অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
একজন নারী ও পুরুষের মধ্য়ে যখন প্রেম হয়, তখন তাঁদের মধ্য়ে অলিখিত কিছু প্রতিশ্রুতি থাকে। আজীবন একে অন্যের পাশে থাকা থেকে শুরু করে জীবনযাপনে একে অন্যের উপস্থিতিকে সাদরে গ্রহণ করার ব্যাপারটিও এখানে গুরুত্ব বহন করে। আবার দম্পতিদের কাছে বিয়ে একটি দলিলবদ্ধ চুক্তি। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনে শর্ত থাকে। এই শর্তগুলো না মানলে ঝামেলা তৈরি হয়। তবে সম্পর্ক সুন্দর রাখতে দুজনকেই যে পরস্পরের বোঝাপড়ার জায়গাটা ঠিক রাখতে হবে—এ কথা ভুললে চলবে না। খোলাখুলি কিছু প্রতিশ্রুতিও করে নেওয়া চাই।
১১ ফেব্রুয়ারি প্রমিস ডে বা প্রতিশ্রুতি দিবস। জেনে নিন প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কোন কোন প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হবেন।
কেউ কাউকে কটাক্ষ করব না
কথায় কথায় প্রিয় মানুষটির দোষ ধরা যাবে না। এতে আপনি সরাসরি মানুষটিকে আঘাত করছেন। নিজেকে ছাড়া অন্য কোনো মানুষকে পুরোপুরি বদলানো যায় না। তাঁর স্বভাব ও আচরণ কিছুমাত্রায় বদলানো যায়। তবে একই পথে জীবন গড়তে চাইলে খানিক বদল আনতে হবে দুজনকেই। আর বদলানোর দায়িত্ব দুজনের। কারণ, সম্পর্কটা দুজনের বিনিয়োগ।
যেকোনো সমস্যা সমাধানের সহজ উপায়, খুঁত না ধরে কথা শুরু করা। কী চান বা কী হলে সব সহজ হতো সেটা স্পষ্ট করে বলা। তোমার কাছে অমুক আচরণটা পেলে আমার ভালো লাগে, ভয় লাগে, রাগ লাগে, দুঃখ লাগে—এই তথ্যগুলো কেবল তাঁকে জানাবেন।
অপমানসূচক কথা বলব না
আমার জীবনসঙ্গীর মানসম্মান মানে আমার মানসম্মান। বিষয়টিকে এভাবে ভাবলে ঝামেলাটা মিটে যায়। অসম্মান, নিন্দা, গালাগালি, তাচ্ছিল্য, উপহাস কিংবা বিদ্রূপ করে হাসাহাসি করা যাবে না। নিজেকে বড় ভাবা যাবে না। নিজেদের সম্মান দেখাতে ও প্রশংসা করতে হবে। বিশেষ করে আত্মরক্ষায় নিজের সুবিধামতো আচরণ করা যাবে না। প্রত্যেকটা ঝামেলায় কিছুটা দায়ভার নিজেকেও নেওয়া শিখতে হবে।
নিজেদের আলাদাভাবে গুটিয়ে ফেলব না
সমস্যার সমাধান না করে আমরা নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে ফেলি, প্রিয় মানুষটি বা জীবনসঙ্গী যা-ই বলুক না কেন—সেটা আর স্পর্শ করে না। হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারলেও মন বাড়িয়ে ছুঁতে পারি না। তখনই সম্পর্কগুলোতে পরকীয়া ঢুকে পড়ে বা ঢুকে পড়ে তৃতীয় কোনো মানুষ। তবে এই গুটিয়ে ফেলা বিষয়টি শুরুতেই হয় না। প্রথম তিনটি ধাপ দিনের পর দিন ঘটলে গুটিয়ে ফেলা অভ্যাসে পরিণত হয়। আমরা একই ছাদের তলায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো যোজন যোজন দূরে থাকি। এই প্রাচীর ভাঙার উপায় হলো, ২০ মিনিট সময় নিন নিজেকে শান্ত করার জন্য। তারপর আবার খোলামেলা আলোচনায় ফিরুন।
ইতিবাচক ভারসাম্য বাড়াব
প্রিয় মানুষটির যত্ন করতে হবে। আমি তোমার পাশে আছি, তা বোঝানো খুব দরকার। কোথাও যাওয়ার আগে বলে যাওয়া অথবা সারা দিন কাজ করে কেউ ক্লান্ত হয়ে ফিরলে তাঁকে এক কাপ চা বানিয়ে দেওয়া; এ রকম ছোট কাজগুলো দুজনকেই করতে হবে। একজন করলে হবে না। পরস্পরের কাজে প্রশংসা করা, ধন্যবাদ বলা, মনোযোগ দেওয়া, সহযোগিতা করা সম্পর্কের জন্য বিনিয়োগ। একজন আরেকজনকে টেকেন ফর গ্রানটেড হিসেবে ধরে ধরে নেওয়া যাবে না।
গবেষণা বলছে, একটা নেতিবাচক আচরণ ইমোশনাল ব্যাংক থেকে পাঁচ গুণ ইতিবাচক আচরণের ওজন শেষ করে দেয়। অর্থাৎ একটা খারাপ আচরণ পাঁচটা ভালো আচরণকে নষ্ট করে দেয়। ফলে ৩৬৫ দিনের একদিন ডায়মন্ডের নেকলেস দেওয়ার থেকে প্রতিদিন ছোট ছোট যত্ন অনেক বেশি মূল্যবান। এগুলো নিজেদের সম্পর্কে ইনভেস্টের মতো। সম্পর্ক প্রতিদিন যত্ন করতে হয় চারা গাছের মতো। না হলে সম্পর্ক মরে যায়।
গোপনীয়তা থাকবে, তবে মিথ্যে নয়
সাধারণত প্রেমিক যুগল এবং দম্পতিরা গোপনীয়তা ও মিথ্যে কথা বলার মধ্য়ে সূক্ষ্ম যে ফারাক তা বুঝতে পারেন না। যুগল হলেও যেহেতু মানুষ দুটি ভিন্ন তাই গোপনীয়তার ব্যাপার থাকতেই পারে। তাই বলে দিনের পর দিন সঙ্গীকে মিথ্যে বলা যাবে না বা তাঁর অগোচরে এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে সম্পর্কটিকে অসম্মান করা হয়। দুজনকেই দুজনের ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
একজন নারী ও পুরুষের মধ্য়ে যখন প্রেম হয়, তখন তাঁদের মধ্য়ে অলিখিত কিছু প্রতিশ্রুতি থাকে। আজীবন একে অন্যের পাশে থাকা থেকে শুরু করে জীবনযাপনে একে অন্যের উপস্থিতিকে সাদরে গ্রহণ করার ব্যাপারটিও এখানে গুরুত্ব বহন করে। আবার দম্পতিদের কাছে বিয়ে একটি দলিলবদ্ধ চুক্তি। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনে শর্ত থাকে। এই শর্তগুলো না মানলে ঝামেলা তৈরি হয়। তবে সম্পর্ক সুন্দর রাখতে দুজনকেই যে পরস্পরের বোঝাপড়ার জায়গাটা ঠিক রাখতে হবে—এ কথা ভুললে চলবে না। খোলাখুলি কিছু প্রতিশ্রুতিও করে নেওয়া চাই।
১১ ফেব্রুয়ারি প্রমিস ডে বা প্রতিশ্রুতি দিবস। জেনে নিন প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কোন কোন প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হবেন।
কেউ কাউকে কটাক্ষ করব না
কথায় কথায় প্রিয় মানুষটির দোষ ধরা যাবে না। এতে আপনি সরাসরি মানুষটিকে আঘাত করছেন। নিজেকে ছাড়া অন্য কোনো মানুষকে পুরোপুরি বদলানো যায় না। তাঁর স্বভাব ও আচরণ কিছুমাত্রায় বদলানো যায়। তবে একই পথে জীবন গড়তে চাইলে খানিক বদল আনতে হবে দুজনকেই। আর বদলানোর দায়িত্ব দুজনের। কারণ, সম্পর্কটা দুজনের বিনিয়োগ।
যেকোনো সমস্যা সমাধানের সহজ উপায়, খুঁত না ধরে কথা শুরু করা। কী চান বা কী হলে সব সহজ হতো সেটা স্পষ্ট করে বলা। তোমার কাছে অমুক আচরণটা পেলে আমার ভালো লাগে, ভয় লাগে, রাগ লাগে, দুঃখ লাগে—এই তথ্যগুলো কেবল তাঁকে জানাবেন।
অপমানসূচক কথা বলব না
আমার জীবনসঙ্গীর মানসম্মান মানে আমার মানসম্মান। বিষয়টিকে এভাবে ভাবলে ঝামেলাটা মিটে যায়। অসম্মান, নিন্দা, গালাগালি, তাচ্ছিল্য, উপহাস কিংবা বিদ্রূপ করে হাসাহাসি করা যাবে না। নিজেকে বড় ভাবা যাবে না। নিজেদের সম্মান দেখাতে ও প্রশংসা করতে হবে। বিশেষ করে আত্মরক্ষায় নিজের সুবিধামতো আচরণ করা যাবে না। প্রত্যেকটা ঝামেলায় কিছুটা দায়ভার নিজেকেও নেওয়া শিখতে হবে।
নিজেদের আলাদাভাবে গুটিয়ে ফেলব না
সমস্যার সমাধান না করে আমরা নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে ফেলি, প্রিয় মানুষটি বা জীবনসঙ্গী যা-ই বলুক না কেন—সেটা আর স্পর্শ করে না। হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারলেও মন বাড়িয়ে ছুঁতে পারি না। তখনই সম্পর্কগুলোতে পরকীয়া ঢুকে পড়ে বা ঢুকে পড়ে তৃতীয় কোনো মানুষ। তবে এই গুটিয়ে ফেলা বিষয়টি শুরুতেই হয় না। প্রথম তিনটি ধাপ দিনের পর দিন ঘটলে গুটিয়ে ফেলা অভ্যাসে পরিণত হয়। আমরা একই ছাদের তলায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো যোজন যোজন দূরে থাকি। এই প্রাচীর ভাঙার উপায় হলো, ২০ মিনিট সময় নিন নিজেকে শান্ত করার জন্য। তারপর আবার খোলামেলা আলোচনায় ফিরুন।
ইতিবাচক ভারসাম্য বাড়াব
প্রিয় মানুষটির যত্ন করতে হবে। আমি তোমার পাশে আছি, তা বোঝানো খুব দরকার। কোথাও যাওয়ার আগে বলে যাওয়া অথবা সারা দিন কাজ করে কেউ ক্লান্ত হয়ে ফিরলে তাঁকে এক কাপ চা বানিয়ে দেওয়া; এ রকম ছোট কাজগুলো দুজনকেই করতে হবে। একজন করলে হবে না। পরস্পরের কাজে প্রশংসা করা, ধন্যবাদ বলা, মনোযোগ দেওয়া, সহযোগিতা করা সম্পর্কের জন্য বিনিয়োগ। একজন আরেকজনকে টেকেন ফর গ্রানটেড হিসেবে ধরে ধরে নেওয়া যাবে না।
গবেষণা বলছে, একটা নেতিবাচক আচরণ ইমোশনাল ব্যাংক থেকে পাঁচ গুণ ইতিবাচক আচরণের ওজন শেষ করে দেয়। অর্থাৎ একটা খারাপ আচরণ পাঁচটা ভালো আচরণকে নষ্ট করে দেয়। ফলে ৩৬৫ দিনের একদিন ডায়মন্ডের নেকলেস দেওয়ার থেকে প্রতিদিন ছোট ছোট যত্ন অনেক বেশি মূল্যবান। এগুলো নিজেদের সম্পর্কে ইনভেস্টের মতো। সম্পর্ক প্রতিদিন যত্ন করতে হয় চারা গাছের মতো। না হলে সম্পর্ক মরে যায়।
গোপনীয়তা থাকবে, তবে মিথ্যে নয়
সাধারণত প্রেমিক যুগল এবং দম্পতিরা গোপনীয়তা ও মিথ্যে কথা বলার মধ্য়ে সূক্ষ্ম যে ফারাক তা বুঝতে পারেন না। যুগল হলেও যেহেতু মানুষ দুটি ভিন্ন তাই গোপনীয়তার ব্যাপার থাকতেই পারে। তাই বলে দিনের পর দিন সঙ্গীকে মিথ্যে বলা যাবে না বা তাঁর অগোচরে এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে সম্পর্কটিকে অসম্মান করা হয়। দুজনকেই দুজনের ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
পানামার ছোট্ট পাহাড়ি শহর বোকে। এখানে কফিকে কেবল পানীয় বললে ভুল হবে। এটি একধরনের শিল্প এবং বিলাসিতার মিশ্রণ। বিলাসিতা বলছি; কারণ, এখানে উৎপাদিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি—গেইশা। যার প্রতি কেজি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এর কারণ শুধু কফির স্বাদ নয়, এর উৎপাদন উৎস, চাষের...
১২ মিনিট আগেথাইল্যান্ড ভ্রমণ মানে বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে ব্যাংক বা ফুকেট। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য উত্তরাঞ্চলের শহর চিয়াং মাই শহরকে স্বর্গ বললে ভুল হবে না। পাহাড়, নদী, অরণ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই চিয়াং মাই শহর। এই গন্তব্যে কখন যাওয়া সবচেয়ে ভালো, সেটি আগে থাক
১৪ ঘণ্টা আগেবিমানভাড়া দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগেজের চার্জ। এ ছাড়া আছে সিট নির্বাচনের জন্য ফি, এমনকি খাবার-পানীয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ। বিমানের বিজ্ঞাপনে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জ যোগ করার বিষয়টি বিমানযাত্রীদের জন্য বিশাল এক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের গ্রাউবুন্ডেন ক্যান্টনের ভেতরে অবস্থিত একটি শহর চুর; যাকে বলা হয় সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম শহর। প্রাগৈতিহাসিক কালের পদচিহ্ন, রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিধ্বনি এবং মধ্যযুগের মনোমুগ্ধকর আকর্ষণ নিয়ে এই শহর এক অনন্য ঐতিহ্য বহন করে।
১৬ ঘণ্টা আগে