রিদা মুনাম হক
পুতুলের নাম লাবুবু। অনেকে বলছেন, ‘আমরা ছোটবেলায় মিষ্টি দেখতে বারবি পুতুল দিয়ে খেলতাম। আর এখনকার বাচ্চারা বিদঘুটে লাবুবু নিয়ে খেলে!’ তবে লাবুবুর চেহারা নিয়ে মজা করলে আপনি ট্রেন্ড থেকে পিছিয়ে যাবেন।
লাবুবু নিছক পুতুল নয়; রাক্ষস কিংবা খোক্কসের ছোটখাটো কার্টুন সংস্করণের মতো দেখতে ওই পুতুল এখন স্ট্যাটাসের ব্যাপারও। মানে, এই পুতুল ঘরে নেই মানে আপনি ট্রেন্ড ফলো করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আবার এই পুতুল নেই মানে, আপনার অত খরচ করার সামর্থ্যও যেন নেই! কারণ, বিশ্বের দামি অনেক ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন, ঘড়ি ও গয়নার মতো এর দামও আকাশছোঁয়া। কারণ, এই জুনেই লাবুবু পুতুল নিলামে বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকায়! এই ট্রেন্ডে কেবল সাধারণ জেন-জিরাই নন, গা ভাসিয়েছেন মার্কিন পপতারকা রিহানা, ডুয়া লিপা থেকে শুরু ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহাম। এমনকি, হালে ভারতীয় অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাও উইম্বলডনে টেনিস দেখতে হাজির হয়েছিলেন চার-চারটি অমন পুতুল ব্যাগে আটকে। কিন্তু কেন রাক্ষসের মতো দেখতে পুতুলটি এত জনপ্রিয় হলো, কোথা থেকেই-বা এল, তা জানেন কি?
লাবুবুকে বিশ্ব চিনল কী করে
২০২৪ সালের এপ্রিলে কে-পপ ব্যান্ড ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’-এর শিল্পী লিসা লাবুবু পুতুল নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিই লাবুবুকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৯ সালে বাজারে এলেও এত বছরে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি বিদঘুটে দেখতে এই পুতুলগুলো।
লাবুবু, কোথায় তোমার দেশ
হংকংয়ের শিল্পী ক্যাসিং লুংয়ের হাতে লাবুবুর জন্ম। লুংয়ের বেড়ে ওঠা নরওয়েতে। ফলে সেখানেই লাবুবুর সৃষ্টি। লুং যখন নরওয়ে আসেন, তখন তাঁর বয়স মোটে সাত। ফলে নিজের দেশের ভাষার সঙ্গে নরওয়ের ভাষার মিল না খুঁজে পেয়ে স্কুলে বেশ বেগই পেতে হয়েছিল তাঁর। স্কুলের শিক্ষকেরা অবশ্য লুংয়ের অবস্থা বুঝতে পেরে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়েছিলেন। ছোট্ট লংকে শিক্ষকেরা নরওয়ের লোকগাথার পিক্টোরিয়াল বই উপহার দিতে শুরু করেন, যাতে ভাষার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। সেই বইয়েরই রাক্ষস, খোক্কস, ভূত, প্রেত ও অলৌকিকের দুনিয়াকে ভালোবেসে ফেলে ছোট্ট ক্যাসিং লুং। বই উল্টেই ক্ষান্ত হলো না ছোট্ট লুং; নিজেও আঁকতে লাগল সেসব রাক্ষস আর খোক্কসের। আর বড় হয়ে?
বড় হয়ে চিত্রশিল্পকেই পেশা হিসেবে নিলেন ক্যাসিং লুং। অবসর পেলেই খাতা আর পেনসিল নিয়ে আঁকতে বসতেন ছোটবেলায় পড়া নরওয়ের লোকগাথার অদ্ভুত চরিত্রদের। কেউ অদ্ভুতদর্শন বামন, তো কেউ আবার জঙ্গলের ভূত। আবার ফিউশন করে কয়েক রকমের ভূতের চেহারা এক করে সৃষ্টি করতেন নতুন কোনো চরিত্র! ২০১৫ সালে সেই সব চরিত্রের আদলেই তৈরি করলেন পুতুলের সিরিজ। নাম দিলেন মনস্টার কার্নিভ্যাল। বিদঘুটে দেখতে, ধারালো দাঁতে ফোটানো রহস্যময় দুষ্টু হাসির সেই পুতুলদের নাম রাখা হলো লাবুবু। কিন্তু মিষ্টি দেখতে পুতুলদের ভিড়ে অদ্ভুতদর্শন ওই পুতুল তখন বড্ড বেমানানই রয়ে গেল।
২০১৯ সালে অন্য একটি চায়নিজ খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পপ মার্ট লাবুবু বাজারজাত করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বিদঘুটে আর রহস্যময় পুতুলকে আরও রহস্যময় বানাতে তারা লাবুবুর জন্য তৈরি করে ‘ব্লাইন্ড বক্স’। যেখানে প্যাকেট না খোলা পর্যন্ত ক্রেতা বুঝতে পারবেন না তাঁর ভাগ্যে লাবুবুর কোন সংস্করণ জুটতে চলেছে। তত দিনে আরও নানা রকমের লাবুবু বানিয়ে ফেলেছেন ক্যাসিং আর পপ মার্ট। ধীরে ধীরে অদ্ভুতুরে এই পুতুল নিয়ে বাড়তে শুরু করে আগ্রহ। ছোটদের পাশাপাশি তরুণেরাও আগ্রহ নিয়ে এই পুতুল কিনতে শুরু করে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির লাবুবু কিনতে বাড়তি খরচও করতে শুরু করেন ট্রেন্ড ফলোয়াররা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের এপ্রিলে ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে লাবুবু। আর এখন লাবুবু হলো ‘গ্লোবাল সেনসেশন’।
দরদাম
লাবুবু ৮ সেন্টিমিটার থেকে ১৩১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। বিশ্বে মোটামুটি ৩০০ রকমের লাবুবু পুতুল পাওয়া যায়। প্রতিটির গায়ের রং, চোখের রং, দাঁতের রং আলাদা। ফলে পুতুলগুলোর দাম নির্ভর করে নকশা ও আকৃতির ওপর। সাধারণত সবচেয়ে ছোট লাবুবুর দাম ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে শুরু। বড়গুলোর দাম প্রায় লাখ টাকা। তবে দাম কিন্তু এখানেই আটকে নেই। বিশেষ ধরনের লাবুবুর দাম আবার সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ৬ লাখ, এমনকি দেড় কোটি টাকায়ও সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাবুবু বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বাস না হলে গুগল করে দেখুন!
সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান, এজি সেন্ট্রাল ও অন্যান্য
পুতুলের নাম লাবুবু। অনেকে বলছেন, ‘আমরা ছোটবেলায় মিষ্টি দেখতে বারবি পুতুল দিয়ে খেলতাম। আর এখনকার বাচ্চারা বিদঘুটে লাবুবু নিয়ে খেলে!’ তবে লাবুবুর চেহারা নিয়ে মজা করলে আপনি ট্রেন্ড থেকে পিছিয়ে যাবেন।
লাবুবু নিছক পুতুল নয়; রাক্ষস কিংবা খোক্কসের ছোটখাটো কার্টুন সংস্করণের মতো দেখতে ওই পুতুল এখন স্ট্যাটাসের ব্যাপারও। মানে, এই পুতুল ঘরে নেই মানে আপনি ট্রেন্ড ফলো করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আবার এই পুতুল নেই মানে, আপনার অত খরচ করার সামর্থ্যও যেন নেই! কারণ, বিশ্বের দামি অনেক ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন, ঘড়ি ও গয়নার মতো এর দামও আকাশছোঁয়া। কারণ, এই জুনেই লাবুবু পুতুল নিলামে বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকায়! এই ট্রেন্ডে কেবল সাধারণ জেন-জিরাই নন, গা ভাসিয়েছেন মার্কিন পপতারকা রিহানা, ডুয়া লিপা থেকে শুরু ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহাম। এমনকি, হালে ভারতীয় অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাও উইম্বলডনে টেনিস দেখতে হাজির হয়েছিলেন চার-চারটি অমন পুতুল ব্যাগে আটকে। কিন্তু কেন রাক্ষসের মতো দেখতে পুতুলটি এত জনপ্রিয় হলো, কোথা থেকেই-বা এল, তা জানেন কি?
লাবুবুকে বিশ্ব চিনল কী করে
২০২৪ সালের এপ্রিলে কে-পপ ব্যান্ড ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’-এর শিল্পী লিসা লাবুবু পুতুল নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিই লাবুবুকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৯ সালে বাজারে এলেও এত বছরে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি বিদঘুটে দেখতে এই পুতুলগুলো।
লাবুবু, কোথায় তোমার দেশ
হংকংয়ের শিল্পী ক্যাসিং লুংয়ের হাতে লাবুবুর জন্ম। লুংয়ের বেড়ে ওঠা নরওয়েতে। ফলে সেখানেই লাবুবুর সৃষ্টি। লুং যখন নরওয়ে আসেন, তখন তাঁর বয়স মোটে সাত। ফলে নিজের দেশের ভাষার সঙ্গে নরওয়ের ভাষার মিল না খুঁজে পেয়ে স্কুলে বেশ বেগই পেতে হয়েছিল তাঁর। স্কুলের শিক্ষকেরা অবশ্য লুংয়ের অবস্থা বুঝতে পেরে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়েছিলেন। ছোট্ট লংকে শিক্ষকেরা নরওয়ের লোকগাথার পিক্টোরিয়াল বই উপহার দিতে শুরু করেন, যাতে ভাষার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। সেই বইয়েরই রাক্ষস, খোক্কস, ভূত, প্রেত ও অলৌকিকের দুনিয়াকে ভালোবেসে ফেলে ছোট্ট ক্যাসিং লুং। বই উল্টেই ক্ষান্ত হলো না ছোট্ট লুং; নিজেও আঁকতে লাগল সেসব রাক্ষস আর খোক্কসের। আর বড় হয়ে?
বড় হয়ে চিত্রশিল্পকেই পেশা হিসেবে নিলেন ক্যাসিং লুং। অবসর পেলেই খাতা আর পেনসিল নিয়ে আঁকতে বসতেন ছোটবেলায় পড়া নরওয়ের লোকগাথার অদ্ভুত চরিত্রদের। কেউ অদ্ভুতদর্শন বামন, তো কেউ আবার জঙ্গলের ভূত। আবার ফিউশন করে কয়েক রকমের ভূতের চেহারা এক করে সৃষ্টি করতেন নতুন কোনো চরিত্র! ২০১৫ সালে সেই সব চরিত্রের আদলেই তৈরি করলেন পুতুলের সিরিজ। নাম দিলেন মনস্টার কার্নিভ্যাল। বিদঘুটে দেখতে, ধারালো দাঁতে ফোটানো রহস্যময় দুষ্টু হাসির সেই পুতুলদের নাম রাখা হলো লাবুবু। কিন্তু মিষ্টি দেখতে পুতুলদের ভিড়ে অদ্ভুতদর্শন ওই পুতুল তখন বড্ড বেমানানই রয়ে গেল।
২০১৯ সালে অন্য একটি চায়নিজ খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পপ মার্ট লাবুবু বাজারজাত করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বিদঘুটে আর রহস্যময় পুতুলকে আরও রহস্যময় বানাতে তারা লাবুবুর জন্য তৈরি করে ‘ব্লাইন্ড বক্স’। যেখানে প্যাকেট না খোলা পর্যন্ত ক্রেতা বুঝতে পারবেন না তাঁর ভাগ্যে লাবুবুর কোন সংস্করণ জুটতে চলেছে। তত দিনে আরও নানা রকমের লাবুবু বানিয়ে ফেলেছেন ক্যাসিং আর পপ মার্ট। ধীরে ধীরে অদ্ভুতুরে এই পুতুল নিয়ে বাড়তে শুরু করে আগ্রহ। ছোটদের পাশাপাশি তরুণেরাও আগ্রহ নিয়ে এই পুতুল কিনতে শুরু করে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির লাবুবু কিনতে বাড়তি খরচও করতে শুরু করেন ট্রেন্ড ফলোয়াররা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের এপ্রিলে ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে লাবুবু। আর এখন লাবুবু হলো ‘গ্লোবাল সেনসেশন’।
দরদাম
লাবুবু ৮ সেন্টিমিটার থেকে ১৩১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। বিশ্বে মোটামুটি ৩০০ রকমের লাবুবু পুতুল পাওয়া যায়। প্রতিটির গায়ের রং, চোখের রং, দাঁতের রং আলাদা। ফলে পুতুলগুলোর দাম নির্ভর করে নকশা ও আকৃতির ওপর। সাধারণত সবচেয়ে ছোট লাবুবুর দাম ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে শুরু। বড়গুলোর দাম প্রায় লাখ টাকা। তবে দাম কিন্তু এখানেই আটকে নেই। বিশেষ ধরনের লাবুবুর দাম আবার সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ৬ লাখ, এমনকি দেড় কোটি টাকায়ও সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাবুবু বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বাস না হলে গুগল করে দেখুন!
সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান, এজি সেন্ট্রাল ও অন্যান্য
ভ্রমণপিয়াসিদের কাছে অজানাকে জানতে চাওয়ার একটা তীব্র ইচ্ছা কাজ করে। এমন কোথাও যাওয়ার নেশা কাজ করে, যেখানে আগে কেউ যায়নি বা খুব কম মানুষ গেছে। ভ্রমণের জন্য থাইল্যান্ড জনপ্রিয় একটি গন্তব্য। সবুজে ঘেরা প্রকৃতি, স্বর্গীয় সৈকত এবং জিবে জল আনা খাবারের জন্য বিশ্বজুড়ে এর খ্যাতি বেড়েই চলেছে।
১০ মিনিট আগেলুক্সেমবার্গ, একটি সমৃদ্ধ এবং বহুভাষিক দেশ। পশ্চিম ইউরোপের এই ছোট্ট দেশটি বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং জার্মানি দ্বারা পরিবেষ্টিত। এটি বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত। এর শক্তিশালী অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো ব্যাংকিং, আর্থিক পরিষেবা এবং ইস্পাত শিল্প।
২ ঘণ্টা আগেবার্গার, পিৎজা, চিকেন ফ্রাই; অর্থাৎ ফাস্ট ফুড নামে পরিচিত খাবারগুলো ছাড়া পৃথিবীর কথা চিন্তা করলে সবকিছু পানসে লাগতে থাকবে। তাই তো? অথচ এগুলোর বিরুদ্ধে সারাক্ষণ নানান কথা শুনতে হয় আমাদের। হ্যাঁ, পৃথিবীতে ফাস্ট ফুডের অস্তিত্বকে যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি এর নেতিবাচকতাকেও।
৪ ঘণ্টা আগেবাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন, চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগে