ফিচার ডেস্ক
দীর্ঘদিন একইভাবে সাজানো বাড়িতে থাকতে থাকতে একঘেয়ে লাগাটা তো স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে ঘরে একটু বদল আনলে কিন্তু একঘেয়েমি কাটানো সহজ হয়। আমাদের জীবনীশক্তির অনেকটাই আসে এ ঘর থেকে। তাই ঘর ও মনে চনমনেভাব ফিরিয়ে আনতে বা পুরোনো বাড়িকে নতুন আমেজ এনে দিতে পারেন মাত্র কয়েকটি কাজ করে। বাড়ি সাজানোর সময় মনে রাখুন এ কয়েকটি বিষয়। তাহলেই বদলে যাবে অন্দরের সৌন্দর্য।
বিভিন্ন আকারের আসবাবে ঘর সাজান
একই রকম আসবাবপত্র দিয়ে ঘর না সাজিয়ে বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন আকারের আসবাবে ঘর সাজান। তাতে ঘরটি দেখতেও ভালো লাগবে। এখন বিভিন আকৃতির সেন্টার টেবিল, টুল, ডিভান, শেলফ ও ল্যাম্পশেড পাওয়া যায়। দুয়েকটা করে প্রতি মাসেই বদলে ফেলুন। দেখবেন ঘরটা অন্য রকম লাগছে।
আলোটাও বদলে যাক
সাদা টিউবলাইটের বদলে ওয়ার্মলাইট ব্যবহার করতে পারেন। সাইড টেবিলে টেবিলল্যাম্প রাখতে পারেন। বসার ঘর বা শোয়ার ঘরে স্ট্যান্ডিং ল্যাম্প ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরের সিলিং লাগোয়া আলোও ব্যবহার করতে পারেন। ডাইনিং টেবিলের ওপরে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ছোট ঝুলন্ত আলো বা পেন্ডেন্ট লাইট।
পরিবেশবান্ধব সামগ্রীতে ঘর সাজান
কাঠ, বাঁশ, বেত, পাথর, লিনেনের মতো পরিবেশবান্ধব সামগ্রীতে ঘর সাজান। ঘরের বিভিন্ন কোণায় ছোট বড় ইনডোর প্ল্যান্ট রাখুন বা ঝুলিয়ে দিন। দেয়ালে মাস্টার্ড ইয়েলো রং করে সেখানে সারিসারি সবুজ ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলেও ভালো দেখাবে। তবে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলে অবশ্যই নিয়মিত পাতা পরিষ্কার করতে হবে ও শুকনো–মরে যাওয়া পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে। নয় সৌন্দর্য বাড়ার পরিবর্তে ঘর দেখতে আরও অবসন্ন মনে হতে পারে।
জানালায় ভালো মানের পর্দা ব্যবহার করুন
জানালার পর্দারও তো বয়স বাড়ে। আর পর্দার ঔজ্জ্বল্য কমে এলে ঘরের উজ্জ্বলতা কমে আসে। তাই বেশ কয়েক বছর আগে কেনা জানালার পর্দাও পাল্টে নিন এবার। খুব অল্প দামে সাধ্য়ের মধ্য়ে এখন বিভিন্ন স্থানে পর্দা কিনতে পাওয়া যায়। হালকা ও উজ্জ্বল রঙের পর্দা কিনে জানালায় ঝুলিয়ে নিন। ঘরে নতুন আবহ ফিরে পাবেন নিশ্চিত। ও হ্যাঁ, পর্দার কাপড় যেন ভালো মানের হয়; সেদিকেও নজর দিতে হবে!
দেয়ালে রং করে নিন
দেয়ালে বিভিন্ন দাগ–ছোপ থাকলে এবার রং করার ব্যবস্থা করুন। খুব গাঢ় রঙের বদলে হালকা রং ব্যবহার করুন। এতে ঘরকে আলোকিত মনে হবে, ঘরটাও বড় দেখাবে। কোনো দেয়ালে ওয়ালপেপার লাগাতে চাইলে হালকা নকশার ওয়ালপেপার বেছে নেওয়াই আদর্শ হবে। নয়তো ঘর আরও বেশি জঞ্জালপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
প্লাস্টিকের পুরোনো জিনিস সরিয়ে ফেলুন
প্লাস্টিকের পুরোনো টব, টুল, শো-পিস এবার একেবারেই বাসা থেকে বের করে ফেলুন। এর পরিবর্তে চিনামাটি, কাচ, কাঠ, লোহা ও স্টিলের তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে ঘর সাজিয়ে তুলুন। এ ছাড়া পাথর, বাঁশ, পোর্সেলিন বা ঝিনুকের তৈরি জিনিসও ঘরে রাখতে পারেন। এই উপাদানগুলো পরিবেশবান্ধব এবং ঘরের শোভা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
আকারে বড় ও চওড়া কার্পেট ব্যবহার করুন
স্নানঘরের পাপোশ বাদে অন্যান্য স্থানে ছোট পাপোশের বদলে বড় কার্পেট ব্যবহার করুন। এতে দেখতেও ভালো লাগবে। ঘরে নতুন আমেজও পাবেন।
আসবাব অদল–বদল
ঘরের আসবাব মাঝেমধ্য়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখতে পারেন। ড্রেসিং টেবিল সরিয়ে দেয়ালে লম্বা ও চওড়া আয়না ফিক্স করে নিতে পারেন। এতে ঘরটাও বড় দেখাবে। ছোট ছোট আলমারি পাশাপাশি না রেখে বড় ক্লোজেট বানিয়ে নিতে পারেন। এতে ঘর অনেকটাই পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি লাগবে।
সূত্র: হাউস বিউটিফুল ও অন্যান্য
ছবি: পেক্সেলস
দীর্ঘদিন একইভাবে সাজানো বাড়িতে থাকতে থাকতে একঘেয়ে লাগাটা তো স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে ঘরে একটু বদল আনলে কিন্তু একঘেয়েমি কাটানো সহজ হয়। আমাদের জীবনীশক্তির অনেকটাই আসে এ ঘর থেকে। তাই ঘর ও মনে চনমনেভাব ফিরিয়ে আনতে বা পুরোনো বাড়িকে নতুন আমেজ এনে দিতে পারেন মাত্র কয়েকটি কাজ করে। বাড়ি সাজানোর সময় মনে রাখুন এ কয়েকটি বিষয়। তাহলেই বদলে যাবে অন্দরের সৌন্দর্য।
বিভিন্ন আকারের আসবাবে ঘর সাজান
একই রকম আসবাবপত্র দিয়ে ঘর না সাজিয়ে বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন আকারের আসবাবে ঘর সাজান। তাতে ঘরটি দেখতেও ভালো লাগবে। এখন বিভিন আকৃতির সেন্টার টেবিল, টুল, ডিভান, শেলফ ও ল্যাম্পশেড পাওয়া যায়। দুয়েকটা করে প্রতি মাসেই বদলে ফেলুন। দেখবেন ঘরটা অন্য রকম লাগছে।
আলোটাও বদলে যাক
সাদা টিউবলাইটের বদলে ওয়ার্মলাইট ব্যবহার করতে পারেন। সাইড টেবিলে টেবিলল্যাম্প রাখতে পারেন। বসার ঘর বা শোয়ার ঘরে স্ট্যান্ডিং ল্যাম্প ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরের সিলিং লাগোয়া আলোও ব্যবহার করতে পারেন। ডাইনিং টেবিলের ওপরে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ছোট ঝুলন্ত আলো বা পেন্ডেন্ট লাইট।
পরিবেশবান্ধব সামগ্রীতে ঘর সাজান
কাঠ, বাঁশ, বেত, পাথর, লিনেনের মতো পরিবেশবান্ধব সামগ্রীতে ঘর সাজান। ঘরের বিভিন্ন কোণায় ছোট বড় ইনডোর প্ল্যান্ট রাখুন বা ঝুলিয়ে দিন। দেয়ালে মাস্টার্ড ইয়েলো রং করে সেখানে সারিসারি সবুজ ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলেও ভালো দেখাবে। তবে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখলে অবশ্যই নিয়মিত পাতা পরিষ্কার করতে হবে ও শুকনো–মরে যাওয়া পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে। নয় সৌন্দর্য বাড়ার পরিবর্তে ঘর দেখতে আরও অবসন্ন মনে হতে পারে।
জানালায় ভালো মানের পর্দা ব্যবহার করুন
জানালার পর্দারও তো বয়স বাড়ে। আর পর্দার ঔজ্জ্বল্য কমে এলে ঘরের উজ্জ্বলতা কমে আসে। তাই বেশ কয়েক বছর আগে কেনা জানালার পর্দাও পাল্টে নিন এবার। খুব অল্প দামে সাধ্য়ের মধ্য়ে এখন বিভিন্ন স্থানে পর্দা কিনতে পাওয়া যায়। হালকা ও উজ্জ্বল রঙের পর্দা কিনে জানালায় ঝুলিয়ে নিন। ঘরে নতুন আবহ ফিরে পাবেন নিশ্চিত। ও হ্যাঁ, পর্দার কাপড় যেন ভালো মানের হয়; সেদিকেও নজর দিতে হবে!
দেয়ালে রং করে নিন
দেয়ালে বিভিন্ন দাগ–ছোপ থাকলে এবার রং করার ব্যবস্থা করুন। খুব গাঢ় রঙের বদলে হালকা রং ব্যবহার করুন। এতে ঘরকে আলোকিত মনে হবে, ঘরটাও বড় দেখাবে। কোনো দেয়ালে ওয়ালপেপার লাগাতে চাইলে হালকা নকশার ওয়ালপেপার বেছে নেওয়াই আদর্শ হবে। নয়তো ঘর আরও বেশি জঞ্জালপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
প্লাস্টিকের পুরোনো জিনিস সরিয়ে ফেলুন
প্লাস্টিকের পুরোনো টব, টুল, শো-পিস এবার একেবারেই বাসা থেকে বের করে ফেলুন। এর পরিবর্তে চিনামাটি, কাচ, কাঠ, লোহা ও স্টিলের তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে ঘর সাজিয়ে তুলুন। এ ছাড়া পাথর, বাঁশ, পোর্সেলিন বা ঝিনুকের তৈরি জিনিসও ঘরে রাখতে পারেন। এই উপাদানগুলো পরিবেশবান্ধব এবং ঘরের শোভা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
আকারে বড় ও চওড়া কার্পেট ব্যবহার করুন
স্নানঘরের পাপোশ বাদে অন্যান্য স্থানে ছোট পাপোশের বদলে বড় কার্পেট ব্যবহার করুন। এতে দেখতেও ভালো লাগবে। ঘরে নতুন আমেজও পাবেন।
আসবাব অদল–বদল
ঘরের আসবাব মাঝেমধ্য়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখতে পারেন। ড্রেসিং টেবিল সরিয়ে দেয়ালে লম্বা ও চওড়া আয়না ফিক্স করে নিতে পারেন। এতে ঘরটাও বড় দেখাবে। ছোট ছোট আলমারি পাশাপাশি না রেখে বড় ক্লোজেট বানিয়ে নিতে পারেন। এতে ঘর অনেকটাই পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি লাগবে।
সূত্র: হাউস বিউটিফুল ও অন্যান্য
ছবি: পেক্সেলস
বাজার করতে ভুলে গেছেন? সন্ধ্যায় রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন, চিংড়ি ছাড়া কোনো মাছ নেই। তাহলে? বাড়িতে শাপলা আর কচুর মুখি থেকে থাকলে চিংড়ি দিয়েই রান্না করা যাবে সুস্বাদু দুই পদ। আপনাদের জন্য সর্ষে চিংড়ি শাপলা ও কচুর মুখি দিয়ে চিংড়ির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৪ ঘণ্টা আগেএবার পূজায় না হয় আপনিই মায়ের সাজপোশাকের পরিকল্পনা করলেন! পূজার এ কদিন তিনি কোন রঙের শাড়ি পরবেন, তার একটা খসড়া তৈরি করুন। তারপর সে অনুযায়ী শাড়ির জোগাড়যন্ত্র করে চমকে দিন বাড়ির মধ্যমণি এই মানুষকে।
১৬ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে। দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী আগমনের অপেক্ষা। পূজার ছুটির এই কদিন পুরো বাড়ি আনন্দে মেতে থাকে। পূজার কাজ, পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা, উঠোনে আলপনা দেওয়া, মিষ্টি তৈরি, পূজার ভোজ রান্না—আরও কত কাজ! তবে পূজার এই সময়টা প্রণয়িনীদের...
১৬ ঘণ্টা আগেআজ তোমাকে খোলাচিঠি লিখছি। তোমার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল। তারপর টুকটাক কথা, ছোটখাটো মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সূচনা। আমাদের মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের খুব যে মিল, তা-ও কিন্তু নয়! নানান তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব পাহাড়ি নদীর মতো আপন গতিতে এগিয়ে গেছে।
১৭ ঘণ্টা আগে