ফিচার ডেস্ক

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশেষ করে ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে আন্তর্জাতিক জেট সেটের সদস্যরা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন স্টাইল ও আরামের প্রচলন করেছিলেন। বিমানের স্বর্ণযুগে পরিবেশিত ইন-ফ্লাইট খাবারের ছবি দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়া স্বাভাবিক। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা সাদা লিনেনের টেবিলক্লথের ওপর হর্স ডি’ওভ্রস পরিবেশন করছেন। হর্স ডি’ওভ্রস হলো এমন খাবার, যা প্রধান খাবারের আগে ছোট অংশে পরিবেশন করা হয়। প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে বলি অ্যাপেটাইজার। হয়তোবা যাত্রীরা গরম রোস্ট বা শর্ট রিবসে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছেন। মিষ্টির পর যাত্রীরা ককটেলের জন্য লাউঞ্জে যাচ্ছেন। আজকের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এমন খাবার বিরল। ফলে ‘জেট সেট’ শব্দটি তার জৌলুশ হারানোর এটিই প্রধান কারণ।
আজকে আপনি বিমানে যা খাচ্ছেন বা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একজন যাত্রী যা খাচ্ছেন, তা কি শুরু থেকেই এমন ছিল? সুস্বাদু ও স্মরণীয় খাবারের সুযোগ এখনো আছে। আকাশেও আছে, আবার বিমানবন্দরের টার্মিনালেও আছে। ধীরে ধীরে বিমানবন্দরগুলো বৈশ্বিক খাদ্যের গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে; যা যাত্রীদের জন্য স্বাগতিক শহরের সেরা খাবার উপভোগের সুযোগ। জানতে চান, কেমন ছিল সেই খাবারের যাত্রা?
শুরুতে খাবার ছিল ঠান্ডা
১৯১০-২০ সালের দিকে বিমানযাত্রা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় যাত্রীসংখ্যা ছিল কম। ধরুন, ৪-১৫ জন। সে সময় তাই খাবার ছিল হালকা ও ঠান্ডা। ১৯১৯ সালে লন্ডন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম ৩ শিলিং মূল্যের বক্সড লাঞ্চ পরিবেশিত হয়। ১৯২৯ ফরাসি এয়ার ইউনিয়ন বিমানের কেবিনে ডাইনিং টেবিল চালু করে; যা মূলত ছিল রেলওয়ে ডাইনিংয়ের আদলে একটি রেস্তোরাঁ। ১৯২৭ এয়ার ইউনিয়ন ফ্লাইটে প্রথম সাত-কোর্সের পূর্ণাঙ্গ খাবার পরিবেশিত হয়। কিন্তু খাবারটি ছিল ঠান্ডা। ১৯২৮ সালে বার্লিন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম গরম খাবার পরিবেশন করে জার্মানির বৃহত্তম ও ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা লুফথানসা।

ত্রিশের দশক প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা
১৯৩০ সালের দিকে কিছুটা বিলাসিতার আগমন ঘটে। আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘টেস্টি লাঞ্চ অন আ পার্সোনাল ট্রে’ বলে একধরনের খাবার প্রচার করে। তবে তখন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে খাবার পরিবেশন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ১৯৩৫ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজের মার্টিন এম-১৩০ ‘ক্লিপার’-এ উড়ানের মধ্যে মাংস রোস্ট করার ওভেন এবং পৃথক ডাইনিং এরিয়া ছিল। ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের খাদ্য পরামর্শদাতা হিসেবে ডোনাল্ড এফ মাগারেলা ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে বিমানশিল্পে প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগের ফলে যাত্রীরা তাঁদের খাবারে স্ক্র্যাম্বল্ড ডিম অথবা ফ্রাইড চিকেন বেছে নেওয়ার সুযোগ পান। বিষয়টি সেই সময়ে বিমানযাত্রায় খাবারের মানের একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি ছিল। এই কিচেন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিমানের জন্য খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ করার একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল, যা পরে এয়ারলাইনস ক্যাটারিং শিল্পের ভিত্তি তৈরি করে।

যখন এল গরম খাবার
১৯৪০ সালে যাত্রীদের সুবিধার দিকে মনোযোগ দেয় বিভিন্ন এয়ারলাইনস। লম্বা ফ্লাইটে একঘেয়েমি দূর করতে খাবারকে আকর্ষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচলিত আমেরিকান সামরিক প্রযুক্তি অনুসরণ করে ফ্রোজেন খাবার চালু করা হয়। ১৯৫০ সালকে স্বর্ণযুগ ধরা যেতে পারে। এই সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ককটেলসহ ফরাসি বা থিমেটিক খাবার (গন্তব্য অনুযায়ী) চালু হয়। ১৯৫৪ সালে বিমানে প্রথম ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোওয়েভ ওভেন স্থাপন করা হয়। ১৯৫৮ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘পাঁচ মিনিটের ওভেন’-এর (টোস্টার ওভেন) প্রচার করে, যা গরম খাবারের যুগ নিয়ে আসে।

স্বাদের দিকে নজর এল যখন
১৯৬০ সালের দিকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া শুরু করে এয়ারলাইনসগুলো। বড় জেট বিমান চলা শুরু করার কারণে ফ্লাইটের সময় কমে। তাই বড় সার্ভিসের চেয়ে দ্রুততা বাড়ে। ১৯৬১ সালে দ্রুত পরিবেশনের জন্য ইনসুলেটেড ট্রলি কার্ট এবং ডিসপোজেবল প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সালের দিকে বোয়িং ৭৪৭-এর আগমন ঘটে। শিল্পকে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করায় টিকিটের দাম কমে, ফলে সাধারণ মানুষের জন্য আকাশযাত্রা সহজ হয়। ১৯৭১ সালে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস মাঝ-ফ্লাইটে স্ন্যাকস হিসেবে প্যাকেটজাত চিনাবাদাম পরিবেশন শুরু করে। ১৯৭৩ সালের দিকে ফরাসি এয়ারলাইনস ইউনিয়ন ডি ট্রান্সপোর্টস এরিয়েনস আবিষ্কার করে যে উচ্চতা, আর্দ্রতা ও চাপের কারণে স্বাদকোরকগুলো ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শেফ রেমন্ড অলিভার স্বাদ বাড়াতে লবণ, চিনি ও ফ্যাট বেশি দিয়ে রেসিপি তৈরি করেন। ১৯৮০ সালের দিকে বাজেট এয়ারলাইনস রায়ানএয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে আমেরিকান এয়ারলাইনসের শেফ রবার্ট ক্র্যান্ডাল প্রতিটি প্রথম শ্রেণির স্যালাড থেকে একটি করে জলপাই বাদ দিয়ে ৮০ হাজার ডলার সাশ্রয় করেন।

খাবার ও ইন্টারনেট
২০০০-২০২০ সালের দিকে চলে আসে ইন্টারনেট। নাইন-ইলেভেনের পর নিরাপত্তা বাড়াতে প্লাস্টিক ছুরি-কাটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়। খরচ কমাতে অনেক এয়ারলাইনস খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দেয়। ২০০১ সালে এয়ারলাইনস মিল ডটনেট ওয়েবসাইট চালু করা হয়। যেখানে যাত্রীরা খাবারের মান নিয়ে আলোচনা এবং ছবি পোস্ট করেন। এভাবেই দিনে দিনে পরিবর্তিত হয়েছে খাবারগুলো। বদলেছে খাবারের ধরন ও প্রযুক্তির ব্যবহার। ২০০০ সালে জেট ব্লু যাত্রা শুরু করে বিনা মূল্যে চিপস দিয়ে, যা আকাশযাত্রাকে সাশ্রয়ী করে। একই বছরে এলএসজি স্কাই সেফ ওয়াশিংটন ডালাসের বিশাল কিচেনের দায়িত্ব নিয়ে আধুনিক ক্যাটারিংয়ের ভিত্তি গড়ে। তবে ২০০৩ সালে কিংবদন্তি কনকর্ড তার শেষ উড়ানে বিদায় জানায়। যার শেষ মেনুতেও ছিল লবস্টারের মতো রাজকীয় খাবার। এরই মধ্যে খরচ কমাতে ২০০৯ সালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইটে খাবার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গুণগত মান বজায় রাখতে তারা সে বছরই সু-ভিড প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। ২০১১ সালে হেস্টন ব্লুমেন্থালের মতো তারকা শেফদের যুক্ত করে ফার্স্ট ক্লাসের মেনু আরও আকর্ষণীয় করা হলো। মজার ব্যাপার হলো, ২০১২ সালে জাপান এয়ারলাইনস ক্রিসমাসে ফ্লাইটে কেএফসি পরিবেশন করে নতুন মেনু যোগ করে। যদিও ২০১৮ সালে অ্যালার্জির কারণে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস তাদের বিখ্যাত চিনাবাদামের প্যাকেট বাতিল করে দেয়, ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ‘ফার্ম-টু-প্লেন’ অংশীদারত্ব করে খাবারের গুণমান ও টাটকা ভাবকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। আকাশযাত্রার খাবার এখন বিলাসিতা ছেড়ে দক্ষতা ও সতেজতার দিকে ঝুঁকছে।
সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি
ছবি সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশেষ করে ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে আন্তর্জাতিক জেট সেটের সদস্যরা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন স্টাইল ও আরামের প্রচলন করেছিলেন। বিমানের স্বর্ণযুগে পরিবেশিত ইন-ফ্লাইট খাবারের ছবি দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়া স্বাভাবিক। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা সাদা লিনেনের টেবিলক্লথের ওপর হর্স ডি’ওভ্রস পরিবেশন করছেন। হর্স ডি’ওভ্রস হলো এমন খাবার, যা প্রধান খাবারের আগে ছোট অংশে পরিবেশন করা হয়। প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে বলি অ্যাপেটাইজার। হয়তোবা যাত্রীরা গরম রোস্ট বা শর্ট রিবসে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছেন। মিষ্টির পর যাত্রীরা ককটেলের জন্য লাউঞ্জে যাচ্ছেন। আজকের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এমন খাবার বিরল। ফলে ‘জেট সেট’ শব্দটি তার জৌলুশ হারানোর এটিই প্রধান কারণ।
আজকে আপনি বিমানে যা খাচ্ছেন বা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একজন যাত্রী যা খাচ্ছেন, তা কি শুরু থেকেই এমন ছিল? সুস্বাদু ও স্মরণীয় খাবারের সুযোগ এখনো আছে। আকাশেও আছে, আবার বিমানবন্দরের টার্মিনালেও আছে। ধীরে ধীরে বিমানবন্দরগুলো বৈশ্বিক খাদ্যের গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে; যা যাত্রীদের জন্য স্বাগতিক শহরের সেরা খাবার উপভোগের সুযোগ। জানতে চান, কেমন ছিল সেই খাবারের যাত্রা?
শুরুতে খাবার ছিল ঠান্ডা
১৯১০-২০ সালের দিকে বিমানযাত্রা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় যাত্রীসংখ্যা ছিল কম। ধরুন, ৪-১৫ জন। সে সময় তাই খাবার ছিল হালকা ও ঠান্ডা। ১৯১৯ সালে লন্ডন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম ৩ শিলিং মূল্যের বক্সড লাঞ্চ পরিবেশিত হয়। ১৯২৯ ফরাসি এয়ার ইউনিয়ন বিমানের কেবিনে ডাইনিং টেবিল চালু করে; যা মূলত ছিল রেলওয়ে ডাইনিংয়ের আদলে একটি রেস্তোরাঁ। ১৯২৭ এয়ার ইউনিয়ন ফ্লাইটে প্রথম সাত-কোর্সের পূর্ণাঙ্গ খাবার পরিবেশিত হয়। কিন্তু খাবারটি ছিল ঠান্ডা। ১৯২৮ সালে বার্লিন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম গরম খাবার পরিবেশন করে জার্মানির বৃহত্তম ও ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা লুফথানসা।

ত্রিশের দশক প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা
১৯৩০ সালের দিকে কিছুটা বিলাসিতার আগমন ঘটে। আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘টেস্টি লাঞ্চ অন আ পার্সোনাল ট্রে’ বলে একধরনের খাবার প্রচার করে। তবে তখন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে খাবার পরিবেশন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ১৯৩৫ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজের মার্টিন এম-১৩০ ‘ক্লিপার’-এ উড়ানের মধ্যে মাংস রোস্ট করার ওভেন এবং পৃথক ডাইনিং এরিয়া ছিল। ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের খাদ্য পরামর্শদাতা হিসেবে ডোনাল্ড এফ মাগারেলা ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে বিমানশিল্পে প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগের ফলে যাত্রীরা তাঁদের খাবারে স্ক্র্যাম্বল্ড ডিম অথবা ফ্রাইড চিকেন বেছে নেওয়ার সুযোগ পান। বিষয়টি সেই সময়ে বিমানযাত্রায় খাবারের মানের একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি ছিল। এই কিচেন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিমানের জন্য খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ করার একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল, যা পরে এয়ারলাইনস ক্যাটারিং শিল্পের ভিত্তি তৈরি করে।

যখন এল গরম খাবার
১৯৪০ সালে যাত্রীদের সুবিধার দিকে মনোযোগ দেয় বিভিন্ন এয়ারলাইনস। লম্বা ফ্লাইটে একঘেয়েমি দূর করতে খাবারকে আকর্ষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচলিত আমেরিকান সামরিক প্রযুক্তি অনুসরণ করে ফ্রোজেন খাবার চালু করা হয়। ১৯৫০ সালকে স্বর্ণযুগ ধরা যেতে পারে। এই সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ককটেলসহ ফরাসি বা থিমেটিক খাবার (গন্তব্য অনুযায়ী) চালু হয়। ১৯৫৪ সালে বিমানে প্রথম ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোওয়েভ ওভেন স্থাপন করা হয়। ১৯৫৮ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘পাঁচ মিনিটের ওভেন’-এর (টোস্টার ওভেন) প্রচার করে, যা গরম খাবারের যুগ নিয়ে আসে।

স্বাদের দিকে নজর এল যখন
১৯৬০ সালের দিকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া শুরু করে এয়ারলাইনসগুলো। বড় জেট বিমান চলা শুরু করার কারণে ফ্লাইটের সময় কমে। তাই বড় সার্ভিসের চেয়ে দ্রুততা বাড়ে। ১৯৬১ সালে দ্রুত পরিবেশনের জন্য ইনসুলেটেড ট্রলি কার্ট এবং ডিসপোজেবল প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সালের দিকে বোয়িং ৭৪৭-এর আগমন ঘটে। শিল্পকে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করায় টিকিটের দাম কমে, ফলে সাধারণ মানুষের জন্য আকাশযাত্রা সহজ হয়। ১৯৭১ সালে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস মাঝ-ফ্লাইটে স্ন্যাকস হিসেবে প্যাকেটজাত চিনাবাদাম পরিবেশন শুরু করে। ১৯৭৩ সালের দিকে ফরাসি এয়ারলাইনস ইউনিয়ন ডি ট্রান্সপোর্টস এরিয়েনস আবিষ্কার করে যে উচ্চতা, আর্দ্রতা ও চাপের কারণে স্বাদকোরকগুলো ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শেফ রেমন্ড অলিভার স্বাদ বাড়াতে লবণ, চিনি ও ফ্যাট বেশি দিয়ে রেসিপি তৈরি করেন। ১৯৮০ সালের দিকে বাজেট এয়ারলাইনস রায়ানএয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে আমেরিকান এয়ারলাইনসের শেফ রবার্ট ক্র্যান্ডাল প্রতিটি প্রথম শ্রেণির স্যালাড থেকে একটি করে জলপাই বাদ দিয়ে ৮০ হাজার ডলার সাশ্রয় করেন।

খাবার ও ইন্টারনেট
২০০০-২০২০ সালের দিকে চলে আসে ইন্টারনেট। নাইন-ইলেভেনের পর নিরাপত্তা বাড়াতে প্লাস্টিক ছুরি-কাটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়। খরচ কমাতে অনেক এয়ারলাইনস খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দেয়। ২০০১ সালে এয়ারলাইনস মিল ডটনেট ওয়েবসাইট চালু করা হয়। যেখানে যাত্রীরা খাবারের মান নিয়ে আলোচনা এবং ছবি পোস্ট করেন। এভাবেই দিনে দিনে পরিবর্তিত হয়েছে খাবারগুলো। বদলেছে খাবারের ধরন ও প্রযুক্তির ব্যবহার। ২০০০ সালে জেট ব্লু যাত্রা শুরু করে বিনা মূল্যে চিপস দিয়ে, যা আকাশযাত্রাকে সাশ্রয়ী করে। একই বছরে এলএসজি স্কাই সেফ ওয়াশিংটন ডালাসের বিশাল কিচেনের দায়িত্ব নিয়ে আধুনিক ক্যাটারিংয়ের ভিত্তি গড়ে। তবে ২০০৩ সালে কিংবদন্তি কনকর্ড তার শেষ উড়ানে বিদায় জানায়। যার শেষ মেনুতেও ছিল লবস্টারের মতো রাজকীয় খাবার। এরই মধ্যে খরচ কমাতে ২০০৯ সালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইটে খাবার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গুণগত মান বজায় রাখতে তারা সে বছরই সু-ভিড প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। ২০১১ সালে হেস্টন ব্লুমেন্থালের মতো তারকা শেফদের যুক্ত করে ফার্স্ট ক্লাসের মেনু আরও আকর্ষণীয় করা হলো। মজার ব্যাপার হলো, ২০১২ সালে জাপান এয়ারলাইনস ক্রিসমাসে ফ্লাইটে কেএফসি পরিবেশন করে নতুন মেনু যোগ করে। যদিও ২০১৮ সালে অ্যালার্জির কারণে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস তাদের বিখ্যাত চিনাবাদামের প্যাকেট বাতিল করে দেয়, ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ‘ফার্ম-টু-প্লেন’ অংশীদারত্ব করে খাবারের গুণমান ও টাটকা ভাবকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। আকাশযাত্রার খাবার এখন বিলাসিতা ছেড়ে দক্ষতা ও সতেজতার দিকে ঝুঁকছে।
সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি
ছবি সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি
ফিচার ডেস্ক

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশেষ করে ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে আন্তর্জাতিক জেট সেটের সদস্যরা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন স্টাইল ও আরামের প্রচলন করেছিলেন। বিমানের স্বর্ণযুগে পরিবেশিত ইন-ফ্লাইট খাবারের ছবি দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়া স্বাভাবিক। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা সাদা লিনেনের টেবিলক্লথের ওপর হর্স ডি’ওভ্রস পরিবেশন করছেন। হর্স ডি’ওভ্রস হলো এমন খাবার, যা প্রধান খাবারের আগে ছোট অংশে পরিবেশন করা হয়। প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে বলি অ্যাপেটাইজার। হয়তোবা যাত্রীরা গরম রোস্ট বা শর্ট রিবসে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছেন। মিষ্টির পর যাত্রীরা ককটেলের জন্য লাউঞ্জে যাচ্ছেন। আজকের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এমন খাবার বিরল। ফলে ‘জেট সেট’ শব্দটি তার জৌলুশ হারানোর এটিই প্রধান কারণ।
আজকে আপনি বিমানে যা খাচ্ছেন বা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একজন যাত্রী যা খাচ্ছেন, তা কি শুরু থেকেই এমন ছিল? সুস্বাদু ও স্মরণীয় খাবারের সুযোগ এখনো আছে। আকাশেও আছে, আবার বিমানবন্দরের টার্মিনালেও আছে। ধীরে ধীরে বিমানবন্দরগুলো বৈশ্বিক খাদ্যের গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে; যা যাত্রীদের জন্য স্বাগতিক শহরের সেরা খাবার উপভোগের সুযোগ। জানতে চান, কেমন ছিল সেই খাবারের যাত্রা?
শুরুতে খাবার ছিল ঠান্ডা
১৯১০-২০ সালের দিকে বিমানযাত্রা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় যাত্রীসংখ্যা ছিল কম। ধরুন, ৪-১৫ জন। সে সময় তাই খাবার ছিল হালকা ও ঠান্ডা। ১৯১৯ সালে লন্ডন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম ৩ শিলিং মূল্যের বক্সড লাঞ্চ পরিবেশিত হয়। ১৯২৯ ফরাসি এয়ার ইউনিয়ন বিমানের কেবিনে ডাইনিং টেবিল চালু করে; যা মূলত ছিল রেলওয়ে ডাইনিংয়ের আদলে একটি রেস্তোরাঁ। ১৯২৭ এয়ার ইউনিয়ন ফ্লাইটে প্রথম সাত-কোর্সের পূর্ণাঙ্গ খাবার পরিবেশিত হয়। কিন্তু খাবারটি ছিল ঠান্ডা। ১৯২৮ সালে বার্লিন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম গরম খাবার পরিবেশন করে জার্মানির বৃহত্তম ও ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা লুফথানসা।

ত্রিশের দশক প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা
১৯৩০ সালের দিকে কিছুটা বিলাসিতার আগমন ঘটে। আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘টেস্টি লাঞ্চ অন আ পার্সোনাল ট্রে’ বলে একধরনের খাবার প্রচার করে। তবে তখন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে খাবার পরিবেশন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ১৯৩৫ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজের মার্টিন এম-১৩০ ‘ক্লিপার’-এ উড়ানের মধ্যে মাংস রোস্ট করার ওভেন এবং পৃথক ডাইনিং এরিয়া ছিল। ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের খাদ্য পরামর্শদাতা হিসেবে ডোনাল্ড এফ মাগারেলা ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে বিমানশিল্পে প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগের ফলে যাত্রীরা তাঁদের খাবারে স্ক্র্যাম্বল্ড ডিম অথবা ফ্রাইড চিকেন বেছে নেওয়ার সুযোগ পান। বিষয়টি সেই সময়ে বিমানযাত্রায় খাবারের মানের একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি ছিল। এই কিচেন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিমানের জন্য খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ করার একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল, যা পরে এয়ারলাইনস ক্যাটারিং শিল্পের ভিত্তি তৈরি করে।

যখন এল গরম খাবার
১৯৪০ সালে যাত্রীদের সুবিধার দিকে মনোযোগ দেয় বিভিন্ন এয়ারলাইনস। লম্বা ফ্লাইটে একঘেয়েমি দূর করতে খাবারকে আকর্ষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচলিত আমেরিকান সামরিক প্রযুক্তি অনুসরণ করে ফ্রোজেন খাবার চালু করা হয়। ১৯৫০ সালকে স্বর্ণযুগ ধরা যেতে পারে। এই সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ককটেলসহ ফরাসি বা থিমেটিক খাবার (গন্তব্য অনুযায়ী) চালু হয়। ১৯৫৪ সালে বিমানে প্রথম ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোওয়েভ ওভেন স্থাপন করা হয়। ১৯৫৮ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘পাঁচ মিনিটের ওভেন’-এর (টোস্টার ওভেন) প্রচার করে, যা গরম খাবারের যুগ নিয়ে আসে।

স্বাদের দিকে নজর এল যখন
১৯৬০ সালের দিকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া শুরু করে এয়ারলাইনসগুলো। বড় জেট বিমান চলা শুরু করার কারণে ফ্লাইটের সময় কমে। তাই বড় সার্ভিসের চেয়ে দ্রুততা বাড়ে। ১৯৬১ সালে দ্রুত পরিবেশনের জন্য ইনসুলেটেড ট্রলি কার্ট এবং ডিসপোজেবল প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সালের দিকে বোয়িং ৭৪৭-এর আগমন ঘটে। শিল্পকে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করায় টিকিটের দাম কমে, ফলে সাধারণ মানুষের জন্য আকাশযাত্রা সহজ হয়। ১৯৭১ সালে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস মাঝ-ফ্লাইটে স্ন্যাকস হিসেবে প্যাকেটজাত চিনাবাদাম পরিবেশন শুরু করে। ১৯৭৩ সালের দিকে ফরাসি এয়ারলাইনস ইউনিয়ন ডি ট্রান্সপোর্টস এরিয়েনস আবিষ্কার করে যে উচ্চতা, আর্দ্রতা ও চাপের কারণে স্বাদকোরকগুলো ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শেফ রেমন্ড অলিভার স্বাদ বাড়াতে লবণ, চিনি ও ফ্যাট বেশি দিয়ে রেসিপি তৈরি করেন। ১৯৮০ সালের দিকে বাজেট এয়ারলাইনস রায়ানএয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে আমেরিকান এয়ারলাইনসের শেফ রবার্ট ক্র্যান্ডাল প্রতিটি প্রথম শ্রেণির স্যালাড থেকে একটি করে জলপাই বাদ দিয়ে ৮০ হাজার ডলার সাশ্রয় করেন।

খাবার ও ইন্টারনেট
২০০০-২০২০ সালের দিকে চলে আসে ইন্টারনেট। নাইন-ইলেভেনের পর নিরাপত্তা বাড়াতে প্লাস্টিক ছুরি-কাটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়। খরচ কমাতে অনেক এয়ারলাইনস খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দেয়। ২০০১ সালে এয়ারলাইনস মিল ডটনেট ওয়েবসাইট চালু করা হয়। যেখানে যাত্রীরা খাবারের মান নিয়ে আলোচনা এবং ছবি পোস্ট করেন। এভাবেই দিনে দিনে পরিবর্তিত হয়েছে খাবারগুলো। বদলেছে খাবারের ধরন ও প্রযুক্তির ব্যবহার। ২০০০ সালে জেট ব্লু যাত্রা শুরু করে বিনা মূল্যে চিপস দিয়ে, যা আকাশযাত্রাকে সাশ্রয়ী করে। একই বছরে এলএসজি স্কাই সেফ ওয়াশিংটন ডালাসের বিশাল কিচেনের দায়িত্ব নিয়ে আধুনিক ক্যাটারিংয়ের ভিত্তি গড়ে। তবে ২০০৩ সালে কিংবদন্তি কনকর্ড তার শেষ উড়ানে বিদায় জানায়। যার শেষ মেনুতেও ছিল লবস্টারের মতো রাজকীয় খাবার। এরই মধ্যে খরচ কমাতে ২০০৯ সালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইটে খাবার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গুণগত মান বজায় রাখতে তারা সে বছরই সু-ভিড প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। ২০১১ সালে হেস্টন ব্লুমেন্থালের মতো তারকা শেফদের যুক্ত করে ফার্স্ট ক্লাসের মেনু আরও আকর্ষণীয় করা হলো। মজার ব্যাপার হলো, ২০১২ সালে জাপান এয়ারলাইনস ক্রিসমাসে ফ্লাইটে কেএফসি পরিবেশন করে নতুন মেনু যোগ করে। যদিও ২০১৮ সালে অ্যালার্জির কারণে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস তাদের বিখ্যাত চিনাবাদামের প্যাকেট বাতিল করে দেয়, ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ‘ফার্ম-টু-প্লেন’ অংশীদারত্ব করে খাবারের গুণমান ও টাটকা ভাবকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। আকাশযাত্রার খাবার এখন বিলাসিতা ছেড়ে দক্ষতা ও সতেজতার দিকে ঝুঁকছে।
সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি
ছবি সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশেষ করে ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে আন্তর্জাতিক জেট সেটের সদস্যরা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন স্টাইল ও আরামের প্রচলন করেছিলেন। বিমানের স্বর্ণযুগে পরিবেশিত ইন-ফ্লাইট খাবারের ছবি দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়া স্বাভাবিক। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা সাদা লিনেনের টেবিলক্লথের ওপর হর্স ডি’ওভ্রস পরিবেশন করছেন। হর্স ডি’ওভ্রস হলো এমন খাবার, যা প্রধান খাবারের আগে ছোট অংশে পরিবেশন করা হয়। প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে বলি অ্যাপেটাইজার। হয়তোবা যাত্রীরা গরম রোস্ট বা শর্ট রিবসে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছেন। মিষ্টির পর যাত্রীরা ককটেলের জন্য লাউঞ্জে যাচ্ছেন। আজকের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এমন খাবার বিরল। ফলে ‘জেট সেট’ শব্দটি তার জৌলুশ হারানোর এটিই প্রধান কারণ।
আজকে আপনি বিমানে যা খাচ্ছেন বা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের একজন যাত্রী যা খাচ্ছেন, তা কি শুরু থেকেই এমন ছিল? সুস্বাদু ও স্মরণীয় খাবারের সুযোগ এখনো আছে। আকাশেও আছে, আবার বিমানবন্দরের টার্মিনালেও আছে। ধীরে ধীরে বিমানবন্দরগুলো বৈশ্বিক খাদ্যের গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে; যা যাত্রীদের জন্য স্বাগতিক শহরের সেরা খাবার উপভোগের সুযোগ। জানতে চান, কেমন ছিল সেই খাবারের যাত্রা?
শুরুতে খাবার ছিল ঠান্ডা
১৯১০-২০ সালের দিকে বিমানযাত্রা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় যাত্রীসংখ্যা ছিল কম। ধরুন, ৪-১৫ জন। সে সময় তাই খাবার ছিল হালকা ও ঠান্ডা। ১৯১৯ সালে লন্ডন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম ৩ শিলিং মূল্যের বক্সড লাঞ্চ পরিবেশিত হয়। ১৯২৯ ফরাসি এয়ার ইউনিয়ন বিমানের কেবিনে ডাইনিং টেবিল চালু করে; যা মূলত ছিল রেলওয়ে ডাইনিংয়ের আদলে একটি রেস্তোরাঁ। ১৯২৭ এয়ার ইউনিয়ন ফ্লাইটে প্রথম সাত-কোর্সের পূর্ণাঙ্গ খাবার পরিবেশিত হয়। কিন্তু খাবারটি ছিল ঠান্ডা। ১৯২৮ সালে বার্লিন থেকে প্যারিস ফ্লাইটে প্রথম গরম খাবার পরিবেশন করে জার্মানির বৃহত্তম ও ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা লুফথানসা।

ত্রিশের দশক প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা
১৯৩০ সালের দিকে কিছুটা বিলাসিতার আগমন ঘটে। আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘টেস্টি লাঞ্চ অন আ পার্সোনাল ট্রে’ বলে একধরনের খাবার প্রচার করে। তবে তখন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে খাবার পরিবেশন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ১৯৩৫ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজের মার্টিন এম-১৩০ ‘ক্লিপার’-এ উড়ানের মধ্যে মাংস রোস্ট করার ওভেন এবং পৃথক ডাইনিং এরিয়া ছিল। ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের খাদ্য পরামর্শদাতা হিসেবে ডোনাল্ড এফ মাগারেলা ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে বিমানশিল্পে প্রথম ফ্লাইট কিচেন প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগের ফলে যাত্রীরা তাঁদের খাবারে স্ক্র্যাম্বল্ড ডিম অথবা ফ্রাইড চিকেন বেছে নেওয়ার সুযোগ পান। বিষয়টি সেই সময়ে বিমানযাত্রায় খাবারের মানের একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি ছিল। এই কিচেন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিমানের জন্য খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ করার একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থার সূচনা হয়েছিল, যা পরে এয়ারলাইনস ক্যাটারিং শিল্পের ভিত্তি তৈরি করে।

যখন এল গরম খাবার
১৯৪০ সালে যাত্রীদের সুবিধার দিকে মনোযোগ দেয় বিভিন্ন এয়ারলাইনস। লম্বা ফ্লাইটে একঘেয়েমি দূর করতে খাবারকে আকর্ষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচলিত আমেরিকান সামরিক প্রযুক্তি অনুসরণ করে ফ্রোজেন খাবার চালু করা হয়। ১৯৫০ সালকে স্বর্ণযুগ ধরা যেতে পারে। এই সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ককটেলসহ ফরাসি বা থিমেটিক খাবার (গন্তব্য অনুযায়ী) চালু হয়। ১৯৫৪ সালে বিমানে প্রথম ব্যবহার উপযোগী মাইক্রোওয়েভ ওভেন স্থাপন করা হয়। ১৯৫৮ সালে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজ ‘পাঁচ মিনিটের ওভেন’-এর (টোস্টার ওভেন) প্রচার করে, যা গরম খাবারের যুগ নিয়ে আসে।

স্বাদের দিকে নজর এল যখন
১৯৬০ সালের দিকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া শুরু করে এয়ারলাইনসগুলো। বড় জেট বিমান চলা শুরু করার কারণে ফ্লাইটের সময় কমে। তাই বড় সার্ভিসের চেয়ে দ্রুততা বাড়ে। ১৯৬১ সালে দ্রুত পরিবেশনের জন্য ইনসুলেটেড ট্রলি কার্ট এবং ডিসপোজেবল প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সালের দিকে বোয়িং ৭৪৭-এর আগমন ঘটে। শিল্পকে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করায় টিকিটের দাম কমে, ফলে সাধারণ মানুষের জন্য আকাশযাত্রা সহজ হয়। ১৯৭১ সালে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস মাঝ-ফ্লাইটে স্ন্যাকস হিসেবে প্যাকেটজাত চিনাবাদাম পরিবেশন শুরু করে। ১৯৭৩ সালের দিকে ফরাসি এয়ারলাইনস ইউনিয়ন ডি ট্রান্সপোর্টস এরিয়েনস আবিষ্কার করে যে উচ্চতা, আর্দ্রতা ও চাপের কারণে স্বাদকোরকগুলো ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শেফ রেমন্ড অলিভার স্বাদ বাড়াতে লবণ, চিনি ও ফ্যাট বেশি দিয়ে রেসিপি তৈরি করেন। ১৯৮০ সালের দিকে বাজেট এয়ারলাইনস রায়ানএয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে আমেরিকান এয়ারলাইনসের শেফ রবার্ট ক্র্যান্ডাল প্রতিটি প্রথম শ্রেণির স্যালাড থেকে একটি করে জলপাই বাদ দিয়ে ৮০ হাজার ডলার সাশ্রয় করেন।

খাবার ও ইন্টারনেট
২০০০-২০২০ সালের দিকে চলে আসে ইন্টারনেট। নাইন-ইলেভেনের পর নিরাপত্তা বাড়াতে প্লাস্টিক ছুরি-কাটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়। খরচ কমাতে অনেক এয়ারলাইনস খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দেয়। ২০০১ সালে এয়ারলাইনস মিল ডটনেট ওয়েবসাইট চালু করা হয়। যেখানে যাত্রীরা খাবারের মান নিয়ে আলোচনা এবং ছবি পোস্ট করেন। এভাবেই দিনে দিনে পরিবর্তিত হয়েছে খাবারগুলো। বদলেছে খাবারের ধরন ও প্রযুক্তির ব্যবহার। ২০০০ সালে জেট ব্লু যাত্রা শুরু করে বিনা মূল্যে চিপস দিয়ে, যা আকাশযাত্রাকে সাশ্রয়ী করে। একই বছরে এলএসজি স্কাই সেফ ওয়াশিংটন ডালাসের বিশাল কিচেনের দায়িত্ব নিয়ে আধুনিক ক্যাটারিংয়ের ভিত্তি গড়ে। তবে ২০০৩ সালে কিংবদন্তি কনকর্ড তার শেষ উড়ানে বিদায় জানায়। যার শেষ মেনুতেও ছিল লবস্টারের মতো রাজকীয় খাবার। এরই মধ্যে খরচ কমাতে ২০০৯ সালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইটে খাবার বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গুণগত মান বজায় রাখতে তারা সে বছরই সু-ভিড প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। ২০১১ সালে হেস্টন ব্লুমেন্থালের মতো তারকা শেফদের যুক্ত করে ফার্স্ট ক্লাসের মেনু আরও আকর্ষণীয় করা হলো। মজার ব্যাপার হলো, ২০১২ সালে জাপান এয়ারলাইনস ক্রিসমাসে ফ্লাইটে কেএফসি পরিবেশন করে নতুন মেনু যোগ করে। যদিও ২০১৮ সালে অ্যালার্জির কারণে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস তাদের বিখ্যাত চিনাবাদামের প্যাকেট বাতিল করে দেয়, ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ‘ফার্ম-টু-প্লেন’ অংশীদারত্ব করে খাবারের গুণমান ও টাটকা ভাবকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। আকাশযাত্রার খাবার এখন বিলাসিতা ছেড়ে দক্ষতা ও সতেজতার দিকে ঝুঁকছে।
সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি
ছবি সূত্র: মেট্রোপলিটন ওয়াশিংটন এয়ারপোর্টস অথরিটি

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে...
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে...
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে...
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

সাধারণত ধনী ও ফ্যাশনেবল ব্যক্তিদের একটি সামাজিক গোষ্ঠীকে বলা হয় জেট সেট। এরা ভ্রমণ করে বিশ্বজুড়ে এবং বেশির ভাগ সময় ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বা অবসর কাটায়। এই শব্দ ১৯৪৯ সালে চালু হয়েছিল এবং এটি ক্যাফে সোসাইটির একটি প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে...
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগে