ফিচার ডেস্ক
বিশ্বের অনেক দেশের প্রধান খাবার চাল। বহু মানুষের প্রতিদিনের খাবারের অংশ এটি। তবে সব চালের পুষ্টিগুণ এক রকম নয়। সাদা চালের তুলনায় লাল চালের স্বাদ, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের উপকারিতা অনেক বেশি।
চালের ধরন
সাদা চাল: সাদা চাল হলো পলিশ করা। এর বাইরের খোসা, ব্র্যান ও জার্ম সরানো হয়। ফলে এটি দেখতে সাদা ও চকচকে হয়। সাদা চাল সহজে হজম হয় এবং দ্রুত শক্তি দেয়। এটি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত চাল। তবে প্রক্রিয়াকরণের কারণে এতে ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ কম থাকে।
বাদামি চাল: বাদামি চাল হলো পুরোপুরি শস্য চাল। যেখানে শুধু বাইরের খোসা সরানো হয়। এতে ব্র্যান ও জার্ম থাকে, যা ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ বাড়ায়। এটি সহজে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
কালো চাল: কালো চাল হলো সম্পূর্ণ শস্য চাল। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাদ ও পুষ্টির দিক থেকে বেশ ভালো। সাধারণত স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের খাদ্যতালিকায় এই চাল থাকে।
লাল চাল: লাল চালের রং লাল-বাদামি। এতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। অ্যান্থোসায়ানিন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, হজম ভালো রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
পুষ্টিগুণের তুলনা
সাদা চাল: সাদা চালে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ১৩০ ক্যালরি থাকে। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ প্রায় ২৮ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ২ দশমিক ৭ গ্রাম এবং চর্বি খুব কম, সাধারণত ০.৫ গ্রামের কম।
লাল চাল: লাল চালে প্রতি ১০০ গ্রামে ১১০ থেকে ১৫০ ক্যালরি থাকে। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ২২ থেকে ২৫ গ্রাম, প্রোটিন ৩ থেকে ৪ গ্রাম এবং চর্বির পরিমাণ থাকে ১ থেকে ২ গ্রাম।
প্রধান পার্থক্য: লাল চালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, ফাইবার বেশি এবং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী।
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
লাল চাল
– লোহা, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ।
– অ্যান্থোসায়ানিনের কারণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
– রক্তসঞ্চালন ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সাদা চাল
– প্রক্রিয়াকরণের কারণে ভিটামিন ও খনিজ কম।
– কখনো কখনো ফোলিক অ্যাসিডসহ কিছু ভিটামিন যোগ করা হয়।
ফাইবার ও হজম
লাল চাল: উচ্চ ফাইবার, হজমে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
সাদা চাল: ফাইবার কম, হজম সহজ, তবে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স
লাল চাল: কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরভাবে বাড়ে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
সাদা চাল: উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
লাল চাল
–অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
–রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।
–ফাইবার হজম ভালো রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
–দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখায় অতিরিক্ত খাবার কমায়।
–কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
–ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত রাখে।
সাদা চাল
–খেলাধুলা বা কাজের জন্য দ্রুত শক্তি দেয়।
–যাঁরা হজমে সমস্যা বা অসুস্থতার পর খাদ্য শুরু করছেন, তাঁদের জন্য উপযোগী।
লাল চাল রান্নার উপায়
ভেজানো: রান্নার আগে কমপক্ষে এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
রান্না: পানি ও চালের অনুপাত ৪:১ রাখুন। পানি ফুটিয়ে চাল যোগ করুন। কম আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।
পরিবেশন: পানি ঝরিয়ে হালকাভাবে কাঁটাচামচ দিয়ে ফোল্ড করুন। এটি সালাদ, ভাতের বেস বা সাইড ডিশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
যদি আপনার লক্ষ্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বাড়ানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বা হজম উন্নত করা হয়, তাহলে লাল চাল সাদা চালের চেয়ে অনেক বেশি উপকারী। তবে সহজ হজম ও দ্রুত শক্তির জন্য সাদা চালও প্রয়োজনীয় হতে পারে।
সূত্র: হেলথশট
বিশ্বের অনেক দেশের প্রধান খাবার চাল। বহু মানুষের প্রতিদিনের খাবারের অংশ এটি। তবে সব চালের পুষ্টিগুণ এক রকম নয়। সাদা চালের তুলনায় লাল চালের স্বাদ, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের উপকারিতা অনেক বেশি।
চালের ধরন
সাদা চাল: সাদা চাল হলো পলিশ করা। এর বাইরের খোসা, ব্র্যান ও জার্ম সরানো হয়। ফলে এটি দেখতে সাদা ও চকচকে হয়। সাদা চাল সহজে হজম হয় এবং দ্রুত শক্তি দেয়। এটি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত চাল। তবে প্রক্রিয়াকরণের কারণে এতে ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ কম থাকে।
বাদামি চাল: বাদামি চাল হলো পুরোপুরি শস্য চাল। যেখানে শুধু বাইরের খোসা সরানো হয়। এতে ব্র্যান ও জার্ম থাকে, যা ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ বাড়ায়। এটি সহজে হজম হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
কালো চাল: কালো চাল হলো সম্পূর্ণ শস্য চাল। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাদ ও পুষ্টির দিক থেকে বেশ ভালো। সাধারণত স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের খাদ্যতালিকায় এই চাল থাকে।
লাল চাল: লাল চালের রং লাল-বাদামি। এতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। অ্যান্থোসায়ানিন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, হজম ভালো রাখতে এবং হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
পুষ্টিগুণের তুলনা
সাদা চাল: সাদা চালে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ১৩০ ক্যালরি থাকে। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ প্রায় ২৮ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ২ দশমিক ৭ গ্রাম এবং চর্বি খুব কম, সাধারণত ০.৫ গ্রামের কম।
লাল চাল: লাল চালে প্রতি ১০০ গ্রামে ১১০ থেকে ১৫০ ক্যালরি থাকে। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ২২ থেকে ২৫ গ্রাম, প্রোটিন ৩ থেকে ৪ গ্রাম এবং চর্বির পরিমাণ থাকে ১ থেকে ২ গ্রাম।
প্রধান পার্থক্য: লাল চালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, ফাইবার বেশি এবং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী।
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
লাল চাল
– লোহা, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ।
– অ্যান্থোসায়ানিনের কারণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
– রক্তসঞ্চালন ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সাদা চাল
– প্রক্রিয়াকরণের কারণে ভিটামিন ও খনিজ কম।
– কখনো কখনো ফোলিক অ্যাসিডসহ কিছু ভিটামিন যোগ করা হয়।
ফাইবার ও হজম
লাল চাল: উচ্চ ফাইবার, হজমে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
সাদা চাল: ফাইবার কম, হজম সহজ, তবে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে।
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স
লাল চাল: কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরভাবে বাড়ে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
সাদা চাল: উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
লাল চাল
–অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
–রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।
–ফাইবার হজম ভালো রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
–দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখায় অতিরিক্ত খাবার কমায়।
–কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
–ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত রাখে।
সাদা চাল
–খেলাধুলা বা কাজের জন্য দ্রুত শক্তি দেয়।
–যাঁরা হজমে সমস্যা বা অসুস্থতার পর খাদ্য শুরু করছেন, তাঁদের জন্য উপযোগী।
লাল চাল রান্নার উপায়
ভেজানো: রান্নার আগে কমপক্ষে এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
রান্না: পানি ও চালের অনুপাত ৪:১ রাখুন। পানি ফুটিয়ে চাল যোগ করুন। কম আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।
পরিবেশন: পানি ঝরিয়ে হালকাভাবে কাঁটাচামচ দিয়ে ফোল্ড করুন। এটি সালাদ, ভাতের বেস বা সাইড ডিশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
যদি আপনার লক্ষ্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বাড়ানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বা হজম উন্নত করা হয়, তাহলে লাল চাল সাদা চালের চেয়ে অনেক বেশি উপকারী। তবে সহজ হজম ও দ্রুত শক্তির জন্য সাদা চালও প্রয়োজনীয় হতে পারে।
সূত্র: হেলথশট
রাতে রান্না করতে ইচ্ছে করছে না। গরম ভাতের সঙ্গে কলার থোড় ভাজি দিয়ে উদর পূর্তি করুন। স্বাদে অনন্য এই খাবারের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ ঘণ্টা আগেমশার কামড় খেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে স্বাদের ঘুমটা ভাঙেনি—এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। গরমের দিনে সন্ধ্যা নামতেই মশার ঝাঁক যেন হানা দেয়। ঘরে-বাইরে, পার্কে কিংবা বারবিকিউ পার্টিতে মনে হয়, পুরো মহল্লার সব মশা শুধু আপনাকেই খুঁজছে। এমন মনে হয় না যে পাশে বসা বন্ধুটি নিশ্চিন্তে গল্প করছে আর আপনি চুলকাতে চুলকাতে পাগ
৪ ঘণ্টা আগেপর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে নিজেদের প্রস্তুতি দিয়ে বারবার চমকে দিচ্ছে সৌদি আরব। পর্যটন প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম তাদের মেট্রোরেলের যোগাযোগব্যবস্থা। এখানেও তাক লাগিয়েছে দেশটি। শহরে মেট্রো সাধারণত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, কিন্তু সৌদির নতুন রিয়াদ মেট্রো এ ধারণাকেই বদলে
৬ ঘণ্টা আগেভ্রমণে গিয়ে কিছু হারিয়ে যাওয়া বা পকেটমারের মতো ঘটনার শিকার অনেকেই হন। ব্যস্ত পর্যটনস্থলে পকেটমার ও ছিনতাইয়ের ঝুঁকি প্রায়ই থাকে। তাই প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। ভিয়েতনামের হ্যানয়ের ৪০ বছরের বেশি বয়সী পর্যটক ত্রিন হ্যাং ইউরোপসহ বহু দেশে ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সহজ কিছু কৌশল
২০ ঘণ্টা আগে