রিক্তা রিচি
শিশু যত্নে বাড়ে। সমৃদ্ধ হয় তার আবেগীয় বিকাশ। ছোট ছোট হাত, কোমল মন, আর কৌতূহলী দুই চোখ নিয়ে বেড়ে ওঠে শিশু। রাজ্যের জিজ্ঞাসা, অভিমান, রাগ-ক্রোধই যেন তার বৈশিষ্ট্য। শৈশব–কৈশোরে শিশুর আবেগীয় ও মানসিক বিকাশ ঠিক ততটুকুই ঘটে, যতটুকু আপনি বা আমি যত্ন করব।
হ্যাঁ, শিশুর বিকাশে অভিভাবক হিসেবে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নয় তো তার মেধা ও মনন ফুলের মতো প্রস্ফুটিত হবে না; এক আকাশ শূন্যতা নিয়ে বেড়ে উঠবে সে।
মনোবিজ্ঞানী হাইম গিনোট মনে করেন, ‘শিশুরা হচ্ছে ভেজা মাটির মতো। এর ওপর যা কিছু পড়ে, তার ছাপ ফুটে ওঠে।’
শিশুর আপন জগতকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘শিশুরা হচ্ছে এমন এক প্রকার প্রাণী, যারা নিজেরা নিজেদের জগত তৈরি করে।’
তাই অভিভাবক হিসেবে আমাদের উচিত শিশুর শক্তি ও সামর্থ্য বাড়ানোর প্রতি যত্নশীল হওয়া। শিশুদের ইচ্ছা ও স্বপ্নের ঘুড়িটা যেন আকাশ ছুঁতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার চিন্তা নিজে নির্ধারণের চেষ্টা করবেন না। নৃবিজ্ঞানী মার্গারেট মিড যেমন মনে করেন, ‘শিশুদের শিক্ষা দেওয়া উচিত তারা কীভাবে চিন্তা করবে। কী চিন্তা করবে সেটা নয়।’
কখনো ভেবেছেন আপনার শিশুর ইতিবাচকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য করণীয় কী? নাকি মনে হয়েছে, শিশুরা এমনিই বেড়ে ওঠে? সাইকোলজি টুডে’র এক প্রতিবেদনে এমন কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে—
১. সন্তানের শক্তি ও সবলতার সন্ধান করুন। তাকে আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে গড়ে তুলুন। সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ব্যাপারেও যত্নশীল হোন।
২. ভালো কাজের জন্য সন্তানকে উৎসাহ দিন। কারণ, আপনার প্রেরণাই পারে তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে। তার দূর্বলতাগুলোকে অবজ্ঞা না করে, শোধরানোর সময় দিন।
৩. আপনার রাগ-ক্রোধ-খারাপ আচরণ শিশুর সামনে দেখাবেন না। এতে তারা সেগুলো রপ্ত করে ফেলবে। শিশুরা ভীষণ অনুকরণপ্রিয়। ভালো কিংবা মন্দ দুই-ই অনুকরণ করবে।
৪. সন্তানের ছোট ছোট আবেগগুলোকে নেতিবাচকভাবে গ্রহণ না করে, ইতিবাচকভাবে নিন। তার অবুঝ ভাবনাগুলো নিয়ে রসিকতা কিংবা বিদ্রুপ করবেন না। তাকে শান্ত মাথায় বোঝান কোন আচরণগুলো খারাপ, কোনগুলো ভালো।
৫. অনেকেই সন্তানকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করেন। অনেক সময় এমনকি দুই সহোদরের মধ্যেও তুলনা করেন। এই আচরণ শিশুর মনে স্থায়ী দাগ কাটে। এমন আচরণ থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।
৬. সন্তানকে সময় দিন। সন্তানের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করুন। হতে পারে ছুটির দিনের কোনো এক বেলা আপনি বেড়াতে যাবেন। হতে পারে অবসরে বেশি সময় বিশ্রাম নেবেন। একপাক্ষিক চিন্তা না করে, শিশুর জন্য আনন্দদায়ক কিছু চিন্তা করুন। সন্তানকে আনন্দে রাখুন। এতে সন্তানের কাছে আপনি পৃথিবীর সেরা ব্যক্তি হয়ে উঠবেন। পরম বিশ্বাস, ভরসা ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবেন।
৭. আপনার সন্তানের অনেক জিজ্ঞাসা থাকতে পারে। সে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তার সব সমস্যা আপনি ধৈর্য সহকারে সমাধান করুন। শৈশব ও কৈশোরে বাবা মায়ের ধৈর্য ও একাগ্রতা দেখে সন্তান অনেক কিছু শিখতে পারে।
৮. মোট কথা, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। তবে আপনার ছেলেমেয়ে ইন্টারনেটে কী সার্চ করছে, কত সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। কাঁচা বয়সে যেন অধিক পাকা না হয়ে যায়, সে দিকটাও আপনাকেই দেখতে হবে।
শিশু যত্নে বাড়ে। সমৃদ্ধ হয় তার আবেগীয় বিকাশ। ছোট ছোট হাত, কোমল মন, আর কৌতূহলী দুই চোখ নিয়ে বেড়ে ওঠে শিশু। রাজ্যের জিজ্ঞাসা, অভিমান, রাগ-ক্রোধই যেন তার বৈশিষ্ট্য। শৈশব–কৈশোরে শিশুর আবেগীয় ও মানসিক বিকাশ ঠিক ততটুকুই ঘটে, যতটুকু আপনি বা আমি যত্ন করব।
হ্যাঁ, শিশুর বিকাশে অভিভাবক হিসেবে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নয় তো তার মেধা ও মনন ফুলের মতো প্রস্ফুটিত হবে না; এক আকাশ শূন্যতা নিয়ে বেড়ে উঠবে সে।
মনোবিজ্ঞানী হাইম গিনোট মনে করেন, ‘শিশুরা হচ্ছে ভেজা মাটির মতো। এর ওপর যা কিছু পড়ে, তার ছাপ ফুটে ওঠে।’
শিশুর আপন জগতকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘শিশুরা হচ্ছে এমন এক প্রকার প্রাণী, যারা নিজেরা নিজেদের জগত তৈরি করে।’
তাই অভিভাবক হিসেবে আমাদের উচিত শিশুর শক্তি ও সামর্থ্য বাড়ানোর প্রতি যত্নশীল হওয়া। শিশুদের ইচ্ছা ও স্বপ্নের ঘুড়িটা যেন আকাশ ছুঁতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার চিন্তা নিজে নির্ধারণের চেষ্টা করবেন না। নৃবিজ্ঞানী মার্গারেট মিড যেমন মনে করেন, ‘শিশুদের শিক্ষা দেওয়া উচিত তারা কীভাবে চিন্তা করবে। কী চিন্তা করবে সেটা নয়।’
কখনো ভেবেছেন আপনার শিশুর ইতিবাচকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য করণীয় কী? নাকি মনে হয়েছে, শিশুরা এমনিই বেড়ে ওঠে? সাইকোলজি টুডে’র এক প্রতিবেদনে এমন কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে—
১. সন্তানের শক্তি ও সবলতার সন্ধান করুন। তাকে আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে গড়ে তুলুন। সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ব্যাপারেও যত্নশীল হোন।
২. ভালো কাজের জন্য সন্তানকে উৎসাহ দিন। কারণ, আপনার প্রেরণাই পারে তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে। তার দূর্বলতাগুলোকে অবজ্ঞা না করে, শোধরানোর সময় দিন।
৩. আপনার রাগ-ক্রোধ-খারাপ আচরণ শিশুর সামনে দেখাবেন না। এতে তারা সেগুলো রপ্ত করে ফেলবে। শিশুরা ভীষণ অনুকরণপ্রিয়। ভালো কিংবা মন্দ দুই-ই অনুকরণ করবে।
৪. সন্তানের ছোট ছোট আবেগগুলোকে নেতিবাচকভাবে গ্রহণ না করে, ইতিবাচকভাবে নিন। তার অবুঝ ভাবনাগুলো নিয়ে রসিকতা কিংবা বিদ্রুপ করবেন না। তাকে শান্ত মাথায় বোঝান কোন আচরণগুলো খারাপ, কোনগুলো ভালো।
৫. অনেকেই সন্তানকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করেন। অনেক সময় এমনকি দুই সহোদরের মধ্যেও তুলনা করেন। এই আচরণ শিশুর মনে স্থায়ী দাগ কাটে। এমন আচরণ থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।
৬. সন্তানকে সময় দিন। সন্তানের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করুন। হতে পারে ছুটির দিনের কোনো এক বেলা আপনি বেড়াতে যাবেন। হতে পারে অবসরে বেশি সময় বিশ্রাম নেবেন। একপাক্ষিক চিন্তা না করে, শিশুর জন্য আনন্দদায়ক কিছু চিন্তা করুন। সন্তানকে আনন্দে রাখুন। এতে সন্তানের কাছে আপনি পৃথিবীর সেরা ব্যক্তি হয়ে উঠবেন। পরম বিশ্বাস, ভরসা ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবেন।
৭. আপনার সন্তানের অনেক জিজ্ঞাসা থাকতে পারে। সে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তার সব সমস্যা আপনি ধৈর্য সহকারে সমাধান করুন। শৈশব ও কৈশোরে বাবা মায়ের ধৈর্য ও একাগ্রতা দেখে সন্তান অনেক কিছু শিখতে পারে।
৮. মোট কথা, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। তবে আপনার ছেলেমেয়ে ইন্টারনেটে কী সার্চ করছে, কত সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। কাঁচা বয়সে যেন অধিক পাকা না হয়ে যায়, সে দিকটাও আপনাকেই দেখতে হবে।
চলতি ট্রেন্ডে ঘুরতে যাওয়া মানে কেবল শরীর ও মন তরতাজা করাই নয়, ফেসবুক-ইনস্টাতে ভালো ভালো ছবি তো আপলোড করে নিজের আনন্দের মুহূর্তগুলো বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়াও। আর সুন্দর ছবি তোলার জন্য চাই মনকাড়া পোশাক। কিন্তু আলমারি ভর্তি এত রংবেরঙের পোশাকের ভেতর থেকে কোনটি বেছে নেবেন আর কোনটি নেবেন না,
৪০ মিনিট আগেএশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম ইন্দোনেশিয়া; বিশেষ করে বালি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, বালির বাইরে ইন্দোনেশিয়ায় আরও অনেক কিছু দেখার আছে? হ্যাঁ, আছে। বালি ছাড়াও দেশটিতে এমন পাঁচটি দ্বীপ আছে, যেগুলো এখনো কম পরিচিত।
২ ঘণ্টা আগেপরদিন শুক্রবার। তাই বৃহস্পতিবার রাতে ঘুম হারাম। রাতভর এপাশ-ওপাশ করতে করতে ভোর চারটা। এর মাঝেই মোবাইল ফোন বাজতে শুরু করে। অমনি বিছানা ছেড়ে শুরু হলো বের হওয়ার জোর চেষ্টা।
৪ ঘণ্টা আগেভ্রমণের সময় ব্যাগের অতিরিক্ত ওজন অনেকের জন্য ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে বিমানবন্দরে বাড়তি চার্জ দিতে হয়। এতে খরচও বাড়ে। এ জন্য কিছু সহজ কৌশল মেনে চললে এই খরচ এড়ানো যায়।
৫ ঘণ্টা আগে