রিদা মুনাম হক
বর্ষার কালো মেঘ হটিয়ে শরৎ নীল আকাশে ভাসিয়ে দেয় সাদা মেঘের ভেলা। প্রকৃতির গানে যেন যুক্ত হয় নতুন সুর। কাশবনে দোলা লেগে আপন সুরেই যেন বেজে ওঠে, ‘শরতে আজ কোন্ অতিথি এল প্রাণের দ্বারে।/ আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে।...’
উঠোনে ছড়ানো শিউলি ফুল যখন বলে ওঠে, ‘শুভ সকাল’; তখন হৃদয়ে ছলকে ওঠে প্রেমের শান্ত নদী। ভাদ্র আর আশ্বিনের এই শরৎ কিন্তু উৎসবেরও ঋতু। ভরা শ্রাবণের ভেজা স্যাঁতসেঁতে কাপড় তো ভাদ্রের রোদেই শুকানো হয়। তবে বর্ষারানিকে কি এত সহজে গদি ছাড়তে বলা চলে? শরতে প্রকৃতিতেই আসন খানিকটা পেতে বসে সে। তাই আকাশের গায়ে কখনো রোদের খেলা আবার কখনো অভিমানী বৃষ্টির ঝরে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়। ফলে এই ভ্যাপসা গরম, তো খানিক পরেই বয়ে যায় শরীর জুড়ানো ঝিরি ঝিরি হাওয়া। তাই তো বর্ষায় পরার কাপড়গুলো আলমারির পেছনের দিকে রাখার সময় এখন। শরতের ওয়ার্ডরোবে তাহলে কী থাকবে, তা নিয়েই যত ভাবনা।
পোশাকে শরৎ আসুক
বর্ষার আছে কদম ফুল আর শরতে শিউলি। এখন মানুষ অনেক বেশি উৎসবপ্রেমী হয়ে উঠেছে। ঘুরে বেড়ানো যেন যাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই পোশাকের নকশা ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উৎসব কিংবা উপলক্ষের মতো ঋতুও যেন হয়ে উঠেছে মুখ্য। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের মোটিফ নিয়ে বিভিন্ন পোশাক তৈরি করছে। সেসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরৎ উঠে আসছে শাড়ির আঁচল, পাড় কিংবা জমিনে। পোশাকের রং হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে নীলের বিভিন্ন শেড ও সাদা। মোটিফ হিসেবে শিউলি, পদ্ম, শাপলা-শালুক, কাশফুল, নদী, নৌকা, পাখি ইত্যাদি। শরতের প্রকৃতির নানা রূপ এখন ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবিসহ সব ধরনের পোশাকে। এ ধরনের পোশাকের নকশার বেশির ভাগেই থাকছে সুই-সুতার কাজ, হ্যান্ডপেইন্ট, স্ক্রিনপেইন্ট ও ব্রাশপেইন্ট, কাঠ ব্লক ও বাটিক।
এ ছাড়া মেশিন এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ, এমনকি ডিজিটাল প্রিন্টও। বিভিন্ন উৎসব ও আয়োজনে নারীদের পছন্দের পোশাকের মধ্যে শাড়ির আবেদন বেশি। সে ক্ষেত্রে খুব ভারী কাজের চেয়ে হালকা কাজের সুতির শাড়িই বেশি ভালো লাগবে। এ ছাড়া তাঁত, ভয়েল প্রভৃতি কাপড়ও বেশ আরামদায়ক এ সময়।
সাজ ও গয়না
শরতে প্রচুর ঘাম হয়, এটা অস্বীকারের করার উপায় নেই। তাই সারা দিন যেন সতেজ ও ঝরঝরে থাকা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা চাই। রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘শরতে ক্রিম ব্যবহার না করে জেল-বেজড ময়শ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। এতে চিটচিটে ভাব অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’
মেকআপ করার আগে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে এক টুকরা বরফ ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এরপর ময়শ্চাইজার ও সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর মেকআপ করতে হবে।
তবে শরতের মেকআপ হালকা হওয়াই ভালো। এই আবহাওয়ার সঙ্গে গাঢ় রং এবং ভারী মেকআপ বেমানান। সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে ম্যাট বা ক্রিমি লিপস্টিক এবং হালকা রঙের শেড ব্যবহার করা যায়। ব্লাসনের ক্ষেত্রেও হালকা শেড; যেমন হালকা গোলাপি রং ভালো লাগবে।
গরমে ঘেমে যাতে কাজল লেপ্টে না যায়, সে জন্য কাজল ও আইলাইনার হওয়া উচিত ওয়াটারপ্রুফ। এতে সতেজ ও ঝরঝরে লাগবে সারা দিন। চোখের পাতায় পাউডার ব্যবহার করলে মেকআপ সেট হয় ভালো। এ সময় ঘাম হয় বলে ভারী গয়না না পরাই ভালো। হালকা ও ছোট গয়নাই আদর্শ। গলায় লম্বা মালা, কানে টপ, হাতে ছোট আংটি, চিকন চুড়িই এখনকার সাজে যথেষ্ট। এককথায় শাড়ি পরুন বা পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাক, গয়না পরতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে, সাজপোশাক যেন বেশি চাকচিক্য না হয়।
শরতে এই কথাগুলো মনে রাখুন
বর্ষার কালো মেঘ হটিয়ে শরৎ নীল আকাশে ভাসিয়ে দেয় সাদা মেঘের ভেলা। প্রকৃতির গানে যেন যুক্ত হয় নতুন সুর। কাশবনে দোলা লেগে আপন সুরেই যেন বেজে ওঠে, ‘শরতে আজ কোন্ অতিথি এল প্রাণের দ্বারে।/ আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে।...’
উঠোনে ছড়ানো শিউলি ফুল যখন বলে ওঠে, ‘শুভ সকাল’; তখন হৃদয়ে ছলকে ওঠে প্রেমের শান্ত নদী। ভাদ্র আর আশ্বিনের এই শরৎ কিন্তু উৎসবেরও ঋতু। ভরা শ্রাবণের ভেজা স্যাঁতসেঁতে কাপড় তো ভাদ্রের রোদেই শুকানো হয়। তবে বর্ষারানিকে কি এত সহজে গদি ছাড়তে বলা চলে? শরতে প্রকৃতিতেই আসন খানিকটা পেতে বসে সে। তাই আকাশের গায়ে কখনো রোদের খেলা আবার কখনো অভিমানী বৃষ্টির ঝরে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়। ফলে এই ভ্যাপসা গরম, তো খানিক পরেই বয়ে যায় শরীর জুড়ানো ঝিরি ঝিরি হাওয়া। তাই তো বর্ষায় পরার কাপড়গুলো আলমারির পেছনের দিকে রাখার সময় এখন। শরতের ওয়ার্ডরোবে তাহলে কী থাকবে, তা নিয়েই যত ভাবনা।
পোশাকে শরৎ আসুক
বর্ষার আছে কদম ফুল আর শরতে শিউলি। এখন মানুষ অনেক বেশি উৎসবপ্রেমী হয়ে উঠেছে। ঘুরে বেড়ানো যেন যাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই পোশাকের নকশা ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উৎসব কিংবা উপলক্ষের মতো ঋতুও যেন হয়ে উঠেছে মুখ্য। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের মোটিফ নিয়ে বিভিন্ন পোশাক তৈরি করছে। সেসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরৎ উঠে আসছে শাড়ির আঁচল, পাড় কিংবা জমিনে। পোশাকের রং হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে নীলের বিভিন্ন শেড ও সাদা। মোটিফ হিসেবে শিউলি, পদ্ম, শাপলা-শালুক, কাশফুল, নদী, নৌকা, পাখি ইত্যাদি। শরতের প্রকৃতির নানা রূপ এখন ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবিসহ সব ধরনের পোশাকে। এ ধরনের পোশাকের নকশার বেশির ভাগেই থাকছে সুই-সুতার কাজ, হ্যান্ডপেইন্ট, স্ক্রিনপেইন্ট ও ব্রাশপেইন্ট, কাঠ ব্লক ও বাটিক।
এ ছাড়া মেশিন এমব্রয়ডারি, হাতের কাজ, এমনকি ডিজিটাল প্রিন্টও। বিভিন্ন উৎসব ও আয়োজনে নারীদের পছন্দের পোশাকের মধ্যে শাড়ির আবেদন বেশি। সে ক্ষেত্রে খুব ভারী কাজের চেয়ে হালকা কাজের সুতির শাড়িই বেশি ভালো লাগবে। এ ছাড়া তাঁত, ভয়েল প্রভৃতি কাপড়ও বেশ আরামদায়ক এ সময়।
সাজ ও গয়না
শরতে প্রচুর ঘাম হয়, এটা অস্বীকারের করার উপায় নেই। তাই সারা দিন যেন সতেজ ও ঝরঝরে থাকা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা চাই। রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘শরতে ক্রিম ব্যবহার না করে জেল-বেজড ময়শ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। এতে চিটচিটে ভাব অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’
মেকআপ করার আগে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে এক টুকরা বরফ ঘষে নেওয়া যেতে পারে। এরপর ময়শ্চাইজার ও সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর মেকআপ করতে হবে।
তবে শরতের মেকআপ হালকা হওয়াই ভালো। এই আবহাওয়ার সঙ্গে গাঢ় রং এবং ভারী মেকআপ বেমানান। সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে ম্যাট বা ক্রিমি লিপস্টিক এবং হালকা রঙের শেড ব্যবহার করা যায়। ব্লাসনের ক্ষেত্রেও হালকা শেড; যেমন হালকা গোলাপি রং ভালো লাগবে।
গরমে ঘেমে যাতে কাজল লেপ্টে না যায়, সে জন্য কাজল ও আইলাইনার হওয়া উচিত ওয়াটারপ্রুফ। এতে সতেজ ও ঝরঝরে লাগবে সারা দিন। চোখের পাতায় পাউডার ব্যবহার করলে মেকআপ সেট হয় ভালো। এ সময় ঘাম হয় বলে ভারী গয়না না পরাই ভালো। হালকা ও ছোট গয়নাই আদর্শ। গলায় লম্বা মালা, কানে টপ, হাতে ছোট আংটি, চিকন চুড়িই এখনকার সাজে যথেষ্ট। এককথায় শাড়ি পরুন বা পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাক, গয়না পরতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে, সাজপোশাক যেন বেশি চাকচিক্য না হয়।
শরতে এই কথাগুলো মনে রাখুন
একটা প্রবাদ আছে, ‘যস্মিন দেশে যদাচার’। অর্থাৎ যখন যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের আচার মেনে চলাই উত্তম। কোনো কোনো দেশে খালি পায়ে হাঁটা যাবে না আবার কোনো এলাকায় স্যান্ডেল পরে গাড়ি চালালে হতে পারে জরিমানা।
৫ ঘণ্টা আগেসমরেশ মজুমদার বলেছিলেন, ‘ব্যক্তির রুচি বোঝা যায় তাঁর গোড়ালি আর স্নানঘর দেখে।’ কথাটা একেবারে অগ্রাহ্য করার মতো নয়। দিন শেষে বাড়ি ফিরে গোসলখানায় গিয়ে আমরা সব ক্লান্তি এবং শরীরের ধুলো, ময়লা, দূষণ ধুয়ে নিই। ফলে ওই জায়গা পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রয়েছে কি না, সেটিও বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন
৭ ঘণ্টা আগেবাইরের ধুলাবালি, রোদের তাপ এবং বয়সের কারণে ত্বকের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ে। ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা, বলিরেখা, পোরস, ব্রণসহ আরও নানা জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সেরাম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
৮ ঘণ্টা আগেযে পুরুষেরা রূপচর্চায় খুবই উদাসীন, তাঁরাও কিন্তু শেভ করেন মন দিয়ে। ফুল ক্লিন শেভ না করে যাঁরা নানান স্টাইলে দাড়ি রাখেন, তাঁদেরও প্রয়োজন হয় খুব ভালো একটি রেজর এবং দারুণ কোনো শেভিং ক্রিম। শেভ করারও কিছু কায়দা আছে।
৯ ঘণ্টা আগে