ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘স্টার্ট ইয়োর মর্নিং স্লো, জাস্ট স্লো’। বাস্তব দৃশ্য হচ্ছে এর ঠিক উল্টো। সকালে ঝট করে বিছানা ছেড়ে একটার পর একটা কাজ করতে থাকি আমরা। কোনোরকমে মুখে খাবার গুঁজে তৈরি হয়ে কাজের উদ্দেশে বের হওয়া। তারপর সারা দিন একেকজন একেক বিষয়ে ব্যস্ত থাকি। পরদিন আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে রোজ। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে পাকাপোক্ত জায়গা করে দেওয়ার কাজই করে স্লো মর্নিং রুটিন। বর্তমানে নেটিজেন ও ভ্লগাররা এই স্লো মর্নিং রুটিনে বুঁদ হয়ে আছেন। আর তাই এ লেখার অবতারণা।
স্লো মর্নিং রুটিন আসলে কী
স্লো মর্নিং বা ধীরেসুস্থে সকাল শুরু করার মানে হলো তাড়াহুড়ো বা চাপ ছাড়া একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করা। ঘুম ভেঙেই কাজ বা দায়িত্বে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ার বদলে, স্লো মর্নিং এমন কার্যকলাপ করার সুযোগ দেয়, যা মন ও শরীরকে পুষ্ট করে। এসবের মধ্যে আছে জার্নাল লেখা, ধ্যান অথবা ধীরেসুস্থে নাশতা করা। তবে এটি মেনে চলার জন্য আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
এর মানে হলো, আপনার অফিস ৯টায় শুরু হলে হয়তো সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন। তাহলে আপনাকে সকালজুড়ে তাড়াহুড়ো করে গোসল, নাশতা তৈরি, খাওয়া এবং অন্য সব কাজ শেষ করে সাড়ে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে। তবে ধীরগতির সকাল বা স্লো মর্নিং রুটিন মেনে চলতে হলে এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করতে, আপনাকে কমপক্ষে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে।

স্লো মর্নিং রুটিনের সুফল
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে মননশীল কার্যকলাপে অংশ নিলে সারা দিন জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। ধীর ও স্থির গতিতে দিন শুরু করলে মস্তিষ্ক, শরীর এবং মন ধীরে ধীরে আরাম এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। এটি দৈনন্দিন কার্যকলাপে শান্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে সামগ্রিক চাপ কমে এবং অনেক ভালো কাজ করা যায়। মানসিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি কমে।
স্লো মর্নিং কীভাবে শুরু করবেন
ধীরেসুস্থে সকালের রুটিন মেনে চলতে হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? যেখানে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্য়ে সব কাজ সেরে অফিসের পথে দৌড়াতে হয়, সেখানে ৪ বা ৫ ঘণ্টা তো বিরাট ব্যাপার। তবে স্লো মর্নিং রুটিনে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ধ্যান, সংবাদপত্র পড়া, গান শোনা, ত্বকের যত্ন—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত। ফলে এইটুকু সময় তো আপনার জীবন পেতেই পারে। স্লো মর্নিং রুটিনে যেসব অভ্যাস সাধারণত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তা একনজরে দেখে নিন।

আগে ঘুম থেকে উঠুন
স্লো মর্নিংয়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো, সকালে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। এর মর্ম হলো, সকালটা তাড়াহুড়ো বা তড়িঘড়ি না করে ধীরে সুস্থে শুরু করবেন। এর জন্য জুতসই শব্দ ব্যবহার করতে গেলে বলতে হয়, মাইন্ডফুলি সকালটা শুরু করুন। প্রতিটি কাজই স্বাভাবিক গতিতে উপলব্ধিসহকারে করুন। শ্রবণ ও ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখুন। আর এই সবকিছুর জন্যই একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। নয়তো সময়ে টান পড়ে যেতে পারে।
ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোন হাতে নেবেন না
এ যুগের সাধারণ অভ্যাস হলো ঘুম ভেঙেই স্মার্টফোনটি হাতে নেওয়া। এতে আপনার সময় কখন যে চুরি হচ্ছে, নিজেও টের পাচ্ছেন না। ফলে তাড়াহুড়ো করে সকালের সব কাজ সারতে হচ্ছে। তা ছাড়া সকালে উঠেই যাঁরা আগে স্মার্টফোনে চোখ রাখেন, তাঁদের মধ্য়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি বেশি দেখা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা ছাড়া যদি আপনি দিন শুরু করতে পারেন, তাহলে অনেকটাই শান্ত থাকতে পারবেন। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন ঘুমের মান খারাপ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও চাপের অন্যতম কারণ।
মননশীল কাজ দিয়ে দিন শুরু করুন
স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া, শান্ত গান শোনা, বই পড়া, প্রার্থনা করা ইত্যাদি সকালের রুটিনে যোগ করুন। স্লো মর্নিং শুরু করার জন্য ইতিবাচক সুর তৈরি করতে এগুলো বেশ কার্যকর।
পুষ্টিকর নাশতা উপভোগ করুন
স্বাস্থ্যকর ও সহজে হজমযোগ্য নাশতা রাখুন সকালে; পাশাপাশি সারা দিন যেন শরীরে শক্তি বজায় থাকে, এমন খাবারও যেন থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ডিম, সরিষা, কারিপাতা ও শাকসবজি দিয়ে ভাজা ভাত, দই-চিড়া-গুড় কিন্তু সকালের নাশতা হিসেবে ভালো। পেটও ভরে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এ ছাড়া সবজি, ডাল ও রুটি দিয়েও নাশতা সারতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে ডিম সেদ্ধ। বাদাম, গাজর, খেজুরসহ সুজির হালুয়া খেলেও উপকার পাওয়া যায়। সহজ নাশতা হিসেবে রাখতে পারেন প্যানকেক। কিন্তু এসব খাবার কেবল পাতে রাখলেই হবে না, সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে খেতে হবে। খাবারের রং, গন্ধ ও স্বাদ উপভোগ করুন। এতে সকালটা আরও সুন্দর মনে হবে।
একটি করে ভালো চর্চা যোগ করুন
সকালে অন্তত একটি ভালো চর্চা যোগ করুন। তা হতে পারে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করা, গাছে পানি দেওয়া, পোষা প্রাণীটির যত্ন নেওয়া কিংবা ঘর গোছানো। যে কাজগুলোয় আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাবেন। প্রতিদিন সকালে করতে পারবেন, তেমন একটি অভ্যাসই তৈরির চেষ্টা করুন। এতে সকালগুলো অনেক বেশি অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রোদ গায়ে মাখুন
সকালের নরম রোদ গায়ে মাখুন। কেবল ভিটামিন ‘ডি’র জন্য ১৫ মিনিট বসে থাকা নয়। রোদের আলোকচ্ছটা ছুঁয়ে দেখুন, এর রংটা আরও উপলব্ধির চেষ্টা করুন, উষ্ণতা অনুভব করুন। অনুভব করুন সকালের সোনারোদ গায়ে মাখার পর শরীরের প্রতি কোষই জেগে উঠেছে নতুন করে। আর এই অনুভূতির জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সেই সময়টা যেন বরাদ্দ রাখতে পারেন। তাই আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমাতে যান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও অন্যান্য

‘স্টার্ট ইয়োর মর্নিং স্লো, জাস্ট স্লো’। বাস্তব দৃশ্য হচ্ছে এর ঠিক উল্টো। সকালে ঝট করে বিছানা ছেড়ে একটার পর একটা কাজ করতে থাকি আমরা। কোনোরকমে মুখে খাবার গুঁজে তৈরি হয়ে কাজের উদ্দেশে বের হওয়া। তারপর সারা দিন একেকজন একেক বিষয়ে ব্যস্ত থাকি। পরদিন আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে রোজ। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে পাকাপোক্ত জায়গা করে দেওয়ার কাজই করে স্লো মর্নিং রুটিন। বর্তমানে নেটিজেন ও ভ্লগাররা এই স্লো মর্নিং রুটিনে বুঁদ হয়ে আছেন। আর তাই এ লেখার অবতারণা।
স্লো মর্নিং রুটিন আসলে কী
স্লো মর্নিং বা ধীরেসুস্থে সকাল শুরু করার মানে হলো তাড়াহুড়ো বা চাপ ছাড়া একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করা। ঘুম ভেঙেই কাজ বা দায়িত্বে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ার বদলে, স্লো মর্নিং এমন কার্যকলাপ করার সুযোগ দেয়, যা মন ও শরীরকে পুষ্ট করে। এসবের মধ্যে আছে জার্নাল লেখা, ধ্যান অথবা ধীরেসুস্থে নাশতা করা। তবে এটি মেনে চলার জন্য আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
এর মানে হলো, আপনার অফিস ৯টায় শুরু হলে হয়তো সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন। তাহলে আপনাকে সকালজুড়ে তাড়াহুড়ো করে গোসল, নাশতা তৈরি, খাওয়া এবং অন্য সব কাজ শেষ করে সাড়ে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে। তবে ধীরগতির সকাল বা স্লো মর্নিং রুটিন মেনে চলতে হলে এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করতে, আপনাকে কমপক্ষে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে।

স্লো মর্নিং রুটিনের সুফল
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে মননশীল কার্যকলাপে অংশ নিলে সারা দিন জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। ধীর ও স্থির গতিতে দিন শুরু করলে মস্তিষ্ক, শরীর এবং মন ধীরে ধীরে আরাম এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। এটি দৈনন্দিন কার্যকলাপে শান্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে সামগ্রিক চাপ কমে এবং অনেক ভালো কাজ করা যায়। মানসিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি কমে।
স্লো মর্নিং কীভাবে শুরু করবেন
ধীরেসুস্থে সকালের রুটিন মেনে চলতে হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? যেখানে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্য়ে সব কাজ সেরে অফিসের পথে দৌড়াতে হয়, সেখানে ৪ বা ৫ ঘণ্টা তো বিরাট ব্যাপার। তবে স্লো মর্নিং রুটিনে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ধ্যান, সংবাদপত্র পড়া, গান শোনা, ত্বকের যত্ন—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত। ফলে এইটুকু সময় তো আপনার জীবন পেতেই পারে। স্লো মর্নিং রুটিনে যেসব অভ্যাস সাধারণত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তা একনজরে দেখে নিন।

আগে ঘুম থেকে উঠুন
স্লো মর্নিংয়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো, সকালে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। এর মর্ম হলো, সকালটা তাড়াহুড়ো বা তড়িঘড়ি না করে ধীরে সুস্থে শুরু করবেন। এর জন্য জুতসই শব্দ ব্যবহার করতে গেলে বলতে হয়, মাইন্ডফুলি সকালটা শুরু করুন। প্রতিটি কাজই স্বাভাবিক গতিতে উপলব্ধিসহকারে করুন। শ্রবণ ও ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখুন। আর এই সবকিছুর জন্যই একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। নয়তো সময়ে টান পড়ে যেতে পারে।
ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোন হাতে নেবেন না
এ যুগের সাধারণ অভ্যাস হলো ঘুম ভেঙেই স্মার্টফোনটি হাতে নেওয়া। এতে আপনার সময় কখন যে চুরি হচ্ছে, নিজেও টের পাচ্ছেন না। ফলে তাড়াহুড়ো করে সকালের সব কাজ সারতে হচ্ছে। তা ছাড়া সকালে উঠেই যাঁরা আগে স্মার্টফোনে চোখ রাখেন, তাঁদের মধ্য়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি বেশি দেখা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা ছাড়া যদি আপনি দিন শুরু করতে পারেন, তাহলে অনেকটাই শান্ত থাকতে পারবেন। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন ঘুমের মান খারাপ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও চাপের অন্যতম কারণ।
মননশীল কাজ দিয়ে দিন শুরু করুন
স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া, শান্ত গান শোনা, বই পড়া, প্রার্থনা করা ইত্যাদি সকালের রুটিনে যোগ করুন। স্লো মর্নিং শুরু করার জন্য ইতিবাচক সুর তৈরি করতে এগুলো বেশ কার্যকর।
পুষ্টিকর নাশতা উপভোগ করুন
স্বাস্থ্যকর ও সহজে হজমযোগ্য নাশতা রাখুন সকালে; পাশাপাশি সারা দিন যেন শরীরে শক্তি বজায় থাকে, এমন খাবারও যেন থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ডিম, সরিষা, কারিপাতা ও শাকসবজি দিয়ে ভাজা ভাত, দই-চিড়া-গুড় কিন্তু সকালের নাশতা হিসেবে ভালো। পেটও ভরে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এ ছাড়া সবজি, ডাল ও রুটি দিয়েও নাশতা সারতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে ডিম সেদ্ধ। বাদাম, গাজর, খেজুরসহ সুজির হালুয়া খেলেও উপকার পাওয়া যায়। সহজ নাশতা হিসেবে রাখতে পারেন প্যানকেক। কিন্তু এসব খাবার কেবল পাতে রাখলেই হবে না, সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে খেতে হবে। খাবারের রং, গন্ধ ও স্বাদ উপভোগ করুন। এতে সকালটা আরও সুন্দর মনে হবে।
একটি করে ভালো চর্চা যোগ করুন
সকালে অন্তত একটি ভালো চর্চা যোগ করুন। তা হতে পারে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করা, গাছে পানি দেওয়া, পোষা প্রাণীটির যত্ন নেওয়া কিংবা ঘর গোছানো। যে কাজগুলোয় আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাবেন। প্রতিদিন সকালে করতে পারবেন, তেমন একটি অভ্যাসই তৈরির চেষ্টা করুন। এতে সকালগুলো অনেক বেশি অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রোদ গায়ে মাখুন
সকালের নরম রোদ গায়ে মাখুন। কেবল ভিটামিন ‘ডি’র জন্য ১৫ মিনিট বসে থাকা নয়। রোদের আলোকচ্ছটা ছুঁয়ে দেখুন, এর রংটা আরও উপলব্ধির চেষ্টা করুন, উষ্ণতা অনুভব করুন। অনুভব করুন সকালের সোনারোদ গায়ে মাখার পর শরীরের প্রতি কোষই জেগে উঠেছে নতুন করে। আর এই অনুভূতির জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সেই সময়টা যেন বরাদ্দ রাখতে পারেন। তাই আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমাতে যান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও অন্যান্য
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘স্টার্ট ইয়োর মর্নিং স্লো, জাস্ট স্লো’। বাস্তব দৃশ্য হচ্ছে এর ঠিক উল্টো। সকালে ঝট করে বিছানা ছেড়ে একটার পর একটা কাজ করতে থাকি আমরা। কোনোরকমে মুখে খাবার গুঁজে তৈরি হয়ে কাজের উদ্দেশে বের হওয়া। তারপর সারা দিন একেকজন একেক বিষয়ে ব্যস্ত থাকি। পরদিন আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে রোজ। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে পাকাপোক্ত জায়গা করে দেওয়ার কাজই করে স্লো মর্নিং রুটিন। বর্তমানে নেটিজেন ও ভ্লগাররা এই স্লো মর্নিং রুটিনে বুঁদ হয়ে আছেন। আর তাই এ লেখার অবতারণা।
স্লো মর্নিং রুটিন আসলে কী
স্লো মর্নিং বা ধীরেসুস্থে সকাল শুরু করার মানে হলো তাড়াহুড়ো বা চাপ ছাড়া একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করা। ঘুম ভেঙেই কাজ বা দায়িত্বে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ার বদলে, স্লো মর্নিং এমন কার্যকলাপ করার সুযোগ দেয়, যা মন ও শরীরকে পুষ্ট করে। এসবের মধ্যে আছে জার্নাল লেখা, ধ্যান অথবা ধীরেসুস্থে নাশতা করা। তবে এটি মেনে চলার জন্য আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
এর মানে হলো, আপনার অফিস ৯টায় শুরু হলে হয়তো সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন। তাহলে আপনাকে সকালজুড়ে তাড়াহুড়ো করে গোসল, নাশতা তৈরি, খাওয়া এবং অন্য সব কাজ শেষ করে সাড়ে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে। তবে ধীরগতির সকাল বা স্লো মর্নিং রুটিন মেনে চলতে হলে এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করতে, আপনাকে কমপক্ষে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে।

স্লো মর্নিং রুটিনের সুফল
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে মননশীল কার্যকলাপে অংশ নিলে সারা দিন জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। ধীর ও স্থির গতিতে দিন শুরু করলে মস্তিষ্ক, শরীর এবং মন ধীরে ধীরে আরাম এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। এটি দৈনন্দিন কার্যকলাপে শান্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে সামগ্রিক চাপ কমে এবং অনেক ভালো কাজ করা যায়। মানসিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি কমে।
স্লো মর্নিং কীভাবে শুরু করবেন
ধীরেসুস্থে সকালের রুটিন মেনে চলতে হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? যেখানে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্য়ে সব কাজ সেরে অফিসের পথে দৌড়াতে হয়, সেখানে ৪ বা ৫ ঘণ্টা তো বিরাট ব্যাপার। তবে স্লো মর্নিং রুটিনে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ধ্যান, সংবাদপত্র পড়া, গান শোনা, ত্বকের যত্ন—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত। ফলে এইটুকু সময় তো আপনার জীবন পেতেই পারে। স্লো মর্নিং রুটিনে যেসব অভ্যাস সাধারণত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তা একনজরে দেখে নিন।

আগে ঘুম থেকে উঠুন
স্লো মর্নিংয়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো, সকালে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। এর মর্ম হলো, সকালটা তাড়াহুড়ো বা তড়িঘড়ি না করে ধীরে সুস্থে শুরু করবেন। এর জন্য জুতসই শব্দ ব্যবহার করতে গেলে বলতে হয়, মাইন্ডফুলি সকালটা শুরু করুন। প্রতিটি কাজই স্বাভাবিক গতিতে উপলব্ধিসহকারে করুন। শ্রবণ ও ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখুন। আর এই সবকিছুর জন্যই একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। নয়তো সময়ে টান পড়ে যেতে পারে।
ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোন হাতে নেবেন না
এ যুগের সাধারণ অভ্যাস হলো ঘুম ভেঙেই স্মার্টফোনটি হাতে নেওয়া। এতে আপনার সময় কখন যে চুরি হচ্ছে, নিজেও টের পাচ্ছেন না। ফলে তাড়াহুড়ো করে সকালের সব কাজ সারতে হচ্ছে। তা ছাড়া সকালে উঠেই যাঁরা আগে স্মার্টফোনে চোখ রাখেন, তাঁদের মধ্য়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি বেশি দেখা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা ছাড়া যদি আপনি দিন শুরু করতে পারেন, তাহলে অনেকটাই শান্ত থাকতে পারবেন। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন ঘুমের মান খারাপ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও চাপের অন্যতম কারণ।
মননশীল কাজ দিয়ে দিন শুরু করুন
স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া, শান্ত গান শোনা, বই পড়া, প্রার্থনা করা ইত্যাদি সকালের রুটিনে যোগ করুন। স্লো মর্নিং শুরু করার জন্য ইতিবাচক সুর তৈরি করতে এগুলো বেশ কার্যকর।
পুষ্টিকর নাশতা উপভোগ করুন
স্বাস্থ্যকর ও সহজে হজমযোগ্য নাশতা রাখুন সকালে; পাশাপাশি সারা দিন যেন শরীরে শক্তি বজায় থাকে, এমন খাবারও যেন থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ডিম, সরিষা, কারিপাতা ও শাকসবজি দিয়ে ভাজা ভাত, দই-চিড়া-গুড় কিন্তু সকালের নাশতা হিসেবে ভালো। পেটও ভরে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এ ছাড়া সবজি, ডাল ও রুটি দিয়েও নাশতা সারতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে ডিম সেদ্ধ। বাদাম, গাজর, খেজুরসহ সুজির হালুয়া খেলেও উপকার পাওয়া যায়। সহজ নাশতা হিসেবে রাখতে পারেন প্যানকেক। কিন্তু এসব খাবার কেবল পাতে রাখলেই হবে না, সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে খেতে হবে। খাবারের রং, গন্ধ ও স্বাদ উপভোগ করুন। এতে সকালটা আরও সুন্দর মনে হবে।
একটি করে ভালো চর্চা যোগ করুন
সকালে অন্তত একটি ভালো চর্চা যোগ করুন। তা হতে পারে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করা, গাছে পানি দেওয়া, পোষা প্রাণীটির যত্ন নেওয়া কিংবা ঘর গোছানো। যে কাজগুলোয় আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাবেন। প্রতিদিন সকালে করতে পারবেন, তেমন একটি অভ্যাসই তৈরির চেষ্টা করুন। এতে সকালগুলো অনেক বেশি অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রোদ গায়ে মাখুন
সকালের নরম রোদ গায়ে মাখুন। কেবল ভিটামিন ‘ডি’র জন্য ১৫ মিনিট বসে থাকা নয়। রোদের আলোকচ্ছটা ছুঁয়ে দেখুন, এর রংটা আরও উপলব্ধির চেষ্টা করুন, উষ্ণতা অনুভব করুন। অনুভব করুন সকালের সোনারোদ গায়ে মাখার পর শরীরের প্রতি কোষই জেগে উঠেছে নতুন করে। আর এই অনুভূতির জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সেই সময়টা যেন বরাদ্দ রাখতে পারেন। তাই আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমাতে যান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও অন্যান্য

‘স্টার্ট ইয়োর মর্নিং স্লো, জাস্ট স্লো’। বাস্তব দৃশ্য হচ্ছে এর ঠিক উল্টো। সকালে ঝট করে বিছানা ছেড়ে একটার পর একটা কাজ করতে থাকি আমরা। কোনোরকমে মুখে খাবার গুঁজে তৈরি হয়ে কাজের উদ্দেশে বের হওয়া। তারপর সারা দিন একেকজন একেক বিষয়ে ব্যস্ত থাকি। পরদিন আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে রোজ। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে পাকাপোক্ত জায়গা করে দেওয়ার কাজই করে স্লো মর্নিং রুটিন। বর্তমানে নেটিজেন ও ভ্লগাররা এই স্লো মর্নিং রুটিনে বুঁদ হয়ে আছেন। আর তাই এ লেখার অবতারণা।
স্লো মর্নিং রুটিন আসলে কী
স্লো মর্নিং বা ধীরেসুস্থে সকাল শুরু করার মানে হলো তাড়াহুড়ো বা চাপ ছাড়া একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করা। ঘুম ভেঙেই কাজ বা দায়িত্বে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ার বদলে, স্লো মর্নিং এমন কার্যকলাপ করার সুযোগ দেয়, যা মন ও শরীরকে পুষ্ট করে। এসবের মধ্যে আছে জার্নাল লেখা, ধ্যান অথবা ধীরেসুস্থে নাশতা করা। তবে এটি মেনে চলার জন্য আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
এর মানে হলো, আপনার অফিস ৯টায় শুরু হলে হয়তো সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন। তাহলে আপনাকে সকালজুড়ে তাড়াহুড়ো করে গোসল, নাশতা তৈরি, খাওয়া এবং অন্য সব কাজ শেষ করে সাড়ে আটটার মধ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে। তবে ধীরগতির সকাল বা স্লো মর্নিং রুটিন মেনে চলতে হলে এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় গতিতে দিন শুরু করতে, আপনাকে কমপক্ষে ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে।

স্লো মর্নিং রুটিনের সুফল
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে মননশীল কার্যকলাপে অংশ নিলে সারা দিন জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। ধীর ও স্থির গতিতে দিন শুরু করলে মস্তিষ্ক, শরীর এবং মন ধীরে ধীরে আরাম এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। এটি দৈনন্দিন কার্যকলাপে শান্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে সামগ্রিক চাপ কমে এবং অনেক ভালো কাজ করা যায়। মানসিক অস্থিরতা ও ক্লান্তি কমে।
স্লো মর্নিং কীভাবে শুরু করবেন
ধীরেসুস্থে সকালের রুটিন মেনে চলতে হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় রাখতে হবে। অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? যেখানে ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্য়ে সব কাজ সেরে অফিসের পথে দৌড়াতে হয়, সেখানে ৪ বা ৫ ঘণ্টা তো বিরাট ব্যাপার। তবে স্লো মর্নিং রুটিনে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ধ্যান, সংবাদপত্র পড়া, গান শোনা, ত্বকের যত্ন—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত। ফলে এইটুকু সময় তো আপনার জীবন পেতেই পারে। স্লো মর্নিং রুটিনে যেসব অভ্যাস সাধারণত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তা একনজরে দেখে নিন।

আগে ঘুম থেকে উঠুন
স্লো মর্নিংয়ের প্রথম পদক্ষেপ হলো, সকালে নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। এর মর্ম হলো, সকালটা তাড়াহুড়ো বা তড়িঘড়ি না করে ধীরে সুস্থে শুরু করবেন। এর জন্য জুতসই শব্দ ব্যবহার করতে গেলে বলতে হয়, মাইন্ডফুলি সকালটা শুরু করুন। প্রতিটি কাজই স্বাভাবিক গতিতে উপলব্ধিসহকারে করুন। শ্রবণ ও ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে সক্রিয় রাখুন। আর এই সবকিছুর জন্যই একটু আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। নয়তো সময়ে টান পড়ে যেতে পারে।
ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোন হাতে নেবেন না
এ যুগের সাধারণ অভ্যাস হলো ঘুম ভেঙেই স্মার্টফোনটি হাতে নেওয়া। এতে আপনার সময় কখন যে চুরি হচ্ছে, নিজেও টের পাচ্ছেন না। ফলে তাড়াহুড়ো করে সকালের সব কাজ সারতে হচ্ছে। তা ছাড়া সকালে উঠেই যাঁরা আগে স্মার্টফোনে চোখ রাখেন, তাঁদের মধ্য়ে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি বেশি দেখা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা ছাড়া যদি আপনি দিন শুরু করতে পারেন, তাহলে অনেকটাই শান্ত থাকতে পারবেন। অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন ঘুমের মান খারাপ, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও চাপের অন্যতম কারণ।
মননশীল কাজ দিয়ে দিন শুরু করুন
স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া, শান্ত গান শোনা, বই পড়া, প্রার্থনা করা ইত্যাদি সকালের রুটিনে যোগ করুন। স্লো মর্নিং শুরু করার জন্য ইতিবাচক সুর তৈরি করতে এগুলো বেশ কার্যকর।
পুষ্টিকর নাশতা উপভোগ করুন
স্বাস্থ্যকর ও সহজে হজমযোগ্য নাশতা রাখুন সকালে; পাশাপাশি সারা দিন যেন শরীরে শক্তি বজায় থাকে, এমন খাবারও যেন থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ডিম, সরিষা, কারিপাতা ও শাকসবজি দিয়ে ভাজা ভাত, দই-চিড়া-গুড় কিন্তু সকালের নাশতা হিসেবে ভালো। পেটও ভরে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এ ছাড়া সবজি, ডাল ও রুটি দিয়েও নাশতা সারতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে ডিম সেদ্ধ। বাদাম, গাজর, খেজুরসহ সুজির হালুয়া খেলেও উপকার পাওয়া যায়। সহজ নাশতা হিসেবে রাখতে পারেন প্যানকেক। কিন্তু এসব খাবার কেবল পাতে রাখলেই হবে না, সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে খেতে হবে। খাবারের রং, গন্ধ ও স্বাদ উপভোগ করুন। এতে সকালটা আরও সুন্দর মনে হবে।
একটি করে ভালো চর্চা যোগ করুন
সকালে অন্তত একটি ভালো চর্চা যোগ করুন। তা হতে পারে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করা, গাছে পানি দেওয়া, পোষা প্রাণীটির যত্ন নেওয়া কিংবা ঘর গোছানো। যে কাজগুলোয় আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাবেন। প্রতিদিন সকালে করতে পারবেন, তেমন একটি অভ্যাসই তৈরির চেষ্টা করুন। এতে সকালগুলো অনেক বেশি অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রোদ গায়ে মাখুন
সকালের নরম রোদ গায়ে মাখুন। কেবল ভিটামিন ‘ডি’র জন্য ১৫ মিনিট বসে থাকা নয়। রোদের আলোকচ্ছটা ছুঁয়ে দেখুন, এর রংটা আরও উপলব্ধির চেষ্টা করুন, উষ্ণতা অনুভব করুন। অনুভব করুন সকালের সোনারোদ গায়ে মাখার পর শরীরের প্রতি কোষই জেগে উঠেছে নতুন করে। আর এই অনুভূতির জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সেই সময়টা যেন বরাদ্দ রাখতে পারেন। তাই আগের রাতে একটু আগেভাগেই ঘুমাতে যান।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও অন্যান্য

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১৮ নভেম্বর ২০২৫
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১৮ নভেম্বর ২০২৫
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১৮ নভেম্বর ২০২৫
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৬ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

এই একই চক্রের আবর্তে ঘুরতে থাকা জীবনে সকালের স্নিগ্ধতা অনুভব করার সময় কোথায়! রাতের ঘুমের পর আপনি নিজেও যে এক নতুন মানুষ হয়ে জেগে উঠেছেন, সেটা উপলব্ধি করার আগেই দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব তাড়াহুড়োকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সকালের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করে স্লো মর্নিং। অর্থাৎ নিজের জীবনে দিনের শুরুটাকে...
১৮ নভেম্বর ২০২৫
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে