ফিচার ডেস্ক
এশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম ইন্দোনেশিয়া; বিশেষ করে বালি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, বালির বাইরে ইন্দোনেশিয়ায় আরও অনেক কিছু দেখার আছে? হ্যাঁ, আছে। বালি ছাড়াও দেশটিতে এমন পাঁচটি দ্বীপ আছে, যেগুলো এখনো কম পরিচিত। তবে সেগুলোর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৭০ হাজার দ্বীপ রয়েছে। এর অনেক দ্বীপের সৌন্দর্য কল্পনাতীত। স্বপ্নময় নিসর্গ, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং বিস্ময়কর প্রাকৃতিক ঘটনায় পরিপূর্ণ ওই অঞ্চলগুলো।
রাজা আম্পাত দ্বীপপুঞ্জ
পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের বান্দা সাগরে অবস্থিত চারটি রাজকীয় নিয়ে গঠিত রাজা আম্পাত দ্বীপপুঞ্জ। দ্বীপ চারটি হলো ওয়াইগেও, বাতানতা, সালাওয়াতি ও মিসুল। সেখানে স্বচ্ছ নীল পানির ওপর দাঁড়িয়ে আছে পর্বত। শক্তিশালী স্রোতের প্রভাবে গঠিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় প্রবালপ্রাচীর। পাথুরে শিখর আর ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে এক রঙিন সামুদ্রিক জীবজগৎ বিরাজ করছে দ্বীপগুলোজুড়ে। এই দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ পরিচিত প্রবাল এবং এক হাজারের বেশি মাছের প্রজাতি। এসব মিলে রাজা আম্পাত দ্বীপপুঞ্জ হয়ে উঠেছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের কেন্দ্রবিন্দু।
সুলাওয়েসি
অর্কিডের মতো দেখতে সুলাওয়েসি দ্বীপ। এর কেন্দ্রে রয়েছে তোরাজা জনগোষ্ঠীর বাসভূমি। এখানে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে গেছে ধাপে ধাপে সাজানো ধানখেত। এখানকার ঐতিহ্যবাহী ঘরগুলোকে বলা হয় টংকোনান বা তংকনান। সেগুলোর ছাদ বিশাল মহিষের শিংয়ের মতো ওপরের দিকে বাঁকানো। তানা তোরাজা অঞ্চলের কেটে কেসু ও লেমো গ্রামে আজও পালিত হয় সেখানকার ঐতিহ্যবাহী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। এর আনুষ্ঠানিকতা কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। এখানে পর্বতের গায়ে খোদাই করা গুহায় রাখা থাকে ‘তাউ-তাউ’ অর্থাৎ মৃতদের রক্ষক প্রতিকৃতি।
ফ্লোরেস
ফ্লোরেস দ্বীপের মাউন্ট কেলিমুতুর শীর্ষে তিনটি আগ্নেয়গিরির গহ্বর রয়েছে। সেগুলোর প্রতিটিতে আছে ভিন্ন ভিন্ন রঙের হ্রদ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬৩৯ মিটার উঁচু এই পর্বতে রং পরিবর্তনের রহস্য রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে। হ্রদগুলো রং বদলায়—কখনো গাঢ় কালো, কখনো পান্না সবুজ, ফিরোজা, গোলাপি কিংবা লাল রং। ভোরবেলায় কুয়াশা কেটে গেলে তিউ আত পলো বা জাদুময় হ্রদ ধাতব দীপ্তি নিয়ে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই হ্রদ হলো মৃত আত্মাদের শেষ আশ্রয়।
বান্দা দ্বীপপুঞ্জ
মালুক্কা অঞ্চলের কেন্দ্রে, ভারত মহাসাগরে ভাসমান দশটি আগ্নেয় দ্বীপ গঠিত হয়েছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে। একসময় এই দ্বীপগুলোই ছিল বিশ্বে একমাত্র জায়গা, যেখানে জায়ফল উৎপাদিত হতো। এই মসলা নিয়ে ষোলো শতকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নৌবাহিনীগুলোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। আজও বান্দা নেইরা দ্বীপের ডাচ দুর্গগুলো সেই ইতিহাসের সাক্ষী। এখানকার পানির নিচে ছড়িয়ে আছে পুরোনো দিনের অক্ষত প্রবালপ্রাচীর। এখানে বাতাসে জায়ফল ও লবঙ্গের সুবাসে ভাসতে ভাসতে আপনি হারিয়ে যাবেন এক অজানা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্বর্গে।
সুম্বা
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব অংশে অবস্থিত সুম্বা দ্বীপ। যার ঘাসে ঢাকা সবুজ পাহাড়গুলো গড়িয়ে নেমে গেছে ভারত মহাসাগরের দিকে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এখানকার ঐতিহ্যবাহী গ্রামগুলো। গ্রামের ঘরগুলোর ছাদ দেখতে একেকটা বিশাল টুপির মতো। দ্বীপটি যেন এক জীবন্ত পোস্টকার্ড! এখানে সাগরের ঢেউ যুদ্ধ করতে থাকে নির্জন সৈকতের সঙ্গে। আর ঝরনার নিচে লুকানো আছে পান্না-সবুজ ল্যাগুন। এখানকার জীবনছন্দ এখনো পরম্পরাগত এবং প্রায় আদিম অবস্থায় আছে। ইকাত বয়নশিল্প অথবা পাসোলা নামের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় সেখানে। যে আয়োজনগুলো প্রতিবছর ফসল তোলার মৌসুমে অনুষ্ঠিত হয়।
পর্যটনের একটি উদ্দেশ্য হলো অজানাকে জানা, নতুনকে খুঁজে বের করা। পরিচিত পর্যটন গন্তব্যগুলোতে যাবেন, কিন্তু নতুন জায়গাগুলোতে ঘোরাঘুরির আনন্দ একেবারেই আলাদা। সুযোগ পেলে ইন্দোনেশিয়ার এই প্রায় অচেনা পাঁচটি দ্বীপ ঘুরে আসার চেষ্টা করুন। জীবনে আনন্দ আর জানার পরিধি বেড়ে যাবে অনেক গুণ।
সূত্র: এনভলস
এশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম ইন্দোনেশিয়া; বিশেষ করে বালি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, বালির বাইরে ইন্দোনেশিয়ায় আরও অনেক কিছু দেখার আছে? হ্যাঁ, আছে। বালি ছাড়াও দেশটিতে এমন পাঁচটি দ্বীপ আছে, যেগুলো এখনো কম পরিচিত। তবে সেগুলোর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৭০ হাজার দ্বীপ রয়েছে। এর অনেক দ্বীপের সৌন্দর্য কল্পনাতীত। স্বপ্নময় নিসর্গ, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং বিস্ময়কর প্রাকৃতিক ঘটনায় পরিপূর্ণ ওই অঞ্চলগুলো।
রাজা আম্পাত দ্বীপপুঞ্জ
পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের বান্দা সাগরে অবস্থিত চারটি রাজকীয় নিয়ে গঠিত রাজা আম্পাত দ্বীপপুঞ্জ। দ্বীপ চারটি হলো ওয়াইগেও, বাতানতা, সালাওয়াতি ও মিসুল। সেখানে স্বচ্ছ নীল পানির ওপর দাঁড়িয়ে আছে পর্বত। শক্তিশালী স্রোতের প্রভাবে গঠিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় প্রবালপ্রাচীর। পাথুরে শিখর আর ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে এক রঙিন সামুদ্রিক জীবজগৎ বিরাজ করছে দ্বীপগুলোজুড়ে। এই দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ পরিচিত প্রবাল এবং এক হাজারের বেশি মাছের প্রজাতি। এসব মিলে রাজা আম্পাত দ্বীপপুঞ্জ হয়ে উঠেছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের কেন্দ্রবিন্দু।
সুলাওয়েসি
অর্কিডের মতো দেখতে সুলাওয়েসি দ্বীপ। এর কেন্দ্রে রয়েছে তোরাজা জনগোষ্ঠীর বাসভূমি। এখানে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে গেছে ধাপে ধাপে সাজানো ধানখেত। এখানকার ঐতিহ্যবাহী ঘরগুলোকে বলা হয় টংকোনান বা তংকনান। সেগুলোর ছাদ বিশাল মহিষের শিংয়ের মতো ওপরের দিকে বাঁকানো। তানা তোরাজা অঞ্চলের কেটে কেসু ও লেমো গ্রামে আজও পালিত হয় সেখানকার ঐতিহ্যবাহী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। এর আনুষ্ঠানিকতা কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। এখানে পর্বতের গায়ে খোদাই করা গুহায় রাখা থাকে ‘তাউ-তাউ’ অর্থাৎ মৃতদের রক্ষক প্রতিকৃতি।
ফ্লোরেস
ফ্লোরেস দ্বীপের মাউন্ট কেলিমুতুর শীর্ষে তিনটি আগ্নেয়গিরির গহ্বর রয়েছে। সেগুলোর প্রতিটিতে আছে ভিন্ন ভিন্ন রঙের হ্রদ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৬৩৯ মিটার উঁচু এই পর্বতে রং পরিবর্তনের রহস্য রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে। হ্রদগুলো রং বদলায়—কখনো গাঢ় কালো, কখনো পান্না সবুজ, ফিরোজা, গোলাপি কিংবা লাল রং। ভোরবেলায় কুয়াশা কেটে গেলে তিউ আত পলো বা জাদুময় হ্রদ ধাতব দীপ্তি নিয়ে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই হ্রদ হলো মৃত আত্মাদের শেষ আশ্রয়।
বান্দা দ্বীপপুঞ্জ
মালুক্কা অঞ্চলের কেন্দ্রে, ভারত মহাসাগরে ভাসমান দশটি আগ্নেয় দ্বীপ গঠিত হয়েছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে। একসময় এই দ্বীপগুলোই ছিল বিশ্বে একমাত্র জায়গা, যেখানে জায়ফল উৎপাদিত হতো। এই মসলা নিয়ে ষোলো শতকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নৌবাহিনীগুলোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। আজও বান্দা নেইরা দ্বীপের ডাচ দুর্গগুলো সেই ইতিহাসের সাক্ষী। এখানকার পানির নিচে ছড়িয়ে আছে পুরোনো দিনের অক্ষত প্রবালপ্রাচীর। এখানে বাতাসে জায়ফল ও লবঙ্গের সুবাসে ভাসতে ভাসতে আপনি হারিয়ে যাবেন এক অজানা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্বর্গে।
সুম্বা
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব অংশে অবস্থিত সুম্বা দ্বীপ। যার ঘাসে ঢাকা সবুজ পাহাড়গুলো গড়িয়ে নেমে গেছে ভারত মহাসাগরের দিকে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এখানকার ঐতিহ্যবাহী গ্রামগুলো। গ্রামের ঘরগুলোর ছাদ দেখতে একেকটা বিশাল টুপির মতো। দ্বীপটি যেন এক জীবন্ত পোস্টকার্ড! এখানে সাগরের ঢেউ যুদ্ধ করতে থাকে নির্জন সৈকতের সঙ্গে। আর ঝরনার নিচে লুকানো আছে পান্না-সবুজ ল্যাগুন। এখানকার জীবনছন্দ এখনো পরম্পরাগত এবং প্রায় আদিম অবস্থায় আছে। ইকাত বয়নশিল্প অথবা পাসোলা নামের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় সেখানে। যে আয়োজনগুলো প্রতিবছর ফসল তোলার মৌসুমে অনুষ্ঠিত হয়।
পর্যটনের একটি উদ্দেশ্য হলো অজানাকে জানা, নতুনকে খুঁজে বের করা। পরিচিত পর্যটন গন্তব্যগুলোতে যাবেন, কিন্তু নতুন জায়গাগুলোতে ঘোরাঘুরির আনন্দ একেবারেই আলাদা। সুযোগ পেলে ইন্দোনেশিয়ার এই প্রায় অচেনা পাঁচটি দ্বীপ ঘুরে আসার চেষ্টা করুন। জীবনে আনন্দ আর জানার পরিধি বেড়ে যাবে অনেক গুণ।
সূত্র: এনভলস
থাইল্যান্ড ভ্রমণ মানে বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে ব্যাংক বা ফুকেট। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য উত্তরাঞ্চলের শহর চিয়াং মাই শহরকে স্বর্গ বললে ভুল হবে না। পাহাড়, নদী, অরণ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই চিয়াং মাই শহর। এই গন্তব্যে কখন যাওয়া সবচেয়ে ভালো, সেটি আগে থাক
১০ ঘণ্টা আগেবিমানভাড়া দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগেজের চার্জ। এ ছাড়া আছে সিট নির্বাচনের জন্য ফি, এমনকি খাবার-পানীয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ। বিমানের বিজ্ঞাপনে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জ যোগ করার বিষয়টি বিমানযাত্রীদের জন্য বিশাল এক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের গ্রাউবুন্ডেন ক্যান্টনের ভেতরে অবস্থিত একটি শহর চুর; যাকে বলা হয় সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম শহর। প্রাগৈতিহাসিক কালের পদচিহ্ন, রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিধ্বনি এবং মধ্যযুগের মনোমুগ্ধকর আকর্ষণ নিয়ে এই শহর এক অনন্য ঐতিহ্য বহন করে।
১১ ঘণ্টা আগেদুধ দিয়ে সেমাই তো আছেই, তা ছাড়াও সেমাই দিয়ে কত ধরনের খাবারই না রান্না করা যায়! সবগুলোই অবশ্য ডেজার্ট। বাড়িতে কোনো আয়োজন থাকলে এবার সেমাই দিয়েই তাতে আনুন ভিন্ন স্বাদ। আপনাদের জন্য সে ধরনের একটি ডেজার্টের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৬ ঘণ্টা আগে