সানজিদা সামরিন, ঢাকা
নারীরা সৌন্দর্যচর্চায় যতটা সিদ্ধহস্ত, পুরুষেরা ততটা নন। আবার যেসব সচেতন পুরুষ সপ্তাহে মনে করে এক দিন প্যাক ব্যবহার করেন, নিয়মিত স্যালনে গিয়ে ত্বক পরিচর্যা করান, তাঁরা হাসিঠাট্টার পাত্র হয়ে ওঠেন। প্রশ্ন হলো, সৌন্দর্যচর্চা কি কেবল নারীর জন্য? পত্রপত্রিকায় ছাপানো ছবি, সৌন্দর্যবিষয়ক পণ্যের বিলবোর্ড বা বিজ্ঞাপনে নারীদের মুখই বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু জানেন কি, রাজরাজড়াও ত্বকের চর্চা করতেন! তবে হ্যাঁ, সৌন্দর্যচর্চাকে কেবল ত্বক ও চুলের দেখভাল মনে করলে ভুল হবে। সৌন্দর্যচর্চা মানে, ‘আমি আমাকে ভালোবাসি’। আয়ুর্বেদে মানবশরীরকে মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আর সৌন্দর্যচর্চা এই মানবদেহকে ভেতর ও বাইরে থেকে সুন্দর রাখে।
এত কথা বলার মূল কারণটাই হলো, পুরুষের যেমন নিজের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া উচিত, তেমনি সবার বোঝা দরকার যে শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি। আর এ কথাই আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই। বাড়ির বাইরে থেকে ফিরে কোনোরকমে স্নানঘরে ঢুকে নামমাত্র সাবান ছুঁয়ে গা ধুয়ে বের হয়ে আসার দিন শেষ। এখনকার আবহাওয়া আর দূষণের মাত্রা এটুকু কাজেই আপনাকে ভালো থাকতে দেবে না। অত ঝামেলায় যেতে আপনার মন না চাইতেই পারে। এখন কিন্তু বিশ্বজুড়ে সৌন্দর্যসচেতনেরা ‘লেস ইজ মোর’ মন্ত্রে বিশ্বাসী। ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রেও এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। ‘মিনিমালিজম’ শব্দটিকে আমরা জুড়ে নিয়েছি জীবনের সব ক্ষেত্রে। তবে ওই যে সাবান ছুঁয়ে স্নানঘর থেকে বেরিয়ে আসা, সৌন্দর্যচর্চায় মিনিমালিজমের থেকে খানিকটা বেশি, তবে আতিশয্য নয়। অহেতুক খরচ ছাড়াই নিজেকে সুন্দর রাখা যায় সহজে।
ত্বকযত্নে মিনিমালিস্টিক
পুরুষের ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে বলতে হয়, প্রাথমিকভাবে ত্বকের যা প্রয়োজন, তা হলো ক্লিনজার, এক্সফোলিয়েটর. ময়শ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন। দিনে দুবার ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী এবং কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা বলেন, ‘ত্বক পরিষ্কারের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার বেছে নিতে হবে। এই ক্লিনজার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় না। তাই সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি ভালো।’
শোভন সাহা আরও বলেন, ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কারের জন্য বাড়িতে কার্যকরী এক্সফোলিয়েটর তৈরি করে নেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে কফি, ওটমিল, বেসন, দুধের সর, মধু ও টক দই মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে।
এক্সফোলিয়েট করার পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ত্বকের ধরন বুঝে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আর যাঁরা বাইক চালান, তাঁদের তো ব্যাগেও রাখা দরকার সানস্ক্রিন।
স্কিন ফাস্টিং
শোভন সাহার পরামর্শ, ত্বকে ময়শ্চারাইজারসহ বিভিন্ন জিনিস সব সময় মেখে না রেখে মাঝে মাঝে একটু ফ্রি রাখার চেষ্টা করুন। ধরুন, বাইরে থেকে ফিরে ত্বক ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে না মুছে রেখে দিন। পানিটা মুখেই শুকিয়ে যাক, এটাই ময়শ্চারাইজার। সোজা করে বললে, ত্বকে অনেক কিছু না মেখে কখনো কখনো এমনি রেখে দেওয়া দরকার। মাসে অন্তত সাত দিন ত্বকে কিছু মাখবেন না। এই কদিন রোদও লাগাবেন না। এতে ত্বক নিজের মতো করে যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে নেবে।
ত্বকের বিশ্রাম
শুনতে একটু কেমন লাগছে না? ত্বকের আবার বিশ্রাম! কিন্তু এটি খুবই জরুরি বিষয়। এই গরমেও দেখবেন, আঙুলের ডগা ফেটে যাচ্ছে, মরা চামড়া উঠছে। এ ক্ষেত্রে বাটিতে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিয়ে তাতে আঙুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিন। তোয়ালে দিয়ে আলতো চেপে মুছে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করেই দেখুন না, ফল পাবেন।
যাঁরা সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন কম্পিউটারে ৮ ঘণ্টা কাজ করেন, তাদের চোখেও ক্লান্তি জমে। বাড়িতে ফিরে যদি ফেসপ্যাক লাগানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে চোখের ওপর গোল করে কাটা দুই টুকরা শসা রেখে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। চাইলে একটা সুগন্ধি মোমও জ্বালিয়ে নিতে পারেন। এতে অনেকটাই তরতাজা লাগবে।
এখন যেহেতু গরম বাতাস বইছে, তাই দিনে বেশ কয়েকবার মুখে পানির ঝাপটা দিতে কোনোভাবেই ভুলবেন না। বিভিন্ন কারণে পুরুষের ত্বক খানিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই অল্প হলেও রোজ তার যত্ন নেওয়া চাই মনে করে।
নারীরা সৌন্দর্যচর্চায় যতটা সিদ্ধহস্ত, পুরুষেরা ততটা নন। আবার যেসব সচেতন পুরুষ সপ্তাহে মনে করে এক দিন প্যাক ব্যবহার করেন, নিয়মিত স্যালনে গিয়ে ত্বক পরিচর্যা করান, তাঁরা হাসিঠাট্টার পাত্র হয়ে ওঠেন। প্রশ্ন হলো, সৌন্দর্যচর্চা কি কেবল নারীর জন্য? পত্রপত্রিকায় ছাপানো ছবি, সৌন্দর্যবিষয়ক পণ্যের বিলবোর্ড বা বিজ্ঞাপনে নারীদের মুখই বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু জানেন কি, রাজরাজড়াও ত্বকের চর্চা করতেন! তবে হ্যাঁ, সৌন্দর্যচর্চাকে কেবল ত্বক ও চুলের দেখভাল মনে করলে ভুল হবে। সৌন্দর্যচর্চা মানে, ‘আমি আমাকে ভালোবাসি’। আয়ুর্বেদে মানবশরীরকে মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আর সৌন্দর্যচর্চা এই মানবদেহকে ভেতর ও বাইরে থেকে সুন্দর রাখে।
এত কথা বলার মূল কারণটাই হলো, পুরুষের যেমন নিজের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া উচিত, তেমনি সবার বোঝা দরকার যে শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি। আর এ কথাই আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই। বাড়ির বাইরে থেকে ফিরে কোনোরকমে স্নানঘরে ঢুকে নামমাত্র সাবান ছুঁয়ে গা ধুয়ে বের হয়ে আসার দিন শেষ। এখনকার আবহাওয়া আর দূষণের মাত্রা এটুকু কাজেই আপনাকে ভালো থাকতে দেবে না। অত ঝামেলায় যেতে আপনার মন না চাইতেই পারে। এখন কিন্তু বিশ্বজুড়ে সৌন্দর্যসচেতনেরা ‘লেস ইজ মোর’ মন্ত্রে বিশ্বাসী। ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রেও এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। ‘মিনিমালিজম’ শব্দটিকে আমরা জুড়ে নিয়েছি জীবনের সব ক্ষেত্রে। তবে ওই যে সাবান ছুঁয়ে স্নানঘর থেকে বেরিয়ে আসা, সৌন্দর্যচর্চায় মিনিমালিজমের থেকে খানিকটা বেশি, তবে আতিশয্য নয়। অহেতুক খরচ ছাড়াই নিজেকে সুন্দর রাখা যায় সহজে।
ত্বকযত্নে মিনিমালিস্টিক
পুরুষের ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে বলতে হয়, প্রাথমিকভাবে ত্বকের যা প্রয়োজন, তা হলো ক্লিনজার, এক্সফোলিয়েটর. ময়শ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন। দিনে দুবার ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী এবং কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা বলেন, ‘ত্বক পরিষ্কারের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার বেছে নিতে হবে। এই ক্লিনজার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় না। তাই সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি ভালো।’
শোভন সাহা আরও বলেন, ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কারের জন্য বাড়িতে কার্যকরী এক্সফোলিয়েটর তৈরি করে নেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে কফি, ওটমিল, বেসন, দুধের সর, মধু ও টক দই মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে।
এক্সফোলিয়েট করার পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ত্বকের ধরন বুঝে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আর যাঁরা বাইক চালান, তাঁদের তো ব্যাগেও রাখা দরকার সানস্ক্রিন।
স্কিন ফাস্টিং
শোভন সাহার পরামর্শ, ত্বকে ময়শ্চারাইজারসহ বিভিন্ন জিনিস সব সময় মেখে না রেখে মাঝে মাঝে একটু ফ্রি রাখার চেষ্টা করুন। ধরুন, বাইরে থেকে ফিরে ত্বক ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে না মুছে রেখে দিন। পানিটা মুখেই শুকিয়ে যাক, এটাই ময়শ্চারাইজার। সোজা করে বললে, ত্বকে অনেক কিছু না মেখে কখনো কখনো এমনি রেখে দেওয়া দরকার। মাসে অন্তত সাত দিন ত্বকে কিছু মাখবেন না। এই কদিন রোদও লাগাবেন না। এতে ত্বক নিজের মতো করে যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে নেবে।
ত্বকের বিশ্রাম
শুনতে একটু কেমন লাগছে না? ত্বকের আবার বিশ্রাম! কিন্তু এটি খুবই জরুরি বিষয়। এই গরমেও দেখবেন, আঙুলের ডগা ফেটে যাচ্ছে, মরা চামড়া উঠছে। এ ক্ষেত্রে বাটিতে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিয়ে তাতে আঙুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিন। তোয়ালে দিয়ে আলতো চেপে মুছে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করেই দেখুন না, ফল পাবেন।
যাঁরা সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন কম্পিউটারে ৮ ঘণ্টা কাজ করেন, তাদের চোখেও ক্লান্তি জমে। বাড়িতে ফিরে যদি ফেসপ্যাক লাগানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে চোখের ওপর গোল করে কাটা দুই টুকরা শসা রেখে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। চাইলে একটা সুগন্ধি মোমও জ্বালিয়ে নিতে পারেন। এতে অনেকটাই তরতাজা লাগবে।
এখন যেহেতু গরম বাতাস বইছে, তাই দিনে বেশ কয়েকবার মুখে পানির ঝাপটা দিতে কোনোভাবেই ভুলবেন না। বিভিন্ন কারণে পুরুষের ত্বক খানিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই অল্প হলেও রোজ তার যত্ন নেওয়া চাই মনে করে।
সাজতে ভালোবাসেন যাঁরা, গরমকালকে তাঁরা তোয়াক্কাই করেন না! তেতে ওঠা গ্রীষ্মও তাঁদের কাছে দারুণ সময় রংচঙে পোশাক পরার জন্য। ট্রেন্ড সেটাররা শীতকালকে ফ্যাশনেবল মানেন যেমন, তেমনি গরমকালও তাঁদের জন্য ধরাবাঁধা স্টাইল থেকে বেরোনোর মোক্ষম সময়। নান্দনিকতা, স্বাচ্ছন্দ্য ও পরিমিতিবোধ রেখেই ছক থেকে বেরিয়ে...
৭ ঘণ্টা আগেআমিষের চাহিদা সহজে মেটাতে মাছের বিকল্প নেই। কিন্তু রান্না করা খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করছে কি না, ঋতুকালীন অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে সক্ষম কি না, সেসবও দেখার বিষয়। সপ্তাহের কোনো কোনো দিন এমন উপকরণ মিশিয়ে রান্না করুন, যা শরীরের রোগবালাই সারাতে সহায়তা করে।
৭ ঘণ্টা আগেবারান্দায় বসার জন্য চেয়ার কিনেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার আর ঘষে পরিষ্কার করতে করতে চেয়ারের রঙের বারোটা বেজে গেছে। যেহেতু ভেঙে যায়নি, তাই ফেলতেও মায়া হচ্ছে, তাই তো? চাইলে পুরোনো এই চেয়ারকে নতুন কোনো কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে?
৭ ঘণ্টা আগেগরমে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় জানতে চাই। যত হালকা মেকআপই করি না কেন, বাসা থেকে বের হলেই ঘেমে গলে যায়। আমার ত্বকে প্রচুর মরা কোষ জন্মায়। ফলে মেকআপ করার পর চিবুক, নাকের দুই পাশে ও গালের কোথাও কোথাও সাদা চামড়া ভেসে ওঠে। কী করতে পারি?
৭ ঘণ্টা আগে