সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
দুই পাহাড়ের মাঝে আড়াআড়িভাবে যুক্ত দুটো মরা বৃক্ষের কাণ্ড। নিচে গভীর ঝরনা। সেখানে নামতে হবে বৃষ্টিভেজা মরা গাছের এই কাণ্ড বেয়ে। একে একে সবাই নিচে নেমে এলাম। পা দেওয়ার মতো ছোট্ট একটা পাথর। পা ফসকে গেলেই নিচের গভীর খাদে। এমনই ট্রেইল মাড়িয়ে যেতে হয় তৈদুছড়া ঝরনায়।
আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টি, ঝিরির পথে গলা অথবা কোমর পানি। প্রায় পুরো ট্রেইলে পাথুরে পথ। ভরা বর্ষায় ঝরনার রূপ দেখতেই এই যাত্রা। সকালে বৃষ্টি মাথায় রওনা দিলাম পাহাড়ি ঝরনা তৈদুছড়ার উদ্দেশে। পথ শুরু হয় কোমরসমান ঝিরির পথ ধরে। খরস্রোতা বোয়ালখালী খালের পথ ধরে সামনে হাঁটতে হবে অনেকটা পথ। ঝিরিতে খুব জোরে হাঁটার সুযোগ নেই। তাই ধীরে ধীরে পা চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল পাহাড়ের গায়ে জমে থাকা সাদা মেঘের দলছুট স্তূপ, সবুজ পাহাড় ঢেকে রাখা চেনা মেঘের দল, পাহাড়ের কোলজুড়ে বড় বড় জুমের খেত, সবুজ বনের মাঝখানে ছোট্ট জুমের ঘর। নিজেদের বাগানের সুরক্ষার জন্য পাহাড়ি জুমচাষিরা এই ছোট্ট জুম তৈরি করে।
ঝিরির পথ শেষে দেখা মিলল উঁচু পাহাড়ের পথ, সবুজ পাহাড়ে ছোট্ট ট্রেইল বেয়ে উঠতে হবে ওপরের দিকে। একটানা বৃষ্টিতে ওপরে ওঠার পুরো পথ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিমাখা পথ বেয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে উঠলাম পাহাড়ের শীর্ষ দেশে। একনজরে পুরো আকাশ দেখে নিলাম। উঁচু পাহাড় থেকে নিচের ঝিরি পথ, ট্রেইল, জুমের খেত আর সবুজ বন—বড় অদ্ভুত লাগল।
আমাদের গাইড জানালেন, এবার নামার পথ। কিন্তু বর্ষায় এই অচেনা পথে কেউ না হাঁটায় পুরো পথটা জঙ্গলে ভরপুর। তাই পথ বদল করে অন্য পথে হাঁটা শুরু করি। অচেনা সেই পথ বেয়ে নামতে নামতে ঝরনার পানির স্রোত কানে আসছিল। পাহাড়ি পথ বেয়ে আবার নামলাম ঝিরির পথে। বড় বড় পাথর ঝিরিজুড়ে। এক পাথর থেকে অন্য পাথরে পা মাড়িয়ে অগ্রসর হচ্ছি। পথের শেষে ঝরনার স্রোত! সবুজ পাহাড়ের পাথর বেয়ে সাদা রেখার মতো নেমে আসছে সেই স্রোত। জলের ধারা নিচে আসতে আসতে ক্রমেই বড় হয়েছে। সবুজ বনের মধ্যে তৈদুছড়ার এমন জলের স্রোত কেবল বর্ষা আর শরতেই দেখা যায়।ভাবে যাবেন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাসে করে যেতে হবে খাগড়াছড়ি শহরে। সেখান থেকে মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা অথবা চাঁদের গাড়িতে দীঘিনালা পর্যন্ত যাওয়া যায়। দীঘিনালা থেকে ট্রেকিং করে ঝরনায় যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে দীঘিনালা থেকে অবশ্যই নিতে হবে গাইড।
দুই পাহাড়ের মাঝে আড়াআড়িভাবে যুক্ত দুটো মরা বৃক্ষের কাণ্ড। নিচে গভীর ঝরনা। সেখানে নামতে হবে বৃষ্টিভেজা মরা গাছের এই কাণ্ড বেয়ে। একে একে সবাই নিচে নেমে এলাম। পা দেওয়ার মতো ছোট্ট একটা পাথর। পা ফসকে গেলেই নিচের গভীর খাদে। এমনই ট্রেইল মাড়িয়ে যেতে হয় তৈদুছড়া ঝরনায়।
আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টি, ঝিরির পথে গলা অথবা কোমর পানি। প্রায় পুরো ট্রেইলে পাথুরে পথ। ভরা বর্ষায় ঝরনার রূপ দেখতেই এই যাত্রা। সকালে বৃষ্টি মাথায় রওনা দিলাম পাহাড়ি ঝরনা তৈদুছড়ার উদ্দেশে। পথ শুরু হয় কোমরসমান ঝিরির পথ ধরে। খরস্রোতা বোয়ালখালী খালের পথ ধরে সামনে হাঁটতে হবে অনেকটা পথ। ঝিরিতে খুব জোরে হাঁটার সুযোগ নেই। তাই ধীরে ধীরে পা চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল পাহাড়ের গায়ে জমে থাকা সাদা মেঘের দলছুট স্তূপ, সবুজ পাহাড় ঢেকে রাখা চেনা মেঘের দল, পাহাড়ের কোলজুড়ে বড় বড় জুমের খেত, সবুজ বনের মাঝখানে ছোট্ট জুমের ঘর। নিজেদের বাগানের সুরক্ষার জন্য পাহাড়ি জুমচাষিরা এই ছোট্ট জুম তৈরি করে।
ঝিরির পথ শেষে দেখা মিলল উঁচু পাহাড়ের পথ, সবুজ পাহাড়ে ছোট্ট ট্রেইল বেয়ে উঠতে হবে ওপরের দিকে। একটানা বৃষ্টিতে ওপরে ওঠার পুরো পথ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিমাখা পথ বেয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে উঠলাম পাহাড়ের শীর্ষ দেশে। একনজরে পুরো আকাশ দেখে নিলাম। উঁচু পাহাড় থেকে নিচের ঝিরি পথ, ট্রেইল, জুমের খেত আর সবুজ বন—বড় অদ্ভুত লাগল।
আমাদের গাইড জানালেন, এবার নামার পথ। কিন্তু বর্ষায় এই অচেনা পথে কেউ না হাঁটায় পুরো পথটা জঙ্গলে ভরপুর। তাই পথ বদল করে অন্য পথে হাঁটা শুরু করি। অচেনা সেই পথ বেয়ে নামতে নামতে ঝরনার পানির স্রোত কানে আসছিল। পাহাড়ি পথ বেয়ে আবার নামলাম ঝিরির পথে। বড় বড় পাথর ঝিরিজুড়ে। এক পাথর থেকে অন্য পাথরে পা মাড়িয়ে অগ্রসর হচ্ছি। পথের শেষে ঝরনার স্রোত! সবুজ পাহাড়ের পাথর বেয়ে সাদা রেখার মতো নেমে আসছে সেই স্রোত। জলের ধারা নিচে আসতে আসতে ক্রমেই বড় হয়েছে। সবুজ বনের মধ্যে তৈদুছড়ার এমন জলের স্রোত কেবল বর্ষা আর শরতেই দেখা যায়।ভাবে যাবেন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাসে করে যেতে হবে খাগড়াছড়ি শহরে। সেখান থেকে মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা অথবা চাঁদের গাড়িতে দীঘিনালা পর্যন্ত যাওয়া যায়। দীঘিনালা থেকে ট্রেকিং করে ঝরনায় যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে দীঘিনালা থেকে অবশ্যই নিতে হবে গাইড।
ফ্রিজে যতদিন কোরবানির মাংস আছে ততদিন বাড়িতে অতিথি এলেই পোলাও আর মাংসের পদ তৈরি হবেই। তবে এই গরমে ভারী খাবারের পর এক গ্লাস বোরহানি পান করলে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।
৯ মিনিট আগেধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
১ দিন আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
১ দিন আগে