ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
বিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেশির ভাগ উন্নত দেশ। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো রয়েছে নিচের দিকে। গত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ভোগ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোয় এই মাত্রা বেশি। ভোগের হারে তারতম্য থাকলেও বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে আরও বেশি সুষমভাবে বণ্টন করা হচ্ছে।
খাদ্যাভ্যাসের নেপথ্যে কারণ
খাদ্য গ্রহণের ভিন্নতার পেছনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। প্রথমে আছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সেই জাতির পুষ্টির মাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে। ব্যাপক নগরায়ণ, বিশেষত নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলেছে। খাদ্যে উচ্চ ক্যালরি, চর্বি ও লবণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাজা ফল ও সবজি খাওয়ার প্রবণতা কমেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যায়াম ও সাধারণ শারীরিক কার্যকলাপ কমে যাওয়ার ঘটনা, যা পুষ্টিগত পরিবর্তনগুলোকে আরও বাড়িয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে পরিবেশগত প্রভাব।
পরিবেশগত ও ভৌগোলিক কারণগুলো অনেক দেশের খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিছু দ্বীপরাষ্ট্র প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আমদানির ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।
এসব তথ্য তো জানলেন। কিন্তু কোন ১৫টি জাতি বিশ্বজুড়ে বেশি খাবার খায়, তা জানেন? আর সেই দেশগুলোর মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখে, তা-ও কি জানেন? জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানাচ্ছে, খাদ্যসামগ্রী থেকে পাওয়া মাথাপিছু গড় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ জাতীয় তথ্য থেকে পাওয়া যেতে পারে। তবে জাতীয় তথ্য থেকে পাওয়া এই গড় বাস্তবতাকে নির্দেশ না-ও করতে পারে। কারণ, খাদ্যের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অসমতা বা বৈষম্য বড় প্রভাব ফেলে।
সর্বোচ্চ খাদ্য গ্রহণকারী ১৫টি দেশের তালিকা
প্রথম পাঁচ
এফএও সূচকের তথ্য অনুসারে মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৫টি খাদ্য গ্রহণকারী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার প্রথম পাঁচটি দেশ হলো—
অস্ট্রিয়া, মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কিলোক্যালরি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ ৩ হাজার ৭৫০ কিলোক্যালরি।
গ্রিস, মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৭১০ কিলোক্যালরি।
বেলজিয়াম, মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৯০ কিলোক্যালরি।
লুক্সেমবার্গ, মাথাপিছু দৈনিক গড় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৮০ কিলোক্যালরি।
ষষ্ঠ থেকে দশম অবস্থানের দেশগুলো
পিৎজার জন্য বিখ্যাত দেশ ইতালি আছে ষষ্ঠ স্থানে। এখানকার মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৫০ কিলোক্যালরি। আকারে ছোট হলেও মাল্টার মানুষের ক্ষুধা প্রচণ্ড! তাই দেশটি আছে তালিকার সপ্তম অবস্থানে। মাল্টার দৈনিক মাথাপিছু গড় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ কিলোক্যালরি। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে থাকা দেশটির নাম আয়ারল্যান্ড। আইরিশ স্ট্যু ও সোডা ব্রেডের জন্য পরিচিত এই দেশের মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৯০ কিলোক্যালরি। পর্তোর বিখ্যাত ফ্রান্সেসিনা ও ক্ল্যাসিক প্যাস্টেল দে নাটার মতো খাবার পর্তুগালকে নবম স্থানে নিয়ে এসেছে। তাদের দৈনিক মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৮০ কিলোক্যালরি। এরপরই আছে জার্মানি। জার্মান খাবারে ক্যালরির মাত্রা বেশ ভালো। তাদের মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৪০ কিলোক্যালরি।
তালিকায় থাকা শেষ পাঁচ দেশ
তালিকায় থাকা ১১তম দেশটি কানাডা। দেশটির মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি। কক অ ভিন, পেঁয়াজের স্যুপ এবং ক্র্যাপসের মতো ক্ল্যাসিক ফরাসি খাবারের কারণে ফ্রান্সের মানুষ গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করে। আর সেখান থেকেই দেশটির অবস্থান ১২তম। ১৩তম অবস্থানে আছে ইসরায়েল। ব্রেডেড শাল্লাহ রুটি ও গেফিল্টে ফিশের মতো খাবারের দেশটির গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি। এরপরই আছে তুরস্ক। বিখ্যাত কাবাব ও জিবে জল আনা বাকলাভার জন্য পরিচিত তুরস্কে মাথাপিছু দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করা হয়। তালিকায় সর্বশেষ দেশের নাম রোমানিয়া। ঐতিহ্যবাহী সারমালে ও বালমোসের মতো খাবারের দেশ রোমানিয়া এই তালিকার ১৫তম স্থানে আছে। দেশটির গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪৯০ কিলোক্যালরি।
বৈষম্য ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তারা দরিদ্র দেশগুলোর থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন ইরিত্রিয়া ও বুরুন্ডির মতো দেশে মাথাপিছু গড় দৈনিক খাদ্য গ্রহণ অস্ট্রিয়ার অর্ধেকের কম। এমনকি দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিক বৈষম্য সম্পদের বণ্টনে তারতম্য তৈরি করে। ওশেনিয়া ও ইউরোপে ৫০ বছর ধরে খাদ্য সরবরাহ প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও অন্যান্য অঞ্চলে তার ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখা গেছে। আফ্রিকা ও এশিয়াতে বৃদ্ধি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সাংস্কৃতিক পার্থক্য, বিশ্বাস, পছন্দের খাবার ও খাদ্য সহজলভ্যতার মতো অন্যান্য কারণও খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এখনো বিশ্বের অনেক দেশ দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা ও শিশুদের অপুষ্টির মতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের বণ্টন ও পুষ্টির মান উন্নয়নে এখনো অনেক কাজ বাকি।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, এফএও
বিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেশির ভাগ উন্নত দেশ। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো রয়েছে নিচের দিকে। গত ৫০ বছরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ভোগ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোয় এই মাত্রা বেশি। ভোগের হারে তারতম্য থাকলেও বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে আরও বেশি সুষমভাবে বণ্টন করা হচ্ছে।
খাদ্যাভ্যাসের নেপথ্যে কারণ
খাদ্য গ্রহণের ভিন্নতার পেছনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। প্রথমে আছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সেই জাতির পুষ্টির মাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে। ব্যাপক নগরায়ণ, বিশেষত নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলেছে। খাদ্যে উচ্চ ক্যালরি, চর্বি ও লবণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাজা ফল ও সবজি খাওয়ার প্রবণতা কমেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যায়াম ও সাধারণ শারীরিক কার্যকলাপ কমে যাওয়ার ঘটনা, যা পুষ্টিগত পরিবর্তনগুলোকে আরও বাড়িয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে পরিবেশগত প্রভাব।
পরিবেশগত ও ভৌগোলিক কারণগুলো অনেক দেশের খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিছু দ্বীপরাষ্ট্র প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আমদানির ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।
এসব তথ্য তো জানলেন। কিন্তু কোন ১৫টি জাতি বিশ্বজুড়ে বেশি খাবার খায়, তা জানেন? আর সেই দেশগুলোর মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় কোন ধরনের খাবার রাখে, তা-ও কি জানেন? জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানাচ্ছে, খাদ্যসামগ্রী থেকে পাওয়া মাথাপিছু গড় ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ জাতীয় তথ্য থেকে পাওয়া যেতে পারে। তবে জাতীয় তথ্য থেকে পাওয়া এই গড় বাস্তবতাকে নির্দেশ না-ও করতে পারে। কারণ, খাদ্যের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অসমতা বা বৈষম্য বড় প্রভাব ফেলে।
সর্বোচ্চ খাদ্য গ্রহণকারী ১৫টি দেশের তালিকা
প্রথম পাঁচ
এফএও সূচকের তথ্য অনুসারে মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৫টি খাদ্য গ্রহণকারী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার প্রথম পাঁচটি দেশ হলো—
অস্ট্রিয়া, মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কিলোক্যালরি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ ৩ হাজার ৭৫০ কিলোক্যালরি।
গ্রিস, মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৭১০ কিলোক্যালরি।
বেলজিয়াম, মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৯০ কিলোক্যালরি।
লুক্সেমবার্গ, মাথাপিছু দৈনিক গড় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৮০ কিলোক্যালরি।
ষষ্ঠ থেকে দশম অবস্থানের দেশগুলো
পিৎজার জন্য বিখ্যাত দেশ ইতালি আছে ষষ্ঠ স্থানে। এখানকার মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৫০ কিলোক্যালরি। আকারে ছোট হলেও মাল্টার মানুষের ক্ষুধা প্রচণ্ড! তাই দেশটি আছে তালিকার সপ্তম অবস্থানে। মাল্টার দৈনিক মাথাপিছু গড় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ কিলোক্যালরি। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে থাকা দেশটির নাম আয়ারল্যান্ড। আইরিশ স্ট্যু ও সোডা ব্রেডের জন্য পরিচিত এই দেশের মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৯০ কিলোক্যালরি। পর্তোর বিখ্যাত ফ্রান্সেসিনা ও ক্ল্যাসিক প্যাস্টেল দে নাটার মতো খাবার পর্তুগালকে নবম স্থানে নিয়ে এসেছে। তাদের দৈনিক মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৮০ কিলোক্যালরি। এরপরই আছে জার্মানি। জার্মান খাবারে ক্যালরির মাত্রা বেশ ভালো। তাদের মাথাপিছু গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৪০ কিলোক্যালরি।
তালিকায় থাকা শেষ পাঁচ দেশ
তালিকায় থাকা ১১তম দেশটি কানাডা। দেশটির মাথাপিছু দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি। কক অ ভিন, পেঁয়াজের স্যুপ এবং ক্র্যাপসের মতো ক্ল্যাসিক ফরাসি খাবারের কারণে ফ্রান্সের মানুষ গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করে। আর সেখান থেকেই দেশটির অবস্থান ১২তম। ১৩তম অবস্থানে আছে ইসরায়েল। ব্রেডেড শাল্লাহ রুটি ও গেফিল্টে ফিশের মতো খাবারের দেশটির গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩০ কিলোক্যালরি। এরপরই আছে তুরস্ক। বিখ্যাত কাবাব ও জিবে জল আনা বাকলাভার জন্য পরিচিত তুরস্কে মাথাপিছু দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করা হয়। তালিকায় সর্বশেষ দেশের নাম রোমানিয়া। ঐতিহ্যবাহী সারমালে ও বালমোসের মতো খাবারের দেশ রোমানিয়া এই তালিকার ১৫তম স্থানে আছে। দেশটির গড় দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪৯০ কিলোক্যালরি।
বৈষম্য ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তারা দরিদ্র দেশগুলোর থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন ইরিত্রিয়া ও বুরুন্ডির মতো দেশে মাথাপিছু গড় দৈনিক খাদ্য গ্রহণ অস্ট্রিয়ার অর্ধেকের কম। এমনকি দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিক বৈষম্য সম্পদের বণ্টনে তারতম্য তৈরি করে। ওশেনিয়া ও ইউরোপে ৫০ বছর ধরে খাদ্য সরবরাহ প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও অন্যান্য অঞ্চলে তার ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখা গেছে। আফ্রিকা ও এশিয়াতে বৃদ্ধি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সাংস্কৃতিক পার্থক্য, বিশ্বাস, পছন্দের খাবার ও খাদ্য সহজলভ্যতার মতো অন্যান্য কারণও খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এখনো বিশ্বের অনেক দেশ দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা ও শিশুদের অপুষ্টির মতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের বণ্টন ও পুষ্টির মান উন্নয়নে এখনো অনেক কাজ বাকি।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, এফএও
কাজের চাপ, অনিদ্রা, ক্লান্তি এখন প্রায় সবার জীবনের অংশ। এমন অবস্থায় অনেকে কফি বা এনার্জি ড্রিংক পান করেন। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় দারুণ কাজ করে। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব টনিক শরীরের ক্লান্তি কমায়, মন ভালো রাখে আর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১২ ঘণ্টা আগেতুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাক সি উপকূল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ ঘুরে পন্টিক পর্বতমালার ওপরে পৌঁছালে চোখে পড়ে এক অসাধারণ দৃশ্য—পাহাড়ের প্রাচীরের ওপর ঝুলন্ত সুমেলা মনাস্ট্রি। মনাস্ট্রির স্থাপনা দেখলে মনে হবে কোনো বিখ্যাত শিল্পী তাঁর ক্যানভাসে ছবি এঁকে রেখেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেঅনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক
কাজের চাপ, অনিদ্রা, ক্লান্তি এখন প্রায় সবার জীবনের অংশ। এমন অবস্থায় অনেকে কফি বা এনার্জি ড্রিংক পান করেন। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় দারুণ কাজ করে। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব টনিক শরীরের ক্লান্তি কমায়, মন ভালো রাখে আর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আদা: মস্তিষ্ক সতেজ রাখে, মনোযোগ বাড়ায়
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আদা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে রয়েছে ১৪টি অনন্য যৌগ ও শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্ক ভালো রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা আলঝেইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।
উপকারিতা: মনোযোগ বৃদ্ধি, স্ট্রেস কমানো, মস্তিষ্কের সুরক্ষা।
সতর্কতা: একবারে ৪ গ্রামের বেশি না খাওয়াই ভালো। তা না হলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
মাকা রুট: হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে
পেরুর পাহাড়ি অঞ্চলের এই উদ্ভিদ এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এটি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, রক্তচাপ কমানো ও মানসিক অবসাদ দূরে সাহায্য করে; বিশেষ করে, মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের মুড ভালো রাখতে মাকা দারুণ কাজ করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
উপকারিতা: শক্তি বাড়ায়, মন ভালো রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সতর্কতা: গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী বা থাইরয়েড সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য নয়।
ম্যাচা চা: ক্যাফেইনের বিকল্প
সবুজ চায়ের গুঁড়া ম্যাচা এখন স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এতে আছে এল-থিয়ানিন উপাদান, যা শরীরকে প্রশান্তি দেয়। এ ছাড়া মন শান্ত থাকে, চিন্তা ও উদ্বেগ কমায়। ঘুম পায় না বলে সারা দিন মনোযোগ ধরে রাখা সহজ। ম্যাচায় থাকা সামান্য ক্যাফেইন একদিকে শক্তি জোগায়, অন্যদিকে মন সতেজ রাখে। তাই অনেকে কফির পরিবর্তে ম্যাচা চা পান করতে পছন্দ করেন।
উপকারিতা: মন শান্ত রাখে, মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে, ক্লান্তি কমায়।
সতর্কতা: দিনে এক-দুই কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো।
রেইশি মাশরুম: প্রাকৃতিক উপায়ে মানসিক প্রশান্তি
‘প্রকৃতির জ্যানাক্স’ নামে পরিচিত রেইশি মাশরুম শরীর ও মন—দুটিই শান্ত রাখে। এতে থাকা ট্রাইটারপিন নামের উপাদান স্নায়ু শান্ত করে। এর ফলে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়। এ ছাড়া ঘুম ভালো করতে এবং মনের অস্থিরতা বা বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।
উপকারিতা: ঘুম ভালো করে, মন শান্ত রাখে, উদ্বেগ কমায়।
সতর্কতা: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীকে এবং লিভারের সমস্যা থাকলে সতর্ক থাকতে হবে।
আপেল সিডার ভিনেগার: শক্তি বাড়ায় ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
সালাদের স্বাদ বাড়ায় এই আপেল সিডার ভিনেগার। এটি তো সবার জানা। কিন্তু এটি শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বেশ সাহায্য করে। এতে থাকা খনিজ পদার্থ, বিশেষ করে, পটাশিয়াম, শরীরের ক্লান্তি দূর করে ও শক্তি ঠিক রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বিষণ্নতা কমাতেও সাহায্য করে।
উপকারিতা: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বাড়ানো, সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতি।
সতর্কতা: অতিরিক্ত সেবনে দাঁতের এনামেল ক্ষয় বা গলা জ্বালা হতে পারে।
হলুদ: মানসিক সুস্থতার সহায়ক মসলা
হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায়। এগুলো আমাদের মানসিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মন ভালো থাকে, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে হলুদ খেলে অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধের মতো মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
উপকারিতা: উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায়, মন ভালো রাখে, মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে।
সতর্কতা: অতিরিক্ত সেবনে কিডনিতে পাথর হতে পারে, নিম্নমানের পণ্যে ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে।
অশ্বগন্ধা: স্ট্রেস কমানোর প্রাচীন ভেষজ
অশ্বগন্ধা প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ভেষজ। এটি শরীরকে মানসিক চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এটি শরীরে কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমিয়ে মনকে শান্ত রাখে। নিয়মিত সেবনে উদ্বেগ, ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমে যায়।
উপকারিতা: স্ট্রেস কমায়, মন শান্ত রাখে, ক্লান্তি দূর করে।
সতর্কতা: গর্ভবতী নারীদের জন্য নয়, নিম্নমানের উৎসের পণ্য এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রাকৃতিক এসব পানীয় শরীর ও মন সতেজ রাখতে সাহায্য করে ঠিকই, তবে এসব পানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সূত্র: হেলথ
কাজের চাপ, অনিদ্রা, ক্লান্তি এখন প্রায় সবার জীবনের অংশ। এমন অবস্থায় অনেকে কফি বা এনার্জি ড্রিংক পান করেন। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় দারুণ কাজ করে। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব টনিক শরীরের ক্লান্তি কমায়, মন ভালো রাখে আর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আদা: মস্তিষ্ক সতেজ রাখে, মনোযোগ বাড়ায়
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আদা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে রয়েছে ১৪টি অনন্য যৌগ ও শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্ক ভালো রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা আলঝেইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।
উপকারিতা: মনোযোগ বৃদ্ধি, স্ট্রেস কমানো, মস্তিষ্কের সুরক্ষা।
সতর্কতা: একবারে ৪ গ্রামের বেশি না খাওয়াই ভালো। তা না হলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
মাকা রুট: হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে
পেরুর পাহাড়ি অঞ্চলের এই উদ্ভিদ এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এটি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, রক্তচাপ কমানো ও মানসিক অবসাদ দূরে সাহায্য করে; বিশেষ করে, মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের মুড ভালো রাখতে মাকা দারুণ কাজ করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
উপকারিতা: শক্তি বাড়ায়, মন ভালো রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সতর্কতা: গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী বা থাইরয়েড সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য নয়।
ম্যাচা চা: ক্যাফেইনের বিকল্প
সবুজ চায়ের গুঁড়া ম্যাচা এখন স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এতে আছে এল-থিয়ানিন উপাদান, যা শরীরকে প্রশান্তি দেয়। এ ছাড়া মন শান্ত থাকে, চিন্তা ও উদ্বেগ কমায়। ঘুম পায় না বলে সারা দিন মনোযোগ ধরে রাখা সহজ। ম্যাচায় থাকা সামান্য ক্যাফেইন একদিকে শক্তি জোগায়, অন্যদিকে মন সতেজ রাখে। তাই অনেকে কফির পরিবর্তে ম্যাচা চা পান করতে পছন্দ করেন।
উপকারিতা: মন শান্ত রাখে, মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে, ক্লান্তি কমায়।
সতর্কতা: দিনে এক-দুই কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো।
রেইশি মাশরুম: প্রাকৃতিক উপায়ে মানসিক প্রশান্তি
‘প্রকৃতির জ্যানাক্স’ নামে পরিচিত রেইশি মাশরুম শরীর ও মন—দুটিই শান্ত রাখে। এতে থাকা ট্রাইটারপিন নামের উপাদান স্নায়ু শান্ত করে। এর ফলে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়। এ ছাড়া ঘুম ভালো করতে এবং মনের অস্থিরতা বা বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।
উপকারিতা: ঘুম ভালো করে, মন শান্ত রাখে, উদ্বেগ কমায়।
সতর্কতা: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীকে এবং লিভারের সমস্যা থাকলে সতর্ক থাকতে হবে।
আপেল সিডার ভিনেগার: শক্তি বাড়ায় ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
সালাদের স্বাদ বাড়ায় এই আপেল সিডার ভিনেগার। এটি তো সবার জানা। কিন্তু এটি শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বেশ সাহায্য করে। এতে থাকা খনিজ পদার্থ, বিশেষ করে, পটাশিয়াম, শরীরের ক্লান্তি দূর করে ও শক্তি ঠিক রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বিষণ্নতা কমাতেও সাহায্য করে।
উপকারিতা: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বাড়ানো, সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতি।
সতর্কতা: অতিরিক্ত সেবনে দাঁতের এনামেল ক্ষয় বা গলা জ্বালা হতে পারে।
হলুদ: মানসিক সুস্থতার সহায়ক মসলা
হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায়। এগুলো আমাদের মানসিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মন ভালো থাকে, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে হলুদ খেলে অনেক ক্ষেত্রে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধের মতো মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
উপকারিতা: উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায়, মন ভালো রাখে, মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে।
সতর্কতা: অতিরিক্ত সেবনে কিডনিতে পাথর হতে পারে, নিম্নমানের পণ্যে ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে।
অশ্বগন্ধা: স্ট্রেস কমানোর প্রাচীন ভেষজ
অশ্বগন্ধা প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ভেষজ। এটি শরীরকে মানসিক চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। এটি শরীরে কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমিয়ে মনকে শান্ত রাখে। নিয়মিত সেবনে উদ্বেগ, ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমে যায়।
উপকারিতা: স্ট্রেস কমায়, মন শান্ত রাখে, ক্লান্তি দূর করে।
সতর্কতা: গর্ভবতী নারীদের জন্য নয়, নিম্নমানের উৎসের পণ্য এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রাকৃতিক এসব পানীয় শরীর ও মন সতেজ রাখতে সাহায্য করে ঠিকই, তবে এসব পানের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সূত্র: হেলথ
বিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে...
২১ ঘণ্টা আগেতুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাক সি উপকূল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ ঘুরে পন্টিক পর্বতমালার ওপরে পৌঁছালে চোখে পড়ে এক অসাধারণ দৃশ্য—পাহাড়ের প্রাচীরের ওপর ঝুলন্ত সুমেলা মনাস্ট্রি। মনাস্ট্রির স্থাপনা দেখলে মনে হবে কোনো বিখ্যাত শিল্পী তাঁর ক্যানভাসে ছবি এঁকে রেখেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেঅনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক
তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাক সি উপকূল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ ঘুরে পন্টিক পর্বতমালার ওপরে পৌঁছালে চোখে পড়ে এক অসাধারণ দৃশ্য—পাহাড়ের প্রাচীরের ওপর ঝুলন্ত সুমেলা মনাস্ট্রি।
মনাস্ট্রির স্থাপনা দেখলে মনে হবে কোনো বিখ্যাত শিল্পী তাঁর ক্যানভাসে ছবি এঁকে রেখেছেন। চ্যাপেল, প্রাঙ্গণ, লাইব্রেরি, সন্ন্যাসীদের কক্ষ, ঘণ্টাঘর ও পাথরে ঘেরা পবিত্র উৎস, সবই ঝুলে আছে পাহাড়ের গায়ে—প্রায় ৩০০ মিটার বা ১ হাজার ফুট ওপরে। এর নিচে ঘন বন ও নদী। ওপর থেকে দেখলে সবকিছুই হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা মনে হয়।
মনাস্ট্রির ইতিহাস
মনাস্ট্রিটি চতুর্থ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত বলে ধারণা করা হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বারনাবাস ও সোফ্রোনিওস নামে দুই গ্রিক সন্ন্যাসী এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই সময়। স্বপ্নে মেরি তাঁদের জানান, পন্টিক পর্বতমালায় লুকানো আছে লুক দ্য অ্যাপোস্টল আঁকা একটি পবিত্র ছবি। বারনাবাস ও সোফ্রোনিওস সেই ছবি খুঁজে পেয়ে নাম দেন ‘প্যানাগিয়া সুমেলা’।
তেরো শ শতাব্দীতে মনাস্ট্রিটি বর্তমান আকার পায়। এই প্রাচীন প্রাচীরের মধ্যে রোমান সাম্রাজ্য থেকে বাইজেন্টাইন, ওসমানি শাসন এবং পরবর্তী সময়ে তুরস্কের স্বাধীনতাসংগ্রামের মতো অনেক ইতিহাস সাক্ষী হয়েছে।
ওসমানি শাসনকালে মুসলিম শাসকেরা খ্রিষ্টানদের ওপর আক্রমণ না করে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলো রক্ষা করত। কখনো কখনো তারা ছোট ছোট দান বা জমি দিয়ে মনাস্ট্রির সন্ন্যাসীদের সাহায্যও করত। ফলে সুমেলা শুধু একটি ধর্মীয় স্থানই নয়, ভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সহনশীলতার নিদর্শন হিসেবেও পরিচিত।
স্থাপত্য ও ফ্রেস্কো
সুমেলা মনাস্ট্রি শুধু ইতিহাস নয়। এখানকার চিত্রশিল্প ও স্থাপত্য পর্যটকদের আরও চমকপ্রদ করে তোলে। মনাস্ট্রির বাইরের অংশে চোখে পড়ে বিশাল চিত্রকলা। সেখানে যিশু, মেরি ও দেবদূতদের ছবি আঁকা আছে। প্রতিটি ছবি যেন একেকটি গল্প, যা দর্শকের চোখে ইতিহাসকে জীবন্ত করে তোলে।
গুহার ভেতরে তেরো শ শতাব্দীতে আঁকা আরও রহস্যময় চিত্রশিল্প আছে। তবে জানিয়ে রাখা ভালো, এই মনাস্ট্রিতে শুধু সৌন্দর্য নয়, রোমান যুগের সিংহদের হাতে মানুষ মারা যাওয়ার মতো ভয়ংকর দৃশ্যের ছবিও দেখা যায়।
রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ
মনাস্ট্রির রক্ষণাবেক্ষণ চলমান। সেখানে ফ্রেস্কো পুনরুদ্ধারের কাজ অত্যন্ত যত্নসহকারে করা হচ্ছে। শিল্পী সেনল আক্তাশ জানান, তাঁরা মূল রং ও শৈলীর সঙ্গে মিল রেখে ফ্রেস্কোগুলো পুনরায় সাজাচ্ছেন। এখানে পর্যটকেরা গোপন চ্যাপেল ও ছোট ছোট কক্ষগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। রক্ষণাবেক্ষণ চলাকালীন অপ্রত্যাশিত অনেক কিছু আবিষ্কারও হয়েছে সে মনাস্ট্রিতে। তার মধ্যে আছে একটি গোপন সুড়ঙ্গ। তার ভেতরেও কিছু চমকপ্রদ ফ্রেস্কো পাওয়া গেছে। সেসব ফ্রেস্কতে ফুটে উঠেছে ইতিহাসের অনেক গল্প।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
সুমেলা মনাস্ট্রি একসময় ছিল গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ। ওসমানি সাম্রাজ্যের পতনের পর তুরস্কের স্থানীয় গ্রিকরা গ্রিসে চলে যায়। ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট ৮৮ বছরে প্রথমবারের মতো পুনরায় অর্থোডক্স উপাসনার আয়োজন হয়েছিল। এখন অবশ্য প্রতিবছর একই দিনে অর্থোডক্স উপাসনার আয়োজন করা হয়।
দর্শক ও ভ্রমণ তথ্য
তুরস্কের আলতিন্দেরে ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত এ মনাস্ট্রি। ব্ল্যাক সি উপকূলের ট্রাবজোন শহর থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ পারি দিয়ে যেতে হয় সেখানে।
পরিবহন: পার্কিং লট থেকে শাটল বা সিঁড়িপথ দিয়ে ধাপে ধাপে মনাস্ট্রিতে পৌঁছানো।
ব্যয়: ২০ ইউরো।
খোলা থাকার সময়: সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা।
ভ্রমণকাল: সাধারণত ১ থেকে ২ ঘণ্টা।
শীতকালে তুষার ও গ্রীষ্মে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। তাই শক্ত জুতা ও আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরা প্রয়োজন সেখানে যেতে চাইলে।
আশপাশে থাকার ব্যবস্থা
সেখানে কোসানদেরে গ্রামে তিন তারকা মানের সুমেলা হলিডে হোটেল রয়েছে। এ ছাড়া ট্রাবজোন শহরে রামাদা প্লাজা ও র্যাডিসন ব্লুর মতো বড় হোটেল আছে।
সুমেলা মনাস্ট্রি শুধু প্রাচীন স্থাপত্যের জন্যই নয়, এটি ভ্রমণ, ইতিহাস, শিল্প ও আধ্যাত্মিকতার মিলনকেন্দ্র হিসেবেও বিখ্যাত। পাহাড়ের প্রাচীরের সঙ্গে ঝুলে থাকা, চোখধাঁধানো ফ্রেস্কো আর সমৃদ্ধ ইতিহাস এই জায়গাকে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
সূত্র: সিএনএন
তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাক সি উপকূল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ ঘুরে পন্টিক পর্বতমালার ওপরে পৌঁছালে চোখে পড়ে এক অসাধারণ দৃশ্য—পাহাড়ের প্রাচীরের ওপর ঝুলন্ত সুমেলা মনাস্ট্রি।
মনাস্ট্রির স্থাপনা দেখলে মনে হবে কোনো বিখ্যাত শিল্পী তাঁর ক্যানভাসে ছবি এঁকে রেখেছেন। চ্যাপেল, প্রাঙ্গণ, লাইব্রেরি, সন্ন্যাসীদের কক্ষ, ঘণ্টাঘর ও পাথরে ঘেরা পবিত্র উৎস, সবই ঝুলে আছে পাহাড়ের গায়ে—প্রায় ৩০০ মিটার বা ১ হাজার ফুট ওপরে। এর নিচে ঘন বন ও নদী। ওপর থেকে দেখলে সবকিছুই হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা মনে হয়।
মনাস্ট্রির ইতিহাস
মনাস্ট্রিটি চতুর্থ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত বলে ধারণা করা হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বারনাবাস ও সোফ্রোনিওস নামে দুই গ্রিক সন্ন্যাসী এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই সময়। স্বপ্নে মেরি তাঁদের জানান, পন্টিক পর্বতমালায় লুকানো আছে লুক দ্য অ্যাপোস্টল আঁকা একটি পবিত্র ছবি। বারনাবাস ও সোফ্রোনিওস সেই ছবি খুঁজে পেয়ে নাম দেন ‘প্যানাগিয়া সুমেলা’।
তেরো শ শতাব্দীতে মনাস্ট্রিটি বর্তমান আকার পায়। এই প্রাচীন প্রাচীরের মধ্যে রোমান সাম্রাজ্য থেকে বাইজেন্টাইন, ওসমানি শাসন এবং পরবর্তী সময়ে তুরস্কের স্বাধীনতাসংগ্রামের মতো অনেক ইতিহাস সাক্ষী হয়েছে।
ওসমানি শাসনকালে মুসলিম শাসকেরা খ্রিষ্টানদের ওপর আক্রমণ না করে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলো রক্ষা করত। কখনো কখনো তারা ছোট ছোট দান বা জমি দিয়ে মনাস্ট্রির সন্ন্যাসীদের সাহায্যও করত। ফলে সুমেলা শুধু একটি ধর্মীয় স্থানই নয়, ভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সহনশীলতার নিদর্শন হিসেবেও পরিচিত।
স্থাপত্য ও ফ্রেস্কো
সুমেলা মনাস্ট্রি শুধু ইতিহাস নয়। এখানকার চিত্রশিল্প ও স্থাপত্য পর্যটকদের আরও চমকপ্রদ করে তোলে। মনাস্ট্রির বাইরের অংশে চোখে পড়ে বিশাল চিত্রকলা। সেখানে যিশু, মেরি ও দেবদূতদের ছবি আঁকা আছে। প্রতিটি ছবি যেন একেকটি গল্প, যা দর্শকের চোখে ইতিহাসকে জীবন্ত করে তোলে।
গুহার ভেতরে তেরো শ শতাব্দীতে আঁকা আরও রহস্যময় চিত্রশিল্প আছে। তবে জানিয়ে রাখা ভালো, এই মনাস্ট্রিতে শুধু সৌন্দর্য নয়, রোমান যুগের সিংহদের হাতে মানুষ মারা যাওয়ার মতো ভয়ংকর দৃশ্যের ছবিও দেখা যায়।
রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ
মনাস্ট্রির রক্ষণাবেক্ষণ চলমান। সেখানে ফ্রেস্কো পুনরুদ্ধারের কাজ অত্যন্ত যত্নসহকারে করা হচ্ছে। শিল্পী সেনল আক্তাশ জানান, তাঁরা মূল রং ও শৈলীর সঙ্গে মিল রেখে ফ্রেস্কোগুলো পুনরায় সাজাচ্ছেন। এখানে পর্যটকেরা গোপন চ্যাপেল ও ছোট ছোট কক্ষগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। রক্ষণাবেক্ষণ চলাকালীন অপ্রত্যাশিত অনেক কিছু আবিষ্কারও হয়েছে সে মনাস্ট্রিতে। তার মধ্যে আছে একটি গোপন সুড়ঙ্গ। তার ভেতরেও কিছু চমকপ্রদ ফ্রেস্কো পাওয়া গেছে। সেসব ফ্রেস্কতে ফুটে উঠেছে ইতিহাসের অনেক গল্প।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
সুমেলা মনাস্ট্রি একসময় ছিল গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ। ওসমানি সাম্রাজ্যের পতনের পর তুরস্কের স্থানীয় গ্রিকরা গ্রিসে চলে যায়। ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট ৮৮ বছরে প্রথমবারের মতো পুনরায় অর্থোডক্স উপাসনার আয়োজন হয়েছিল। এখন অবশ্য প্রতিবছর একই দিনে অর্থোডক্স উপাসনার আয়োজন করা হয়।
দর্শক ও ভ্রমণ তথ্য
তুরস্কের আলতিন্দেরে ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত এ মনাস্ট্রি। ব্ল্যাক সি উপকূলের ট্রাবজোন শহর থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ পারি দিয়ে যেতে হয় সেখানে।
পরিবহন: পার্কিং লট থেকে শাটল বা সিঁড়িপথ দিয়ে ধাপে ধাপে মনাস্ট্রিতে পৌঁছানো।
ব্যয়: ২০ ইউরো।
খোলা থাকার সময়: সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা।
ভ্রমণকাল: সাধারণত ১ থেকে ২ ঘণ্টা।
শীতকালে তুষার ও গ্রীষ্মে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। তাই শক্ত জুতা ও আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরা প্রয়োজন সেখানে যেতে চাইলে।
আশপাশে থাকার ব্যবস্থা
সেখানে কোসানদেরে গ্রামে তিন তারকা মানের সুমেলা হলিডে হোটেল রয়েছে। এ ছাড়া ট্রাবজোন শহরে রামাদা প্লাজা ও র্যাডিসন ব্লুর মতো বড় হোটেল আছে।
সুমেলা মনাস্ট্রি শুধু প্রাচীন স্থাপত্যের জন্যই নয়, এটি ভ্রমণ, ইতিহাস, শিল্প ও আধ্যাত্মিকতার মিলনকেন্দ্র হিসেবেও বিখ্যাত। পাহাড়ের প্রাচীরের সঙ্গে ঝুলে থাকা, চোখধাঁধানো ফ্রেস্কো আর সমৃদ্ধ ইতিহাস এই জায়গাকে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
সূত্র: সিএনএন
বিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে...
২১ ঘণ্টা আগেকাজের চাপ, অনিদ্রা, ক্লান্তি এখন প্রায় সবার জীবনের অংশ। এমন অবস্থায় অনেকে কফি বা এনার্জি ড্রিংক পান করেন। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় দারুণ কাজ করে। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব টনিক শরীরের ক্লান্তি কমায়, মন ভালো রাখে আর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১২ ঘণ্টা আগেঅনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক
অনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যেতে আপনার অস্বস্তি বোধ হচ্ছে বা ইচ্ছে করছে না। কিন্তু মনরক্ষার খাতিরে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই তাঁর সঙ্গে গেলেন। ভেতরে-ভেতরে রিফ্রেশ হওয়ার বদলে মেজাজটা বিগড়ে গেল। ফলে ক্ষতিটা কার হলো বলুন তো? নিজেরই।
‘না’ শব্দটির মানে যে শুধু রিজেকশন, তা কিন্তু নয়। কখনো কখনো না বলতে পারা মানে মানুষের সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যকর সীমারেখা তৈরি করা। আর এটা সম্পর্ক ও নিজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
যে কাজটি কেউ করতে বলছে, কিন্তু সেটা করার কোনো আগ্রহ বা প্রয়োজন আপনি বোধ করছেন না, সেখানে না বলার পরিবর্তে যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজটি করেন, তাহলে শক্তির অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবে না। বলা ভালো, আমতা-আমতা না করে স্পষ্ট যোগাযোগ থাকলে সম্পর্কে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়। কিন্তু এগুলো যাঁরা বোঝেন, তাঁরাও অনেক সময় জায়গামতো ‘না’ শব্দটা বলতে পারেন না। আপনিও কি এমন কাতারে পড়েন?
কাউকে কষ্ট না দিয়ে কী করে ‘না’ বলবেন বা নির্দিষ্ট কোনো কিছুতে ‘অসম্মতি’ জানাবেন, তারই কিছু উপায় বলা হলো এখানে।
প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন
কেউ যদি যেচে পড়ে আপনার কোনো কাজ করে দিতে চান, কোনো উপহার পাঠান বা এমন কোনো প্রস্তাব রাখেন, যাতে আপনার সম্মতি নেই; সে ক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছে ও প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। বলতে পারেন, ‘আমার কথা এভাবে ভাবার জন্য ধন্যবাদ। তবে এই উপহার আমি নিতে চাইছি না বা এই কাজ আমি করতে পারছি না বলে দুঃখিত।’
সরাসরি বলুন
আগ্রহ না থাকার বিষয়ে স্পষ্টভাবে ও সরাসরি বলা সব সময়ই ভালো। বলতে পারেন, ‘জিজ্ঞেস করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি চা খেতে যেতে আগ্রহী নই।’ এই সহজ কথাটি ভালো কাজ করবে। ‘আমি’ শব্দটি দিয়ে বাক্য ব্যবহার করুন। যাতে তিনি বুঝতে পারেন নিজের সিদ্ধান্তে আপনি অটল।
মিশ্র বার্তা এড়িয়ে চলুন
যদি কখনোই আপনি তাঁর সঙ্গে চা খেতে যেতে আগ্রহী না থাকেন বা অন্য কোনো কাজ করতে আগ্রহী না থাকেন, তাহলে কখনোই বলার প্রয়োজন নেই যে ‘অন্য সময় খাব।’ ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি এড়াতে দৃঢ় থাকুন। দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে তাঁদের মিথ্যা আশা দিতে চাইবেন না, নিজেও চাপে থাকবেন না। অন্য়ের কাছে সব সময় ভালো না হলেও চলবে, তবে নিজে চাপমুক্ত থাকাটা জরুরি।
কখন কঠোর হতে হবে
যখন কেউ আপনার ‘না’-কে উত্তর হিসেবে না নেয় বা যদি কেউ আপনাকে হয়রানি করতে থাকে এবং আপনি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করার পরও আপনাকে প্রস্তাব বা প্রশ্ন করেই যায়, তাহলে আরও দৃঢ় থাকুন। বলুন, ‘বারবার বলার জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমি আগ্রহী নই। দয়া করে পুনরায় জানতে চাইবেন না।’ এসব ক্ষেত্রে অনেকে ম্যানিপুলেশন কাজে লাগাতে পারেন।
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সুন্দরভাবে গ্রহণের উপায়
এবার আসা যাক মুদ্রার অন্য পিঠের গল্পে। কখনো যদি কেউ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেন বা আপনার কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বলেন, তাহলে কষ্ট পাবেন না। বরং সম্মানের সঙ্গে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন, যেকোনো স্পষ্ট সম্মতি বা অসম্মতিই গ্রহণযোগ্য। বারবার অনুরোধ না করে নিজেই সরে আসুন। সম্মান দিন তাঁদের সম্মতিকে।
আবেগগত প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে বা কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বললে আপনার খারাপ লাগতেই পারে। আপনার এই অনুভূতি বৈধ। তবে অন্য কারও ওপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়াও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই ‘না’-এর প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে নিজে কিছুটা সময় নিন, তারপর চাইলে উত্তর দিতে পারেন। সে ক্ষেত্র আপনি বলতে পারেন ‘কোনো চিন্তা নেই, শুভকামনা!’ অথবা ‘সৎ অনুভূতি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।’
ইতিবাচক থাকুন ও সহজভাবে নিন
প্রত্যাখ্যান জীবনের একটি অংশ। নিজেকে বলুন, আমি মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। মানুষও আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই অনুশীলন আপনাকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড
অনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যেতে আপনার অস্বস্তি বোধ হচ্ছে বা ইচ্ছে করছে না। কিন্তু মনরক্ষার খাতিরে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই তাঁর সঙ্গে গেলেন। ভেতরে-ভেতরে রিফ্রেশ হওয়ার বদলে মেজাজটা বিগড়ে গেল। ফলে ক্ষতিটা কার হলো বলুন তো? নিজেরই।
‘না’ শব্দটির মানে যে শুধু রিজেকশন, তা কিন্তু নয়। কখনো কখনো না বলতে পারা মানে মানুষের সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যকর সীমারেখা তৈরি করা। আর এটা সম্পর্ক ও নিজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
যে কাজটি কেউ করতে বলছে, কিন্তু সেটা করার কোনো আগ্রহ বা প্রয়োজন আপনি বোধ করছেন না, সেখানে না বলার পরিবর্তে যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজটি করেন, তাহলে শক্তির অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবে না। বলা ভালো, আমতা-আমতা না করে স্পষ্ট যোগাযোগ থাকলে সম্পর্কে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়। কিন্তু এগুলো যাঁরা বোঝেন, তাঁরাও অনেক সময় জায়গামতো ‘না’ শব্দটা বলতে পারেন না। আপনিও কি এমন কাতারে পড়েন?
কাউকে কষ্ট না দিয়ে কী করে ‘না’ বলবেন বা নির্দিষ্ট কোনো কিছুতে ‘অসম্মতি’ জানাবেন, তারই কিছু উপায় বলা হলো এখানে।
প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন
কেউ যদি যেচে পড়ে আপনার কোনো কাজ করে দিতে চান, কোনো উপহার পাঠান বা এমন কোনো প্রস্তাব রাখেন, যাতে আপনার সম্মতি নেই; সে ক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছে ও প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। বলতে পারেন, ‘আমার কথা এভাবে ভাবার জন্য ধন্যবাদ। তবে এই উপহার আমি নিতে চাইছি না বা এই কাজ আমি করতে পারছি না বলে দুঃখিত।’
সরাসরি বলুন
আগ্রহ না থাকার বিষয়ে স্পষ্টভাবে ও সরাসরি বলা সব সময়ই ভালো। বলতে পারেন, ‘জিজ্ঞেস করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি চা খেতে যেতে আগ্রহী নই।’ এই সহজ কথাটি ভালো কাজ করবে। ‘আমি’ শব্দটি দিয়ে বাক্য ব্যবহার করুন। যাতে তিনি বুঝতে পারেন নিজের সিদ্ধান্তে আপনি অটল।
মিশ্র বার্তা এড়িয়ে চলুন
যদি কখনোই আপনি তাঁর সঙ্গে চা খেতে যেতে আগ্রহী না থাকেন বা অন্য কোনো কাজ করতে আগ্রহী না থাকেন, তাহলে কখনোই বলার প্রয়োজন নেই যে ‘অন্য সময় খাব।’ ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি এড়াতে দৃঢ় থাকুন। দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে তাঁদের মিথ্যা আশা দিতে চাইবেন না, নিজেও চাপে থাকবেন না। অন্য়ের কাছে সব সময় ভালো না হলেও চলবে, তবে নিজে চাপমুক্ত থাকাটা জরুরি।
কখন কঠোর হতে হবে
যখন কেউ আপনার ‘না’-কে উত্তর হিসেবে না নেয় বা যদি কেউ আপনাকে হয়রানি করতে থাকে এবং আপনি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করার পরও আপনাকে প্রস্তাব বা প্রশ্ন করেই যায়, তাহলে আরও দৃঢ় থাকুন। বলুন, ‘বারবার বলার জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমি আগ্রহী নই। দয়া করে পুনরায় জানতে চাইবেন না।’ এসব ক্ষেত্রে অনেকে ম্যানিপুলেশন কাজে লাগাতে পারেন।
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সুন্দরভাবে গ্রহণের উপায়
এবার আসা যাক মুদ্রার অন্য পিঠের গল্পে। কখনো যদি কেউ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেন বা আপনার কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বলেন, তাহলে কষ্ট পাবেন না। বরং সম্মানের সঙ্গে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন, যেকোনো স্পষ্ট সম্মতি বা অসম্মতিই গ্রহণযোগ্য। বারবার অনুরোধ না করে নিজেই সরে আসুন। সম্মান দিন তাঁদের সম্মতিকে।
আবেগগত প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন
কেউ প্রত্যাখ্যান করলে বা কোনো প্রস্তাবে ‘না’ বললে আপনার খারাপ লাগতেই পারে। আপনার এই অনুভূতি বৈধ। তবে অন্য কারও ওপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়াও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই ‘না’-এর প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে নিজে কিছুটা সময় নিন, তারপর চাইলে উত্তর দিতে পারেন। সে ক্ষেত্র আপনি বলতে পারেন ‘কোনো চিন্তা নেই, শুভকামনা!’ অথবা ‘সৎ অনুভূতি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।’
ইতিবাচক থাকুন ও সহজভাবে নিন
প্রত্যাখ্যান জীবনের একটি অংশ। নিজেকে বলুন, আমি মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। মানুষও আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই অনুশীলন আপনাকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড
বিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে...
২১ ঘণ্টা আগেকাজের চাপ, অনিদ্রা, ক্লান্তি এখন প্রায় সবার জীবনের অংশ। এমন অবস্থায় অনেকে কফি বা এনার্জি ড্রিংক পান করেন। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় দারুণ কাজ করে। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব টনিক শরীরের ক্লান্তি কমায়, মন ভালো রাখে আর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১২ ঘণ্টা আগেতুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাক সি উপকূল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ ঘুরে পন্টিক পর্বতমালার ওপরে পৌঁছালে চোখে পড়ে এক অসাধারণ দৃশ্য—পাহাড়ের প্রাচীরের ওপর ঝুলন্ত সুমেলা মনাস্ট্রি। মনাস্ট্রির স্থাপনা দেখলে মনে হবে কোনো বিখ্যাত শিল্পী তাঁর ক্যানভাসে ছবি এঁকে রেখেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আলু ২৫০ গ্রাম, টমেটো ১টি, লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ২টি, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, চিনি, পাঁচফোড়ন ও কালিজিরা আধা চা-চামচ করে, হিং ২ চিমটি।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে চার কোনা আকারে ছোট ছোট করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ ও সামান্য কালোজিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার পানিসহ সেদ্ধ করা আলু ফোড়নে দিয়ে দিন। হয়ে এলে টমেটো, হিং, চিনি ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে আরও কিছু সময় রান্না করুন। সব শেষে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তারপর ফুলকো লুচি নিয়ে বসে পড়ুন টেবিলে।
ছুটির দিন সকালে আয়েশ করে একটু ভিন্ন ধরনের নাশতা করতে কে না চায়? তবে তার জন্য সময় ব্যয় করতেও মন সায় দেয় না। তাই চটজলদি মজাদার কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলুন লুচি। আর লুচির সঙ্গে খাওয়ার জন্য আলুর ঝোল। লুচি গড়তে তো সবাই পারেন। তবে আলুর ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
আলু ২৫০ গ্রাম, টমেটো ১টি, লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ২টি, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, চিনি, পাঁচফোড়ন ও কালিজিরা আধা চা-চামচ করে, হিং ২ চিমটি।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে চার কোনা আকারে ছোট ছোট করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ ও সামান্য কালোজিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার পানিসহ সেদ্ধ করা আলু ফোড়নে দিয়ে দিন। হয়ে এলে টমেটো, হিং, চিনি ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নেড়েচেড়ে আরও কিছু সময় রান্না করুন। সব শেষে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তারপর ফুলকো লুচি নিয়ে বসে পড়ুন টেবিলে।
বিশ্বের ১৭২টি দেশে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা অনুসরণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এটি একটি বিশেষ ভোগ সূচক। এই সূচক অনুযায়ী নির্দিষ্ট হয়েছে বিশ্বে বেশি খাদ্য গ্রহণকারী দেশ কোনটি। অর্থাৎ কোন দেশের মানুষ বেশি খাচ্ছে বা খাবার পাচ্ছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে...
২১ ঘণ্টা আগেকাজের চাপ, অনিদ্রা, ক্লান্তি এখন প্রায় সবার জীবনের অংশ। এমন অবস্থায় অনেকে কফি বা এনার্জি ড্রিংক পান করেন। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু পানীয় দারুণ কাজ করে। ঘরোয়া উপাদানে তৈরি এসব টনিক শরীরের ক্লান্তি কমায়, মন ভালো রাখে আর উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১২ ঘণ্টা আগেতুরস্কের পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাক সি উপকূল থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ ঘুরে পন্টিক পর্বতমালার ওপরে পৌঁছালে চোখে পড়ে এক অসাধারণ দৃশ্য—পাহাড়ের প্রাচীরের ওপর ঝুলন্ত সুমেলা মনাস্ট্রি। মনাস্ট্রির স্থাপনা দেখলে মনে হবে কোনো বিখ্যাত শিল্পী তাঁর ক্যানভাসে ছবি এঁকে রেখেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেঅনুরোধে ঢেঁকি গেলাকে বাঙালি অনেক সময় ‘ভদ্রতা’ বলে মনে করে। ‘না’ বললে কেমন শোনায় বা যার কথায় ‘না’ বলা হবে, সেই ব্যক্তি কী ভাববে; মনে কষ্ট পাবে কি না—এসব ভেবে নিজের অপছন্দের কাজটিও অনেকে করে বসেন। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন, কোনো সহকর্মী আপনাকে চা খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে