Ajker Patrika

তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানভাড়া কমতে পারে

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, ০৯: ২৭
তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানভাড়া কমতে পারে

অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি বলে বিমানযাত্রীদের বড় অংশ অভিযোগ করে থাকেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কুয়েত এয়ারওয়েজ, মালদিভিয়ান, থাই এয়ার এশিয়া ও এয়ার এশিয়ার জিএসএ টাস গ্রুপের পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহাম্মেদুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ‘আজকের পত্রিকা’র বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।   

পর্যটক এবং অন্যান্য যাত্রীর সব সময়ের একটা অভিযোগ, অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের বিমানভাড়া বেশি। এটা কেন?
বাংলাদেশে বিমানভাড়া বেশি হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে।  প্রথমে আমরা দেখছি যে গ্লোবাল একটা ফিনোমনা, তেলের দাম বাড়া। যার কারণে একটা ইমপ্যাক্ট পড়েছে। দ্বিতীয় কারণটা হচ্ছে, বাংলাদেশের টাকার মূল্য কমে যাওয়া। বিদেশি এয়ারলাইনস যারা বাংলাদেশে অপারেট করে এবং বাংলাদেশি যারা বিদেশে অপারেট করে, তারা বিদেশিদের কাছ থেকে উড়োজাহাজ লিজে, আনছে। তাদের খরচ হচ্ছে ডলারে। ফলে তারা কস্টিংও ডলারেই করে, যখন বিক্রি করে, তখন ডলারটা টাকায় কনভার্ট করে বিক্রি করা হয়। আমরা যখন দেখি টাকাটা ডিভ্যালুয়েশন হচ্ছে, তখন লিডটা বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ট্যাক্সের হার বেশি।

মালয়েশিয়ায় ৯ হাজার টাকার মতো ট্যাক্স দিতে হয়। সেই ট্যাক্সের মধ্যে থাকে ডেভেলপমেন্ট ফি, সিকিউরিটি ফিসহ নানান কিছু। সব যোগ করে বাংলাদেশে আসলে খরচটা বেশি। আমরা একটা হিসাব করে দেখেছি যে বাংলাদেশে একটা ফ্লাইট টেক অফ করলে পার সিট ট্যাক্স ছাড়াই এর খরচ চলে আসে ১৫ ডলার। ট্যাক্স যোগ করলে তা আরও বেড়ে যায়। নতুন বাজেটে ট্রাভেল ট্যাক্স বেড়ে গেছে। কিছু কিছু সার্কের জন্য বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড—এসব দেশে, যেখানে শ্রমিকেরা যান, সেই সব দেশে বেড়েছে দেড় হাজার টাকা করে। নর্থ আমেরিকার দিকে বেড়েছে ২ হাজার টাকা করে। আর একটা জিনিস, যা এই সেক্টরকে এফেক্ট করে তা হলো, ক্যাপাসিটি। এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতাসহ অন্য সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক কম। ডিমান্ডের থেকে সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে খরচটা বেড়ে যাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক।

সক্ষমতার কারণেই কি ফ্লাইট বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না?
হ্যাঁ, এয়ারপোর্টের সক্ষমতা নেই। আর আমরা বাইল্যাটারাল রেস্ট্রিকটেড। কিছুদিন আগেই যেমন ইউএই আরও ১২০টি স্লট চেয়েছে। কিন্তু যেহেতু আমাদের সক্ষমতা নেই এবং আমরা বাইল্যাটারেলি রেস্ট্রিকটেড, তাই সিভিল এভিয়েশন ইউএইকে অনুমতিও দিল না। দেখা গেছে, বাজেট এয়ারলাইনস, লো কস্ট এয়ারলাইনস, যাদের ক্ষমতা আছে বাংলাদেশের যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যে মাত্র ২০০, ৩০০ ডলারের নিচেও নিয়ে যাওয়ার, তাদের মতো এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে অনুমতি পেল না। এর কারণ ক্যাপাসিটি রেস্ট্রিকশন।

তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলছে। যে পরিমাণ যাত্রী প্রতিবছর যাওয়া-আসা করে, সেটাও তখন বেড়ে যাবে, নতুন নতুন এয়ারলাইনস এখানে আসবে। তখন কি ভাড়া কমবে?
আমরা আশা করছি যে তখন ভাড়া কমবে। এয়ারপোর্টের ধারণক্ষমতা বেড়ে গেলে নতুন এয়ারলাইনস আসবে। যারা আছে, তারাও ফ্লাইট বাড়াবে। আমরা একটা জিনিস খেয়াল করি, সিভিল এভিয়েশন সব সময় চায় যে সবাই ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশে আসুক। কারণ, আমাদের টার্মিনাল ক্যাপাসিটি বাড়লেও রানওয়ে ক্যাপাসিটি বাড়েনি। রানওয়ে ক্যাপাসিটি নিয়ে সিভিল এভিয়েশন কাজ করছে। এটা বেড়ে গেলে কোনো সমস্যাই হবে না। কিন্তু যেভাবে আমরা বাড়বে বলে ধারণা করছি আর ভাড়া কমবে বলে আশা করছি, সেই তুলনায় খুব না কমলেও কিছুটা কমবে আর ক্যাপাসিটি কিছুটা হলেও বাড়বে। 

ট্রাভেলাররা অল্প খরচে ভ্রমণ করতে চান। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা লো কস্ট এয়ারলাইনসগুলোকে বেছে নেন। কিন্তু বাংলাদেশে যেসব লো কস্ট এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করছে, তাদের ভাড়াও খুব একটা কম নয়। এটা কেন?
উন্নত বিশ্বে যদি দেখেন, ইউরোপের দিকে ইজি এয়ার, রাইন এয়ার বিজনেস মডেলগুলোতে দেখা যায়, ট্যাক্স রেট থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট হ্যান্ডলিং কস্ট, ল্যান্ডিং চার্জ ডিসকাউন্ট রেটে নেগোশিয়েট করে এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে ডিসকাউন্টিং একটা রেট নিয়ে নেয়। ফলে ওদের সুবিধা হয়। যেখানে বাংলাদেশে হ্যান্ডেলিং কস্ট ১৫ ডলার আসে, সেখানে ওই সব দেশে সেটা আরও কম আসে। এর কারণ, তাদের সেই সক্ষমতাও আছে আর সরকার সেই সব এয়ারলাইনসকে উদ্বুদ্ধ করে আসার জন্য। তারা উৎসাহিত করে ইনসেনটিভস, ট্যাক্স রেট, লো কস্ট হ্যান্ডলিং চার্জ দিয়ে; যেটা আমাদের দেশে এখনো হয়ে ওঠেনি। আমার আবেদন, লো কস্ট ক্যারিয়ারদের জন্য যদি একটা স্পেশাল কনসেশন করা যেত, তাহলে ভালো হতো। এতে ভাড়া কমে যাবে, ফলে যাতায়াত বাড়বে।

কানেকশন আর ট্রান্সপোর্টেশন হলো হৃদয়ের মতো। যখনই একটা দেশ ওয়েল কানেকটেড হয়ে যায়, তখন অসংখ্য এফডিআইআর ট্যুরিস্ট আসেন, মুভমেন্ট হয়, ক্রস কালচারাল অ্যাক্টিভিটি, সোশ্যাল এক্সচেঞ্জ বাড়ে। যেহেতু এখন দেশ ডলারের একটা সাময়িক সমস্যার মধ্যে আছে, এটা লং রানে দেশকে অনেক বেনিফিটেড করবে। এফডিআই অনেক ডলার ইনকামের সোর্স বাড়াবে।

আরেকটা জিনিস হচ্ছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ যাত্রীই হচ্ছে শ্রমিক। তাঁরা যখন বিদেশে যাচ্ছেন, তখন দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় অবদান রাখছেন। তাঁরা ফরেন কারেন্সি আর্নার আর সেগুলো তাঁরা দেশেও পাঠান। আমরা যদি তাঁদের জন্য ভাড়া এত বাড়িয়ে রাখি, দেশে আসার সময় তাঁরা ভাড়ার জন্য টাকা বাঁচাতে পারছেন না। তাঁরা যদি ভাড়াটা বাঁচাতে পারতেন, তাহলে বিদেশি এয়ারলাইনসের কাছে যেতেন না। সেই অর্থটাও রেমিট্যান্স হিসেবে চলে আসত। এখানেও আমরা একটা লস করছি। এই লসটা বেশি না হলেও ৩০-৪০ বছরের হিসাব করলে এটা অনেক বেশি হয়ে দাঁড়ায়। বছরে এভাবে ২০ মিলিয়ন ডলার যুক্ত হলেও আমাদের দেশের জন্য এটাও অনেক বড় অর্জন।

আপনারা তো বিভিন্ন ডেসটিনেশনে ফ্লাইট পরিচালনা করছেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে পর্যটকেরা বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন, তাঁরা কোন ডেসটিনেশনটাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন?
আগে ইন্দোনেশিয়া খুব জনপ্রিয় একটি ভ্রমণের জায়গা ছিল। কিন্তু এখন দেখা গেছে, সেটা আর তেমন নেই। এমনকি নেপালও নেই। এখন জনপ্রিয় হচ্ছে ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দুবাই, মালদ্বীপ। সবচেয়ে বেশি ট্যুরিস্ট যান ভারতে। শুধু আকাশপথেই নয়, তারা সড়কপথে এবং ট্রেনেও যাচ্ছেন। নতুন ডেসটিনেশন হচ্ছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম। এই দেশগুলোর ভিসা পলিসি রিলাক্স। উজবেকিস্তান, টার্কির মতো দেশকে বেছে নিচ্ছেন ট্যুরিস্টরা। আগে বেশির ভাগই দুবাই, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় যেতেন, এখন তাঁরা এর বাইরেও যাচ্ছেন। ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই আস্তে আস্তে খুলছে। সৌদি আরব ওমরাহ ও হজের পাশাপাশি একটা সময় ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে খুলে যাবে। শ্রীলঙ্কাও ভালো ডেসটিনেশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রক্তচাপ ও অনিদ্রা—দুই সমস্যার সমাধান এক ভেষজে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আপনি কি ঘুমের সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজছেন? তাহলে ক্যামোমাইল একবার ব্যবহার করে দেখুন।

ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুষ্টিবিদ বেথ জেরওনি বলেন, ‘ক্যামোমাইল মূলত হালকা ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। কয়েক চুমুক খেলে এটি সত্যিই আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।’

তবে এই উদ্ভিদের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়।

প্রথমত, ক্যামোমাইল চায়ের শান্তিদায়ক প্রভাব রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

ডেইজি ফুলের মতো দেখতে এই উদ্ভিদ পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর।

ইউসিএলএ হেলথের তথ্যমতে, পটাশিয়াম (একধরনের ইলেকট্রোলাইট) আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে এবং হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে; বিশেষ করে যাঁরা বেশি লবণ খান, তাঁদের জন্য এটি উপকারী।

তবে বেশির ভাগ আমেরিকানই পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের দৈনিক ২ হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম এবং পুরুষদের ৩ হাজার ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।

রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, এক কাপ ক্যামোমাইল চায়ে প্রায় ২১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।

দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণে শাকপাতা, মিষ্টিআলু, কলা ও অ্যাভোকাডো ভালো উৎস হতে পারে।

পটাশিয়ামের মতোই ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, হৃদ্‌যন্ত্র, পেশি ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমের জন্যও ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।

তথ্যসূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চুল লম্বা করার ৮ কার্যকর উপায়

বিভাবরী রায়
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৪
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ঝলমলে লম্বা চুল কে না চায়? কিন্তু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় এবং নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণে চুলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, চুলের বৃদ্ধির জন্য তাহলে কী করণীয়...? এককথায় বলতে গেলে চুল বড় হবে খুব সহজে, যদি নিয়মিত সঠিক চর্চা করা যায়। এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করুন, তারপর নিজের চোখে ফলাফল ধরা দেবে—

নিয়মিত চুল ছাঁটাই

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। আট-দশ সপ্তাহ পর নিয়মিত ছাঁটাই করলে চুল দ্রুত বড় হতে পারে। অতিরিক্ত ধুলোবালু ও রোদের তাপের কারণে চুলের প্রান্তভাগ বা আগা তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে চুলের আগা ফেটে যায়। নিয়মিত চুল ছাঁটাই করার মাধ্যমে সেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ফেটে যাওয়া আগা কেটে ফেলা হলে চুল নতুন করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। যার ফলে কোনো বাধা ছাড়াই চুল লম্বা হতে পারে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

কন্ডিশনারকে করুন নিত্যসঙ্গী

হয়তো লক্ষ করেছেন, চুলের আগার অংশ গোড়ার অংশের চেয়ে তুলনামূলক পাতলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হচ্ছে, নিচের প্রান্তটি গোড়ার অংশের মতো ভালোভাবে পুষ্টি পায় না। প্রতিবার চুল ধোয়ার পরে কন্ডিশনিং করা হলে চুলের আগার অংশ অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ওঠার সুযোগ পায়। কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুল সুস্থতা ফিরে পায়। ফলে দ্রুত লম্বা হতে পারে।

ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন

চুলে ঈষদোষ্ণ তেল ম্যাসাজ করলে স্ট্রেস দূর হয়, এটা নিশ্চয়ই জানেন। প্রতি সপ্তাহে তিন দিন এভাবে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে আপনার চুল সুস্থ থাকবে, দ্রুত বেড়ে উঠবে ও চুল পড়া কমে যাবে। চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে নারকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল আঁচড়ান

অতিরিক্ত আঁচড়ানোর ফলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে, এ কথা অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এটা তখনই ঘটবে, যখন চিরুনি বেছে নিতে ভুল করবেন। চিকন দাঁতের চিরুনি এড়াতে পারলে ভালো। মোটা দাঁতের চিরুনি চুলের জন্য সব সময় ভালো। এগুলো ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে কমপক্ষে ৫০ বার এমন চিরুনি দিয়ে চুলের সামনে থেকে পেছনের দিকে ও মাথার সব চুল উল্টে পেছন থেকে সামনের দিকে আঁচড়ান। এতে চুল দ্রুত বড় বা লম্বা হবে।

চুল লম্বা করার জন্য খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা চাই। বাহ্য়িকভাবে পুষ্টি জোগাতে ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুলের জেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এ ছাড়াও মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বড় হয়। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখবেন না

শ্যাম্পু করে চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুড়িয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এই অভ্যাসের নেতিবাচক ফল সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ভেজা চুলের গোড়া নরম থাকে। ফলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে এভাবে মুড়ে রাখলে চুল ভাঙা ও পড়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে মুছে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

৩ মিনিট ব্যাকব্রাশ

অদ্ভুত শোনাতে পারে, কিন্তু চুল দ্রুত বড় করতে চাইলে প্রতিদিন ৩ মিনিট চুল ব্যাকব্রাশ করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল দ্রুত বড় হয়।

মানসিক চাপকে বিদায় জানান

মানসিক চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর অসংখ্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে, চুল পড়া তার মধ্যে অন্যতম। কাজের কারণে বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অতিরিক্ত চাপ চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে। চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টিকারী মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ডিমের মাস্ক ব্যবহার

ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন প্যাক দিয়ে কিন্তু চুলে সহজে পুষ্টি জোগাতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম, আপনার চুলকে পুষ্ট করতে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে অলৌকিকভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। মাত্র এক চা-চামচ জলপাই তেল একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। মাসে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন। তিন থেকে ছয় মাস পর অবিশ্বাস্য ফল পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জলপাই রসুনের ঝাল আচার

ফিচার ডেস্ক
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি: রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, দেশি রসুনের কোয়া আধা কেজি, বোম্বাই মরিচ ১০ থেকে ১২টা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টা, সরিষার তেল ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ।

প্রণালি

জলপাই বোঁটা ফেলে ধুয়ে সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে রসুনের কোয়া, বোম্বাই মরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, বিট লবণ, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতার ফোড়ন দিন। পরে বাটিতে রাখা উপকরণ দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট। জলপাই দিয়ে আবার নেড়ে রান্না করুন। চুলার তাপ বাড়ানোই থাকবে। তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এই মৌসুমের জলপাই রসুনের ঝাল আচার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিমান ভ্রমণ আরামদায়ক করতে জরুরি ৯ টিপস

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৩
ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। ছবি: পেক্সেলস
ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। ছবি: পেক্সেলস

নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। এই চিন্তাগুলো দূর করতে এবং আপনার বিমানের অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ করতে, বিশ্বের সেরা কিছু এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু সদস্যরা দিয়েছেন ৯টি বিশেষ টিপস।

বিমান সম্পর্কে খোঁজ নিন

টার্কিশ এয়ারলাইনসের কেবিন চিফ দুয়গু এরেন তোসিয়া মনে করেন, ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার প্রত্যাশা ঠিক থাকবে। যেমন বিমানের ধরন। অর্থাৎ কোন মডেলের বিমানে ভ্রমণ করছেন, তা জেনে নিন। এটি সামগ্রিক উড়ান অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। সিট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটু কৌশলই হতে হবে। বিভিন্ন কেবিন ক্লাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি নিজের বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসনটি বেছে নিতে পারবেন।

লাগেজের নিয়মাবলি যাচাই করুন

বিমানের স্পেসিফিকেশন দেখার সময় লাগেজের নিয়মাবলি দেখে নিতে হবে। এরেন তোসিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্যাকিং এড়াতে এবং বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ফি দেওয়া থেকে বাঁচতে এটি জরুরি। প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। দেখে নিন আপনার চেক-ইন এবং ক্যারি-অন ব্যাগের আকার ও ওজন অনুমোদিত সীমার মধ্যে আছে।

সুচিন্তিতভাবে প্যাকিং করুন

ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট টিফসিত তেফেরা ক্যারি-অন ব্যাগে জিনিস গোছানোর কিছু কার্যকর কৌশল জানিয়েছেনঃ

ভারী কাপড়: জ্যাকেটের মতো ভারী পোশাকগুলো ভাঁজ না করে ব্যাগের একদম নিচে একটার ওপর একটা বিছিয়ে রাখুন।

হালকা কাপড়: টি-শার্টের মতো হালকা জিনিস রোল করে রাখুন।

প্যাকিং কিউব: প্যাকিং কিউব ব্যবহার করে কাপড়গুলো ধরন বা কাজ অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। এতে নোংরা কাপড় আলাদা করতেও সুবিধা হয়।

ক্যাবল গোছানো: চার্জিং ক্যাবলগুলো একটি ছোট টয়লেট্রি ব্যাগে ভাঁজ করে ভেলক্রো টেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করুন। ছবি: পেক্সেলস
প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করুন। ছবি: পেক্সেলস

সঠিক লাগেজ নির্বাচন করুন

প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কেটি ট্রেবেন্ডিস এর মতে, টেকসই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করা উচিত।

হার্ড-শেল লাগেজ: তিনি হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি তার আকার ধরে রাখে, ভেতরের জিনিস সুরক্ষিত রাখে, পরিষ্কার করা সহজ এবং পোশাককে সংকুচিত করে আরও জিনিস ভরতে সাহায্য করে।

জরুরি ফিচার: ওজন নির্দেশক, স্পিনার চাকা (চারদিকে ঘোরানো চাকা) এবং প্যাডেড হ্যান্ডেলের মতো ফিচারগুলো ভ্রমণকে আরও মসৃণ করে তোলে।

ট্রলি স্লীভ: যদি একটি ব্যক্তিগত আইটেম (পার্সোনাল আইটেম) ক্যারি-অন হিসেবে নিতে চান, তবে ট্রলি স্লীভ (যা লাগেজের হ্যান্ডেলের ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়) যুক্ত ব্যাগ বেছে নিন, যাতে বিমানবন্দরে হাঁটার সময় সুবিধা হয়।

বাইরের পকেট: হেডফোন, চার্জার বা বইয়ের জন্য ব্যাগের বাইরে ছোট পকেট থাকলে সিটে বসে সহজেই সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন

জেটব্লু-এর কেবিন ক্রু জর্জ গুতিয়ারেজ মনে করিয়ে দেন যে উচ্চতায় ওড়ার সময় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর নাশতা দিয়ে দিন শুরু করুন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফ্লাইটের সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আট আউন্স (এক কাপ) পানি পান করুন। সাধারণ এই অভ্যাসটি আপনার পুরো ভ্রমণ দিনটিকে আনন্দময় করবে।

ত্বক আর্দ্র রাখুন

এমিরেটসের কেবিন ক্রু আলেকজান্দ্রা জনসন বলেন, যথেষ্ট জল পান করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পণ্য ব্যবহার করাও জরুরি। লম্বা ফ্লাইটে উচ্চতা ও চাপের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। একটি ট্রাভেল-সাইজ ময়েশ্চারাইজার হাতে রাখুন এবং প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে লোশন লাগিয়ে তার ওপর মোজা পরে নিলে দীর্ঘ ফ্লাইটে ত্বক আর্দ্র থাকে।

এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করুন

বিমানবন্দর এবং উড়ানের অভিজ্ঞতা দ্রুত করতে এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করা খুব উপকারী। এমিরেটস অ্যাপের উদাহরণ দিয়ে জনসন জানান, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট বুক করা বা পরিবর্তন করা, ডিজিটাল বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করা, খাবারের তালিকা ঠিক করা, এমনকি ইন-ফ্লাইট বিনোদনের জন্য সিনেমা প্রি-সিলেক্ট করা যায়। অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের অ্যাপেও এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।

প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: পেক্সেলস
প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: পেক্সেলস

সম্ভব হলে আগের রাতে ব্যাগ জমা দিন

বর্তমানে বিমানবন্দরে ভিড় বেশি থাকে। চেক-ইন এবং নিরাপত্তার লাইন লম্বা হতে পারে। এই চাপ কমাতে জনসন পরামর্শ দেন, সম্ভব হলে ভ্রমণের আগের রাতে লাগেজ জমা দিয়ে দিন। দুবাই থেকে এমিরেটসে উড়লে ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাগ ড্রপ করার সুবিধা আছে। কিছু ব্রিটিশ বিমানবন্দর থেকে সকালের ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইজিজেট-ও এই সুবিধা দেয়। আপনার এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখুন তারা কত আগে ব্যাগ ড্রপ-অফের সুযোগ দেয়।

লাগেজ সহজে শনাক্তযোগ্য করুন

ভ্রমণের শেষ ধাপ ব্যাগেজ পিকআপ, যা ভুলে যাবেন না। দীর্ঘ উড়ানের পর লাগেজ ক্লেমে গিয়ে নিজের সুটকেস খুঁজে নিতে বা ভুল করে অন্য কারও ব্যাগ নিয়ে নেওয়া এড়াতে, আপনার লাগেজটিকে সহজে শনাক্তযোগ্য করে তুলুন। যদি আপনার লাগেজের রং সাধারণ হয় (যেমন কালো বা বাদামি), তবে ব্যাগের হাতলে একটি আলাদা ধরনের ট্যাগ বা রঙিন ফিতা বেঁধে দিন।

সূত্রঃ ট্রাভেল+লিজার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত