আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৮ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৯ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম বিয়ার রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তাদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় দেশের বাইরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ‘নোচে বুয়েনা’ (Noche Buena) নামের এই বিশেষ বিয়ারটি কেবল মেক্সিকোর ভেতরেই পাওয়া যায় এবং তাও বছরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য। বড়দিনের আমেজ নিয়ে আসা এই পানীয়টি মেক্সিকানদের কাছে উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাধারণ হালকা বিয়ারগুলোর তুলনায় নোচে বুয়েনা বেশ আলাদা। এটি মূলত জার্মান ‘বক-স্টাইল’ (Bock-style) বিয়ার। এতে রয়েছে পোড়া কফি, ক্যারামেল এবং চকোলেটের স্বাদ। ৫ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ এই বিয়ারটির অম্ল-মিষ্টি স্বাদ মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস ডিশ যেমন—টার্কি, রোমেরিতোস (মোল সসে ভেজানো ভেষজ) বা নোনতা কড মাছের (Bacalao) সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
১৯২৪ সালে জার্মান মাস্টার ব্রুয়ার অটো নিউমায়ার প্রথম ভেরাক্রুজে নিজের বন্ধুদের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে এটি তৈরি করেন। ১৯৩৮ সালে এটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা হয় এবং তখন থেকেই এটি মৌসুমি পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়।
মেক্সিকোর বিয়ার শিল্পের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত বিয়ার নির্মাতারা মেক্সিকোতে এসে ছোট ছোট ব্রুয়ারি গড়ে তোলেন। ১৮৭৫ সালে সুইজারল্যান্ডের সান্তিয়াগো গ্রাফ প্রথম মেক্সিকোতে ‘ল্যাগার’ বিয়ারের প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ‘সারভেসেরিয়া মোক্তেজুমা’ (Cervecería Moctezuma) নামক কারখানায় নোচে বুয়েনার যাত্রা শুরু হয়।
কেন এটি মেক্সিকোর বাইরে পাওয়া যায় না
মেক্সিকো বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিয়ার রপ্তানি করে, যা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারক দেশের সম্মিলিত আয়ের চেয়েও বেশি। তাসত্ত্বেও নোচে বুয়েনা কেন বিদেশে পাওয়া যায় না, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
২০১১ সালে হাইনেকেন (Heineken) এই বিয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি শুরু করলেও চাহিদার অভাবে ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়। মেক্সিকান প্রবাসীরা বড়দিনের সময় এই বিয়ারটির অভাব তীব্রভাবে অনুভব করেন। অনেক সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে এর বিকল্প হিসেবে ‘নোচে এস্পেশাল’ খুঁজে নেন, কিন্তু আসল নোচে বুয়েনার স্বাদ মেক্সিকোর বাইরে মেলা ভার।
বর্তমানে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত এই বিয়ারটি মেক্সিকোর বিভিন্ন বার, ক্যান্টিনা এবং সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। মেক্সিকানদের কাছে এটি কেবল একটি পানীয় নয়, বরং বড়দিনের আনন্দ আর বন্ধুত্বের এক বিশেষ প্রতীক।

মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম বিয়ার রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তাদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় দেশের বাইরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ‘নোচে বুয়েনা’ (Noche Buena) নামের এই বিশেষ বিয়ারটি কেবল মেক্সিকোর ভেতরেই পাওয়া যায় এবং তাও বছরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য। বড়দিনের আমেজ নিয়ে আসা এই পানীয়টি মেক্সিকানদের কাছে উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাধারণ হালকা বিয়ারগুলোর তুলনায় নোচে বুয়েনা বেশ আলাদা। এটি মূলত জার্মান ‘বক-স্টাইল’ (Bock-style) বিয়ার। এতে রয়েছে পোড়া কফি, ক্যারামেল এবং চকোলেটের স্বাদ। ৫ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ এই বিয়ারটির অম্ল-মিষ্টি স্বাদ মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস ডিশ যেমন—টার্কি, রোমেরিতোস (মোল সসে ভেজানো ভেষজ) বা নোনতা কড মাছের (Bacalao) সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
১৯২৪ সালে জার্মান মাস্টার ব্রুয়ার অটো নিউমায়ার প্রথম ভেরাক্রুজে নিজের বন্ধুদের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে এটি তৈরি করেন। ১৯৩৮ সালে এটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা হয় এবং তখন থেকেই এটি মৌসুমি পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়।
মেক্সিকোর বিয়ার শিল্পের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত বিয়ার নির্মাতারা মেক্সিকোতে এসে ছোট ছোট ব্রুয়ারি গড়ে তোলেন। ১৮৭৫ সালে সুইজারল্যান্ডের সান্তিয়াগো গ্রাফ প্রথম মেক্সিকোতে ‘ল্যাগার’ বিয়ারের প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ‘সারভেসেরিয়া মোক্তেজুমা’ (Cervecería Moctezuma) নামক কারখানায় নোচে বুয়েনার যাত্রা শুরু হয়।
কেন এটি মেক্সিকোর বাইরে পাওয়া যায় না
মেক্সিকো বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিয়ার রপ্তানি করে, যা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারক দেশের সম্মিলিত আয়ের চেয়েও বেশি। তাসত্ত্বেও নোচে বুয়েনা কেন বিদেশে পাওয়া যায় না, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
২০১১ সালে হাইনেকেন (Heineken) এই বিয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি শুরু করলেও চাহিদার অভাবে ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়। মেক্সিকান প্রবাসীরা বড়দিনের সময় এই বিয়ারটির অভাব তীব্রভাবে অনুভব করেন। অনেক সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে এর বিকল্প হিসেবে ‘নোচে এস্পেশাল’ খুঁজে নেন, কিন্তু আসল নোচে বুয়েনার স্বাদ মেক্সিকোর বাইরে মেলা ভার।
বর্তমানে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত এই বিয়ারটি মেক্সিকোর বিভিন্ন বার, ক্যান্টিনা এবং সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। মেক্সিকানদের কাছে এটি কেবল একটি পানীয় নয়, বরং বড়দিনের আনন্দ আর বন্ধুত্বের এক বিশেষ প্রতীক।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৮ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৯ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা দেশে ফেরা সব সময় আনন্দের। অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন মেনে চললে আপনার এবং আপনার প্রিয় সঙ্গীটির বিমানযাত্রা হবে আনন্দদায়ক ও নিরাপদ।
গাড়িতে ভ্রমণ করা পোষা প্রাণীর জন্য সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু বিমানে ভ্রমণ পোষা প্রাণীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে; বিশেষ করে ব্র্যাকিউসেফালিক বা চাপা নাকের প্রাণী, যেমন বুলডগ, পাগ বা পার্সিয়ান বিড়াল, বিমানে শ্বাসকষ্ট বা হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারে। তাই ভ্রমণের আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, পোষা প্রাণীকে কোনো নির্ভরযোগ্য পেট সিটার বা বোর্ডিংয়ে রেখে যাওয়া তাদের জন্য বেশি আরামদায়ক হতে পারে। যাত্রার ঝুঁকি এবং প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন।
পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ভ্রমণের অন্তত ১০ দিন আগে আপনার পশুচিকিৎসকের কাছে যান এবং একটি স্বাস্থ্য সনদ সংগ্রহ করুন। নিশ্চিত করুন যে সব টিকা, বিশেষ করে র্যাবিস দেওয়া আছে। পোষা প্রাণীর লাইসেন্স, মাইক্রোচিপ নম্বর, টিকা দানের প্রমাণপত্র এবং নিয়মিত ওষুধের একটি তালিকা সঙ্গে রাখুন। যদি প্রাণীটি কোনোভাবে হারিয়ে যায়, তবে তাকে খুঁজে পেতে তার একটি সাম্প্রতিক ছবিও সঙ্গে রাখুন।
এয়ারলাইনস নির্বাচন ও বুকিংয়ের সময় করণীয়
সব এয়ারলাইনসের নিয়ম এক নয়। তাই টিকিট কাটার আগে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন। ছোট কুকুর বা বিড়াল হলে অতিরিক্ত ফিতে তারা আপনার সঙ্গে কেবিনেই যেতে পারে কি না, জেনে নিন। মনে রাখবেন, কেবিনে প্রাণীর সংখ্যা সীমিত থাকে। তাই আগেভাগে কল করে বুকিং দিন। যদি আপনার প্রিয় প্রাণীকে কার্গোতে দিতেই হয়, তবে এয়ারলাইনসের আগের রেকর্ড যাচাই করে নিন। সংযোগকারী ফ্লাইট এড়িয়ে সরাসরি ফ্লাইট বেছে নিন। এতে বিমানে ওঠানো-নামানোর সময় ভুল হওয়ার ঝুঁকি কমে। গরমে ভ্রমণের জন্য খুব সকালে বা রাতে এবং শীতে দুপুরের ফ্লাইট বেছে নেওয়া ভালো।
সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন ও প্রস্তুতি
আপনার পোষা প্রাণীর জন্য সঠিক ক্যারিয়ার বা কেনেল নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। ভ্রমণের অন্তত এক মাস আগে থেকে পোষা প্রাণীকে ক্যারিয়ারের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন। সেখানে তাদের প্রিয় কম্বল বা খেলনা রাখুন এবং মাঝে মাঝে খাবার দিন। ক্যারিয়ারে আপনার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং গন্তব্যস্থলের ফোন নম্বরসহ একটি ট্রাভেল লেবেল লাগিয়ে দিন। প্রাণীর নখ কেটে দিন, যাতে তা ক্যারিয়ারের খাঁজে আটকে না যায়। যাত্রার আগে ভারী খাবার দেবেন না। পানির পাত্রে বরফের টুকরা রাখতে পারেন, যাতে পানি উপচে না পড়ে। পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ট্রাঙ্কুলাইজার বা ঘুমের ওষুধ দেবেন না।
বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা তল্লাশি
বিমানবন্দরে সিকিউরিটি স্ক্রিনিংয়ের সময় পোষা প্রাণীর ক্যারিয়ার এক্স-রে মেশিনের মধ্য দিয়ে যাবে। তখন আপনার কাছে দুটি উপায় থাকে,
কার্গোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা
যদি পোষা প্রাণী কার্গোতে ভ্রমণ করে, তবে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিমানে ওঠার পর ক্যাপ্টেন এবং অন্তত একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জানান, কার্গোতে আপনার পোষা প্রাণী আছে। পোষা প্রাণীর গলায় এমন কলার পরান, যা ক্যারিয়ারের দরজায় আটকে যাবে না। এতে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুটি আইডি ট্যাগ যুক্ত করুন। মনে রাখবেন, কোনো অবস্থায় চাপা নাকের প্রাণীদের কার্গোতে পাঠাবেন না।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর দ্রুত কোনো নিরাপদ স্থানে গিয়ে ক্যারিয়ার খুলুন এবং আপনার পোষা প্রাণীকে পরীক্ষা করুন। যদি কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন, তাহলে দেরি না করে স্থানীয় পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং পরীক্ষার ফলাফল লিখিত আকারে সংগ্রহ করুন।
সূত্র: হিউম্যান ওয়ার্ল্ড ফর অ্যানিমেলস, ট্রাভেল আপ

কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা দেশে ফেরা সব সময় আনন্দের। অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন মেনে চললে আপনার এবং আপনার প্রিয় সঙ্গীটির বিমানযাত্রা হবে আনন্দদায়ক ও নিরাপদ।
গাড়িতে ভ্রমণ করা পোষা প্রাণীর জন্য সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু বিমানে ভ্রমণ পোষা প্রাণীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে; বিশেষ করে ব্র্যাকিউসেফালিক বা চাপা নাকের প্রাণী, যেমন বুলডগ, পাগ বা পার্সিয়ান বিড়াল, বিমানে শ্বাসকষ্ট বা হিট স্ট্রোকের শিকার হতে পারে। তাই ভ্রমণের আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, পোষা প্রাণীকে কোনো নির্ভরযোগ্য পেট সিটার বা বোর্ডিংয়ে রেখে যাওয়া তাদের জন্য বেশি আরামদায়ক হতে পারে। যাত্রার ঝুঁকি এবং প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন।
পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ভ্রমণের অন্তত ১০ দিন আগে আপনার পশুচিকিৎসকের কাছে যান এবং একটি স্বাস্থ্য সনদ সংগ্রহ করুন। নিশ্চিত করুন যে সব টিকা, বিশেষ করে র্যাবিস দেওয়া আছে। পোষা প্রাণীর লাইসেন্স, মাইক্রোচিপ নম্বর, টিকা দানের প্রমাণপত্র এবং নিয়মিত ওষুধের একটি তালিকা সঙ্গে রাখুন। যদি প্রাণীটি কোনোভাবে হারিয়ে যায়, তবে তাকে খুঁজে পেতে তার একটি সাম্প্রতিক ছবিও সঙ্গে রাখুন।
এয়ারলাইনস নির্বাচন ও বুকিংয়ের সময় করণীয়
সব এয়ারলাইনসের নিয়ম এক নয়। তাই টিকিট কাটার আগে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন। ছোট কুকুর বা বিড়াল হলে অতিরিক্ত ফিতে তারা আপনার সঙ্গে কেবিনেই যেতে পারে কি না, জেনে নিন। মনে রাখবেন, কেবিনে প্রাণীর সংখ্যা সীমিত থাকে। তাই আগেভাগে কল করে বুকিং দিন। যদি আপনার প্রিয় প্রাণীকে কার্গোতে দিতেই হয়, তবে এয়ারলাইনসের আগের রেকর্ড যাচাই করে নিন। সংযোগকারী ফ্লাইট এড়িয়ে সরাসরি ফ্লাইট বেছে নিন। এতে বিমানে ওঠানো-নামানোর সময় ভুল হওয়ার ঝুঁকি কমে। গরমে ভ্রমণের জন্য খুব সকালে বা রাতে এবং শীতে দুপুরের ফ্লাইট বেছে নেওয়া ভালো।
সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন ও প্রস্তুতি
আপনার পোষা প্রাণীর জন্য সঠিক ক্যারিয়ার বা কেনেল নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। ভ্রমণের অন্তত এক মাস আগে থেকে পোষা প্রাণীকে ক্যারিয়ারের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন। সেখানে তাদের প্রিয় কম্বল বা খেলনা রাখুন এবং মাঝে মাঝে খাবার দিন। ক্যারিয়ারে আপনার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং গন্তব্যস্থলের ফোন নম্বরসহ একটি ট্রাভেল লেবেল লাগিয়ে দিন। প্রাণীর নখ কেটে দিন, যাতে তা ক্যারিয়ারের খাঁজে আটকে না যায়। যাত্রার আগে ভারী খাবার দেবেন না। পানির পাত্রে বরফের টুকরা রাখতে পারেন, যাতে পানি উপচে না পড়ে। পশুচিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ট্রাঙ্কুলাইজার বা ঘুমের ওষুধ দেবেন না।
বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা তল্লাশি
বিমানবন্দরে সিকিউরিটি স্ক্রিনিংয়ের সময় পোষা প্রাণীর ক্যারিয়ার এক্স-রে মেশিনের মধ্য দিয়ে যাবে। তখন আপনার কাছে দুটি উপায় থাকে,
কার্গোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা
যদি পোষা প্রাণী কার্গোতে ভ্রমণ করে, তবে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিমানে ওঠার পর ক্যাপ্টেন এবং অন্তত একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জানান, কার্গোতে আপনার পোষা প্রাণী আছে। পোষা প্রাণীর গলায় এমন কলার পরান, যা ক্যারিয়ারের দরজায় আটকে যাবে না। এতে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুটি আইডি ট্যাগ যুক্ত করুন। মনে রাখবেন, কোনো অবস্থায় চাপা নাকের প্রাণীদের কার্গোতে পাঠাবেন না।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর দ্রুত কোনো নিরাপদ স্থানে গিয়ে ক্যারিয়ার খুলুন এবং আপনার পোষা প্রাণীকে পরীক্ষা করুন। যদি কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেন, তাহলে দেরি না করে স্থানীয় পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং পরীক্ষার ফলাফল লিখিত আকারে সংগ্রহ করুন।
সূত্র: হিউম্যান ওয়ার্ল্ড ফর অ্যানিমেলস, ট্রাভেল আপ

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৯ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন সময় বুঝে
পর্যটনের ক্ষেত্রে নেপালে ব্যস্ত সময় হলো অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল। এই সময় দেশটিতে হোটেল ও লজের ভাড়া বেড়ে যায়। এর বাইরে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস হলো শোল্ডার সিজন। এই সময় দেশটিতে পর্যটক কম থাকে এবং হোটেল ভাড়ায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকায় অনেক সময় চার্জিং বা ওয়াই-ফাই বিনা খরচে দেওয়া হয়। তবে শোল্ডার সিজনে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে একটু হাঁটুন
বিমানবন্দর এলাকায় ট্যাক্সিচালকেরা অনেক সময় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তবে সেখান থেকে প্রায় ৮০ মিটার হাঁটলেই রিং রোডে সাধারণ ভাড়ায় ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সিতে থামেল এলাকায় যেতে সাধারণত ৬০০ রুপি লাগে। চাইলে লোকাল বাসও ব্যবহার করা যায়। আগাম জানালে অনেক হোটেল নির্দিষ্ট বা বিনা মূল্যের পিকআপ সুবিধাও দেয়।

পাঠাও ও ইনড্রাইভ ব্যবহার করুন
রাস্তার ট্যাক্সির চেয়ে কাঠমান্ডুতে পাঠাও এবং কাঠমান্ডুর বাইরে ইনড্রাইভ অ্যাপ ব্যবহার করলে কম ভাড়ায় নিরাপদ যাতায়াত করা যায়।
থাকা-খাওয়ার জন্য থামেলের বাইরে যান
থামেল পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও সেখানে হোটেল ও খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। থামেলের আশপাশের এলাকায় একই মানের হোটেল ২০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যায়। খাবারের ক্ষেত্রেও শহরের অন্যান্য এলাকায় তুলনামূলক সস্তা ও ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
বিকল্প হিসেবে বৌদ্ধনাথ এলাকা
বৌদ্ধনাথ স্তূপসংলগ্ন এলাকা থামেলের ভালো বিকল্প। সেখানে সাশ্রয়ী হোটেল ও খাবার পাওয়া যায় এবং পরিবেশ অনেক শান্ত। সেখানে দেখা মিলবে তীর্থযাত্রীদের এবং শোনা যাবে বৌদ্ধদের প্রার্থনার ধ্বনি। বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় ভ্রমণের শেষ দিকে থাকার জন্য এটি আদর্শ জায়গা।

দর্শনীয় স্থানের টিকিট বাড়িয়ে নিন
বৌদ্ধনাথ, পাতান দরবার স্কয়ার, কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার এবং ভক্তপুর নেপালের জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। অনেকে হয়তো জানেন না, এই স্থানগুলোর টিকিট এক সপ্তাহ বা ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগতে পারে।
স্থানীয় খাবার খান, বিশেষ করে ট্রেকিংয়ের সময়
আন্তর্জাতিক খাবারের তুলনায় নেপালি খাবার অনেক সস্তা। পাহাড়ি ট্রেকে ডাল-ভাত সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার।
লোকাল বাসের বদলে ট্যুরিস্ট বাস নিন
পোখারা, চিতওয়ান বা লুম্বিনিতে যেতে ট্যুরিস্ট বাস কিছুটা দামি হলেও বেশি আরামদায়ক এবং দ্রুত যাওয়া যায়। অল্প কিছু টাকা বেশি দিলেই ভ্রমণ অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।
নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ট্রেক বেছে নিন
নেপালের জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটগুলো সাধারণত ব্যস্ত। অভিজ্ঞ ট্রেকাররা দলবদ্ধভাবে গাইড ছাড়াও যেতে পারেন। তবে একা যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নিজের শারীরিক সক্ষমতা বুঝে ট্রেক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
গাইড নিতে চাইলে নেপালে গিয়ে নিন
অনেকে নিরাপত্তার জন্য গাইড নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আগে বুক না করে নেপালে গিয়ে সরাসরি গাইড বা এজেন্সির সঙ্গে কথা বললে খরচ কম পড়ে।
স্বল্প ট্রেকের জন্য গিয়ার ভাড়া নিন
স্বল্প সময়ের ট্রেকের জন্য ভারী গিয়ার সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই। কাঠমান্ডু ও পোখারায় সহজে জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ রুপি ব্যয় হতে পারে এ বাবদ।
নেপালে দৈনিক আনুমানিক খরচ
হোটেল বেড: ৪০০ রুপি
সাধারণ ডাবল রুম: ১ হাজার ৫০০ রুপি
লোকাল বাস (কাঠমান্ডু থেকে পোখারা): ৮০০ রুপি
ট্যুরিস্ট বাস: ১ হাজার ৩০০ রুপি
কফি: ২০০ রুপি থেকে শুরু
মোমো: ১৩০ রুপি থেকে শুরু
ভালো রেস্টুরেন্টে দুজনের ডিনার: ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রুপি
পাহাড়ে ডাল-ভাত: ৪০০ থেকে ৮৫০ রুপি
দৈনিক গড় খরচ: ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ৭০০ রুপি
২ সপ্তাহে খরচ: ২৮ হাজার থেকে ৯৪ হাজার রুপি
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন সময় বুঝে
পর্যটনের ক্ষেত্রে নেপালে ব্যস্ত সময় হলো অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের শেষ এবং মার্চের শেষ থেকে এপ্রিল। এই সময় দেশটিতে হোটেল ও লজের ভাড়া বেড়ে যায়। এর বাইরে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস হলো শোল্ডার সিজন। এই সময় দেশটিতে পর্যটক কম থাকে এবং হোটেল ভাড়ায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকায় অনেক সময় চার্জিং বা ওয়াই-ফাই বিনা খরচে দেওয়া হয়। তবে শোল্ডার সিজনে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে একটু হাঁটুন
বিমানবন্দর এলাকায় ট্যাক্সিচালকেরা অনেক সময় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তবে সেখান থেকে প্রায় ৮০ মিটার হাঁটলেই রিং রোডে সাধারণ ভাড়ায় ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সিতে থামেল এলাকায় যেতে সাধারণত ৬০০ রুপি লাগে। চাইলে লোকাল বাসও ব্যবহার করা যায়। আগাম জানালে অনেক হোটেল নির্দিষ্ট বা বিনা মূল্যের পিকআপ সুবিধাও দেয়।

পাঠাও ও ইনড্রাইভ ব্যবহার করুন
রাস্তার ট্যাক্সির চেয়ে কাঠমান্ডুতে পাঠাও এবং কাঠমান্ডুর বাইরে ইনড্রাইভ অ্যাপ ব্যবহার করলে কম ভাড়ায় নিরাপদ যাতায়াত করা যায়।
থাকা-খাওয়ার জন্য থামেলের বাইরে যান
থামেল পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক হলেও সেখানে হোটেল ও খাবারের দাম তুলনামূলক বেশি। থামেলের আশপাশের এলাকায় একই মানের হোটেল ২০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যায়। খাবারের ক্ষেত্রেও শহরের অন্যান্য এলাকায় তুলনামূলক সস্তা ও ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।
বিকল্প হিসেবে বৌদ্ধনাথ এলাকা
বৌদ্ধনাথ স্তূপসংলগ্ন এলাকা থামেলের ভালো বিকল্প। সেখানে সাশ্রয়ী হোটেল ও খাবার পাওয়া যায় এবং পরিবেশ অনেক শান্ত। সেখানে দেখা মিলবে তীর্থযাত্রীদের এবং শোনা যাবে বৌদ্ধদের প্রার্থনার ধ্বনি। বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় ভ্রমণের শেষ দিকে থাকার জন্য এটি আদর্শ জায়গা।

দর্শনীয় স্থানের টিকিট বাড়িয়ে নিন
বৌদ্ধনাথ, পাতান দরবার স্কয়ার, কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার এবং ভক্তপুর নেপালের জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান। অনেকে হয়তো জানেন না, এই স্থানগুলোর টিকিট এক সপ্তাহ বা ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ারে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগতে পারে।
স্থানীয় খাবার খান, বিশেষ করে ট্রেকিংয়ের সময়
আন্তর্জাতিক খাবারের তুলনায় নেপালি খাবার অনেক সস্তা। পাহাড়ি ট্রেকে ডাল-ভাত সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার।
লোকাল বাসের বদলে ট্যুরিস্ট বাস নিন
পোখারা, চিতওয়ান বা লুম্বিনিতে যেতে ট্যুরিস্ট বাস কিছুটা দামি হলেও বেশি আরামদায়ক এবং দ্রুত যাওয়া যায়। অল্প কিছু টাকা বেশি দিলেই ভ্রমণ অনেক স্বস্তিদায়ক হয়।
নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ট্রেক বেছে নিন
নেপালের জনপ্রিয় ট্রেকিং রুটগুলো সাধারণত ব্যস্ত। অভিজ্ঞ ট্রেকাররা দলবদ্ধভাবে গাইড ছাড়াও যেতে পারেন। তবে একা যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নিজের শারীরিক সক্ষমতা বুঝে ট্রেক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি।
গাইড নিতে চাইলে নেপালে গিয়ে নিন
অনেকে নিরাপত্তার জন্য গাইড নিতে চান। সে ক্ষেত্রে আগে বুক না করে নেপালে গিয়ে সরাসরি গাইড বা এজেন্সির সঙ্গে কথা বললে খরচ কম পড়ে।
স্বল্প ট্রেকের জন্য গিয়ার ভাড়া নিন
স্বল্প সময়ের ট্রেকের জন্য ভারী গিয়ার সঙ্গে নেওয়ার দরকার নেই। কাঠমান্ডু ও পোখারায় সহজে জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ ইত্যাদি ভাড়া পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ১০০ রুপি ব্যয় হতে পারে এ বাবদ।
নেপালে দৈনিক আনুমানিক খরচ
হোটেল বেড: ৪০০ রুপি
সাধারণ ডাবল রুম: ১ হাজার ৫০০ রুপি
লোকাল বাস (কাঠমান্ডু থেকে পোখারা): ৮০০ রুপি
ট্যুরিস্ট বাস: ১ হাজার ৩০০ রুপি
কফি: ২০০ রুপি থেকে শুরু
মোমো: ১৩০ রুপি থেকে শুরু
ভালো রেস্টুরেন্টে দুজনের ডিনার: ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রুপি
পাহাড়ে ডাল-ভাত: ৪০০ থেকে ৮৫০ রুপি
দৈনিক গড় খরচ: ২ হাজার থেকে ৬ হাজার ৭০০ রুপি
২ সপ্তাহে খরচ: ২৮ হাজার থেকে ৯৪ হাজার রুপি
সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৮ ঘণ্টা আগে
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
অনেকে ভ্রমণের সময় নিজের পোষা প্রাণী নিয়ে যাত্রা করেন। আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীকে নিয়ে বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যেমন আনন্দের, তেমনি এটি যথেষ্ট দায়িত্বের কাজও বটে। একটি সফল ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে যাত্রার আগে ও চলাকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। সঠিক প্রস্তুতি এবং নিয়মকানুন...
৮ ঘণ্টা আগে
স্বল্প বাজেটের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নেপাল দারুণ গন্তব্য। ১৯৭০ সালের পর ‘হিপি ট্রেইল’ যুগ থেকে কাঠমান্ডুতে বাজেট ভ্রমণের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শহর ও ট্রেকিং রুটে। যদিও আজকের নেপাল আগের মতো অতটা সস্তা নয়; তবে এখনো দেশটিতে স্বল্প খরচে ভ্রমণের অসাধারণ সুযোগ...
৯ ঘণ্টা আগে