ফিচার ডেস্ক
ভ্রমণের যে কত রকমফের আছে, সেগুলো গুনে শেষ করা যাবে না। কানাডা সরকার এবার সেখানে যোগ করল ফুড ট্রেইল। ভ্রমণের একেবারে নতুন ধারণা এটি।
নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাসকে উৎসাহ দেয় কানাডা সরকার। দেশটিতে প্রতিবছরের মে মাসকে ‘সাইকেল চালানোর মাস’ হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। সেই মাসে সাইকেলপ্রেমীরা বেরিয়ে পড়েন প্রকৃতি উপভোগ করতে। মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়ান সাইকেলে চড়ে। এর সঙ্গে সবার পছন্দ স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া।
সাইকেল ভ্রমণকে আরও উৎসাহ দিতে কানাডা সরকার তৈরি করেছে ২৩৫ কিলোমিটার ফুড ট্রেইল। ফরাসি ভাষায় এর নাম ‘ভেলোরুট গাওমুহন্দ’, বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় ভোজনরসিকদের জন্য সাইকেল ভ্রমণের পথ। কানাডার কুইবেক রাজ্যের মন্ট্রিয়ল শহর থেকে শুরু হয়ে এই পথ শেষ হয়েছে একই রাজ্যের শেরব্রোক শহরে।
ভ্রমণকারীরা কয়েক দিনের জন্য এ পথে বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে। চারপাশের সবুজ শস্যখেতের মাঝ দিয়ে পিচঢালা মসৃণ রাস্তায় সাইকেল চালানোর ফাঁকে বিশ্রাম নিতে পারেন যেকোনো জায়গায়। পথের ধারে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ফুড ভ্যান বা রেস্টুরেন্ট। স্থানীয় খাবারের বিশাল সমাহার পাবেন সেখানে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১২৫টি খাবারের দোকান রয়েছে এই ফুড ট্রেইলে।
কয়েক দিনের জন্য ভ্রমণে গেলে প্রয়োজন হবে থাকার জায়গার। সেটির ব্যবস্থাও রয়েছে এ যাত্রায়। পছন্দ অনুযায়ী প্রায় ৮০টি থাকার জায়গা রাখা হয়েছে এখানে। প্রকৃতির এমন আবহে কয়েক দিনের অবকাশ যাপন এখানে বেশ জনপ্রিয়।
৩৫ কিলোমিটার ফুড ট্রেইলকে মানুষের কাছে আরও উপভোগ্য করে তুলতে কানাডার প্রায় ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই দীর্ঘ ফুড ট্রেইলকে চার অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে আছে কাঁচা ও পাকা রাস্তা। ভ্রমণকারীরা পছন্দ ও সুবিধা অনুযায়ী নিজেদের গন্তব্য বেছে নিতে পারবেন।
মন্ট্রিয়ল থেকে সেন্ট জিন সুর রিচেলিউ
মন্ট্রিয়ল থেকে যাত্রা শুরু করলে সেন্ট জিন সুর রিচেলিউ পর্যন্ত ফুড ট্রেইলটির দৈর্ঘ্য ৪৫ কিলোমিটার। বলা হয়, জায়গাটি কুইবেক রাজ্যের জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের শীর্ষে রয়েছে। এই অংশে রয়েছে শহুরে ছাপ। ভেলোরুট গাওমুহন্দ ভ্রমণের খাবারের প্রথম বিরতি শুরু হয় ৩০ কিলোমিটার পরে থেকে। এখানে লেকের পাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রতিটি রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া ১৭১১ সালের ইতিহাস তুলে ধরতে নির্মাণ করা হয়েছে ফোর্ট দ্য চ্যাম্বলি।
সেন্ট জিন সুর রিচেলিউ থেকে গ্রেনবি
৫০ কিলোমিটার জায়গার এই অংশে দেখা মিলবে সবুজ কৃষিজমি আর জঙ্গলের। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ রাস্তা পাকা। বিভিন্ন ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট ছাড়াও এখানে বাজার পাওয়া যাবে। আর গ্রেনবি যাওয়ার একটু আগে রয়েছে পনির কারখানা।
গ্রেনবি থেকে অরফোর্ড
এই অঞ্চলের দৈর্ঘ্য ৭০ কিলোমিটার। এ অংশটুকু ভ্রমণকারীদের উপভোগ্য করে তুলবে ন্যাশনাল পার্ক মোন্ট অরফোর্ড। স্বচ্ছ জলরাশির হ্রদের পাশে সময়টা উপভোগ করার অনেক আয়োজন রয়েছে। অনেকে ক্যাম্প করার জন্য এই জায়গা বেছে নেন।
অরফোর্ড থেকে শেরব্রোক
ভেলোরুট গাওমুহন্দর এই শেষ অংশের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার। যাত্রাপথটি অতিবাহিত হয়েছে দুটি নদীর পাড় ধরে। এর প্রায় পুরোটাই কাঁচা রাস্তা। এর সঙ্গে গ্রামীণ আবহে দুটি রেস্টুরেন্টের খাবার যাত্রার শেষটা আরও স্মৃতিময় করে দেবে।
সূত্র: অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভেলোরুট গাওমুহন্দ
ভ্রমণের যে কত রকমফের আছে, সেগুলো গুনে শেষ করা যাবে না। কানাডা সরকার এবার সেখানে যোগ করল ফুড ট্রেইল। ভ্রমণের একেবারে নতুন ধারণা এটি।
নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাসকে উৎসাহ দেয় কানাডা সরকার। দেশটিতে প্রতিবছরের মে মাসকে ‘সাইকেল চালানোর মাস’ হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। সেই মাসে সাইকেলপ্রেমীরা বেরিয়ে পড়েন প্রকৃতি উপভোগ করতে। মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়ান সাইকেলে চড়ে। এর সঙ্গে সবার পছন্দ স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া।
সাইকেল ভ্রমণকে আরও উৎসাহ দিতে কানাডা সরকার তৈরি করেছে ২৩৫ কিলোমিটার ফুড ট্রেইল। ফরাসি ভাষায় এর নাম ‘ভেলোরুট গাওমুহন্দ’, বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় ভোজনরসিকদের জন্য সাইকেল ভ্রমণের পথ। কানাডার কুইবেক রাজ্যের মন্ট্রিয়ল শহর থেকে শুরু হয়ে এই পথ শেষ হয়েছে একই রাজ্যের শেরব্রোক শহরে।
ভ্রমণকারীরা কয়েক দিনের জন্য এ পথে বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে। চারপাশের সবুজ শস্যখেতের মাঝ দিয়ে পিচঢালা মসৃণ রাস্তায় সাইকেল চালানোর ফাঁকে বিশ্রাম নিতে পারেন যেকোনো জায়গায়। পথের ধারে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ফুড ভ্যান বা রেস্টুরেন্ট। স্থানীয় খাবারের বিশাল সমাহার পাবেন সেখানে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১২৫টি খাবারের দোকান রয়েছে এই ফুড ট্রেইলে।
কয়েক দিনের জন্য ভ্রমণে গেলে প্রয়োজন হবে থাকার জায়গার। সেটির ব্যবস্থাও রয়েছে এ যাত্রায়। পছন্দ অনুযায়ী প্রায় ৮০টি থাকার জায়গা রাখা হয়েছে এখানে। প্রকৃতির এমন আবহে কয়েক দিনের অবকাশ যাপন এখানে বেশ জনপ্রিয়।
৩৫ কিলোমিটার ফুড ট্রেইলকে মানুষের কাছে আরও উপভোগ্য করে তুলতে কানাডার প্রায় ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই দীর্ঘ ফুড ট্রেইলকে চার অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে আছে কাঁচা ও পাকা রাস্তা। ভ্রমণকারীরা পছন্দ ও সুবিধা অনুযায়ী নিজেদের গন্তব্য বেছে নিতে পারবেন।
মন্ট্রিয়ল থেকে সেন্ট জিন সুর রিচেলিউ
মন্ট্রিয়ল থেকে যাত্রা শুরু করলে সেন্ট জিন সুর রিচেলিউ পর্যন্ত ফুড ট্রেইলটির দৈর্ঘ্য ৪৫ কিলোমিটার। বলা হয়, জায়গাটি কুইবেক রাজ্যের জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের শীর্ষে রয়েছে। এই অংশে রয়েছে শহুরে ছাপ। ভেলোরুট গাওমুহন্দ ভ্রমণের খাবারের প্রথম বিরতি শুরু হয় ৩০ কিলোমিটার পরে থেকে। এখানে লেকের পাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রতিটি রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া ১৭১১ সালের ইতিহাস তুলে ধরতে নির্মাণ করা হয়েছে ফোর্ট দ্য চ্যাম্বলি।
সেন্ট জিন সুর রিচেলিউ থেকে গ্রেনবি
৫০ কিলোমিটার জায়গার এই অংশে দেখা মিলবে সবুজ কৃষিজমি আর জঙ্গলের। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ রাস্তা পাকা। বিভিন্ন ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট ছাড়াও এখানে বাজার পাওয়া যাবে। আর গ্রেনবি যাওয়ার একটু আগে রয়েছে পনির কারখানা।
গ্রেনবি থেকে অরফোর্ড
এই অঞ্চলের দৈর্ঘ্য ৭০ কিলোমিটার। এ অংশটুকু ভ্রমণকারীদের উপভোগ্য করে তুলবে ন্যাশনাল পার্ক মোন্ট অরফোর্ড। স্বচ্ছ জলরাশির হ্রদের পাশে সময়টা উপভোগ করার অনেক আয়োজন রয়েছে। অনেকে ক্যাম্প করার জন্য এই জায়গা বেছে নেন।
অরফোর্ড থেকে শেরব্রোক
ভেলোরুট গাওমুহন্দর এই শেষ অংশের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার। যাত্রাপথটি অতিবাহিত হয়েছে দুটি নদীর পাড় ধরে। এর প্রায় পুরোটাই কাঁচা রাস্তা। এর সঙ্গে গ্রামীণ আবহে দুটি রেস্টুরেন্টের খাবার যাত্রার শেষটা আরও স্মৃতিময় করে দেবে।
সূত্র: অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভেলোরুট গাওমুহন্দ
ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রন্ধনবিষয়ক পর্যটন বা কালিনারি ট্যুরিজমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভিয়েতনাম ভ্রমণকারীরা এমন হোটেলগুলোকে বেছে নিচ্ছেন, যেখানে বিনা মূল্যে সকালের নাশতার ব্যবস্থা আছে। ভিয়েতনামের মানুষের কাছে সকালের নাশতা হলো দিনের গুরুত্বপূর্ণ খাবার।...
১ ঘণ্টা আগেরান্নাঘরকে বলা হয় বাড়ির প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন সকালে নাশতার তাড়াহুড়া থেকে শুরু করে রাতের খাবারের প্রস্তুতি আর পারিবারিক জমায়েত, সবকিছুর সাক্ষী এই রান্নাঘর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান্নার কাজ হয়তো খুব বেশি পাল্টায়নি...
৭ ঘণ্টা আগেআমরা যারা অফিস করি বা যাদের শারীরিক কর্মকাণ্ড বেশ কম, তাদের জিমে যাওয়া জরুরি। দীর্ঘ সময় বসে থাকা, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরি খাওয়া, তা বার্ন করতে না পারা, কম হাঁটা—এসব কারণে শরীরে মেদ জমে যায়। এই বাড়তি ওজনের কারণে হাঁটু ও গোড়ালিতে পানি জমতে শুরু করা ও ব্যথা হওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগেএই মৌসুমে অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। আর জ্বর হলে আনারস খেলে আরামবোধ হয়। শুধু কেটে খেতে ভালো না লাগলে আনারসের টক ঝাল মিষ্টি ভর্তা বানিয়েও খেতে পারেন। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৩ ঘণ্টা আগে