সানজিদা সামরিন

ঢাকা: ‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’
কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে! এই জটিল অর্থনৈতিক হিসেবের সময়ে একটু ভালো করে বাঁচার জন্য একটু বেশি রোজগার করতে ছুটছি আমরা রাত–দিন। ছুটছি তো ছুটছি। যাঁরা বেশি রোজগার করছেন, তাঁরা আরও বেশি রোজগার করার আশায় ছুটছেন নিরন্তর। ছুটছেন কাজের পেছনে। এই করপোরেট রাজ্যে সবকিছুই এখন কাজ আর অর্থের মাপকাঠিতে মাপার প্রবণতা বেড়েছে। যুগের হাওয়ার কথা বলে ‘যত কাজ, তত টাকা’ প্রবাদে গা ভাসিয়ে দেওয়াই যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সে পথে হাঁটতে নিষেধ করছেন। রীতিমতো গবেষণা করেই তাঁরা দেখিয়েছেন, কাজের চাপ যত বেশি, আপনার মৃত্যুর সময় ততই কাছে! এ গবেষণা চালিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বেশি কাজ করে বেশি আয় করতে গিয়ে পরিশ্রম অনুপাতে বিশ্রাম নেওয়াও যে প্রয়োজন, সে বিষয়টি আমরা ভুলতে বসেছি। এ ছাড়া আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিই না। ফলে অতিরিক্ত কাজের চাপে যে মানসিক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৪টি দেশের ওপর তাদের গবেষণাটি চালিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার ফলে বছরে মারা যান কয়েক হাজার মানুষ। আর করোনা মহামারির এই সময়ে এ হার আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ জার্নালে প্রকাশিত দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে প্রাণহানিবিষয়ক বিশ্বের প্রথম এ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে টানা কাজ করার ফলে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা স্ট্রোকে মারা গেছেন। আর এ হার ২০০০ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। তিনি আরও বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য এ তথ্যটি আরও বেশি প্রচার করা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষভাবে চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী কর্মীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
করোনাকালীন অন্তত ৯ শতাংশ মানুষ দীর্ঘ সময় কাজ করছেন। অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ সময় কাজ করার প্রবণতা বাড়তে থাকায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
অধিক কর্মঘণ্টায় যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি:
কাজ জীবনকে গতিশীল করে। করে ছন্দময়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে জীবন পানসে হয়ে আসে, তৈরি হয় হতাশাসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, দীর্ঘ সময় কাজ করা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে’ প্রকাশিত গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে যাঁরা দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ স্ট্রোক ও হৃদ্রোগজনিত কারণে মারা গেছেন।
বছরের পর বছর অতিরিক্ত সময় কাজ করা এবং বেশি চাপ নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘসময় কাজ করলে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে সেগুলো হলো—
হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি
‘ল্যানসেট’–এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা বছরের পর বছর অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা অনুযায়ী কাজ করেন, তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। যাঁরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা মেনে কাজ করেন, তাঁদের ঝুঁকি কম থাকে। গবেষকেরা অনুমান করছেন, সপ্তাহে ৬১-৭০ ঘণ্টা কাজ করলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৪২ শতাংশ। যদি সপ্তাহে ৭১-৮০ ঘণ্টা কাজ করা হয়, তাহলে ঝুঁকি বাড়ে ৬৩ শতাংশ। কারণ, বসে কাজ করলে শরীরের চর্বি কম খরচ হয়। ফলে ফ্যাটি অ্যাসিড ধমনিতে জমাট বাঁধতে থাকে।
মেরুদণ্ডে ব্যথা
অতিরিক্ত সময় কাজ করলে আপনার প্রতিষ্ঠান খুশি থাকলেও, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, বিশেষ করে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। ধীরে ধীরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করবে। যত বেশি চেয়ারে বসে থাকবেন, তত বেশি মেরুদণ্ডের ব্যথা বাড়বে। বাড়বে ঘাড়ের ব্যথাও। টানা বসে থাকলে পায়ের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিরা বড় হয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
যারা হাঁটাচলা কম করেন, বসে কাজ বেশি করেন, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটাই মনে করছেন নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির গবেষকেরা।
ওজন বৃদ্ধি
অফিসে একটানা বসে কাজ করলে হাঁটাচলা হয় না। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন হয় না। এ কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়। আর অতিরিক্ত ওজন শরীরের অন্যান্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজ করলে শরীরে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলে কিংবা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বাড়তে থাকে। কেননা সারাক্ষণ কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে স্ক্রিনের আলো চোখ ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। গবেষকেরা বলেন, গভীর ঘুম মস্তিষ্ককে সতেজ করে। ঘুম ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় কাজ করলে ঘুমাতে দেরি হয়। এর ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় না।
মস্তিষ্কের ক্ষতি
দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে মস্তিষ্কের যে অংশ নতুন স্মৃতি গঠন করে, তা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে মস্তিষ্কের ক্ষয় হয়। এমনটাই জানা গেছে লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণা থেকে। তাই নিয়মিত বেশি সময় কাজ করা ঠিক নয়।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
জাপানের গবেষকেরা পাঁচ বছর ধরে গবেষণা করে জানিয়েছেন, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। তারা ৯৪১ জন পুরুষের ওপর এ গবেষণা করেন।
বাড়ে উদ্বেগ
অধিক কাজ করলে, মনের প্রশান্তি না থাকলে ধীরে ধীরে বাড়ে উদ্বেগ। একজন মানুষ মানসিকভাবে বিষণ্ণ হয়ে যান। আর মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা থেকে যেকোনো বড় অসুখ হতে পারে।

ঢাকা: ‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’
কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে! এই জটিল অর্থনৈতিক হিসেবের সময়ে একটু ভালো করে বাঁচার জন্য একটু বেশি রোজগার করতে ছুটছি আমরা রাত–দিন। ছুটছি তো ছুটছি। যাঁরা বেশি রোজগার করছেন, তাঁরা আরও বেশি রোজগার করার আশায় ছুটছেন নিরন্তর। ছুটছেন কাজের পেছনে। এই করপোরেট রাজ্যে সবকিছুই এখন কাজ আর অর্থের মাপকাঠিতে মাপার প্রবণতা বেড়েছে। যুগের হাওয়ার কথা বলে ‘যত কাজ, তত টাকা’ প্রবাদে গা ভাসিয়ে দেওয়াই যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সে পথে হাঁটতে নিষেধ করছেন। রীতিমতো গবেষণা করেই তাঁরা দেখিয়েছেন, কাজের চাপ যত বেশি, আপনার মৃত্যুর সময় ততই কাছে! এ গবেষণা চালিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বেশি কাজ করে বেশি আয় করতে গিয়ে পরিশ্রম অনুপাতে বিশ্রাম নেওয়াও যে প্রয়োজন, সে বিষয়টি আমরা ভুলতে বসেছি। এ ছাড়া আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিই না। ফলে অতিরিক্ত কাজের চাপে যে মানসিক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৪টি দেশের ওপর তাদের গবেষণাটি চালিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার ফলে বছরে মারা যান কয়েক হাজার মানুষ। আর করোনা মহামারির এই সময়ে এ হার আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ জার্নালে প্রকাশিত দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে প্রাণহানিবিষয়ক বিশ্বের প্রথম এ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে টানা কাজ করার ফলে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা স্ট্রোকে মারা গেছেন। আর এ হার ২০০০ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। তিনি আরও বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য এ তথ্যটি আরও বেশি প্রচার করা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষভাবে চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী কর্মীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
করোনাকালীন অন্তত ৯ শতাংশ মানুষ দীর্ঘ সময় কাজ করছেন। অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ সময় কাজ করার প্রবণতা বাড়তে থাকায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
অধিক কর্মঘণ্টায় যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি:
কাজ জীবনকে গতিশীল করে। করে ছন্দময়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে জীবন পানসে হয়ে আসে, তৈরি হয় হতাশাসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, দীর্ঘ সময় কাজ করা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে’ প্রকাশিত গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে যাঁরা দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ স্ট্রোক ও হৃদ্রোগজনিত কারণে মারা গেছেন।
বছরের পর বছর অতিরিক্ত সময় কাজ করা এবং বেশি চাপ নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘসময় কাজ করলে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে সেগুলো হলো—
হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি
‘ল্যানসেট’–এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা বছরের পর বছর অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা অনুযায়ী কাজ করেন, তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। যাঁরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা মেনে কাজ করেন, তাঁদের ঝুঁকি কম থাকে। গবেষকেরা অনুমান করছেন, সপ্তাহে ৬১-৭০ ঘণ্টা কাজ করলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৪২ শতাংশ। যদি সপ্তাহে ৭১-৮০ ঘণ্টা কাজ করা হয়, তাহলে ঝুঁকি বাড়ে ৬৩ শতাংশ। কারণ, বসে কাজ করলে শরীরের চর্বি কম খরচ হয়। ফলে ফ্যাটি অ্যাসিড ধমনিতে জমাট বাঁধতে থাকে।
মেরুদণ্ডে ব্যথা
অতিরিক্ত সময় কাজ করলে আপনার প্রতিষ্ঠান খুশি থাকলেও, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, বিশেষ করে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। ধীরে ধীরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করবে। যত বেশি চেয়ারে বসে থাকবেন, তত বেশি মেরুদণ্ডের ব্যথা বাড়বে। বাড়বে ঘাড়ের ব্যথাও। টানা বসে থাকলে পায়ের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিরা বড় হয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
যারা হাঁটাচলা কম করেন, বসে কাজ বেশি করেন, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটাই মনে করছেন নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির গবেষকেরা।
ওজন বৃদ্ধি
অফিসে একটানা বসে কাজ করলে হাঁটাচলা হয় না। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন হয় না। এ কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়। আর অতিরিক্ত ওজন শরীরের অন্যান্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজ করলে শরীরে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলে কিংবা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বাড়তে থাকে। কেননা সারাক্ষণ কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে স্ক্রিনের আলো চোখ ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। গবেষকেরা বলেন, গভীর ঘুম মস্তিষ্ককে সতেজ করে। ঘুম ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় কাজ করলে ঘুমাতে দেরি হয়। এর ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় না।
মস্তিষ্কের ক্ষতি
দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে মস্তিষ্কের যে অংশ নতুন স্মৃতি গঠন করে, তা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে মস্তিষ্কের ক্ষয় হয়। এমনটাই জানা গেছে লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণা থেকে। তাই নিয়মিত বেশি সময় কাজ করা ঠিক নয়।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
জাপানের গবেষকেরা পাঁচ বছর ধরে গবেষণা করে জানিয়েছেন, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। তারা ৯৪১ জন পুরুষের ওপর এ গবেষণা করেন।
বাড়ে উদ্বেগ
অধিক কাজ করলে, মনের প্রশান্তি না থাকলে ধীরে ধীরে বাড়ে উদ্বেগ। একজন মানুষ মানসিকভাবে বিষণ্ণ হয়ে যান। আর মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা থেকে যেকোনো বড় অসুখ হতে পারে।
সানজিদা সামরিন

ঢাকা: ‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’
কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে! এই জটিল অর্থনৈতিক হিসেবের সময়ে একটু ভালো করে বাঁচার জন্য একটু বেশি রোজগার করতে ছুটছি আমরা রাত–দিন। ছুটছি তো ছুটছি। যাঁরা বেশি রোজগার করছেন, তাঁরা আরও বেশি রোজগার করার আশায় ছুটছেন নিরন্তর। ছুটছেন কাজের পেছনে। এই করপোরেট রাজ্যে সবকিছুই এখন কাজ আর অর্থের মাপকাঠিতে মাপার প্রবণতা বেড়েছে। যুগের হাওয়ার কথা বলে ‘যত কাজ, তত টাকা’ প্রবাদে গা ভাসিয়ে দেওয়াই যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সে পথে হাঁটতে নিষেধ করছেন। রীতিমতো গবেষণা করেই তাঁরা দেখিয়েছেন, কাজের চাপ যত বেশি, আপনার মৃত্যুর সময় ততই কাছে! এ গবেষণা চালিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বেশি কাজ করে বেশি আয় করতে গিয়ে পরিশ্রম অনুপাতে বিশ্রাম নেওয়াও যে প্রয়োজন, সে বিষয়টি আমরা ভুলতে বসেছি। এ ছাড়া আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিই না। ফলে অতিরিক্ত কাজের চাপে যে মানসিক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৪টি দেশের ওপর তাদের গবেষণাটি চালিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার ফলে বছরে মারা যান কয়েক হাজার মানুষ। আর করোনা মহামারির এই সময়ে এ হার আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ জার্নালে প্রকাশিত দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে প্রাণহানিবিষয়ক বিশ্বের প্রথম এ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে টানা কাজ করার ফলে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা স্ট্রোকে মারা গেছেন। আর এ হার ২০০০ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। তিনি আরও বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য এ তথ্যটি আরও বেশি প্রচার করা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষভাবে চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী কর্মীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
করোনাকালীন অন্তত ৯ শতাংশ মানুষ দীর্ঘ সময় কাজ করছেন। অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ সময় কাজ করার প্রবণতা বাড়তে থাকায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
অধিক কর্মঘণ্টায় যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি:
কাজ জীবনকে গতিশীল করে। করে ছন্দময়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে জীবন পানসে হয়ে আসে, তৈরি হয় হতাশাসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, দীর্ঘ সময় কাজ করা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে’ প্রকাশিত গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে যাঁরা দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ স্ট্রোক ও হৃদ্রোগজনিত কারণে মারা গেছেন।
বছরের পর বছর অতিরিক্ত সময় কাজ করা এবং বেশি চাপ নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘসময় কাজ করলে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে সেগুলো হলো—
হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি
‘ল্যানসেট’–এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা বছরের পর বছর অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা অনুযায়ী কাজ করেন, তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। যাঁরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা মেনে কাজ করেন, তাঁদের ঝুঁকি কম থাকে। গবেষকেরা অনুমান করছেন, সপ্তাহে ৬১-৭০ ঘণ্টা কাজ করলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৪২ শতাংশ। যদি সপ্তাহে ৭১-৮০ ঘণ্টা কাজ করা হয়, তাহলে ঝুঁকি বাড়ে ৬৩ শতাংশ। কারণ, বসে কাজ করলে শরীরের চর্বি কম খরচ হয়। ফলে ফ্যাটি অ্যাসিড ধমনিতে জমাট বাঁধতে থাকে।
মেরুদণ্ডে ব্যথা
অতিরিক্ত সময় কাজ করলে আপনার প্রতিষ্ঠান খুশি থাকলেও, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, বিশেষ করে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। ধীরে ধীরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করবে। যত বেশি চেয়ারে বসে থাকবেন, তত বেশি মেরুদণ্ডের ব্যথা বাড়বে। বাড়বে ঘাড়ের ব্যথাও। টানা বসে থাকলে পায়ের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিরা বড় হয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
যারা হাঁটাচলা কম করেন, বসে কাজ বেশি করেন, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটাই মনে করছেন নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির গবেষকেরা।
ওজন বৃদ্ধি
অফিসে একটানা বসে কাজ করলে হাঁটাচলা হয় না। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন হয় না। এ কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়। আর অতিরিক্ত ওজন শরীরের অন্যান্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজ করলে শরীরে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলে কিংবা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বাড়তে থাকে। কেননা সারাক্ষণ কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে স্ক্রিনের আলো চোখ ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। গবেষকেরা বলেন, গভীর ঘুম মস্তিষ্ককে সতেজ করে। ঘুম ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় কাজ করলে ঘুমাতে দেরি হয়। এর ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় না।
মস্তিষ্কের ক্ষতি
দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে মস্তিষ্কের যে অংশ নতুন স্মৃতি গঠন করে, তা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে মস্তিষ্কের ক্ষয় হয়। এমনটাই জানা গেছে লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণা থেকে। তাই নিয়মিত বেশি সময় কাজ করা ঠিক নয়।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
জাপানের গবেষকেরা পাঁচ বছর ধরে গবেষণা করে জানিয়েছেন, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। তারা ৯৪১ জন পুরুষের ওপর এ গবেষণা করেন।
বাড়ে উদ্বেগ
অধিক কাজ করলে, মনের প্রশান্তি না থাকলে ধীরে ধীরে বাড়ে উদ্বেগ। একজন মানুষ মানসিকভাবে বিষণ্ণ হয়ে যান। আর মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা থেকে যেকোনো বড় অসুখ হতে পারে।

ঢাকা: ‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’
কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে! এই জটিল অর্থনৈতিক হিসেবের সময়ে একটু ভালো করে বাঁচার জন্য একটু বেশি রোজগার করতে ছুটছি আমরা রাত–দিন। ছুটছি তো ছুটছি। যাঁরা বেশি রোজগার করছেন, তাঁরা আরও বেশি রোজগার করার আশায় ছুটছেন নিরন্তর। ছুটছেন কাজের পেছনে। এই করপোরেট রাজ্যে সবকিছুই এখন কাজ আর অর্থের মাপকাঠিতে মাপার প্রবণতা বেড়েছে। যুগের হাওয়ার কথা বলে ‘যত কাজ, তত টাকা’ প্রবাদে গা ভাসিয়ে দেওয়াই যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সে পথে হাঁটতে নিষেধ করছেন। রীতিমতো গবেষণা করেই তাঁরা দেখিয়েছেন, কাজের চাপ যত বেশি, আপনার মৃত্যুর সময় ততই কাছে! এ গবেষণা চালিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বেশি কাজ করে বেশি আয় করতে গিয়ে পরিশ্রম অনুপাতে বিশ্রাম নেওয়াও যে প্রয়োজন, সে বিষয়টি আমরা ভুলতে বসেছি। এ ছাড়া আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিই না। ফলে অতিরিক্ত কাজের চাপে যে মানসিক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৪টি দেশের ওপর তাদের গবেষণাটি চালিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার ফলে বছরে মারা যান কয়েক হাজার মানুষ। আর করোনা মহামারির এই সময়ে এ হার আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ জার্নালে প্রকাশিত দীর্ঘ কর্মঘণ্টার কারণে প্রাণহানিবিষয়ক বিশ্বের প্রথম এ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে টানা কাজ করার ফলে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা স্ট্রোকে মারা গেছেন। আর এ হার ২০০০ সালের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মারিয়া নিরা বলেন, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। তিনি আরও বলেন, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য এ তথ্যটি আরও বেশি প্রচার করা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষভাবে চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী কর্মীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
করোনাকালীন অন্তত ৯ শতাংশ মানুষ দীর্ঘ সময় কাজ করছেন। অর্থনৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ সময় কাজ করার প্রবণতা বাড়তে থাকায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
অধিক কর্মঘণ্টায় যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি:
কাজ জীবনকে গতিশীল করে। করে ছন্দময়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে জীবন পানসে হয়ে আসে, তৈরি হয় হতাশাসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, দীর্ঘ সময় কাজ করা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে’ প্রকাশিত গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে যাঁরা দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ স্ট্রোক ও হৃদ্রোগজনিত কারণে মারা গেছেন।
বছরের পর বছর অতিরিক্ত সময় কাজ করা এবং বেশি চাপ নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘসময় কাজ করলে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে সেগুলো হলো—
হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি
‘ল্যানসেট’–এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা বছরের পর বছর অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা অনুযায়ী কাজ করেন, তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। যাঁরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা মেনে কাজ করেন, তাঁদের ঝুঁকি কম থাকে। গবেষকেরা অনুমান করছেন, সপ্তাহে ৬১-৭০ ঘণ্টা কাজ করলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৪২ শতাংশ। যদি সপ্তাহে ৭১-৮০ ঘণ্টা কাজ করা হয়, তাহলে ঝুঁকি বাড়ে ৬৩ শতাংশ। কারণ, বসে কাজ করলে শরীরের চর্বি কম খরচ হয়। ফলে ফ্যাটি অ্যাসিড ধমনিতে জমাট বাঁধতে থাকে।
মেরুদণ্ডে ব্যথা
অতিরিক্ত সময় কাজ করলে আপনার প্রতিষ্ঠান খুশি থাকলেও, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, বিশেষ করে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। ধীরে ধীরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করবে। যত বেশি চেয়ারে বসে থাকবেন, তত বেশি মেরুদণ্ডের ব্যথা বাড়বে। বাড়বে ঘাড়ের ব্যথাও। টানা বসে থাকলে পায়ের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিরা বড় হয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
যারা হাঁটাচলা কম করেন, বসে কাজ বেশি করেন, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটাই মনে করছেন নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির গবেষকেরা।
ওজন বৃদ্ধি
অফিসে একটানা বসে কাজ করলে হাঁটাচলা হয় না। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন হয় না। এ কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়। আর অতিরিক্ত ওজন শরীরের অন্যান্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজ করলে শরীরে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলে কিংবা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা বাড়তে থাকে। কেননা সারাক্ষণ কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে স্ক্রিনের আলো চোখ ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। গবেষকেরা বলেন, গভীর ঘুম মস্তিষ্ককে সতেজ করে। ঘুম ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় কাজ করলে ঘুমাতে দেরি হয়। এর ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় না।
মস্তিষ্কের ক্ষতি
দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে মস্তিষ্কের যে অংশ নতুন স্মৃতি গঠন করে, তা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে মস্তিষ্কের ক্ষয় হয়। এমনটাই জানা গেছে লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণা থেকে। তাই নিয়মিত বেশি সময় কাজ করা ঠিক নয়।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
জাপানের গবেষকেরা পাঁচ বছর ধরে গবেষণা করে জানিয়েছেন, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। তারা ৯৪১ জন পুরুষের ওপর এ গবেষণা করেন।
বাড়ে উদ্বেগ
অধিক কাজ করলে, মনের প্রশান্তি না থাকলে ধীরে ধীরে বাড়ে উদ্বেগ। একজন মানুষ মানসিকভাবে বিষণ্ণ হয়ে যান। আর মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা থেকে যেকোনো বড় অসুখ হতে পারে।

ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩ ঘণ্টা আগে
শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৪ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করতে অনেকে জীবনযাত্রায় আনছেন নতুন নতুন পরিবর্তন। সম্প্রতি অনলাইনে এমনই এক ট্রেন্ড বেশ চোখে পড়ছে। তা হলো—‘ডার্ক শাওয়ারিং’।
‘ডার্ক শাওয়ারিং’-এর মানে হলো সম্পূর্ণ অন্ধকারে গোসল করা। আপনি যখন গোসল করবেন তখন সেখানে কোনো আলো থাকবে না। অন্ধকারে শরীরের ইন্দ্রিয়গুলো গভীরভাবে কাজ করে। যার ফলে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় আরও গভীর, মনোযোগী ও প্রশান্তিদায়ক।
অন্ধকারে গোসল করা শুধু নতুনত্ব নয়, এর রয়েছে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক উপকারও। এই পদ্ধতিকে অনেকেই মানসিক স্বস্তি এবং স্ট্রেস কমানোর একটি সহজ উপায় হিসেবে দেখছেন।
ডার্ক শাওয়ারিং-এর উপকারিতা
১. সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি
চোখের দৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলে শরীরের অন্য ইন্দ্রিয়গুলো, বিশেষ করে হাতের স্পর্শে কিছু বোঝার অনুভূতি তীব্রভাবে সক্রিয় হয়। পানির স্পর্শ, উষ্ণতা বা ঠান্ডার অনুভূতি আরও গভীরভাবে টের পাওয়া যায়। এতে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক।
২. মানসিক প্রশান্তি ও ধ্যানের অনুভূতি
অন্ধকারে গোসল ধ্যানের মতো শান্ত ও মনোযোগী হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা দেয়। মন শান্ত হয়, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমে। ধীরে ধীরে শরীর ও মন দুটোই আরাম পায়।
৩. রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে
পানির তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন এবং ত্বকে পানির প্রবাহ শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। এর ফলে শরীর সতেজ থাকে এবং পেশির টান কমে।
৪. মস্তিষ্কের অতিরিক্ত চাপ কমায়
ক্যালিফোর্নিয়ার এমেন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ড্যানিয়েল এমেন বলেন, হালকা আলো বা অন্ধকার পরিবেশ মস্তিষ্কের ‘হুমকি শনাক্ত করার রাডার’ বা ‘থ্রেট রাডার’-কে বিশ্রামের সুযোগ দেয়।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, আলো মস্তিষ্ককে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করে। তাই আলো কমলে মস্তিষ্কে উত্তেজনা কমে এবং যুক্তিসংগত চিন্তা ফিরে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি শান্ত, স্পষ্ট ও স্থিতিশীল অনুভূতি দেয়।
ড. এমেনের মতে, দৃষ্টিগত তথ্য কমে গেলে মস্তিষ্কে সেন্সরি চাপও কমে যায়। ফলে ভয় ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণকারী অংশের প্রতিক্রিয়া কমে। যার প্রভাবে মন শান্ত ও ফুরফুরে হয়ে ওঠে।
‘ডার্ক শাওয়ারিং’ করবেন যেভাবে
অন্ধকারে গোসলে উপকার পেতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে—
১. অন্ধকার পরিবেশ তৈরি
স্নানঘরের আলো নিভিয়ে দিতে হবে অথবা ভারী পর্দা বা গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে যাতে ভেতরে যতটা সম্ভব অন্ধকার তৈরি করা যায়।
২. মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন সবকিছু থেকে দূরে
মোবাইল, মিউজিক বা অন্য কোনো ডিভাইস রাখবেন না যার শব্দে বা আলোতে মনোযোগ ব্যাহত হতে পারে। পুরোপুরি নিজের শরীর ও অনুভূতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে মন দিন।
৩. ইন্দ্রিয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিন
ত্বকে পানির স্পর্শ এবং পানির শব্দ আর সাবান বা শ্যাম্পুর গন্ধের দিকে মনোযোগ দিন। চাইলে ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইলের মতো সুগন্ধি রাখতে পারেন, যা প্রশান্তি দেয়।
৪. মস্তিষ্কের বিশ্রাম মেলে এমন পরিবেশ তৈরি করুন
ড. ড্যানিয়েল এমেনের ভাষায়, ‘মস্তিষ্ক পূর্বানুমান অনুযায়ী চলে। আপনি মস্তিষ্ককে শান্ত করতে কিছু করছেন না বরং এমন এক পরিবেশ তৈরি করছেন যেখানে মস্তিষ্ক নিজে থেকেই ধীরে বিশ্রামে চলে যায়।’

ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করতে অনেকে জীবনযাত্রায় আনছেন নতুন নতুন পরিবর্তন। সম্প্রতি অনলাইনে এমনই এক ট্রেন্ড বেশ চোখে পড়ছে। তা হলো—‘ডার্ক শাওয়ারিং’।
‘ডার্ক শাওয়ারিং’-এর মানে হলো সম্পূর্ণ অন্ধকারে গোসল করা। আপনি যখন গোসল করবেন তখন সেখানে কোনো আলো থাকবে না। অন্ধকারে শরীরের ইন্দ্রিয়গুলো গভীরভাবে কাজ করে। যার ফলে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় আরও গভীর, মনোযোগী ও প্রশান্তিদায়ক।
অন্ধকারে গোসল করা শুধু নতুনত্ব নয়, এর রয়েছে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক উপকারও। এই পদ্ধতিকে অনেকেই মানসিক স্বস্তি এবং স্ট্রেস কমানোর একটি সহজ উপায় হিসেবে দেখছেন।
ডার্ক শাওয়ারিং-এর উপকারিতা
১. সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি
চোখের দৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলে শরীরের অন্য ইন্দ্রিয়গুলো, বিশেষ করে হাতের স্পর্শে কিছু বোঝার অনুভূতি তীব্রভাবে সক্রিয় হয়। পানির স্পর্শ, উষ্ণতা বা ঠান্ডার অনুভূতি আরও গভীরভাবে টের পাওয়া যায়। এতে গোসলের অভিজ্ঞতা হয় অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক।
২. মানসিক প্রশান্তি ও ধ্যানের অনুভূতি
অন্ধকারে গোসল ধ্যানের মতো শান্ত ও মনোযোগী হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা দেয়। মন শান্ত হয়, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমে। ধীরে ধীরে শরীর ও মন দুটোই আরাম পায়।
৩. রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে
পানির তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন এবং ত্বকে পানির প্রবাহ শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। এর ফলে শরীর সতেজ থাকে এবং পেশির টান কমে।
৪. মস্তিষ্কের অতিরিক্ত চাপ কমায়
ক্যালিফোর্নিয়ার এমেন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ড্যানিয়েল এমেন বলেন, হালকা আলো বা অন্ধকার পরিবেশ মস্তিষ্কের ‘হুমকি শনাক্ত করার রাডার’ বা ‘থ্রেট রাডার’-কে বিশ্রামের সুযোগ দেয়।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, আলো মস্তিষ্ককে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করে। তাই আলো কমলে মস্তিষ্কে উত্তেজনা কমে এবং যুক্তিসংগত চিন্তা ফিরে আসে। অনেকের ক্ষেত্রে এটি শান্ত, স্পষ্ট ও স্থিতিশীল অনুভূতি দেয়।
ড. এমেনের মতে, দৃষ্টিগত তথ্য কমে গেলে মস্তিষ্কে সেন্সরি চাপও কমে যায়। ফলে ভয় ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণকারী অংশের প্রতিক্রিয়া কমে। যার প্রভাবে মন শান্ত ও ফুরফুরে হয়ে ওঠে।
‘ডার্ক শাওয়ারিং’ করবেন যেভাবে
অন্ধকারে গোসলে উপকার পেতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে—
১. অন্ধকার পরিবেশ তৈরি
স্নানঘরের আলো নিভিয়ে দিতে হবে অথবা ভারী পর্দা বা গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে যাতে ভেতরে যতটা সম্ভব অন্ধকার তৈরি করা যায়।
২. মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন সবকিছু থেকে দূরে
মোবাইল, মিউজিক বা অন্য কোনো ডিভাইস রাখবেন না যার শব্দে বা আলোতে মনোযোগ ব্যাহত হতে পারে। পুরোপুরি নিজের শরীর ও অনুভূতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে মন দিন।
৩. ইন্দ্রিয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিন
ত্বকে পানির স্পর্শ এবং পানির শব্দ আর সাবান বা শ্যাম্পুর গন্ধের দিকে মনোযোগ দিন। চাইলে ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইলের মতো সুগন্ধি রাখতে পারেন, যা প্রশান্তি দেয়।
৪. মস্তিষ্কের বিশ্রাম মেলে এমন পরিবেশ তৈরি করুন
ড. ড্যানিয়েল এমেনের ভাষায়, ‘মস্তিষ্ক পূর্বানুমান অনুযায়ী চলে। আপনি মস্তিষ্ককে শান্ত করতে কিছু করছেন না বরং এমন এক পরিবেশ তৈরি করছেন যেখানে মস্তিষ্ক নিজে থেকেই ধীরে বিশ্রামে চলে যায়।’

‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’ কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে!
২০ মে ২০২১
শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৪ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন ফুলটি দিয়ে কোন ধরনের প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করবেন।
অকালে চুল পাকা রোধে সহায়ক অপরাজিতা
অপরাজিতা ফুলের নির্যাস অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে কুব ভালো কাজ করে। পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমায়। ৮-১০টি অপরাজিতা ফুল বাটা, ২ চামচ পেঁয়াজের রস ও ১ চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। অপরাজিতা ফুলের নির্যাস ব্যবহারে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নতুন চুল গজায়। চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার না করেও পানিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে রং বের করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হলে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। শ্যাম্পুর পর চুলের শেষ ধোয়ায় এই পানি ব্যবহার করুন। কন্ডিশনারের কাজ হবে।

ঝলমলে চুল পেতে জবা ফুল
জবা ফুল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার চল বেশ পুরোনো। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাডায়। এই ফুলে আরও রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘সি’, যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, চুলের গোড়া মজবুত হয়।
৫-৬টি জবা ফুল, ৮-১০টি জবা ফুলের পাতা, ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক তৈরির জন্য জবা ফুল ও পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার একসঙ্গে বেটে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। বাটার সময় সামান্য পানি যোগ করতে পারেন। সবশেষে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এ প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও চুলের মসৃণ ভাব ও জেল্লা ফিরে পেতে তিনটি জবা ফুল পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ফুলগুলো বেটে তাতে ৩ টেবিল চামচ দুধ ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণ চুলে ভালোভাবে মেখে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য এ প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করুন।

শীতে চুলের খুশি দূর করবে গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা খুশকি, মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক বানাতে ৪-৫টি গাঁদা ফুল ভালো করে ধুয়ে পাপড়ি বের করে নিন। এরপর এর সঙ্গে আধা কাপ টকদই ও ১ চামচ মধু মেশান। খুব ভালো করে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এ প্যাকটি চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই খুশকি দূর হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।
চুলের আগা ফাটা কমাবে গোলাপ
গোলাপ চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে যেকোনো রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গোলাপজল খুব কার্যকর। চুল ধোয়ার আগে বা পরে দু-ভাবেই এই গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। চুলের আগা ফাটা দূর করতে, চুল নরম ও উজ্জ্বল করতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। একমুঠ তাজা বা শুকনো গোলাপের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর পাপড়িগুলো তুলে এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। মাথার তালুতে, পুরো চুলে ও আগায় বেশি পরিমাণে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
সূত্র: বি বিউটিফুল ও অন্যান্য

শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন ফুলটি দিয়ে কোন ধরনের প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করবেন।
অকালে চুল পাকা রোধে সহায়ক অপরাজিতা
অপরাজিতা ফুলের নির্যাস অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে কুব ভালো কাজ করে। পাশাপাশি এটি চুল পড়াও কমায়। ৮-১০টি অপরাজিতা ফুল বাটা, ২ চামচ পেঁয়াজের রস ও ১ চামচ ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। অপরাজিতা ফুলের নির্যাস ব্যবহারে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নতুন চুল গজায়। চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার না করেও পানিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি ফুটিয়ে রং বের করে নিন। এরপর তা ঠান্ডা হলে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। শ্যাম্পুর পর চুলের শেষ ধোয়ায় এই পানি ব্যবহার করুন। কন্ডিশনারের কাজ হবে।

ঝলমলে চুল পেতে জবা ফুল
জবা ফুল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার চল বেশ পুরোনো। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাডায়। এই ফুলে আরও রয়েছে ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘সি’, যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, চুলের গোড়া মজবুত হয়।
৫-৬টি জবা ফুল, ৮-১০টি জবা ফুলের পাতা, ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক তৈরির জন্য জবা ফুল ও পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার একসঙ্গে বেটে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। বাটার সময় সামান্য পানি যোগ করতে পারেন। সবশেষে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এ প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও চুলের মসৃণ ভাব ও জেল্লা ফিরে পেতে তিনটি জবা ফুল পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ফুলগুলো বেটে তাতে ৩ টেবিল চামচ দুধ ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ মিশ্রণ চুলে ভালোভাবে মেখে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য এ প্যাকটি মাসে দুবার ব্যবহার করুন।

শীতে চুলের খুশি দূর করবে গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা খুশকি, মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক বানাতে ৪-৫টি গাঁদা ফুল ভালো করে ধুয়ে পাপড়ি বের করে নিন। এরপর এর সঙ্গে আধা কাপ টকদই ও ১ চামচ মধু মেশান। খুব ভালো করে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এ প্যাকটি চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই খুশকি দূর হবে। সঙ্গে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।
চুলের আগা ফাটা কমাবে গোলাপ
গোলাপ চুলকে আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। পাশাপাশি মাথার ত্বকে যেকোনো রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশনের চিকিৎসায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি গোলাপজল খুব কার্যকর। চুল ধোয়ার আগে বা পরে দু-ভাবেই এই গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। চুলের আগা ফাটা দূর করতে, চুল নরম ও উজ্জ্বল করতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। একমুঠ তাজা বা শুকনো গোলাপের পাপড়ি এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর পাপড়িগুলো তুলে এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। মাথার তালুতে, পুরো চুলে ও আগায় বেশি পরিমাণে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
সূত্র: বি বিউটিফুল ও অন্যান্য

‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’ কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে!
২০ মে ২০২১
ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, চিনি এক কাপ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া এক টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, জর্দা রং সামান্য বা ইচ্ছে অনুযায়ী।
প্রণালি
জলপাই সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে চিনি, লবণ, বিট লবণ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া, সরিষা বাটা, পাঁচফোড়ন, সিরকা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে রসুনের কোয়ার ফোড়ন দিন। পরে মাখিয়ে রাখা জলপাই দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। জলপাই থেকে তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে সামান্য জর্দা রং দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার।

জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই সেদ্ধ এক কেজি, চিনি এক কাপ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া এক টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, জর্দা রং সামান্য বা ইচ্ছে অনুযায়ী।
প্রণালি
জলপাই সেদ্ধ করে চটকে নিন। অন্য একটি বাটিতে চিনি, লবণ, বিট লবণ, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া, সরিষা বাটা, পাঁচফোড়ন, সিরকা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে রসুনের কোয়ার ফোড়ন দিন। পরে মাখিয়ে রাখা জলপাই দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। জলপাই থেকে তেল ছেড়ে এলে চুলার তাপ কমিয়ে সামান্য জর্দা রং দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার।

‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’ কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে!
২০ মে ২০২১
ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩ ঘণ্টা আগে
শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৪ ঘণ্টা আগে
হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!
ফুজিমোতো ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ‘মিশেলিন তারকা’ পাওয়া সুশি মাস্টারদের অধীনে কাজ করেছেন। অসংখ্য জাতের জাপানি চাল তাঁর হাতে রান্না হয়েছে। তবু আজকের বাক্সটি তাঁর কাছে নতুন। বাক্সের ভেতর রয়েছে ২০১৬ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃত বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল—কিনমেমাই প্রিমিয়াম।
কিন্তু দাম বেশি হলেই কি স্বাদে শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়? ফুজিমোতো সেই উত্তর খুঁজতে হাঁড়িতে চাল চড়ালেন। তিনি হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ৪২০ গ্রাম চাল। পরীক্ষা করার সুযোগ কম। তিনি দ্রুত চাল ধুয়ে, অল্প সময় ভিজিয়ে রেখে হাঁড়িতে চাপালেন। ঢাকনা খোলার পর রান্না করা দানাগুলো ঝিনুকের মুক্তার মতো চকচক করছিল। আকার নিখুঁত, হালকা ঘ্রাণ, পরিষ্কার ঝিলিক! তবে রেস্তোরাঁয় এই চাল যে চলবে না, সেটি বুঝতে পারলেন। দাম এত বেশি যে অতিথিদের বাজেট তিন গুণ হয়ে যাবে। এত দামে কে খাবে!
জাপানের চাল
জাপানে চাল দিয়ে তৈরি খাবারের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সুশির স্বাদের ৮০ শতাংশ নির্ভর করে চালের ওপর। এমনটাই বলেন জাপানের শীর্ষস্থানীয় শেফরা। তিন হাজার বছর ধরে জাপানে চালকে পবিত্র খাবার হিসেবে মনে করা হয়। আজ দেশটিতে তিন শর বেশি জাতের ধান উৎপন্ন হয়। বৈচিত্র্য, স্বাদ, ঘ্রাণ—সব মিলিয়েই জাপানি চালের নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। সুশি, সাকে, মোচি ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও জাপানি চালের রপ্তানি তেমন সফলতা পায়নি। এই হতাশাই একজন মানুষকে নতুন পথে চিন্তা করতে বাধ্য করে।

এক স্বপ্নবাজ বৃদ্ধের উদ্যোগ
ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারের টয়ো রাইস করপোরেশনের চেয়ারম্যান কেইজি সাইকা। এখন তাঁর বয়স ৯১ বছর। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগের গল্পটা শুরু হয় ২০১৬ সালে। সাইকার স্বপ্ন ছিল, বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ না করে জাপানি চালকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। তখনই তাঁর মনে হলো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কথা। তিনি ভাবলেন, এমন কিছু তৈরি করতে হবে, যা আগে কেউ করেনি। এটি বেশ সাহসী উদ্যোগ ছিল। তিনি তৈরি করলেন কিনমেমাই প্রিমিয়াম, যার দাম রাখা হলো প্রকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি, প্রতি কেজি ১০৯ ডলার। বিক্রি হবে কি? এ নিয়ে সন্দেহ ছিল।
শুধু দাম বাড়িয়ে নয়, গুণেও বিশ্বের সেরা
কিনমেমাই প্রিমিয়াম আসলে শুধু দামি চাল নয়; এটি তৈরির প্রতিটি ধাপে রয়েছে ভীষণ যত্ন ও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।

বাছাই: প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার জাতের চাল থেকে ৪ থেকে ৬টি সেরা জাত বেছে নেওয়া হয়। স্বাদের পাশাপাশি দানার এনজাইম কার্যকারিতা পর্যন্ত পরীক্ষা করেন সাইকা।
মজুত করা: চালের দানা কয়েক মাস রেখে দেওয়া হয়। এতে চালের মধ্যে মিষ্টতা, ঘ্রাণ ও পুষ্টিগুণ বাড়ে।
সীমিত উৎপাদন: কিনমেমাই প্রিমিয়াম খুব সীমিত পরিমাণে উৎপন্ন হয়। প্রতিবছর মাত্র কয়েক শ বাক্স। এর বিশেষত্ব হলো, প্রতিবছর এই চালের মিশ্রণ বদলে যায়। যে বছর যেসব জাতের চাল সবচেয়ে মানসম্পন্ন হয়, সেগুলো বেছে নতুন বার্ষিক ব্লেন্ড তৈরি করা হয়। এই চাল সাধারণত দামি উপহার বা বিশেষ উৎসবে দেওয়া হয়। নির্বাচিত কৃষকদের টোকিওতে ডেকে সম্মান জানানো হয়।
যুদ্ধোত্তর দুর্ভিক্ষ থেকে চালের প্রতি প্রেম
সাইকাকে চালের প্রতি গভীর আগ্রহী করে তুলেছিল শৈশবের এক ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই সময় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন মাকুরাজাকির কারণে চারদিকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বীজ, মাছ, পাখি ইত্যাদি যে যা সংগ্রহ করতে পারতেন, সেগুলো দিয়ে কোনোভাবে দিন পার করতেন। সেই দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা চালের প্রতি তাঁর আবেগ তৈরি করে দেয়। খাবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বাঁচার তাগিদ থেকে জন্ম নেয় তাঁর আজীবনের লক্ষ্য—জাপানি চালকে আরও উন্নত করা।
৯১ বছর বয়সেও প্রতিদিন কারখানায়
৯১ বছর বয়সেও সাইকা আজও প্রতিদিন কাজ করেন। বয়স বাড়লেও তাঁর গতি কমেনি। জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই এখনো একই উদ্যমে তিনি কর্মক্ষেত্রে হাজির হন, নিজের কাজ শেষ করেন এবং আশপাশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যান।
কিনমেমাই প্রিমিয়াম শুধু দামি চাল নয়, এটি একজন মানুষের জীবনের গল্প, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, কৃষকের পরিশ্রম এবং জাপানের চাল-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক।

হংকং শহরের ব্যস্ত বিকেলে ছোট্ট এক সুশি রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে জাপানি শেফ কেনইচি ফুজিমোতো হাতে নিলেন একটি কালো বাক্স। তার ওপর সোনালি অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট রাইস’, কেজি ১০৯ ডলার!
ফুজিমোতো ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ‘মিশেলিন তারকা’ পাওয়া সুশি মাস্টারদের অধীনে কাজ করেছেন। অসংখ্য জাতের জাপানি চাল তাঁর হাতে রান্না হয়েছে। তবু আজকের বাক্সটি তাঁর কাছে নতুন। বাক্সের ভেতর রয়েছে ২০১৬ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃত বিশ্বের সবচেয়ে দামি চাল—কিনমেমাই প্রিমিয়াম।
কিন্তু দাম বেশি হলেই কি স্বাদে শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়? ফুজিমোতো সেই উত্তর খুঁজতে হাঁড়িতে চাল চড়ালেন। তিনি হাতে পেয়েছিলেন মাত্র ৪২০ গ্রাম চাল। পরীক্ষা করার সুযোগ কম। তিনি দ্রুত চাল ধুয়ে, অল্প সময় ভিজিয়ে রেখে হাঁড়িতে চাপালেন। ঢাকনা খোলার পর রান্না করা দানাগুলো ঝিনুকের মুক্তার মতো চকচক করছিল। আকার নিখুঁত, হালকা ঘ্রাণ, পরিষ্কার ঝিলিক! তবে রেস্তোরাঁয় এই চাল যে চলবে না, সেটি বুঝতে পারলেন। দাম এত বেশি যে অতিথিদের বাজেট তিন গুণ হয়ে যাবে। এত দামে কে খাবে!
জাপানের চাল
জাপানে চাল দিয়ে তৈরি খাবারের ইতিহাস অনেক পুরোনো। সুশির স্বাদের ৮০ শতাংশ নির্ভর করে চালের ওপর। এমনটাই বলেন জাপানের শীর্ষস্থানীয় শেফরা। তিন হাজার বছর ধরে জাপানে চালকে পবিত্র খাবার হিসেবে মনে করা হয়। আজ দেশটিতে তিন শর বেশি জাতের ধান উৎপন্ন হয়। বৈচিত্র্য, স্বাদ, ঘ্রাণ—সব মিলিয়েই জাপানি চালের নিজস্বতা তৈরি হয়েছে। সুশি, সাকে, মোচি ইত্যাদি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও জাপানি চালের রপ্তানি তেমন সফলতা পায়নি। এই হতাশাই একজন মানুষকে নতুন পথে চিন্তা করতে বাধ্য করে।

এক স্বপ্নবাজ বৃদ্ধের উদ্যোগ
ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারের টয়ো রাইস করপোরেশনের চেয়ারম্যান কেইজি সাইকা। এখন তাঁর বয়স ৯১ বছর। তাঁর এই অভিনব উদ্যোগের গল্পটা শুরু হয় ২০১৬ সালে। সাইকার স্বপ্ন ছিল, বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ না করে জাপানি চালকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। তখনই তাঁর মনে হলো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কথা। তিনি ভাবলেন, এমন কিছু তৈরি করতে হবে, যা আগে কেউ করেনি। এটি বেশ সাহসী উদ্যোগ ছিল। তিনি তৈরি করলেন কিনমেমাই প্রিমিয়াম, যার দাম রাখা হলো প্রকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি, প্রতি কেজি ১০৯ ডলার। বিক্রি হবে কি? এ নিয়ে সন্দেহ ছিল।
শুধু দাম বাড়িয়ে নয়, গুণেও বিশ্বের সেরা
কিনমেমাই প্রিমিয়াম আসলে শুধু দামি চাল নয়; এটি তৈরির প্রতিটি ধাপে রয়েছে ভীষণ যত্ন ও বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।

বাছাই: প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার জাতের চাল থেকে ৪ থেকে ৬টি সেরা জাত বেছে নেওয়া হয়। স্বাদের পাশাপাশি দানার এনজাইম কার্যকারিতা পর্যন্ত পরীক্ষা করেন সাইকা।
মজুত করা: চালের দানা কয়েক মাস রেখে দেওয়া হয়। এতে চালের মধ্যে মিষ্টতা, ঘ্রাণ ও পুষ্টিগুণ বাড়ে।
সীমিত উৎপাদন: কিনমেমাই প্রিমিয়াম খুব সীমিত পরিমাণে উৎপন্ন হয়। প্রতিবছর মাত্র কয়েক শ বাক্স। এর বিশেষত্ব হলো, প্রতিবছর এই চালের মিশ্রণ বদলে যায়। যে বছর যেসব জাতের চাল সবচেয়ে মানসম্পন্ন হয়, সেগুলো বেছে নতুন বার্ষিক ব্লেন্ড তৈরি করা হয়। এই চাল সাধারণত দামি উপহার বা বিশেষ উৎসবে দেওয়া হয়। নির্বাচিত কৃষকদের টোকিওতে ডেকে সম্মান জানানো হয়।
যুদ্ধোত্তর দুর্ভিক্ষ থেকে চালের প্রতি প্রেম
সাইকাকে চালের প্রতি গভীর আগ্রহী করে তুলেছিল শৈশবের এক ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই সময় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন মাকুরাজাকির কারণে চারদিকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বীজ, মাছ, পাখি ইত্যাদি যে যা সংগ্রহ করতে পারতেন, সেগুলো দিয়ে কোনোভাবে দিন পার করতেন। সেই দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা চালের প্রতি তাঁর আবেগ তৈরি করে দেয়। খাবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বাঁচার তাগিদ থেকে জন্ম নেয় তাঁর আজীবনের লক্ষ্য—জাপানি চালকে আরও উন্নত করা।
৯১ বছর বয়সেও প্রতিদিন কারখানায়
৯১ বছর বয়সেও সাইকা আজও প্রতিদিন কাজ করেন। বয়স বাড়লেও তাঁর গতি কমেনি। জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই এখনো একই উদ্যমে তিনি কর্মক্ষেত্রে হাজির হন, নিজের কাজ শেষ করেন এবং আশপাশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যান।
কিনমেমাই প্রিমিয়াম শুধু দামি চাল নয়, এটি একজন মানুষের জীবনের গল্প, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, কৃষকের পরিশ্রম এবং জাপানের চাল-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক।

‘একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশি রোজগার ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।’ কে জানত একুশ শতকে বহু শোনা অঞ্জন দত্তের এই গানের কথাই সত্যে পরিণত হবে!
২০ মে ২০২১
ব্যস্ততা-বিশৃঙ্খলায় ভরপুর এ জীবনে শান্তির খোঁজে হাসফাঁস করছি সবাই। কীভাবে মেলে শান্তি! কিন্তু শান্তির খোঁজ করতে যে সময় দেব সেই সময়টাও কই! এজন্য দৈনন্দিন কাজের মাঝেই শান্তি কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটার উপায় খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩ ঘণ্টা আগে
শখের বাগানির বারান্দায় দু-চারটা ফুলগাছ থাকবে না তা কি হয়? রোজই দুয়েকটা ফুল তো ফোটেই। তাজা ফুল ছিঁড়তে না চাইলে গাছে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দিয়েও কিন্তু চুলচর্চা করতে পারেন। হয়তো আপনি জানেনও না, আপনার বারান্দাতেই এমন কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলো বেটে ব্যবহার করলে চুল হাসবে নতুন ছন্দে। জেনে নিন বারান্দার কোন
৪ ঘণ্টা আগে
জলপাইয়ের মৌসুমে অনেক পদের আচারের মধ্য়ে এক পদের টক-মিষ্টি আচার না হলে হয়? টক-মিষ্টি আচার বাড়ির সব বয়সীরা খেতে ভালোবাসে। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৬ ঘণ্টা আগে