Ajker Patrika

দীর্ঘ ফ্লাইটে পোশাক পরিবর্তন করা জরুরি কি না, কী বলেন বিশেষজ্ঞরা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরে নেওয়া ভালো। ছবি: পেক্সেলস
ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরে নেওয়া ভালো। ছবি: পেক্সেলস

বিমান ভ্রমণ কখনো কখনো দীর্ঘ হতে পারে। এর মধ্যে যাত্রীরা একাধিকবার খাবার খান, একটু ঘুমিয়ে নেন। দীর্ঘ ভ্রমণের সময় কাপড় বদলানো আরামদায়ক মনে হতে পারে। অনেকেই স্বস্তির জন্য ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরে নেন। পোশাক পরিবর্তনের এই ভ্রমণসংক্রান্ত দ্বিধা নিয়ে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন।

পোশাক পরিবর্তন করবেন কি না

পোশাক পরিবর্তনের প্রয়োজনকে ভদ্রতা ও যত্নের বিষয় হিসেবে দেখেন এটিকেট এক্সপার্ট নামের প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জো হেইস। জো জানান, তিনি তাঁর সহযাত্রীদের কাছে অগোছালো চেহারা নিয়ে থাকতে চান না। ১০ ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ ফ্লাইটে তিনি কী কী সঙ্গে নেন, তার একটি তালিকা জো জানিয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্টকে। সে তালিকায় আছে দুই জোড়া অতিরিক্ত মোজা, এক জোড়া আন্ডারওয়্যার, এক জোড়া ট্রাউজার ও একটি টপ। তিনি বাথরুম বা লে-ওভারের সময় নিজের পোশাক পরিবর্তন করে নেন। তিনি একটি টয়লেট্রিজ কিটও ব্যবহার করেন, তাতে ব্রাশ, ময়শ্চারাইজার, ডিওডোরেন্ট এবং তাঁর নিয়মিত রুটিনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস থাকে। জো বলেন, ‘আমরা নিজেদের ও অন্যদের তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিয়ে ভালো ব্যবহার করতে পারি।’

পোশাক পরিবর্তন করতে চাইলে এমন পোশাক সঙ্গে রাখুন, যাতে সহজে ভাঁজ না পরে। ছবি: পেক্সেলস
পোশাক পরিবর্তন করতে চাইলে এমন পোশাক সঙ্গে রাখুন, যাতে সহজে ভাঁজ না পরে। ছবি: পেক্সেলস

ভাঁজবিহীন কাপড়

ওয়াইল্ড ফ্রন্টিয়ার্সের ক্লেয়ার টোবিন দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটে অতিরিক্ত পোশাক সঙ্গে নেওয়ার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। তিনি একটি সম্পূর্ণ সেট সঙ্গে রাখেন। তিনি এমন পোশাক বেছে নেন, যাতে কাপড়ে কম ভাঁজ পড়ে। জোর মতো তিনিও টয়লেট্রিজ সঙ্গে রাখেন। তবে তিনি বিমানে নিজেকে ফ্রেশ করতে গিয়ে বাথরুমে বেশি সময় না কাটাতে সতর্ক করেন। কারণ, এটি অন্য যাত্রীদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে থাকে।

ব্যক্তিগত পছন্দ

‘এলিভেট এটিকেট’-এর অ্যালিসন চেপারডাকের জন্য পোশাক পরিবর্তন করাটা ভদ্রতা বা এটিকেটের কোনো বিষয় নয়। তিনি যুক্তি দেন, এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার।

দীর্ঘ ফ্লাইটে যা পরতে পারেন

দীর্ঘ ফ্লাইটে আরামদায়ক থাকতে হলে পোশাক নির্বাচনের সময় কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যা আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আমূল পরিবর্তন করতে পারে।

স্বস্তিকর পোশাক পরুন

দীর্ঘ ফ্লাইটের জন্য পোশাক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বস্তিকর পোশাক অপরিহার্য। কটন, লিনেন, সিল্ক, ময়শ্চার-উইকিং (ঘাম শোষক) বা মডালের মতো উপাদানে তৈরি পোশাক বেছে নিন। এই ধরনের উপাদান বাতাস চলাচল বজায় রাখে ও আর্দ্রতা শোষণ করে।

ঢিলেঢালা বা সহজে প্রসারিত হয় এমন পোশাক বেছে নিন

দীর্ঘ ফ্লাইটে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। এমন পোশাক আপনাকে নড়াচড়া করার এবং আরামদায়কভাবে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেবে। এ ক্ষেত্রে ইলাস্টিক কোমরবন্ধ বা ড্রস্ট্রিংযুক্ত লেগিংস বা প্যান্ট উপযুক্ত হতে পারে। টাইট বা আঁটসাঁট পোশাক পরে দীর্ঘ সময় বসে থাকা অস্বস্তির কারণ। এতে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।

সহজে খোলা যায় এমন পোশাক পরার চেষ্টা করুন। ছবি: পেক্সেলস
সহজে খোলা যায় এমন পোশাক পরার চেষ্টা করুন। ছবি: পেক্সেলস

উষ্ণ, সহজে খোলা যায় এমন স্তর তৈরি করুন

দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটে আরামদায়ক ভ্রমণের মূল চাবিকাঠি হলো স্তরযুক্ত পোশাক পরা। বিমানের তাপমাত্রা মুহূর্তের মধ্যে ঠান্ডা থেকে উষ্ণ হতে পারে। হালকা শার্ট বা টি-শার্টকে একটি বেস লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করুন। তার ওপর একটি আরামদায়ক সোয়েটার, সোয়েট শার্ট বা কার্ডিগান যোগ করুন, যা গরম লাগলে সহজে খুলে ফেলা যায়। পোশাক স্তরে স্তরে পরলে ঠান্ডা ও গরমের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারবেন। পুরো ফ্লাইটে এমন পোশাক আপনাকে আরাম দেবে।

আরামদায়ক জুতা পরুন

আপনার পায়ের যত্ন নিতে ভুলবেন না! বিমানবন্দরজুড়ে হাঁটা, লাইনে দাঁড়ানো এবং লাগেজ বহন করা, এই সবকিছুর জন্য আরামদায়ক জুতা পরুন। দীর্ঘ ফ্লাইটে ভ্রমণের জন্য সেরা জুতা হলো স্নিকার্স বা স্লিপ-অন জুতা। এগুলোতে সাধারণত রাবার বা অন্যান্য আরামদায়ক উপাদানে তৈরি সোল থাকে। নিরাপত্তা তল্লাশির সময় অনেক যাত্রীকে জুতা খুলতে হয়। তাই সহজে খোলা যায় এমন জুতা বেছে নিন। দীর্ঘ ফ্লাইটে বাতাসের চাপের কারণে পা ও গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। এ বিষয়টি জুতা নির্বাচনের সময় মনে রাখবেন।

গন্তব্যের আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখুন

পোশাক স্তরযুক্ত করার কৌশলটি গন্তব্যের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে।

কিছু অনুষঙ্গ ব্যবহার করুন

বিমানে ব্যবহার করার জন্য সেরা অনুষঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হলো শাল বা ট্রাভেল র‍্যাপ। এটি আপনাকে উষ্ণ রাখবে এবং প্রয়োজন হলে এগুলোকে বালিশ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি ছোট আকারের ক্রস-বডি ব্যাগ ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য। এটি আপনার হাত খালি রাখবে এবং নিরাপত্তা তল্লাশির সময় অনেক কিছু সহজ করে দেবে।

সূত্র: ডেইলি মেইল, বুকিং ডটকম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোন দেশের মানুষ বেশি খায়? তালিকা প্রকাশ করেছে এফএও

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
গত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ভোগ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
গত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ভোগ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

বিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেশির ভাগ উন্নত দেশ। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো রয়েছে নিচের দিকে। গত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ভোগ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোয় এই মাত্রা বেশি। ভোগের হারে তারতম্য থাকলেও বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে আরও বেশি সুষমভাবে বণ্টন করা হচ্ছে।

খাদ্যাভ্যাসের নেপথ্যে কারণ

খাদ্য গ্রহণের ভিন্নতার পেছনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। প্রথমে আছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সেই জাতির পুষ্টির মাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে। ব্যাপক নগরায়ণ, বিশেষত নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলেছে। খাদ্যে উচ্চ ক্যালরি, চর্বি ও লবণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাজা ফল ও সবজি খাওয়ার প্রবণতা কমেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যায়াম ও সাধারণ শারীরিক কার্যকলাপ কমে যাওয়ার ঘটনা, যা পুষ্টিগত পরিবর্তনগুলোকে আরও বাড়িয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে পরিবেশগত প্রভাব।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেশির ভাগ উন্নত দেশ। নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: পেক্সেলস
তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেশির ভাগ উন্নত দেশ। নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: পেক্সেলস

পরিবেশগত ও ভৌগোলিক কারণগুলো অনেক দেশের খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিছু দ্বীপরাষ্ট্র প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আমদানির ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।

এসব তথ্য তো জানলেন। কিন্তু কোন ১৫টি জাতি বিশ্বজুড়ে বেশি খাবার খায়, তা জানেন? আর সেই দেশগুলোর মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখে, তা-ও কি জানেন? জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানাচ্ছে, খাদ্যসামগ্রী থেকে পাওয়া মাথাপিছু গড় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ জাতীয় তথ্য থেকে পাওয়া যেতে পারে। তবে জাতীয় তথ্য থেকে পাওয়া এই গড় বাস্তবতাকে নির্দেশ না-ও করতে পারে। কারণ, খাদ্যের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অসমতা বা বৈষম্য বড় প্রভাব ফেলে।

সর্বোচ্চ খাদ্য গ্রহণকারী ১৫টি দেশের তালিকা

প্রথম পাঁচ

এফএও সূচকের তথ্য অনুসারে মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৫টি খাদ্য গ্রহণকারী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার প্রথম পাঁচটি দেশ হলো—

অস্ট্রিয়া, মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কিলোক্যালরি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ ৩ হাজার ৭৫০ কিলোক্যালরি।

গ্রিস, মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৭১০ কিলোক্যালরি।

বেলজিয়াম, মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৯০ কিলোক্যালরি।

লুক্সেমবার্গ, মাথাপিছু দৈনিক গড় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৮০ কিলোক্যালরি।

ষষ্ঠ থেকে দশম অবস্থানের দেশগুলো

২০০৬ সাল থেকে সর্বোচ্চ খাদ্য গ্রহণের হার বজায় রেখেছে অস্ট্রিয়া। প্রতীকী ছবিটি পেক্সেলস থেকে নেওয়া।
২০০৬ সাল থেকে সর্বোচ্চ খাদ্য গ্রহণের হার বজায় রেখেছে অস্ট্রিয়া। প্রতীকী ছবিটি পেক্সেলস থেকে নেওয়া।

পিৎজার জন্য বিখ্যাত দেশ ইতালি আছে ষষ্ঠ স্থানে। এখানকার মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৫০ কিলোক্যালরি। আকারে ছোট হলেও মাল্টার মানুষের ক্ষুধা প্রচণ্ড! তাই দেশটি আছে তালিকার সপ্তম অবস্থানে। মাল্টার দৈনিক মাথাপিছু গড় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ কিলোক্যালরি। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে থাকা দেশটির নাম আয়ারল্যান্ড। আইরিশ স্ট্যু ও সোডা ব্রেডের জন্য পরিচিত এই দেশের মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৯০ কিলোক্যালরি। পর্তোর বিখ্যাত ফ্রান্সেসিনা ও ক্ল্যাসিক প্যাস্টেল দে নাটার মতো খাবার পর্তুগালকে নবম স্থানে নিয়ে এসেছে। তাদের দৈনিক মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৮০ কিলোক্যালরি। এরপরই আছে জার্মানি। জার্মান খাবারে ক্যালরির মাত্রা বেশ ভালো। তাদের মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৪০ কিলোক্যালরি।

তালিকায় থাকা শেষ পাঁচ দেশ

তালিকায় থাকা ১১তম দেশটি কানাডা। দেশটির মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি। কক অ ভিন, পেঁয়াজের স্যুপ এবং ক্র্যাপসের মতো ক্ল্যাসিক ফরাসি খাবারের কারণে ফ্রান্সের মানুষ গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করে। আর সেখান থেকেই দেশটির অবস্থান ১২তম। ১৩তম অবস্থানে আছে ইসরায়েল। ব্রেডেড শাল্লাহ রুটি ও গেফিল্টে ফিশের মতো খাবারের দেশটির গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি। এরপরই আছে তুরস্ক। বিখ্যাত কাবাব ও জিবে জল আনা বাকলাভার জন্য পরিচিত তুরস্কে মাথাপিছু দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করা হয়। তালিকায় সর্বশেষ দেশের নাম রোমানিয়া। ঐতিহ্যবাহী সারমালে ও বালমোসের মতো খাবারের দেশ রোমানিয়া এই তালিকার ১৫তম স্থানে আছে। দেশটির গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪৯০ কিলোক্যালরি।

বৈষম্য ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তারা দরিদ্র দেশগুলোর থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন ইরিত্রিয়া ও বুরুন্ডির মতো দেশে মাথাপিছু গড় দৈনিক খাদ্য গ্রহণ অস্ট্রিয়ার অর্ধেকের কম। এমনকি দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিক বৈষম্য সম্পদের বণ্টনে তারতম্য তৈরি করে। ওশেনিয়া ও ইউরোপে ৫০ বছর ধরে খাদ্য সরবরাহ প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও অন্যান্য অঞ্চলে তার ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখা গেছে। আফ্রিকা ও এশিয়াতে বৃদ্ধি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সাংস্কৃতিক পার্থক্য, বিশ্বাস, পছন্দের খাবার ও খাদ্য সহজলভ্যতার মতো অন্যান্য কারণও খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এখনো বিশ্বের অনেক দেশ দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা ও শিশুদের অপুষ্টির মতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের বণ্টন ও পুষ্টির মান উন্নয়নে এখনো অনেক কাজ বাকি।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, এফএও

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছুটির সকালের নাশতায় লুচির সঙ্গে আলুর ঝোল

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ছুটির সকালে নাশতা হোক জম্পেশ। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা
ছুটির সকালে নাশতা হোক জম্পেশ। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

ছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

আলু ২৫০ গ্রাম, টমেটো ১টি, লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ২টি, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, চিনি, পাঁচফোড়ন ও কালিজিরা আধা চা-চামচ করে, হিং ২ চিমটি।

ছুটির সকালে লুচি ও আলুর ঝোল হতে পারে দারুণ নাশতা। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা
ছুটির সকালে লুচি ও আলুর ঝোল হতে পারে দারুণ নাশতা। ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

প্রণালি

আলুর খোসা ফেলে চার কোনা আকারে ছোট ছোট করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ ও সামান্য কালোজিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার পানিসহ সেদ্ধ করা আলু ফোড়নে দিয়ে দিন। হয়ে এলে টমেটো, হিং, চিনি ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে আরও কিছু সময় রান্না করুন। সব শেষে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তারপর ফুলকো লুচি নিয়ে বসে পড়ুন টেবিলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দ্রুততম সময়ে ত্বকে উজ্জ্বলতা দেবে যে ৪ খাবার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
এমন উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে স্কিন ডায়েট মেনে চলুন। ছবি: পেক্সেলস
এমন উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে স্কিন ডায়েট মেনে চলুন। ছবি: পেক্সেলস

হেমন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আর কদিন পর শুরু হবে বিয়ের মৌসুম। তারপর বড়দিন আর বছর বিদায়ী অনুষ্ঠানগুলো তো পড়েই রয়েছে। ফলে বছরের বাকি সময়টুকু হইহুল্লোড়ে পার হবে। এসব উপলক্ষকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি নতুন করে সাজানো থেকে শুরু করে সুস্বাদু খাবার তৈরি—সবখানেই থাকে আড়ম্বর। কেনা হয় নতুন পোশাক ও গয়না। কিন্তু এত সবের মাঝে ত্বকের প্রস্তুতি কী, বলুন তো? বিশেষ দিনের আগে একদিন ফেয়ার পলিশ আর ব্রাইটেনিং ফেশিয়াল করলেই ত্বক উজ্জ্বল হয় না। এটি ভেতর থেকে ভালো থাকলে উজ্জ্বলতা এমনিই আসবে।

স্কিন ডায়েট বিষয়ে জেনে নিন

আজকাল ‘স্কিন ডায়েট’ বলে একটা ব্যাপার বেশ চর্চায় রয়েছে। কী এই স্কিন ডায়েট? একটু খোলাসা করেই বলা যাক। স্কিন ডায়েট হলো এমন এক খাদ্যাভ্যাস, যেখানে স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া ও পানীয় পান করা হয়। এড়িয়ে চলা হয় কিছু খাবার। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখা, ব্রণের মতো সমস্যা কমানো, দাগছোপ ও অকালে বলিরেখা পড়তে না দেওয়া এবং ত্বকের অকালবার্ধক্য প্রতিরোধ করা। এই ডায়েটে তাজা ফল, সবজি ও স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। আর কম থাকে অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার।

তবে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে বাহ্যিক যত্নের দিকে আমরা যতটা নজর দিই, ঠিক ততটাই অবহেলা করি সুস্থ ত্বকের উপযোগী খাদ্য-পানীয় গ্রহণে। ফলে দিন দিন ত্বক ক্লান্ত হয়ে পড়ে সুস্থতা হারায়। তাই বলে ঘটা করে একদিন স্কিন ডায়েটে ভালো খাবার রেখে পরের তিন মাস বেমালুম ভুলে যাবেন, তা হলে ফল হবে শূন্য। বিশেষ দিনে বিশেষ জেল্লা ছড়াতে চাইলে আটঘাট বেঁধে নামা চাই। প্রতিদিনই স্কিন ডায়েট মেনুতে কয়েকটি খাবার রাখতে হবে।

জাফরান ভেজানো পানি

জাফরান ভেজানো পানি আপনার ত্বক প্রশান্ত ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে। ছবি: পেক্সেলস
জাফরান ভেজানো পানি আপনার ত্বক প্রশান্ত ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে। ছবি: পেক্সেলস

দ্রুততম সময়ে ত্বকে জেল্লা ফিরে পেতে চাইলে জাফরান ভেজানো পানি পানে উপকার পাবেন। জাফরান ভেজানো পানি তৈরি করতে ২ বা ৩টি জাফরান এক কাপ কুসুম গরম পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করুন। চাইলে রাতে ভিজিয়ে সকালবেলা খালি পেটে পান করতে পারেন। জাফরান ভিটামিন ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এটি আপনার ত্বক প্রশান্ত করতে এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করবে। এই পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও রক্তসঞ্চালন বাড়ে। শক্তি বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি নেই।

আমলকীর শট

আমলকী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খনিজে ভরপুর। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখায়। প্রতিদিন দুটি আমলকী রস করে এক কাপ কুসুম গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা নিজেই টের পাবেন।

আমলকীর শট ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত
আমলকীর শট ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত

বাদাম

স্বাস্থ্যকর গুণ থাকায় বাদামকে সুপার ফুড বলা হয়। এতে থাকা আঁশ বিপাক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক। প্রতিদিন যেকোনো বাদাম এক মুঠো পরিমাণ খেলে উপকার পাওয়া যায়। বাদামের মধ্য়কার ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সাইট্রাস ফল

সাইট্রাস হলো টকজাতীয় ফল। এ ধরনের ফলের গুণের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলোতে থাকে ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড, টারপেন ও সাইট্রিক অ্যাসিড। এসব উপাদান এ-জাতীয় ফলগুলোকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্বাদ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়। লেবু, কমলা ও অন্যান্য টক ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন দূষণ থেকে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতি সারাতে সাহায্য করে। ত্বক ভেতর থেকে পরিচ্ছন্ন রাখতেও এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেক লেবু রস করে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। শরীরও চাঙা হয়ে উঠবে, বাড়তি মেদও কমবে; পাশাপাশি ত্বকও চকচকে হয়ে উঠবে। ফলে বিশেষ দিনে মেকআপ ছাড়াই ঝলমল করবে আপনার ত্বক।

সূত্র: এনডিটিভি ফুডস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিমানবন্দরে ১০ ভুল এড়িয়ে চলুন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
কিছু ছোট প্রস্তুতি ও সচেতনতা পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
কিছু ছোট প্রস্তুতি ও সচেতনতা পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণের আনন্দ শুরু হয় বিমানবন্দর থেকে। সেই আনন্দ ধরে রাখতে চাইলে কিছুটা পরিকল্পনা, সময়জ্ঞান ও সচেতনতা প্রয়োজন। দীর্ঘ সারি, লাগেজের ঝামেলা, সময়মতো না পৌঁছানো, এমনকি বোর্ডিং পাস হারানোর মতো সাধারণ ভুল যাত্রাকে করে তুলতে পারে বিরক্তিকর। এই ভুলগুলোর বেশির ভাগই হয় পরিকল্পনার অভাবে। কিছু ছোট প্রস্তুতি ও সচেতনতা পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে পারে।

যাত্রার আগে গাড়ি ঠিক করবেন না

যাত্রার দিন গাড়ি নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে অনেকে অনলাইনে গাড়ি বুক করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পেলে এতে বড় বিপত্তি তৈরি হয়। তাই নির্দিষ্ট দিনের জন্য আগেই গাড়ি ঠিক করে রাখা উচিত। এতে বের হওয়ার সময় কোনো সমস্যা পড়তে হয় না।

খুব আগে পৌঁছে যাওয়াও ভুল

অনেকে মনে করেন, যত আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানো যায়, তত ভালো। কিন্তু তা সব সময় নয়। বেশির ভাগ এয়ারপোর্টে ব্যাগ ড্রপ বা চেক-ইন কাউন্টার খোলে ফ্লাইট ছাড়ার তিন ঘণ্টা আগে। তার আগে গেলে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকে না।

দেরি করা বিপজ্জনক

কিছু যাত্রী মনে করেন, অনলাইনে চেক-ইন থাকলে শেষ মুহূর্তে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু অনেক এয়ারলাইনস ফ্লাইট ছাড়ার ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে গেট বন্ধ করে দেয়; বিশেষ করে বড় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন ও গেটে পৌঁছাতে সময় লাগে অনেক। তাই অন্তত এক ঘণ্টা আগে উপস্থিত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আর অনলাইন চেকিং না থাকলে অবশ্যই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হবে।

বিমানবন্দরে মুদ্রা বদল করবেন না

এয়ারপোর্টে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ কাউন্টারে রেট সব সময় কম পাওয়া যায়। ভালো সমাধান হলো ভ্রমণের এক বা দুদিন আগে অনলাইনে বা শহরের কোনো নির্ভরযোগ্য মানি এক্সচেঞ্জে আগেভাগে টাকা বদলে নেওয়া। এতে অনেক টাকা সাশ্রয়ী হয়।

দাম না জেনে ডিউটি ফ্রি কেনাকাটা করবেন না

‘ডিউটি ফ্রি’ শব্দটি শুনলেই মনে হয় সবকিছু সস্তা, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। তাই কেনার আগে মোবাইল ফোনে গুগলে দাম দেখে নিন। না হলে আপনাকে ‘ডিউটি ফ্রি’ ট্যাগের জন্যই বাড়তি টাকা গুনতে হবে।

পানির খালি বোতল সঙ্গে না নেওয়া

নিরাপত্তা চেকের সময় পানি নিয়ে ঢোকা যায় না, কিন্তু খালি বোতল নিয়ে ঢোকা যায়। এখন প্রায় সব বিমানবন্দরে পানির ফিলিং স্টেশন আছে। খালি বোতল নিয়ে গেলে নিরাপত্তা পার হওয়ার পর পানি ভরে নিতে পারবেন। এতে দোকানে অতিরিক্ত দামে পানির বোতল কিনতে হবে না।

লাগেজের ওজন না মাপা

এয়ারলাইনসের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাগের ওজন ও মাপ ভিন্ন হয়। বাড়তি ওজনের জন্য বেশ ভালো অঙ্কের অতিরিক্ত ওজন ফি দিতে হয়। তাই ঘর থেকে ব্যাগ ওজন করে নিন। না হলে অপ্রত্যাশিত খরচ ভ্রমণের বাজেট নষ্ট করবে।

অনলাইনে চেক-ইন না করা

বর্তমানে প্রায় সব এয়ারলাইনস অনলাইন চেক-ইন সুবিধা দেয়। এতে বিমানবন্দরে সময় বাঁচে, আবার কিছু ক্ষেত্রে টাকাও বাঁচে। তাই আগেই মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে চেক-ইন সম্পন্ন করুন।

ফাস্ট ট্র্যাক ব্যবহার না করা

যদিও অনেকের কাছে অতিরিক্ত ৫ বা ১০ ডলার খরচ করে ফাস্ট ট্র্যাক টিকিটের খরচ অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। তবে ভিড়ের সময় এটি বেশ কাজে দেয়; বিশেষ করে ছুটির মৌসুমে দীর্ঘ নিরাপত্তা সারি এড়াতে অনলাইনে আগে থেকে ফাস্ট ট্র্যাক পাস বুক করা বুদ্ধিমানের কাজ।

ফ্লাইট ট্র্যাক না করা

এয়ারপোর্টের ডিসপ্লে বোর্ডে ফ্লাইট বিলম্ব বা গেট পরিবর্তনের তথ্য অনেক সময় দেরিতে আপডেট হয়। অনলাইন ফ্লাইট ট্র্যাকারে আপনার ফ্লাইট নম্বর লিখলেই আগেভাগে রিয়েল টাইম তথ্য পাওয়া যায়। এতে অপ্রয়োজনীয় দৌড়ঝাঁপ ও বিভ্রান্তি কমে।

সময়মতো পৌঁছানো, লাগেজ যাচাই, অনলাইন চেক-ইন বা ফ্লাইট ট্র্যাক করার মতো ছোট ছোট সচেতনতা ভ্রমণকে অনেক সহজ করে তুলতে পারে। যাত্রার শুরুটা যদি সুন্দর হয়, তাহলে পুরো ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত