সানজিদা সামরিন, ঢাকা
এবার পোশাক নিয়ে খানিক দ্বিধায় রয়েছে মানুষ। একদিকে চৈত্রের গরম, অন্যদিকে উৎসবে পোশাকের আয়োজন জাঁকালো না হলে আবার জমবে না। রংও থাকতে হবে উজ্জ্বল। আবার থাকতে হবে আরামে। এ তো আসলেই উভয়সংকট।
আরামের কথা ভেবে অনেকে তাই ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ার আগেই ঠিক করে নিয়েছেন গরমে আরাম দেবে, এমন রঙের পোশাক কিনবেন। এটা আমাদের জানা বিষয়, গরমে হালকা রঙের পোশাকই সেরা। সাদা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো। তবে ঈদে যেহেতু ঘুরে বেড়ানোর ব্যাপার আছে, তাই ধবধবে সাদা রং এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সে জন্য আবার আকাশি, হালকা সবুজ, গোলাপি রং ভেবে নিয়েই শপিং মলে প্রবেশ করলেন। কিন্তু এসব রঙের কোনো পোশাকই মনে ধরছে না। তার চেয়ে বরং নজর কেড়ে নিচ্ছে উষ্ণ রং। উষ্ণ রং বলতে মূলত লাল, কমলা ও হলুদকে বোঝায়। এর বাইরে লালচে কমলা, টকটকে লাল, মেরুন, গোল্ডেন ইয়েলো, লালচে বেগুনি, সূর্যের মতো হলুদও এই ধরনের রং। এসব রং সাধারণত গরমের সময় এড়িয়ে যাওয়া হয়। কারণ, এই রংগুলো তৈরিই হয়েছে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস সূর্য, আগুন ও আগ্নেয়গিরি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
তবে হ্যাঁ, পছন্দ হলে কয়েকটি সাধারণ বিষয় বিবেচনায় রেখে এসব রঙের পোশাকও পরে নেওয়া যেতে পারে।
উৎসবের একটি দিন সেজে ওঠা চাই মনের মতো করে। আবার পোশাক যেন আরামে ঘোরাঘুরির বারোটা না বাজিয়ে দেয়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা চাই। ঈদে পরার জন্য উষ্ণ রঙের পোশাকই যদি হয় পছন্দ, তাহলে তা বাছাই করতে হবে একটু কায়দা করে। ফ্যাশন হাউস বর্ণন লাইফস্টাইলের ডিজাইনার ফারজানা মঈন মিহান বলেন, পোশাকের রং উষ্ণ হোক, তবে তা কেমন কাপড়ে তৈরি, সেটা বিবেচ্য় বিষয়। সে ক্ষেত্রে সুতি আর লিনেন হলে সবচেয়ে ভালো। তবে উৎসবের ক্ষেত্রে সুতি ও লিনেনের পাশাপাশি সিল্ক, হাফ সিল্ক, জর্জেট ও নিট ফ্যাব্রিক হলে ভালো। এসব কাপড়ে তৈরি পোশাকে যদি আড়ম্বরপূর্ণ কাজ না থাকে, তাহলে তা ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি করে না। আর ঘেমে গেলেও সহজে শুকিয়ে যায়।
ফারজানা মঈন মিহান আরও বলেন, এই গরমে আঁটসাঁট পোশাক না পরে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ নির্বাচনেও সচেতন থাকা চাই। এখন ঢিলেঢালা ব্লাউজ এবং শাড়ির সঙ্গে পরার উপযোগী ক্রপ টপ পাওয়া যায়। এগুলো গরমে আরাম দিতে পারে।
গরমে উষ্ণ রঙের পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে,
উষ্ণ কোনো রঙের পোশাকে সহকারী রং হিসেবে যেন কালো না থাকে। বুক, পিঠ, শাড়ির জমিনে কালো রং না থাকলেই ভালো। কালো অনেক তাপ শোষণ করে। আর তখন গরম লাগে বেশি। সহকারী রং হিসেবে থাকতে পারে হালকা গোলাপি, হালকা বেগুনি, হালকা নীল, বাদামি, আকাশি, হালকা হলুদ, ধূসর ইত্যাদি।
উৎসব হলেও গরমে উষ্ণ রঙের পোশাকে যেন জমকালো বা ভারী কাজ না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। চুমকি, কাচ কিংবা জড়োয়া লেসের মতো জমকালো কিছু এড়িয়ে যাওয়া ভালো। আর এত ভারী কাজ এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানাবেও না।
উষ্ণ রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ যেন হালকা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। এর সঙ্গে ন্য়ুড বা নো মেকআপ লুক সেরা। এতে পোশাকের রংটাও ফুটে উঠবে এবং যিনি পরেছেন, তাঁর দিকে তাকালেও স্বস্তিবোধ হবে। গ্লিটারি আইশ্যাডো, গ্লসি লিপস্টিক, অতিরিক্ত হাইলাইটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
যেহেতু পোশাকের রংটাই চোখে লাগার মতো, তাই ভারী ধাতুর বা জমকালো গয়না না পরাই ভালো। এখন কাপড়ে তৈরি বাহারি গয়না পাওয়া যায়।
সুই-সুতায় নকশা তোলা এমব্রয়ডারি স্টিচ, ক্রস স্টিচ, বোতাম স্টিচ বা চেইন সেলাই দেওয়া, পুঁতি ও কড়ি বসানো হরেক রকম নকশার গয়নারই কদর বাড়ছে। চটজলদি পরে নেওয়া যায়, দেখতেও ভালো লাগে। গরমে ঘেমে যাওয়ার কারণে ত্বকে চুলকানিও হয় না।
পোশাকে উষ্ণ রং থাকলে জুতা, ব্যাগ ও অন্যান্য অনুষঙ্গের রং হালকা বা নিউট্রাল হলেই এই গরমে আপনাকে দেখে স্বস্তি পাবে সবাই।
এবার পোশাক নিয়ে খানিক দ্বিধায় রয়েছে মানুষ। একদিকে চৈত্রের গরম, অন্যদিকে উৎসবে পোশাকের আয়োজন জাঁকালো না হলে আবার জমবে না। রংও থাকতে হবে উজ্জ্বল। আবার থাকতে হবে আরামে। এ তো আসলেই উভয়সংকট।
আরামের কথা ভেবে অনেকে তাই ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ার আগেই ঠিক করে নিয়েছেন গরমে আরাম দেবে, এমন রঙের পোশাক কিনবেন। এটা আমাদের জানা বিষয়, গরমে হালকা রঙের পোশাকই সেরা। সাদা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো। তবে ঈদে যেহেতু ঘুরে বেড়ানোর ব্যাপার আছে, তাই ধবধবে সাদা রং এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সে জন্য আবার আকাশি, হালকা সবুজ, গোলাপি রং ভেবে নিয়েই শপিং মলে প্রবেশ করলেন। কিন্তু এসব রঙের কোনো পোশাকই মনে ধরছে না। তার চেয়ে বরং নজর কেড়ে নিচ্ছে উষ্ণ রং। উষ্ণ রং বলতে মূলত লাল, কমলা ও হলুদকে বোঝায়। এর বাইরে লালচে কমলা, টকটকে লাল, মেরুন, গোল্ডেন ইয়েলো, লালচে বেগুনি, সূর্যের মতো হলুদও এই ধরনের রং। এসব রং সাধারণত গরমের সময় এড়িয়ে যাওয়া হয়। কারণ, এই রংগুলো তৈরিই হয়েছে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস সূর্য, আগুন ও আগ্নেয়গিরি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
তবে হ্যাঁ, পছন্দ হলে কয়েকটি সাধারণ বিষয় বিবেচনায় রেখে এসব রঙের পোশাকও পরে নেওয়া যেতে পারে।
উৎসবের একটি দিন সেজে ওঠা চাই মনের মতো করে। আবার পোশাক যেন আরামে ঘোরাঘুরির বারোটা না বাজিয়ে দেয়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা চাই। ঈদে পরার জন্য উষ্ণ রঙের পোশাকই যদি হয় পছন্দ, তাহলে তা বাছাই করতে হবে একটু কায়দা করে। ফ্যাশন হাউস বর্ণন লাইফস্টাইলের ডিজাইনার ফারজানা মঈন মিহান বলেন, পোশাকের রং উষ্ণ হোক, তবে তা কেমন কাপড়ে তৈরি, সেটা বিবেচ্য় বিষয়। সে ক্ষেত্রে সুতি আর লিনেন হলে সবচেয়ে ভালো। তবে উৎসবের ক্ষেত্রে সুতি ও লিনেনের পাশাপাশি সিল্ক, হাফ সিল্ক, জর্জেট ও নিট ফ্যাব্রিক হলে ভালো। এসব কাপড়ে তৈরি পোশাকে যদি আড়ম্বরপূর্ণ কাজ না থাকে, তাহলে তা ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি করে না। আর ঘেমে গেলেও সহজে শুকিয়ে যায়।
ফারজানা মঈন মিহান আরও বলেন, এই গরমে আঁটসাঁট পোশাক না পরে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ নির্বাচনেও সচেতন থাকা চাই। এখন ঢিলেঢালা ব্লাউজ এবং শাড়ির সঙ্গে পরার উপযোগী ক্রপ টপ পাওয়া যায়। এগুলো গরমে আরাম দিতে পারে।
গরমে উষ্ণ রঙের পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে,
উষ্ণ কোনো রঙের পোশাকে সহকারী রং হিসেবে যেন কালো না থাকে। বুক, পিঠ, শাড়ির জমিনে কালো রং না থাকলেই ভালো। কালো অনেক তাপ শোষণ করে। আর তখন গরম লাগে বেশি। সহকারী রং হিসেবে থাকতে পারে হালকা গোলাপি, হালকা বেগুনি, হালকা নীল, বাদামি, আকাশি, হালকা হলুদ, ধূসর ইত্যাদি।
উৎসব হলেও গরমে উষ্ণ রঙের পোশাকে যেন জমকালো বা ভারী কাজ না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। চুমকি, কাচ কিংবা জড়োয়া লেসের মতো জমকালো কিছু এড়িয়ে যাওয়া ভালো। আর এত ভারী কাজ এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানাবেও না।
উষ্ণ রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ যেন হালকা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। এর সঙ্গে ন্য়ুড বা নো মেকআপ লুক সেরা। এতে পোশাকের রংটাও ফুটে উঠবে এবং যিনি পরেছেন, তাঁর দিকে তাকালেও স্বস্তিবোধ হবে। গ্লিটারি আইশ্যাডো, গ্লসি লিপস্টিক, অতিরিক্ত হাইলাইটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
যেহেতু পোশাকের রংটাই চোখে লাগার মতো, তাই ভারী ধাতুর বা জমকালো গয়না না পরাই ভালো। এখন কাপড়ে তৈরি বাহারি গয়না পাওয়া যায়।
সুই-সুতায় নকশা তোলা এমব্রয়ডারি স্টিচ, ক্রস স্টিচ, বোতাম স্টিচ বা চেইন সেলাই দেওয়া, পুঁতি ও কড়ি বসানো হরেক রকম নকশার গয়নারই কদর বাড়ছে। চটজলদি পরে নেওয়া যায়, দেখতেও ভালো লাগে। গরমে ঘেমে যাওয়ার কারণে ত্বকে চুলকানিও হয় না।
পোশাকে উষ্ণ রং থাকলে জুতা, ব্যাগ ও অন্যান্য অনুষঙ্গের রং হালকা বা নিউট্রাল হলেই এই গরমে আপনাকে দেখে স্বস্তি পাবে সবাই।
কোথাও নেই কোনো ইট-পাথরের রাস্তা। চারপাশে শুধু থইথই পানি। সেই পানির বুকেই গড়ে উঠেছে বসতি—পুরো একটি গ্রাম। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল, উপাসনালয় সবই আছে সেই গ্রামে। কিন্তু পানির ওপর! মোটরগাড়ি নেই, নেই বাহারি মোটরবাইক। ফলে শব্দদূষণ নেই। আর নেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার বুকে অ
৬ ঘণ্টা আগে‘শক্ত মনের মানুষ’ বলে একটি কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু সেই মানুষের বৈশিষ্ট্য কী? আর তিনি করেই বা কী? খেয়াল করলে দেখবেন, সেই মানুষ সাফল্যে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখায় না, ব্যর্থতায় কারও কাছে সহানুভূতি চায় না, শোকে কাতর হয় না, প্রায় সব দায়িত্ব নীরবে পালন করে, কোনো কাজে অজুহাত দেখায় না ইত্যাদি।
৭ ঘণ্টা আগেরোজ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি থাকে না। লিপস্টিক ভালোভাবে না তুললে বা এটির মান ভালো না হলেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে একে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলতে পারেন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। সেই সঙ্গে ঠোঁটে ফিরবে গোলাপি আভা।
৮ ঘণ্টা আগেবাজারে এখন যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্য়ে পটোল আর ঢ্যাঁড়স বলতে গেলে দু-এক দিন পরপরই কিনছেন প্রায় সবাই। কিন্তু সব সময় কি এগুলোর ভাজা আর তরকারি খেতে ভালো লাগে? মাঝেমধ্যে একটু ভিন্ন কায়দায় রান্না করলে এসব সবজিও একঘেয়ে অবস্থা কাটিয়ে হয়ে উঠতে পারে মুখরোচক।
১২ ঘণ্টা আগে