ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
আপনার আশপাশে এমন ব্যক্তি পাবেন, যাঁদের প্রায় সবাই পছন্দ করেন। তাঁদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে সবাই সম্পর্ক সুন্দর রাখতে চায়। এর কারণ, তাঁরা যে সব সময় উচ্চ স্বরে কথা বলেন বা নিজেদের সম্পর্কে বেশি বলেন, তা নয়। শুধু আচরণ ও কথা বলার ভঙ্গির কারণে তাঁরা সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন। আপনার জীবনেও কিছু অভ্যাস যোগ করুন। তাতে অনেকে আপনাকে পছন্দ করবে। প্রথম ধাপে এ রকম ছয়টি অভ্যাস রপ্ত করার চেষ্টা করুন।
প্রতিশ্রুতি রাখা
বিশ্বাস তৈরি হয় দায়িত্বশীলতা দেখানোর মাধ্যমে। আপনি যা বলছেন, তা ঠিকমতো করছেন কি না, সেটি খেয়াল করুন। ধরুন, আপনি কাউকে বললেন, আজ একটি ই-মেইল পাঠাবেন বা কোনো কাজ শেষ করবেন। কাজটা যতই ছোট বা সহজ মনে হোক না কেন, যদি আপনি তা সময়মতো করেন, তাহলে অন্যরা আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে। ছোট কাজ হলেও প্রতিশ্রুতি ভাঙলে অন্যদের আস্থা কমে যায় এবং নিজের আত্মবিশ্বাসও কমতে পারে। প্রতিশ্রুতি রাখা মানে শুধু অন্যদের সময়ের প্রতি নয়, নিজের প্রতিও সম্মান দেখানো।
ভুল স্বীকার করা
ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যাঁরা সত্যিই দক্ষ বা সফল, তাঁরা কখনো দোষ চাপান না বা মিথ্যা গল্প বানান না। তাঁরা ভুল করলে সরাসরি বলেন এবং সেটি ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এভাবে তাঁরা ভুলকে সমস্যা নয়, এর সমাধান খুঁজে দেওয়ার পথ বের করেন। অন্যরা দেখে, তাঁরা দায়িত্বশীল ও বিনয়ী। সমস্যা স্বীকার করলে দ্রুত সমাধান বের করা যায়। আর বিভিন্ন অজুহাত দেখালে ঘটনা আরও খারাপের দিকে যায়। ফলে আপনার প্রতি অন্যরা আস্থা হারাতে থাকেন। তাই কোনো ভুল করলে সেটি স্বীকার করে সমাধানের চেষ্টা করুন।
সময়ের প্রতি গুরুত্ব দিন
কেউ কীভাবে সময়কে ব্যবহার করছে, সেটিই বলে দেয়, তিনি অন্যদের কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। যাঁরা সত্যিই দক্ষ, তাঁরা শুধু মুখে সম্মানের কথা বলেন না; সময় মেনে চলার মাধ্যমে সেটা প্রমাণ করেন। তাঁরা সব সময় নির্ধারিত সময়ের আগে হাজির হন, কাজ শেষ হলে দেরি না করে উঠে চলে যান। অযথা এক মিনিটও নষ্ট করেন না। এতে বোঝা যায়, তিনি সংগঠিত, সুনির্দিষ্ট আর আত্মনিয়ন্ত্রিত। আজকের ব্যস্ত দুনিয়ায় যেখানে সবাই দৌড়ের মধ্যে থাকে, সেখানে সময়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া আসলে অন্যকে সম্মান করার অন্যতম উপায়।
সীমা বজায় রাখা
সবকিছুতে ‘হ্যাঁ’ বলার বদলে জানা উচিত কখন ‘না’ বলতে হবে। সফল মানুষেরা দ্বিধাহীনভাবে অনেক কিছুকে সরাসরি ‘না’ বলে দেন। এতে বোঝা যায়, তাঁরা অযথা দায়িত্ব নিতে চান না। তাঁরা জানেন, প্রতিশ্রুতি দিলে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এভাবে সীমানা তৈরি করা মানুষকে অতিরিক্ত চাপ থেকে বাঁচায়। এমন আচরণ অন্যের কাছে আপনাকে সম্মানযোগ্য করে তুলবে।
গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া দেওয়া
উন্নতির জন্য প্রতিক্রিয়া খুবই জরুরি। তবে শুধু প্রতিক্রিয়া দিলেই হয় না, সেটা কীভাবে বলা হচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে কড়া ভাষায় বলেন, ‘এটা ভালো হয়নি।’ কিন্তু এভাবে না বলে বলা যেতে পারে, ‘আমার মনে হয়, এটা করলে কাজটা আরও ভালো হবে।’ এই ধরনের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া বোঝায়, সমালোচনা করার জন্য নয়, উন্নতির জন্যই কথা বলা হচ্ছে। এতে যার উদ্দেশে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হচ্ছে, তিনি সম্মানিত বোধ করেন এবং কাজটি আরও নিখুঁত করার সুযোগ পান। যখন মানুষ বুঝতে পারে, প্রতিক্রিয়ায় আন্তরিকতা আছে, তখন বিশ্বাস তৈরি হয়। ধীরে ধীরে এমন একটি পরিবেশ গড়ে ওঠে, যেখানে সবাই স্বচ্ছন্দে শিখতে পারে, ভুল করলে লজ্জা পায় না।
ছোট ছোট এই অভ্যাস প্রতিদিনের জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে। যাঁরা এগুলো নিয়মিত অনুশীলন করেন, তাঁরা স্বাভাবিকভাবে মানুষের কাছে প্রিয়, বিশ্বাসযোগ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদে সম্মানিত হয়ে ওঠেন।
সূত্র: সিএনবিসি ও ভেরিওয়েল মাইন্ড
আপনার আশপাশে এমন ব্যক্তি পাবেন, যাঁদের প্রায় সবাই পছন্দ করেন। তাঁদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে সবাই সম্পর্ক সুন্দর রাখতে চায়। এর কারণ, তাঁরা যে সব সময় উচ্চ স্বরে কথা বলেন বা নিজেদের সম্পর্কে বেশি বলেন, তা নয়। শুধু আচরণ ও কথা বলার ভঙ্গির কারণে তাঁরা সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন। আপনার জীবনেও কিছু অভ্যাস যোগ করুন। তাতে অনেকে আপনাকে পছন্দ করবে। প্রথম ধাপে এ রকম ছয়টি অভ্যাস রপ্ত করার চেষ্টা করুন।
প্রতিশ্রুতি রাখা
বিশ্বাস তৈরি হয় দায়িত্বশীলতা দেখানোর মাধ্যমে। আপনি যা বলছেন, তা ঠিকমতো করছেন কি না, সেটি খেয়াল করুন। ধরুন, আপনি কাউকে বললেন, আজ একটি ই-মেইল পাঠাবেন বা কোনো কাজ শেষ করবেন। কাজটা যতই ছোট বা সহজ মনে হোক না কেন, যদি আপনি তা সময়মতো করেন, তাহলে অন্যরা আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে। ছোট কাজ হলেও প্রতিশ্রুতি ভাঙলে অন্যদের আস্থা কমে যায় এবং নিজের আত্মবিশ্বাসও কমতে পারে। প্রতিশ্রুতি রাখা মানে শুধু অন্যদের সময়ের প্রতি নয়, নিজের প্রতিও সম্মান দেখানো।
ভুল স্বীকার করা
ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যাঁরা সত্যিই দক্ষ বা সফল, তাঁরা কখনো দোষ চাপান না বা মিথ্যা গল্প বানান না। তাঁরা ভুল করলে সরাসরি বলেন এবং সেটি ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এভাবে তাঁরা ভুলকে সমস্যা নয়, এর সমাধান খুঁজে দেওয়ার পথ বের করেন। অন্যরা দেখে, তাঁরা দায়িত্বশীল ও বিনয়ী। সমস্যা স্বীকার করলে দ্রুত সমাধান বের করা যায়। আর বিভিন্ন অজুহাত দেখালে ঘটনা আরও খারাপের দিকে যায়। ফলে আপনার প্রতি অন্যরা আস্থা হারাতে থাকেন। তাই কোনো ভুল করলে সেটি স্বীকার করে সমাধানের চেষ্টা করুন।
সময়ের প্রতি গুরুত্ব দিন
কেউ কীভাবে সময়কে ব্যবহার করছে, সেটিই বলে দেয়, তিনি অন্যদের কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। যাঁরা সত্যিই দক্ষ, তাঁরা শুধু মুখে সম্মানের কথা বলেন না; সময় মেনে চলার মাধ্যমে সেটা প্রমাণ করেন। তাঁরা সব সময় নির্ধারিত সময়ের আগে হাজির হন, কাজ শেষ হলে দেরি না করে উঠে চলে যান। অযথা এক মিনিটও নষ্ট করেন না। এতে বোঝা যায়, তিনি সংগঠিত, সুনির্দিষ্ট আর আত্মনিয়ন্ত্রিত। আজকের ব্যস্ত দুনিয়ায় যেখানে সবাই দৌড়ের মধ্যে থাকে, সেখানে সময়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া আসলে অন্যকে সম্মান করার অন্যতম উপায়।
সীমা বজায় রাখা
সবকিছুতে ‘হ্যাঁ’ বলার বদলে জানা উচিত কখন ‘না’ বলতে হবে। সফল মানুষেরা দ্বিধাহীনভাবে অনেক কিছুকে সরাসরি ‘না’ বলে দেন। এতে বোঝা যায়, তাঁরা অযথা দায়িত্ব নিতে চান না। তাঁরা জানেন, প্রতিশ্রুতি দিলে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এভাবে সীমানা তৈরি করা মানুষকে অতিরিক্ত চাপ থেকে বাঁচায়। এমন আচরণ অন্যের কাছে আপনাকে সম্মানযোগ্য করে তুলবে।
গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া দেওয়া
উন্নতির জন্য প্রতিক্রিয়া খুবই জরুরি। তবে শুধু প্রতিক্রিয়া দিলেই হয় না, সেটা কীভাবে বলা হচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে কড়া ভাষায় বলেন, ‘এটা ভালো হয়নি।’ কিন্তু এভাবে না বলে বলা যেতে পারে, ‘আমার মনে হয়, এটা করলে কাজটা আরও ভালো হবে।’ এই ধরনের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া বোঝায়, সমালোচনা করার জন্য নয়, উন্নতির জন্যই কথা বলা হচ্ছে। এতে যার উদ্দেশে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হচ্ছে, তিনি সম্মানিত বোধ করেন এবং কাজটি আরও নিখুঁত করার সুযোগ পান। যখন মানুষ বুঝতে পারে, প্রতিক্রিয়ায় আন্তরিকতা আছে, তখন বিশ্বাস তৈরি হয়। ধীরে ধীরে এমন একটি পরিবেশ গড়ে ওঠে, যেখানে সবাই স্বচ্ছন্দে শিখতে পারে, ভুল করলে লজ্জা পায় না।
ছোট ছোট এই অভ্যাস প্রতিদিনের জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে। যাঁরা এগুলো নিয়মিত অনুশীলন করেন, তাঁরা স্বাভাবিকভাবে মানুষের কাছে প্রিয়, বিশ্বাসযোগ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদে সম্মানিত হয়ে ওঠেন।
সূত্র: সিএনবিসি ও ভেরিওয়েল মাইন্ড
শাড়ি পরতে ভালোবাসেন। অথচ মায়ের সাহায্য ছাড়া তা হয়ে ওঠে কঠিন! ধরুন, উৎসবের দিন, মা-বোন সবাই ভীষণ ব্যস্ত। সহায়তা পাওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই; বরং তাতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে রকম সময় কি শখ করে কিনে আনা সুন্দর শাড়িটা পরা হবে না? এত এত ভাঁজ, পিন, কুঁচি এবং লম্বা কাপড় দেখে মনে হতে পারে...
২৬ মিনিট আগেদিনের শেষটা কত সুন্দরভাবে করতে পারছেন, তার ওপর নির্ভর করে সকালটা কত সুন্দর হবে। ত্বকের বেলায়ও একই নিয়ম। রোদ, গরম, এসির হাওয়া, দূষণ, কাজের চাপ—সবকিছুর ধকল সামলে ত্বক কতটা ভালো থাকবে, তা নির্ভর করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাকে কত ভালোভাবে পরিষ্কার করছেন ও পুষ্টির জোগান দিচ্ছেন, তার ওপরে।
১ ঘণ্টা আগেঋতুর হিসাবে এটি মূলত শরৎকাল। এ সময়ের বৃষ্টির চরিত্র খানিক তরল। অর্থাৎ হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি তো আবার খাঁ খাঁ রোদ। এই যেমন কয়েক দিন ধরে প্রায় সারা দেশে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি। খুব সহজে আবহাওয়ার এই খেয়ালি আচরণের ছাপ পড়ে মানুষের শরীরে, বিশেষ করে ত্বক ও চুলে।
২ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে