মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
হুটহাট সিদ্ধান্ত হলো, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বন্ধুরা মিলে রাঙামাটি যাব। যেমন কথা তেমন কাজ। রাতে বাসে উঠে সকালে গিয়ে নামলাম।
এবারের ভ্রমণ ছিল অনেকটা উদ্দেশ্যহীন। রাঙামাটি যাওয়ার পর কী দেখব, কোথায় কোথায় যাব, তার কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না।
তাতে বন্ধুদের মানসিক চাপ তেমন না থাকলেও আমার ছিল। তাই মনে মনে নানিয়ারচরে যাওয়ার পরিকল্পনাটা করেই রাখতে হয়েছিল।
বাসস্ট্যান্ড থেকে নাশতা সেরে ট্রলারে চেপে বসলাম। গন্তব্য বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থল। কাপ্তাই লেকের নীলাভ পানিতে ট্রলার চলছে ভেসে। বন্ধুদের হাস্যরসের ফাঁকফোকরে লেক ঘিরে থাকা পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছি।
ছোট্ট ডিঙিতে করে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখছি। ঘণ্টা দুই পরে দেখা মেলে জাতির সূর্যসন্তান পাকিস্তানি হানাদারদের মর্টার শেলের আঘাতে নিহত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থলের স্মৃতির মিনার। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর আত্মত্যাগের কথা মনে হলেই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। শরীরের ভেতর আনমনেই রক্ত টগবগিয়ে ওঠে। মনে হয়, আমিই যেন আব্দুর রউফ! ট্রলার ভেড়ে সমাধিস্থলের ঘাটে।
চেঙ্গী নদীর খালবেষ্টিত কাপ্তাই লেকের বুকে বুড়িঘাট ইউনিয়নে অবস্থিত ছোট্ট একটি টিলার মতো জায়গায় ফরিদপুরের দামাল ছেলে আব্দুর রউফ চিরনিদ্রায় শায়িত। যুদ্ধের সময় তিনি অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলে কর্মরত ছিলেন ল্যান্স নায়েক পদে। স্বাধীনতাযুদ্ধের এই বীর সেনানীর সমাধি আজ ইতিহাসের উজ্জ্বল সাক্ষী।
পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ থেকে সঙ্গী ১৫০ জনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একাই সাতটি স্পিডবোট ও দুটি জাহাজে করে আসা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে লড়তে লড়তে তাদের পিছু হটাতে বাধ্য করেন। ততক্ষণে শত্রুরা মুন্সী আব্দুর রউফের অবস্থান নেওয়া বাংকার চিহ্নিত করে মর্টার শেল ছুড়তে থাকে। তারই একটি গোলার আঘাতে তিনি শহীদ হন। তারিখটা ছিল ২০ এপ্রিল ১৯৭১।
শহীদ মুন্সী আব্দুর রউফকে এই বুড়িঘাটের জমিতে দাফন করা হয়। তখন জায়গাটা যেমন দুর্গম, তেমনি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ঘেরা ছিল। যে কারণে স্বাধীনতার অনেক বছর পর ১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল কবরটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ তাঁর সমাধিস্থলে রাইফেলের ভাস্কর্যসদৃশ স্মৃতির মিনার নির্মাণ করা হয়। তাঁর সমাধির পাশের দেয়ালে লেখা আছে সেদিনের সেই বীরত্বগাথা। দিন দিন সমাধিস্থলটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনেকে যান শ্রদ্ধা জানাতে। কেউবা নিছক ভ্রমণের উদ্দশে।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-রাঙামাটি রুটের যেকোনো বাসে যেতে হবে রাঙামাটি। সেখান থেকে রিজার্ভ বাজার নৌঘাট। সেখান থেকে রিজার্ভ ট্রলার বা স্পিডবোটে ঘুরে আসতে পারবেন বুড়িঘাট থেকে। এ ছাড়া রিজার্ভ না করে যাত্রীবাহী ট্রলারেও যেতে পারবেন সেখানে।
হুটহাট সিদ্ধান্ত হলো, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বন্ধুরা মিলে রাঙামাটি যাব। যেমন কথা তেমন কাজ। রাতে বাসে উঠে সকালে গিয়ে নামলাম।
এবারের ভ্রমণ ছিল অনেকটা উদ্দেশ্যহীন। রাঙামাটি যাওয়ার পর কী দেখব, কোথায় কোথায় যাব, তার কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না।
তাতে বন্ধুদের মানসিক চাপ তেমন না থাকলেও আমার ছিল। তাই মনে মনে নানিয়ারচরে যাওয়ার পরিকল্পনাটা করেই রাখতে হয়েছিল।
বাসস্ট্যান্ড থেকে নাশতা সেরে ট্রলারে চেপে বসলাম। গন্তব্য বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থল। কাপ্তাই লেকের নীলাভ পানিতে ট্রলার চলছে ভেসে। বন্ধুদের হাস্যরসের ফাঁকফোকরে লেক ঘিরে থাকা পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছি।
ছোট্ট ডিঙিতে করে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখছি। ঘণ্টা দুই পরে দেখা মেলে জাতির সূর্যসন্তান পাকিস্তানি হানাদারদের মর্টার শেলের আঘাতে নিহত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিস্থলের স্মৃতির মিনার। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর আত্মত্যাগের কথা মনে হলেই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে। শরীরের ভেতর আনমনেই রক্ত টগবগিয়ে ওঠে। মনে হয়, আমিই যেন আব্দুর রউফ! ট্রলার ভেড়ে সমাধিস্থলের ঘাটে।
চেঙ্গী নদীর খালবেষ্টিত কাপ্তাই লেকের বুকে বুড়িঘাট ইউনিয়নে অবস্থিত ছোট্ট একটি টিলার মতো জায়গায় ফরিদপুরের দামাল ছেলে আব্দুর রউফ চিরনিদ্রায় শায়িত। যুদ্ধের সময় তিনি অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলে কর্মরত ছিলেন ল্যান্স নায়েক পদে। স্বাধীনতাযুদ্ধের এই বীর সেনানীর সমাধি আজ ইতিহাসের উজ্জ্বল সাক্ষী।
পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ থেকে সঙ্গী ১৫০ জনকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একাই সাতটি স্পিডবোট ও দুটি জাহাজে করে আসা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে লড়তে লড়তে তাদের পিছু হটাতে বাধ্য করেন। ততক্ষণে শত্রুরা মুন্সী আব্দুর রউফের অবস্থান নেওয়া বাংকার চিহ্নিত করে মর্টার শেল ছুড়তে থাকে। তারই একটি গোলার আঘাতে তিনি শহীদ হন। তারিখটা ছিল ২০ এপ্রিল ১৯৭১।
শহীদ মুন্সী আব্দুর রউফকে এই বুড়িঘাটের জমিতে দাফন করা হয়। তখন জায়গাটা যেমন দুর্গম, তেমনি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ঘেরা ছিল। যে কারণে স্বাধীনতার অনেক বছর পর ১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল কবরটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ তাঁর সমাধিস্থলে রাইফেলের ভাস্কর্যসদৃশ স্মৃতির মিনার নির্মাণ করা হয়। তাঁর সমাধির পাশের দেয়ালে লেখা আছে সেদিনের সেই বীরত্বগাথা। দিন দিন সমাধিস্থলটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনেকে যান শ্রদ্ধা জানাতে। কেউবা নিছক ভ্রমণের উদ্দশে।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-রাঙামাটি রুটের যেকোনো বাসে যেতে হবে রাঙামাটি। সেখান থেকে রিজার্ভ বাজার নৌঘাট। সেখান থেকে রিজার্ভ ট্রলার বা স্পিডবোটে ঘুরে আসতে পারবেন বুড়িঘাট থেকে। এ ছাড়া রিজার্ভ না করে যাত্রীবাহী ট্রলারেও যেতে পারবেন সেখানে।
চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগেভ্রমণ সব বয়সের মানুষের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর প্রয়োজনের ধরনও বদলায়। তাই বয়স্ক বা সিনিয়র নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের আগে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আরাম, খাওয়াদাওয়া—সবদিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
১০ ঘণ্টা আগেছোট হোক বা বড়, প্রায় সবার বাড়িতে একটি বুকশেলফ বা বইয়ের তাক থাকে। একটি বুকশেলফ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়, তা সে কাঠ, বেত, বাঁশ, প্লাইউড বা যে উপকরণেই তৈরি হোক। কিন্তু এমন যদি হয়, বহু পুরোনো বুকশেলফের কোনো অংশ ভেঙে গেছে, পায়া নষ্ট হয়ে গেছে বা এই বুকশেলফ পরিবর্তন করে
১১ ঘণ্টা আগেবিদেশ ভ্রমণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ অনেক সময় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। নতুন দেশে গিয়ে সিম কেনার আগপর্যন্ত নিয়মিত যোগাযোগ থেকে অনেক সময় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। তবে এর বিকল্প হিসেবে দেশের সিম দিয়ে রোমিং সুবিধা নেন অনেকে। এর জন্য ডলারে পেমেন্ট করতে হয়। যেটি কারও কারও জন্য বিপত্তি তৈরি করে।
১২ ঘণ্টা আগে