রিদা মুনাম হক
পদ্মবিলে নৌকায় ভেসে বেড়ানোর সময় হঠাৎ মনে হলো, এই পদ্মের মতোই রূপ চাই আপনার—পেলব, কোমল, স্নিগ্ধ! পদ্মফুল কিন্তু রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়। অনেকে জানি, পদ্মফুলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। পদ্মের পাপড়ি বাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ত্বকের ব্রণ সারাতে পদ্মফুলের জুড়ি নেই। মুখের ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পদ্ম ও হলুদের ফেসপ্যাক লাগানো যেতে পারে। এর জন্য পদ্মের পাপড়ি বাটা, হলুদবাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে দিতে পারেন। ১০ মিনিট শুকানোর পর সেই পেস্ট পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এসব তো গেল পদ্মফুল দিয়ে যত্ন নিয়ে তারই মতো সুন্দর হয়ে ওঠার গল্প। কিন্তু পদ্মফুল দুর্লভ হলে কি ত্বক তার মতো কোমল ও পেলব হবে না? হবে। সে জন্য নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই মিলবে পদ্মফুল ছাড়াই তার মতো কোমলতা!
কী করবেন, তাই ভাবছেন তো? দেখে নিন—
ত্বক যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখুন
আপনার প্রসাধনী বাক্সে যদি ত্বক সারা দিন আর্দ্র রাখার উপযোগী কোনো উপাদান থাকে, তাহলে ত্বকের যত্নে সেটা হয়ে উঠতে পারে অন্যতম অস্ত্র। এ ছাড়া অ্যালকোহল রয়েছে এমন যেকোনো প্রসাধনী এ সময় এড়িয়ে চলুন। কারণ, সেগুলো আপনার ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে আরও শুষ্ক ও খসখসে করে তুলবে। আপনি যদি আগে কখনো ফেশিয়াল অয়েল ব্যবহার না করে থাকেন, তবে সেটা শুরু করুন এখনই। রেশমের মতো মোলায়েম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে এই তেলগুলো আদর্শ।
ভেতর থেকে সুন্দর ত্বক
এটা-সেটা মেখে ওপর থেকে তো সুন্দর হবেনই, সেই সঙ্গে ভেতর থেকেও ত্বক সুন্দর করে তুলতে হবে। সে জন্য খাদ্যাভ্যাসে কিছু ছোটখাটো স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই ফল দেখতে পাবেন ত্বকে। উদাহরণ হিসেবে বলি, আমরা অনেকে পর্যাপ্ত পানি পান করি না। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান ত্বক নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় তেল, মাংস ও জাঙ্ক ফুডের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজির পরিমাণ বাড়ান। সেটা শুধু ত্বক নয়, পুরো শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনবে।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন
ত্বক নিস্তেজ, শুষ্ক ও প্রাণহীন হওয়া এড়াতে সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার এক্সফোলিয়েশন করা উচিত। নিয়মিত এক্সফোলিয়েটিং মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ত্বকের কোষগুলোকে তরতাজা রাখতে সহায়ক। মৃত কোষ সাধারণত ময়শ্চারাইজার বা সেরাম শোষণে বাধা দেয়। তবে স্ক্রাব নির্বাচনের সময় মুলতানি মাটি, আনারস বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট বেছে নেওয়া ভালো।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা
ভরা শ্রাবণে সূর্য হয়তো মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকে কখনো কখনো। কিন্তু এর অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে ঠিকই পৌঁছে যায়। এতে কোষের ক্ষতি হয়। ফলে অকালবার্ধক্যে দেখা দিতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে, প্রতিদিন এসপিএফ সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকুন।
লাল ভাব দূর করুন
এই ঋতুতে সংবেদনশীল ত্বকে লাল ভাব বা র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি প্রতিকারের জন্য, প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদানে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। সেসব প্রসাধনী ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে। তা ছাড়া সংবেদনশীল ত্বকের মানুষদের এই ঋতুতে খুব ভারী প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো। পাশাপাশি সব ধরনের রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন এবং যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
ঘাম নিয়ন্ত্রণ করুন
ভ্যাপসা গরমে স্বাভাবিকভাবে প্রচুর ঘাম হয়। অনেকে আবার একটু বেশি ঘামেন। এ কারণে সুতির কাপড় পরতে হবে। বেশি ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে কাপড় বদলে নিতে পারলে ভালো। সম্ভব হলে পানিতে ফিটকিরি গুলিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে ঘাম কমবে।
ঘুমের মধ্যেও ত্বক আর্দ্র রাখুন
সকালে উঠেই যদি শুষ্ক, টান টান, নিস্তেজ ত্বক দেখতে না চান, তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু ভারী ধরনের নাইট ক্রিম লাগান। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে সারা রাত। তা ছাড়া ত্বকে পানির ভারসাম্যের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করবে এ ধরনের নাইট ক্রিম। তাই আপনি জেগে উঠবেন নরম, কোমল আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক নিয়ে।
তবে বলে রাখা ভালো, ত্বক ভালো রাখতে শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করাই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, সুষম খাবার আর আনন্দে থাকা চাই। দুশ্চিন্তা ত্বকে তো বটেই, পুরো শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন ও অন্যান্য
পদ্মবিলে নৌকায় ভেসে বেড়ানোর সময় হঠাৎ মনে হলো, এই পদ্মের মতোই রূপ চাই আপনার—পেলব, কোমল, স্নিগ্ধ! পদ্মফুল কিন্তু রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়। অনেকে জানি, পদ্মফুলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। পদ্মের পাপড়ি বাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ত্বকের ব্রণ সারাতে পদ্মফুলের জুড়ি নেই। মুখের ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পদ্ম ও হলুদের ফেসপ্যাক লাগানো যেতে পারে। এর জন্য পদ্মের পাপড়ি বাটা, হলুদবাটা ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে দিতে পারেন। ১০ মিনিট শুকানোর পর সেই পেস্ট পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এসব তো গেল পদ্মফুল দিয়ে যত্ন নিয়ে তারই মতো সুন্দর হয়ে ওঠার গল্প। কিন্তু পদ্মফুল দুর্লভ হলে কি ত্বক তার মতো কোমল ও পেলব হবে না? হবে। সে জন্য নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই মিলবে পদ্মফুল ছাড়াই তার মতো কোমলতা!
কী করবেন, তাই ভাবছেন তো? দেখে নিন—
ত্বক যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখুন
আপনার প্রসাধনী বাক্সে যদি ত্বক সারা দিন আর্দ্র রাখার উপযোগী কোনো উপাদান থাকে, তাহলে ত্বকের যত্নে সেটা হয়ে উঠতে পারে অন্যতম অস্ত্র। এ ছাড়া অ্যালকোহল রয়েছে এমন যেকোনো প্রসাধনী এ সময় এড়িয়ে চলুন। কারণ, সেগুলো আপনার ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে আরও শুষ্ক ও খসখসে করে তুলবে। আপনি যদি আগে কখনো ফেশিয়াল অয়েল ব্যবহার না করে থাকেন, তবে সেটা শুরু করুন এখনই। রেশমের মতো মোলায়েম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে এই তেলগুলো আদর্শ।
ভেতর থেকে সুন্দর ত্বক
এটা-সেটা মেখে ওপর থেকে তো সুন্দর হবেনই, সেই সঙ্গে ভেতর থেকেও ত্বক সুন্দর করে তুলতে হবে। সে জন্য খাদ্যাভ্যাসে কিছু ছোটখাটো স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই ফল দেখতে পাবেন ত্বকে। উদাহরণ হিসেবে বলি, আমরা অনেকে পর্যাপ্ত পানি পান করি না। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান ত্বক নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় তেল, মাংস ও জাঙ্ক ফুডের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজির পরিমাণ বাড়ান। সেটা শুধু ত্বক নয়, পুরো শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনবে।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন
ত্বক নিস্তেজ, শুষ্ক ও প্রাণহীন হওয়া এড়াতে সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার এক্সফোলিয়েশন করা উচিত। নিয়মিত এক্সফোলিয়েটিং মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ত্বকের কোষগুলোকে তরতাজা রাখতে সহায়ক। মৃত কোষ সাধারণত ময়শ্চারাইজার বা সেরাম শোষণে বাধা দেয়। তবে স্ক্রাব নির্বাচনের সময় মুলতানি মাটি, আনারস বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট বেছে নেওয়া ভালো।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা
ভরা শ্রাবণে সূর্য হয়তো মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকে কখনো কখনো। কিন্তু এর অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে ঠিকই পৌঁছে যায়। এতে কোষের ক্ষতি হয়। ফলে অকালবার্ধক্যে দেখা দিতে পারে। এটি প্রতিরোধ করতে, প্রতিদিন এসপিএফ সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করতে থাকুন।
লাল ভাব দূর করুন
এই ঋতুতে সংবেদনশীল ত্বকে লাল ভাব বা র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি প্রতিকারের জন্য, প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদানে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। সেসব প্রসাধনী ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে। তা ছাড়া সংবেদনশীল ত্বকের মানুষদের এই ঋতুতে খুব ভারী প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো। পাশাপাশি সব ধরনের রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন এবং যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
ঘাম নিয়ন্ত্রণ করুন
ভ্যাপসা গরমে স্বাভাবিকভাবে প্রচুর ঘাম হয়। অনেকে আবার একটু বেশি ঘামেন। এ কারণে সুতির কাপড় পরতে হবে। বেশি ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে কাপড় বদলে নিতে পারলে ভালো। সম্ভব হলে পানিতে ফিটকিরি গুলিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে ঘাম কমবে।
ঘুমের মধ্যেও ত্বক আর্দ্র রাখুন
সকালে উঠেই যদি শুষ্ক, টান টান, নিস্তেজ ত্বক দেখতে না চান, তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটু ভারী ধরনের নাইট ক্রিম লাগান। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে সারা রাত। তা ছাড়া ত্বকে পানির ভারসাম্যের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করবে এ ধরনের নাইট ক্রিম। তাই আপনি জেগে উঠবেন নরম, কোমল আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক নিয়ে।
তবে বলে রাখা ভালো, ত্বক ভালো রাখতে শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করাই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, সুষম খাবার আর আনন্দে থাকা চাই। দুশ্চিন্তা ত্বকে তো বটেই, পুরো শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথলাইন ও অন্যান্য
বাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন, চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১১ ঘণ্টা আগেএবার পূজায় না হয় আপনিই মায়ের সাজপোশাকের পরিকল্পনা করলেন! পূজার এ কদিন তিনি কোন রঙের শাড়ি পরবেন, তার একটা খসড়া তৈরি করুন। তারপর সে অনুযায়ী শাড়ির জোগাড়যন্ত্র করে চমকে দিন বাড়ির মধ্যমণি এই মানুষকে।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের...
১৩ ঘণ্টা আগেআজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে