Ajker Patrika

গরমে স্কুলপড়ুয়া শিশুর জীবনযাপনে যা মেনে চলতে হবে

ইতি খন্দকার  
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

এই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের বিশেষভাবে সচেতন থাকা জরুরি।

যেমন হবে শিশুদের জীবনযাপন

সূর্যের তাপমাত্রা যখন অতিমাত্রায় পৌঁছে যায়, তখন আমাদের শরীর থেকে পানি কমে যেতে থাকে। ফলে এ সময় উচিত শিশুদের ঘন ঘন অল্প করে পানি পান করানো। তা ছাড়া এই গরমে অনেক শিশুর পানির ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। আবার কোনো কোনো শিশু প্রস্রাব করতে গিয়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করে। তাই এ ক্ষেত্রে শিশুর অভিভাবকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

যা করবেন

  • শিশুর টিফিনের জন্য তৈরি করুন তেল, মসলা ও চর্বিমুক্ত খাবার।
  • অবশ্যই ১ লিটার পানি শিশুর ব্যাগে দিয়ে দেবেন।
  • চেষ্টা করুন বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, সুপি নুডলস, চায়নিজ ভেজিটেবল, মৌসুমি ফল খাওয়াতে। অবশ্যই কয়েক ধরনের রঙিন সবজি খাবারে রাখতে হবে।
  • শিশু যদি পানি কম পান করতে চায়, তাহলে ফলের জুস দিতে পারেন। প্যাকেটজাত জুস কিন্তু শিশুর ক্ষতি করে। তাই সময় বাঁচানোর জন্য দোকান থেকে জুস কিনে দেওয়া কোনেভাবে ঠিক নয়।
  • প্রতিদিন একই ধরনের খাবার যেমন বড়দের ভালো লাগে না, তেমনি শিশুদেরও নয়। তাই চেষ্টা করবেন টিফিনে ভিন্নতা আনতে।
  • স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পরপর শিশুদের ঠান্ডা পানি পান করতে দেবেন না। গরমে বাইরে থেকে আসার পর স্বাভাবিকভাবে শিশুর তৃষ্ণা পাবে। তাই হালকা স্বাস্থ্যকর নাশতা অথবা ফল অথবা টক দই দিতে পারেন, সঙ্গে পানি পান করতে দিন।

শিশুর প্রতি অভিভাবকের কেমন আচরণ উচিত

শিশুরা স্কুল থেকে অতিরিক্ত গরমে বাসায় ফিরলে স্বাভাবিকভাবে মেজাজ খিটমিটে থাকবে। এই বয়সে আপনারাও যে ওদের মতো সময় পার করেছেন, সেই গল্প তাদের বলুন। শিশুদের সঙ্গে চড়া গলায় কথা না বলে তাদের সময় দিন। স্কুলে কী হয়েছে, সেসব ঘটনা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কারণ, শিশুরা তার মা-বাবার কাছ থেকে মনোযোগ আশা করে। এখন শিশুরা শুধু মোবাইল ফোনে বিনোদন খোঁজে। কিন্তু অভিভাবকেরা পর্যাপ্ত সময় দিলে, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে তাদের মানসিক বিকাশের পাশাপাশি মনও প্রফুল্ল থাকবে। তাই শিশুর সুস্থতা এবং সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তাদের সময় দিন।

গরমে শিশুদের জীবনযাত্রা যেমন হবে

একটি দিনের বেশির ভাগ সময় স্কুলগামী শিশুরা স্কুলে বা কোচিংয়ে কাটিয়ে দেয়। ফলে অতিরিক্ত ঘামে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। ফলে যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তারা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের স্কুলের পোশাক ও জুতা-মোজা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে। গরমের দিনে শিশুদের পোশাক অবশ্যই ঢিলেঢালা, সুতি ও নরম কাপড়ের হতে হবে। শিশুকে অবশ্যই বুঝিয়ে বলতে হবে, গরমে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে তার কী কী সমস্যা হতে পারে। সেই সঙ্গে দৈনিক দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান নিশ্চিত করতে হবে। সারা দিন ক্লান্তির পর শিশুকে দু-তিন ঘণ্টা ঘুমাতে দিতে হবে।

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ডায়েট কনসালট্যান্ট, মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন্স অ্যান্ড হসপিটাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

দেখো, ওর থেকে আরও ৫ লাখ নিতে পারো কি না—মেসেঞ্জার কলে এনসিপি নেতা নিজাম

‘কাল দেখা হইবে, ভালো থাকিস’—ছেলেকে বলেছিলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ

পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পরমাণু যুদ্ধের হুমকির জবাবে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত