ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
পিৎজার জন্মস্থান ইতালি, এটা প্রায় সবার জানা। এ খাবার নিয়ে পৃথিবীজুড়ে যে উন্মাদনা, তা বলে শেষ করার নয়। বরং চলুন, জেনে নেওয়া যাক, এটি নিয়ে বড় বড় উৎসব কোথায় হয়। এসব উৎসব কিন্তু ঢাকার পিৎজা শপগুলোর মূল্যছাড়ের উৎসব নয়; লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত ও শিহরণ জাগানো উৎসব।
নেপলসের পিৎজা ভিলেজ
নাম পিৎজা ভিলেজ হলেও আদতে এটি পিৎজা ফেস্ট। ইতালির নেপলস বা নাপোলি দক্ষিণ ইতালির গুরুত্বপূর্ণ শহর ও ক্যাম্পানিয়া অঞ্চলের রাজধানী। মনে করা হয়, পিৎজার জন্ম হয়েছিল এখানে। ফলে একে নিয়ে নেপলসেই যে বড় উৎসব হবে, সেটিই স্বাভাবিক। হয়ও। প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি মানুষ নেপলসের সেই পিৎজা উৎসবে যোগ দেয় বিভিন্নভাবে। ২০১২ সাল থেকে ইতালির পিৎজা ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই উৎসব উদ্যাপিত হয়ে আসছে। এই উৎসব চলাকালে নেপলসে চলতে থাকে বিভিন্ন শো, কনসার্ট, নাচের আয়োজন এবং বিভিন্ন ধরনের পার্টি।
নেপলসে শুরু হলেও ধীরে ধীরে পিৎজা ভিলেজের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে ইতালির মিলান ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। অর্থাৎ সেই দুটি বড় শহরেও এখন একই নামে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামনে এই উৎসব লন্ডন ও সৌদি আরবে আয়োজন হতে যাচ্ছে বলেও খবর আছে। অর্থাৎ নেপলসের পিৎজা ভিলেজ নামের উৎসবটি এখন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।
নেপলসের পিৎজা ফেস্টের জনপ্রিয়তা এতটাই যে এখন কিছু শহরও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও মূল উৎসবের সঙ্গে অন্যগুলোর তুলনা চলে না। উৎসব চলাকালে নেপলস পিৎজা ভিলেজের দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের পিৎজা উপভোগ করতে পারে ১১ দিন ধরে। শহরটির প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় পিৎজা ভিলেজ।
পিৎজা তৈরির প্রতিযোগিতা
বিশ্বে বিখ্যাত পিৎজা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় বরেণ্য পিৎজা কারিগরদের সঙ্গে খাবারটি তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। উদ্যাপন শেষে বিচারকেরা পিৎজার মান এবং মানুষের মতামত বিবেচনা করে সেরা পিৎজা কারিগরকে পুরস্কৃত করেন।
ইতালির পিৎজার ধরন
নেপলসে তৈরি হওয়া পিৎজাগুলোকে বলা হয় নেপোলিটান। পিৎজা মার্গারিটা নেপোলিটান পিৎজাগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তম। এটি টমেটো সস ও মোজ্জারেলা চিজ দিয়ে তৈরি। মার্গারিটার পাশাপাশি, অন্যান্য বিখ্যাত ইতালীয় পিৎজার মধ্যে আছে মেরিনারা, বুফালা, ক্যাপ্রিচিওসা ও দিয়াভোলা।
ইউনেসকো ‘আর্ট অব দ্য নেপোলিটান পিজ্জাইওলি’ বা নেপোলিটান পিৎজা তৈরির শিল্পকলাকে ২০১৭ সালে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব ইউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে নেপোলিটান পিৎজা প্রস্তুতকারকদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা দিতে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অবশ্য তার আগে, ২০০৯ সালে নেপোলিটান পিৎজাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘ট্র্যাডিশনাল স্পেশালিটি গ্যারান্টেড’ বা টিএসজি খাবার হিসেবেও নিবন্ধন দিয়েছিল।
বিশ্বের অন্যান্য পিৎজা উৎসব
ওয়ান বাইট পিৎজা ফেস্টিভ্যাল
প্রতিবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের র্যান্ডালস দ্বীপ পার্কে অনুষ্ঠিত এই বিশাল পিৎজা উৎসব। সেখানে সেরা ৩৫ পিৎজা শেফ অংশ নেন। তাঁরা প্রায় ১০ হাজার পিৎজাপ্রেমীর জন্য পিৎজা তৈরি করেন। এই উৎসবে দর্শকের সামনে লাইভ পিৎজা তৈরি, পরীক্ষা করা, সংগীত ও বিনোদনের আয়োজন থাকে।
স্লাইস-ও-মেনিয়া ও ককটেল ফেস্টিভ্যাল
এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় পিৎজা ও ককটেল উৎসব। এই উৎসবে অংশ নেয় ১৫টি পিৎজার দোকান ও ১০টি ককটেল বার। এই দোকানগুলো আগত দর্শনার্থীদের সেরা পিৎজা ও ককটেল পরিবেশন করে। উৎসবটি রিচমন্ড অ্যাথলেটিক গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই।
মেলবোর্ন পিৎজা ফেস্টিভ্যাল
প্রতিবছরের ৭ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে ১২টি শীর্ষস্থানীয় পিৎজার ব্র্যান্ড অংশ নেয়। যেখানে দর্শকেরা তাদের পছন্দের পিৎজা নির্বাচন করে। উৎসবটি লিগন স্ট্রিটের ইতালিয়ান রেস্তোরাঁ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: পিৎজা ভিলেজ ডট আইটি, ওয়ানবাইট পিৎজা ফেস্ট ডট কম, ব্রডশিট ও ডিজাইন মাই নাইট
পিৎজার জন্মস্থান ইতালি, এটা প্রায় সবার জানা। এ খাবার নিয়ে পৃথিবীজুড়ে যে উন্মাদনা, তা বলে শেষ করার নয়। বরং চলুন, জেনে নেওয়া যাক, এটি নিয়ে বড় বড় উৎসব কোথায় হয়। এসব উৎসব কিন্তু ঢাকার পিৎজা শপগুলোর মূল্যছাড়ের উৎসব নয়; লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত ও শিহরণ জাগানো উৎসব।
নেপলসের পিৎজা ভিলেজ
নাম পিৎজা ভিলেজ হলেও আদতে এটি পিৎজা ফেস্ট। ইতালির নেপলস বা নাপোলি দক্ষিণ ইতালির গুরুত্বপূর্ণ শহর ও ক্যাম্পানিয়া অঞ্চলের রাজধানী। মনে করা হয়, পিৎজার জন্ম হয়েছিল এখানে। ফলে একে নিয়ে নেপলসেই যে বড় উৎসব হবে, সেটিই স্বাভাবিক। হয়ও। প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি মানুষ নেপলসের সেই পিৎজা উৎসবে যোগ দেয় বিভিন্নভাবে। ২০১২ সাল থেকে ইতালির পিৎজা ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই উৎসব উদ্যাপিত হয়ে আসছে। এই উৎসব চলাকালে নেপলসে চলতে থাকে বিভিন্ন শো, কনসার্ট, নাচের আয়োজন এবং বিভিন্ন ধরনের পার্টি।
নেপলসে শুরু হলেও ধীরে ধীরে পিৎজা ভিলেজের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে ইতালির মিলান ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। অর্থাৎ সেই দুটি বড় শহরেও এখন একই নামে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামনে এই উৎসব লন্ডন ও সৌদি আরবে আয়োজন হতে যাচ্ছে বলেও খবর আছে। অর্থাৎ নেপলসের পিৎজা ভিলেজ নামের উৎসবটি এখন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।
নেপলসের পিৎজা ফেস্টের জনপ্রিয়তা এতটাই যে এখন কিছু শহরও একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও মূল উৎসবের সঙ্গে অন্যগুলোর তুলনা চলে না। উৎসব চলাকালে নেপলস পিৎজা ভিলেজের দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের পিৎজা উপভোগ করতে পারে ১১ দিন ধরে। শহরটির প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় পিৎজা ভিলেজ।
পিৎজা তৈরির প্রতিযোগিতা
বিশ্বে বিখ্যাত পিৎজা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় বরেণ্য পিৎজা কারিগরদের সঙ্গে খাবারটি তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। উদ্যাপন শেষে বিচারকেরা পিৎজার মান এবং মানুষের মতামত বিবেচনা করে সেরা পিৎজা কারিগরকে পুরস্কৃত করেন।
ইতালির পিৎজার ধরন
নেপলসে তৈরি হওয়া পিৎজাগুলোকে বলা হয় নেপোলিটান। পিৎজা মার্গারিটা নেপোলিটান পিৎজাগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তম। এটি টমেটো সস ও মোজ্জারেলা চিজ দিয়ে তৈরি। মার্গারিটার পাশাপাশি, অন্যান্য বিখ্যাত ইতালীয় পিৎজার মধ্যে আছে মেরিনারা, বুফালা, ক্যাপ্রিচিওসা ও দিয়াভোলা।
ইউনেসকো ‘আর্ট অব দ্য নেপোলিটান পিজ্জাইওলি’ বা নেপোলিটান পিৎজা তৈরির শিল্পকলাকে ২০১৭ সালে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব ইউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে নেপোলিটান পিৎজা প্রস্তুতকারকদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা দিতে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অবশ্য তার আগে, ২০০৯ সালে নেপোলিটান পিৎজাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘ট্র্যাডিশনাল স্পেশালিটি গ্যারান্টেড’ বা টিএসজি খাবার হিসেবেও নিবন্ধন দিয়েছিল।
বিশ্বের অন্যান্য পিৎজা উৎসব
ওয়ান বাইট পিৎজা ফেস্টিভ্যাল
প্রতিবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের র্যান্ডালস দ্বীপ পার্কে অনুষ্ঠিত এই বিশাল পিৎজা উৎসব। সেখানে সেরা ৩৫ পিৎজা শেফ অংশ নেন। তাঁরা প্রায় ১০ হাজার পিৎজাপ্রেমীর জন্য পিৎজা তৈরি করেন। এই উৎসবে দর্শকের সামনে লাইভ পিৎজা তৈরি, পরীক্ষা করা, সংগীত ও বিনোদনের আয়োজন থাকে।
স্লাইস-ও-মেনিয়া ও ককটেল ফেস্টিভ্যাল
এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় পিৎজা ও ককটেল উৎসব। এই উৎসবে অংশ নেয় ১৫টি পিৎজার দোকান ও ১০টি ককটেল বার। এই দোকানগুলো আগত দর্শনার্থীদের সেরা পিৎজা ও ককটেল পরিবেশন করে। উৎসবটি রিচমন্ড অ্যাথলেটিক গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই।
মেলবোর্ন পিৎজা ফেস্টিভ্যাল
প্রতিবছরের ৭ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে ১২টি শীর্ষস্থানীয় পিৎজার ব্র্যান্ড অংশ নেয়। যেখানে দর্শকেরা তাদের পছন্দের পিৎজা নির্বাচন করে। উৎসবটি লিগন স্ট্রিটের ইতালিয়ান রেস্তোরাঁ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: পিৎজা ভিলেজ ডট আইটি, ওয়ানবাইট পিৎজা ফেস্ট ডট কম, ব্রডশিট ও ডিজাইন মাই নাইট
বাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন, চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৩ ঘণ্টা আগেএবার পূজায় না হয় আপনিই মায়ের সাজপোশাকের পরিকল্পনা করলেন! পূজার এ কদিন তিনি কোন রঙের শাড়ি পরবেন, তার একটা খসড়া তৈরি করুন। তারপর সে অনুযায়ী শাড়ির জোগাড়যন্ত্র করে চমকে দিন বাড়ির মধ্যমণি এই মানুষকে।
১৬ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের...
১৬ ঘণ্টা আগেআজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে