ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
অর্থ উপার্জনের চেয়ে কঠিন বিষয় উপার্জিত অর্থকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা; বিশেষ করে, তরুণ বয়সে যখন আয়-ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে ওঠে না, তখন অর্থ ব্যবস্থাপনার ভুলে ভবিষ্যতের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই জীবনের শুরুতে সুশৃঙ্খল অর্থ ব্যবস্থাপনা শেখা প্রত্যেক তরুণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থ ব্যবস্থাপনার শুরু করবেন যেভাবে
প্রথম ধাপ হলো, নিজের আয়ের একটি পরিষ্কার হিসাব রাখা এবং সে অনুযায়ী মাসিক বাজেট তৈরি করা। মাসে কত টাকা আয় হচ্ছে এবং কোন কোন খাতে খরচ হচ্ছে, তা তালিকাভুক্ত করা উচিত। যেমন বাসাভাড়া, খাবার, মোবাইল ফোন বিল, যাতায়াত খরচ, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ফি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খরচের তালিকা করুন। এতে বোঝা যাবে, কোন খাতে কতটুকু খরচ হচ্ছে এবং কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। বাজেট তৈরির সময় একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ে বরাদ্দ রাখা অত্যন্ত জরুরি। অর্থনৈতিক সংকট, জরুরি চিকিৎসা, শিক্ষাগত ব্যয় কিংবা হঠাৎ চাকরি হারানোর মতো পরিস্থিতিতে এই সঞ্চয় বড় সহায় হয়ে ওঠে। অবশিষ্ট অংশ খরচ করা যেতে পারে ব্যক্তিগত প্রয়োজন, বিনোদন বা সাময়িক আনন্দের জন্য। কিন্তু তা-ও বাজেটের মধ্যে থেকে।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও সচেতনতা
বর্তমানে ব্যাংকিং অ্যাপ, ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপস ও খরচ নজরদারির জন্য বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। তরুণদের এসব ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠা জরুরি। এর পাশাপাশি কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত; বিশেষ করে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে উচ্চ হারে সুদ গুনতে হতে পারে, যা ঋণের ফাঁদ তৈরি করে।
প্রয়োজন বনাম বিলাসিতা
প্রতিদিনের কেনাকাটার সময় প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে পার্থক্য করাটা খুব জরুরি। যেসব জিনিস দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হবে বা শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়, সেগুলো ‘প্রয়োজন’ হিসেবে ধরতে হবে। আর যেসব খরচ শুধুই বিনোদনের জন্য, সেগুলো হতে হবে বাজেট অনুযায়ী।
হঠাৎ কেনাকাটা বন্ধে কৌশল
অনেক তরুণ হঠাৎ আবেগে ব্যয় করে বসেন, যা মাসের শেষের দিকে সমস্যার সৃষ্টি করে। এর সমাধানে কিছু মনস্তাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, কোনো কিছু কিনতে ইচ্ছা হলে নিজেকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া, প্রতিদিন খরচের হিসাব রাখা অথবা নির্দিষ্ট কারও কাছে নিজের খরচের জবাবদিহি করা।
প্রতারণা ও ঋণের ফাঁদ
বর্তমানে স্ক্যাম বা প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। ফোন, ই-মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা কার্ড নম্বর চাওয়া হলে সতর্ক হতে হবে। অপরিচিত লোন প্রতিষ্ঠানের প্রলোভনে না পড়ে প্রয়োজন হলে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া ভালো। আর প্রয়োজন ছাড়া লোনের বিষয়ে চিন্তা করবেন না।
আয়ের একাধিক উৎস তৈরি করুন
বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শুধু একটি আয়ের উৎসের ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তরুণ বয়সে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা, টিউশন, ব্লগিং কিংবা ইউটিউব কনটেন্ট তৈরি—এমন অনেক সুযোগ রয়েছে, যা আয় বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া তরুণ বয়সে শেয়ারবাজার, মিউচুয়াল ফান্ড, সঞ্চয়পত্র বা ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ধারণা নিতে শুরু করুন। তবে এর আগে বাজার বিশ্লেষণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মৌলিক জ্ঞান অর্জন আবশ্যক। একাধিক উৎস থাকলে সঞ্চয় বাড়ে এবং আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।
স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বিমা রাখুন
তরুণ বয়সে অনেকে বিমা বিষয়টিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। কিন্তু দুর্ঘটনা বা হঠাৎ অসুস্থতা জীবনের গতি থামিয়ে দিতে পারে। কারণ, এগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনায় এককালীন অনেক টাকার প্রয়োজন হতে পারে। প্রতি মাসে খুব কম খরচে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা করানো যায়, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় সুরক্ষা।
অর্থ উপার্জন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও সেটাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে জীবন অস্থির হয়ে ওঠে। তরুণ বয়সে অর্থ সচেতনতা, বাজেটিং, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও প্রতারণা থেকে আত্মরক্ষার কৌশল শিখে নিতে পারলে ভবিষ্যৎ হবে অনেক বেশি নিরাপদ ও স্থিতিশীল।
সূত্র: মাইলস্টোন
অর্থ উপার্জনের চেয়ে কঠিন বিষয় উপার্জিত অর্থকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা; বিশেষ করে, তরুণ বয়সে যখন আয়-ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে ওঠে না, তখন অর্থ ব্যবস্থাপনার ভুলে ভবিষ্যতের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই জীবনের শুরুতে সুশৃঙ্খল অর্থ ব্যবস্থাপনা শেখা প্রত্যেক তরুণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থ ব্যবস্থাপনার শুরু করবেন যেভাবে
প্রথম ধাপ হলো, নিজের আয়ের একটি পরিষ্কার হিসাব রাখা এবং সে অনুযায়ী মাসিক বাজেট তৈরি করা। মাসে কত টাকা আয় হচ্ছে এবং কোন কোন খাতে খরচ হচ্ছে, তা তালিকাভুক্ত করা উচিত। যেমন বাসাভাড়া, খাবার, মোবাইল ফোন বিল, যাতায়াত খরচ, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ফি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খরচের তালিকা করুন। এতে বোঝা যাবে, কোন খাতে কতটুকু খরচ হচ্ছে এবং কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। বাজেট তৈরির সময় একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ে বরাদ্দ রাখা অত্যন্ত জরুরি। অর্থনৈতিক সংকট, জরুরি চিকিৎসা, শিক্ষাগত ব্যয় কিংবা হঠাৎ চাকরি হারানোর মতো পরিস্থিতিতে এই সঞ্চয় বড় সহায় হয়ে ওঠে। অবশিষ্ট অংশ খরচ করা যেতে পারে ব্যক্তিগত প্রয়োজন, বিনোদন বা সাময়িক আনন্দের জন্য। কিন্তু তা-ও বাজেটের মধ্যে থেকে।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও সচেতনতা
বর্তমানে ব্যাংকিং অ্যাপ, ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপস ও খরচ নজরদারির জন্য বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। তরুণদের এসব ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠা জরুরি। এর পাশাপাশি কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত; বিশেষ করে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে উচ্চ হারে সুদ গুনতে হতে পারে, যা ঋণের ফাঁদ তৈরি করে।
প্রয়োজন বনাম বিলাসিতা
প্রতিদিনের কেনাকাটার সময় প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে পার্থক্য করাটা খুব জরুরি। যেসব জিনিস দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হবে বা শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়, সেগুলো ‘প্রয়োজন’ হিসেবে ধরতে হবে। আর যেসব খরচ শুধুই বিনোদনের জন্য, সেগুলো হতে হবে বাজেট অনুযায়ী।
হঠাৎ কেনাকাটা বন্ধে কৌশল
অনেক তরুণ হঠাৎ আবেগে ব্যয় করে বসেন, যা মাসের শেষের দিকে সমস্যার সৃষ্টি করে। এর সমাধানে কিছু মনস্তাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, কোনো কিছু কিনতে ইচ্ছা হলে নিজেকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া, প্রতিদিন খরচের হিসাব রাখা অথবা নির্দিষ্ট কারও কাছে নিজের খরচের জবাবদিহি করা।
প্রতারণা ও ঋণের ফাঁদ
বর্তমানে স্ক্যাম বা প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। ফোন, ই-মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা কার্ড নম্বর চাওয়া হলে সতর্ক হতে হবে। অপরিচিত লোন প্রতিষ্ঠানের প্রলোভনে না পড়ে প্রয়োজন হলে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া ভালো। আর প্রয়োজন ছাড়া লোনের বিষয়ে চিন্তা করবেন না।
আয়ের একাধিক উৎস তৈরি করুন
বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শুধু একটি আয়ের উৎসের ওপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তরুণ বয়সে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা, টিউশন, ব্লগিং কিংবা ইউটিউব কনটেন্ট তৈরি—এমন অনেক সুযোগ রয়েছে, যা আয় বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া তরুণ বয়সে শেয়ারবাজার, মিউচুয়াল ফান্ড, সঞ্চয়পত্র বা ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ধারণা নিতে শুরু করুন। তবে এর আগে বাজার বিশ্লেষণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মৌলিক জ্ঞান অর্জন আবশ্যক। একাধিক উৎস থাকলে সঞ্চয় বাড়ে এবং আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।
স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বিমা রাখুন
তরুণ বয়সে অনেকে বিমা বিষয়টিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। কিন্তু দুর্ঘটনা বা হঠাৎ অসুস্থতা জীবনের গতি থামিয়ে দিতে পারে। কারণ, এগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনায় এককালীন অনেক টাকার প্রয়োজন হতে পারে। প্রতি মাসে খুব কম খরচে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা করানো যায়, যা ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় সুরক্ষা।
অর্থ উপার্জন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও সেটাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে জীবন অস্থির হয়ে ওঠে। তরুণ বয়সে অর্থ সচেতনতা, বাজেটিং, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও প্রতারণা থেকে আত্মরক্ষার কৌশল শিখে নিতে পারলে ভবিষ্যৎ হবে অনেক বেশি নিরাপদ ও স্থিতিশীল।
সূত্র: মাইলস্টোন
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেবন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কোনো বুফে রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। চোখের সামনে লম্বা টেবিলে সাজানো খাবার, নানান রঙের সালাদ, গরম ধোঁয়া ওঠা মাংস, মিষ্টি, ফল। খাবারের ঘ্রাণ যেন আপনাকে কাছে টানছে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকে অল্প কিছু খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। এত আশা করে বুফে খেতে যাওয়া যেন জলে গেল। এমনটা হতেই পারে, যদি
১০ ঘণ্টা আগেকোনো কোনো দেশে জনগণ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করে। আবার কিছু দেশে সরকারের প্রতি ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস বিরাজ করে। সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস দেশভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন বলে জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রতিবারই পরিকল্পনা করেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্র আর বাড়িতে সমানতালে ব্যস্ত থাকায় পূজায় মিষ্টিমুখের জন্য ভরসা করতে হয় মিষ্টির দোকান আর অনলাইন-ভিত্তিক খাবারের পেজগুলোর ওপর। এবার আটঘাট বেঁধেই পরিকল্পনা করেছেন, অল্প করে হলেও ঘরেই তৈরি হবে দশমীর খাবার। আর শেষপাতে থাকবে মিষ্টিমুখের আয়োজন।
১৩ ঘণ্টা আগে