সানজিদা সামরিন, ঢাকা
ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই। রোদে পুড়ে আর ঘেমে ত্বকের বারোটা বেজে গেছে। চুলের অবস্থাও সুবিধের নয়। ‘আজ নেব, কাল নেব’ করে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার দিন-তারিখ যাঁরা পিছিয়েই চলেছেন, তাঁরা মেনে চলতে পারেন বলিউড তারকা জেরিন খানের পরামর্শ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা জেরিন খানকে অনুসরণ করেন, তাঁরা তাঁর মাখন-কোমল ত্বকের প্রেমে একবারের জন্যও পড়েননি, এ কথা বললে ভুল হবে। এমন উজ্জ্বল আর পেলব ত্বক তো আর রাতারাতি পাননি এই তারকা, নিশ্চয় মেহনত করতে হয়েছে। কিন্তু জেরিন খানের ভাষ্য, ত্বকের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে নাকি অনেকটা অলস তিনি। জিনগত কারণে এমন সুন্দর ত্বকের অধিকারী তিনি—এমন কথাই বলেছেন জেরিন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে এবং যতটা সম্ভব কম মেকআপ করতে হবে।
ত্বকের যত্ন নিতে যাঁরা গড়িমসি করেন, তাঁরা কিন্তু জেরিন খানের রূপ রুটিন মেনে চলতে পারেন।
শুটিং বা প্রয়োজন না থাকলে জেরিন খান একেবারেই মেকআপ করেন না। তিনি মনে করেন, যেকোনো ধরনের ব্যায়ামই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সহায়ক। শুধু প্রতিদিন ব্যায়ামে সময় দিতে হবে মাত্র ৩০ মিনিট। নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়মিত চর্চা করলে চেহারায় এর ফল ফুটে উঠবে। কারণ, ঘাম ঝরালে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক ভেতর থেকে জেল্লা ছড়াতে থাকে। যোগব্যায়াম খুবই ভালো ব্যায়াম। শুধু সূর্য নমস্কারই যদি কেউ ৫০, ৮০ বা ১০০ সেট করতে পারেন, তাহলেই যথেষ্ট। যদি যোগব্যায়ামও না করেন, তাহলে লিফট ব্যবহার বাদ দিয়ে রোজ সিঁড়ি দিয়ে উঠুন ও নামুন। অথবা খোলা হাওয়ায় আধা ঘণ্টা হেঁটে আসতে পারেন।
আর ব্যায়াম মানেই যে যোগাসন বা কেবল জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট, তা কিন্তু নয়। ঘরদোর পরিচ্ছন্নতার কাজ করলেও অনেকটাই ব্যায়াম করা হয়ে যায়। ঘর ঝাড়ু দেওয়া, মোছা, মাজা-ঘষার কাজ ইত্যাদি যাঁরা নিয়মিত করেন, তাঁদের শরীর অনেকটাই ঝরঝরে থাকে। জেরিন খানের এই উপলব্ধি হয়েছে করোনাকার দিনগুলোয়।
তবে শুধু ঘাম ঝরালেই হবে না, ত্বকে ভারসাম্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের গুরুত্বের কথাও বলেছেন জেরিন খান। তবে এসবের বাইরে আরও একটি বিষয়ে তিনি জোর দেন, তা হলো হাসিখুশি থাকা। মানুষ যদি আনন্দে না থাকে, তাহলে শত রূপচর্চাতেও সৌন্দর্য বাড়ানো যাবে না বলেই মনে করেন তিনি। তাই যতটা সম্ভব মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকা জরুরি বলে মনে করেন জেরিন খান।
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী জেরিন ভরসা রাখেন ঘরোয়া ফেসপ্যাকে। হলুদ, দুধ ও অন্যান্য ভেষজ উপকরণই তাঁর ত্বক পরিচ্ছন্ন ও কোমল রাখতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী, তাই বাজারের যেকোনো পণ্য আমি ব্যবহার করতে পারি না। ত্বকের পক্ষে সহনীয় এমন ভেষজ উপকরণ দিয়েই প্যাক তৈরি করে নিই।’
ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নিয়ে জেরিন খান বলেন, ‘আমার চুলের সৌন্দর্যের কোনো গোপন রহস্য নেই। একেবারেই যদি সময় না পাই, তবু সপ্তাহে অন্তত এক দিন আমি চুলে তেল মাখি। তবে চেষ্টা করি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন তেল দেওয়ার।’ তিনি মনে করেন, মাথার ত্বক ও পুরো চুলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করলে ডিপ কন্ডিশনিংয়ের কাজ হয়। ফলে যাঁদের হাতে সময় খুব কম বা প্যাক লাগানোর ধৈর্য নেই, তাঁরা চুলে নিয়মিত তেল মাখলেও উপকার পাবেন।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের জন্য তো বটেই, ফিটনেস ধরে রাখতে ডায়েটে কী রাখেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবই খাওয়া যাবে, তবে একটু বুঝেশুনে। এই বুঝে নেওয়াটা কী? তা হলো, ক্ষুধা না লাগলে খাওয়া চলবে না।’ মানে, অবসর বা অবসাদে খাওয়াকে বিনোদন হিসেবে না নেওয়ার কথাই তিনি বলেছেন।
সূত্র: হার জিন্দেগি ও অন্যান্য
ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই। রোদে পুড়ে আর ঘেমে ত্বকের বারোটা বেজে গেছে। চুলের অবস্থাও সুবিধের নয়। ‘আজ নেব, কাল নেব’ করে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার দিন-তারিখ যাঁরা পিছিয়েই চলেছেন, তাঁরা মেনে চলতে পারেন বলিউড তারকা জেরিন খানের পরামর্শ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা জেরিন খানকে অনুসরণ করেন, তাঁরা তাঁর মাখন-কোমল ত্বকের প্রেমে একবারের জন্যও পড়েননি, এ কথা বললে ভুল হবে। এমন উজ্জ্বল আর পেলব ত্বক তো আর রাতারাতি পাননি এই তারকা, নিশ্চয় মেহনত করতে হয়েছে। কিন্তু জেরিন খানের ভাষ্য, ত্বকের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে নাকি অনেকটা অলস তিনি। জিনগত কারণে এমন সুন্দর ত্বকের অধিকারী তিনি—এমন কথাই বলেছেন জেরিন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে এবং যতটা সম্ভব কম মেকআপ করতে হবে।
ত্বকের যত্ন নিতে যাঁরা গড়িমসি করেন, তাঁরা কিন্তু জেরিন খানের রূপ রুটিন মেনে চলতে পারেন।
শুটিং বা প্রয়োজন না থাকলে জেরিন খান একেবারেই মেকআপ করেন না। তিনি মনে করেন, যেকোনো ধরনের ব্যায়ামই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সহায়ক। শুধু প্রতিদিন ব্যায়ামে সময় দিতে হবে মাত্র ৩০ মিনিট। নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়মিত চর্চা করলে চেহারায় এর ফল ফুটে উঠবে। কারণ, ঘাম ঝরালে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক ভেতর থেকে জেল্লা ছড়াতে থাকে। যোগব্যায়াম খুবই ভালো ব্যায়াম। শুধু সূর্য নমস্কারই যদি কেউ ৫০, ৮০ বা ১০০ সেট করতে পারেন, তাহলেই যথেষ্ট। যদি যোগব্যায়ামও না করেন, তাহলে লিফট ব্যবহার বাদ দিয়ে রোজ সিঁড়ি দিয়ে উঠুন ও নামুন। অথবা খোলা হাওয়ায় আধা ঘণ্টা হেঁটে আসতে পারেন।
আর ব্যায়াম মানেই যে যোগাসন বা কেবল জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট, তা কিন্তু নয়। ঘরদোর পরিচ্ছন্নতার কাজ করলেও অনেকটাই ব্যায়াম করা হয়ে যায়। ঘর ঝাড়ু দেওয়া, মোছা, মাজা-ঘষার কাজ ইত্যাদি যাঁরা নিয়মিত করেন, তাঁদের শরীর অনেকটাই ঝরঝরে থাকে। জেরিন খানের এই উপলব্ধি হয়েছে করোনাকার দিনগুলোয়।
তবে শুধু ঘাম ঝরালেই হবে না, ত্বকে ভারসাম্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের গুরুত্বের কথাও বলেছেন জেরিন খান। তবে এসবের বাইরে আরও একটি বিষয়ে তিনি জোর দেন, তা হলো হাসিখুশি থাকা। মানুষ যদি আনন্দে না থাকে, তাহলে শত রূপচর্চাতেও সৌন্দর্য বাড়ানো যাবে না বলেই মনে করেন তিনি। তাই যতটা সম্ভব মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকা জরুরি বলে মনে করেন জেরিন খান।
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী জেরিন ভরসা রাখেন ঘরোয়া ফেসপ্যাকে। হলুদ, দুধ ও অন্যান্য ভেষজ উপকরণই তাঁর ত্বক পরিচ্ছন্ন ও কোমল রাখতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী, তাই বাজারের যেকোনো পণ্য আমি ব্যবহার করতে পারি না। ত্বকের পক্ষে সহনীয় এমন ভেষজ উপকরণ দিয়েই প্যাক তৈরি করে নিই।’
ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নিয়ে জেরিন খান বলেন, ‘আমার চুলের সৌন্দর্যের কোনো গোপন রহস্য নেই। একেবারেই যদি সময় না পাই, তবু সপ্তাহে অন্তত এক দিন আমি চুলে তেল মাখি। তবে চেষ্টা করি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন তেল দেওয়ার।’ তিনি মনে করেন, মাথার ত্বক ও পুরো চুলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করলে ডিপ কন্ডিশনিংয়ের কাজ হয়। ফলে যাঁদের হাতে সময় খুব কম বা প্যাক লাগানোর ধৈর্য নেই, তাঁরা চুলে নিয়মিত তেল মাখলেও উপকার পাবেন।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের জন্য তো বটেই, ফিটনেস ধরে রাখতে ডায়েটে কী রাখেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবই খাওয়া যাবে, তবে একটু বুঝেশুনে। এই বুঝে নেওয়াটা কী? তা হলো, ক্ষুধা না লাগলে খাওয়া চলবে না।’ মানে, অবসর বা অবসাদে খাওয়াকে বিনোদন হিসেবে না নেওয়ার কথাই তিনি বলেছেন।
সূত্র: হার জিন্দেগি ও অন্যান্য
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
৩৮ মিনিট আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
৫ ঘণ্টা আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
১ দিন আগে