রজত কান্তি রায়, ঢাকা

লোকে তারে কয় মহানদী। হামরা তারে কই মহর্ষি, ব্রহ্মপুত্র। এবং আশ্চর্যের বিষয়, কুড়িগ্রাম থেকে সোজা ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী বন্দরের দিকে গাড়ি হাঁকানোর সময় যে বিলটি পার হতে হয়, তার নাম নিধুয়া পাথার। সেই পাথারের এপার-ওপার দেখা যেত না একসময়। এখন তার বুক চিরে পিচের রাস্তা। সেই রাস্তায় চলে গাড়ি। সেই গাড়িতে বসে সোজা গিয়ে নামা যায় রমনা ঘাটে, যেখানে এখন মহানদী ব্রহ্মপুত্রের অধিষ্ঠান। সৈয়দ শামসুল হক যাকে বলেছেন ‘লৌহিত্য নদ’। ডেকেছেন ‘বাংলার জ্যেষ্ঠ সন্তান’ বলে। বলেছেন মহৎ, বলেছেন স্মৃতিধর, দয়াবান, প্রভাষক; আরও অনেক কিছু। আলোচকেরা তাকে বলেন ‘প্রাচীন বাংলার নদীপথের কেন্দ্রস্থল।’
এই যে এইখানে এসে এখন দাঁড়ায় মানুষ, যাকে ডাকা হয় রমনা ঘাট, সেখান থেকে ব্রহ্মপুত্রের অন্য পাড়ের দূরত্ব প্রায় পনেরো কিলোমিটার। পাহাড় ছেড়ে ব্রহ্মপুত্র যেখানে পলিমাটিতে পড়েছে, সেখানে তার প্রস্থ পঁচিশ থেকে ত্রিশ কিলোমিটার। এই বিশাল বপুর যে নদ, তাকে মহানদ ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় কি? এই বিশাল নদীর বুকে সেই ষোলো শতকে মধু সাধুখাঁ বজরা নিয়ে ভেসে বেড়াতেন বাণিজ্যের আশায়। শুধু মধু সাধুখাঁই নন। বৃহৎ বঙ্গের প্রায় তামাম বাণিজ্য হতো ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে থাকা চিলমারী বন্দর দিয়ে।
এই যে এইখানে নদীর বুক চিরে জেগে উঠেছে চর, সেই চরের ওপরে বসে হাট, সেই হাটের হাজারো মানুষের একজন হয়ে আমি গল্প শুনি এক কিংবদন্তির চিলমারীর। এখন সেখানে মধু সাধুখাঁ নেই। আছেন মেম্বার রফিকুল ইসলাম, মঞ্জু মিয়া, মোকছেদ আলী, রোকেয়া খাতুন কিংবা ছোট্ট ইব্রাহিম— চোখেমুখে যাদের অপার কৌতূহল, শরীর ও মননে যারা শোনে ব্রহ্মপুত্রের ডাক। তাদের গল্প শুনি। একেবারেই ভিন্ন, এই সময়ের গল্প।
চিলমারী এখন কুড়িগ্রাম জেলার একটি উপজেলা মাত্র। আর ‘চিলমারী’ নামের সেই বিখ্যাত বন্দর এখন ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিম তীর ছেড়ে ভাঙতে ভাঙতে চলে গেছে পূর্ব দিকে। প্রশাসনিক মাপকাঠিতে সেটি এখন একটি ইউনিয়ন মাত্র। মূলত চিলমারী সদর ইউনিয়ন আর অষ্টমীর চর, যা বারুণি স্নানের জন্য বিখ্যাত—এ দুটিই ছিল প্রাচীন চিলমারীর পশ্চিম প্রান্তের দুই সমৃদ্ধ জনপদ। ভাঙনের কারণে দুটি এলাকাই এখন ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব দিকে চলে গেছে।
এই ভাঙনের কারণেই চিলমারী বন্দরকে ছয়বার স্থানান্তর করতে হয়েছে। বন্দরের সঙ্গে সরাতে হয়েছে প্রশাসনিক ভবনও। এখন যে রমনা রেলস্টেশন বা রমনা ঘাট বা যেখান থেকে রাজিবপুর-রৌমারীর নৌকা ছাড়ে, তার বয়স অর্ধশত বছরের কম। রমনা ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের চর শাখাহাতিতে ছিল চিলমারী স্টেশন। সেটা নদীতে ভেঙে বিলীন হওয়ার পর ঘাট ও রেলস্টেশন আসে রমনায় বা এখনকার জায়গায়।
আমাদের জানা ইতিহাসমাত্রই মুঘল আমল থেকে। উজান কিংবা ভাটি, মুঘল আমলে যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, যেতে হতো এই ব্রহ্মপুত্রের ওপর দিয়েই। আর তার প্রধান বন্দর ছিল চিলমারী। এখানে নৌযান থামত, বদল হতো দিক, যাত্রী উঠত কিংবা নামত। যদি নৌযান সোজাও চলত, চিলমারী ছিল অনিবার্য ‘বিরতিস্থল ও বাণিজ্যকেন্দ্র’। এখান থেকেই গন্তব্য নির্ধারিত হতো তিব্বত, ভুটান অথবা নেপালের পথে কিংবা বৃহৎ বঙ্গের বিস্তীর্ণ জনপদে। বাণিজ্য হতো কস্তুরি আর পোস্তদানার, যষ্টিমধু, এন্ডি সিল্ক আর ভোটকম্বলের। কখনো সন্তরা আর আমলকীরও। সন্তরা মানে কমলা। নেপাল বা আরও ওপরের দেশগুলো থেকে কমলা আসত চিলমারী দিয়েই। শুধু বাণিজ্যই নয়। নৌযুদ্ধেও চিলমারী ছিল প্রধানতম জলপথ। সে জন্যই সম্ভবত মুঘলদের জাহাজনির্মাণ শিল্প তৈরি হয়েছিল চিলমারীকে কেন্দ্র করে। সেই চিলমারীর বন্দর ঘন কুয়াশায় ঝাপসা এখন।
উপজেলা চিলমারীর আড়মোড়া ভাঙেনি তখনো। সকাল ৮টা। আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন রমনা খেয়াঘাটের মাঝি মমিনুল আর চর শাখাহাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাহিদ হাসান। ‘মনন রেখা’ নামের একটি ষাণ্মাসিক পত্রিকার সম্পাদক মিজানুর রহমান নাসিমসহ যখন রমনা ঘাটে পৌঁছলাম, তখন কুয়াশা কেটে গিয়ে অদ্ভুত এক ঝলমলে রোদ ব্রহ্মপুত্রের বুকে। সেই রোদে দেখা যায় রৌমারী ও রাজিবপুর থেকে দুটি খেয়া নৌকা এসে লেগেছে রমনা ঘাটে; আর দুটি ছেড়ে যাওয়ার জোগাড়যন্ত্র করছে। আমরা চলেছি চর শাখাহাতি।
রমনা ঘাট থেকে নৌকা ছাড়তেই মাদকতা মাখা ঠান্ডা বাতাসের পরশ ছুঁয়ে গেল আমাদের শরীর। পূর্বমুখী নৌকার হাল ধরে বসে আছেন মমিনুল; কিংবদন্তি থেকে উঠে আসা এক মাঝির মতো। কালচে পেশিবহুল শরীর। অভিজ্ঞ চোখ। কিন্তু মাঝ নদীতে দারুণ বিনয়ী। গুটগুট করে শ্যালো মেশিনের নৌকা চলছে। ছইয়ের ওপর আমরা তিনজন। নিচে আরও কয়েকজন। কিন্তু কোনো সাড়া নেই। আমরা কথা বলে চলেছি। ওপরে মাঘের নির্মেঘ আকাশ আর নিচে টলটলে নীল জল। তার ওপর রাজহাঁসের মতো ঢেউ কেটে চলেছে শ্যালো নৌকা। গলুইয়ে হাল ধরে বসে আছেন একা এক নিঃসঙ্গ মাঝি মমিনুল। নাহিদ হাসান বললেন, ব্রহ্মপুত্র বিষয়ে মমিুনলের অনেক জ্ঞান। শুনে তিনি হাসলেন। আমি নিশ্চিত, শতসহস্র কুড়ার নদী ব্রহ্মপুত্রকে মনুষ্যজ্ঞানে যে ধরা যায় না, সেটা মমিনুল ভালোই জানেন। আর জানেন বলেই তিনি হাসছেন। নৌকার ছইয়ে বসে মমিনুলের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, এক নিঃসঙ্গ মাঝি ব্রহ্মপুত্রের বুক চিরে চলেছেন গন্তব্যে। এই নদীর বুকে ভাগ্য বলে কিছু নেই, সেটা তিনি জানেন। এক নদী গবেষক বলেন, ‘এইখানে, এই মহানদীর কারণে মানুষের ভাগ্য ও ভূখণ্ড দুটোই ভাঙে।’
টলটলে নীল জলের ওপর দিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা গিয়ে থামল চরের খেয়াঘাটে। নৌকা থেকে নেমে হাঁটা শুরু। একটুখানি এগোতেই দেখা হলো এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। ষাটের কোঠায় বয়স তাঁর। নাহিদ হাসানের পরিচিত। মূলত পুরো চরটিই তাঁর পরিচিত। রফিুকল ইসলাম হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, ‘ওই যে ওই সরিষার খেত, ওইখানে আছিল রেল স্টেশন। এলা ভাঙি গেইছে।’ তাকিয়ে দেখলাম, নির্দিষ্ট জায়গাটিতে এখন হলুদ সরিষা মাঘের হাওয়ায় দুলছে। আমরা এগিয়ে গেলাম চর শাখাহাতির দিকে।
এখানে মানুষ গ্রাম সঙ্গে নিয়ে ঘোরে! শহরে থাকলে এসব জানা যায় না। তাই অবাক হতেই পারেন শুনে। নিজের ত্বক, দাঁত, চুলের মতোই এখানে নিজের অস্তিত্বের আরেক নাম গ্রাম। ফলে নদী গ্রাম ভাঙলে মানুষ নতুন বসতি তৈরি করে পুরোনো গ্রামের নামে। আমরা হাঁটতে থাকি। চারদিকে পলিজমা কৃষিজমি। সেই জমিতে জন্মে সুল্টি কলাই। মসুর ডালের মতো দেখতে মনে হলেও সেটা মসুর ডাল নয়। দেশের অন্য কোনো জায়গায় জন্মে না। এই অঞ্চলেই জন্মে। শুনলাম, সুল্টি কলাইয়ের ডাল বেশ সুস্বাদু।
খুব বড় চর নয় শাখাহাতি। বন্ধুর সেই চর পুরোটাই হেঁটে হেঁটে ঘুরলাম আমরা। ঠাকুরি কলাই, মাষকলাই, খেসারি কলাই, গাঞ্জিয়া ধান, ভুট্টা, সরষে আর চিনেবাদাম—এ সবই জন্মে এই চরে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছ আছে চরে। এখানকার মানুষগুলো প্রাগৈতিহাসিক সরল, শহরের তুলনায়। বিনোদন বলতে তেমন কিছু নেই। একটিমাত্র ডিশ অ্যান্টেনা দেখা গেল পুরো চরে। আর আছে সাউন্ড বক্স। যখন-তখন বাজে—হিন্দি আর বাংলা গান। শিশুরা গানের তালে নাচে। বড়রা বিরক্ত হয় না।
হাঁটতে হাঁটতে সেই চরেরই আরেক প্রান্তে পৌঁছালাম আমরা চায়ের খোঁজে। সেই অংশের নাম বৈলমন্দিয়ার খাতা। পুরো চরে দু-তিনটি চায়ের দোকান; তার একটি এখানে। হাটবার বলে বন্ধ। ফিরে যাব, সে সময় ষাটোর্ধ্ব একজন কোত্থেকে উদয় হয়ে বললেন, ‘বসেন, দেখি কিছু পাই কি না।’ বলেই ডেকে আনলেন এক নারীকে। বোঝা গেল, তিনিই দোকানের মালকিন। চা নেই। অগত্যা চিনেবাদাম ভাজা আর পানি খাওয়া হলো। ষাটোর্ধ্ব সেই মানুষের নাম মো. মঞ্জু মিয়া। বয়স বললেন ৬৭। মঞ্জু মিয়া জানালেন, বয়সের কারণে এখন তিনি খেতে পারেন না খুব একটা। নইলে এক কেজি গাঞ্জিয়া চালের ভাত তাঁর কাছে কিছুই নয়। তবে তাঁরা গাঞ্জিয়া চালের ভাত খেতেন না, কিন্তু অনেক ধানের জাত হারিয়ে গেলে গাঞ্জিয়া ছাড়া উপায় নেই এখন। বেশ অনেকক্ষণ কথা হলো তাঁর সঙ্গে। তারপর উঠতে হলো। বেলা চড়ে যাচ্ছে।
এমন নিবিড় চরের ঘুঘুডাকা দুপুরে চোখে হেল্যুসিনেশন তৈরি হয়, রঙের। সবুজ খেত আর শীতের সোনালি রোদ একধরনের বিভ্রম তৈরি করে চোখে। সেই হেল্যুসিনেশনে দুলতে দুলতে পৌঁছালাম রোকেয়া খাতুনদের বাড়িতে। সেখানে দুপুরের খাবারের আয়োজন। গাঞ্জিয়া চালের ভাত, মাষকলাইয়ের ডাল, ঘাড়ভাঙা মাছের তরকারি বেগুন দিয়ে, বেগুনের পাট ভাজি আর খেসারির কচি পাতার ভাজি পেঁয়াজ-রসুন সাঁতলে। সঙ্গে প্রায় তিন শ মিলিলিটার মোষের দুধ। হ্যাঁ, এই চরে মোষেরা পাল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় আর দুধ দেয়। জমি চাষের দায়িত্ব ট্রাক্টরের। ফলে মোষের দুধ আর দই এখানে পাওয়া যায় প্রচুর। তবে শীতকালে দই ঠিক জমে না বলে কেউ এখন দই পাতে না। দুপুর নামলে আমরা বেরিয়ে পড়ি ফিরতি পথের নৌকা ধরতে।
খেয়াঘাটে নৌকা তখনো পৌঁছায়নি। সেখানে অপেক্ষারত মানুষের মধ্যে দেখা ও কথা হলো মোকছেদ আলীর সঙ্গে। তিনি উত্তর ডাটিয়ার চর প্রামাণিকপাড়ার মানুষ। মধ্য চল্লিশের এই মানুষটি একসময় নৌকা নিয়ে চলে যেতেন বরিশালে। এখন যান না। একসময় পাঁচ-সাত বছর চাকরি করেছিলেন গাজীপুরের কোনো একটি কাপড়ের কলে। ছেড়ে দিয়ে ফিরেছেন চরের গ্রামে। এখন খেতি করেন। গাজীপুরে প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে একবার হ্যান্ডশেক করেছিলেন মোকছেদ আলী। পরপর তিনবার হ্যান্ডশেক করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর, একই দিনে। সেই স্মৃতি মোকছেদ আলী কোনো দিন ভুলবেন না। দেশের রাজার নরম কোমল হাত! আকার-আকৃতি হাত দিয়ে মেপে দেখালেন মোকছেদ আলী। এখন কী করেন? ‘খেতি।’ বিঘা চল্লিশ জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন ধান, মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা। শ্রম আছে, চাপও আছে। কিন্তু আনন্দও আছে। পেঁয়াজ লাগিয়েছেন জমিতে। বিঘাপ্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। উঠে আসবে বেশ খানিকটা লাভসহ, যদি বৃষ্টিতে নষ্ট না হয়। বৃষ্টি হলে সব শেষ। তার পরও চাষ করছেন? ‘কিষান বাচে আশায় কাকা।’ চন্দ্রবিন্দু বাদ দিয়ে স্পষ্ট করেই কথাটি বললেন মোকছেদ আলী।
নারী-পুরুষ মিলে জনা কুড়ি মানুষ উঠলাম আমরা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খেয়া নৌকায়। বেশির ভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। করোনা নামের এক মহামারি যে পৃথিবী কাঁপিয়ে দিচ্ছে, চরের মানুষ সম্ভবত সেটা জানেই না। কেউ করোনা নিয়ে কোনো কথাই বলল না। এবারের গন্তব্য জোরগাছ হাট।
ব্রহ্মপুত্র বহি চলে নিরবধি। তার ওপর চর। তার ওপর বসে হাট। এই হাটের দুটি অংশ, নদীর তীরে একাংশ আর চরে একাংশ। চরের অংশের নাম জোরগাছ নামাহাট। দুই অংশই বসে রবি আর বুধবার। মোকছেদ আলীর মতো শত শত মানুষের গন্তব্য জোরগাছের নামাহাট। সপ্তাহের শুধু নয়, বহু প্রয়োজনীয় বিকিকিনি চলে সেইখানে। গরু, ঘোড়া, ছাগল, মাছ, চিনেবাদাম, সাবান-তেল-শ্যাম্পু, খাট-পালঙ্ক, ঘটিবাটি—সবকিছুর বিকিকিনি চলে সেখানে।
মোকছেদ আলীরা নেমে যান জোরগাছ হাটের চরের অংশে। আর আমরা চলি শহরের দিকে; শহুরে রুক্ষ ফুসফুসে ভরে ব্রহ্মপুত্রের তাজা বাতাস। কয়েক দিন তাজা রাখবে নিশ্চয়ই।
সূত্র: মননরেখা, চিলমারী সংখ্যা, সম্পাদক: মিজানুর রহমান নাসিম, ২০২১

লোকে তারে কয় মহানদী। হামরা তারে কই মহর্ষি, ব্রহ্মপুত্র। এবং আশ্চর্যের বিষয়, কুড়িগ্রাম থেকে সোজা ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী বন্দরের দিকে গাড়ি হাঁকানোর সময় যে বিলটি পার হতে হয়, তার নাম নিধুয়া পাথার। সেই পাথারের এপার-ওপার দেখা যেত না একসময়। এখন তার বুক চিরে পিচের রাস্তা। সেই রাস্তায় চলে গাড়ি। সেই গাড়িতে বসে সোজা গিয়ে নামা যায় রমনা ঘাটে, যেখানে এখন মহানদী ব্রহ্মপুত্রের অধিষ্ঠান। সৈয়দ শামসুল হক যাকে বলেছেন ‘লৌহিত্য নদ’। ডেকেছেন ‘বাংলার জ্যেষ্ঠ সন্তান’ বলে। বলেছেন মহৎ, বলেছেন স্মৃতিধর, দয়াবান, প্রভাষক; আরও অনেক কিছু। আলোচকেরা তাকে বলেন ‘প্রাচীন বাংলার নদীপথের কেন্দ্রস্থল।’
এই যে এইখানে এসে এখন দাঁড়ায় মানুষ, যাকে ডাকা হয় রমনা ঘাট, সেখান থেকে ব্রহ্মপুত্রের অন্য পাড়ের দূরত্ব প্রায় পনেরো কিলোমিটার। পাহাড় ছেড়ে ব্রহ্মপুত্র যেখানে পলিমাটিতে পড়েছে, সেখানে তার প্রস্থ পঁচিশ থেকে ত্রিশ কিলোমিটার। এই বিশাল বপুর যে নদ, তাকে মহানদ ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় কি? এই বিশাল নদীর বুকে সেই ষোলো শতকে মধু সাধুখাঁ বজরা নিয়ে ভেসে বেড়াতেন বাণিজ্যের আশায়। শুধু মধু সাধুখাঁই নন। বৃহৎ বঙ্গের প্রায় তামাম বাণিজ্য হতো ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে থাকা চিলমারী বন্দর দিয়ে।
এই যে এইখানে নদীর বুক চিরে জেগে উঠেছে চর, সেই চরের ওপরে বসে হাট, সেই হাটের হাজারো মানুষের একজন হয়ে আমি গল্প শুনি এক কিংবদন্তির চিলমারীর। এখন সেখানে মধু সাধুখাঁ নেই। আছেন মেম্বার রফিকুল ইসলাম, মঞ্জু মিয়া, মোকছেদ আলী, রোকেয়া খাতুন কিংবা ছোট্ট ইব্রাহিম— চোখেমুখে যাদের অপার কৌতূহল, শরীর ও মননে যারা শোনে ব্রহ্মপুত্রের ডাক। তাদের গল্প শুনি। একেবারেই ভিন্ন, এই সময়ের গল্প।
চিলমারী এখন কুড়িগ্রাম জেলার একটি উপজেলা মাত্র। আর ‘চিলমারী’ নামের সেই বিখ্যাত বন্দর এখন ব্রহ্মপুত্রের পশ্চিম তীর ছেড়ে ভাঙতে ভাঙতে চলে গেছে পূর্ব দিকে। প্রশাসনিক মাপকাঠিতে সেটি এখন একটি ইউনিয়ন মাত্র। মূলত চিলমারী সদর ইউনিয়ন আর অষ্টমীর চর, যা বারুণি স্নানের জন্য বিখ্যাত—এ দুটিই ছিল প্রাচীন চিলমারীর পশ্চিম প্রান্তের দুই সমৃদ্ধ জনপদ। ভাঙনের কারণে দুটি এলাকাই এখন ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব দিকে চলে গেছে।
এই ভাঙনের কারণেই চিলমারী বন্দরকে ছয়বার স্থানান্তর করতে হয়েছে। বন্দরের সঙ্গে সরাতে হয়েছে প্রশাসনিক ভবনও। এখন যে রমনা রেলস্টেশন বা রমনা ঘাট বা যেখান থেকে রাজিবপুর-রৌমারীর নৌকা ছাড়ে, তার বয়স অর্ধশত বছরের কম। রমনা ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের চর শাখাহাতিতে ছিল চিলমারী স্টেশন। সেটা নদীতে ভেঙে বিলীন হওয়ার পর ঘাট ও রেলস্টেশন আসে রমনায় বা এখনকার জায়গায়।
আমাদের জানা ইতিহাসমাত্রই মুঘল আমল থেকে। উজান কিংবা ভাটি, মুঘল আমলে যেখানেই যাওয়া হোক না কেন, যেতে হতো এই ব্রহ্মপুত্রের ওপর দিয়েই। আর তার প্রধান বন্দর ছিল চিলমারী। এখানে নৌযান থামত, বদল হতো দিক, যাত্রী উঠত কিংবা নামত। যদি নৌযান সোজাও চলত, চিলমারী ছিল অনিবার্য ‘বিরতিস্থল ও বাণিজ্যকেন্দ্র’। এখান থেকেই গন্তব্য নির্ধারিত হতো তিব্বত, ভুটান অথবা নেপালের পথে কিংবা বৃহৎ বঙ্গের বিস্তীর্ণ জনপদে। বাণিজ্য হতো কস্তুরি আর পোস্তদানার, যষ্টিমধু, এন্ডি সিল্ক আর ভোটকম্বলের। কখনো সন্তরা আর আমলকীরও। সন্তরা মানে কমলা। নেপাল বা আরও ওপরের দেশগুলো থেকে কমলা আসত চিলমারী দিয়েই। শুধু বাণিজ্যই নয়। নৌযুদ্ধেও চিলমারী ছিল প্রধানতম জলপথ। সে জন্যই সম্ভবত মুঘলদের জাহাজনির্মাণ শিল্প তৈরি হয়েছিল চিলমারীকে কেন্দ্র করে। সেই চিলমারীর বন্দর ঘন কুয়াশায় ঝাপসা এখন।
উপজেলা চিলমারীর আড়মোড়া ভাঙেনি তখনো। সকাল ৮টা। আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন রমনা খেয়াঘাটের মাঝি মমিনুল আর চর শাখাহাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাহিদ হাসান। ‘মনন রেখা’ নামের একটি ষাণ্মাসিক পত্রিকার সম্পাদক মিজানুর রহমান নাসিমসহ যখন রমনা ঘাটে পৌঁছলাম, তখন কুয়াশা কেটে গিয়ে অদ্ভুত এক ঝলমলে রোদ ব্রহ্মপুত্রের বুকে। সেই রোদে দেখা যায় রৌমারী ও রাজিবপুর থেকে দুটি খেয়া নৌকা এসে লেগেছে রমনা ঘাটে; আর দুটি ছেড়ে যাওয়ার জোগাড়যন্ত্র করছে। আমরা চলেছি চর শাখাহাতি।
রমনা ঘাট থেকে নৌকা ছাড়তেই মাদকতা মাখা ঠান্ডা বাতাসের পরশ ছুঁয়ে গেল আমাদের শরীর। পূর্বমুখী নৌকার হাল ধরে বসে আছেন মমিনুল; কিংবদন্তি থেকে উঠে আসা এক মাঝির মতো। কালচে পেশিবহুল শরীর। অভিজ্ঞ চোখ। কিন্তু মাঝ নদীতে দারুণ বিনয়ী। গুটগুট করে শ্যালো মেশিনের নৌকা চলছে। ছইয়ের ওপর আমরা তিনজন। নিচে আরও কয়েকজন। কিন্তু কোনো সাড়া নেই। আমরা কথা বলে চলেছি। ওপরে মাঘের নির্মেঘ আকাশ আর নিচে টলটলে নীল জল। তার ওপর রাজহাঁসের মতো ঢেউ কেটে চলেছে শ্যালো নৌকা। গলুইয়ে হাল ধরে বসে আছেন একা এক নিঃসঙ্গ মাঝি মমিনুল। নাহিদ হাসান বললেন, ব্রহ্মপুত্র বিষয়ে মমিুনলের অনেক জ্ঞান। শুনে তিনি হাসলেন। আমি নিশ্চিত, শতসহস্র কুড়ার নদী ব্রহ্মপুত্রকে মনুষ্যজ্ঞানে যে ধরা যায় না, সেটা মমিনুল ভালোই জানেন। আর জানেন বলেই তিনি হাসছেন। নৌকার ছইয়ে বসে মমিনুলের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, এক নিঃসঙ্গ মাঝি ব্রহ্মপুত্রের বুক চিরে চলেছেন গন্তব্যে। এই নদীর বুকে ভাগ্য বলে কিছু নেই, সেটা তিনি জানেন। এক নদী গবেষক বলেন, ‘এইখানে, এই মহানদীর কারণে মানুষের ভাগ্য ও ভূখণ্ড দুটোই ভাঙে।’
টলটলে নীল জলের ওপর দিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা গিয়ে থামল চরের খেয়াঘাটে। নৌকা থেকে নেমে হাঁটা শুরু। একটুখানি এগোতেই দেখা হলো এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। ষাটের কোঠায় বয়স তাঁর। নাহিদ হাসানের পরিচিত। মূলত পুরো চরটিই তাঁর পরিচিত। রফিুকল ইসলাম হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, ‘ওই যে ওই সরিষার খেত, ওইখানে আছিল রেল স্টেশন। এলা ভাঙি গেইছে।’ তাকিয়ে দেখলাম, নির্দিষ্ট জায়গাটিতে এখন হলুদ সরিষা মাঘের হাওয়ায় দুলছে। আমরা এগিয়ে গেলাম চর শাখাহাতির দিকে।
এখানে মানুষ গ্রাম সঙ্গে নিয়ে ঘোরে! শহরে থাকলে এসব জানা যায় না। তাই অবাক হতেই পারেন শুনে। নিজের ত্বক, দাঁত, চুলের মতোই এখানে নিজের অস্তিত্বের আরেক নাম গ্রাম। ফলে নদী গ্রাম ভাঙলে মানুষ নতুন বসতি তৈরি করে পুরোনো গ্রামের নামে। আমরা হাঁটতে থাকি। চারদিকে পলিজমা কৃষিজমি। সেই জমিতে জন্মে সুল্টি কলাই। মসুর ডালের মতো দেখতে মনে হলেও সেটা মসুর ডাল নয়। দেশের অন্য কোনো জায়গায় জন্মে না। এই অঞ্চলেই জন্মে। শুনলাম, সুল্টি কলাইয়ের ডাল বেশ সুস্বাদু।
খুব বড় চর নয় শাখাহাতি। বন্ধুর সেই চর পুরোটাই হেঁটে হেঁটে ঘুরলাম আমরা। ঠাকুরি কলাই, মাষকলাই, খেসারি কলাই, গাঞ্জিয়া ধান, ভুট্টা, সরষে আর চিনেবাদাম—এ সবই জন্মে এই চরে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর গাছ আছে চরে। এখানকার মানুষগুলো প্রাগৈতিহাসিক সরল, শহরের তুলনায়। বিনোদন বলতে তেমন কিছু নেই। একটিমাত্র ডিশ অ্যান্টেনা দেখা গেল পুরো চরে। আর আছে সাউন্ড বক্স। যখন-তখন বাজে—হিন্দি আর বাংলা গান। শিশুরা গানের তালে নাচে। বড়রা বিরক্ত হয় না।
হাঁটতে হাঁটতে সেই চরেরই আরেক প্রান্তে পৌঁছালাম আমরা চায়ের খোঁজে। সেই অংশের নাম বৈলমন্দিয়ার খাতা। পুরো চরে দু-তিনটি চায়ের দোকান; তার একটি এখানে। হাটবার বলে বন্ধ। ফিরে যাব, সে সময় ষাটোর্ধ্ব একজন কোত্থেকে উদয় হয়ে বললেন, ‘বসেন, দেখি কিছু পাই কি না।’ বলেই ডেকে আনলেন এক নারীকে। বোঝা গেল, তিনিই দোকানের মালকিন। চা নেই। অগত্যা চিনেবাদাম ভাজা আর পানি খাওয়া হলো। ষাটোর্ধ্ব সেই মানুষের নাম মো. মঞ্জু মিয়া। বয়স বললেন ৬৭। মঞ্জু মিয়া জানালেন, বয়সের কারণে এখন তিনি খেতে পারেন না খুব একটা। নইলে এক কেজি গাঞ্জিয়া চালের ভাত তাঁর কাছে কিছুই নয়। তবে তাঁরা গাঞ্জিয়া চালের ভাত খেতেন না, কিন্তু অনেক ধানের জাত হারিয়ে গেলে গাঞ্জিয়া ছাড়া উপায় নেই এখন। বেশ অনেকক্ষণ কথা হলো তাঁর সঙ্গে। তারপর উঠতে হলো। বেলা চড়ে যাচ্ছে।
এমন নিবিড় চরের ঘুঘুডাকা দুপুরে চোখে হেল্যুসিনেশন তৈরি হয়, রঙের। সবুজ খেত আর শীতের সোনালি রোদ একধরনের বিভ্রম তৈরি করে চোখে। সেই হেল্যুসিনেশনে দুলতে দুলতে পৌঁছালাম রোকেয়া খাতুনদের বাড়িতে। সেখানে দুপুরের খাবারের আয়োজন। গাঞ্জিয়া চালের ভাত, মাষকলাইয়ের ডাল, ঘাড়ভাঙা মাছের তরকারি বেগুন দিয়ে, বেগুনের পাট ভাজি আর খেসারির কচি পাতার ভাজি পেঁয়াজ-রসুন সাঁতলে। সঙ্গে প্রায় তিন শ মিলিলিটার মোষের দুধ। হ্যাঁ, এই চরে মোষেরা পাল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় আর দুধ দেয়। জমি চাষের দায়িত্ব ট্রাক্টরের। ফলে মোষের দুধ আর দই এখানে পাওয়া যায় প্রচুর। তবে শীতকালে দই ঠিক জমে না বলে কেউ এখন দই পাতে না। দুপুর নামলে আমরা বেরিয়ে পড়ি ফিরতি পথের নৌকা ধরতে।
খেয়াঘাটে নৌকা তখনো পৌঁছায়নি। সেখানে অপেক্ষারত মানুষের মধ্যে দেখা ও কথা হলো মোকছেদ আলীর সঙ্গে। তিনি উত্তর ডাটিয়ার চর প্রামাণিকপাড়ার মানুষ। মধ্য চল্লিশের এই মানুষটি একসময় নৌকা নিয়ে চলে যেতেন বরিশালে। এখন যান না। একসময় পাঁচ-সাত বছর চাকরি করেছিলেন গাজীপুরের কোনো একটি কাপড়ের কলে। ছেড়ে দিয়ে ফিরেছেন চরের গ্রামে। এখন খেতি করেন। গাজীপুরে প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে একবার হ্যান্ডশেক করেছিলেন মোকছেদ আলী। পরপর তিনবার হ্যান্ডশেক করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর, একই দিনে। সেই স্মৃতি মোকছেদ আলী কোনো দিন ভুলবেন না। দেশের রাজার নরম কোমল হাত! আকার-আকৃতি হাত দিয়ে মেপে দেখালেন মোকছেদ আলী। এখন কী করেন? ‘খেতি।’ বিঘা চল্লিশ জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন ধান, মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা। শ্রম আছে, চাপও আছে। কিন্তু আনন্দও আছে। পেঁয়াজ লাগিয়েছেন জমিতে। বিঘাপ্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। উঠে আসবে বেশ খানিকটা লাভসহ, যদি বৃষ্টিতে নষ্ট না হয়। বৃষ্টি হলে সব শেষ। তার পরও চাষ করছেন? ‘কিষান বাচে আশায় কাকা।’ চন্দ্রবিন্দু বাদ দিয়ে স্পষ্ট করেই কথাটি বললেন মোকছেদ আলী।
নারী-পুরুষ মিলে জনা কুড়ি মানুষ উঠলাম আমরা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খেয়া নৌকায়। বেশির ভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। করোনা নামের এক মহামারি যে পৃথিবী কাঁপিয়ে দিচ্ছে, চরের মানুষ সম্ভবত সেটা জানেই না। কেউ করোনা নিয়ে কোনো কথাই বলল না। এবারের গন্তব্য জোরগাছ হাট।
ব্রহ্মপুত্র বহি চলে নিরবধি। তার ওপর চর। তার ওপর বসে হাট। এই হাটের দুটি অংশ, নদীর তীরে একাংশ আর চরে একাংশ। চরের অংশের নাম জোরগাছ নামাহাট। দুই অংশই বসে রবি আর বুধবার। মোকছেদ আলীর মতো শত শত মানুষের গন্তব্য জোরগাছের নামাহাট। সপ্তাহের শুধু নয়, বহু প্রয়োজনীয় বিকিকিনি চলে সেইখানে। গরু, ঘোড়া, ছাগল, মাছ, চিনেবাদাম, সাবান-তেল-শ্যাম্পু, খাট-পালঙ্ক, ঘটিবাটি—সবকিছুর বিকিকিনি চলে সেখানে।
মোকছেদ আলীরা নেমে যান জোরগাছ হাটের চরের অংশে। আর আমরা চলি শহরের দিকে; শহুরে রুক্ষ ফুসফুসে ভরে ব্রহ্মপুত্রের তাজা বাতাস। কয়েক দিন তাজা রাখবে নিশ্চয়ই।
সূত্র: মননরেখা, চিলমারী সংখ্যা, সম্পাদক: মিজানুর রহমান নাসিম, ২০২১

দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৩৮ মিনিট আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

লোকে তারে কয় মহানদী। সৈয়দ শামসুল হক বলেছেন ‘লৌহিত্য নদ’। ডেকেছেন ‘বাংলার জ্যেষ্ঠ সন্তান’ বলে। বলেছেন মহৎ, বলেছেন মহর্ষি আরও অনেক কিছু। আমরা তারে বলি ব্রহ্মপুত্র। মহানদী ব্রহ্মপুত্র। প্রাচীন বাংলার নদীপথের কেন্দ্রস্থল।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

লোকে তারে কয় মহানদী। সৈয়দ শামসুল হক বলেছেন ‘লৌহিত্য নদ’। ডেকেছেন ‘বাংলার জ্যেষ্ঠ সন্তান’ বলে। বলেছেন মহৎ, বলেছেন মহর্ষি আরও অনেক কিছু। আমরা তারে বলি ব্রহ্মপুত্র। মহানদী ব্রহ্মপুত্র। প্রাচীন বাংলার নদীপথের কেন্দ্রস্থল।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৩৮ মিনিট আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

লোকে তারে কয় মহানদী। সৈয়দ শামসুল হক বলেছেন ‘লৌহিত্য নদ’। ডেকেছেন ‘বাংলার জ্যেষ্ঠ সন্তান’ বলে। বলেছেন মহৎ, বলেছেন মহর্ষি আরও অনেক কিছু। আমরা তারে বলি ব্রহ্মপুত্র। মহানদী ব্রহ্মপুত্র। প্রাচীন বাংলার নদীপথের কেন্দ্রস্থল।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৩৮ মিনিট আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

লোকে তারে কয় মহানদী। সৈয়দ শামসুল হক বলেছেন ‘লৌহিত্য নদ’। ডেকেছেন ‘বাংলার জ্যেষ্ঠ সন্তান’ বলে। বলেছেন মহৎ, বলেছেন মহর্ষি আরও অনেক কিছু। আমরা তারে বলি ব্রহ্মপুত্র। মহানদী ব্রহ্মপুত্র। প্রাচীন বাংলার নদীপথের কেন্দ্রস্থল।
২৬ জানুয়ারি ২০২২
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
৩৮ মিনিট আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে