বিবিসি

সমাজে নারীর অগ্রগতি, বিশেষত কর্মক্ষেত্রে তাঁদের উপার্জন বৃদ্ধি পারিবারিক সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ তৈরি করছে। পুরুষই পরিবারে প্রধান উপার্জনকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ধারণার বিপরীতে যখন স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে একধরনের মানসিক চাপ ও অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, যা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ককেই প্রভাবিত করছে না, বরং পারিবারিক ক্ষমতাকাঠামো ও বৃহত্তর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপরও ফেলছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব। সম্প্রতি এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া কয়েকজন পুরুষ তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। ডেভ নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে থাকেন এবং সন্তানদের দেখাশোনা করেন। এ ধরনের পুরুষেরা ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ হিসেবে পরিচিত। ডেভ বলেন, আপনার স্ত্রী যখন সব টাকা উপার্জন করছেন, তখন আপনার আত্মসম্মানে কিছুটা আঘাত লাগবে।
টম নামের আরেকজন নিজেকে ‘গাইস গাই’ বা প্রথাগত পুরুষালি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আপনি যখন তাঁদের (বন্ধুদের) বলেন যে আপনি বাড়িতে থাকেন, তখন তাঁরা আপনাকে মেয়েলি স্বভাবের ভাববে। ব্রেন্ডন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে ‘হাউস বিচ’ (গৃহস্থালি কাজের জন্য অপমানজনক সম্বোধন) হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
এই উদাহরণগুলো থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, যেসব পুরুষ কর্মজীবী নন এবং যাঁদের স্ত্রী পরিবারে মূল উপার্জনকারী, তাঁদের অনেকে সামাজিক বিচার-বিশ্লেষণের মুখোমুখি হন। কারণ, সমাজে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের মূল উপার্জনকারী হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এখন অনেক নারী তাঁদের স্বামীদের চেয়ে বেশি উপার্জন করছেন। এই পরিবর্তন পারিবারিক শক্তির ভারসাম্য ও সমাজে পুরুষ-নারীর ভূমিকার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ছে। কারণ, অর্থের সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। যখন একজন পুরুষ নিজের স্ত্রী বা সঙ্গীর চেয়ে কম উপার্জন করেন, তখন তিনি সমাজের চাপে নিজের অবস্থান দুর্বল মনে করতে পারেন। এতে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, এমনকি সম্পর্কেও টানাপোড়েন বাড়তে পারে।
এর আগে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যখন একজন নারী তাঁর সঙ্গীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষের আত্মসম্মান, সুখ ও সম্পর্কের স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়ে। এটি বিশেষত তখনই বেশি হয়, যখন পুরুষটি নিজের কর্মসংস্থান হারিয়ে ঘরে থাকতে বাধ্য হন।
সুইডেনে ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগনির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক সময় সম্পর্কের অসন্তোষেরও কারণ হতে পারে।
অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ স্ত্রীদের চেয়ে কম আয় করেন, তাঁদের মধ্যে প্রতারণার হারও বেশি, যেন তাঁরা এটা করেই তাঁদের পুরুষত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান।
কাজ না থাকলে পুরুষদের মধ্যে বিষণ্নতার হার নারীদের তুলনায় বেশি থাকে। কারণ, নারীদের ঘরের কাজের বাইরে সামাজিক সম্পর্ক বেশি থাকে। অপরদিকে ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ অর্থাৎ যাঁরা ঘরে থেকে সন্তান পালন করেন, তাঁদের মাঝে একাকিত্ব বেশি। অস্ট্রেলিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হ্যারি বানটন জানান, চাকরি হারানোর পর তিনি অনুভব করেন ‘একজন মানুষ, স্বামী ও বাবা হিসেবে তাঁর মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।
কিন্তু কোনো পরিবারে নারীই একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হলে সার্বিকভাবে পরিবারের আয় অনেক সময় কমে যায়। কারণ, নারী-পুরুষের বেতনে এখনো একটি পার্থক্য রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব বাথের সামাজিক নীতি ও বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেলেন কোয়ালেভেস্কা বলেন, বেশির ভাগ দেশ নারী-পুরুষের সমতার কথা বললেও নারী-পুরুষের বেতন কাঠামোতে যে পার্থক্য, তা দূর করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কর্মক্ষেত্র থেকে পুরুষদের সরে আসা পারিবারিক জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পুরুষেরা যখন কাজ থেকে সরে এসে পরিবারে সময় দেন, তখন সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। যুক্তরাজ্যে আজকাল বাবারা সন্তানদের সঙ্গে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটান, যা সন্তানদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া পিতৃত্বকালীন ছুটি পুরুষদের বিবাহিত জীবনের সন্তুষ্টি বাড়ায় এবং সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের বন্ধন মজবুত করে। এটি ভবিষ্যতে শিশুদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার ধারণাও তৈরি করে।
যেসব দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে, সেখানে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান। যেমন সুইডেনে ১৯৯৫ সাল থেকে ‘ড্যাডি মান্থ’ চালু হওয়ার পর বাবাদের মধ্যে সন্তানের যত্ন নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এরপর ২০০২ সালে যখন ছুটি বাড়িয়ে দুই মাস করা হয়, তখন সুইডেনের দম্পতিদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও আগের চেয়ে স্থিতিশীল হয়েছে। বর্তমানে সুইডেনে পিতৃত্বকালীন ছুটি তিন মাস।
তবে বিশ্বব্যাপী নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও সামাজিক মনোভাব এখনো পুরোপুরি বদলায়নি। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক হিজুং চুং বলেন, নারীরা এখন পুরুষদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশি উপার্জনও করছেন। তবে কিংস কলেজ লন্ডনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জেন-জিদের (১৮-২৮ বছর) মধ্যে অনেক পুরুষ এখনো মনে করেন, ঘরে সন্তান দেখাশোনার কাজ করলে একজন পুরুষ তাঁর ‘পুরুষত্ব’ হারান। ২৮ শতাংশ জেন-জি পুরুষ এই বক্তব্যে সম্মত, যেখানে নারীদের মধ্যে এ সংখ্যা মাত্র ১৯ শতাংশ।
গবেষকেরা বলছেন, নারীরা আজকাল শিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু পুরুষ হয়তো মনে করছেন, তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। এর ফলে সমাজে একধরনের বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
রাজনীতিবিদ রোজি ক্যাম্পবেল বলেন, তরুণদের মধ্যে তাঁদের পুরুষত্ব ও নারী-পুরুষ সমতার অর্থ ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে স্কুলপর্যায়ে। তরুণদের সামনে এমন ইতিবাচক পুরুষ আদর্শ রাখা দরকার, যাঁরা দয়া, সহমর্মিতা ও পরিচর্যার কাজকেও পুরুষত্বের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির গবেষক কার্লা এলিয়ট বলেন, যত্ন ও সমানাধিকারের ওপর ভিত্তি করে নতুন পুরুষতান্ত্রিক ধারণাও তৈরি হচ্ছে। তবে এই মানসিকতার প্রসারে পুরুষদের গৃহস্থালির কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটির মতো নীতিগুলো পুরুষদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে সাহায্য করতে পারে এবং নারীদের ক্যারিয়ার গড়ায় সহায়ক হতে পারে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা সবাই যদি সমাজে পরস্পরের ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করি, তবে পুরুষদের আত্মসম্মান বা পুরুষত্বের বিষয়ে ভুল ধারণা ভাঙতে পারে।
যেহেতু নারীদের উপার্জন বাড়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে, তাই পুরুষদের পারিবারিক দায়িত্বে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। তবেই গড়ে উঠবে সমতার সমাজ, যেখানে সম্পর্ক আরও সুখকর হবে; নারীরা পেশাগত অগ্রগতি অর্জন করতে পারবেন এবং পুরুষেরা পরিবারের দেখভালেও পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
সূত্র: বিবিসি
মূল লেখা: বিজ্ঞান সাংবাদিক মেলিসা হোগেনবুম, Breadwinners (২০২৫) ও The Motherhood Complex (২০২১) বইয়ের লেখক।

সমাজে নারীর অগ্রগতি, বিশেষত কর্মক্ষেত্রে তাঁদের উপার্জন বৃদ্ধি পারিবারিক সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ তৈরি করছে। পুরুষই পরিবারে প্রধান উপার্জনকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ধারণার বিপরীতে যখন স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে একধরনের মানসিক চাপ ও অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, যা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ককেই প্রভাবিত করছে না, বরং পারিবারিক ক্ষমতাকাঠামো ও বৃহত্তর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপরও ফেলছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব। সম্প্রতি এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া কয়েকজন পুরুষ তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। ডেভ নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে থাকেন এবং সন্তানদের দেখাশোনা করেন। এ ধরনের পুরুষেরা ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ হিসেবে পরিচিত। ডেভ বলেন, আপনার স্ত্রী যখন সব টাকা উপার্জন করছেন, তখন আপনার আত্মসম্মানে কিছুটা আঘাত লাগবে।
টম নামের আরেকজন নিজেকে ‘গাইস গাই’ বা প্রথাগত পুরুষালি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আপনি যখন তাঁদের (বন্ধুদের) বলেন যে আপনি বাড়িতে থাকেন, তখন তাঁরা আপনাকে মেয়েলি স্বভাবের ভাববে। ব্রেন্ডন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে ‘হাউস বিচ’ (গৃহস্থালি কাজের জন্য অপমানজনক সম্বোধন) হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
এই উদাহরণগুলো থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, যেসব পুরুষ কর্মজীবী নন এবং যাঁদের স্ত্রী পরিবারে মূল উপার্জনকারী, তাঁদের অনেকে সামাজিক বিচার-বিশ্লেষণের মুখোমুখি হন। কারণ, সমাজে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের মূল উপার্জনকারী হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এখন অনেক নারী তাঁদের স্বামীদের চেয়ে বেশি উপার্জন করছেন। এই পরিবর্তন পারিবারিক শক্তির ভারসাম্য ও সমাজে পুরুষ-নারীর ভূমিকার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ছে। কারণ, অর্থের সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। যখন একজন পুরুষ নিজের স্ত্রী বা সঙ্গীর চেয়ে কম উপার্জন করেন, তখন তিনি সমাজের চাপে নিজের অবস্থান দুর্বল মনে করতে পারেন। এতে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, এমনকি সম্পর্কেও টানাপোড়েন বাড়তে পারে।
এর আগে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যখন একজন নারী তাঁর সঙ্গীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষের আত্মসম্মান, সুখ ও সম্পর্কের স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়ে। এটি বিশেষত তখনই বেশি হয়, যখন পুরুষটি নিজের কর্মসংস্থান হারিয়ে ঘরে থাকতে বাধ্য হন।
সুইডেনে ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগনির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক সময় সম্পর্কের অসন্তোষেরও কারণ হতে পারে।
অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ স্ত্রীদের চেয়ে কম আয় করেন, তাঁদের মধ্যে প্রতারণার হারও বেশি, যেন তাঁরা এটা করেই তাঁদের পুরুষত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান।
কাজ না থাকলে পুরুষদের মধ্যে বিষণ্নতার হার নারীদের তুলনায় বেশি থাকে। কারণ, নারীদের ঘরের কাজের বাইরে সামাজিক সম্পর্ক বেশি থাকে। অপরদিকে ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ অর্থাৎ যাঁরা ঘরে থেকে সন্তান পালন করেন, তাঁদের মাঝে একাকিত্ব বেশি। অস্ট্রেলিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হ্যারি বানটন জানান, চাকরি হারানোর পর তিনি অনুভব করেন ‘একজন মানুষ, স্বামী ও বাবা হিসেবে তাঁর মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।
কিন্তু কোনো পরিবারে নারীই একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হলে সার্বিকভাবে পরিবারের আয় অনেক সময় কমে যায়। কারণ, নারী-পুরুষের বেতনে এখনো একটি পার্থক্য রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব বাথের সামাজিক নীতি ও বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেলেন কোয়ালেভেস্কা বলেন, বেশির ভাগ দেশ নারী-পুরুষের সমতার কথা বললেও নারী-পুরুষের বেতন কাঠামোতে যে পার্থক্য, তা দূর করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কর্মক্ষেত্র থেকে পুরুষদের সরে আসা পারিবারিক জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পুরুষেরা যখন কাজ থেকে সরে এসে পরিবারে সময় দেন, তখন সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। যুক্তরাজ্যে আজকাল বাবারা সন্তানদের সঙ্গে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটান, যা সন্তানদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া পিতৃত্বকালীন ছুটি পুরুষদের বিবাহিত জীবনের সন্তুষ্টি বাড়ায় এবং সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের বন্ধন মজবুত করে। এটি ভবিষ্যতে শিশুদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার ধারণাও তৈরি করে।
যেসব দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে, সেখানে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান। যেমন সুইডেনে ১৯৯৫ সাল থেকে ‘ড্যাডি মান্থ’ চালু হওয়ার পর বাবাদের মধ্যে সন্তানের যত্ন নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এরপর ২০০২ সালে যখন ছুটি বাড়িয়ে দুই মাস করা হয়, তখন সুইডেনের দম্পতিদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও আগের চেয়ে স্থিতিশীল হয়েছে। বর্তমানে সুইডেনে পিতৃত্বকালীন ছুটি তিন মাস।
তবে বিশ্বব্যাপী নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও সামাজিক মনোভাব এখনো পুরোপুরি বদলায়নি। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক হিজুং চুং বলেন, নারীরা এখন পুরুষদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশি উপার্জনও করছেন। তবে কিংস কলেজ লন্ডনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জেন-জিদের (১৮-২৮ বছর) মধ্যে অনেক পুরুষ এখনো মনে করেন, ঘরে সন্তান দেখাশোনার কাজ করলে একজন পুরুষ তাঁর ‘পুরুষত্ব’ হারান। ২৮ শতাংশ জেন-জি পুরুষ এই বক্তব্যে সম্মত, যেখানে নারীদের মধ্যে এ সংখ্যা মাত্র ১৯ শতাংশ।
গবেষকেরা বলছেন, নারীরা আজকাল শিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু পুরুষ হয়তো মনে করছেন, তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। এর ফলে সমাজে একধরনের বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
রাজনীতিবিদ রোজি ক্যাম্পবেল বলেন, তরুণদের মধ্যে তাঁদের পুরুষত্ব ও নারী-পুরুষ সমতার অর্থ ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে স্কুলপর্যায়ে। তরুণদের সামনে এমন ইতিবাচক পুরুষ আদর্শ রাখা দরকার, যাঁরা দয়া, সহমর্মিতা ও পরিচর্যার কাজকেও পুরুষত্বের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির গবেষক কার্লা এলিয়ট বলেন, যত্ন ও সমানাধিকারের ওপর ভিত্তি করে নতুন পুরুষতান্ত্রিক ধারণাও তৈরি হচ্ছে। তবে এই মানসিকতার প্রসারে পুরুষদের গৃহস্থালির কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটির মতো নীতিগুলো পুরুষদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে সাহায্য করতে পারে এবং নারীদের ক্যারিয়ার গড়ায় সহায়ক হতে পারে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা সবাই যদি সমাজে পরস্পরের ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করি, তবে পুরুষদের আত্মসম্মান বা পুরুষত্বের বিষয়ে ভুল ধারণা ভাঙতে পারে।
যেহেতু নারীদের উপার্জন বাড়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে, তাই পুরুষদের পারিবারিক দায়িত্বে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। তবেই গড়ে উঠবে সমতার সমাজ, যেখানে সম্পর্ক আরও সুখকর হবে; নারীরা পেশাগত অগ্রগতি অর্জন করতে পারবেন এবং পুরুষেরা পরিবারের দেখভালেও পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
সূত্র: বিবিসি
মূল লেখা: বিজ্ঞান সাংবাদিক মেলিসা হোগেনবুম, Breadwinners (২০২৫) ও The Motherhood Complex (২০২১) বইয়ের লেখক।
বিবিসি

সমাজে নারীর অগ্রগতি, বিশেষত কর্মক্ষেত্রে তাঁদের উপার্জন বৃদ্ধি পারিবারিক সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ তৈরি করছে। পুরুষই পরিবারে প্রধান উপার্জনকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ধারণার বিপরীতে যখন স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে একধরনের মানসিক চাপ ও অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, যা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ককেই প্রভাবিত করছে না, বরং পারিবারিক ক্ষমতাকাঠামো ও বৃহত্তর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপরও ফেলছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব। সম্প্রতি এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া কয়েকজন পুরুষ তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। ডেভ নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে থাকেন এবং সন্তানদের দেখাশোনা করেন। এ ধরনের পুরুষেরা ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ হিসেবে পরিচিত। ডেভ বলেন, আপনার স্ত্রী যখন সব টাকা উপার্জন করছেন, তখন আপনার আত্মসম্মানে কিছুটা আঘাত লাগবে।
টম নামের আরেকজন নিজেকে ‘গাইস গাই’ বা প্রথাগত পুরুষালি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আপনি যখন তাঁদের (বন্ধুদের) বলেন যে আপনি বাড়িতে থাকেন, তখন তাঁরা আপনাকে মেয়েলি স্বভাবের ভাববে। ব্রেন্ডন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে ‘হাউস বিচ’ (গৃহস্থালি কাজের জন্য অপমানজনক সম্বোধন) হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
এই উদাহরণগুলো থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, যেসব পুরুষ কর্মজীবী নন এবং যাঁদের স্ত্রী পরিবারে মূল উপার্জনকারী, তাঁদের অনেকে সামাজিক বিচার-বিশ্লেষণের মুখোমুখি হন। কারণ, সমাজে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের মূল উপার্জনকারী হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এখন অনেক নারী তাঁদের স্বামীদের চেয়ে বেশি উপার্জন করছেন। এই পরিবর্তন পারিবারিক শক্তির ভারসাম্য ও সমাজে পুরুষ-নারীর ভূমিকার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ছে। কারণ, অর্থের সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। যখন একজন পুরুষ নিজের স্ত্রী বা সঙ্গীর চেয়ে কম উপার্জন করেন, তখন তিনি সমাজের চাপে নিজের অবস্থান দুর্বল মনে করতে পারেন। এতে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, এমনকি সম্পর্কেও টানাপোড়েন বাড়তে পারে।
এর আগে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যখন একজন নারী তাঁর সঙ্গীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষের আত্মসম্মান, সুখ ও সম্পর্কের স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়ে। এটি বিশেষত তখনই বেশি হয়, যখন পুরুষটি নিজের কর্মসংস্থান হারিয়ে ঘরে থাকতে বাধ্য হন।
সুইডেনে ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগনির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক সময় সম্পর্কের অসন্তোষেরও কারণ হতে পারে।
অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ স্ত্রীদের চেয়ে কম আয় করেন, তাঁদের মধ্যে প্রতারণার হারও বেশি, যেন তাঁরা এটা করেই তাঁদের পুরুষত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান।
কাজ না থাকলে পুরুষদের মধ্যে বিষণ্নতার হার নারীদের তুলনায় বেশি থাকে। কারণ, নারীদের ঘরের কাজের বাইরে সামাজিক সম্পর্ক বেশি থাকে। অপরদিকে ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ অর্থাৎ যাঁরা ঘরে থেকে সন্তান পালন করেন, তাঁদের মাঝে একাকিত্ব বেশি। অস্ট্রেলিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হ্যারি বানটন জানান, চাকরি হারানোর পর তিনি অনুভব করেন ‘একজন মানুষ, স্বামী ও বাবা হিসেবে তাঁর মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।
কিন্তু কোনো পরিবারে নারীই একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হলে সার্বিকভাবে পরিবারের আয় অনেক সময় কমে যায়। কারণ, নারী-পুরুষের বেতনে এখনো একটি পার্থক্য রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব বাথের সামাজিক নীতি ও বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেলেন কোয়ালেভেস্কা বলেন, বেশির ভাগ দেশ নারী-পুরুষের সমতার কথা বললেও নারী-পুরুষের বেতন কাঠামোতে যে পার্থক্য, তা দূর করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কর্মক্ষেত্র থেকে পুরুষদের সরে আসা পারিবারিক জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পুরুষেরা যখন কাজ থেকে সরে এসে পরিবারে সময় দেন, তখন সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। যুক্তরাজ্যে আজকাল বাবারা সন্তানদের সঙ্গে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটান, যা সন্তানদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া পিতৃত্বকালীন ছুটি পুরুষদের বিবাহিত জীবনের সন্তুষ্টি বাড়ায় এবং সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের বন্ধন মজবুত করে। এটি ভবিষ্যতে শিশুদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার ধারণাও তৈরি করে।
যেসব দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে, সেখানে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান। যেমন সুইডেনে ১৯৯৫ সাল থেকে ‘ড্যাডি মান্থ’ চালু হওয়ার পর বাবাদের মধ্যে সন্তানের যত্ন নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এরপর ২০০২ সালে যখন ছুটি বাড়িয়ে দুই মাস করা হয়, তখন সুইডেনের দম্পতিদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও আগের চেয়ে স্থিতিশীল হয়েছে। বর্তমানে সুইডেনে পিতৃত্বকালীন ছুটি তিন মাস।
তবে বিশ্বব্যাপী নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও সামাজিক মনোভাব এখনো পুরোপুরি বদলায়নি। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক হিজুং চুং বলেন, নারীরা এখন পুরুষদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশি উপার্জনও করছেন। তবে কিংস কলেজ লন্ডনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জেন-জিদের (১৮-২৮ বছর) মধ্যে অনেক পুরুষ এখনো মনে করেন, ঘরে সন্তান দেখাশোনার কাজ করলে একজন পুরুষ তাঁর ‘পুরুষত্ব’ হারান। ২৮ শতাংশ জেন-জি পুরুষ এই বক্তব্যে সম্মত, যেখানে নারীদের মধ্যে এ সংখ্যা মাত্র ১৯ শতাংশ।
গবেষকেরা বলছেন, নারীরা আজকাল শিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু পুরুষ হয়তো মনে করছেন, তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। এর ফলে সমাজে একধরনের বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
রাজনীতিবিদ রোজি ক্যাম্পবেল বলেন, তরুণদের মধ্যে তাঁদের পুরুষত্ব ও নারী-পুরুষ সমতার অর্থ ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে স্কুলপর্যায়ে। তরুণদের সামনে এমন ইতিবাচক পুরুষ আদর্শ রাখা দরকার, যাঁরা দয়া, সহমর্মিতা ও পরিচর্যার কাজকেও পুরুষত্বের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির গবেষক কার্লা এলিয়ট বলেন, যত্ন ও সমানাধিকারের ওপর ভিত্তি করে নতুন পুরুষতান্ত্রিক ধারণাও তৈরি হচ্ছে। তবে এই মানসিকতার প্রসারে পুরুষদের গৃহস্থালির কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটির মতো নীতিগুলো পুরুষদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে সাহায্য করতে পারে এবং নারীদের ক্যারিয়ার গড়ায় সহায়ক হতে পারে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা সবাই যদি সমাজে পরস্পরের ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করি, তবে পুরুষদের আত্মসম্মান বা পুরুষত্বের বিষয়ে ভুল ধারণা ভাঙতে পারে।
যেহেতু নারীদের উপার্জন বাড়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে, তাই পুরুষদের পারিবারিক দায়িত্বে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। তবেই গড়ে উঠবে সমতার সমাজ, যেখানে সম্পর্ক আরও সুখকর হবে; নারীরা পেশাগত অগ্রগতি অর্জন করতে পারবেন এবং পুরুষেরা পরিবারের দেখভালেও পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
সূত্র: বিবিসি
মূল লেখা: বিজ্ঞান সাংবাদিক মেলিসা হোগেনবুম, Breadwinners (২০২৫) ও The Motherhood Complex (২০২১) বইয়ের লেখক।

সমাজে নারীর অগ্রগতি, বিশেষত কর্মক্ষেত্রে তাঁদের উপার্জন বৃদ্ধি পারিবারিক সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ তৈরি করছে। পুরুষই পরিবারে প্রধান উপার্জনকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ধারণার বিপরীতে যখন স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে একধরনের মানসিক চাপ ও অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, যা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ককেই প্রভাবিত করছে না, বরং পারিবারিক ক্ষমতাকাঠামো ও বৃহত্তর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপরও ফেলছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব। সম্প্রতি এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া কয়েকজন পুরুষ তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। ডেভ নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে থাকেন এবং সন্তানদের দেখাশোনা করেন। এ ধরনের পুরুষেরা ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ হিসেবে পরিচিত। ডেভ বলেন, আপনার স্ত্রী যখন সব টাকা উপার্জন করছেন, তখন আপনার আত্মসম্মানে কিছুটা আঘাত লাগবে।
টম নামের আরেকজন নিজেকে ‘গাইস গাই’ বা প্রথাগত পুরুষালি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আপনি যখন তাঁদের (বন্ধুদের) বলেন যে আপনি বাড়িতে থাকেন, তখন তাঁরা আপনাকে মেয়েলি স্বভাবের ভাববে। ব্রেন্ডন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে ‘হাউস বিচ’ (গৃহস্থালি কাজের জন্য অপমানজনক সম্বোধন) হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
এই উদাহরণগুলো থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, যেসব পুরুষ কর্মজীবী নন এবং যাঁদের স্ত্রী পরিবারে মূল উপার্জনকারী, তাঁদের অনেকে সামাজিক বিচার-বিশ্লেষণের মুখোমুখি হন। কারণ, সমাজে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের মূল উপার্জনকারী হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এখন অনেক নারী তাঁদের স্বামীদের চেয়ে বেশি উপার্জন করছেন। এই পরিবর্তন পারিবারিক শক্তির ভারসাম্য ও সমাজে পুরুষ-নারীর ভূমিকার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ছে। কারণ, অর্থের সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। যখন একজন পুরুষ নিজের স্ত্রী বা সঙ্গীর চেয়ে কম উপার্জন করেন, তখন তিনি সমাজের চাপে নিজের অবস্থান দুর্বল মনে করতে পারেন। এতে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, এমনকি সম্পর্কেও টানাপোড়েন বাড়তে পারে।
এর আগে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যখন একজন নারী তাঁর সঙ্গীর চেয়ে বেশি আয় করেন, তখন পুরুষের আত্মসম্মান, সুখ ও সম্পর্কের স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়ে। এটি বিশেষত তখনই বেশি হয়, যখন পুরুষটি নিজের কর্মসংস্থান হারিয়ে ঘরে থাকতে বাধ্য হন।
সুইডেনে ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগনির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক সময় সম্পর্কের অসন্তোষেরও কারণ হতে পারে।
অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ স্ত্রীদের চেয়ে কম আয় করেন, তাঁদের মধ্যে প্রতারণার হারও বেশি, যেন তাঁরা এটা করেই তাঁদের পুরুষত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান।
কাজ না থাকলে পুরুষদের মধ্যে বিষণ্নতার হার নারীদের তুলনায় বেশি থাকে। কারণ, নারীদের ঘরের কাজের বাইরে সামাজিক সম্পর্ক বেশি থাকে। অপরদিকে ‘স্টে-অ্যাট-হোম ড্যাড’ অর্থাৎ যাঁরা ঘরে থেকে সন্তান পালন করেন, তাঁদের মাঝে একাকিত্ব বেশি। অস্ট্রেলিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হ্যারি বানটন জানান, চাকরি হারানোর পর তিনি অনুভব করেন ‘একজন মানুষ, স্বামী ও বাবা হিসেবে তাঁর মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’।
কিন্তু কোনো পরিবারে নারীই একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি হলে সার্বিকভাবে পরিবারের আয় অনেক সময় কমে যায়। কারণ, নারী-পুরুষের বেতনে এখনো একটি পার্থক্য রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব বাথের সামাজিক নীতি ও বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেলেন কোয়ালেভেস্কা বলেন, বেশির ভাগ দেশ নারী-পুরুষের সমতার কথা বললেও নারী-পুরুষের বেতন কাঠামোতে যে পার্থক্য, তা দূর করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
কর্মক্ষেত্র থেকে পুরুষদের সরে আসা পারিবারিক জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পুরুষেরা যখন কাজ থেকে সরে এসে পরিবারে সময় দেন, তখন সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। যুক্তরাজ্যে আজকাল বাবারা সন্তানদের সঙ্গে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটান, যা সন্তানদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া পিতৃত্বকালীন ছুটি পুরুষদের বিবাহিত জীবনের সন্তুষ্টি বাড়ায় এবং সন্তানদের সঙ্গে তাঁদের বন্ধন মজবুত করে। এটি ভবিষ্যতে শিশুদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার ধারণাও তৈরি করে।
যেসব দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে, সেখানে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান। যেমন সুইডেনে ১৯৯৫ সাল থেকে ‘ড্যাডি মান্থ’ চালু হওয়ার পর বাবাদের মধ্যে সন্তানের যত্ন নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এরপর ২০০২ সালে যখন ছুটি বাড়িয়ে দুই মাস করা হয়, তখন সুইডেনের দম্পতিদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও আগের চেয়ে স্থিতিশীল হয়েছে। বর্তমানে সুইডেনে পিতৃত্বকালীন ছুটি তিন মাস।
তবে বিশ্বব্যাপী নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও সামাজিক মনোভাব এখনো পুরোপুরি বদলায়নি। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক হিজুং চুং বলেন, নারীরা এখন পুরুষদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশি উপার্জনও করছেন। তবে কিংস কলেজ লন্ডনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জেন-জিদের (১৮-২৮ বছর) মধ্যে অনেক পুরুষ এখনো মনে করেন, ঘরে সন্তান দেখাশোনার কাজ করলে একজন পুরুষ তাঁর ‘পুরুষত্ব’ হারান। ২৮ শতাংশ জেন-জি পুরুষ এই বক্তব্যে সম্মত, যেখানে নারীদের মধ্যে এ সংখ্যা মাত্র ১৯ শতাংশ।
গবেষকেরা বলছেন, নারীরা আজকাল শিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু পুরুষ হয়তো মনে করছেন, তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। এর ফলে সমাজে একধরনের বিভাজন তৈরি হচ্ছে।
রাজনীতিবিদ রোজি ক্যাম্পবেল বলেন, তরুণদের মধ্যে তাঁদের পুরুষত্ব ও নারী-পুরুষ সমতার অর্থ ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে স্কুলপর্যায়ে। তরুণদের সামনে এমন ইতিবাচক পুরুষ আদর্শ রাখা দরকার, যাঁরা দয়া, সহমর্মিতা ও পরিচর্যার কাজকেও পুরুষত্বের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মোনাশ ইউনিভার্সিটির গবেষক কার্লা এলিয়ট বলেন, যত্ন ও সমানাধিকারের ওপর ভিত্তি করে নতুন পুরুষতান্ত্রিক ধারণাও তৈরি হচ্ছে। তবে এই মানসিকতার প্রসারে পুরুষদের গৃহস্থালির কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটির মতো নীতিগুলো পুরুষদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে সাহায্য করতে পারে এবং নারীদের ক্যারিয়ার গড়ায় সহায়ক হতে পারে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা সবাই যদি সমাজে পরস্পরের ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করি, তবে পুরুষদের আত্মসম্মান বা পুরুষত্বের বিষয়ে ভুল ধারণা ভাঙতে পারে।
যেহেতু নারীদের উপার্জন বাড়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে, তাই পুরুষদের পারিবারিক দায়িত্বে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। তবেই গড়ে উঠবে সমতার সমাজ, যেখানে সম্পর্ক আরও সুখকর হবে; নারীরা পেশাগত অগ্রগতি অর্জন করতে পারবেন এবং পুরুষেরা পরিবারের দেখভালেও পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
সূত্র: বিবিসি
মূল লেখা: বিজ্ঞান সাংবাদিক মেলিসা হোগেনবুম, Breadwinners (২০২৫) ও The Motherhood Complex (২০২১) বইয়ের লেখক।

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৩০ মিনিট আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৪৩ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: একটি কাজ শেষ করে তারপর অন্য কাজ ধরা, অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য! কাজের জায়গায় বস যদি আপনার আইডিয়াতে ‘না’ বলেন, তবে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না, বরং মনে মনে বলুন, ‘উনি বোঝেননি। কারণ, উনি মেষ নন।’ ডেটে গিয়ে বেশি দ্রুত এগিয়ে যাবেন না, পার্টনার আপনার গতিতে হাঁটতে পারছে না।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, দেশি রসুনের কোয়া আধা কেজি, বোম্বাই মরিচ ১০ থেকে ১২টা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টা, সরিষার তেল ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি
জলপাই বোঁটা ফেলে ধুয়ে সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে রসুনের কোয়া, বোম্বাই মরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, বিট লবণ, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতার ফোড়ন দিন। পরে বাটিতে রাখা উপকরণ দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট। জলপাই দিয়ে আবার নেড়ে রান্না করুন। চুলার তাপ বাড়ানোই থাকবে। তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এই মৌসুমের জলপাই রসুনের ঝাল আচার।

জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, দেশি রসুনের কোয়া আধা কেজি, বোম্বাই মরিচ ১০ থেকে ১২টা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, আদা ও রসুনবাটা এক টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টা, সরিষার তেল ২ কাপ, চিনি আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি
জলপাই বোঁটা ফেলে ধুয়ে সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে রসুনের কোয়া, বোম্বাই মরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, বিট লবণ, লবণ, চিনি একসঙ্গে মেখে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতার ফোড়ন দিন। পরে বাটিতে রাখা উপকরণ দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট। জলপাই দিয়ে আবার নেড়ে রান্না করুন। চুলার তাপ বাড়ানোই থাকবে। তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে নেড়েচেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল এই মৌসুমের জলপাই রসুনের ঝাল আচার।

যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগ নির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক
২০ মে ২০২৫
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৪৩ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: একটি কাজ শেষ করে তারপর অন্য কাজ ধরা, অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য! কাজের জায়গায় বস যদি আপনার আইডিয়াতে ‘না’ বলেন, তবে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না, বরং মনে মনে বলুন, ‘উনি বোঝেননি। কারণ, উনি মেষ নন।’ ডেটে গিয়ে বেশি দ্রুত এগিয়ে যাবেন না, পার্টনার আপনার গতিতে হাঁটতে পারছে না।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। এই চিন্তাগুলো দূর করতে এবং আপনার বিমানের অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ করতে, বিশ্বের সেরা কিছু এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু সদস্যরা দিয়েছেন ৯টি বিশেষ টিপস।
বিমান সম্পর্কে খোঁজ নিন
টার্কিশ এয়ারলাইনসের কেবিন চিফ দুয়গু এরেন তোসিয়া মনে করেন, ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার প্রত্যাশা ঠিক থাকবে। যেমন বিমানের ধরন। অর্থাৎ কোন মডেলের বিমানে ভ্রমণ করছেন, তা জেনে নিন। এটি সামগ্রিক উড়ান অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। সিট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটু কৌশলই হতে হবে। বিভিন্ন কেবিন ক্লাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি নিজের বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসনটি বেছে নিতে পারবেন।
লাগেজের নিয়মাবলি যাচাই করুন
বিমানের স্পেসিফিকেশন দেখার সময় লাগেজের নিয়মাবলি দেখে নিতে হবে। এরেন তোসিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্যাকিং এড়াতে এবং বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ফি দেওয়া থেকে বাঁচতে এটি জরুরি। প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। দেখে নিন আপনার চেক-ইন এবং ক্যারি-অন ব্যাগের আকার ও ওজন অনুমোদিত সীমার মধ্যে আছে।
সুচিন্তিতভাবে প্যাকিং করুন
ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট টিফসিত তেফেরা ক্যারি-অন ব্যাগে জিনিস গোছানোর কিছু কার্যকর কৌশল জানিয়েছেনঃ
ভারী কাপড়: জ্যাকেটের মতো ভারী পোশাকগুলো ভাঁজ না করে ব্যাগের একদম নিচে একটার ওপর একটা বিছিয়ে রাখুন।
হালকা কাপড়: টি-শার্টের মতো হালকা জিনিস রোল করে রাখুন।
প্যাকিং কিউব: প্যাকিং কিউব ব্যবহার করে কাপড়গুলো ধরন বা কাজ অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। এতে নোংরা কাপড় আলাদা করতেও সুবিধা হয়।
ক্যাবল গোছানো: চার্জিং ক্যাবলগুলো একটি ছোট টয়লেট্রি ব্যাগে ভাঁজ করে ভেলক্রো টেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

সঠিক লাগেজ নির্বাচন করুন
প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কেটি ট্রেবেন্ডিস এর মতে, টেকসই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করা উচিত।
হার্ড-শেল লাগেজ: তিনি হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি তার আকার ধরে রাখে, ভেতরের জিনিস সুরক্ষিত রাখে, পরিষ্কার করা সহজ এবং পোশাককে সংকুচিত করে আরও জিনিস ভরতে সাহায্য করে।
জরুরি ফিচার: ওজন নির্দেশক, স্পিনার চাকা (চারদিকে ঘোরানো চাকা) এবং প্যাডেড হ্যান্ডেলের মতো ফিচারগুলো ভ্রমণকে আরও মসৃণ করে তোলে।
ট্রলি স্লীভ: যদি একটি ব্যক্তিগত আইটেম (পার্সোনাল আইটেম) ক্যারি-অন হিসেবে নিতে চান, তবে ট্রলি স্লীভ (যা লাগেজের হ্যান্ডেলের ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়) যুক্ত ব্যাগ বেছে নিন, যাতে বিমানবন্দরে হাঁটার সময় সুবিধা হয়।
বাইরের পকেট: হেডফোন, চার্জার বা বইয়ের জন্য ব্যাগের বাইরে ছোট পকেট থাকলে সিটে বসে সহজেই সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
জেটব্লু-এর কেবিন ক্রু জর্জ গুতিয়ারেজ মনে করিয়ে দেন যে উচ্চতায় ওড়ার সময় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর নাশতা দিয়ে দিন শুরু করুন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফ্লাইটের সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আট আউন্স (এক কাপ) পানি পান করুন। সাধারণ এই অভ্যাসটি আপনার পুরো ভ্রমণ দিনটিকে আনন্দময় করবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন
এমিরেটসের কেবিন ক্রু আলেকজান্দ্রা জনসন বলেন, যথেষ্ট জল পান করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পণ্য ব্যবহার করাও জরুরি। লম্বা ফ্লাইটে উচ্চতা ও চাপের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। একটি ট্রাভেল-সাইজ ময়েশ্চারাইজার হাতে রাখুন এবং প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে লোশন লাগিয়ে তার ওপর মোজা পরে নিলে দীর্ঘ ফ্লাইটে ত্বক আর্দ্র থাকে।
এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বিমানবন্দর এবং উড়ানের অভিজ্ঞতা দ্রুত করতে এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করা খুব উপকারী। এমিরেটস অ্যাপের উদাহরণ দিয়ে জনসন জানান, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট বুক করা বা পরিবর্তন করা, ডিজিটাল বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করা, খাবারের তালিকা ঠিক করা, এমনকি ইন-ফ্লাইট বিনোদনের জন্য সিনেমা প্রি-সিলেক্ট করা যায়। অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের অ্যাপেও এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।

সম্ভব হলে আগের রাতে ব্যাগ জমা দিন
বর্তমানে বিমানবন্দরে ভিড় বেশি থাকে। চেক-ইন এবং নিরাপত্তার লাইন লম্বা হতে পারে। এই চাপ কমাতে জনসন পরামর্শ দেন, সম্ভব হলে ভ্রমণের আগের রাতে লাগেজ জমা দিয়ে দিন। দুবাই থেকে এমিরেটসে উড়লে ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাগ ড্রপ করার সুবিধা আছে। কিছু ব্রিটিশ বিমানবন্দর থেকে সকালের ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইজিজেট-ও এই সুবিধা দেয়। আপনার এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখুন তারা কত আগে ব্যাগ ড্রপ-অফের সুযোগ দেয়।
লাগেজ সহজে শনাক্তযোগ্য করুন
ভ্রমণের শেষ ধাপ ব্যাগেজ পিকআপ, যা ভুলে যাবেন না। দীর্ঘ উড়ানের পর লাগেজ ক্লেমে গিয়ে নিজের সুটকেস খুঁজে নিতে বা ভুল করে অন্য কারও ব্যাগ নিয়ে নেওয়া এড়াতে, আপনার লাগেজটিকে সহজে শনাক্তযোগ্য করে তুলুন। যদি আপনার লাগেজের রং সাধারণ হয় (যেমন কালো বা বাদামি), তবে ব্যাগের হাতলে একটি আলাদা ধরনের ট্যাগ বা রঙিন ফিতা বেঁধে দিন।
সূত্রঃ ট্রাভেল+লিজার

নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে। এই চিন্তাগুলো দূর করতে এবং আপনার বিমানের অভিজ্ঞতা আরও মসৃণ করতে, বিশ্বের সেরা কিছু এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু সদস্যরা দিয়েছেন ৯টি বিশেষ টিপস।
বিমান সম্পর্কে খোঁজ নিন
টার্কিশ এয়ারলাইনসের কেবিন চিফ দুয়গু এরেন তোসিয়া মনে করেন, ভ্রমণের আগে প্রতিটি যাত্রীর বিমান সম্পর্কে একটু গবেষণা করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার প্রত্যাশা ঠিক থাকবে। যেমন বিমানের ধরন। অর্থাৎ কোন মডেলের বিমানে ভ্রমণ করছেন, তা জেনে নিন। এটি সামগ্রিক উড়ান অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। সিট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটু কৌশলই হতে হবে। বিভিন্ন কেবিন ক্লাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি নিজের বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আসনটি বেছে নিতে পারবেন।
লাগেজের নিয়মাবলি যাচাই করুন
বিমানের স্পেসিফিকেশন দেখার সময় লাগেজের নিয়মাবলি দেখে নিতে হবে। এরেন তোসিয়া জোর দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্যাকিং এড়াতে এবং বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ফি দেওয়া থেকে বাঁচতে এটি জরুরি। প্রতিটি ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনসের ব্যাগ নীতিগুলো দুবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন। দেখে নিন আপনার চেক-ইন এবং ক্যারি-অন ব্যাগের আকার ও ওজন অনুমোদিত সীমার মধ্যে আছে।
সুচিন্তিতভাবে প্যাকিং করুন
ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট টিফসিত তেফেরা ক্যারি-অন ব্যাগে জিনিস গোছানোর কিছু কার্যকর কৌশল জানিয়েছেনঃ
ভারী কাপড়: জ্যাকেটের মতো ভারী পোশাকগুলো ভাঁজ না করে ব্যাগের একদম নিচে একটার ওপর একটা বিছিয়ে রাখুন।
হালকা কাপড়: টি-শার্টের মতো হালকা জিনিস রোল করে রাখুন।
প্যাকিং কিউব: প্যাকিং কিউব ব্যবহার করে কাপড়গুলো ধরন বা কাজ অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। এতে নোংরা কাপড় আলাদা করতেও সুবিধা হয়।
ক্যাবল গোছানো: চার্জিং ক্যাবলগুলো একটি ছোট টয়লেট্রি ব্যাগে ভাঁজ করে ভেলক্রো টেপ দিয়ে বেঁধে রাখুন।

সঠিক লাগেজ নির্বাচন করুন
প্যাকিং জানার পাশাপাশি সঠিক লাগেজ নির্বাচন করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কেটি ট্রেবেন্ডিস এর মতে, টেকসই এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফিচারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করা উচিত।
হার্ড-শেল লাগেজ: তিনি হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটি তার আকার ধরে রাখে, ভেতরের জিনিস সুরক্ষিত রাখে, পরিষ্কার করা সহজ এবং পোশাককে সংকুচিত করে আরও জিনিস ভরতে সাহায্য করে।
জরুরি ফিচার: ওজন নির্দেশক, স্পিনার চাকা (চারদিকে ঘোরানো চাকা) এবং প্যাডেড হ্যান্ডেলের মতো ফিচারগুলো ভ্রমণকে আরও মসৃণ করে তোলে।
ট্রলি স্লীভ: যদি একটি ব্যক্তিগত আইটেম (পার্সোনাল আইটেম) ক্যারি-অন হিসেবে নিতে চান, তবে ট্রলি স্লীভ (যা লাগেজের হ্যান্ডেলের ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়) যুক্ত ব্যাগ বেছে নিন, যাতে বিমানবন্দরে হাঁটার সময় সুবিধা হয়।
বাইরের পকেট: হেডফোন, চার্জার বা বইয়ের জন্য ব্যাগের বাইরে ছোট পকেট থাকলে সিটে বসে সহজেই সেগুলোর নাগাল পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
জেটব্লু-এর কেবিন ক্রু জর্জ গুতিয়ারেজ মনে করিয়ে দেন যে উচ্চতায় ওড়ার সময় শরীর দ্রুত ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের দিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর নাশতা দিয়ে দিন শুরু করুন। ডিহাইড্রেশন এড়াতে চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফ্লাইটের সময় প্রতি ঘণ্টায় প্রায় আট আউন্স (এক কাপ) পানি পান করুন। সাধারণ এই অভ্যাসটি আপনার পুরো ভ্রমণ দিনটিকে আনন্দময় করবে।
ত্বক আর্দ্র রাখুন
এমিরেটসের কেবিন ক্রু আলেকজান্দ্রা জনসন বলেন, যথেষ্ট জল পান করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পণ্য ব্যবহার করাও জরুরি। লম্বা ফ্লাইটে উচ্চতা ও চাপের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। একটি ট্রাভেল-সাইজ ময়েশ্চারাইজার হাতে রাখুন এবং প্রতি এক বা দুই ঘণ্টা পর পর লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে লোশন লাগিয়ে তার ওপর মোজা পরে নিলে দীর্ঘ ফ্লাইটে ত্বক আর্দ্র থাকে।
এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বিমানবন্দর এবং উড়ানের অভিজ্ঞতা দ্রুত করতে এয়ারলাইনসের অ্যাপ ডাউনলোড করা খুব উপকারী। এমিরেটস অ্যাপের উদাহরণ দিয়ে জনসন জানান, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে ফ্লাইট বুক করা বা পরিবর্তন করা, ডিজিটাল বোর্ডিং পাস ডাউনলোড করা, খাবারের তালিকা ঠিক করা, এমনকি ইন-ফ্লাইট বিনোদনের জন্য সিনেমা প্রি-সিলেক্ট করা যায়। অন্যান্য অনেক এয়ারলাইনসের অ্যাপেও এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।

সম্ভব হলে আগের রাতে ব্যাগ জমা দিন
বর্তমানে বিমানবন্দরে ভিড় বেশি থাকে। চেক-ইন এবং নিরাপত্তার লাইন লম্বা হতে পারে। এই চাপ কমাতে জনসন পরামর্শ দেন, সম্ভব হলে ভ্রমণের আগের রাতে লাগেজ জমা দিয়ে দিন। দুবাই থেকে এমিরেটসে উড়লে ২৪ ঘণ্টা আগে ব্যাগ ড্রপ করার সুবিধা আছে। কিছু ব্রিটিশ বিমানবন্দর থেকে সকালের ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইজিজেট-ও এই সুবিধা দেয়। আপনার এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখুন তারা কত আগে ব্যাগ ড্রপ-অফের সুযোগ দেয়।
লাগেজ সহজে শনাক্তযোগ্য করুন
ভ্রমণের শেষ ধাপ ব্যাগেজ পিকআপ, যা ভুলে যাবেন না। দীর্ঘ উড়ানের পর লাগেজ ক্লেমে গিয়ে নিজের সুটকেস খুঁজে নিতে বা ভুল করে অন্য কারও ব্যাগ নিয়ে নেওয়া এড়াতে, আপনার লাগেজটিকে সহজে শনাক্তযোগ্য করে তুলুন। যদি আপনার লাগেজের রং সাধারণ হয় (যেমন কালো বা বাদামি), তবে ব্যাগের হাতলে একটি আলাদা ধরনের ট্যাগ বা রঙিন ফিতা বেঁধে দিন।
সূত্রঃ ট্রাভেল+লিজার

যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগ নির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক
২০ মে ২০২৫
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৩০ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: একটি কাজ শেষ করে তারপর অন্য কাজ ধরা, অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য! কাজের জায়গায় বস যদি আপনার আইডিয়াতে ‘না’ বলেন, তবে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না, বরং মনে মনে বলুন, ‘উনি বোঝেননি। কারণ, উনি মেষ নন।’ ডেটে গিয়ে বেশি দ্রুত এগিয়ে যাবেন না, পার্টনার আপনার গতিতে হাঁটতে পারছে না।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় মূলত দুই ধরনের ঋতু গরম ও শুষ্ক এবং গরম ও বৃষ্টি। তবে শুষ্ক মানে পুরো শুকনো নয়। দেশজুড়েই সারাবছর আর্দ্রতা থাকে, কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হয়ই। পাহাড়ি এলাকা যেমন ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ১৪ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।
তবুও মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের আগমন কখনো বন্ধ হয় না। স্কুল ছুটির সময় দেশ-বিদেশে থেকে পরিবার ভ্রমণে বেশি ভিড় বেশি দেখা যায়। তাই পুরোপুরি অফ সিজন বলতে কিছু নেই।
ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মালয়েশিয়া ঘোরার সেরা সময়
অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব উপকূলে ভারী বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শুষ্ক থাকে উপদ্বীপের লাংকাভি, পেনাং ইত্যাদি। সমুদ্রসৈকত ঘোরা এবং জর্জটাউনে হাঁটাহাঁটি সবই দারুণ উপভোগ্য। তবে বোর্নিওতে এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি। এই মৌসুমে ভিড়ও বেশি, হোটেলের দামও কিছুটা বাড়ে। এরই মধ্যে চাইনিজ নিউ ইয়ার আর বিখ্যাত হিন্দু উৎসব থাইপুসাম পালিত হয়। যেখানে রঙিন শোভাযাত্রা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানে পুরো দেশ মাতোয়ারা থাকে। বোর্নিওর সারাওয়াকে এই সময় হোটেলের দাম কম থাকলেও সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তাগুলো কাদা হয়ে যায়।

মার্চ–মে: বেশিরভাগ এলাকায় সবচেয়ে দারুণ মৌসুম
বসন্তের এই সময়টায় মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি কম থাকে। আবহাওয়া গরম হলেও প্রচণ্ড নয়। সৈকত আর ন্যাশনাল পার্ক ঘোরার দারুণ সময়। এপ্রিল মাস সাবাহ ভ্রমণের জন্য অসাধারণ। স্কুবা ডাইভিং, মাউন্ট কিনাবালু ট্রেকিং সবকিছু এই সময়ে বেশ জমে উঠে। মে মাসে সাবাহর হারভেস্ট ফেস্টিভালও দেখার মতো। তবে অঞ্চলভেদে ব্যতিক্রম আছে, এপ্রিলে আবার কুয়ালালামপুরে বেশ বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শহরে বিভিন্ন স্বাদের খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে সময়টা পাড় করতে পারেন।

জুন–সেপ্টেম্বর: কুয়ালালামপুর ও পূর্ব উপকূল ভ্রমণের সেরা সময়
এই সময়ে কুয়ালালামপুর ঘুরে সবচেয়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্যই গরম থাকে, তবু শহর ঘুরে দেখা, শপিং, ক্যাফেতে খাওয়া সব মিলিয়ে এটি দারুণ সময় কাটবে। এই সময় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলেও বৃষ্টি কম। ডাইভিংয়ের জন্য পাওয়া যায় চকচকে স্বচ্ছ পানি। তাই টিওমান বা পারহেন্তিয়ান আইল্যান্ডে পর্যটক ভিড় বাড়ে। জুনে বোর্নিওতে অনুষ্ঠিত হয় গাওয়াই উৎসব এবং পেনাংয়ে ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও জর্জটাউন ফেস্টিভ্যাল ও কুচিংয়ের রেইনফরেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এই মৌসুমেই। আগস্টের দিকে আবার ধীরে ধীরে মেঘলা দিন বাড়ে। মাসের শেষে পাওয়া যায় মালয়েশিয়ার জাতীয় উৎসব হারি মেরদেকা।

অক্টোবর–নভেম্বর: মেলাকা ও ক্যামেরুন হাইল্যান্ডস ঘোরার সেরা সময়
এই সময় উপদ্বীপে বর্ষা বাড়ে। তবে মেলাকায় বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়। তাই ইতিহাসে ঘেরা এই শহর আবিষ্কারের জন্য এই সময়টা একেবারে উপযুক্ত। নভেম্বরে শুরু হওয়া উত্তর-পূর্ব মৌসুম ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রকৃতিকে আরও সতেজ করে তোলে। চা-বাগান, পাহাড়ি ফুল আর ঠান্ডা হাওয়া ভ্রমণকারীদের বেশ টানে। অন্য এলাকায় এ সময় হোটেলের দাম কমে। বৃষ্টি বেশি থাকায় ইনডোর অ্যাক্টিভিটি শপিং মল, মিউজিয়াম, থিম পার্ক সবই উপভোগ করা যায়।
মালেয়শিয়ার ভ্রমণ শিল্প দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার কমতি না থাকলেও প্রতিনিয়ত ভ্রমণ শিল্প নিয়ে ভাবছে দেশটির সরকার। এমনকি বিভিন্ন বড় বড় ভ্রমণ ইভেন্টও হচ্ছে দেশটিতে। যেখানে ভ্রমণ সংশ্লিষ্টরা যোগ দিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলছে। তাই মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের জন্য সারা বছরই চাঙ্গা। তাই সত্যিকার অর্থে এখানে অফ সিজন বলতে কিছু নেই। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং কোন অঞ্চল দেখতে চান তার ওপর নির্ভর করে ভ্রমণের সেরা সময় নির্বাচন করুন।
সূত্র: লোনলি প্লানেট

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
মালয়েশিয়ায় মূলত দুই ধরনের ঋতু গরম ও শুষ্ক এবং গরম ও বৃষ্টি। তবে শুষ্ক মানে পুরো শুকনো নয়। দেশজুড়েই সারাবছর আর্দ্রতা থাকে, কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হয়ই। পাহাড়ি এলাকা যেমন ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম ১৪ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।
তবুও মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের আগমন কখনো বন্ধ হয় না। স্কুল ছুটির সময় দেশ-বিদেশে থেকে পরিবার ভ্রমণে বেশি ভিড় বেশি দেখা যায়। তাই পুরোপুরি অফ সিজন বলতে কিছু নেই।
ডিসেম্বর–ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মালয়েশিয়া ঘোরার সেরা সময়
অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পূর্ব উপকূলে ভারী বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শুষ্ক থাকে উপদ্বীপের লাংকাভি, পেনাং ইত্যাদি। সমুদ্রসৈকত ঘোরা এবং জর্জটাউনে হাঁটাহাঁটি সবই দারুণ উপভোগ্য। তবে বোর্নিওতে এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি। এই মৌসুমে ভিড়ও বেশি, হোটেলের দামও কিছুটা বাড়ে। এরই মধ্যে চাইনিজ নিউ ইয়ার আর বিখ্যাত হিন্দু উৎসব থাইপুসাম পালিত হয়। যেখানে রঙিন শোভাযাত্রা এবং স্থানীয় অনুষ্ঠানে পুরো দেশ মাতোয়ারা থাকে। বোর্নিওর সারাওয়াকে এই সময় হোটেলের দাম কম থাকলেও সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তাগুলো কাদা হয়ে যায়।

মার্চ–মে: বেশিরভাগ এলাকায় সবচেয়ে দারুণ মৌসুম
বসন্তের এই সময়টায় মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি কম থাকে। আবহাওয়া গরম হলেও প্রচণ্ড নয়। সৈকত আর ন্যাশনাল পার্ক ঘোরার দারুণ সময়। এপ্রিল মাস সাবাহ ভ্রমণের জন্য অসাধারণ। স্কুবা ডাইভিং, মাউন্ট কিনাবালু ট্রেকিং সবকিছু এই সময়ে বেশ জমে উঠে। মে মাসে সাবাহর হারভেস্ট ফেস্টিভালও দেখার মতো। তবে অঞ্চলভেদে ব্যতিক্রম আছে, এপ্রিলে আবার কুয়ালালামপুরে বেশ বৃষ্টি হয়। তাই এই সময় শহরে বিভিন্ন স্বাদের খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে সময়টা পাড় করতে পারেন।

জুন–সেপ্টেম্বর: কুয়ালালামপুর ও পূর্ব উপকূল ভ্রমণের সেরা সময়
এই সময়ে কুয়ালালামপুর ঘুরে সবচেয়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্যই গরম থাকে, তবু শহর ঘুরে দেখা, শপিং, ক্যাফেতে খাওয়া সব মিলিয়ে এটি দারুণ সময় কাটবে। এই সময় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলেও বৃষ্টি কম। ডাইভিংয়ের জন্য পাওয়া যায় চকচকে স্বচ্ছ পানি। তাই টিওমান বা পারহেন্তিয়ান আইল্যান্ডে পর্যটক ভিড় বাড়ে। জুনে বোর্নিওতে অনুষ্ঠিত হয় গাওয়াই উৎসব এবং পেনাংয়ে ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও জর্জটাউন ফেস্টিভ্যাল ও কুচিংয়ের রেইনফরেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এই মৌসুমেই। আগস্টের দিকে আবার ধীরে ধীরে মেঘলা দিন বাড়ে। মাসের শেষে পাওয়া যায় মালয়েশিয়ার জাতীয় উৎসব হারি মেরদেকা।

অক্টোবর–নভেম্বর: মেলাকা ও ক্যামেরুন হাইল্যান্ডস ঘোরার সেরা সময়
এই সময় উপদ্বীপে বর্ষা বাড়ে। তবে মেলাকায় বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়। তাই ইতিহাসে ঘেরা এই শহর আবিষ্কারের জন্য এই সময়টা একেবারে উপযুক্ত। নভেম্বরে শুরু হওয়া উত্তর-পূর্ব মৌসুম ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রকৃতিকে আরও সতেজ করে তোলে। চা-বাগান, পাহাড়ি ফুল আর ঠান্ডা হাওয়া ভ্রমণকারীদের বেশ টানে। অন্য এলাকায় এ সময় হোটেলের দাম কমে। বৃষ্টি বেশি থাকায় ইনডোর অ্যাক্টিভিটি শপিং মল, মিউজিয়াম, থিম পার্ক সবই উপভোগ করা যায়।
মালেয়শিয়ার ভ্রমণ শিল্প দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তার কমতি না থাকলেও প্রতিনিয়ত ভ্রমণ শিল্প নিয়ে ভাবছে দেশটির সরকার। এমনকি বিভিন্ন বড় বড় ভ্রমণ ইভেন্টও হচ্ছে দেশটিতে। যেখানে ভ্রমণ সংশ্লিষ্টরা যোগ দিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা বলছে। তাই মালয়েশিয়ায় পর্যটকদের জন্য সারা বছরই চাঙ্গা। তাই সত্যিকার অর্থে এখানে অফ সিজন বলতে কিছু নেই। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং কোন অঞ্চল দেখতে চান তার ওপর নির্ভর করে ভ্রমণের সেরা সময় নির্বাচন করুন।
সূত্র: লোনলি প্লানেট

যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগ নির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক
২০ মে ২০২৫
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৩০ মিনিট আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৪৩ মিনিট আগে
আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: একটি কাজ শেষ করে তারপর অন্য কাজ ধরা, অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য! কাজের জায়গায় বস যদি আপনার আইডিয়াতে ‘না’ বলেন, তবে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না, বরং মনে মনে বলুন, ‘উনি বোঝেননি। কারণ, উনি মেষ নন।’ ডেটে গিয়ে বেশি দ্রুত এগিয়ে যাবেন না, পার্টনার আপনার গতিতে হাঁটতে পারছে না।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার শরীরের এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে। ১০টা কাজ একসঙ্গে শুরু করবেন—হয়তো সকালে জিমে যাবেন, দুপুরে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করবেন, আর বিকেলে একটি নতুন ভাষা শেখা শুরু করবেন। সাবধান! সন্ধ্যা নামার আগে তিনটি কাজই আপনার কাছে ‘পুরোনো’ মনে হবে। আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: একটি কাজ শেষ করে তারপর অন্য কাজ ধরা, অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য। কাজের জায়গায় বস যদি আপনার আইডিয়াতে ‘না’ বলেন, তবে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না, বরং মনে মনে বলুন, ‘উনি বোঝেননি। কারণ, উনি মেষ নন।’ ডেটে গিয়ে বেশি দ্রুত এগিয়ে যাবেন না, পার্টনার আপনার গতিতে হাঁটতে পারছে না।
বৃষ
আজ আপনার মূল মন্ত্র: আরাম, আরাম এবং আরও আরাম! আপনি আরামদায়ক সোফায় বসে দিনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটি নেবেন—ব্রেকফাস্টে লুচি নাকি পরোটা। অফিসের কাজ? সেটা কাল দেখা যাবে। কেউ যদি আপনাকে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে বলে, তবে আপনার বিখ্যাত বৃষভী জেদ দিয়ে তাকে বুঝিয়ে দেবেন, পৃথিবীটা এত দ্রুত ঘুরতে পারে না! আর্থিক দিক শুভ, তবে আজ সেই টাকা শুধু ভালো খাবার আর আরামদায়ক বালিশের পেছনেই খরচ করবেন। ঘুম থেকে উঠে আলসেমি না করে অন্তত ফ্রিজের দরজা পর্যন্ত হেঁটে যান।
মিথুন
আপনার মস্তিষ্ক আজ একটি লোকাল ট্রেনের মতো ছুটবে, আর তাতে অন্তত ১৮ জন যাত্রী একসঙ্গে চেঁচামেচি করবে। আপনি একই সময়ে দুজনের সঙ্গে চ্যাট করবেন, ফোনে অন্য একজনকে ধরবেন, আর মনে মনে ভাববেন—কী বলছেন! আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, যিনি আপনার দুমুখো উত্তরের জগাখিচুড়ি ঠিক করতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার উপস্থিত বুদ্ধি প্রশংসিত হবে। তবে ভুল করে আবার বসকে টেক্সট করার বদলে ভুল গ্রুপে পাঠাবেন না। শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে নিজে নিশ্চিত হন যে আপনিই কথা বলছেন, আপনার অন্য মনটা নয়।
কর্কট
আজ আপনার মেজাজ চাঁদের দশা পরিবর্তনের মতো ঘন ঘন বদলাতে পারে। সকালে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ আর দুপুরে সামান্য কথায় অভিমান করে কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে আছেন। আজ মন শুধু পুরোনো দিনের কথা মনে করবে, আর প্রতিজ্ঞা করবেন, ‘কাল থেকে আমি কঠিন হব!’ যা আপনি কাল ভোরে ভুলে যাবেন। কাউকে আবেগপ্রবণ কথা বলার আগে একবার চেক করে নিন, তাঁকে মেসেজটা রাতে ১১টার পরে পাঠাচ্ছেন না তো? আজ অনলাইনে কোনো ‘দুঃখ ভোলানো শপিং’ করবেন না।
সিংহ
আজকের দিনটি আপনার জন্যই! পোশাক, হাঁটা, কথা—সবকিছুতে স্পটলাইট পড়ুক, এটাই আপনি চাইবেন। আপনি যেখানে যাবেন, আশা করবেন যেন সবাই দাঁড়িয়ে আপনাকে অভিবাদন জানায়। যদি না জানায়, তবে সেটা তাদের ব্যর্থতা, আপনার নয়। কর্মক্ষেত্রে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা খুব বেশি থাকবে, কিন্তু ভুলেও টিমের ক্রেডিট নিজে নেবেন না, না হলে গ্রহের দোষে আপনাকে এক দিনের জন্য একটি ‘নীরব শ্রোতা’র ভূমিকা নিতে হতে পারে। আজ লাল বা সোনালি পরুন, যাতে লোকে দূর থেকে দেখতে পায়।
কন্যা
গ্রহরা বলছে, আজ আপনার কাজ হলো বিশ্বের সব ভুল শোধরানো। সহকর্মী কীভাবে ফাইল সাজিয়েছেন, প্রিয়জন কেন বাথরুমে টুথপেস্টের ক্যাপ লাগিয়ে রাখেনি—সবকিছু আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করবে। হয়তো পুরো দিনটা ই-মেইল ইনবক্স বা আলমারি পরিষ্কার করে কাটাবেন। আপনার প্রতি অনুরোধ, অন্যের ভুল নিয়ে সমালোচনা করার আগে নিজের জুতোটা ঠিক জায়গায় রেখেছেন কি না, সেটা দেখুন। আপনার পারফেকশনিজম আজ হয়তো কাউকে বিরক্ত করবে, কিন্তু শেষমেশ আপনার কাজই সবার কাজে আসবে। একটা ব্রেক নিন। সবকিছু একদম ঠিক না হলেও চলে।
তুলা
আজ আপনি কোনো একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সকাল থেকে শুরু হবে: কী পোশাক পরবেন, কফি না চা, এই চাকরি না সেই চাকরি, এই বন্ধু না অন্য বন্ধু—গ্রহরা বলছে, আজ আপনার ‘সিদ্ধান্তহীনতার রোগ’ চরমে উঠবে। পার্টনার আপনাকে দুটি অপশন দিলে আপনি তৃতীয় একটি অপশন চাইবেন। তবে সামাজিক ক্ষেত্রে চমৎকার ব্যক্তিত্ব ও মাধুর্য আপনাকে বেশ জনপ্রিয় করে তুলবে। সবাই আপনার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইবে। কারণ, আজ আপনি সত্যিই সুন্দর দেখতে! যদি কোনো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, তবে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিন, যেন কেউ আপনাকে দোষ দিতে না পারে।
বৃশ্চিক
আজ কারও মনের কথা বা কোনো গভীর গোপন রহস্য জানতে পারবেন। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আজ এতটা অ্যাকটিভ থাকবে যে আপনি দূর থেকে কাউকে দেখেই বুঝে যাবেন সে কী ভাবছে। রহস্যময় হয়ে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ গ্রহরা বলছে, আপনি বেশি কথা বললে চারপাশের মানুষজন ভয় পেয়ে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আজ গভীর মনোযোগ কোনো কঠিন সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু সেই সমাধানের পদ্ধতি কাউকে বলবেন না, সেটা রহস্য হিসেবেই রেখে দিন। আজ কারও সঙ্গে ‘শোধ’ নেওয়ার প্ল্যান করবেন না। কারণ, শনি মহারাজ খুব কাছ থেকে সব দেখছেন।
ধনু
আজ পা যেন মাটিতে থাকবে না। মন চাইবে ব্যাগ গুছিয়ে সোজা পাহাড় বা সমুদ্রের দিকে ছুটতে। যদি পালাতে না পারেন, তবে অন্তত ভার্চুয়াল ট্যুরে বা অ্যাডভেঞ্চারের বইয়ে মন দিন। আজ যাকে যা বলবেন, সেটা সরাসরি সত্য হবে, যা হয়তো কিছুটা অস্বস্তিকর। আপনার ‘সরাসরি সত্য বলার বদভ্যাসটা’ আজ কাউকে আঘাত দিতে পারে, তাই কথা বলার আগে ৫ সেকেন্ডের জন্য থামুন, আর মনে মনে বলুন, ‘আমি কি এটা না বললেও পারি?’ আপনার দার্শনিক চিন্তাভাবনা আপনাকে দিনের শেষে শান্তি দেবে। রাস্তায় কোনো নতুন বই দেখলে সেটা কিনে নিন, সেটা হয়তো জীবনের নতুন পথের সন্ধান দেবে।
মকর
আজ শনিবার হলেও আপনার মন শুধু কাজের কথা ভাববে। আপনার কাছে ছুটি মানে হলো—অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার সুযোগ। আপনি হয়তো একটি নতুন বাজেট প্ল্যান করছেন বা আগামী এক বছরের কাজের তালিকা বানাচ্ছেন। গ্রহরা বলছে, আজ একটু রিল্যাক্স করুন। যদি বিশ্রাম না নেন, তবে শনি মহারাজ আপনাকে জোর করে বিশ্রাম দিতে পারেন (যেমন মোবাইল বা ল্যাপটপের ব্যাটারি শেষ করে দিয়ে)। আপনার আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তা নেই, কিন্তু অতিরিক্ত কৃপণতা করে পুরোনো দিনের পচা খাবার খাবেন না যেন! আপনার সবচেয়ে প্রিয় কাজটা করুন: টাকা গোনা!
কুম্ভ
আজ মানবজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করবেন, কিন্তু নিজের ঘরের গোছানো নিয়েও চিন্তা করবেন না। আপনি আজ এমন কিছু অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে আসবেন যা শুনে বন্ধুরা হাসবে, কিন্তু এক বছর পরে সেই আইডিয়াটিই বাজারে হিট হবে। আপনার কাজ হলো সবাইকে চমকে দেওয়া। যদি দেখেন সবাই একই কাজ করছে, তবে আপনি উল্টোটা করার চেষ্টা করুন। আজ হয়তো আপনার বন্ধু বা পরিবারের জন্য একটি ‘বিপ্লবী’ পরিকল্পনা তৈরি করতে হতে পারে। আজ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন, যাদের আপনি শেষবার ১০ বছর আগে কোনো ‘অদ্ভুত’ বিজ্ঞান মেলায় দেখেছিলেন।
মীন
আজ আপনার দিনটি আক্ষরিক অর্থেই স্বপ্নের মতো কাটবে। হয়তো একটি জরুরি মিটিংয়ে বসে আছেন, কিন্তু আপনার মন এখন সমুদ্রে মাছ ধরছে বা পাহাড়ে মেঘ দেখছে। দিনের বেলায় ঘন ঘন দিবাস্বপ্নে ডুবে যাওয়ার যোগ আছে। এই ‘ভাসমান’ স্বভাবের কারণে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ভুল জায়গায় রেখে দিতে পারেন। আপনার শিল্পকলা বা সৃজনশীল কাজে মন দিন, সেখানেই আপনার আসল মুক্তি। বাস্তবে ফিরে আসার জন্য মাঝেমধ্যে কানে ধরে বলুন, ‘আমি পৃথিবীর মানুষ! রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, বরং রাস্তার দিকে তাকান, না হলে গর্তে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে!

মেষ
আপনার শরীরের এনার্জি আজ হাই ভোল্টেজে থাকবে। ১০টা কাজ একসঙ্গে শুরু করবেন—হয়তো সকালে জিমে যাবেন, দুপুরে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করবেন, আর বিকেলে একটি নতুন ভাষা শেখা শুরু করবেন। সাবধান! সন্ধ্যা নামার আগে তিনটি কাজই আপনার কাছে ‘পুরোনো’ মনে হবে। আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: একটি কাজ শেষ করে তারপর অন্য কাজ ধরা, অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য। কাজের জায়গায় বস যদি আপনার আইডিয়াতে ‘না’ বলেন, তবে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন না, বরং মনে মনে বলুন, ‘উনি বোঝেননি। কারণ, উনি মেষ নন।’ ডেটে গিয়ে বেশি দ্রুত এগিয়ে যাবেন না, পার্টনার আপনার গতিতে হাঁটতে পারছে না।
বৃষ
আজ আপনার মূল মন্ত্র: আরাম, আরাম এবং আরও আরাম! আপনি আরামদায়ক সোফায় বসে দিনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটি নেবেন—ব্রেকফাস্টে লুচি নাকি পরোটা। অফিসের কাজ? সেটা কাল দেখা যাবে। কেউ যদি আপনাকে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে বলে, তবে আপনার বিখ্যাত বৃষভী জেদ দিয়ে তাকে বুঝিয়ে দেবেন, পৃথিবীটা এত দ্রুত ঘুরতে পারে না! আর্থিক দিক শুভ, তবে আজ সেই টাকা শুধু ভালো খাবার আর আরামদায়ক বালিশের পেছনেই খরচ করবেন। ঘুম থেকে উঠে আলসেমি না করে অন্তত ফ্রিজের দরজা পর্যন্ত হেঁটে যান।
মিথুন
আপনার মস্তিষ্ক আজ একটি লোকাল ট্রেনের মতো ছুটবে, আর তাতে অন্তত ১৮ জন যাত্রী একসঙ্গে চেঁচামেচি করবে। আপনি একই সময়ে দুজনের সঙ্গে চ্যাট করবেন, ফোনে অন্য একজনকে ধরবেন, আর মনে মনে ভাববেন—কী বলছেন! আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, যিনি আপনার দুমুখো উত্তরের জগাখিচুড়ি ঠিক করতে পারবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার উপস্থিত বুদ্ধি প্রশংসিত হবে। তবে ভুল করে আবার বসকে টেক্সট করার বদলে ভুল গ্রুপে পাঠাবেন না। শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে নিজে নিশ্চিত হন যে আপনিই কথা বলছেন, আপনার অন্য মনটা নয়।
কর্কট
আজ আপনার মেজাজ চাঁদের দশা পরিবর্তনের মতো ঘন ঘন বদলাতে পারে। সকালে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ আর দুপুরে সামান্য কথায় অভিমান করে কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে আছেন। আজ মন শুধু পুরোনো দিনের কথা মনে করবে, আর প্রতিজ্ঞা করবেন, ‘কাল থেকে আমি কঠিন হব!’ যা আপনি কাল ভোরে ভুলে যাবেন। কাউকে আবেগপ্রবণ কথা বলার আগে একবার চেক করে নিন, তাঁকে মেসেজটা রাতে ১১টার পরে পাঠাচ্ছেন না তো? আজ অনলাইনে কোনো ‘দুঃখ ভোলানো শপিং’ করবেন না।
সিংহ
আজকের দিনটি আপনার জন্যই! পোশাক, হাঁটা, কথা—সবকিছুতে স্পটলাইট পড়ুক, এটাই আপনি চাইবেন। আপনি যেখানে যাবেন, আশা করবেন যেন সবাই দাঁড়িয়ে আপনাকে অভিবাদন জানায়। যদি না জানায়, তবে সেটা তাদের ব্যর্থতা, আপনার নয়। কর্মক্ষেত্রে আপনার নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা খুব বেশি থাকবে, কিন্তু ভুলেও টিমের ক্রেডিট নিজে নেবেন না, না হলে গ্রহের দোষে আপনাকে এক দিনের জন্য একটি ‘নীরব শ্রোতা’র ভূমিকা নিতে হতে পারে। আজ লাল বা সোনালি পরুন, যাতে লোকে দূর থেকে দেখতে পায়।
কন্যা
গ্রহরা বলছে, আজ আপনার কাজ হলো বিশ্বের সব ভুল শোধরানো। সহকর্মী কীভাবে ফাইল সাজিয়েছেন, প্রিয়জন কেন বাথরুমে টুথপেস্টের ক্যাপ লাগিয়ে রাখেনি—সবকিছু আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করবে। হয়তো পুরো দিনটা ই-মেইল ইনবক্স বা আলমারি পরিষ্কার করে কাটাবেন। আপনার প্রতি অনুরোধ, অন্যের ভুল নিয়ে সমালোচনা করার আগে নিজের জুতোটা ঠিক জায়গায় রেখেছেন কি না, সেটা দেখুন। আপনার পারফেকশনিজম আজ হয়তো কাউকে বিরক্ত করবে, কিন্তু শেষমেশ আপনার কাজই সবার কাজে আসবে। একটা ব্রেক নিন। সবকিছু একদম ঠিক না হলেও চলে।
তুলা
আজ আপনি কোনো একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সকাল থেকে শুরু হবে: কী পোশাক পরবেন, কফি না চা, এই চাকরি না সেই চাকরি, এই বন্ধু না অন্য বন্ধু—গ্রহরা বলছে, আজ আপনার ‘সিদ্ধান্তহীনতার রোগ’ চরমে উঠবে। পার্টনার আপনাকে দুটি অপশন দিলে আপনি তৃতীয় একটি অপশন চাইবেন। তবে সামাজিক ক্ষেত্রে চমৎকার ব্যক্তিত্ব ও মাধুর্য আপনাকে বেশ জনপ্রিয় করে তুলবে। সবাই আপনার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইবে। কারণ, আজ আপনি সত্যিই সুন্দর দেখতে! যদি কোনো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, তবে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ অবস্থান নিন, যেন কেউ আপনাকে দোষ দিতে না পারে।
বৃশ্চিক
আজ কারও মনের কথা বা কোনো গভীর গোপন রহস্য জানতে পারবেন। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আজ এতটা অ্যাকটিভ থাকবে যে আপনি দূর থেকে কাউকে দেখেই বুঝে যাবেন সে কী ভাবছে। রহস্যময় হয়ে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ গ্রহরা বলছে, আপনি বেশি কথা বললে চারপাশের মানুষজন ভয় পেয়ে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আজ গভীর মনোযোগ কোনো কঠিন সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু সেই সমাধানের পদ্ধতি কাউকে বলবেন না, সেটা রহস্য হিসেবেই রেখে দিন। আজ কারও সঙ্গে ‘শোধ’ নেওয়ার প্ল্যান করবেন না। কারণ, শনি মহারাজ খুব কাছ থেকে সব দেখছেন।
ধনু
আজ পা যেন মাটিতে থাকবে না। মন চাইবে ব্যাগ গুছিয়ে সোজা পাহাড় বা সমুদ্রের দিকে ছুটতে। যদি পালাতে না পারেন, তবে অন্তত ভার্চুয়াল ট্যুরে বা অ্যাডভেঞ্চারের বইয়ে মন দিন। আজ যাকে যা বলবেন, সেটা সরাসরি সত্য হবে, যা হয়তো কিছুটা অস্বস্তিকর। আপনার ‘সরাসরি সত্য বলার বদভ্যাসটা’ আজ কাউকে আঘাত দিতে পারে, তাই কথা বলার আগে ৫ সেকেন্ডের জন্য থামুন, আর মনে মনে বলুন, ‘আমি কি এটা না বললেও পারি?’ আপনার দার্শনিক চিন্তাভাবনা আপনাকে দিনের শেষে শান্তি দেবে। রাস্তায় কোনো নতুন বই দেখলে সেটা কিনে নিন, সেটা হয়তো জীবনের নতুন পথের সন্ধান দেবে।
মকর
আজ শনিবার হলেও আপনার মন শুধু কাজের কথা ভাববে। আপনার কাছে ছুটি মানে হলো—অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার সুযোগ। আপনি হয়তো একটি নতুন বাজেট প্ল্যান করছেন বা আগামী এক বছরের কাজের তালিকা বানাচ্ছেন। গ্রহরা বলছে, আজ একটু রিল্যাক্স করুন। যদি বিশ্রাম না নেন, তবে শনি মহারাজ আপনাকে জোর করে বিশ্রাম দিতে পারেন (যেমন মোবাইল বা ল্যাপটপের ব্যাটারি শেষ করে দিয়ে)। আপনার আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তা নেই, কিন্তু অতিরিক্ত কৃপণতা করে পুরোনো দিনের পচা খাবার খাবেন না যেন! আপনার সবচেয়ে প্রিয় কাজটা করুন: টাকা গোনা!
কুম্ভ
আজ মানবজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করবেন, কিন্তু নিজের ঘরের গোছানো নিয়েও চিন্তা করবেন না। আপনি আজ এমন কিছু অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে আসবেন যা শুনে বন্ধুরা হাসবে, কিন্তু এক বছর পরে সেই আইডিয়াটিই বাজারে হিট হবে। আপনার কাজ হলো সবাইকে চমকে দেওয়া। যদি দেখেন সবাই একই কাজ করছে, তবে আপনি উল্টোটা করার চেষ্টা করুন। আজ হয়তো আপনার বন্ধু বা পরিবারের জন্য একটি ‘বিপ্লবী’ পরিকল্পনা তৈরি করতে হতে পারে। আজ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন, যাদের আপনি শেষবার ১০ বছর আগে কোনো ‘অদ্ভুত’ বিজ্ঞান মেলায় দেখেছিলেন।
মীন
আজ আপনার দিনটি আক্ষরিক অর্থেই স্বপ্নের মতো কাটবে। হয়তো একটি জরুরি মিটিংয়ে বসে আছেন, কিন্তু আপনার মন এখন সমুদ্রে মাছ ধরছে বা পাহাড়ে মেঘ দেখছে। দিনের বেলায় ঘন ঘন দিবাস্বপ্নে ডুবে যাওয়ার যোগ আছে। এই ‘ভাসমান’ স্বভাবের কারণে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ভুল জায়গায় রেখে দিতে পারেন। আপনার শিল্পকলা বা সৃজনশীল কাজে মন দিন, সেখানেই আপনার আসল মুক্তি। বাস্তবে ফিরে আসার জন্য মাঝেমধ্যে কানে ধরে বলুন, ‘আমি পৃথিবীর মানুষ! রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, বরং রাস্তার দিকে তাকান, না হলে গর্তে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে!

যখন স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে বেশি আয় করতে শুরু করেন, তখন পুরুষদের মধ্যে মানসিক রোগ নির্ণয়ের হার ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। একই অবস্থা নারীদের (৮ শতাংশ) ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডেমিড গেটিক জানান, এ ধরনের মানসিক সমস্যা অনেক
২০ মে ২০২৫
জলপাইয়ের মৌসুমে প্রায় সব বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়। যাঁরা এই প্রথমবারের মতো জলপাইয়ের আচার তৈরির কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য জলপাই রসুনের ঝাল আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৩০ মিনিট আগে
নতুন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া মানেই আনন্দ। আর আনন্দ শুরু হয় যাত্রাপথ থেকেই। অর্থাৎ একটি আনন্দময় ভ্রমণের প্রথম ধাপেই থাকে একটি আনন্দময় যাত্রা। কিন্তু প্যাকেজ গোছানো, ব্যাগের ওজন, বা সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানো নিয়ে কিছু উদ্বেগ আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।
৪৩ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণের নির্দিষ্ট কোনো সেরা সময় নেই। কারণ দেশটি দুই ভাগে বিস্তৃত, পেনিনসুলার মালয়েশিয়া ও বোর্নিও। দুই অঞ্চলের আবহাওয়াও ভিন্ন। পেনিনসুলার মালয়েশিয়া থেকে বোর্নিওর দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। এমনকি কাছাকাছি এলাকাযর আবহাওয়াও ভিন্ন হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে