চলছে গ্রীষ্মকাল। বাজারজুড়ে ঝুড়ি ভরা কাঁচা আমের ছড়াছড়ি। আর কদিন পরেই এসব ঝুড়িতে জায়গা করে নেবে পাকা আমের সারি। তার আগেই সেরে নেই কাঁচা আমের গুণগান এবং বলে নেই কয়েকটি রেসিপি।
পাকা আমের মত কাঁচা আমও পুষ্টিতে ভরপুর। আছে নানা রকম উপকারী উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা আমে থাকা আয়রন বা লৌহ রক্তস্বল্পতায় বেশ উপকারী। আবার পাকস্থলীতে খাবার হজমেও সহায়তা করে। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
পাঁচফোড়নে আম আচার
উপকরণ
কাঁচা আম ১ কেজি, চিনি বা গুড় ২ কাপ, পাঁচফোড়ন আধা কাপ, শুকনো মরিচ কয়েকটি, দু তিনটে তেজপাতা, সিরকা আধা কাপ, লবন, সর্ষের তেল ১ লিটার।
প্রণালী
প্রথমে কাঁচা আম কিউব কিউব করে খোসাসহ কেটে নিতে হবে। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সামান্য লবন আর হলুদ মেখে তাতে সিরকা মিশিয়ে রেখে দিতে হবে আধাঘন্টা। এবারে চুলায় কড়াই চাপিয়ে গরম হয়ে এলে দুই কাপ মত তেল ঢেলে দিতে হবে। তেল গরম হলে এতে শুকনো মরিচ, তেজপাতা ছেড়ে দিতে হবে। এ দুটো ভাজা হলে পাঁচফোড়ন ছাড়তে হবে। পাঁচফোড়ন লালচে হয়ে এলে আমগুলো দিয়ে নাড়তে হবে। এবারেও সামান্য লবন ছিটিয়ে নিতে হবে। আমের টুকরো গুলো তেল পাঁচফোড়নে নাড়তে নাড়তে সেদ্ধ হয়ে এলে গুড় বা চিনি মিশিয়ে আবার নাড়তে হবে। (এই আচার কেউ চাইলে মিষ্টি করেও খেতে পারেন আবার কেউ সামান্য মিষ্টি করে টক টক ভাব বজায় রেখেও খেতে পারেন।) এভাবে খানিকটা নেড়ে আমের গায়ে গুড় বা চিনি আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। ভাতে কিংবা খিঁচুড়ির সঙ্গে খেতে বেশ লাগবে। (বেশি টক করে খেতে চাইলে এবং বেশিদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে বয়ামে বাকি তেল ঢেলে তাতে আমের টুকরোগুলো ঢুকিয়ে রেখে দিতে হবে।)
আম পোড়া সরবত
উপকরণ
কাঁচা আম ২/৩টি, চিনি বা গুড়, কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা, গোলমরিচ, বরফ কুচি
প্রণালী
প্রথমে দুই থেকে তিনটি মাঝারি সাইজের কাঁচা আম নিয়ে চুলার আগুনে পুড়িয়ে নিতে হবে। তারপর কাঁচা মরিচ ১/২টি পুড়িয়ে নিতে হবে। আম এবং মরিচ পোড়া হয়ে গেলে। আমের গা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার কাঁটা চামচ বা চা চামচ দিয়ে আঁটি থেকে আমের পোড়া নরম অংশ বের করে নিয়ে ব্লেন্ডারে দুই কাপ পানি, পরিমানমত চিনি বা গুড়, কাঁচা মরিচ, (ঝাল কম খান যারা তারা কাঁচা মরিচ না দিয়ে কেবল গোল মরিচ দিলেও হবে) পুদিনা পাতা, দু তিনটে আস্ত গোলমরিচ (কেউ চাইলে গুড়ো গোলমরিচও ব্যবহার করতে পারেন) মিশিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড হয়ে গেলে পরিমাণমত গ্লাসে গ্লাসে নিয়ে পর্যাপ্ত পানি মিশিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
এই সরবত শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচা আমের পুডিং
উপকরণ
দুধ দুই লিটার, কাঁচা আম ব্লেন্ড করা দুই কাপ, চিনি দেড় থেকে দুই কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপ, এলাচ ৬টি ও ভ্যানিলা এসেন্স দেড় টেবিল চামচ।
প্রণালি
প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফোটানোর সময় দুধের মধ্যে এলাচ, চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে। এবারে ব্লেন্ড করে রাখা আমে কর্ণফ্লাওয়ার এবং সামান্য দুধ মিশিয়ে একসঙ্গে ভালোমত মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ফোটানে দুধে এই মন্ড ঢেলে দিয়ে নাড়তে হবে বেশ কিছুক্ষন। সমান তালে নাড়তে হবে না হলে তলায় লেগে যাবে এবং আঁচ কমিয়ে নিতে হবে। এভাবে নাড়ার পর সমস্ত উপকরণ ঘন হয়ে বাটার মাখানো বাটিতে ঢেলে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা হয়ে এলে ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজের ঠান্ডায় জমে এলে এটাই হবে এতদিনের চেনা স্বাদের বাইরে একেবারে ভিন্নধর্মী কাঁচা আমের পুডিং। খেয়ে দেখুন মন্দ লাগবে না।
চলছে গ্রীষ্মকাল। বাজারজুড়ে ঝুড়ি ভরা কাঁচা আমের ছড়াছড়ি। আর কদিন পরেই এসব ঝুড়িতে জায়গা করে নেবে পাকা আমের সারি। তার আগেই সেরে নেই কাঁচা আমের গুণগান এবং বলে নেই কয়েকটি রেসিপি।
পাকা আমের মত কাঁচা আমও পুষ্টিতে ভরপুর। আছে নানা রকম উপকারী উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা আমে থাকা আয়রন বা লৌহ রক্তস্বল্পতায় বেশ উপকারী। আবার পাকস্থলীতে খাবার হজমেও সহায়তা করে। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
পাঁচফোড়নে আম আচার
উপকরণ
কাঁচা আম ১ কেজি, চিনি বা গুড় ২ কাপ, পাঁচফোড়ন আধা কাপ, শুকনো মরিচ কয়েকটি, দু তিনটে তেজপাতা, সিরকা আধা কাপ, লবন, সর্ষের তেল ১ লিটার।
প্রণালী
প্রথমে কাঁচা আম কিউব কিউব করে খোসাসহ কেটে নিতে হবে। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সামান্য লবন আর হলুদ মেখে তাতে সিরকা মিশিয়ে রেখে দিতে হবে আধাঘন্টা। এবারে চুলায় কড়াই চাপিয়ে গরম হয়ে এলে দুই কাপ মত তেল ঢেলে দিতে হবে। তেল গরম হলে এতে শুকনো মরিচ, তেজপাতা ছেড়ে দিতে হবে। এ দুটো ভাজা হলে পাঁচফোড়ন ছাড়তে হবে। পাঁচফোড়ন লালচে হয়ে এলে আমগুলো দিয়ে নাড়তে হবে। এবারেও সামান্য লবন ছিটিয়ে নিতে হবে। আমের টুকরো গুলো তেল পাঁচফোড়নে নাড়তে নাড়তে সেদ্ধ হয়ে এলে গুড় বা চিনি মিশিয়ে আবার নাড়তে হবে। (এই আচার কেউ চাইলে মিষ্টি করেও খেতে পারেন আবার কেউ সামান্য মিষ্টি করে টক টক ভাব বজায় রেখেও খেতে পারেন।) এভাবে খানিকটা নেড়ে আমের গায়ে গুড় বা চিনি আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। ভাতে কিংবা খিঁচুড়ির সঙ্গে খেতে বেশ লাগবে। (বেশি টক করে খেতে চাইলে এবং বেশিদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে বয়ামে বাকি তেল ঢেলে তাতে আমের টুকরোগুলো ঢুকিয়ে রেখে দিতে হবে।)
আম পোড়া সরবত
উপকরণ
কাঁচা আম ২/৩টি, চিনি বা গুড়, কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা, গোলমরিচ, বরফ কুচি
প্রণালী
প্রথমে দুই থেকে তিনটি মাঝারি সাইজের কাঁচা আম নিয়ে চুলার আগুনে পুড়িয়ে নিতে হবে। তারপর কাঁচা মরিচ ১/২টি পুড়িয়ে নিতে হবে। আম এবং মরিচ পোড়া হয়ে গেলে। আমের গা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার কাঁটা চামচ বা চা চামচ দিয়ে আঁটি থেকে আমের পোড়া নরম অংশ বের করে নিয়ে ব্লেন্ডারে দুই কাপ পানি, পরিমানমত চিনি বা গুড়, কাঁচা মরিচ, (ঝাল কম খান যারা তারা কাঁচা মরিচ না দিয়ে কেবল গোল মরিচ দিলেও হবে) পুদিনা পাতা, দু তিনটে আস্ত গোলমরিচ (কেউ চাইলে গুড়ো গোলমরিচও ব্যবহার করতে পারেন) মিশিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড হয়ে গেলে পরিমাণমত গ্লাসে গ্লাসে নিয়ে পর্যাপ্ত পানি মিশিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
এই সরবত শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচা আমের পুডিং
উপকরণ
দুধ দুই লিটার, কাঁচা আম ব্লেন্ড করা দুই কাপ, চিনি দেড় থেকে দুই কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ কাপ, এলাচ ৬টি ও ভ্যানিলা এসেন্স দেড় টেবিল চামচ।
প্রণালি
প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফোটানোর সময় দুধের মধ্যে এলাচ, চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে। এবারে ব্লেন্ড করে রাখা আমে কর্ণফ্লাওয়ার এবং সামান্য দুধ মিশিয়ে একসঙ্গে ভালোমত মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ফোটানে দুধে এই মন্ড ঢেলে দিয়ে নাড়তে হবে বেশ কিছুক্ষন। সমান তালে নাড়তে হবে না হলে তলায় লেগে যাবে এবং আঁচ কমিয়ে নিতে হবে। এভাবে নাড়ার পর সমস্ত উপকরণ ঘন হয়ে বাটার মাখানো বাটিতে ঢেলে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা হয়ে এলে ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজের ঠান্ডায় জমে এলে এটাই হবে এতদিনের চেনা স্বাদের বাইরে একেবারে ভিন্নধর্মী কাঁচা আমের পুডিং। খেয়ে দেখুন মন্দ লাগবে না।
চল্লিশ বছর বয়সের পর চোখের নিচে বলিরেখা দেখা, ত্বকের অনুজ্জ্বল ভাব আরও স্পষ্ট হতে শুরু করে। এ সময় যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, দিনের একটু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন, নিজের যত্ন নিন। খাদ্যতালিকায় শরীর ও ত্বকের উপযোগী খাবারকে প্রাধান্য দিন। তবেই ত্বক হাসবে নতুন করে।
৭ ঘণ্টা আগেসারা দিন হাতের ত্বকের ওপর সূর্যরশ্মির প্রচণ্ড অত্যাচার চলে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে হাতের ত্বকের রং মুখের ত্বকের তুলনায় গাঢ় হয়ে যায়। প্রায় সবার ক্ষেত্রে দেখা যায় মুখের রঙের তুলনায় হাতের রং একটু গাঢ়। ফলে পুরো দেহের ত্বকের রঙের এই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে হাতের যত্ন নিতে হবে একটু মনে করেই।
১৭ ঘণ্টা আগেনবম থেকে এগারো শতকের জাপানে ছাতা ছিল কেবল ক্ষমতাবানদের ব্যবহার্য জিনিস। তখন শাসক বা ধর্মীয় নেতাদের মাথার ওপর সম্মান ও আধ্যাত্মিক ছায়ার প্রতীক হিসেবে দীর্ঘ হাতলযুক্ত বড় ছাতা ধরা হতো। বারো শতকের পর সাধারণ মানুষও ছাতা ব্যবহার শুরু করে।
১ দিন আগেড. উইনগার্ডের মতে, মশা কাকে বেশি কামড়াবে, তার ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। তবে বাকি অংশ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে। তিনি গ্রীষ্মকালে মশার হাত থেকে বাঁচতে ৫টি বৈজ্ঞানিক উপায় জানিয়েছেন।
১ দিন আগে