ফিচার ডেস্ক
‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর করেই-বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
এই শক্ত মনের মানুষগুলো আমাদের পাশেই থাকে, তারা আমাদেরই স্বজন এবং তারা অলৌকিক কেউ নয়। কিন্তু সবাই তাদের সমীহ করে চলে, কিছুটা ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে দেখে। প্রশ্ন হলো, এই মানুষগুলো পারলে আমরা বেশির ভাগ মানুষ তাদের মতো হতে পারি না কেন? এর সরাসরি কোনো উত্তর নেই। তবে ধারণা করা যায়, তারা যে বিপুল নিষ্ঠায় প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তার জন্য যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে, সম্ভবত বেশির ভাগ মানুষ সেগুলোকে ভয় পায়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও সেই পথে পা বাড়ায় না।
আপনি এখনো পিছিয়ে থাকতে চান কি? মানসিক শক্তি অর্জন করতে চাইলে প্রাথমিকভাবে ৭টি অভ্যাস আয়ত্তের চেষ্টা করুন। তারপর নিজেদের অভিজ্ঞতাই আপনাদের নিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
জীবনকে সচেতনভাবে পরিচালনা করুন
মানসিকভাবে শক্ত মানুষ প্রতিদিন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে দিন শুরু করে। তারা জানে, কোন কাজ তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে সেটি সম্পন্ন করতে হবে। তারা দোষারোপ করে সময় নষ্ট না করে নিজের কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেয় সাহস করে। তাদের কাছে সময়ের মূল্য আছে এবং সেই অনুযায়ী তারা নিজের রুটিন ঠিক রাখে।
যার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নেই, তা নিয়ে চিন্তা করবেন না
আপনি যা পরিবর্তন করতে পারেন না, সেটার পেছনে সময় নষ্ট না করাই ভালো। বরং নিজের জন্য উপযুক্ত কাজ খুঁজে নিয়ে সেটা করার দিকে মনোযোগ দিন। জেনে রাখুন, অন্য মানুষ কী ভাবছে, সেটা বদলানো সম্ভব নয়। কিন্তু নিজেকে প্রস্তুত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। শুরু করুন। দেখবেন ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে আপনার ভেতরেও।
প্রতিকূল অবস্থাকেও সুযোগ হিসেবে নিন
জীবনে সবকিছু আপনার ইচ্ছেমতো চলবে, সেটা ভাবা বোকামি। ফলে জীবনের সব প্রতিকূলতাকে সুযোগ হিসেবে দেখার মানসিকতা তৈরি করুন। প্রতিকূল অবস্থাকে দুর্ভাগ্য মনে না করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করুন। কারও প্রতি অভিযোগ না করে বরং যেটুকু সম্ভব, তা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে বাঁচুন
মানসিকভাবে যারা শক্ত মানুষ হিসেবে পরিচিত, তাদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য, তারা ভুল থেকে শিক্ষা নেয় এবং বর্তমানে বাঁচে। কারণ, তারা জানে, জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় হলো বর্তমান। একই সঙ্গে তারা ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনাও করে, যাতে লক্ষ্য ঠিক থাকে। তাই বর্তমান সময়কে গড়ে তুলুন।
হিসাব করে ঝুঁকি নিন
মানসিকভাবে শক্ত মানুষ স্বপ্ন দেখে, কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনাও করে। তারা প্রতিটি সিদ্ধান্তের আগে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও সুবিধা বিবেচনা করে। তারা হঠাৎ কিছু করে না, আবার সাহস হারিয়ে সুযোগও হাতছাড়া করে না।
পরনিন্দা থেকে দূরে থাকুন
পরনিন্দা বা গসিপে সময় দেবেন না। আপনার পরিচিত দৃঢ়চেতা মানুষেরা সেটা করে না। সেসবকে তারা নিজের শক্তি অপচয় মনে করে। তাই ছোটখাটো নেতিবাচক বিষয় বা অন্যের ভুল নিয়ে আলোচনা না করে বরং নিজেদের উন্নয়নে মনোযোগ দিন। বিশ্বাস করুন, নেতিবাচক কথা বা মানুষের সমালোচনা করে সময় নষ্ট না করে সেই সময় নিজের লক্ষ্য অর্জনে ব্যয় করা বুদ্ধিমানের কাজ।
সদয় ও সহানুভূতিশীল হোন
অনেকে মনে করেন, দয়ালু হওয়া দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু এটি মানসিক শক্তির প্রমাণ। আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা অন্যদের ছোট করার চেষ্টা করে না; বরং মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই তাদের নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে যায় এবং কর্মক্ষেত্রে ও ব্যক্তিজীবনে সফল করে তোলে।
মানসিকভাবে শক্ত হতে কোনো অতিরিক্ত সময় বা বিশেষ প্রতিভা লাগে না। দরকার শুধু সচেতন কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা। যে কেউ চাইলেই প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়ে নিজের মধ্যে এই শক্তি তৈরি করতে পারে। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি আপনার চিন্তা, সময় ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন? পারলে ভালো। আর না পারলে আজ থেকে শুরু করুন এই সাত অভ্যাস।
সূত্র: ফোর্বস
‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর করেই-বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
এই শক্ত মনের মানুষগুলো আমাদের পাশেই থাকে, তারা আমাদেরই স্বজন এবং তারা অলৌকিক কেউ নয়। কিন্তু সবাই তাদের সমীহ করে চলে, কিছুটা ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে দেখে। প্রশ্ন হলো, এই মানুষগুলো পারলে আমরা বেশির ভাগ মানুষ তাদের মতো হতে পারি না কেন? এর সরাসরি কোনো উত্তর নেই। তবে ধারণা করা যায়, তারা যে বিপুল নিষ্ঠায় প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তার জন্য যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে, সম্ভবত বেশির ভাগ মানুষ সেগুলোকে ভয় পায়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও সেই পথে পা বাড়ায় না।
আপনি এখনো পিছিয়ে থাকতে চান কি? মানসিক শক্তি অর্জন করতে চাইলে প্রাথমিকভাবে ৭টি অভ্যাস আয়ত্তের চেষ্টা করুন। তারপর নিজেদের অভিজ্ঞতাই আপনাদের নিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
জীবনকে সচেতনভাবে পরিচালনা করুন
মানসিকভাবে শক্ত মানুষ প্রতিদিন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে দিন শুরু করে। তারা জানে, কোন কাজ তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে সেটি সম্পন্ন করতে হবে। তারা দোষারোপ করে সময় নষ্ট না করে নিজের কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেয় সাহস করে। তাদের কাছে সময়ের মূল্য আছে এবং সেই অনুযায়ী তারা নিজের রুটিন ঠিক রাখে।
যার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নেই, তা নিয়ে চিন্তা করবেন না
আপনি যা পরিবর্তন করতে পারেন না, সেটার পেছনে সময় নষ্ট না করাই ভালো। বরং নিজের জন্য উপযুক্ত কাজ খুঁজে নিয়ে সেটা করার দিকে মনোযোগ দিন। জেনে রাখুন, অন্য মানুষ কী ভাবছে, সেটা বদলানো সম্ভব নয়। কিন্তু নিজেকে প্রস্তুত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। শুরু করুন। দেখবেন ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে আপনার ভেতরেও।
প্রতিকূল অবস্থাকেও সুযোগ হিসেবে নিন
জীবনে সবকিছু আপনার ইচ্ছেমতো চলবে, সেটা ভাবা বোকামি। ফলে জীবনের সব প্রতিকূলতাকে সুযোগ হিসেবে দেখার মানসিকতা তৈরি করুন। প্রতিকূল অবস্থাকে দুর্ভাগ্য মনে না করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করুন। কারও প্রতি অভিযোগ না করে বরং যেটুকু সম্ভব, তা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে বাঁচুন
মানসিকভাবে যারা শক্ত মানুষ হিসেবে পরিচিত, তাদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য, তারা ভুল থেকে শিক্ষা নেয় এবং বর্তমানে বাঁচে। কারণ, তারা জানে, জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় হলো বর্তমান। একই সঙ্গে তারা ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনাও করে, যাতে লক্ষ্য ঠিক থাকে। তাই বর্তমান সময়কে গড়ে তুলুন।
হিসাব করে ঝুঁকি নিন
মানসিকভাবে শক্ত মানুষ স্বপ্ন দেখে, কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনাও করে। তারা প্রতিটি সিদ্ধান্তের আগে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও সুবিধা বিবেচনা করে। তারা হঠাৎ কিছু করে না, আবার সাহস হারিয়ে সুযোগও হাতছাড়া করে না।
পরনিন্দা থেকে দূরে থাকুন
পরনিন্দা বা গসিপে সময় দেবেন না। আপনার পরিচিত দৃঢ়চেতা মানুষেরা সেটা করে না। সেসবকে তারা নিজের শক্তি অপচয় মনে করে। তাই ছোটখাটো নেতিবাচক বিষয় বা অন্যের ভুল নিয়ে আলোচনা না করে বরং নিজেদের উন্নয়নে মনোযোগ দিন। বিশ্বাস করুন, নেতিবাচক কথা বা মানুষের সমালোচনা করে সময় নষ্ট না করে সেই সময় নিজের লক্ষ্য অর্জনে ব্যয় করা বুদ্ধিমানের কাজ।
সদয় ও সহানুভূতিশীল হোন
অনেকে মনে করেন, দয়ালু হওয়া দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু এটি মানসিক শক্তির প্রমাণ। আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা অন্যদের ছোট করার চেষ্টা করে না; বরং মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই তাদের নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে যায় এবং কর্মক্ষেত্রে ও ব্যক্তিজীবনে সফল করে তোলে।
মানসিকভাবে শক্ত হতে কোনো অতিরিক্ত সময় বা বিশেষ প্রতিভা লাগে না। দরকার শুধু সচেতন কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা। যে কেউ চাইলেই প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়ে নিজের মধ্যে এই শক্তি তৈরি করতে পারে। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি আপনার চিন্তা, সময় ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন? পারলে ভালো। আর না পারলে আজ থেকে শুরু করুন এই সাত অভ্যাস।
সূত্র: ফোর্বস
ত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
৭ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগেএই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের...
৯ ঘণ্টা আগেরাজা হেনরি ২-এর মনে হয়েছিল, পাই ও পেস্ট্রি খেলে তাঁর সৈন্যরা সব অলস হয়ে যাবে। সে তো আর হতে দেওয়া যায় না। তাই তিনি এ দুটি খাবার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। সেটাই হয়ে গেল আইন। ১২ শতকের এই আইনের নাম ‘পাই অ্যান্ড পেস্ট্রি অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা হয়েছিল, রোববার ছাড়া অন্য দিন পাই বা পেস্ট্রি বিক্রি
৯ ঘণ্টা আগে