ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মানুষ স্বভাবতই নতুন কিছু জানতে ও দেখতে ভালোবাসে। সেই ভালোবাসার টানে আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে আগ্রহের কমতি না থাকলেও আমাদের প্রবেশাধিকার নেই। নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা বা ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এসব জায়গা মানুষের নাগালের বাইরে রাখা হয়েছে।
এরিয়া ৫১, যুক্তরাষ্ট্র

দেশটির দক্ষিণ নেভাডায় অবস্থিত একটি গোপন সামরিক ঘাঁটি এরিয়া ৫১। এটি মূলত অস্ত্র ও বিমান পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে একে ঘিরে আছে অনেক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। অনেক মানুষ বিশ্বাস করে, এখানে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এ-সম্পর্কিত তথ্য লুকানো হয়। সাধারণ মানুষের জন্য এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং মার্কিন সরকারও এরিয়া ৫১-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব বেশি প্রকাশ করে না।
লাসকাক্স গুহা, ফ্রান্স

প্রত্নতত্ত্বের এক অমূল্য ভান্ডার এটি। ফ্রান্সের এই গুহায় প্রায় ১৭ হাজার ৩০০ বছর আগের প্যালিওলিথিক যুগের চিত্রকর্ম দেখতে পাওয়া যায়। গুহার দেয়ালে আঁকা সেই পুরোনো ছবিগুলোতে দেখা যায় বিভিন্ন গবাদিপশু, হরিণ ও বাইসনের মতো প্রাণীর জীবন্ত চিত্র। তবে মানুষের নিশ্বাস ও স্পর্শে এই ঐতিহাসিক শিল্পকর্মগুলোর ক্ষতি হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ১৯৬৩ সাল থেকে এই গুহা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রাভচিকা ব্রানা, চেক প্রজাতন্ত্র
চেক প্রজাতন্ত্রের অন্যতম স্থাপত্য হলো প্রাভচিকা ব্রানা। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় বেলেপাথরের ধনুক। ১৯৮২ সালের আগপর্যন্ত এটি দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করত। কিন্তু ক্ষয় রোধ করার জন্য এখন সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই প্রাকৃতিক বেলেপাথরের ধনুকটি খুব শিগগির ভেঙে যেতে পারে, তাই এটি নিষিদ্ধ স্থান করা হয়।
সার্টসে দ্বীপ, আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ। ১৯৬৩ সালে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এটি পৃথিবীর নতুন দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। দ্বীপটি এখন বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য একটি খোলা ল্যাবরেটরি। এখানে কীভাবে প্রকৃতি নিজে থেকেই নতুন বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে, তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য শুধু কয়েকজন বিজ্ঞানী ও ভূতাত্ত্বিকের প্রবেশাধিকার আছে।
উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ, ভারত

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের এই দ্বীপ পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলোর অন্যতম। এখানে বাস করে সেন্টিনেলিজ উপজাতি, যারা বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করতে আগ্রহী নয়। তাদের নিজেদের সংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য তারা যেকোনো বহিরাগতকে আক্রমণ করে বসে। ভারত সরকার এই উপজাতিকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং যেকোনো দর্শনার্থীর জন্য এই দ্বীপে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
হার্ড আইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
অ্যান্টার্কটিকা ও মাদাগাস্কারের মাঝখানে অবস্থিত এই দ্বীপ রাজনৈতিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার অংশ। দ্বীপটি আসলে দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিয়ে গঠিত এবং এর সম্পূর্ণ ভূমি অনুর্বর। প্রকৃতির এই ভঙ্গুর পরিবেশকে রক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার এই দ্বীপে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
স্নেক আইল্যান্ড, ব্রাজিল

নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি সাপের বাসস্থান। ব্রাজিলের এই দ্বীপ হাজার হাজার বিষধর সাপের জন্য পরিচিত; বিশেষ করে এখানে আছে ব্যাপকসংখ্যক মারাত্মক গোল্ডেন ল্যান্সহেড সাপ। ধারণা করা হয়, এই ছোট্ট দ্বীপে প্রায় ৪ হাজার সাপ রয়েছে। অতিরিক্ত বিপজ্জনক হওয়ার কারণে ব্রাজিল সরকার এখানে মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
কিন শি হুয়াংয়ের সমাধি, চীন
চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াংয়ের সমাধি ২ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে একটি পিরামিডের নিচে সমাহিত রয়েছে। এটি ইতিহাসের অন্যতম এক আবিষ্কার, যেখানে বিখ্যাত টেরাকোটা সেনাবাহিনী পাওয়া গিয়েছিল। যদিও সমাধির একটি অংশ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে এর প্রধান অংশ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। চীন সরকার সম্রাটের প্রতি শ্রদ্ধা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য এই সমাধি খনন নিষিদ্ধ করেছে।
ডুমসডে ভল্ট, নরওয়ে

নরওয়ের আর্টিক অঞ্চলের সালবার্ড দ্বীপে অবস্থিত এই ভল্ট একটি বৈশ্বিক বীজব্যাংক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা লক্ষাধিক বীজ এখানে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়, যাতে কোনো বৈশ্বিক দুর্যোগ বা সংকটের সময় খাদ্যশস্যের অভাব না হয়। এই জায়গায় জনসাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। শুধু বিশেষ প্রয়োজনে এই ব্যাংক খোলা হয়।
ডুলস বেস, যুক্তরাষ্ট্র
নিউ মেক্সিকোর কলোরাডো সীমান্তের কাছে অবস্থিত ডুলস শহরটি নানা রহস্যে ঘেরা। সেখানে একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ পরীক্ষাগার রয়েছে বলে শোনা যায়। অনেকে বিশ্বাস করে, সেখানে উন্নত প্রযুক্তি এবং মানুষ ও অন্য প্রাণীর হাইব্রিড নিয়ে গোপন গবেষণা করা হয়। জায়গাটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিষিদ্ধ স্থানগুলোর অন্যতম।
সূত্র: হলিডেফি

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মানুষ স্বভাবতই নতুন কিছু জানতে ও দেখতে ভালোবাসে। সেই ভালোবাসার টানে আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে আগ্রহের কমতি না থাকলেও আমাদের প্রবেশাধিকার নেই। নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা বা ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এসব জায়গা মানুষের নাগালের বাইরে রাখা হয়েছে।
এরিয়া ৫১, যুক্তরাষ্ট্র

দেশটির দক্ষিণ নেভাডায় অবস্থিত একটি গোপন সামরিক ঘাঁটি এরিয়া ৫১। এটি মূলত অস্ত্র ও বিমান পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে একে ঘিরে আছে অনেক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। অনেক মানুষ বিশ্বাস করে, এখানে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এ-সম্পর্কিত তথ্য লুকানো হয়। সাধারণ মানুষের জন্য এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং মার্কিন সরকারও এরিয়া ৫১-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব বেশি প্রকাশ করে না।
লাসকাক্স গুহা, ফ্রান্স

প্রত্নতত্ত্বের এক অমূল্য ভান্ডার এটি। ফ্রান্সের এই গুহায় প্রায় ১৭ হাজার ৩০০ বছর আগের প্যালিওলিথিক যুগের চিত্রকর্ম দেখতে পাওয়া যায়। গুহার দেয়ালে আঁকা সেই পুরোনো ছবিগুলোতে দেখা যায় বিভিন্ন গবাদিপশু, হরিণ ও বাইসনের মতো প্রাণীর জীবন্ত চিত্র। তবে মানুষের নিশ্বাস ও স্পর্শে এই ঐতিহাসিক শিল্পকর্মগুলোর ক্ষতি হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ১৯৬৩ সাল থেকে এই গুহা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রাভচিকা ব্রানা, চেক প্রজাতন্ত্র
চেক প্রজাতন্ত্রের অন্যতম স্থাপত্য হলো প্রাভচিকা ব্রানা। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় বেলেপাথরের ধনুক। ১৯৮২ সালের আগপর্যন্ত এটি দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করত। কিন্তু ক্ষয় রোধ করার জন্য এখন সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই প্রাকৃতিক বেলেপাথরের ধনুকটি খুব শিগগির ভেঙে যেতে পারে, তাই এটি নিষিদ্ধ স্থান করা হয়।
সার্টসে দ্বীপ, আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ। ১৯৬৩ সালে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এটি পৃথিবীর নতুন দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। দ্বীপটি এখন বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য একটি খোলা ল্যাবরেটরি। এখানে কীভাবে প্রকৃতি নিজে থেকেই নতুন বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে, তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য শুধু কয়েকজন বিজ্ঞানী ও ভূতাত্ত্বিকের প্রবেশাধিকার আছে।
উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ, ভারত

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের এই দ্বীপ পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলোর অন্যতম। এখানে বাস করে সেন্টিনেলিজ উপজাতি, যারা বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করতে আগ্রহী নয়। তাদের নিজেদের সংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য তারা যেকোনো বহিরাগতকে আক্রমণ করে বসে। ভারত সরকার এই উপজাতিকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং যেকোনো দর্শনার্থীর জন্য এই দ্বীপে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
হার্ড আইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
অ্যান্টার্কটিকা ও মাদাগাস্কারের মাঝখানে অবস্থিত এই দ্বীপ রাজনৈতিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার অংশ। দ্বীপটি আসলে দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিয়ে গঠিত এবং এর সম্পূর্ণ ভূমি অনুর্বর। প্রকৃতির এই ভঙ্গুর পরিবেশকে রক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার এই দ্বীপে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
স্নেক আইল্যান্ড, ব্রাজিল

নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি সাপের বাসস্থান। ব্রাজিলের এই দ্বীপ হাজার হাজার বিষধর সাপের জন্য পরিচিত; বিশেষ করে এখানে আছে ব্যাপকসংখ্যক মারাত্মক গোল্ডেন ল্যান্সহেড সাপ। ধারণা করা হয়, এই ছোট্ট দ্বীপে প্রায় ৪ হাজার সাপ রয়েছে। অতিরিক্ত বিপজ্জনক হওয়ার কারণে ব্রাজিল সরকার এখানে মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
কিন শি হুয়াংয়ের সমাধি, চীন
চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াংয়ের সমাধি ২ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে একটি পিরামিডের নিচে সমাহিত রয়েছে। এটি ইতিহাসের অন্যতম এক আবিষ্কার, যেখানে বিখ্যাত টেরাকোটা সেনাবাহিনী পাওয়া গিয়েছিল। যদিও সমাধির একটি অংশ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে এর প্রধান অংশ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। চীন সরকার সম্রাটের প্রতি শ্রদ্ধা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য এই সমাধি খনন নিষিদ্ধ করেছে।
ডুমসডে ভল্ট, নরওয়ে

নরওয়ের আর্টিক অঞ্চলের সালবার্ড দ্বীপে অবস্থিত এই ভল্ট একটি বৈশ্বিক বীজব্যাংক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা লক্ষাধিক বীজ এখানে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়, যাতে কোনো বৈশ্বিক দুর্যোগ বা সংকটের সময় খাদ্যশস্যের অভাব না হয়। এই জায়গায় জনসাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। শুধু বিশেষ প্রয়োজনে এই ব্যাংক খোলা হয়।
ডুলস বেস, যুক্তরাষ্ট্র
নিউ মেক্সিকোর কলোরাডো সীমান্তের কাছে অবস্থিত ডুলস শহরটি নানা রহস্যে ঘেরা। সেখানে একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ পরীক্ষাগার রয়েছে বলে শোনা যায়। অনেকে বিশ্বাস করে, সেখানে উন্নত প্রযুক্তি এবং মানুষ ও অন্য প্রাণীর হাইব্রিড নিয়ে গোপন গবেষণা করা হয়। জায়গাটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিষিদ্ধ স্থানগুলোর অন্যতম।
সূত্র: হলিডেফি

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তি ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি হওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তি ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি হওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন।
৩ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

রোমান্টিক দাম্পত্য সম্পর্কে ঘৃণার উৎপত্তি হয় বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হলে। রোমান্টিক এই সম্পর্কে ঘৃণা ও ঈর্ষার অনুপ্রবেশ ঘটলে তার বহিঃপ্রকাশ হয় রাগ ও ভয়ের অনুভূতির মধ্য দিয়ে। একটু খোলাসা করে বলা যাক, দম্পতিদের মধ্য়ে যখন রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন দুজনের মধ্যকার মিলগুলো সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।
ব্যক্তির স্বাস্থ্যে ঘৃণার প্রভাব
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক—স্বাস্থ্যের চারটি ভাগ রয়েছে। ঘৃণা নামের আবেগটি স্বাস্থ্যের এই চারটি ভাগের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গবেষণা বলে, ঘৃণা করা মানে আপনার মস্তিষ্কের ভেতরে বিনা ভাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি ভাড়াটে থাকতে দেওয়া।

শারীরিক প্রভাব
অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া আঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট ঘৃণা আমাদের মনে বিশ্বাসহীনতার জন্ম দেয়। এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে শারীরিকভাবে। এতে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদি ঘৃণার অনুভূতি ওজন বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতাসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের জন্ম দিতে পারে।
গবেষণা বলছে, দাম্পত্য দ্বন্দ্বে স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এবং অধিকতর শারীরবৃত্তীয় প্রভাবের ভেতর দিয়ে যান; বিশেষ করে যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে তিক্ত দাম্পত্যের মধ্যে জীবন যাপন করেছেন, দেখা গেছে তাঁদের কর্টিসল ও অ্যাড্রেনোকোর্টিকোট্রপিক হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন স্বামীদের তুলনায় ভিন্ন। যদিও স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার ওপর দাম্পত্য কলহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু তা-ই নয়, দেখা গেছে, দৈহিক ক্ষত নিরাময়ের গতিও দাম্পত্য বিবাদের কারণে শ্লথ হয়ে যায়। অন্যদিকে তৃপ্তিকর দাম্পত্যজীবনের সঙ্গে সুস্থ রক্তচাপের সুসম্পর্ক আছে। কাজেই অন্যের জন্য নয়, ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে নিজের দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর রাখা প্রয়োজন। আর একান্তই যদি দাম্পত্য দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারা না যায়, প্রয়োজনে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু বিষাক্ত সম্পর্ক নিয়ে এক ছাদের নিচে না থাকা ভালো।
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
কাউকে তীব্র ঘৃণার ফলে ব্যক্তির মধ্যে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা তৈরি হয়। ফলে বারবার একই চিন্তা ঘুরেফিরে আসে। তখন বিভ্রান্তিতে ভোগেন আক্রান্ত ব্যক্তি। একে প্যারানয়া বলা যায়। অর্থাৎ এটা থেকে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বা অসুখ পর্যন্ত হতে পারে। পেশাজীবী নারীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ঘরে-বাইরে দ্বিমুখী চাপ সামলাতে গিয়ে, যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বেশি হয়ে যায়, যা মানসিক চাপের নিয়ামক।
সামাজিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
ইতিমধ্যে ঘৃণার কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য আহত হলে ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগগুলোও কমে আসতে থাকে। ফলে অদৃশ্য চাপ তৈরি হয়। গবেষণা বলছে, যাদের তীব্র ঘৃণার অনুভূতি থাকে, তাদের মৃত্যুহার বেশি। দাম্পত্যে সুসম্পর্ক সামাজিক স্বাস্থ্যকে অবচেতনভাবে প্রভাবিত করে।
আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
আধ্যাত্মিকতা আর ধর্ম এক জিনিস নয়। আধ্যাত্মিকতার সম্পর্ক তিনটি জায়গায়। ব্যক্তির নিজের সঙ্গে নিজের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে অন্যদের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্ত বা পরিস্থিতির কী সম্পর্ক? ঘৃণা যদি কোথাও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে, সেটা আমাদের আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে।
ঘৃণা যখন স্বাস্থ্যের সব কটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে, বৈবাহিক সম্পর্ক ঘৃণার কারণে সব দিক থেকে নেতিবাচক আগুনে পুড়ে যায়, স্বাভাবিক সম্পর্ক তখন টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন ঘৃণার কারণে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন
যেকোনো আন্তসম্পর্ক শূন্যতার ওপর ভর দিয়ে চলতে পারে না। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বৃহত্তর পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, সহকর্মী ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয়। এখান থেকে প্রচুর নেতিবাচক উপাদান সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। এককথায় বলা যায়, দাম্পত্যে যদি একজন অন্যজনের মাধ্যমে অবহেলিত অনুভব করে, তবে যে অবহেলিত অনুভব করছে, তার মধ্যে ঘৃণার জন্ম হবে।
মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা থেকে ঘৃণাকে সাত ভাগ করা হয়েছে—গ্রহণযোগ্য ঘৃণা, উত্তপ্ত ঘৃণা, শীতল ঘৃণা, টগবগিয়ে ফুটন্ত/জ্বলন্ত ঘৃণা, সর্বগ্রাসী ঘৃণা, ক্ষিপ্ত ঘৃণা, তিল তিল করে পুঞ্জীভূত ঘৃণা। দাম্পত্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করে রোমান্টিক ঘৃণা। যেটা রাগ ও ভয়ের সঙ্গে অবচেতন মনে সংযুক্ত হয়। ভালোবাসা আর ঘৃণা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গবেষণায় উঠে এসেছে, ভালোবাসা যত গভীর, তার ব্যত্যয় ঘটলে তত তীব্র ঘৃণা মানুষের মনে তৈরি হয়।
ঘৃণা থেকে বের হতে করণীয়
ঘটনাটা কিন্তু ঘটে গেছে। ঘটনাকে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে অনুভূতি হয়েছে, তা বিবেচনা করে যদি ক্ষমা করতে চাই, সে জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। জানতে হবে, ক্ষমা করতে পারাটা একটা দক্ষতা এবং এটা একটা প্রক্রিয়া।
ঘটনা পর্যালোচনা করে, তার প্রভাব জেনে-বুঝে গ্রহণ করা, কী কারণে কী করছি—এ যুক্তিগুলো যেন নিজের কাছে পরিষ্কার থাকে। ঘৃণা নিয়ে একটি চমৎকার উদ্ধৃতি আছে, ‘আপনি যেদিন আর কাউকে ঘৃণা করবেন না, সেদিন নিজেকে ভালোবাসতে শিখবেন।’ ঘৃণামুক্ত হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে শিখতে হয়। কাজেই নিজেকে ভালো রাখার জন্য ঘৃণা থেকে বের হতে হবে।
যে অভ্যাসগুলো নিয়মিত চর্চা করা জরুরি
মার্টিন লুথার কিং একবার বলেছিলেন, ‘ঘৃণা বোঝা হিসেবে এতই বড় যে তা বহন করা যায় না।’ কারণ, আমরা জানি তখন বিয়ে, অন্তরঙ্গতা, বন্ধুত্ব—কিছুই কাজ করে না। সোজা সম্পর্কটা গড়িয়ে নিচে হারিয়ে যায়। ঘৃণার এই বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু অভ্যাস চর্চা করতে হবে—
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

রোমান্টিক দাম্পত্য সম্পর্কে ঘৃণার উৎপত্তি হয় বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হলে। রোমান্টিক এই সম্পর্কে ঘৃণা ও ঈর্ষার অনুপ্রবেশ ঘটলে তার বহিঃপ্রকাশ হয় রাগ ও ভয়ের অনুভূতির মধ্য দিয়ে। একটু খোলাসা করে বলা যাক, দম্পতিদের মধ্য়ে যখন রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন দুজনের মধ্যকার মিলগুলো সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।
ব্যক্তির স্বাস্থ্যে ঘৃণার প্রভাব
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক—স্বাস্থ্যের চারটি ভাগ রয়েছে। ঘৃণা নামের আবেগটি স্বাস্থ্যের এই চারটি ভাগের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গবেষণা বলে, ঘৃণা করা মানে আপনার মস্তিষ্কের ভেতরে বিনা ভাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি ভাড়াটে থাকতে দেওয়া।

শারীরিক প্রভাব
অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া আঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট ঘৃণা আমাদের মনে বিশ্বাসহীনতার জন্ম দেয়। এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে শারীরিকভাবে। এতে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদি ঘৃণার অনুভূতি ওজন বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতাসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের জন্ম দিতে পারে।
গবেষণা বলছে, দাম্পত্য দ্বন্দ্বে স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এবং অধিকতর শারীরবৃত্তীয় প্রভাবের ভেতর দিয়ে যান; বিশেষ করে যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে তিক্ত দাম্পত্যের মধ্যে জীবন যাপন করেছেন, দেখা গেছে তাঁদের কর্টিসল ও অ্যাড্রেনোকোর্টিকোট্রপিক হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন স্বামীদের তুলনায় ভিন্ন। যদিও স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার ওপর দাম্পত্য কলহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু তা-ই নয়, দেখা গেছে, দৈহিক ক্ষত নিরাময়ের গতিও দাম্পত্য বিবাদের কারণে শ্লথ হয়ে যায়। অন্যদিকে তৃপ্তিকর দাম্পত্যজীবনের সঙ্গে সুস্থ রক্তচাপের সুসম্পর্ক আছে। কাজেই অন্যের জন্য নয়, ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে নিজের দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর রাখা প্রয়োজন। আর একান্তই যদি দাম্পত্য দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারা না যায়, প্রয়োজনে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু বিষাক্ত সম্পর্ক নিয়ে এক ছাদের নিচে না থাকা ভালো।
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
কাউকে তীব্র ঘৃণার ফলে ব্যক্তির মধ্যে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা তৈরি হয়। ফলে বারবার একই চিন্তা ঘুরেফিরে আসে। তখন বিভ্রান্তিতে ভোগেন আক্রান্ত ব্যক্তি। একে প্যারানয়া বলা যায়। অর্থাৎ এটা থেকে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বা অসুখ পর্যন্ত হতে পারে। পেশাজীবী নারীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ঘরে-বাইরে দ্বিমুখী চাপ সামলাতে গিয়ে, যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বেশি হয়ে যায়, যা মানসিক চাপের নিয়ামক।
সামাজিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
ইতিমধ্যে ঘৃণার কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য আহত হলে ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগগুলোও কমে আসতে থাকে। ফলে অদৃশ্য চাপ তৈরি হয়। গবেষণা বলছে, যাদের তীব্র ঘৃণার অনুভূতি থাকে, তাদের মৃত্যুহার বেশি। দাম্পত্যে সুসম্পর্ক সামাজিক স্বাস্থ্যকে অবচেতনভাবে প্রভাবিত করে।
আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
আধ্যাত্মিকতা আর ধর্ম এক জিনিস নয়। আধ্যাত্মিকতার সম্পর্ক তিনটি জায়গায়। ব্যক্তির নিজের সঙ্গে নিজের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে অন্যদের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্ত বা পরিস্থিতির কী সম্পর্ক? ঘৃণা যদি কোথাও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে, সেটা আমাদের আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে।
ঘৃণা যখন স্বাস্থ্যের সব কটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে, বৈবাহিক সম্পর্ক ঘৃণার কারণে সব দিক থেকে নেতিবাচক আগুনে পুড়ে যায়, স্বাভাবিক সম্পর্ক তখন টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন ঘৃণার কারণে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন
যেকোনো আন্তসম্পর্ক শূন্যতার ওপর ভর দিয়ে চলতে পারে না। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বৃহত্তর পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, সহকর্মী ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয়। এখান থেকে প্রচুর নেতিবাচক উপাদান সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। এককথায় বলা যায়, দাম্পত্যে যদি একজন অন্যজনের মাধ্যমে অবহেলিত অনুভব করে, তবে যে অবহেলিত অনুভব করছে, তার মধ্যে ঘৃণার জন্ম হবে।
মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা থেকে ঘৃণাকে সাত ভাগ করা হয়েছে—গ্রহণযোগ্য ঘৃণা, উত্তপ্ত ঘৃণা, শীতল ঘৃণা, টগবগিয়ে ফুটন্ত/জ্বলন্ত ঘৃণা, সর্বগ্রাসী ঘৃণা, ক্ষিপ্ত ঘৃণা, তিল তিল করে পুঞ্জীভূত ঘৃণা। দাম্পত্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করে রোমান্টিক ঘৃণা। যেটা রাগ ও ভয়ের সঙ্গে অবচেতন মনে সংযুক্ত হয়। ভালোবাসা আর ঘৃণা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গবেষণায় উঠে এসেছে, ভালোবাসা যত গভীর, তার ব্যত্যয় ঘটলে তত তীব্র ঘৃণা মানুষের মনে তৈরি হয়।
ঘৃণা থেকে বের হতে করণীয়
ঘটনাটা কিন্তু ঘটে গেছে। ঘটনাকে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে অনুভূতি হয়েছে, তা বিবেচনা করে যদি ক্ষমা করতে চাই, সে জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। জানতে হবে, ক্ষমা করতে পারাটা একটা দক্ষতা এবং এটা একটা প্রক্রিয়া।
ঘটনা পর্যালোচনা করে, তার প্রভাব জেনে-বুঝে গ্রহণ করা, কী কারণে কী করছি—এ যুক্তিগুলো যেন নিজের কাছে পরিষ্কার থাকে। ঘৃণা নিয়ে একটি চমৎকার উদ্ধৃতি আছে, ‘আপনি যেদিন আর কাউকে ঘৃণা করবেন না, সেদিন নিজেকে ভালোবাসতে শিখবেন।’ ঘৃণামুক্ত হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে শিখতে হয়। কাজেই নিজেকে ভালো রাখার জন্য ঘৃণা থেকে বের হতে হবে।
যে অভ্যাসগুলো নিয়মিত চর্চা করা জরুরি
মার্টিন লুথার কিং একবার বলেছিলেন, ‘ঘৃণা বোঝা হিসেবে এতই বড় যে তা বহন করা যায় না।’ কারণ, আমরা জানি তখন বিয়ে, অন্তরঙ্গতা, বন্ধুত্ব—কিছুই কাজ করে না। সোজা সম্পর্কটা গড়িয়ে নিচে হারিয়ে যায়। ঘৃণার এই বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু অভ্যাস চর্চা করতে হবে—
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তি ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি হওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।
সালাদে কাঁচা বা হালকা ভাজা ক্যাপসিকাম প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো। বাজারে প্রধানত তিন রঙের পাওয়া যায় সবুজ, লাল এবং হলুদ। যদিও সবই পুষ্টিকর, কিন্তু প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে।

সবুজ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম কাঁচা সবুজ ক্যাপসিকামে থাকে
পানি: ৯৩.৮ গ্রাম
ক্যালরি: ২০
প্রোটিন: ০.৮৬ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৪.৬ গ্রাম
ফাইবার: ১.৭ গ্রাম
ভিটামিন সি: ৮০.৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ: দৈনিক প্রয়োজনের ২ শতাংশ
ভিটামিন কে, ফোলেট ও পটাশিয়ামও থাকে ভালো পরিমাণে।
সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ত্বকের জন্য কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ হাড় ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়া ফোলেট কোষ বিভাজন ও ডিএনএ গঠনে সহায়তা করে, আর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন চোখকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা যেমন কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
লাল ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম লাল ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২.২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৬
প্রোটিন: ০.৯৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.০৩ গ্রাম
ফাইবার: ২.১ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১২৮ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
লাল ক্যাপসিকামের উপকারিতা
লাল ক্যাপসিকাম পুরোপুরি পাকা এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ আছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে। ভিটামিন এ ও বি৬ মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এতে থাকা লাইকোপিন ও বিটা-ক্যারোটিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হৃদ্রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। লাল পেপারের মিষ্টি স্বাদ সালাদ, স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা যায়।
হলুদ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম হলুদ ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৭
প্রোটিন: ১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.৩ গ্রাম
ফাইবার: ০.৯ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১৮৪ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
হলুদ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে বেশি থাকে হলুদ ক্যাপসিকামে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য, বি৬ মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। পটাশিয়াম ও ফোলেট হৃদ্যন্ত্র ও কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়ক।
ফাইবার থাকায় হজম ঠিক রাখে, পেটের সমস্যা কমায় এবং কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়েটের জন্য উপযুক্ত। হলুদ ক্যাপসিকাম সহজে খাওয়া যায়।
কোনটি বেছে নেবেন?
সব রঙের ক্যাপসিকামই পুষ্টিকর, তবে—
লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর। পুরোপুরি পাকা হওয়ায় এতে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে।
হলুদ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’র দিক দিয়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ।
সবুজ ক্যাপসিকাম হালকা স্বাদের পাশাপাশি চোখ, হাড় ও হজমের জন্য উপকারী।
সারা দিনে বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে শরীর নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পায়। প্রতিদিনই এক বা একাধিক রঙের ক্যাপসিকাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। ডা. আর্চনা বাত্রা, ভারত
খাওয়ার সহজ উপায়
সবুজ, লাল বা হলুদ তিন রঙের ক্যাপসিকাম পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে, তবে লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর, হলুদ রঙে ভিটামিন ‘সি’র পরিমাণ বেশি। প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা এবং কোষের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।
সালাদে কাঁচা বা হালকা ভাজা ক্যাপসিকাম প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো। বাজারে প্রধানত তিন রঙের পাওয়া যায় সবুজ, লাল এবং হলুদ। যদিও সবই পুষ্টিকর, কিন্তু প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে।

সবুজ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম কাঁচা সবুজ ক্যাপসিকামে থাকে
পানি: ৯৩.৮ গ্রাম
ক্যালরি: ২০
প্রোটিন: ০.৮৬ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৪.৬ গ্রাম
ফাইবার: ১.৭ গ্রাম
ভিটামিন সি: ৮০.৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ: দৈনিক প্রয়োজনের ২ শতাংশ
ভিটামিন কে, ফোলেট ও পটাশিয়ামও থাকে ভালো পরিমাণে।
সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ত্বকের জন্য কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ হাড় ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়া ফোলেট কোষ বিভাজন ও ডিএনএ গঠনে সহায়তা করে, আর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন চোখকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা যেমন কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
লাল ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম লাল ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২.২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৬
প্রোটিন: ০.৯৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.০৩ গ্রাম
ফাইবার: ২.১ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১২৮ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
লাল ক্যাপসিকামের উপকারিতা
লাল ক্যাপসিকাম পুরোপুরি পাকা এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ আছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে। ভিটামিন এ ও বি৬ মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এতে থাকা লাইকোপিন ও বিটা-ক্যারোটিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হৃদ্রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। লাল পেপারের মিষ্টি স্বাদ সালাদ, স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা যায়।
হলুদ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম হলুদ ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৭
প্রোটিন: ১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.৩ গ্রাম
ফাইবার: ০.৯ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১৮৪ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
হলুদ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে বেশি থাকে হলুদ ক্যাপসিকামে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য, বি৬ মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। পটাশিয়াম ও ফোলেট হৃদ্যন্ত্র ও কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়ক।
ফাইবার থাকায় হজম ঠিক রাখে, পেটের সমস্যা কমায় এবং কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়েটের জন্য উপযুক্ত। হলুদ ক্যাপসিকাম সহজে খাওয়া যায়।
কোনটি বেছে নেবেন?
সব রঙের ক্যাপসিকামই পুষ্টিকর, তবে—
লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর। পুরোপুরি পাকা হওয়ায় এতে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে।
হলুদ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’র দিক দিয়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ।
সবুজ ক্যাপসিকাম হালকা স্বাদের পাশাপাশি চোখ, হাড় ও হজমের জন্য উপকারী।
সারা দিনে বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে শরীর নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পায়। প্রতিদিনই এক বা একাধিক রঙের ক্যাপসিকাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। ডা. আর্চনা বাত্রা, ভারত
খাওয়ার সহজ উপায়
সবুজ, লাল বা হলুদ তিন রঙের ক্যাপসিকাম পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে, তবে লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর, হলুদ রঙে ভিটামিন ‘সি’র পরিমাণ বেশি। প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা এবং কোষের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তি ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি হওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তি ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি হওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন। আপনার জন্য আজকের পরামর্শ: ‘শক্তিকে কাজে লাগান, তবে মাথাটাও লাগান!’ রাস্তায় হাঁটার সময় কোনো পাগলের সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। সে আজ যুক্তিতে আপনাকে হারিয়ে দেবে।
বৃষ
আজকের দিনটি আপনার জন্য খাদ্য ও বিলাসের এক মহামিলন। প্রধান আর্থিক সিদ্ধান্ত হবে: ‘অতিরিক্ত একটি চিজ বার্গার অর্ডার করব, নাকি করব না?’ গ্রহ-নক্ষত্র বলছে, দ্বিধা করবেন না, সর্বদা ‘হ্যাঁ, অবশ্যই করব’ বলেন। তবে মনে রাখবেন, আলস্য আজ আপনার সেরা বন্ধু হতে পারে। আপনি এমন কঠিন কাজগুলো এড়িয়ে যাবেন, যা শোয়ার জায়গা থেকে দেড় মিটারের বেশি দূরে। যদি কোনো কাজ চেয়ার ছেড়ে উঠতে বাধ্য করে, তবে কাজটি আগামীকাল করার কথা ভাবুন।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি সত্তা আজ চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে লিপ্ত। একজন চাইবে একটি নতুন দক্ষতা শিখতে (যেমন চীনা ভাষা বা পান সাজানো), আর অন্যজন চাইবে শুধু বিছানায় শুয়ে ইন্টারনেট স্ক্রল করতে। দিনটি কাটবে মূলত নিজের সঙ্গেই তুমুল ঝগড়া করে। আপনি আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে বলবেন, ‘তুমি আমার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছ!’ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি কয়েন টস করুন। এটি অন্তত আপনার একটি সত্তাকে কিছুক্ষণের জন্য চুপ করিয়ে দেবে। আজ কোনোভাবেই আয়নার দিকে তাকিয়ে বেশি হাসবেন না। নিজের হাসির প্রতিক্রিয়া দেখে আপনি আরও বিভ্রান্ত হতে পারেন।
কর্কট
আজ আপনার সংবেদনশীলতার মিটার ফুল স্কেলে! আপনি ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনে আবেগের দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলতে পারেন অথবা সামান্য ট্রাফিকের শব্দে জীবন নিয়ে গভীর দার্শনিক চিন্তায় ডুবে যেতে পারেন। মনে হবে যেন সবাই আপনার শত্রু এবং আপনাকে আঘাত করার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে। ফলস্বরূপ আপনি হয়তো একটি বিশাল বালিশের দুর্গ বানিয়ে তার ভেতরে লুকিয়ে থাকবেন। জরুরি অবস্থার জন্য আপনার বালিশের দুর্গে স্ন্যাকস এবং চকলেট মজুত রাখুন। আগে নিজে বাঁচুন, পরে পৃথিবী সামলানো যাবে। বালিশের দুর্গ থেকে না বেরিয়েও সফলভাবে টিভি রিমোট খুঁজে বের করাই হবে আজ দিনের সেরা অর্জন। মনে রাখবেন, ভাগ্য বলুন বা রাশিফল, সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আপনার হাসির ক্ষমতা! উপভোগ করুন!
সিংহ
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্পটলাইট! সমস্যা হলো, স্পটলাইটটা আজ আপনার দিকে ঘুরে আলমারি বা বাথরুমের ভুল জায়গায় ফোকাস করবে। আপনি চাইবেন সবাই আপনার প্রশংসা করুক, কিন্তু তারা হয়তো শুধু দেখবে আপনার জুতার তলায় লেগে থাকা চুইংগাম। আজকে ট্রাফিক জ্যাম মেজাজ খারাপ করবে। নিজেকে একটু আড়াল করুন। আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন।
কন্যা
পারফেকশন আপনার রক্তে। আপনি হয়তো পুরো দিনটা কাটাবেন টুথব্রাশের ব্রিসলগুলো ঠিকঠাক সারিতে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে। যদি জীবনের কোনো কিছু আজ ০.০০১ শতাংশও এদিক-ওদিক হয়, তবে হয়তো পৃথিবী উল্টে দেবেন। মস্তিষ্কে আজ একটি চেকলিস্ট আছে, যা শেষ হওয়া অসম্ভব। বুক ভরে শ্বাস নিন। পৃথিবীটা এলোমেলো, বিশৃঙ্খল এবং এটিই তার সৌন্দর্য। একটি মশা আজ ঠিক আপনার টেবিলে ল্যান্ড করলেও তাকে মাফ করে দিন। এমন একটি জিনিস খুঁজে বের করুন, যা ত্রুটিপূর্ণ এবং সেটিকে সানন্দে উপেক্ষা করুন—এটিই আপনার জন্য আজকের পরামর্শ।
তুলা
আজ আপনার জীবন হলো একটি ভারসাম্যপূর্ণ দাঁড়িপাল্লা, যার একদিকে আছে সব কাজ ফেলে রেখে সিরিজ দেখা, আর অন্যদিকে আছে ‘আমার তো অনেক কাজ’— এই অপরাধবোধ। দিনের শেষে দেখা যাবে, দুটিই সমান ভারী এবং কাজ কিছুই হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে এতটাই বেশি সময় নেবেন যে, প্রিয় খাবারটা ততক্ষণে ঠান্ডা হয়ে যাবে। আজ যা ভালো লাগে, তা-ই করুন। কাউকে খুশি করতে যাবেন না। কারণ, তাতে ব্যালেন্স স্কেল বিগড়ে যাবে। অন্য কাউকে আপনার হয়ে রাতের খাবার অর্ডার করতে দিন—এটা সব দিক থেকে ভালো হবে।
বৃশ্চিক
আজ মস্তিষ্ক একটু বেশি সক্রিয় থাকবে, চিন্তাভাবনায় খুব উগ্র থাকবেন, সম্ভবত একটি সরল প্রশ্নকেও গভীর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে মনে করবেন। যদি কেউ আপনাকে বলে, ‘আজ আবহাওয়া ভালো’, আপনি সঙ্গে সঙ্গে ভাববেন, ‘হঠাৎ আমার সঙ্গে এই কথা কেন, নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে!’ আপনার ভেতরের গোয়েন্দা আজ ওভারটাইম ডিউটি করবে। কোনো ইমোজি ব্যবহার করে মেসেজ পাঠাবেন না। এর ফল মারাত্মক হতে পারে। কারণ, প্রতিটি ইমোজির গভীর অর্থ খুঁজতে গিয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলতে পারেন। নিজের ফোনটা আজ বারবার চেক করা বন্ধ করুন। কারণ, আপনাকে কেউ ফলো করছে না।
ধনু
ভ্রমণের নেশা আজ পেয়ে বসবে। আপনি হয়তো ড্রয়িংরুম থেকেই এক ঘণ্টার মধ্যে গুগল ম্যাপে পৃথিবীর সব কটি দেশের রাজধানী দেখে ফেলবেন। অ্যাডভেঞ্চার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, তবে তা হয়তো রান্নাঘরের ফ্রিজের পেছনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো জ্যামের বোতল খুঁজে বের করার মতো ছোটখাটো কিছু হতে পারে। আপনি যে মহান আবিষ্কারটি আজ করতে চলেছেন, তা হয়তো হলো—‘বিছানার নিচে হারিয়ে যাওয়া চাবিটা আসলে আপনার হাতেই ছিল।’ অন্তত একটি দেশের নাম ভুল উচ্চারণ করুন, সেটা নিয়ে আবার গর্বও করুন। তাতে অন্তত অপমানিত হওয়ার অমোঘ নিয়তি থাকার পরও অল্পের ওপর দিয়ে যাবে।
মকর
দায়িত্বের বোঝা আজ কাঁধে হিমালয়ের মতো চেপে বসবে। এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে, কেউ যদি একটি জোকও বলে, আপনি সেটার নৈতিকতা ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেবেন। মনে হবে আপনি একাই গোটা পৃথিবীকে চালাচ্ছেন, এমনকি যদি দিনের বেশির ভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন পোস্ট দেখেও কাটান। আজ অন্তত একবার কোনো কারণ ছাড়াই হাসুন। এটা খুব কঠিন হবে, কিন্তু চেষ্টা করুন। আজই অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করুন, যদিও আপনি সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন।
কুম্ভ
আজ অন্যদের থেকে এক হাজার বছর এগিয়ে আছেন। আপনার চিন্তাগুলো এতই মৌলিক যে কেউ সেগুলো বুঝতেই পারবে না। যখন সবাই ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছে, আপনি তখন হয়তো মঙ্গল গ্রহে জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান নিয়ে গভীরভাবে মগ্ন। ফলস্বরূপ নিজেকে সমাজের ভুল জায়গায় থাকা একজন অ্যালিয়েন বলে মনে করবেন। আজ মানুষের সঙ্গে এমন একটি বিষয়ে কথা বলুন, যা গত ১০ বছরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজ আপনার মোজা জোড়া উল্টো করে পরুন। এটা আপনার ব্যক্তিগত বিপ্লব!
মীন
আজ স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝামাঝি ভাসছেন। কল্পনার জগতে এতটা ডুবে থাকবেন যে বাস্তব জীবনে আপনি হয়তো কফি কাপের বদলে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে কফি বানাতে চাইবেন। আপনার আবেগ আজ একটি সমুদ্র, যেখানে নিজেই ডুবে যেতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনে ঢোকার আগে কান পরিষ্কার করুন। আপনি হয়তো অর্ধেক কথা ভুল শুনবেন। দিনের শেষে মনে করার চেষ্টা করুন, আপনি স্বপ্ন দেখছিলেন নাকি সত্যিই কাজটি করেছিলেন।

মেষ
আজ আপনার তেজ এবং উদ্দীপনা আকাশ ছুঁয়েছে। সমস্যা হলো, এই পুরো শক্তি ভুল জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে মাইক্রোওয়েভে ডিম সেদ্ধ করার চেষ্টা করবেন, অথবা অফিসে সহকর্মীর কলম চুরি হওয়া নিয়ে একটি রীতিমতো গোয়েন্দা অভিযান শুরু করে দেবেন। আপনার জন্য আজকের পরামর্শ: ‘শক্তিকে কাজে লাগান, তবে মাথাটাও লাগান!’ রাস্তায় হাঁটার সময় কোনো পাগলের সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। সে আজ যুক্তিতে আপনাকে হারিয়ে দেবে।
বৃষ
আজকের দিনটি আপনার জন্য খাদ্য ও বিলাসের এক মহামিলন। প্রধান আর্থিক সিদ্ধান্ত হবে: ‘অতিরিক্ত একটি চিজ বার্গার অর্ডার করব, নাকি করব না?’ গ্রহ-নক্ষত্র বলছে, দ্বিধা করবেন না, সর্বদা ‘হ্যাঁ, অবশ্যই করব’ বলেন। তবে মনে রাখবেন, আলস্য আজ আপনার সেরা বন্ধু হতে পারে। আপনি এমন কঠিন কাজগুলো এড়িয়ে যাবেন, যা শোয়ার জায়গা থেকে দেড় মিটারের বেশি দূরে। যদি কোনো কাজ চেয়ার ছেড়ে উঠতে বাধ্য করে, তবে কাজটি আগামীকাল করার কথা ভাবুন।
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি সত্তা আজ চূড়ান্ত দ্বন্দ্বে লিপ্ত। একজন চাইবে একটি নতুন দক্ষতা শিখতে (যেমন চীনা ভাষা বা পান সাজানো), আর অন্যজন চাইবে শুধু বিছানায় শুয়ে ইন্টারনেট স্ক্রল করতে। দিনটি কাটবে মূলত নিজের সঙ্গেই তুমুল ঝগড়া করে। আপনি আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে বলবেন, ‘তুমি আমার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছ!’ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি কয়েন টস করুন। এটি অন্তত আপনার একটি সত্তাকে কিছুক্ষণের জন্য চুপ করিয়ে দেবে। আজ কোনোভাবেই আয়নার দিকে তাকিয়ে বেশি হাসবেন না। নিজের হাসির প্রতিক্রিয়া দেখে আপনি আরও বিভ্রান্ত হতে পারেন।
কর্কট
আজ আপনার সংবেদনশীলতার মিটার ফুল স্কেলে! আপনি ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনে আবেগের দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলতে পারেন অথবা সামান্য ট্রাফিকের শব্দে জীবন নিয়ে গভীর দার্শনিক চিন্তায় ডুবে যেতে পারেন। মনে হবে যেন সবাই আপনার শত্রু এবং আপনাকে আঘাত করার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে। ফলস্বরূপ আপনি হয়তো একটি বিশাল বালিশের দুর্গ বানিয়ে তার ভেতরে লুকিয়ে থাকবেন। জরুরি অবস্থার জন্য আপনার বালিশের দুর্গে স্ন্যাকস এবং চকলেট মজুত রাখুন। আগে নিজে বাঁচুন, পরে পৃথিবী সামলানো যাবে। বালিশের দুর্গ থেকে না বেরিয়েও সফলভাবে টিভি রিমোট খুঁজে বের করাই হবে আজ দিনের সেরা অর্জন। মনে রাখবেন, ভাগ্য বলুন বা রাশিফল, সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আপনার হাসির ক্ষমতা! উপভোগ করুন!
সিংহ
আজকের দিনটি আপনার জন্য স্পটলাইট! সমস্যা হলো, স্পটলাইটটা আজ আপনার দিকে ঘুরে আলমারি বা বাথরুমের ভুল জায়গায় ফোকাস করবে। আপনি চাইবেন সবাই আপনার প্রশংসা করুক, কিন্তু তারা হয়তো শুধু দেখবে আপনার জুতার তলায় লেগে থাকা চুইংগাম। আজকে ট্রাফিক জ্যাম মেজাজ খারাপ করবে। নিজেকে একটু আড়াল করুন। আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন।
কন্যা
পারফেকশন আপনার রক্তে। আপনি হয়তো পুরো দিনটা কাটাবেন টুথব্রাশের ব্রিসলগুলো ঠিকঠাক সারিতে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে। যদি জীবনের কোনো কিছু আজ ০.০০১ শতাংশও এদিক-ওদিক হয়, তবে হয়তো পৃথিবী উল্টে দেবেন। মস্তিষ্কে আজ একটি চেকলিস্ট আছে, যা শেষ হওয়া অসম্ভব। বুক ভরে শ্বাস নিন। পৃথিবীটা এলোমেলো, বিশৃঙ্খল এবং এটিই তার সৌন্দর্য। একটি মশা আজ ঠিক আপনার টেবিলে ল্যান্ড করলেও তাকে মাফ করে দিন। এমন একটি জিনিস খুঁজে বের করুন, যা ত্রুটিপূর্ণ এবং সেটিকে সানন্দে উপেক্ষা করুন—এটিই আপনার জন্য আজকের পরামর্শ।
তুলা
আজ আপনার জীবন হলো একটি ভারসাম্যপূর্ণ দাঁড়িপাল্লা, যার একদিকে আছে সব কাজ ফেলে রেখে সিরিজ দেখা, আর অন্যদিকে আছে ‘আমার তো অনেক কাজ’— এই অপরাধবোধ। দিনের শেষে দেখা যাবে, দুটিই সমান ভারী এবং কাজ কিছুই হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে এতটাই বেশি সময় নেবেন যে, প্রিয় খাবারটা ততক্ষণে ঠান্ডা হয়ে যাবে। আজ যা ভালো লাগে, তা-ই করুন। কাউকে খুশি করতে যাবেন না। কারণ, তাতে ব্যালেন্স স্কেল বিগড়ে যাবে। অন্য কাউকে আপনার হয়ে রাতের খাবার অর্ডার করতে দিন—এটা সব দিক থেকে ভালো হবে।
বৃশ্চিক
আজ মস্তিষ্ক একটু বেশি সক্রিয় থাকবে, চিন্তাভাবনায় খুব উগ্র থাকবেন, সম্ভবত একটি সরল প্রশ্নকেও গভীর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে মনে করবেন। যদি কেউ আপনাকে বলে, ‘আজ আবহাওয়া ভালো’, আপনি সঙ্গে সঙ্গে ভাববেন, ‘হঠাৎ আমার সঙ্গে এই কথা কেন, নিশ্চয়ই এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে!’ আপনার ভেতরের গোয়েন্দা আজ ওভারটাইম ডিউটি করবে। কোনো ইমোজি ব্যবহার করে মেসেজ পাঠাবেন না। এর ফল মারাত্মক হতে পারে। কারণ, প্রতিটি ইমোজির গভীর অর্থ খুঁজতে গিয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলতে পারেন। নিজের ফোনটা আজ বারবার চেক করা বন্ধ করুন। কারণ, আপনাকে কেউ ফলো করছে না।
ধনু
ভ্রমণের নেশা আজ পেয়ে বসবে। আপনি হয়তো ড্রয়িংরুম থেকেই এক ঘণ্টার মধ্যে গুগল ম্যাপে পৃথিবীর সব কটি দেশের রাজধানী দেখে ফেলবেন। অ্যাডভেঞ্চার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, তবে তা হয়তো রান্নাঘরের ফ্রিজের পেছনে লুকিয়ে থাকা পুরোনো জ্যামের বোতল খুঁজে বের করার মতো ছোটখাটো কিছু হতে পারে। আপনি যে মহান আবিষ্কারটি আজ করতে চলেছেন, তা হয়তো হলো—‘বিছানার নিচে হারিয়ে যাওয়া চাবিটা আসলে আপনার হাতেই ছিল।’ অন্তত একটি দেশের নাম ভুল উচ্চারণ করুন, সেটা নিয়ে আবার গর্বও করুন। তাতে অন্তত অপমানিত হওয়ার অমোঘ নিয়তি থাকার পরও অল্পের ওপর দিয়ে যাবে।
মকর
দায়িত্বের বোঝা আজ কাঁধে হিমালয়ের মতো চেপে বসবে। এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে, কেউ যদি একটি জোকও বলে, আপনি সেটার নৈতিকতা ও কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেবেন। মনে হবে আপনি একাই গোটা পৃথিবীকে চালাচ্ছেন, এমনকি যদি দিনের বেশির ভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন পোস্ট দেখেও কাটান। আজ অন্তত একবার কোনো কারণ ছাড়াই হাসুন। এটা খুব কঠিন হবে, কিন্তু চেষ্টা করুন। আজই অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করুন, যদিও আপনি সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন।
কুম্ভ
আজ অন্যদের থেকে এক হাজার বছর এগিয়ে আছেন। আপনার চিন্তাগুলো এতই মৌলিক যে কেউ সেগুলো বুঝতেই পারবে না। যখন সবাই ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছে, আপনি তখন হয়তো মঙ্গল গ্রহে জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধান নিয়ে গভীরভাবে মগ্ন। ফলস্বরূপ নিজেকে সমাজের ভুল জায়গায় থাকা একজন অ্যালিয়েন বলে মনে করবেন। আজ মানুষের সঙ্গে এমন একটি বিষয়ে কথা বলুন, যা গত ১০ বছরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজ আপনার মোজা জোড়া উল্টো করে পরুন। এটা আপনার ব্যক্তিগত বিপ্লব!
মীন
আজ স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝামাঝি ভাসছেন। কল্পনার জগতে এতটা ডুবে থাকবেন যে বাস্তব জীবনে আপনি হয়তো কফি কাপের বদলে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে কফি বানাতে চাইবেন। আপনার আবেগ আজ একটি সমুদ্র, যেখানে নিজেই ডুবে যেতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনে ঢোকার আগে কান পরিষ্কার করুন। আপনি হয়তো অর্ধেক কথা ভুল শুনবেন। দিনের শেষে মনে করার চেষ্টা করুন, আপনি স্বপ্ন দেখছিলেন নাকি সত্যিই কাজটি করেছিলেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগে