ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।
ভাষা যেহেতু এক জীবন্ত সত্তা, তাই এর রূঢ় অংশ হিসেবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে গালি। ইন্টারনেটের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বা চলতি ভাষা মূলত ইংরেজি। বেশির ভাগ মানুষ সেখানে ইংরেজিতে লেখেন। ফলে বইয়ের ইংরেজি আর ইন্টারনেট জগতের ইংরেজির মধ্যেও পার্থক্য আছে। একসময় কেবল বিজনেস ইংলিশ বা মুভি ইংলিশের চল থাকলেও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ইংরেজিই মুখ্য। ভালো হোক বা খারাপ, এর মানে হলো যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্যও এখন গালি বা শপথ বা ‘স্কয়ার’ নেওয়াটা বেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ফলে ইন্টারনেটে শতবর্ষ পুরোনো গালিগালাজও নতুন অর্থ ও তাৎপর্য পেয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, গালি দেওয়া এখন আরও মজাদার হয়ে উঠেছে। ঠিক ক্রসওয়ার্ড বা নিউইয়র্ক টাইমস স্ট্র্যান্ডস খেলার মতো এটি এখন মানসিক অনুশীলন।
বেঞ্জামিন বার্গেনের একটি বই আছে, ‘হোয়াট দ্য এফ: হোয়াট স্যয়ারিং রিভিলস অ্যাবাউট আওয়ার ল্যাংগুয়েজ, আওয়ার ব্রেইন অ্যান্ড আওয়ারসেলভস’। সে বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আগে আপনি যে মিডিয়া দেখতেন, তা ছিল অত্যন্ত সম্পাদিত। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হঠাৎ আমরা মানুষের ঘরোয়া ভাষা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। যখন আমরা মানুষের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ দেখি এবং তাতে গালিগালাজ বেশি থাকে। এর মানে হলো, আমরা সেগুলোর সঙ্গে আরও বেশি পরিচিত হচ্ছি, যা এটিকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। ফলে মানুষজন এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।’
কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি গালির বাহার দেখাচ্ছে, জানেন? ধাঁধা সমাধান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ড টিপস ও মেন্টাল ফ্লসের এক নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে। ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড ও মোনাশ ইউনিভার্সিটির ডেটা বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। গবেষকেরা ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইংরেজি ভাষার এক্স পোস্ট বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের গালি ব্যবহারের হার খুঁজে বের করেছেন।
কে কত বেশি গালি দেয়
গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইনে ইংরেজি ভাষায় বেশি গালি দেওয়া দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ব্যবহারকারীরা যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের চেয়ে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি গালি ব্যবহার করে। কম গালি দেওয়া চারটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের। আর সবচেয়ে কম গালি দেওয়া ১২টি দেশ এশিয়া বা আফ্রিকার। কুয়েতের ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে কম গালি দেয়। প্রতি ১ হাজার পোস্টে মাত্র ৩ দশমিক ৬টি পোস্টে গালি থাকে!
এই গবেষণায় কেবল ইংরেজি ভাষার টুইটগুলো গণনা করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, ইংরেজি যাদের দ্বিতীয় ভাষা, তারা গালি কম ব্যবহার করতে পারে। এর কারণ হলো, গালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ধরনের সাংস্কৃতিক জ্ঞান প্রয়োজন এবং কখন তা ব্যবহার করা উচিত, সেই সূক্ষ্ম বোধগুলো তাদের থাকে না। কারণ, সেগুলো তাদের পক্ষে শেখা কঠিন।
শহর ও মহাদেশের চ্যাম্পিয়নরা
শুধু দেশ নয়, গবেষকেরা শহর ও মহাদেশভিত্তিক গালি ব্যবহারের প্রবণতাও তুলে ধরেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো বাল্টিমোর ও মেরিল্যান্ড। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৭৮ দশমিক ২টি গালিযুক্ত পোস্ট দেওয়া হয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ড রাজ্যটিতে বেশি গালি ব্যবহার করা হয়। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৬৬ দশমিক ৩টি গালিমূলক কথা থাকে। অন্যদিকে লেক্সিংটন, কেন্টাকি এবং সাউথ ডাকোটা রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে কম গালি দেয়।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো নিউক্যাসল। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৩৪ দশমিক ৫টি গালিযুক্ত পোস্ট থাকে। এরপরই আছে লিডস; যেখানে প্রতি ১ হাজার পোস্টের ৩৩ দশমিক ১টিতে গালি থাকে।
উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শীর্ষ পাঁচটি শহরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। উত্তর আমেরিকার বাইরে কলম্বিয়ার কালি নামের শহরটিতে বেশি গালি দেওয়া হয়। তবে কালি শহরটি কিন্তু গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম হলো চিলির সান্তিয়াগো। তারা কালির চেয়ে ২ দশমিক ৩ গুণ বেশি গালি দেয়।
অন্যান্য দেশের বিশেষ প্রবণতা
গবেষণায় আরও কিছু দেশের গালি ব্যবহারের অনন্য দিক উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়া: অনলাইনে গালি ব্যবহারে তৃতীয় স্থানে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের খ্যাতি অনুযায়ী শীর্ষে নেই। তাই গবেষকেরা সন্দেহ করছেন, তারা হয়তো মুখোমুখি কথোপকথনের জন্য গালিগুলো জমিয়ে রাখে! তবে অস্ট্রেলিয়ান ও ব্রিটিশদের গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকানদের চেয়ে বেশি সৃজনশীল মনে করা হয়।
সিঙ্গাপুর: পাসপোর্টের শক্তিতে নম্বর ওয়ান হলেও গালি ব্যবহারে নবম স্থানে আছে সিঙ্গাপুর।
আয়ারল্যান্ড: ষষ্ঠ স্থানে থাকা আইরিশরা তাদের গালিকে সৃজনশীলতার চূড়ান্তে নিয়ে গেছে। গবেষকেরা তাকে ‘উষ্ণ ব্যঞ্জনাময়’ বলে উল্লেখ করেছেন। আইরিশদের রসিকতা, আবেগ ও গল্প বলার ঢঙে গালি ব্যবহার একধরনের আকর্ষণ যোগ করে।
নিউজিল্যান্ড: পঞ্চম স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের লোকেরা হালকা মেজাজে হালকা গালি ব্যবহার করে। ফলে তা খুব কম আক্রমণাত্মক।
কানাডা: চতুর্থ স্থানে থাকা কানাডীয়রা ভদ্রতার সঙ্গে গালিগালাজকে মিশিয়ে দেয়। তারা রসিকতা বা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গালি ব্যবহার করে।
স্পেন, ইতালি, গ্রিস, সার্বিয়া, তুরস্ক, রাশিয়া ও চিলি: এই দেশগুলো আবেগপ্রবণ ভাষা, তীব্র বিতর্ক ও হাস্যরসের সঙ্গে গালি মিশিয়ে অনলাইনে তাদের মতামত আরও জোরালো করে তোলে।
নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা: এই দেশগুলোর ব্যবহারকারীরা ইংরেজি, স্থানীয় ভাষা ও ক্রিয়োল (যেমন পিডগিন) মিশিয়ে গালি ব্যবহার করে। এ বৈশিষ্ট্য তাদের অনলাইন কথোপকথনে একটি অনন্য বহুভাষিক চরিত্র তৈরি করেছে বলে গবেষকদের মত।
সব মিলিয়ে, গালি বা ভালগার ল্যাঙ্গুয়েজের ধারণা প্রসঙ্গে গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে শপথ, অশ্লীলতা, অপমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। একটি শব্দের আপত্তিকর অর্থ পুরোপুরি নির্ভর করে সেটি ব্যবহারের প্রেক্ষাপটের ওপর। যেমন ‘শিট’ শব্দটি কর্মক্ষেত্রে অশালীন হলেও নৈমিত্তিক অনলাইন আড্ডায় স্বাভাবিক হতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।
ভাষা যেহেতু এক জীবন্ত সত্তা, তাই এর রূঢ় অংশ হিসেবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে গালি। ইন্টারনেটের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বা চলতি ভাষা মূলত ইংরেজি। বেশির ভাগ মানুষ সেখানে ইংরেজিতে লেখেন। ফলে বইয়ের ইংরেজি আর ইন্টারনেট জগতের ইংরেজির মধ্যেও পার্থক্য আছে। একসময় কেবল বিজনেস ইংলিশ বা মুভি ইংলিশের চল থাকলেও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ইংরেজিই মুখ্য। ভালো হোক বা খারাপ, এর মানে হলো যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্যও এখন গালি বা শপথ বা ‘স্কয়ার’ নেওয়াটা বেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ফলে ইন্টারনেটে শতবর্ষ পুরোনো গালিগালাজও নতুন অর্থ ও তাৎপর্য পেয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, গালি দেওয়া এখন আরও মজাদার হয়ে উঠেছে। ঠিক ক্রসওয়ার্ড বা নিউইয়র্ক টাইমস স্ট্র্যান্ডস খেলার মতো এটি এখন মানসিক অনুশীলন।
বেঞ্জামিন বার্গেনের একটি বই আছে, ‘হোয়াট দ্য এফ: হোয়াট স্যয়ারিং রিভিলস অ্যাবাউট আওয়ার ল্যাংগুয়েজ, আওয়ার ব্রেইন অ্যান্ড আওয়ারসেলভস’। সে বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আগে আপনি যে মিডিয়া দেখতেন, তা ছিল অত্যন্ত সম্পাদিত। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হঠাৎ আমরা মানুষের ঘরোয়া ভাষা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। যখন আমরা মানুষের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ দেখি এবং তাতে গালিগালাজ বেশি থাকে। এর মানে হলো, আমরা সেগুলোর সঙ্গে আরও বেশি পরিচিত হচ্ছি, যা এটিকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। ফলে মানুষজন এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।’
কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি গালির বাহার দেখাচ্ছে, জানেন? ধাঁধা সমাধান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ড টিপস ও মেন্টাল ফ্লসের এক নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে। ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড ও মোনাশ ইউনিভার্সিটির ডেটা বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। গবেষকেরা ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইংরেজি ভাষার এক্স পোস্ট বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের গালি ব্যবহারের হার খুঁজে বের করেছেন।
কে কত বেশি গালি দেয়
গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইনে ইংরেজি ভাষায় বেশি গালি দেওয়া দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ব্যবহারকারীরা যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের চেয়ে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি গালি ব্যবহার করে। কম গালি দেওয়া চারটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের। আর সবচেয়ে কম গালি দেওয়া ১২টি দেশ এশিয়া বা আফ্রিকার। কুয়েতের ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে কম গালি দেয়। প্রতি ১ হাজার পোস্টে মাত্র ৩ দশমিক ৬টি পোস্টে গালি থাকে!
এই গবেষণায় কেবল ইংরেজি ভাষার টুইটগুলো গণনা করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, ইংরেজি যাদের দ্বিতীয় ভাষা, তারা গালি কম ব্যবহার করতে পারে। এর কারণ হলো, গালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ধরনের সাংস্কৃতিক জ্ঞান প্রয়োজন এবং কখন তা ব্যবহার করা উচিত, সেই সূক্ষ্ম বোধগুলো তাদের থাকে না। কারণ, সেগুলো তাদের পক্ষে শেখা কঠিন।
শহর ও মহাদেশের চ্যাম্পিয়নরা
শুধু দেশ নয়, গবেষকেরা শহর ও মহাদেশভিত্তিক গালি ব্যবহারের প্রবণতাও তুলে ধরেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো বাল্টিমোর ও মেরিল্যান্ড। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৭৮ দশমিক ২টি গালিযুক্ত পোস্ট দেওয়া হয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ড রাজ্যটিতে বেশি গালি ব্যবহার করা হয়। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৬৬ দশমিক ৩টি গালিমূলক কথা থাকে। অন্যদিকে লেক্সিংটন, কেন্টাকি এবং সাউথ ডাকোটা রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে কম গালি দেয়।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো নিউক্যাসল। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৩৪ দশমিক ৫টি গালিযুক্ত পোস্ট থাকে। এরপরই আছে লিডস; যেখানে প্রতি ১ হাজার পোস্টের ৩৩ দশমিক ১টিতে গালি থাকে।
উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শীর্ষ পাঁচটি শহরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। উত্তর আমেরিকার বাইরে কলম্বিয়ার কালি নামের শহরটিতে বেশি গালি দেওয়া হয়। তবে কালি শহরটি কিন্তু গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম হলো চিলির সান্তিয়াগো। তারা কালির চেয়ে ২ দশমিক ৩ গুণ বেশি গালি দেয়।
অন্যান্য দেশের বিশেষ প্রবণতা
গবেষণায় আরও কিছু দেশের গালি ব্যবহারের অনন্য দিক উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়া: অনলাইনে গালি ব্যবহারে তৃতীয় স্থানে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের খ্যাতি অনুযায়ী শীর্ষে নেই। তাই গবেষকেরা সন্দেহ করছেন, তারা হয়তো মুখোমুখি কথোপকথনের জন্য গালিগুলো জমিয়ে রাখে! তবে অস্ট্রেলিয়ান ও ব্রিটিশদের গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকানদের চেয়ে বেশি সৃজনশীল মনে করা হয়।
সিঙ্গাপুর: পাসপোর্টের শক্তিতে নম্বর ওয়ান হলেও গালি ব্যবহারে নবম স্থানে আছে সিঙ্গাপুর।
আয়ারল্যান্ড: ষষ্ঠ স্থানে থাকা আইরিশরা তাদের গালিকে সৃজনশীলতার চূড়ান্তে নিয়ে গেছে। গবেষকেরা তাকে ‘উষ্ণ ব্যঞ্জনাময়’ বলে উল্লেখ করেছেন। আইরিশদের রসিকতা, আবেগ ও গল্প বলার ঢঙে গালি ব্যবহার একধরনের আকর্ষণ যোগ করে।
নিউজিল্যান্ড: পঞ্চম স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের লোকেরা হালকা মেজাজে হালকা গালি ব্যবহার করে। ফলে তা খুব কম আক্রমণাত্মক।
কানাডা: চতুর্থ স্থানে থাকা কানাডীয়রা ভদ্রতার সঙ্গে গালিগালাজকে মিশিয়ে দেয়। তারা রসিকতা বা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গালি ব্যবহার করে।
স্পেন, ইতালি, গ্রিস, সার্বিয়া, তুরস্ক, রাশিয়া ও চিলি: এই দেশগুলো আবেগপ্রবণ ভাষা, তীব্র বিতর্ক ও হাস্যরসের সঙ্গে গালি মিশিয়ে অনলাইনে তাদের মতামত আরও জোরালো করে তোলে।
নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা: এই দেশগুলোর ব্যবহারকারীরা ইংরেজি, স্থানীয় ভাষা ও ক্রিয়োল (যেমন পিডগিন) মিশিয়ে গালি ব্যবহার করে। এ বৈশিষ্ট্য তাদের অনলাইন কথোপকথনে একটি অনন্য বহুভাষিক চরিত্র তৈরি করেছে বলে গবেষকদের মত।
সব মিলিয়ে, গালি বা ভালগার ল্যাঙ্গুয়েজের ধারণা প্রসঙ্গে গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে শপথ, অশ্লীলতা, অপমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। একটি শব্দের আপত্তিকর অর্থ পুরোপুরি নির্ভর করে সেটি ব্যবহারের প্রেক্ষাপটের ওপর। যেমন ‘শিট’ শব্দটি কর্মক্ষেত্রে অশালীন হলেও নৈমিত্তিক অনলাইন আড্ডায় স্বাভাবিক হতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।
ভাষা যেহেতু এক জীবন্ত সত্তা, তাই এর রূঢ় অংশ হিসেবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে গালি। ইন্টারনেটের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বা চলতি ভাষা মূলত ইংরেজি। বেশির ভাগ মানুষ সেখানে ইংরেজিতে লেখেন। ফলে বইয়ের ইংরেজি আর ইন্টারনেট জগতের ইংরেজির মধ্যেও পার্থক্য আছে। একসময় কেবল বিজনেস ইংলিশ বা মুভি ইংলিশের চল থাকলেও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ইংরেজিই মুখ্য। ভালো হোক বা খারাপ, এর মানে হলো যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্যও এখন গালি বা শপথ বা ‘স্কয়ার’ নেওয়াটা বেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ফলে ইন্টারনেটে শতবর্ষ পুরোনো গালিগালাজও নতুন অর্থ ও তাৎপর্য পেয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, গালি দেওয়া এখন আরও মজাদার হয়ে উঠেছে। ঠিক ক্রসওয়ার্ড বা নিউইয়র্ক টাইমস স্ট্র্যান্ডস খেলার মতো এটি এখন মানসিক অনুশীলন।
বেঞ্জামিন বার্গেনের একটি বই আছে, ‘হোয়াট দ্য এফ: হোয়াট স্যয়ারিং রিভিলস অ্যাবাউট আওয়ার ল্যাংগুয়েজ, আওয়ার ব্রেইন অ্যান্ড আওয়ারসেলভস’। সে বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আগে আপনি যে মিডিয়া দেখতেন, তা ছিল অত্যন্ত সম্পাদিত। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হঠাৎ আমরা মানুষের ঘরোয়া ভাষা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। যখন আমরা মানুষের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ দেখি এবং তাতে গালিগালাজ বেশি থাকে। এর মানে হলো, আমরা সেগুলোর সঙ্গে আরও বেশি পরিচিত হচ্ছি, যা এটিকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। ফলে মানুষজন এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।’
কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি গালির বাহার দেখাচ্ছে, জানেন? ধাঁধা সমাধান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ড টিপস ও মেন্টাল ফ্লসের এক নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে। ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড ও মোনাশ ইউনিভার্সিটির ডেটা বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। গবেষকেরা ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইংরেজি ভাষার এক্স পোস্ট বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের গালি ব্যবহারের হার খুঁজে বের করেছেন।
কে কত বেশি গালি দেয়
গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইনে ইংরেজি ভাষায় বেশি গালি দেওয়া দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ব্যবহারকারীরা যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের চেয়ে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি গালি ব্যবহার করে। কম গালি দেওয়া চারটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের। আর সবচেয়ে কম গালি দেওয়া ১২টি দেশ এশিয়া বা আফ্রিকার। কুয়েতের ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে কম গালি দেয়। প্রতি ১ হাজার পোস্টে মাত্র ৩ দশমিক ৬টি পোস্টে গালি থাকে!
এই গবেষণায় কেবল ইংরেজি ভাষার টুইটগুলো গণনা করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, ইংরেজি যাদের দ্বিতীয় ভাষা, তারা গালি কম ব্যবহার করতে পারে। এর কারণ হলো, গালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ধরনের সাংস্কৃতিক জ্ঞান প্রয়োজন এবং কখন তা ব্যবহার করা উচিত, সেই সূক্ষ্ম বোধগুলো তাদের থাকে না। কারণ, সেগুলো তাদের পক্ষে শেখা কঠিন।
শহর ও মহাদেশের চ্যাম্পিয়নরা
শুধু দেশ নয়, গবেষকেরা শহর ও মহাদেশভিত্তিক গালি ব্যবহারের প্রবণতাও তুলে ধরেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো বাল্টিমোর ও মেরিল্যান্ড। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৭৮ দশমিক ২টি গালিযুক্ত পোস্ট দেওয়া হয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ড রাজ্যটিতে বেশি গালি ব্যবহার করা হয়। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৬৬ দশমিক ৩টি গালিমূলক কথা থাকে। অন্যদিকে লেক্সিংটন, কেন্টাকি এবং সাউথ ডাকোটা রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে কম গালি দেয়।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো নিউক্যাসল। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৩৪ দশমিক ৫টি গালিযুক্ত পোস্ট থাকে। এরপরই আছে লিডস; যেখানে প্রতি ১ হাজার পোস্টের ৩৩ দশমিক ১টিতে গালি থাকে।
উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শীর্ষ পাঁচটি শহরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। উত্তর আমেরিকার বাইরে কলম্বিয়ার কালি নামের শহরটিতে বেশি গালি দেওয়া হয়। তবে কালি শহরটি কিন্তু গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম হলো চিলির সান্তিয়াগো। তারা কালির চেয়ে ২ দশমিক ৩ গুণ বেশি গালি দেয়।
অন্যান্য দেশের বিশেষ প্রবণতা
গবেষণায় আরও কিছু দেশের গালি ব্যবহারের অনন্য দিক উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়া: অনলাইনে গালি ব্যবহারে তৃতীয় স্থানে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের খ্যাতি অনুযায়ী শীর্ষে নেই। তাই গবেষকেরা সন্দেহ করছেন, তারা হয়তো মুখোমুখি কথোপকথনের জন্য গালিগুলো জমিয়ে রাখে! তবে অস্ট্রেলিয়ান ও ব্রিটিশদের গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকানদের চেয়ে বেশি সৃজনশীল মনে করা হয়।
সিঙ্গাপুর: পাসপোর্টের শক্তিতে নম্বর ওয়ান হলেও গালি ব্যবহারে নবম স্থানে আছে সিঙ্গাপুর।
আয়ারল্যান্ড: ষষ্ঠ স্থানে থাকা আইরিশরা তাদের গালিকে সৃজনশীলতার চূড়ান্তে নিয়ে গেছে। গবেষকেরা তাকে ‘উষ্ণ ব্যঞ্জনাময়’ বলে উল্লেখ করেছেন। আইরিশদের রসিকতা, আবেগ ও গল্প বলার ঢঙে গালি ব্যবহার একধরনের আকর্ষণ যোগ করে।
নিউজিল্যান্ড: পঞ্চম স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের লোকেরা হালকা মেজাজে হালকা গালি ব্যবহার করে। ফলে তা খুব কম আক্রমণাত্মক।
কানাডা: চতুর্থ স্থানে থাকা কানাডীয়রা ভদ্রতার সঙ্গে গালিগালাজকে মিশিয়ে দেয়। তারা রসিকতা বা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গালি ব্যবহার করে।
স্পেন, ইতালি, গ্রিস, সার্বিয়া, তুরস্ক, রাশিয়া ও চিলি: এই দেশগুলো আবেগপ্রবণ ভাষা, তীব্র বিতর্ক ও হাস্যরসের সঙ্গে গালি মিশিয়ে অনলাইনে তাদের মতামত আরও জোরালো করে তোলে।
নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা: এই দেশগুলোর ব্যবহারকারীরা ইংরেজি, স্থানীয় ভাষা ও ক্রিয়োল (যেমন পিডগিন) মিশিয়ে গালি ব্যবহার করে। এ বৈশিষ্ট্য তাদের অনলাইন কথোপকথনে একটি অনন্য বহুভাষিক চরিত্র তৈরি করেছে বলে গবেষকদের মত।
সব মিলিয়ে, গালি বা ভালগার ল্যাঙ্গুয়েজের ধারণা প্রসঙ্গে গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে শপথ, অশ্লীলতা, অপমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। একটি শব্দের আপত্তিকর অর্থ পুরোপুরি নির্ভর করে সেটি ব্যবহারের প্রেক্ষাপটের ওপর। যেমন ‘শিট’ শব্দটি কর্মক্ষেত্রে অশালীন হলেও নৈমিত্তিক অনলাইন আড্ডায় স্বাভাবিক হতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।
ভাষা যেহেতু এক জীবন্ত সত্তা, তাই এর রূঢ় অংশ হিসেবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে গালি। ইন্টারনেটের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা বা চলতি ভাষা মূলত ইংরেজি। বেশির ভাগ মানুষ সেখানে ইংরেজিতে লেখেন। ফলে বইয়ের ইংরেজি আর ইন্টারনেট জগতের ইংরেজির মধ্যেও পার্থক্য আছে। একসময় কেবল বিজনেস ইংলিশ বা মুভি ইংলিশের চল থাকলেও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ইংরেজিই মুখ্য। ভালো হোক বা খারাপ, এর মানে হলো যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্যও এখন গালি বা শপথ বা ‘স্কয়ার’ নেওয়াটা বেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ফলে ইন্টারনেটে শতবর্ষ পুরোনো গালিগালাজও নতুন অর্থ ও তাৎপর্য পেয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, গালি দেওয়া এখন আরও মজাদার হয়ে উঠেছে। ঠিক ক্রসওয়ার্ড বা নিউইয়র্ক টাইমস স্ট্র্যান্ডস খেলার মতো এটি এখন মানসিক অনুশীলন।
বেঞ্জামিন বার্গেনের একটি বই আছে, ‘হোয়াট দ্য এফ: হোয়াট স্যয়ারিং রিভিলস অ্যাবাউট আওয়ার ল্যাংগুয়েজ, আওয়ার ব্রেইন অ্যান্ড আওয়ারসেলভস’। সে বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আগে আপনি যে মিডিয়া দেখতেন, তা ছিল অত্যন্ত সম্পাদিত। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হঠাৎ আমরা মানুষের ঘরোয়া ভাষা সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। যখন আমরা মানুষের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ দেখি এবং তাতে গালিগালাজ বেশি থাকে। এর মানে হলো, আমরা সেগুলোর সঙ্গে আরও বেশি পরিচিত হচ্ছি, যা এটিকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। ফলে মানুষজন এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।’
কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি গালির বাহার দেখাচ্ছে, জানেন? ধাঁধা সমাধান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ড টিপস ও মেন্টাল ফ্লসের এক নতুন গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছে। ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড ও মোনাশ ইউনিভার্সিটির ডেটা বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। গবেষকেরা ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ইংরেজি ভাষার এক্স পোস্ট বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের গালি ব্যবহারের হার খুঁজে বের করেছেন।
কে কত বেশি গালি দেয়
গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইনে ইংরেজি ভাষায় বেশি গালি দেওয়া দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ব্যবহারকারীরা যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের চেয়ে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি গালি ব্যবহার করে। কম গালি দেওয়া চারটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যের। আর সবচেয়ে কম গালি দেওয়া ১২টি দেশ এশিয়া বা আফ্রিকার। কুয়েতের ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে কম গালি দেয়। প্রতি ১ হাজার পোস্টে মাত্র ৩ দশমিক ৬টি পোস্টে গালি থাকে!
এই গবেষণায় কেবল ইংরেজি ভাষার টুইটগুলো গণনা করা হয়েছে। গবেষকদের মতে, ইংরেজি যাদের দ্বিতীয় ভাষা, তারা গালি কম ব্যবহার করতে পারে। এর কারণ হলো, গালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ধরনের সাংস্কৃতিক জ্ঞান প্রয়োজন এবং কখন তা ব্যবহার করা উচিত, সেই সূক্ষ্ম বোধগুলো তাদের থাকে না। কারণ, সেগুলো তাদের পক্ষে শেখা কঠিন।
শহর ও মহাদেশের চ্যাম্পিয়নরা
শুধু দেশ নয়, গবেষকেরা শহর ও মহাদেশভিত্তিক গালি ব্যবহারের প্রবণতাও তুলে ধরেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো বাল্টিমোর ও মেরিল্যান্ড। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৭৮ দশমিক ২টি গালিযুক্ত পোস্ট দেওয়া হয়। আমেরিকার মেরিল্যান্ড রাজ্যটিতে বেশি গালি ব্যবহার করা হয়। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৬৬ দশমিক ৩টি গালিমূলক কথা থাকে। অন্যদিকে লেক্সিংটন, কেন্টাকি এবং সাউথ ডাকোটা রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে কম গালি দেয়।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শহর হলো নিউক্যাসল। সেখানে প্রতি ১ হাজার টুইটে ৩৪ দশমিক ৫টি গালিযুক্ত পোস্ট থাকে। এরপরই আছে লিডস; যেখানে প্রতি ১ হাজার পোস্টের ৩৩ দশমিক ১টিতে গালি থাকে।
উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বেশি গালি দেওয়া শীর্ষ পাঁচটি শহরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। উত্তর আমেরিকার বাইরে কলম্বিয়ার কালি নামের শহরটিতে বেশি গালি দেওয়া হয়। তবে কালি শহরটি কিন্তু গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম হলো চিলির সান্তিয়াগো। তারা কালির চেয়ে ২ দশমিক ৩ গুণ বেশি গালি দেয়।
অন্যান্য দেশের বিশেষ প্রবণতা
গবেষণায় আরও কিছু দেশের গালি ব্যবহারের অনন্য দিক উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়া: অনলাইনে গালি ব্যবহারে তৃতীয় স্থানে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের খ্যাতি অনুযায়ী শীর্ষে নেই। তাই গবেষকেরা সন্দেহ করছেন, তারা হয়তো মুখোমুখি কথোপকথনের জন্য গালিগুলো জমিয়ে রাখে! তবে অস্ট্রেলিয়ান ও ব্রিটিশদের গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকানদের চেয়ে বেশি সৃজনশীল মনে করা হয়।
সিঙ্গাপুর: পাসপোর্টের শক্তিতে নম্বর ওয়ান হলেও গালি ব্যবহারে নবম স্থানে আছে সিঙ্গাপুর।
আয়ারল্যান্ড: ষষ্ঠ স্থানে থাকা আইরিশরা তাদের গালিকে সৃজনশীলতার চূড়ান্তে নিয়ে গেছে। গবেষকেরা তাকে ‘উষ্ণ ব্যঞ্জনাময়’ বলে উল্লেখ করেছেন। আইরিশদের রসিকতা, আবেগ ও গল্প বলার ঢঙে গালি ব্যবহার একধরনের আকর্ষণ যোগ করে।
নিউজিল্যান্ড: পঞ্চম স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের লোকেরা হালকা মেজাজে হালকা গালি ব্যবহার করে। ফলে তা খুব কম আক্রমণাত্মক।
কানাডা: চতুর্থ স্থানে থাকা কানাডীয়রা ভদ্রতার সঙ্গে গালিগালাজকে মিশিয়ে দেয়। তারা রসিকতা বা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গালি ব্যবহার করে।
স্পেন, ইতালি, গ্রিস, সার্বিয়া, তুরস্ক, রাশিয়া ও চিলি: এই দেশগুলো আবেগপ্রবণ ভাষা, তীব্র বিতর্ক ও হাস্যরসের সঙ্গে গালি মিশিয়ে অনলাইনে তাদের মতামত আরও জোরালো করে তোলে।
নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা: এই দেশগুলোর ব্যবহারকারীরা ইংরেজি, স্থানীয় ভাষা ও ক্রিয়োল (যেমন পিডগিন) মিশিয়ে গালি ব্যবহার করে। এ বৈশিষ্ট্য তাদের অনলাইন কথোপকথনে একটি অনন্য বহুভাষিক চরিত্র তৈরি করেছে বলে গবেষকদের মত।
সব মিলিয়ে, গালি বা ভালগার ল্যাঙ্গুয়েজের ধারণা প্রসঙ্গে গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে শপথ, অশ্লীলতা, অপমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। একটি শব্দের আপত্তিকর অর্থ পুরোপুরি নির্ভর করে সেটি ব্যবহারের প্রেক্ষাপটের ওপর। যেমন ‘শিট’ শব্দটি কর্মক্ষেত্রে অশালীন হলেও নৈমিত্তিক অনলাইন আড্ডায় স্বাভাবিক হতে পারে।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার
সৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন।
৮ ঘণ্টা আগেইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে।
৮ ঘণ্টা আগেসবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
১০ ঘণ্টা আগেশীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
১২ ঘণ্টা আগেমো. মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
সৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি শুধু ধর্মীয় ভ্রমণের গন্তব্য নয়—একটি পরিবারবান্ধব বিনোদন, সংস্কৃতি ও অবকাশযাপনের জন্য আকর্ষণীয় হিসেবে দ্রুত উঠে আসছে।
আধ্যাত্মিক ভ্রমণের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ছোঁয়া
বাংলাদেশি মুসলিমদের কাছে মক্কা ও মদিনা চিরকালীন আকর্ষণের প্রতীক। তবে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর অসংখ্য সুযোগও এখন সেখানে তৈরি হয়েছে। ঐতিহাসিক দিরিয়াহ, জেদ্দার পুরোনো এলাকা আল-বালাদের ঐতিহ্যবাহী আরবি স্থাপত্য, কিংবা মদিনার জাদুঘরগুলোতে ইসলামি ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শনগুলো চাক্ষুস করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সৌদি লোহিত সাগর অঞ্চলে পরিবারিক বিনোদন
সৌদির অন্যতম আকর্ষণ হলো সৌদি লোহিত সাগর অঞ্চল। পরিবারের সদস্যরা এখানে জেদ্দার কর্নিশে হাটাহাটি ও নৌকা ভ্রমণ করতে পারেন, কিংবা স্কুবা ডাইভিংয়ের মাধ্যমে বর্ণিল সামুদ্রিক প্রাণী ও প্রবালপ্রাচীরের মনোমুগ্ধকর জগৎ আবিষ্কার করতে পারেন। মরুভূমির সাফারি, উটের পিঠে ভ্রমণ, ডিউন বাশিং ও তারাভরা আকাশের নিচে খোলা প্রান্তরে ক্যাম্পিং—সব মিলিয়ে শিশু ও বড়দের জন্য রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে সেখানে।
রান্না, কেনাকাটা ও বিনোদন—সব একসঙ্গে
সৌদি খাবার যেমন কাবসা, মান্দি, শাওয়ারমা কিংবা বিভিন্ন জাতের খেজুর পারিবারিক ভ্রমণে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় মসলাজাত পণ্য, হস্তশিল্প, সোনা ও রুপার গয়না; আধুনিক শপিংমলে মিলবে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সামগ্রী। শিশুদের জন্য রয়েছে থিম পার্ক, ওয়াটার পার্ক ও নানা বিনোদনকেন্দ্র—যা পারিবারিক ভ্রমণকে আরো পূর্ণতা এনে দিতে পারে।
বছরজুড়ে ভ্রমণের উপযোগী আবহাওয়া
শীতকালে মনোরম আবহাওয়া এবং গ্রীষ্মে উপকূলীয় শহরগুলোর শীতল পরিবেশ সৌদিকে করেছে বছরজুড়ে ভ্রমণের জন্য আদর্শ গন্তব্য। বিশেষ করে রিয়াদ সিজন বা জেদ্দা ফেস্টিভ্যালের মতো উৎসবমুখর সময়গুলোতে পরিবারগুলো অংশ নিতে পারে নানা বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন ও বিনোদনে।
সহজ সংযোগ ও ভিসা সুবিধা
বাংলাদেশ ও সৌদির মধ্যে এখন আগের চেয়ে বেশি ও নিয়মিত ফ্লাইট সংযোগ রয়েছে। ঢাকা থেকে রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মামগামী দৈনিক একাধিক সরাসরি ফ্লাইটে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছানো যায়। ঢাকায় ও চট্টগ্রামে তাশহির (TASHEER) ভিসা সেন্টার থেকে সহজেই ভিজিট ফ্রেন্ড ও রিলেটিভ (VFR) ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, যা পারিবারিক ভ্রমণকে আরো সহজ করে দিয়েছে।
সব বয়সের জন্য আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা
ধর্মীয় ঐতিহ্য, আধুনিক আকর্ষণ, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পারিবারিক বিনোদন—সব মিলিয়ে সৌদি এখন এক নতুন অভিজ্ঞতার দেশ। সহজ ভ্রমণ সুবিধা ও দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সেখানে তৈরি করেছে স্মরণীয় ভ্রমণের এক অনন্য সম্ভাবনা।
আরও জানতে ভিজিট করুন: www.visitsaudi.com/en
সৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি শুধু ধর্মীয় ভ্রমণের গন্তব্য নয়—একটি পরিবারবান্ধব বিনোদন, সংস্কৃতি ও অবকাশযাপনের জন্য আকর্ষণীয় হিসেবে দ্রুত উঠে আসছে।
আধ্যাত্মিক ভ্রমণের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ছোঁয়া
বাংলাদেশি মুসলিমদের কাছে মক্কা ও মদিনা চিরকালীন আকর্ষণের প্রতীক। তবে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর অসংখ্য সুযোগও এখন সেখানে তৈরি হয়েছে। ঐতিহাসিক দিরিয়াহ, জেদ্দার পুরোনো এলাকা আল-বালাদের ঐতিহ্যবাহী আরবি স্থাপত্য, কিংবা মদিনার জাদুঘরগুলোতে ইসলামি ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শনগুলো চাক্ষুস করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সৌদি লোহিত সাগর অঞ্চলে পরিবারিক বিনোদন
সৌদির অন্যতম আকর্ষণ হলো সৌদি লোহিত সাগর অঞ্চল। পরিবারের সদস্যরা এখানে জেদ্দার কর্নিশে হাটাহাটি ও নৌকা ভ্রমণ করতে পারেন, কিংবা স্কুবা ডাইভিংয়ের মাধ্যমে বর্ণিল সামুদ্রিক প্রাণী ও প্রবালপ্রাচীরের মনোমুগ্ধকর জগৎ আবিষ্কার করতে পারেন। মরুভূমির সাফারি, উটের পিঠে ভ্রমণ, ডিউন বাশিং ও তারাভরা আকাশের নিচে খোলা প্রান্তরে ক্যাম্পিং—সব মিলিয়ে শিশু ও বড়দের জন্য রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে সেখানে।
রান্না, কেনাকাটা ও বিনোদন—সব একসঙ্গে
সৌদি খাবার যেমন কাবসা, মান্দি, শাওয়ারমা কিংবা বিভিন্ন জাতের খেজুর পারিবারিক ভ্রমণে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় মসলাজাত পণ্য, হস্তশিল্প, সোনা ও রুপার গয়না; আধুনিক শপিংমলে মিলবে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সামগ্রী। শিশুদের জন্য রয়েছে থিম পার্ক, ওয়াটার পার্ক ও নানা বিনোদনকেন্দ্র—যা পারিবারিক ভ্রমণকে আরো পূর্ণতা এনে দিতে পারে।
বছরজুড়ে ভ্রমণের উপযোগী আবহাওয়া
শীতকালে মনোরম আবহাওয়া এবং গ্রীষ্মে উপকূলীয় শহরগুলোর শীতল পরিবেশ সৌদিকে করেছে বছরজুড়ে ভ্রমণের জন্য আদর্শ গন্তব্য। বিশেষ করে রিয়াদ সিজন বা জেদ্দা ফেস্টিভ্যালের মতো উৎসবমুখর সময়গুলোতে পরিবারগুলো অংশ নিতে পারে নানা বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন ও বিনোদনে।
সহজ সংযোগ ও ভিসা সুবিধা
বাংলাদেশ ও সৌদির মধ্যে এখন আগের চেয়ে বেশি ও নিয়মিত ফ্লাইট সংযোগ রয়েছে। ঢাকা থেকে রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মামগামী দৈনিক একাধিক সরাসরি ফ্লাইটে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছানো যায়। ঢাকায় ও চট্টগ্রামে তাশহির (TASHEER) ভিসা সেন্টার থেকে সহজেই ভিজিট ফ্রেন্ড ও রিলেটিভ (VFR) ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, যা পারিবারিক ভ্রমণকে আরো সহজ করে দিয়েছে।
সব বয়সের জন্য আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা
ধর্মীয় ঐতিহ্য, আধুনিক আকর্ষণ, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পারিবারিক বিনোদন—সব মিলিয়ে সৌদি এখন এক নতুন অভিজ্ঞতার দেশ। সহজ ভ্রমণ সুবিধা ও দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সেখানে তৈরি করেছে স্মরণীয় ভ্রমণের এক অনন্য সম্ভাবনা।
আরও জানতে ভিজিট করুন: www.visitsaudi.com/en
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।...
৫ ঘণ্টা আগেইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে।
৮ ঘণ্টা আগেসবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
১০ ঘণ্টা আগেশীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
ইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে। বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিজের স্বাস্থ্য রক্ষায় অনুসরণ করেন একটি বিশেষ পানীয়, যাকে তিনি পছন্দ করে নাম দিয়েছেন ‘কিচেন ডক্টর’ বা ‘রান্নাঘরের চিকিৎসক’।
মালাইকার মতে, এটি এমন শরবত, যা প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর হজমশক্তি ঠিক রাখে। পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্য সব ধরনের সমস্যা এই পানীয়র সাহায্যে কমে যায়। ফলে এটি শুধু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, দীর্ঘদিন সুস্থ ও ফিট থাকার গোপন টিপস হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যস্ত জীবন ও খাদ্য চ্যালেঞ্জ
বলিউডের জনপ্রিয় তারকা মালাইকার প্রতিদিন শুরু হয় ভীষণ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। শুটিংয়ের পাশাপাশি করেন রেস্তোরাঁ পরিচালনা, খাবার এবং লাইফস্টাইল-সম্পর্কিত ব্র্যান্ড পরিচালনার কাজ। কখনো কখনো খাবারের সময় অনিয়ম হয়, কখনো সঠিক সময় খাবার পাওয়া যায় না। এসবের মধ্যে মালাইকা ফিট থাকার জন্য ভরসা রাখেন প্রাকৃতিক ও সহজে তৈরি শরবতে।
মালাইকার দৈনিক স্বাস্থ্য রুটিনের অন্যতম অংশ হলো তাঁর ‘কিচেন ডক্টর’ শরবত। তিনি প্রতিদিন সকালে তিনটি সাধারণ মসলা ব্যবহার করেন জোয়ান, জিরা ও মৌরি। তিনটি মসলা ভারতীয় রান্নাঘরে সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু হজমশক্তি ঠিক রাখতে এবং অন্ত্র পরিচ্ছন্ন রাখতে এগুলো বিশেষভাবে পরিচিত।
শরবত তৈরির প্রক্রিয়া
মালাইকা একটি পডকাস্টে জানিয়েছেন, তিনি রাতের বেলা এ তিনটি মসলাকে প্রতিটি এক চামচ পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। পরদিন সকালে সেই পানিতে ভেজানো মসলার মিশ্রণ ফুটিয়ে নেন এবং সামান্য গরম অবস্থায় পান করেন। এই প্রক্রিয়ার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দূরে থাকে; পাশাপাশি শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়, যা পেট পরিচ্ছন্ন ও হজমশক্তিকে সচল রাখে।
শরীরের পুষ্টি ঠিকভাবে শোষণ করতে, শক্তি বজায় রাখতে এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্ত্রের সুস্থতা অপরিহার্য। এ কারণেই গাট হেলথ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য আজকাল গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও গবেষণার বিষয়। মালাইকা অরোরা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্বাস করেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে পুরো শরীর সুস্থ থাকে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে সাদৃশ্য
মালাইকার শরবত শুধু তাঁর হজমশক্তি ঠিক রাখে না, এটি সারা দিনের শক্তি, সতেজতা এবং কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। বলিউডে শুটিং এবং বিভিন্ন ইভেন্টের চাপ, সঙ্গে রেস্তোরাঁ এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের দায়িত্ব—সব মিলিয়ে প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। এত দায়িত্ব সামলাতে গেলে শরীর ও মনের ফিটনেস বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মালাইকা এমন একটি সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করেন, যা তাঁর দৈনন্দিন জীবনের অংশ। এই শরবত প্রতিদিন সকালে পান করার মাধ্যমে তিনি পুরো দিনের জন্য শক্তি, মনোযোগ ও সহনশীলতা পান। শুটিং বা ব্যবসার কাজে দীর্ঘ সময় কাটানো হলেও শরবত তাঁর হজমকে সচল রাখে, পেট ফাঁপা ও অম্বল কমায়। ফলে শরীর সতেজ থাকে, তাঁকে ক্লান্ত বা অস্বস্তিতে ফেলে না।
সহজ, প্রাকৃতিক ও কার্যকর
এই শরবতের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো, এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য। কোনো জটিল উপাদান বা প্রি-প্যাকেজড ড্রিংক নয়। তিনটি সাধারণ মসলা জোয়ান, জিরা ও মৌরি মিলিয়ে তৈরি করা এই পানীয় যেকোনো রান্নাঘরে সহজে প্রস্তুত করা যায়। এ জন্য মালাইকা এটিকে রান্নাঘরের ডাক্তার হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আজকের ব্যস্ত জীবনে খাদ্যাভ্যাস প্রায়ই অনিয়মিত হয়। এর ফলে পেট ও হজমশক্তিকে সচল রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মালাইকা অরোরার এই কিচেন ডক্টর শরবত একটি সহজ, প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়; যা তাঁর ব্যস্ত জীবনে সুস্থতা ও ফিটনেস বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে। বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিজের স্বাস্থ্য রক্ষায় অনুসরণ করেন একটি বিশেষ পানীয়, যাকে তিনি পছন্দ করে নাম দিয়েছেন ‘কিচেন ডক্টর’ বা ‘রান্নাঘরের চিকিৎসক’।
মালাইকার মতে, এটি এমন শরবত, যা প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর হজমশক্তি ঠিক রাখে। পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্য সব ধরনের সমস্যা এই পানীয়র সাহায্যে কমে যায়। ফলে এটি শুধু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, দীর্ঘদিন সুস্থ ও ফিট থাকার গোপন টিপস হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যস্ত জীবন ও খাদ্য চ্যালেঞ্জ
বলিউডের জনপ্রিয় তারকা মালাইকার প্রতিদিন শুরু হয় ভীষণ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। শুটিংয়ের পাশাপাশি করেন রেস্তোরাঁ পরিচালনা, খাবার এবং লাইফস্টাইল-সম্পর্কিত ব্র্যান্ড পরিচালনার কাজ। কখনো কখনো খাবারের সময় অনিয়ম হয়, কখনো সঠিক সময় খাবার পাওয়া যায় না। এসবের মধ্যে মালাইকা ফিট থাকার জন্য ভরসা রাখেন প্রাকৃতিক ও সহজে তৈরি শরবতে।
মালাইকার দৈনিক স্বাস্থ্য রুটিনের অন্যতম অংশ হলো তাঁর ‘কিচেন ডক্টর’ শরবত। তিনি প্রতিদিন সকালে তিনটি সাধারণ মসলা ব্যবহার করেন জোয়ান, জিরা ও মৌরি। তিনটি মসলা ভারতীয় রান্নাঘরে সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু হজমশক্তি ঠিক রাখতে এবং অন্ত্র পরিচ্ছন্ন রাখতে এগুলো বিশেষভাবে পরিচিত।
শরবত তৈরির প্রক্রিয়া
মালাইকা একটি পডকাস্টে জানিয়েছেন, তিনি রাতের বেলা এ তিনটি মসলাকে প্রতিটি এক চামচ পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। পরদিন সকালে সেই পানিতে ভেজানো মসলার মিশ্রণ ফুটিয়ে নেন এবং সামান্য গরম অবস্থায় পান করেন। এই প্রক্রিয়ার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দূরে থাকে; পাশাপাশি শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়, যা পেট পরিচ্ছন্ন ও হজমশক্তিকে সচল রাখে।
শরীরের পুষ্টি ঠিকভাবে শোষণ করতে, শক্তি বজায় রাখতে এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্ত্রের সুস্থতা অপরিহার্য। এ কারণেই গাট হেলথ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য আজকাল গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও গবেষণার বিষয়। মালাইকা অরোরা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্বাস করেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে পুরো শরীর সুস্থ থাকে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে সাদৃশ্য
মালাইকার শরবত শুধু তাঁর হজমশক্তি ঠিক রাখে না, এটি সারা দিনের শক্তি, সতেজতা এবং কর্মক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। বলিউডে শুটিং এবং বিভিন্ন ইভেন্টের চাপ, সঙ্গে রেস্তোরাঁ এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের দায়িত্ব—সব মিলিয়ে প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। এত দায়িত্ব সামলাতে গেলে শরীর ও মনের ফিটনেস বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মালাইকা এমন একটি সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করেন, যা তাঁর দৈনন্দিন জীবনের অংশ। এই শরবত প্রতিদিন সকালে পান করার মাধ্যমে তিনি পুরো দিনের জন্য শক্তি, মনোযোগ ও সহনশীলতা পান। শুটিং বা ব্যবসার কাজে দীর্ঘ সময় কাটানো হলেও শরবত তাঁর হজমকে সচল রাখে, পেট ফাঁপা ও অম্বল কমায়। ফলে শরীর সতেজ থাকে, তাঁকে ক্লান্ত বা অস্বস্তিতে ফেলে না।
সহজ, প্রাকৃতিক ও কার্যকর
এই শরবতের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো, এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য। কোনো জটিল উপাদান বা প্রি-প্যাকেজড ড্রিংক নয়। তিনটি সাধারণ মসলা জোয়ান, জিরা ও মৌরি মিলিয়ে তৈরি করা এই পানীয় যেকোনো রান্নাঘরে সহজে প্রস্তুত করা যায়। এ জন্য মালাইকা এটিকে রান্নাঘরের ডাক্তার হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আজকের ব্যস্ত জীবনে খাদ্যাভ্যাস প্রায়ই অনিয়মিত হয়। এর ফলে পেট ও হজমশক্তিকে সচল রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মালাইকা অরোরার এই কিচেন ডক্টর শরবত একটি সহজ, প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়; যা তাঁর ব্যস্ত জীবনে সুস্থতা ও ফিটনেস বজায় রাখতে সহায়তা করে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।...
৫ ঘণ্টা আগেসৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন।
৮ ঘণ্টা আগেসবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
১০ ঘণ্টা আগেশীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে রয়েছে।
এই হারানো জনজীবন ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসন এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামে গিয়ে বসবাস করলে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ২৩ হাজার ডলার পর্যন্ত নগদ সহায়তা।
বাড়ি কিনলেই নগদ টাকা
২০২৩ সালে রাদিকনদলি গ্রামে প্রথম চালু হয় এই প্রকল্প। যাঁরা খালি বাড়িগুলোর একটি কিনে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন, তাঁদের দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ২০ হাজার ইউরো বা প্রায় ২৩ হাজার ডলার। পাশাপাশি পরিবহন খরচসহ বাড়তি খাতে আরও ৬ হাজার ইউরো সহায়তা।
এ বছর কর্মসূচিটি আরও বিস্তৃত হয়েছে। শুধু ক্রেতা নয়, ভাড়াটিয়ারাও এই সহায়তা পাবেন। যাঁরা ভাড়া নিয়ে বসবাস করবেন, তাঁদের প্রথম দুই বছরের অর্ধেক ভাড়া সরকার বহন করবে ২০২৬ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত। মেয়র ফ্রান্সিসকো গুয়ারগুয়াগলিনি জানান, ‘দুই বছর আগে যে কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, সেটিকে আমরা আরও শক্তিশালী করেছি। এ বছরই আমরা ৪ লাখ ইউরোর বেশি বরাদ্দ রেখেছি নতুন বাসিন্দাদের জন্য।’
বাড়ি কেনা বা ভাড়ার খরচ
এখানকার খালি বাড়িগুলোর মধ্যে আছে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট, পুরোনো খামারবাড়ি, শহরতলির টাসকান স্টাইলের ফার্ম হাউস। পাথর গাঁথা দেয়াল, কাঠের বিম আর পুরোনো ইটের কারুকাজে সাজানো এই বাড়িগুলোর দাম ৫০ থেকে ১ লাখ ইউরোর মধ্যে। যেসব বাড়ি কিছুটা পুরোনো, সেগুলো সংস্কারে লাগে প্রায় ১০ হাজার ইউরো। অর্থাৎ পুরো সহায়তা পেলে কেউ চাইলে ৩০ হাজার ইউরো বা ৩৫ হাজার ডলারের মধ্যে একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নিতে পারেন। ভাড়াটেরাও কম দামে উপকৃত হচ্ছেন। যে বাড়ির মাসিক ভাড়া ৪০০ ইউরো, সেটি এখন ভর্তুকিতে মাত্র ২০০ ইউরোতে পাওয়া যায়। শর্ত হলো, বাড়ি কিনলে অন্তত ১০ বছর এবং ভাড়া নিলে ৪ বছর সেখানে থাকতে হবে।
হারিয়ে যাওয়া প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
গ্রামের জনসংখ্যা কমতে শুরু করে ১৯৫০ সাল থেকে। তখন তরুণেরা কাজের সন্ধানে বড় শহরে পাড়ি জমান। এই শহরে প্রতিবছর প্রায় ১৫ জন বয়স্ক মানুষ মারা যান, অথচ জন্ম হয় মাত্র ৩টি শিশুর। ২০২৩ সালে প্রকল্প চালুর পর এখন ২৩টি বাড়ি বিক্রি হয়েছে। ৬০ জন নতুন বাসিন্দা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইতালিয়ান, কিছু বেলজিয়ানও আছেন। শহরের মেয়রের লক্ষ্য, অন্তত ১ হাজার বাসিন্দার এখানে জায়গা করা।
অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল
রাদিকনদলি শুধু সুন্দর নয়, টেকসইও বটে। পুরো গ্রাম চলে ভূতাপীয় শক্তিতে। এখানেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থার কাছ থেকে এর জন্য গ্রামটি রয়্যালটি পায়। মেয়র গুয়ারগুয়াগলিনি বলেন, ‘আমরা ছোট হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল।’ গ্রামটি সিয়েনা শহর থেকে ৪০ মিনিট এবং ফ্লোরেন্স থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে। যদিও পর্যটকের ভিড় তুলনামূলক কম। এখানে আঙুরের মদ, জলপাই তেল, পিচি পাস্তা ও বুনো শূকরের মাংস এখানকার বিশেষ খাবার। এখানে বছরজুড়ে নানা উৎসব, লোকজ মেলা আর সংগীতানুষ্ঠান হয়।
নতুন জীবনের আহ্বান
রাদিকনদলির বাড়িগুলো দেখতে চাইলে স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্সি ভি পি ইমোবিলিয়ারে গিয়ে দেখা যাবে। এ ছাড়া দেশের বড় কয়েকটি ওয়েবসাইটের বাড়িগুলোর তালিকা রয়েছে।
বেলফোর্তের পাথরের সরু গলি, শান্ত পরিবেশ এবং ছোট বসতবাড়িতে এখনো কিছু স্থানীয় পরিবার বসবাস করছেন। মেয়ররা আশা করছেন, নতুন মানুষদের আগমনে এই ঘুমন্ত টাসকানি গ্রাম আবারও জীবন্ত হয়ে উঠবে। গ্রামে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নতুন প্রাণ এবং গ্রামটির ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য আরও ছড়িয়ে পড়বে।
সূত্র: সিএনএন
সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে রয়েছে।
এই হারানো জনজীবন ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসন এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামে গিয়ে বসবাস করলে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ২৩ হাজার ডলার পর্যন্ত নগদ সহায়তা।
বাড়ি কিনলেই নগদ টাকা
২০২৩ সালে রাদিকনদলি গ্রামে প্রথম চালু হয় এই প্রকল্প। যাঁরা খালি বাড়িগুলোর একটি কিনে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন, তাঁদের দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ২০ হাজার ইউরো বা প্রায় ২৩ হাজার ডলার। পাশাপাশি পরিবহন খরচসহ বাড়তি খাতে আরও ৬ হাজার ইউরো সহায়তা।
এ বছর কর্মসূচিটি আরও বিস্তৃত হয়েছে। শুধু ক্রেতা নয়, ভাড়াটিয়ারাও এই সহায়তা পাবেন। যাঁরা ভাড়া নিয়ে বসবাস করবেন, তাঁদের প্রথম দুই বছরের অর্ধেক ভাড়া সরকার বহন করবে ২০২৬ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত। মেয়র ফ্রান্সিসকো গুয়ারগুয়াগলিনি জানান, ‘দুই বছর আগে যে কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, সেটিকে আমরা আরও শক্তিশালী করেছি। এ বছরই আমরা ৪ লাখ ইউরোর বেশি বরাদ্দ রেখেছি নতুন বাসিন্দাদের জন্য।’
বাড়ি কেনা বা ভাড়ার খরচ
এখানকার খালি বাড়িগুলোর মধ্যে আছে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট, পুরোনো খামারবাড়ি, শহরতলির টাসকান স্টাইলের ফার্ম হাউস। পাথর গাঁথা দেয়াল, কাঠের বিম আর পুরোনো ইটের কারুকাজে সাজানো এই বাড়িগুলোর দাম ৫০ থেকে ১ লাখ ইউরোর মধ্যে। যেসব বাড়ি কিছুটা পুরোনো, সেগুলো সংস্কারে লাগে প্রায় ১০ হাজার ইউরো। অর্থাৎ পুরো সহায়তা পেলে কেউ চাইলে ৩০ হাজার ইউরো বা ৩৫ হাজার ডলারের মধ্যে একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নিতে পারেন। ভাড়াটেরাও কম দামে উপকৃত হচ্ছেন। যে বাড়ির মাসিক ভাড়া ৪০০ ইউরো, সেটি এখন ভর্তুকিতে মাত্র ২০০ ইউরোতে পাওয়া যায়। শর্ত হলো, বাড়ি কিনলে অন্তত ১০ বছর এবং ভাড়া নিলে ৪ বছর সেখানে থাকতে হবে।
হারিয়ে যাওয়া প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
গ্রামের জনসংখ্যা কমতে শুরু করে ১৯৫০ সাল থেকে। তখন তরুণেরা কাজের সন্ধানে বড় শহরে পাড়ি জমান। এই শহরে প্রতিবছর প্রায় ১৫ জন বয়স্ক মানুষ মারা যান, অথচ জন্ম হয় মাত্র ৩টি শিশুর। ২০২৩ সালে প্রকল্প চালুর পর এখন ২৩টি বাড়ি বিক্রি হয়েছে। ৬০ জন নতুন বাসিন্দা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইতালিয়ান, কিছু বেলজিয়ানও আছেন। শহরের মেয়রের লক্ষ্য, অন্তত ১ হাজার বাসিন্দার এখানে জায়গা করা।
অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল
রাদিকনদলি শুধু সুন্দর নয়, টেকসইও বটে। পুরো গ্রাম চলে ভূতাপীয় শক্তিতে। এখানেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থার কাছ থেকে এর জন্য গ্রামটি রয়্যালটি পায়। মেয়র গুয়ারগুয়াগলিনি বলেন, ‘আমরা ছোট হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল।’ গ্রামটি সিয়েনা শহর থেকে ৪০ মিনিট এবং ফ্লোরেন্স থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে। যদিও পর্যটকের ভিড় তুলনামূলক কম। এখানে আঙুরের মদ, জলপাই তেল, পিচি পাস্তা ও বুনো শূকরের মাংস এখানকার বিশেষ খাবার। এখানে বছরজুড়ে নানা উৎসব, লোকজ মেলা আর সংগীতানুষ্ঠান হয়।
নতুন জীবনের আহ্বান
রাদিকনদলির বাড়িগুলো দেখতে চাইলে স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্সি ভি পি ইমোবিলিয়ারে গিয়ে দেখা যাবে। এ ছাড়া দেশের বড় কয়েকটি ওয়েবসাইটের বাড়িগুলোর তালিকা রয়েছে।
বেলফোর্তের পাথরের সরু গলি, শান্ত পরিবেশ এবং ছোট বসতবাড়িতে এখনো কিছু স্থানীয় পরিবার বসবাস করছেন। মেয়ররা আশা করছেন, নতুন মানুষদের আগমনে এই ঘুমন্ত টাসকানি গ্রাম আবারও জীবন্ত হয়ে উঠবে। গ্রামে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নতুন প্রাণ এবং গ্রামটির ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য আরও ছড়িয়ে পড়বে।
সূত্র: সিএনএন
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।...
৫ ঘণ্টা আগেসৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন।
৮ ঘণ্টা আগেইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে।
৮ ঘণ্টা আগেশীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
শীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। মাংসের সঙ্গে আলু আমাদের অতিপ্রিয় খাবার। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন। তার বদলে যোগ করুন রঙিন সবজি। খাবারের রং ও স্বাদ তো বাড়বেই, সঙ্গে স্বাস্থ্যেরও হবে উপকার। আপনাদের জন্য রং বাহারি চিকেনের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
চিকেন স্লাইস ১ কাপ, ফুলকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজকলি ১ কাপ করে, কাটা পেঁয়াজ আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, ঘি, সয়া সস ও চিনি ২ টেবিল চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, গরমমসলার গুঁড়া এবং ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ।
প্রণালি
গাজর ও ফুলকপি ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। চিকেন মোটা স্লাইস করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি বাটিতে চিকেন, আদা ও রসুনবাটা, কাশ্মীরি মরিচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া, সয়া সস, চিনি, লবণ, গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে সামান্য নেড়ে সব সবজি দিয়ে আবার নেড়ে পেঁয়াজ লেয়ার, কাঁচা মরিচ, ঘি ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।
তারপর দেখুন, কতটা রঙিন লাগছে এই চিকেন।
শীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। মাংসের সঙ্গে আলু আমাদের অতিপ্রিয় খাবার। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন। তার বদলে যোগ করুন রঙিন সবজি। খাবারের রং ও স্বাদ তো বাড়বেই, সঙ্গে স্বাস্থ্যেরও হবে উপকার। আপনাদের জন্য রং বাহারি চিকেনের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
চিকেন স্লাইস ১ কাপ, ফুলকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজকলি ১ কাপ করে, কাটা পেঁয়াজ আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, ঘি, সয়া সস ও চিনি ২ টেবিল চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, গরমমসলার গুঁড়া এবং ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ।
প্রণালি
গাজর ও ফুলকপি ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। চিকেন মোটা স্লাইস করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি বাটিতে চিকেন, আদা ও রসুনবাটা, কাশ্মীরি মরিচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া, সয়া সস, চিনি, লবণ, গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে সামান্য নেড়ে সব সবজি দিয়ে আবার নেড়ে পেঁয়াজ লেয়ার, কাঁচা মরিচ, ঘি ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।
তারপর দেখুন, কতটা রঙিন লাগছে এই চিকেন।
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।...
৫ ঘণ্টা আগেসৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন।
৮ ঘণ্টা আগেইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে।
৮ ঘণ্টা আগেসবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
১০ ঘণ্টা আগে