শাহ বিলিয়া জুলফিকার
পাহাড়, নদী ও ঐতিহাসিক গল্পে ভরপুর সুসং দুর্গাপুর। এই অঞ্চলের সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ চিনামাটির পাহাড়। ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার অন্যতম উপজেলা সুসং দুর্গাপুর। এখান থেকে সাত কিলোমিটার দূরে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের শসারপাড় ও বহেড়াতলী গ্রামে চিনামাটির পাহাড় অবস্থিত।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড় টারশিয়ারি যুগের। এটি মূলত সাদা মাটির পাহাড়। এই মাটি সিরামিকশিল্পের প্রধান কাঁচামাল। ১৯৫৭ সাল থেকে চিনামাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। কোহিনূর অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চিনামাটি উত্তোলন শুরু করে ১৯৬০ সালে। ১৯৬৪-৬৫ সালের দিকে ১৩টি কূপ খনন করা হয়। ১৯৭৩ সালে বিসিআইসি এ কাজে অংশগ্রহণ করে। ধীরে ধীরে বেড়ে ৯টি প্রতিষ্ঠান চিনামাটি উত্তোলনের কাজে জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম খনিজ অঞ্চল বিজয়পুর। ছোট-বড় টিলা ও সমতল ভূমি মিলিয়ে দৈর্ঘ্যে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ৬০০ মিটার খনিজ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এ পর্যন্ত ৫ লাখ টন মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। মজুত আছে ১৩ দশমিক ৭৭ লাখ টন। এই প্রাকৃতিক সম্পদ জিআই স্বীকৃতি পায় ২০২১ সালে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
বিজয়পুরে মূল্যবান চিনামাটি পাওয়া গেলেও এটি বেশি পরিচিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। বর্তমানে ১৬৩টি সাদা মাটির টিলা রয়েছে এখানে। তবে চিনামাটিকে সাদা মাটি বলে আখ্যায়িত করলেও এটি পুরোপুরি সাদা নয়; বরং কোথাও লালচে ধূসর, হালকা নীলাভ, গোলাপি, ঈষৎ বেগুনি, হলুদ কিংবা টিয়া রঙের হয়ে থাকে। বিচিত্র রঙের মাটির সংমিশ্রণে পাহাড়গুলোর নিচে রয়েছে আবার স্বচ্ছ নীল পানির হ্রদ। অনেকগুলো পাহাড় কেটে মাটি উত্তোলন করায় সৃষ্ট বড় বড় গর্ত বা ঢালুতে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে এসব হ্রদ। বর্তমানে চিনামাটি উত্তোলন বন্ধ থাকায় এটি পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম টুরিস্ট স্পটে।
কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেতে হবে নেত্রকোনা। সেখান থেকে সুসং দুর্গাপুর। ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি দুর্গাপুর যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যে।
দুর্গাপুরে সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। সেগুলোর ভাড়াও খুব কম। আর নেত্রকোনা গেলে অবশ্যই সেখানকার বিখ্যাত খাবার
বালিশ মিষ্টি খেতে ভুলবেন না।
ছবি: লেখকের সংগ্রহ
পাহাড়, নদী ও ঐতিহাসিক গল্পে ভরপুর সুসং দুর্গাপুর। এই অঞ্চলের সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ চিনামাটির পাহাড়। ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার অন্যতম উপজেলা সুসং দুর্গাপুর। এখান থেকে সাত কিলোমিটার দূরে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের শসারপাড় ও বহেড়াতলী গ্রামে চিনামাটির পাহাড় অবস্থিত।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড় টারশিয়ারি যুগের। এটি মূলত সাদা মাটির পাহাড়। এই মাটি সিরামিকশিল্পের প্রধান কাঁচামাল। ১৯৫৭ সাল থেকে চিনামাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। কোহিনূর অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চিনামাটি উত্তোলন শুরু করে ১৯৬০ সালে। ১৯৬৪-৬৫ সালের দিকে ১৩টি কূপ খনন করা হয়। ১৯৭৩ সালে বিসিআইসি এ কাজে অংশগ্রহণ করে। ধীরে ধীরে বেড়ে ৯টি প্রতিষ্ঠান চিনামাটি উত্তোলনের কাজে জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম খনিজ অঞ্চল বিজয়পুর। ছোট-বড় টিলা ও সমতল ভূমি মিলিয়ে দৈর্ঘ্যে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ৬০০ মিটার খনিজ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এ পর্যন্ত ৫ লাখ টন মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। মজুত আছে ১৩ দশমিক ৭৭ লাখ টন। এই প্রাকৃতিক সম্পদ জিআই স্বীকৃতি পায় ২০২১ সালে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
বিজয়পুরে মূল্যবান চিনামাটি পাওয়া গেলেও এটি বেশি পরিচিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। বর্তমানে ১৬৩টি সাদা মাটির টিলা রয়েছে এখানে। তবে চিনামাটিকে সাদা মাটি বলে আখ্যায়িত করলেও এটি পুরোপুরি সাদা নয়; বরং কোথাও লালচে ধূসর, হালকা নীলাভ, গোলাপি, ঈষৎ বেগুনি, হলুদ কিংবা টিয়া রঙের হয়ে থাকে। বিচিত্র রঙের মাটির সংমিশ্রণে পাহাড়গুলোর নিচে রয়েছে আবার স্বচ্ছ নীল পানির হ্রদ। অনেকগুলো পাহাড় কেটে মাটি উত্তোলন করায় সৃষ্ট বড় বড় গর্ত বা ঢালুতে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে এসব হ্রদ। বর্তমানে চিনামাটি উত্তোলন বন্ধ থাকায় এটি পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম টুরিস্ট স্পটে।
কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেতে হবে নেত্রকোনা। সেখান থেকে সুসং দুর্গাপুর। ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি দুর্গাপুর যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যে।
দুর্গাপুরে সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। সেগুলোর ভাড়াও খুব কম। আর নেত্রকোনা গেলে অবশ্যই সেখানকার বিখ্যাত খাবার
বালিশ মিষ্টি খেতে ভুলবেন না।
ছবি: লেখকের সংগ্রহ
চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬ ঘণ্টা আগেভ্রমণ সব বয়সের মানুষের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর প্রয়োজনের ধরনও বদলায়। তাই বয়স্ক বা সিনিয়র নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের আগে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আরাম, খাওয়াদাওয়া—সবদিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
৮ ঘণ্টা আগেছোট হোক বা বড়, প্রায় সবার বাড়িতে একটি বুকশেলফ বা বইয়ের তাক থাকে। একটি বুকশেলফ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়, তা সে কাঠ, বেত, বাঁশ, প্লাইউড বা যে উপকরণেই তৈরি হোক। কিন্তু এমন যদি হয়, বহু পুরোনো বুকশেলফের কোনো অংশ ভেঙে গেছে, পায়া নষ্ট হয়ে গেছে বা এই বুকশেলফ পরিবর্তন করে
৯ ঘণ্টা আগেবিদেশ ভ্রমণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অনেক সময় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। নতুন দেশে গিয়ে সিম কেনার আগপর্যন্ত নিয়মিত যোগাযোগ থেকে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। তবে এর বিকল্প হিসেবে দেশের সিম দিয়ে রোমিং সুবিধা নেন অনেকে। এর জন্য ডলারে পেমেন্ট করতে হয়। যেটি কারও কারও জন্য বিপত্তি তৈরি করে।
৯ ঘণ্টা আগে