ফিচার ডেস্ক
বিভিন্ন পাহাড়ে ঘুরে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন অনেকে। গহিন পাহাড়ে আধুনিক ব্যবস্থাপনা থাকে না বলে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। যদিও এর উপায় হিসেবে তাঁবু টানিয়ে রাত কাটানো বেশ পরিচিত। তবে এই পাহাড়প্রেমীদের জন্য একটু ভিন্ন ধরনের ভাবনার বিষয়টি ভেবেছিল যুক্তরাজ্যের মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশন।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন পাহাড় ও দুর্গম অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে সংগঠনটির বোথি বা পাহাড়ি আশ্রয়স্থল। পাহাড়ে ঘুরে বেড়িয়ে যেকোনো বোথিতে রাত কাটানো যায় বুকিং না দিয়ে। তবে এই ব্যবস্থা আধুনিক সুবিধা ও সজ্জার নয়। বোথিতে নেই বিদ্যুৎ ও পানির লাইন, এমনকি টয়লেটও নেই। রয়েছে শুধু চারটি দেয়াল, ছাদ, দরজা-জানালা আর পাহাড়ি নির্জনতা।
সম্প্রতি মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশনের ৬০ বছর পূর্তি হলো। এ উপলক্ষে ফিবি স্মিথ তাঁর বন্ধু এলিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এক পাহাড়ি যাত্রায়। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
যাত্রা শুরু
বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লেক ডিস্ট্রিক্টের পাহাড়ি পথে যাত্রা শুরু করেন দুই বন্ধু। তাঁদের গন্তব্য গ্রেট লিঙ্গি হাট। আঁকাবাঁকা পথে গাড়ি চলছে। বৃষ্টির ধারায় উইন্ড স্ক্রিন ঝাপসা হয়ে গেছে। ফিবি স্মিথ এর আগে বহুবার এই ভ্রমণে এলেও এলির এটি প্রথমবার ভ্রমণ। তাই একদিকে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে ছিল খানিকটা ভয়। যাত্রাপথে ঠান্ডায় প্রায় কাবু অবস্থা এলির। এভাবেই গন্তব্যে পৌঁছালেন তাঁরা।
নির্জন পাহাড়ে উন্মুক্ত আশ্রয়
বোথি মূলত পুরোনো ও পরিত্যক্ত ভবন। এগুলো একসময় খনিশ্রমিক, শিকারি কিংবা পাহাড়ি স্কুলগুলোর আশ্রয় ছিল। পরে মাউন্টেইন বোথি অ্যাসোসিয়েশন পরিত্যক্ত ভবনগুলো সংস্কার করে পাহাড়ি পথিক, পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এগুলোতে থাকার জন্য কোনো বুকিং ও অর্থের দরকার হয় না। তবে নিয়মকানুন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। বর্তমানে মাউন্টেইন বোথি অ্যাসোসিয়েশন ১০৫টি বোথি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। ২০০৯ সালে ওয়েবসাইটে বোথির অবস্থান প্রকাশের পর থেকে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বেড়ে যায়।
বোথি শিষ্টাচার ও দায়িত্ব
বোথিতে থাকার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো হলো, আগুনের ঝুঁকি এড়াতে মোমবাতি ও চুলা নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, প্রাকৃতিক কর্মের জন্য আশ্রয় থেকে দূরে গিয়ে গর্ত খোঁড়া এবং সব বর্জ্য সঙ্গে নিয়ে যাওয়া। লেখক ফিবি ও এলি শুধু নিজেদের আবর্জনা নয়, অন্যদের ফেলে যাওয়া মোমবাতির খালি প্যাকেটও পরিষ্কার করে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জন। বার্ষিক সদস্য ফি ২৫ পাউন্ড হলেও অসংখ্য লোক বিনা মূল্যে এই আশ্রয়গুলো ব্যবহার করে। যদিও নতুন বোথি নেওয়ার পরিকল্পনা নেই; তবু এটি ব্রিটেনের পাহাড়ি সংস্কৃতির এক অনন্য অংশ হয়ে উঠেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিভিন্ন পাহাড়ে ঘুরে দিনের পর দিন কাটিয়ে দেন অনেকে। গহিন পাহাড়ে আধুনিক ব্যবস্থাপনা থাকে না বলে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। যদিও এর উপায় হিসেবে তাঁবু টানিয়ে রাত কাটানো বেশ পরিচিত। তবে এই পাহাড়প্রেমীদের জন্য একটু ভিন্ন ধরনের ভাবনার বিষয়টি ভেবেছিল যুক্তরাজ্যের মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশন।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন পাহাড় ও দুর্গম অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে সংগঠনটির বোথি বা পাহাড়ি আশ্রয়স্থল। পাহাড়ে ঘুরে বেড়িয়ে যেকোনো বোথিতে রাত কাটানো যায় বুকিং না দিয়ে। তবে এই ব্যবস্থা আধুনিক সুবিধা ও সজ্জার নয়। বোথিতে নেই বিদ্যুৎ ও পানির লাইন, এমনকি টয়লেটও নেই। রয়েছে শুধু চারটি দেয়াল, ছাদ, দরজা-জানালা আর পাহাড়ি নির্জনতা।
সম্প্রতি মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশনের ৬০ বছর পূর্তি হলো। এ উপলক্ষে ফিবি স্মিথ তাঁর বন্ধু এলিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এক পাহাড়ি যাত্রায়। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
যাত্রা শুরু
বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লেক ডিস্ট্রিক্টের পাহাড়ি পথে যাত্রা শুরু করেন দুই বন্ধু। তাঁদের গন্তব্য গ্রেট লিঙ্গি হাট। আঁকাবাঁকা পথে গাড়ি চলছে। বৃষ্টির ধারায় উইন্ড স্ক্রিন ঝাপসা হয়ে গেছে। ফিবি স্মিথ এর আগে বহুবার এই ভ্রমণে এলেও এলির এটি প্রথমবার ভ্রমণ। তাই একদিকে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে ছিল খানিকটা ভয়। যাত্রাপথে ঠান্ডায় প্রায় কাবু অবস্থা এলির। এভাবেই গন্তব্যে পৌঁছালেন তাঁরা।
নির্জন পাহাড়ে উন্মুক্ত আশ্রয়
বোথি মূলত পুরোনো ও পরিত্যক্ত ভবন। এগুলো একসময় খনিশ্রমিক, শিকারি কিংবা পাহাড়ি স্কুলগুলোর আশ্রয় ছিল। পরে মাউন্টেইন বোথি অ্যাসোসিয়েশন পরিত্যক্ত ভবনগুলো সংস্কার করে পাহাড়ি পথিক, পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এগুলোতে থাকার জন্য কোনো বুকিং ও অর্থের দরকার হয় না। তবে নিয়মকানুন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। বর্তমানে মাউন্টেইন বোথি অ্যাসোসিয়েশন ১০৫টি বোথি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। ২০০৯ সালে ওয়েবসাইটে বোথির অবস্থান প্রকাশের পর থেকে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বেড়ে যায়।
বোথি শিষ্টাচার ও দায়িত্ব
বোথিতে থাকার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো হলো, আগুনের ঝুঁকি এড়াতে মোমবাতি ও চুলা নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, প্রাকৃতিক কর্মের জন্য আশ্রয় থেকে দূরে গিয়ে গর্ত খোঁড়া এবং সব বর্জ্য সঙ্গে নিয়ে যাওয়া। লেখক ফিবি ও এলি শুধু নিজেদের আবর্জনা নয়, অন্যদের ফেলে যাওয়া মোমবাতির খালি প্যাকেটও পরিষ্কার করে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে মাউন্টেন বোথি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জন। বার্ষিক সদস্য ফি ২৫ পাউন্ড হলেও অসংখ্য লোক বিনা মূল্যে এই আশ্রয়গুলো ব্যবহার করে। যদিও নতুন বোথি নেওয়ার পরিকল্পনা নেই; তবু এটি ব্রিটেনের পাহাড়ি সংস্কৃতির এক অনন্য অংশ হয়ে উঠেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
পানামার ছোট্ট পাহাড়ি শহর বোকে। এখানে কফিকে কেবল পানীয় বললে ভুল হবে। এটি একধরনের শিল্প এবং বিলাসিতার মিশ্রণ। বিলাসিতা বলছি; কারণ, এখানে উৎপাদিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি—গেইশা। যার প্রতি কেজি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এর কারণ শুধু কফির স্বাদ নয়, এর উৎপাদন উৎস, চাষের...
১৬ মিনিট আগেথাইল্যান্ড ভ্রমণ মানে বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে ব্যাংক বা ফুকেট। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য উত্তরাঞ্চলের শহর চিয়াং মাই শহরকে স্বর্গ বললে ভুল হবে না। পাহাড়, নদী, অরণ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই চিয়াং মাই শহর। এই গন্তব্যে কখন যাওয়া সবচেয়ে ভালো, সেটি আগে থাক
১৫ ঘণ্টা আগেবিমানভাড়া দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগেজের চার্জ। এ ছাড়া আছে সিট নির্বাচনের জন্য ফি, এমনকি খাবার-পানীয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ। বিমানের বিজ্ঞাপনে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জ যোগ করার বিষয়টি বিমানযাত্রীদের জন্য বিশাল এক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের গ্রাউবুন্ডেন ক্যান্টনের ভেতরে অবস্থিত একটি শহর চুর; যাকে বলা হয় সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম শহর। প্রাগৈতিহাসিক কালের পদচিহ্ন, রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিধ্বনি এবং মধ্যযুগের মনোমুগ্ধকর আকর্ষণ নিয়ে এই শহর এক অনন্য ঐতিহ্য বহন করে।
১৬ ঘণ্টা আগে