ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
গাজরের রস গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। যেমন চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা এবং লিভারের সুরক্ষা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথ লাইন’ জানিয়েছে, গাজরের রসে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট কম। কিন্তু এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর। এক কাপ বা প্রায় ২৩৬ গ্রাম গাজরের রসে থাকে প্রায় ৯৪ ক্যালরি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রামের কম চর্বি, ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি এবং ২ গ্রাম আঁশ। এটি ভিটামিন ‘এ’র দৈনিক চাহিদার বেশ ভালো একটি অংশ পূরণ করে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’র ২২ শতাংশ, ভিটামিন ‘কে’এর ৩১ শতাংশ এবং পটাশিয়ামের দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ পূরণ করে।
গাজরের রসে লুটেইন ও জিয়াজ্যানথিন নামে ক্যারোটিনয়েড পিগমেন্ট থাকে। সেগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীর ফ্রি র্যাডিক্যাল নিরপেক্ষ করে। বিটা ক্যারোটিন থাকায় গাজরের রং কমলা। এটি শরীরে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’তে রূপান্তরিত হয়।
দেখে নিন গাজরের রস কী কী উপকার করে আমাদের শরীরে—
চোখ ভালো রাখে
গাজরের রসে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণা তথ্যে জানা যায়, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার অন্ধত্ব ও বার্ধক্যজনিত চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লুটেইন ও জিয়াজ্যানথিন ক্ষতিকর আলো থেকে চোখ রক্ষা করে এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতে পারে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে
গাজরের রস ভিটামিন এ, সি ও বি ৬-এর উৎস। এগুলো রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য জরুরি; বিশেষ করে ভিটামিন বি ৬-এর ঘাটতি শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। গাজরের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে আরও উন্নত করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
গাজরের রসে থাকা পলিএসিটিলিনস, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন নামক যৌগগুলো ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বেশ কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এই উপাদানগুলো ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ ও ধ্বংসে সাহায্য করতে পারে; বিশেষ করে লিউকেমিয়া ও কোলন ক্যানসার কোষের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে মানবদেহে ক্যানসার প্রতিরোধে এর ভূমিকা এখনো দীর্ঘ প্রমাণের অপেক্ষায়।
রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে
গাজরের রস পরিমিত খাওয়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রাণীর ওপর করা একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ফারমেন্টেড গাজরের রস রক্তে গ্লুকোজ কমাতে পারে এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত কিছু ফ্যাক্টর কমাতে পারে। এ ছাড়া গাজরের রসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। অর্থাৎ এটি রক্তে চিনির মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না; তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গাজরের রস পরিমিতভাবে পান করাই ভালো।
ত্বক ভালো রাখতে
গাজরের রস ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বক টান টান ও দৃঢ় রাখে। অন্যদিকে, বিটা ক্যারোটিন ইউভি রশ্মি ও ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
গাজরের রসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণা জানিয়েছে, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে চর্বির অক্সিডেশন কমাতে পারে, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
লিভারের সুরক্ষা
গাজরের রসে থাকা ক্যারোটিনয়েড উপাদানগুলো প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এগুলো লিভারের সুরক্ষায় কার্যকর হতে পারে। পশুর ওপর চালানো বিভিন্ন গবেষণায় ফল থেকে জানা গেছে, গাজরের রস নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই উপাদানগুলো লিভারে প্রদাহ কমায়, ফলে লিভারের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
সতর্কতা
গাজরের রসের অনেক উপকারিতা থাকলেও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। এটি অতিরিক্ত পান করলে শরীরে বিটা ক্যারোটিন জমে গিয়ে ক্যারোটিনেমিয়া নামক অবস্থা তৈরি করতে পারে। এর কারণে ত্বক হলুদ-কমলা রং ধারণ করে। এটি ক্ষতিকর না হলেও ভীতিকর মনে হতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গাজরের রসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এতে আঁশের পরিমাণ কম হওয়ায় এটি রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই দিনে প্রায় ১১৮ মিলিলিটার গাজরের রস খাওয়া ভালো। তাতে রক্তে চিনির পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাবে না।
সূত্র: হেলথ লাইন, হেলথ শর্টস
গাজরের রস গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। যেমন চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা এবং লিভারের সুরক্ষা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথ লাইন’ জানিয়েছে, গাজরের রসে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট কম। কিন্তু এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর। এক কাপ বা প্রায় ২৩৬ গ্রাম গাজরের রসে থাকে প্রায় ৯৪ ক্যালরি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রামের কম চর্বি, ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি এবং ২ গ্রাম আঁশ। এটি ভিটামিন ‘এ’র দৈনিক চাহিদার বেশ ভালো একটি অংশ পূরণ করে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘সি’র ২২ শতাংশ, ভিটামিন ‘কে’এর ৩১ শতাংশ এবং পটাশিয়ামের দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ পূরণ করে।
গাজরের রসে লুটেইন ও জিয়াজ্যানথিন নামে ক্যারোটিনয়েড পিগমেন্ট থাকে। সেগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীর ফ্রি র্যাডিক্যাল নিরপেক্ষ করে। বিটা ক্যারোটিন থাকায় গাজরের রং কমলা। এটি শরীরে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’তে রূপান্তরিত হয়।
দেখে নিন গাজরের রস কী কী উপকার করে আমাদের শরীরে—
চোখ ভালো রাখে
গাজরের রসে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণা তথ্যে জানা যায়, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার অন্ধত্ব ও বার্ধক্যজনিত চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লুটেইন ও জিয়াজ্যানথিন ক্ষতিকর আলো থেকে চোখ রক্ষা করে এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতে পারে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে
গাজরের রস ভিটামিন এ, সি ও বি ৬-এর উৎস। এগুলো রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য জরুরি; বিশেষ করে ভিটামিন বি ৬-এর ঘাটতি শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। গাজরের রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে আরও উন্নত করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
গাজরের রসে থাকা পলিএসিটিলিনস, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন নামক যৌগগুলো ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বেশ কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এই উপাদানগুলো ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ ও ধ্বংসে সাহায্য করতে পারে; বিশেষ করে লিউকেমিয়া ও কোলন ক্যানসার কোষের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে মানবদেহে ক্যানসার প্রতিরোধে এর ভূমিকা এখনো দীর্ঘ প্রমাণের অপেক্ষায়।
রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে
গাজরের রস পরিমিত খাওয়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রাণীর ওপর করা একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ফারমেন্টেড গাজরের রস রক্তে গ্লুকোজ কমাতে পারে এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত কিছু ফ্যাক্টর কমাতে পারে। এ ছাড়া গাজরের রসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। অর্থাৎ এটি রক্তে চিনির মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না; তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গাজরের রস পরিমিতভাবে পান করাই ভালো।
ত্বক ভালো রাখতে
গাজরের রস ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা ত্বক টান টান ও দৃঢ় রাখে। অন্যদিকে, বিটা ক্যারোটিন ইউভি রশ্মি ও ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা করে।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
গাজরের রসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণা জানিয়েছে, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে চর্বির অক্সিডেশন কমাতে পারে, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
লিভারের সুরক্ষা
গাজরের রসে থাকা ক্যারোটিনয়েড উপাদানগুলো প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এগুলো লিভারের সুরক্ষায় কার্যকর হতে পারে। পশুর ওপর চালানো বিভিন্ন গবেষণায় ফল থেকে জানা গেছে, গাজরের রস নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই উপাদানগুলো লিভারে প্রদাহ কমায়, ফলে লিভারের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
সতর্কতা
গাজরের রসের অনেক উপকারিতা থাকলেও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। এটি অতিরিক্ত পান করলে শরীরে বিটা ক্যারোটিন জমে গিয়ে ক্যারোটিনেমিয়া নামক অবস্থা তৈরি করতে পারে। এর কারণে ত্বক হলুদ-কমলা রং ধারণ করে। এটি ক্ষতিকর না হলেও ভীতিকর মনে হতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গাজরের রসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এতে আঁশের পরিমাণ কম হওয়ায় এটি রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই দিনে প্রায় ১১৮ মিলিলিটার গাজরের রস খাওয়া ভালো। তাতে রক্তে চিনির পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাবে না।
সূত্র: হেলথ লাইন, হেলথ শর্টস
কোথাও নেই কোনো ইট-পাথরের রাস্তা। চারপাশে শুধু থইথই পানি। সেই পানির বুকেই গড়ে উঠেছে বসতি—পুরো একটি গ্রাম। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল, উপাসনালয় সবই আছে সেই গ্রামে। কিন্তু পানির ওপর! মোটরগাড়ি নেই, নেই বাহারি মোটরবাইক। ফলে শব্দদূষণ নেই। আর নেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার বুকে অ
৬ ঘণ্টা আগে‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর তিনি করেই বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
৭ ঘণ্টা আগেরোজ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি থাকে না। লিপস্টিক ভালোভাবে না তুললে বা এটির মান ভালো না হলেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে একে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
৮ ঘণ্টা আগেবাজারে এখন যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্য়ে পটোল আর ঢ্যাঁড়স বলতে গেলে দু-এক দিন পরপরই কিনছেন প্রায় সবাই। কিন্তু সব সময় কি এগুলোর ভাজা আর তরকারি খেতে ভালো লাগে? মাঝেমধ্যে একটু ভিন্ন কায়দায় রান্না করলে এসব সবজিও একঘেয়ে অবস্থা কাটিয়ে হয়ে উঠতে পারে মুখরোচক।
১২ ঘণ্টা আগে