ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
সাইকেল চালানো শুধু বিনোদন বা উপভোগ্য ব্যায়াম নয়। এটি শরীরের সুস্থতার জন্যও বেশ উপকারী। নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়।
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন কিছুক্ষণ সাইকেল চালানো আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
সাইকেল চালালে শরীর থেকে ক্যালরি ঝরে যায়, এ কথা নতুন কিছু নয়। তবে গবেষণা বলছে, নিয়মিত এবং মাঝারি থেকে উচ্চ তীব্রতায় সাইক্লিং করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলে যায়, বাড়ে মেটাবলিজম। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে হালকা সাইক্লিং করলে তুলনামূলক বেশি চর্বি কমে। এমনকি ব্যায়াম শেষে যখন আপনি বিশ্রামে থাকেন, তখনো শরীর কাজ করে—এটাই সাইক্লিংয়ের জাদু।
পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়
সাইকেল চালালে শুধু ঘাম ঝরে না, পায়ের পেশিগুলো ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে ওঠে। নিয়মিত চালালে ঊরু, নিতম্ব আর পায়ের নিচের অংশ মজবুত হয়। আরও ভালো ফল পেতে চাইলে সপ্তাহে কয়েক দিন স্কোয়াট ও লেগ প্রেসের মতো সহজ ব্যায়ামগুলো করলে উপকার দ্রুত দেখা যায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ে আর খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমে। এতে রক্তনালিতে চর্বি জমে না, রক্ত সহজে চলাচল করে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
সাইকেল চালানো শুধু শরীরের ব্যায়াম নয়, এতে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা যায়। সাইকেল চালানোর সময় মনোযোগ রাস্তা আর চারপাশে থাকে বলে মাথায় জমে থাকা টেনশন বা দুশ্চিন্তা কিছুটা কমে যায়। প্রকৃতির মাঝে সাইকেল চালালে মন ফুরফুরে হয়ে ওঠে। মন ভালো থাকে, চিন্তাশক্তি বাড়ে এবং মাথা অনেকটা হালকা লাগে।
ক্যানসার রোগীদের জন্য সহায়ক
যাঁরা ক্যানসার চিকিৎসায় রয়েছেন বা সেরে উঠছেন, তাঁদের জন্য সাইক্লিং হালকা ব্যায়ামের একটি কার্যকর পদ্ধতি। বিশেষ করে স্তন ক্যানসারের রোগীদের জন্য সাইক্লিং ক্লান্তি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে এবং সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধ
সাইক্লিং শুধু ওজন কমায় না, এটি উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এমনকি টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সাইকেল চালানো ডায়াবেটিস রোগীদের মৃত্যুহার ২৪ শতাংশ কমাতে পারে।
পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন
গাড়ির বদলে যদি আপনি দিনে অন্তত একবার সাইকেল ব্যবহার করেন, তাহলে পরিবেশে আপনার কার্বন নিঃসরণ ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এই ছোট্ট পরিবর্তনই জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
হৃদ্রোগ প্রতিরোধে
নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদ্যন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়। ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সাইক্লিং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায় এবং সার্বিক মৃত্যুহার হ্রাস করে।
সাইক্লিংয়ের সতর্কতা
সব ভালো দিকের যেমন কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, সাইক্লিংও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে রাস্তায় সাইকেল চালানোর সময় কিছু ঝুঁকি থাকে। তাই কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি।
কারা সাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকবেন
যাদের শারীরিক ভারসাম্যে সমস্যা এবং চোখ বা কানের জটিলতা রয়েছে তাঁরা খোলা রাস্তায় সাইকেল চালানোর বদলে ইনডোরে সাইকেল চালাতে পারেন। কারও শরীরে যদি কোনো আঘাত বা রোগ থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সাইকেল চালাবেন না।
সাইকেল চালানো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার এটা চমৎকার উপায়। ঝুঁকি এড়াতে নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলুন। আবহাওয়া খারাপ থাকলে ঘরের বসানো ব্যায়াম করার সাইকেলেও একই উপকার মিলবে।
সূত্র: হেলথলাইন
সাইকেল চালানো শুধু বিনোদন বা উপভোগ্য ব্যায়াম নয়। এটি শরীরের সুস্থতার জন্যও বেশ উপকারী। নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়।
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন কিছুক্ষণ সাইকেল চালানো আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
সাইকেল চালালে শরীর থেকে ক্যালরি ঝরে যায়, এ কথা নতুন কিছু নয়। তবে গবেষণা বলছে, নিয়মিত এবং মাঝারি থেকে উচ্চ তীব্রতায় সাইক্লিং করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলে যায়, বাড়ে মেটাবলিজম। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে হালকা সাইক্লিং করলে তুলনামূলক বেশি চর্বি কমে। এমনকি ব্যায়াম শেষে যখন আপনি বিশ্রামে থাকেন, তখনো শরীর কাজ করে—এটাই সাইক্লিংয়ের জাদু।
পায়ের পেশি শক্তিশালী হয়
সাইকেল চালালে শুধু ঘাম ঝরে না, পায়ের পেশিগুলো ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে ওঠে। নিয়মিত চালালে ঊরু, নিতম্ব আর পায়ের নিচের অংশ মজবুত হয়। আরও ভালো ফল পেতে চাইলে সপ্তাহে কয়েক দিন স্কোয়াট ও লেগ প্রেসের মতো সহজ ব্যায়ামগুলো করলে উপকার দ্রুত দেখা যায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ে আর খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমে। এতে রক্তনালিতে চর্বি জমে না, রক্ত সহজে চলাচল করে। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
সাইকেল চালানো শুধু শরীরের ব্যায়াম নয়, এতে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা যায়। সাইকেল চালানোর সময় মনোযোগ রাস্তা আর চারপাশে থাকে বলে মাথায় জমে থাকা টেনশন বা দুশ্চিন্তা কিছুটা কমে যায়। প্রকৃতির মাঝে সাইকেল চালালে মন ফুরফুরে হয়ে ওঠে। মন ভালো থাকে, চিন্তাশক্তি বাড়ে এবং মাথা অনেকটা হালকা লাগে।
ক্যানসার রোগীদের জন্য সহায়ক
যাঁরা ক্যানসার চিকিৎসায় রয়েছেন বা সেরে উঠছেন, তাঁদের জন্য সাইক্লিং হালকা ব্যায়ামের একটি কার্যকর পদ্ধতি। বিশেষ করে স্তন ক্যানসারের রোগীদের জন্য সাইক্লিং ক্লান্তি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে এবং সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধ
সাইক্লিং শুধু ওজন কমায় না, এটি উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এমনকি টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সাইকেল চালানো ডায়াবেটিস রোগীদের মৃত্যুহার ২৪ শতাংশ কমাতে পারে।
পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন
গাড়ির বদলে যদি আপনি দিনে অন্তত একবার সাইকেল ব্যবহার করেন, তাহলে পরিবেশে আপনার কার্বন নিঃসরণ ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এই ছোট্ট পরিবর্তনই জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
হৃদ্রোগ প্রতিরোধে
নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদ্যন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়। ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সাইক্লিং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায় এবং সার্বিক মৃত্যুহার হ্রাস করে।
সাইক্লিংয়ের সতর্কতা
সব ভালো দিকের যেমন কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, সাইক্লিংও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে রাস্তায় সাইকেল চালানোর সময় কিছু ঝুঁকি থাকে। তাই কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি।
কারা সাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকবেন
যাদের শারীরিক ভারসাম্যে সমস্যা এবং চোখ বা কানের জটিলতা রয়েছে তাঁরা খোলা রাস্তায় সাইকেল চালানোর বদলে ইনডোরে সাইকেল চালাতে পারেন। কারও শরীরে যদি কোনো আঘাত বা রোগ থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সাইকেল চালাবেন না।
সাইকেল চালানো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার এটা চমৎকার উপায়। ঝুঁকি এড়াতে নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলুন। আবহাওয়া খারাপ থাকলে ঘরের বসানো ব্যায়াম করার সাইকেলেও একই উপকার মিলবে।
সূত্র: হেলথলাইন
তিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
৪ ঘণ্টা আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
১ দিন আগেচলছে আমের মৌসুম। আম, দুধ আর ভাত একসঙ্গে মেখে খাওয়ার চল তো আর আজকের নয়। কিন্তু হালের ট্রেন্ড খেয়াল করলে দেখবেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস নামের একটি খাবার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশ-বিদেশের রেস্তোঁরায়ও জায়গা করে নিয়েছে এই খাবার। বাড়িতেও কি একবার তৈরি করতে চান...
২ দিন আগে