়াই সেই অনুভূতি পেতে পারেন। বিশ্বে এমন কিছু হোটেল রয়েছে, যেখানে ট্রেনের কামরাতেই অতিথিদের রাত্রিযাপন করানো হয়। কখনো স্টেশনের পাশে, কখনো জঙ্গলের ভেতরে, কখনো সাগরের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এই ট্রেন হোটেলগুলো প্রতিটিই আলাদাভাবে ভ্রমণ গন্তব্য হতে পারে।
ক্রুগার শালাটি, দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের ভেতরে সেতুর ওপর স্থায়ীভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রেন, যেটি এখন বিলাসবহুল হোটেল ক্রুগার শালাটি। ২০২০ সালে চালু হওয়া এই হোটেলের প্রতিটি কামরা সাজানো হয়েছে পাঁচ তারকা মানের স্যুট হিসেবে। এখানে কাচঘেরা জানালায় দেখা যায় নিচের নদী আর পাশের ঝোপে ঘুরে বেড়ানো হাতি, সিংহ কিংবা হরিণ। গ্লাস ওয়ালের ডাইনিং স্পেসে বসে রাতের খাবার খাওয়ার সময় দূর থেকে মাঝে মাঝে শোনা যায় জঙ্গলের কোনো হিংস্র পশুর গর্জন। এখানে রাত কাটাতে চাইলে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ৮০০ ডলার।
রেড কাবুস মোটেল, পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
পেনসিলভানিয়ার এক ছোট শহরে অবস্থিত রেড কাবুস মোটেল দেখলে মনে হয় যেন শতাধিক মালবাহী ট্রেন থেমে আছে। কিন্তু আসলে এগুলোর প্রতিটি বগিই একেকটি হোটেল রুম। ১৯৭০ সালে এক ট্রেনপ্রেমীর উদ্যোগে গড়ে ওঠে এই মোটেল। এখানে পুরোনো মালগাড়ির বগিগুলোকে রঙিন করে সাজিয়ে কেবিনে রূপান্তর করা হয়েছে। এগুলোতে রয়েছে কাঠের তৈরি পুরোনো দিনের রুমে থাকার ব্যবস্থা। খরচ প্রতি রাতের জন্য ১২০ থেকে ২০০ ডলার। ছোটদের জন্য এখানে রয়েছে রেল থিম খেলার মাঠ আর বড়দের জন্য আছে পাশেই অ্যামিসপল্লির ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘোরার ব্যবস্থা।
ট্রেন হোস্টেল হোকুটোসেই, জাপান
টোকিও শহরে ২০১৬ সালে চালু হয় ট্রেন থিমে হোস্টেল হোকুটোসেই। এটি তৈরি হয়েছে আসল একটি স্লিপিং ট্রেনের পুরোনো বগি দিয়ে। এই হোস্টেলে ঢুকলে মনে হবে, আপনি আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের কোনো ট্রেনযাত্রায় এসেছেন। কামরাগুলোর আসন, স্লিপিং বার্থ, জানালা—সবই রাখা হয়েছে আসল ট্রেনের মতো করে। অতিথিরা শেয়ার রুমে থাকতে পারেন মাত্র ৩০ থেকে ৬০ ডলারে। আর ব্যক্তিগত রুমের জন্য লাগবে প্রায় ১০০ ডলার। এর সুবিধার মধ্যে রয়েছে সাধারণ কিচেন, পড়ার ঘর, লকার আর আশপাশে রেল মিউজিয়াম দেখার সুযোগ। হোকুটোসেই মূলত সেই বিখ্যাত নাইট ট্রেনের নাম, যা একসময় টোকিও থেকে হোক্কাইডো পর্যন্ত চলাচল করত। এখন সেই স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছে এই হোস্টেল।
কন্ট্রোভার্সি ট্রাম ইন, নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসের গ্রামীণ এলাকায় এক অদ্ভুত হোটেলের নাম কন্ট্রোভার্সি ট্রাম ইন। এখানে ট্রেন তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে ট্রাম, বাস, এমনকি হেলিকপ্টারও। সেগুলোকে রুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রতিটি রুমের আলাদা থিম রয়েছে। কোথাও পুরোনো আমলের ইউরোপীয় ট্রাম, আবার কোথাও স্কুলবাসের আদলে ডিজাইন। পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে এই হোটেল হতে পারে দারুণ এক গন্তব্য। প্রতি রাতের ভাড়া ৮০ থেকে ১৫০ ইউরো।
কোথাও নেই কোনো ইট-পাথরের রাস্তা। চারপাশে শুধু থইথই পানি। সেই পানির বুকেই গড়ে উঠেছে বসতি—পুরো একটি গ্রাম। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল, উপাসনালয়—সবই আছে সেই গ্রামে। কিন্তু পানির ওপর! মোটরগাড়ি নেই, নেই বাহারি মোটরবাইক। ফলে শব্দদূষণ নেই। আর নেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার বুকে অ
১১ ঘণ্টা আগে‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর করেই বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
১২ ঘণ্টা আগেরোজ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি থাকে না। লিপস্টিক ভালোভাবে না তুললে বা এটির মান ভালো না হলেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে একে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
১৩ ঘণ্টা আগেবাজারে এখন যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্য়ে পটোল আর ঢ্যাঁড়স বলতে গেলে দু-এক দিন পরপরই কিনছেন প্রায় সবাই। কিন্তু সব সময় কি এগুলোর ভাজা আর তরকারি খেতে ভালো লাগে? মাঝেমধ্যে একটু ভিন্ন কায়দায় রান্না করলে এসব সবজিও একঘেয়ে অবস্থা কাটিয়ে হয়ে উঠতে পারে মুখরোচক।
১৭ ঘণ্টা আগে