পেয়ারাবাগান
ছোট ছোট খাল। স্থানীয়রা বলে ভারানি। এই ভারানিতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ আছে। এগুলো দেখতে অনেকটা সুন্দরবনের খালের মতো। স্বরূপকাঠির আটঘর কুরিয়ানায় গেলে এমন ভারানির দেখা মিলবে। ছোট খাল মিশেছে বড় খালে। এমন অনেক খাল যেখানে মিশেছে, সেখানেই বসে ভাসমান পেয়ারার হাট। শুধু পেয়ারা নয়, শাকসবজি-ফলমূলও বিক্রি হয় সেখানে। গৃহস্থের ঘরে উৎপাদিত তাজা সবকিছু। জানা যায়, ভাসমান হাটের বয়স দেড় শ বছর পেরিয়ে গেছে।
পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল আর সতীশ চন্দ্র মণ্ডল। দুজনের বাড়ি ছিল আন্দাকুল গ্রামে। আত্মীয়স্বজন থাকত ভারতের গয়ায়। একবার সেখান থেকে আসার সময় পেয়ারার বীজ নিয়ে আসেন। সেই বীজ রোপণ করলে চারা হয়। ক্রমে সেই গাছে উৎপাদিত পেয়ারা পূর্ণমণ্ডলী পেয়ারা নামে পরিচিতি পায়। এটা প্রায় ২০০ বছর আগের ঘটনা। এভাবেই পূর্ণচন্দ্র মণ্ডলের হাত ধরে এই এলাকায় পেয়ারার চাষ শুরু হয় বলে কথিত আছে।
বর্ষাকাল পেয়ারাবাগান দেখার সঠিক সময়। বাগান ঘুরে দেখতে দেখতে পেয়ারা পেড়ে খেলেও চাষিরা বাধা দেবেন না। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এখানে আসতে হবে। বরিশাল থেকে সকালে রওনা হয়ে ঝালকাঠি কিংবা বানারীপাড়ায় গিয়ে ট্রলার ভাড়া করে পেয়ারাবাগান দেখতে যাওয়া যাবে। এ জন্য সাতসকালে রোদ ওঠার আগেই বের হওয়া ভালো।
ঘুরতে ঘুরতে ক্ষুধা লাগলে আছে খাবার হোটেল। এখানে ভাবির হোটেল বেশ জনপ্রিয়। ট্রলার কুরিয়ানা বড় খালে রেখে ছোট ডিঙি নিয়ে বাগানে গেলে বেশি ভালো লাগবে। জলমগ্ন খাল বেশি উপভোগ্য। কুরিয়ানা বাজারের রসগোল্লা ও খুরমা বেশ জনপ্রিয়। খেয়ে দেখতে পারেন। এর সঙ্গে আরেকটি জিনিসের কথা না বললেই নয়। নরম আখ। পেয়ারাচাষিরা আখের চাষও করেন। এই আখ যেমন নরম, তেমনি রসে ভরা। মিষ্টিও যথেষ্ট। বোম্বাই মরিচ, শসা ইত্যাদিও এখানে বেশ ভালো হয়। ভাসমান হাটে পেয়ারার সঙ্গে সবকিছু পাওয়া যাবে। খালের মধ্যে চলাচলকারী ছোট নৌকাগুলোয় দু-তিনজন বসতে পারে। হাট যেমন খালের ওপর বসে, তেমনি রাস্তার ওপরও। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় এ হাট। হাতে সময় থাকলে এখানেও ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
ভাসমান সবজির চারা উৎপাদন
বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, ইলুহারসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বেড়াতে গেলে একটুখানি অবাক হতেই হবে। এসব এলাকায় পানির মধ্যে ভাসমান অবস্থায় সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। চারার সঙ্গে মাটির যোগাযোগ নেই। এই এলাকা বছরের অধিকাংশ সময় জলমগ্ন থাকে। তাই কৃষকেরাই উদ্ভাবন করে নিয়েছেন ভাসমান বেডে চারা উৎপাদনপদ্ধতি। কচুরিপানা, শেওলা ও দুলালি লতা স্তরে স্তরে সাজিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভাসমান বেড বা ধাপ তৈরির মাধ্যমে সবজির চারা উৎপাদন করেন কৃষকেরা। একেকটি ভাসমান বেড সাধারণত ৬০ থেকে ৯০ মিটার লম্বা, দেড় মিটার চওড়া হয়ে থাকে। এই ভাসমান চাষের এলাকা ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর গ্লোবাল অ্যাগ্রিকালচারাল হেরিটেজ সিস্টেমস সাইট হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে জাতিসংঘ থেকে। বানারীপাড়ায় গিয়ে ট্রলার ভাড়া করে বিশারকান্দি ভাসমান সবজির চারা দেখতে যাওয়া যাবে।
আসা-যাওয়ার খবরাখবর
ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল। বরিশালে হোটেলে থেকে সব জায়গা দেখে আসা যাবে। লঞ্চের কেবিন ভাড়া ডবল ২ হাজার, সিঙ্গেল ১ হাজার টাকা। সময়ভেদে দাম কম-বেশি হতে পারে। বানারীপাড়া ফেরিঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া করে কুরিয়ানা ও বিশারকান্দি যেতে পারবেন। ভাড়া এক থেকে দেড় হাজার টাকা। তবে এক দিন পেয়ারাবাগান, এক দিন সবজির হাট দেখার জন্য বরাদ্দ রাখলে ভালো হবে। যেখানেই যান না কেন, খুব সকালে বের হওয়া ভালো। ভোর থেকে পেয়ারার বাজার জমে ওঠে।
পেয়ারাবাগান
ছোট ছোট খাল। স্থানীয়রা বলে ভারানি। এই ভারানিতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ আছে। এগুলো দেখতে অনেকটা সুন্দরবনের খালের মতো। স্বরূপকাঠির আটঘর কুরিয়ানায় গেলে এমন ভারানির দেখা মিলবে। ছোট খাল মিশেছে বড় খালে। এমন অনেক খাল যেখানে মিশেছে, সেখানেই বসে ভাসমান পেয়ারার হাট। শুধু পেয়ারা নয়, শাকসবজি-ফলমূলও বিক্রি হয় সেখানে। গৃহস্থের ঘরে উৎপাদিত তাজা সবকিছু। জানা যায়, ভাসমান হাটের বয়স দেড় শ বছর পেরিয়ে গেছে।
পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল আর সতীশ চন্দ্র মণ্ডল। দুজনের বাড়ি ছিল আন্দাকুল গ্রামে। আত্মীয়স্বজন থাকত ভারতের গয়ায়। একবার সেখান থেকে আসার সময় পেয়ারার বীজ নিয়ে আসেন। সেই বীজ রোপণ করলে চারা হয়। ক্রমে সেই গাছে উৎপাদিত পেয়ারা পূর্ণমণ্ডলী পেয়ারা নামে পরিচিতি পায়। এটা প্রায় ২০০ বছর আগের ঘটনা। এভাবেই পূর্ণচন্দ্র মণ্ডলের হাত ধরে এই এলাকায় পেয়ারার চাষ শুরু হয় বলে কথিত আছে।
বর্ষাকাল পেয়ারাবাগান দেখার সঠিক সময়। বাগান ঘুরে দেখতে দেখতে পেয়ারা পেড়ে খেলেও চাষিরা বাধা দেবেন না। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এখানে আসতে হবে। বরিশাল থেকে সকালে রওনা হয়ে ঝালকাঠি কিংবা বানারীপাড়ায় গিয়ে ট্রলার ভাড়া করে পেয়ারাবাগান দেখতে যাওয়া যাবে। এ জন্য সাতসকালে রোদ ওঠার আগেই বের হওয়া ভালো।
ঘুরতে ঘুরতে ক্ষুধা লাগলে আছে খাবার হোটেল। এখানে ভাবির হোটেল বেশ জনপ্রিয়। ট্রলার কুরিয়ানা বড় খালে রেখে ছোট ডিঙি নিয়ে বাগানে গেলে বেশি ভালো লাগবে। জলমগ্ন খাল বেশি উপভোগ্য। কুরিয়ানা বাজারের রসগোল্লা ও খুরমা বেশ জনপ্রিয়। খেয়ে দেখতে পারেন। এর সঙ্গে আরেকটি জিনিসের কথা না বললেই নয়। নরম আখ। পেয়ারাচাষিরা আখের চাষও করেন। এই আখ যেমন নরম, তেমনি রসে ভরা। মিষ্টিও যথেষ্ট। বোম্বাই মরিচ, শসা ইত্যাদিও এখানে বেশ ভালো হয়। ভাসমান হাটে পেয়ারার সঙ্গে সবকিছু পাওয়া যাবে। খালের মধ্যে চলাচলকারী ছোট নৌকাগুলোয় দু-তিনজন বসতে পারে। হাট যেমন খালের ওপর বসে, তেমনি রাস্তার ওপরও। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় এ হাট। হাতে সময় থাকলে এখানেও ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
ভাসমান সবজির চারা উৎপাদন
বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, ইলুহারসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বেড়াতে গেলে একটুখানি অবাক হতেই হবে। এসব এলাকায় পানির মধ্যে ভাসমান অবস্থায় সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। চারার সঙ্গে মাটির যোগাযোগ নেই। এই এলাকা বছরের অধিকাংশ সময় জলমগ্ন থাকে। তাই কৃষকেরাই উদ্ভাবন করে নিয়েছেন ভাসমান বেডে চারা উৎপাদনপদ্ধতি। কচুরিপানা, শেওলা ও দুলালি লতা স্তরে স্তরে সাজিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ভাসমান বেড বা ধাপ তৈরির মাধ্যমে সবজির চারা উৎপাদন করেন কৃষকেরা। একেকটি ভাসমান বেড সাধারণত ৬০ থেকে ৯০ মিটার লম্বা, দেড় মিটার চওড়া হয়ে থাকে। এই ভাসমান চাষের এলাকা ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর গ্লোবাল অ্যাগ্রিকালচারাল হেরিটেজ সিস্টেমস সাইট হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে জাতিসংঘ থেকে। বানারীপাড়ায় গিয়ে ট্রলার ভাড়া করে বিশারকান্দি ভাসমান সবজির চারা দেখতে যাওয়া যাবে।
আসা-যাওয়ার খবরাখবর
ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল। বরিশালে হোটেলে থেকে সব জায়গা দেখে আসা যাবে। লঞ্চের কেবিন ভাড়া ডবল ২ হাজার, সিঙ্গেল ১ হাজার টাকা। সময়ভেদে দাম কম-বেশি হতে পারে। বানারীপাড়া ফেরিঘাট থেকে ট্রলার ভাড়া করে কুরিয়ানা ও বিশারকান্দি যেতে পারবেন। ভাড়া এক থেকে দেড় হাজার টাকা। তবে এক দিন পেয়ারাবাগান, এক দিন সবজির হাট দেখার জন্য বরাদ্দ রাখলে ভালো হবে। যেখানেই যান না কেন, খুব সকালে বের হওয়া ভালো। ভোর থেকে পেয়ারার বাজার জমে ওঠে।
চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগেভ্রমণ সব বয়সের মানুষের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর প্রয়োজনের ধরনও বদলায়। তাই বয়স্ক বা সিনিয়র নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের আগে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আরাম, খাওয়াদাওয়া—সবদিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
১০ ঘণ্টা আগেছোট হোক বা বড়, প্রায় সবার বাড়িতে একটি বুকশেলফ বা বইয়ের তাক থাকে। একটি বুকশেলফ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়, তা সে কাঠ, বেত, বাঁশ, প্লাইউড বা যে উপকরণেই তৈরি হোক। কিন্তু এমন যদি হয়, বহু পুরোনো বুকশেলফের কোনো অংশ ভেঙে গেছে, পায়া নষ্ট হয়ে গেছে বা এই বুকশেলফ পরিবর্তন করে
১১ ঘণ্টা আগেবিদেশ ভ্রমণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অনেক সময় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। নতুন দেশে গিয়ে সিম কেনার আগপর্যন্ত নিয়মিত যোগাযোগ থেকে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। তবে এর বিকল্প হিসেবে দেশের সিম দিয়ে রোমিং সুবিধা নেন অনেকে। এর জন্য ডলারে পেমেন্ট করতে হয়। যেটি কারও কারও জন্য বিপত্তি তৈরি করে।
১২ ঘণ্টা আগে