ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
‘মেধা’ শুধু আইকিউ বা ডিগ্রির মাপকাঠিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি জাতির সংস্কৃতি, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা, গবেষণার প্রতি নিষ্ঠা এবং শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতির সম্মিলিত প্রকাশ। সম্প্রতি ‘ওয়ার্ল্ড অব কার্ড গেমস’ বিশ্বে উল্লেখযোগ্য স্মার্ট ১০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে নোবেল প্রাইজ অর্গানাইজেশন, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, উইকে অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস, ইউএস সেন্সাস ব্যুরোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক ডেটা। তবে এই র্যাংকিং কোনো চূড়ান্ত মানদণ্ড নয়; বরং এক নতুন আলোচনার সূচনা বলা যেতে পারে।
তালিকায় উল্লিখিত একেক দেশের আছে নিজস্ব পদ্ধতি ও প্রেক্ষাপট, যা তাদের শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক সাফল্যকে প্রভাবিত করে। তবে এই তালিকা আমাদের শেখায়, বুদ্ধি, উদ্ভাবন ও শিক্ষা অগ্রাধিকার পেলে একটি জাতি সত্যিই হয়ে উঠতে পারে বুদ্ধিদীপ্ত। এই স্মার্ট ১০টি দেশের তালিকায় প্রথমে আছে সুইজারল্যান্ড। এরপর যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড। এ তালিকার প্রথম ৫টি দেশের তথ্য রইল এখানে।
গবেষণার প্রধান সূচকগুলো
এই গবেষণায় বৈশ্বিকভাবে কোন দেশ কতটা ‘বুদ্ধিমান’, তা নির্ধারণে কয়েকটি মূল বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কোন দেশের ব্যক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনীর নোবেল পুরস্কার মনোনয়নের সংখ্যা, লেন বেকার স্কেল অনুযায়ী দেশগুলোর মানুষের গড় আইকিউ আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীর সংখ্যা। প্রতিটি সূচককে শূন্য থেকে ১০০-এর মধ্যে একটি স্কেলে রূপান্তর করা হয়েছে। এরপর এই মানগুলো সমন্বয় করে একটি স্মার্ট ক্যাপিটাল স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে নোবেল প্রাইজে মনোনয়ন ও শিক্ষাগত অর্জনকে এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
তথ্যের উৎস
গবেষণায় ব্যবহৃত প্রধান তথ্যসূত্রের মধ্যে আছে নোবেল প্রাইজ অর্গানাইজেশন। প্রতিষ্ঠানটির ১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মনোনয়নের ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ থেকে ২০২৪ সালের গড় আইকিউ স্কোরগুলো বিবেচনায় আনা হয়েছে; পাশাপাশি বিশ্বে সর্বশেষ পাওয়া উচ্চশিক্ষার হারসংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য থেকে। যেসব দেশের তথ্য অসম্পূর্ণ বা সীমিত ছিল, সেসব ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড বিশ্বে সবচেয়ে স্মার্ট দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। দেশটির স্কোর ৯২ দশমিক শূন্য ২। দেশটিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯টি। এই দেশের মানুষের গড় আইকিউ ৯৯ দশমিক ২৪। দেশটির ৪০ দশমিক দশমিক ২ শতাংশ মানুষের ব্যাচেলর ডিগ্রি ও ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ মানুষের মাস্টার্স ডিগ্রি আছে। উদ্ভাবনী চেতনার জন্য খ্যাত এই দেশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলায় যুগান্তকারী অবদান রেখেছে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের প্রতি সুইজারল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি অটল। আর বিষয়টি বিশ্বের বুকে তাদের অগ্রগতিতে অন্যতম নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। সুইজারল্যান্ডের দূরদর্শী নীতিমালা ও উৎকর্ষের প্রতি দায়বদ্ধতা বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এবং দেশটিকে সৃজনশীলতা ও অগ্রগতির বাতিঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
যুক্তরাজ্য
প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং শতাব্দীপ্রাচীন একাডেমিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রস্থল হিসেবে যুক্তরাজ্য বিশ্বজুড়ে জ্ঞানের অন্যতম শীর্ষ স্থান। সাহিত্য, বিজ্ঞান ও রাজনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক মহান মনের বিকাশ ঘটেছে এই দেশে। যুক্তরাজ্য সমালোচনামূলক চিন্তা ও সৃজনশীল সমস্যা সমাধানে বিনিয়োগ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টিই দেশটিকে বিশ্বব্যাপী নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। স্মার্টনেস বা বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় দেশটির স্কোর ৮৯ দশমিক ৪০। যুক্তরাজ্যের নোবেল পুরস্কার মনোনয়নের সংখ্যা ২ হাজার ৩৯৩টি এবং নোবেল মনোনয়নপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৮টি। যুক্তরাজ্যের মানুষের গড় আইকিউ ৯৯ দশমিক ১২। ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ মানুষ সেখানে স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের হার ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র
বৈচিত্র্যময় ধারণা ও চিন্তার মিলনস্থল যুক্তরাষ্ট্র। সারা বিশ্ব থেকে আসা মানুষ ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে দেশটিতে। এর উদ্যোক্তাভিত্তিক সংস্কৃতি ও বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিশাল নেটওয়ার্ক একে গড়ে তুলেছে বুদ্ধিবৃত্তিক এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনী সংস্কৃতি, মুক্তচিন্তার পরিসর ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা তাদের মেধাবিকাশে সহায়ক। বিশ্বের ‘স্মার্ট’ দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয়। এর স্কোর ৮৯ দশমিক ১৮। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণার পীঠস্থান এই দেশে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী মানুষের সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর মাস্টার্স ডিগ্রিধারী মানুষের সংখ্যা ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে নোবেল মনোনয়নের সংখ্যা ৫ হাজার ৭১৭টি। দেশটির মানুষের গড় আইকিউ ৯৭ দশমিক ৪৩।
নেদারল্যান্ডস
প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সুপরিচিত নেদারল্যান্ডস। তারা টেকসই উন্নয়ন, নকশা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেছে। সহযোগিতামূলক সংস্কৃতি ও নতুন চিন্তাধারার প্রতি খোলামেলা মনোভাব দেশটিকে দূরদর্শী উদ্যোগের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডস ৮৭ দশমিক ৩০ সামগ্রিক স্কোর অর্জন করেছে। দেশটির আছে ৫৫০টি নোবেল পুরস্কার মনোনয়ন। তাদের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এখানে মানুষের গড় আইকিউ ১০০ দশমিক ৭৪ এবং জনসংখ্যার ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ ব্যাচেলর ডিগ্রি ও ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ মানুষ মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
বেলজিয়াম
বেলজিয়াম আছে পঞ্চম স্থানে। একটি বহুভাষিক জনগোষ্ঠী ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা দেশ এটি। এই বিষয় দুটি দেশটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিময়ের কেন্দ্র এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। শিল্প, দর্শন ও কূটনীতিতে অবদানের জন্য সুপরিচিত বেলজিয়াম একটি সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে। বিষয়টি তাদের জ্ঞানচর্চা ও মানসিক বিকাশকে উৎসাহিত করে। দেশটির সামগ্রিক স্কোর ৮৬ দশমিক ৫৮। দেশটির নোবেল পুরস্কারের ৪৯৫টি মনোনয়ন রয়েছে এবং ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় নোবেল মনোনয়ন পেয়েছে। দেশটির মানুষের গড় আইকিউ ৯৭ দশমিক ৪৯ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ মানুষ মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
সূত্র: ফোর্বস, স্টার্স ইনসাইডার
‘মেধা’ শুধু আইকিউ বা ডিগ্রির মাপকাঠিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি জাতির সংস্কৃতি, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা, গবেষণার প্রতি নিষ্ঠা এবং শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতির সম্মিলিত প্রকাশ। সম্প্রতি ‘ওয়ার্ল্ড অব কার্ড গেমস’ বিশ্বে উল্লেখযোগ্য স্মার্ট ১০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে নোবেল প্রাইজ অর্গানাইজেশন, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, উইকে অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস, ইউএস সেন্সাস ব্যুরোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক ডেটা। তবে এই র্যাংকিং কোনো চূড়ান্ত মানদণ্ড নয়; বরং এক নতুন আলোচনার সূচনা বলা যেতে পারে।
তালিকায় উল্লিখিত একেক দেশের আছে নিজস্ব পদ্ধতি ও প্রেক্ষাপট, যা তাদের শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক সাফল্যকে প্রভাবিত করে। তবে এই তালিকা আমাদের শেখায়, বুদ্ধি, উদ্ভাবন ও শিক্ষা অগ্রাধিকার পেলে একটি জাতি সত্যিই হয়ে উঠতে পারে বুদ্ধিদীপ্ত। এই স্মার্ট ১০টি দেশের তালিকায় প্রথমে আছে সুইজারল্যান্ড। এরপর যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড। এ তালিকার প্রথম ৫টি দেশের তথ্য রইল এখানে।
গবেষণার প্রধান সূচকগুলো
এই গবেষণায় বৈশ্বিকভাবে কোন দেশ কতটা ‘বুদ্ধিমান’, তা নির্ধারণে কয়েকটি মূল বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কোন দেশের ব্যক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনীর নোবেল পুরস্কার মনোনয়নের সংখ্যা, লেন বেকার স্কেল অনুযায়ী দেশগুলোর মানুষের গড় আইকিউ আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীর সংখ্যা। প্রতিটি সূচককে শূন্য থেকে ১০০-এর মধ্যে একটি স্কেলে রূপান্তর করা হয়েছে। এরপর এই মানগুলো সমন্বয় করে একটি স্মার্ট ক্যাপিটাল স্কোর নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে নোবেল প্রাইজে মনোনয়ন ও শিক্ষাগত অর্জনকে এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
তথ্যের উৎস
গবেষণায় ব্যবহৃত প্রধান তথ্যসূত্রের মধ্যে আছে নোবেল প্রাইজ অর্গানাইজেশন। প্রতিষ্ঠানটির ১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মনোনয়নের ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ থেকে ২০২৪ সালের গড় আইকিউ স্কোরগুলো বিবেচনায় আনা হয়েছে; পাশাপাশি বিশ্বে সর্বশেষ পাওয়া উচ্চশিক্ষার হারসংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য থেকে। যেসব দেশের তথ্য অসম্পূর্ণ বা সীমিত ছিল, সেসব ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড বিশ্বে সবচেয়ে স্মার্ট দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। দেশটির স্কোর ৯২ দশমিক শূন্য ২। দেশটিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৯টি। এই দেশের মানুষের গড় আইকিউ ৯৯ দশমিক ২৪। দেশটির ৪০ দশমিক দশমিক ২ শতাংশ মানুষের ব্যাচেলর ডিগ্রি ও ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ মানুষের মাস্টার্স ডিগ্রি আছে। উদ্ভাবনী চেতনার জন্য খ্যাত এই দেশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলায় যুগান্তকারী অবদান রেখেছে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি এবং গবেষণা ও উন্নয়নের প্রতি সুইজারল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি অটল। আর বিষয়টি বিশ্বের বুকে তাদের অগ্রগতিতে অন্যতম নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। সুইজারল্যান্ডের দূরদর্শী নীতিমালা ও উৎকর্ষের প্রতি দায়বদ্ধতা বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এবং দেশটিকে সৃজনশীলতা ও অগ্রগতির বাতিঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
যুক্তরাজ্য
প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং শতাব্দীপ্রাচীন একাডেমিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রস্থল হিসেবে যুক্তরাজ্য বিশ্বজুড়ে জ্ঞানের অন্যতম শীর্ষ স্থান। সাহিত্য, বিজ্ঞান ও রাজনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক মহান মনের বিকাশ ঘটেছে এই দেশে। যুক্তরাজ্য সমালোচনামূলক চিন্তা ও সৃজনশীল সমস্যা সমাধানে বিনিয়োগ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টিই দেশটিকে বিশ্বব্যাপী নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। স্মার্টনেস বা বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় দেশটির স্কোর ৮৯ দশমিক ৪০। যুক্তরাজ্যের নোবেল পুরস্কার মনোনয়নের সংখ্যা ২ হাজার ৩৯৩টি এবং নোবেল মনোনয়নপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৮টি। যুক্তরাজ্যের মানুষের গড় আইকিউ ৯৯ দশমিক ১২। ৩৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ মানুষ সেখানে স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের হার ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র
বৈচিত্র্যময় ধারণা ও চিন্তার মিলনস্থল যুক্তরাষ্ট্র। সারা বিশ্ব থেকে আসা মানুষ ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে দেশটিতে। এর উদ্যোক্তাভিত্তিক সংস্কৃতি ও বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিশাল নেটওয়ার্ক একে গড়ে তুলেছে বুদ্ধিবৃত্তিক এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনী সংস্কৃতি, মুক্তচিন্তার পরিসর ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজব্যবস্থা তাদের মেধাবিকাশে সহায়ক। বিশ্বের ‘স্মার্ট’ দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয়। এর স্কোর ৮৯ দশমিক ১৮। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণার পীঠস্থান এই দেশে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী মানুষের সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর মাস্টার্স ডিগ্রিধারী মানুষের সংখ্যা ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে নোবেল মনোনয়নের সংখ্যা ৫ হাজার ৭১৭টি। দেশটির মানুষের গড় আইকিউ ৯৭ দশমিক ৪৩।
নেদারল্যান্ডস
প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সুপরিচিত নেদারল্যান্ডস। তারা টেকসই উন্নয়ন, নকশা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেছে। সহযোগিতামূলক সংস্কৃতি ও নতুন চিন্তাধারার প্রতি খোলামেলা মনোভাব দেশটিকে দূরদর্শী উদ্যোগের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডস ৮৭ দশমিক ৩০ সামগ্রিক স্কোর অর্জন করেছে। দেশটির আছে ৫৫০টি নোবেল পুরস্কার মনোনয়ন। তাদের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এখানে মানুষের গড় আইকিউ ১০০ দশমিক ৭৪ এবং জনসংখ্যার ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ ব্যাচেলর ডিগ্রি ও ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ মানুষ মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
বেলজিয়াম
বেলজিয়াম আছে পঞ্চম স্থানে। একটি বহুভাষিক জনগোষ্ঠী ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা দেশ এটি। এই বিষয় দুটি দেশটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিময়ের কেন্দ্র এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। শিল্প, দর্শন ও কূটনীতিতে অবদানের জন্য সুপরিচিত বেলজিয়াম একটি সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে। বিষয়টি তাদের জ্ঞানচর্চা ও মানসিক বিকাশকে উৎসাহিত করে। দেশটির সামগ্রিক স্কোর ৮৬ দশমিক ৫৮। দেশটির নোবেল পুরস্কারের ৪৯৫টি মনোনয়ন রয়েছে এবং ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় নোবেল মনোনয়ন পেয়েছে। দেশটির মানুষের গড় আইকিউ ৯৭ দশমিক ৪৯ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ মানুষ মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
সূত্র: ফোর্বস, স্টার্স ইনসাইডার
স্থাপত্যের জগতে এখন সম্ভবত জাপান যুগ চলছে। কিংগো কুমা, টাডাও আন্দো, শিগেরু বানসহ আধুনিক স্থাপত্যের গুরুদের সাতটি অনন্য সৃষ্টি যেন সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি একসঙ্গে মিলে অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা তৈরি করছে জাপানিজ আধুনিক স্থাপত্যকলায়।
৪০ মিনিট আগেভিয়েতনামের শহর থেকে গ্রাম, সমুদ্র থেকে পাহাড়—সব জায়গায় মোটরবাইক চালিয়ে ঘুরে দেখা এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। নিজের গতিতে ভিয়েতনাম ঘুরে দেখতে চাইলে মোটরবাইক হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। তবে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ও প্রস্তুতি জানা জরুরি।
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিনের ছোট ছোট ভুল অভ্যাস আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না, নিয়মিত খাওয়ার সময়ে কত রকম অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে উঠেছে। সেই সাধারণ ভুলগুলো জানা থাকলে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। আর জানা না থাকলে জেনে নিয়ে তারপর বাদ দিন।
১৮ ঘণ্টা আগেঅবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার যাত্রা শুরু হলো। নাইরোবির কোলাহলমুখর শহরের ব্যস্ততা পেছনে ফেলে আমরা এগোলাম উত্তরের দিকে—রহস্যময় লেক তুরকানার উদ্দেশে। কেনিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের কাউন্টি তুরকানা। লোড়ওয়ার সেই কাউন্টি বা রাজ্যের সদর দপ্তর, মরুভূমির শেষ প্রহরী ও লেক তুরকানার প্রবেশপথ।
১ দিন আগে