আমজাদ ইউনুস

সেলজুক সুলতান মালিক শাহের উজির নিজামুল মুলক ১০৬৫ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদে প্রথম নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নিজামুল মুলক একজন অনন্য বুদ্ধিমান ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। নিজামিয়া মাদ্রাসা ছিল গতানুগতিক শিক্ষায় সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। বাগদাদের পর ইস্পাহান, নিশাপুর, বলখ, হেরাত, তাবারিস্তান, খুজিস্তান, ইউফ্রেটিস দ্বীপসহ বিভিন্ন প্রধানতম শহরে নিজামিয়া ধারার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন।
ইসলাম বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুসংগঠিত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সূচনা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেছেন, নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থাই ইসলামের ইতিহাসের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর নামেই এর নামকরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে নিজামিয়া মাদ্রাসার অনুকরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।
নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল, শুদ্ধ ও একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর উপাসনা করার শিক্ষা দেওয়া, ধর্মের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালনের জন্য বিশুদ্ধ ইসলামি শিক্ষা দেওয়া, ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজে সৎভাবে জীবনযাপন করা, অন্যকে সৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি।
এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা গবেষণা ও লেখালেখির পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছিল। শিক্ষকেরা বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেন। গবেষণা করতেন। লেখালেখি রচনা ও সংস্কারের কাজ করতেন। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎ উন্মোচন করার কাজও আঞ্জাম দিয়েছিল নিজামিয়া মাদ্রাসা। ইতিহাস থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছিল।
পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও জোর দেওয়া হতো। বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হতো। পরবর্তী সময়ে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি নানা কাজে সম্পৃক্ত হতেন। এ ছাড়া সুন্নি চিন্তাধারার প্রচার-প্রসার করে শিয়া চিন্তাধারার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার একটি লক্ষ্যও ধারণ করত নিজামিয়া মাদ্রাসা।
সিলেবাসে দুটি মৌলিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক. শাফেয়ি মাজহাবের মতানুসারে ইসলামি আইনশাস্ত্র পাঠদান, দুই. আকিদা-বিশ্বাসে আশআরি চিন্তাধারার মৌলিক বিষয়গুলো পাঠদান। তা ছাড়া এই সিলেবাসে হাদিস, ব্যাকরণ, ভাষা ও সাহিত্যও বিদ্যমান ছিল।
নিজামুল মুলক মাদ্রাসার লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেন। মাদ্রাসার জন্য উদারভাবে ব্যয় করতেন। প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য সম্মানজনক মজুরি বরাদ্দ করেন। শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন চার পাউন্ড রুটির ব্যবস্থা করতেন। ছিল চমৎকার আবাসন-সুবিধাও। প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদা কক্ষ।
সময়ের সেরা আলিম ও ধর্মবিশারদদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হতো। যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী ছিলেন এই মাদ্রাসার শিক্ষক। ফারসি কবি শেখ সাদি বাগদাদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।
নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা প্রায় চার শ বছর টিকে ছিল। এখান থেকেই শাফিয়ি সুন্নি চিন্তাধারার অনেক বিশ্বখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত তৈরি হন। তাঁরা শাফিয়ি ফিকহ ও হাদিস পাঠদানের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন।

সেলজুক সুলতান মালিক শাহের উজির নিজামুল মুলক ১০৬৫ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদে প্রথম নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নিজামুল মুলক একজন অনন্য বুদ্ধিমান ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। নিজামিয়া মাদ্রাসা ছিল গতানুগতিক শিক্ষায় সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। বাগদাদের পর ইস্পাহান, নিশাপুর, বলখ, হেরাত, তাবারিস্তান, খুজিস্তান, ইউফ্রেটিস দ্বীপসহ বিভিন্ন প্রধানতম শহরে নিজামিয়া ধারার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন।
ইসলাম বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুসংগঠিত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সূচনা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেছেন, নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থাই ইসলামের ইতিহাসের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর নামেই এর নামকরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে নিজামিয়া মাদ্রাসার অনুকরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।
নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল, শুদ্ধ ও একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর উপাসনা করার শিক্ষা দেওয়া, ধর্মের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালনের জন্য বিশুদ্ধ ইসলামি শিক্ষা দেওয়া, ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজে সৎভাবে জীবনযাপন করা, অন্যকে সৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি।
এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা গবেষণা ও লেখালেখির পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছিল। শিক্ষকেরা বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেন। গবেষণা করতেন। লেখালেখি রচনা ও সংস্কারের কাজ করতেন। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎ উন্মোচন করার কাজও আঞ্জাম দিয়েছিল নিজামিয়া মাদ্রাসা। ইতিহাস থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছিল।
পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও জোর দেওয়া হতো। বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হতো। পরবর্তী সময়ে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি নানা কাজে সম্পৃক্ত হতেন। এ ছাড়া সুন্নি চিন্তাধারার প্রচার-প্রসার করে শিয়া চিন্তাধারার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার একটি লক্ষ্যও ধারণ করত নিজামিয়া মাদ্রাসা।
সিলেবাসে দুটি মৌলিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক. শাফেয়ি মাজহাবের মতানুসারে ইসলামি আইনশাস্ত্র পাঠদান, দুই. আকিদা-বিশ্বাসে আশআরি চিন্তাধারার মৌলিক বিষয়গুলো পাঠদান। তা ছাড়া এই সিলেবাসে হাদিস, ব্যাকরণ, ভাষা ও সাহিত্যও বিদ্যমান ছিল।
নিজামুল মুলক মাদ্রাসার লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেন। মাদ্রাসার জন্য উদারভাবে ব্যয় করতেন। প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য সম্মানজনক মজুরি বরাদ্দ করেন। শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন চার পাউন্ড রুটির ব্যবস্থা করতেন। ছিল চমৎকার আবাসন-সুবিধাও। প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদা কক্ষ।
সময়ের সেরা আলিম ও ধর্মবিশারদদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হতো। যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী ছিলেন এই মাদ্রাসার শিক্ষক। ফারসি কবি শেখ সাদি বাগদাদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।
নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা প্রায় চার শ বছর টিকে ছিল। এখান থেকেই শাফিয়ি সুন্নি চিন্তাধারার অনেক বিশ্বখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত তৈরি হন। তাঁরা শাফিয়ি ফিকহ ও হাদিস পাঠদানের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন।
আমজাদ ইউনুস

সেলজুক সুলতান মালিক শাহের উজির নিজামুল মুলক ১০৬৫ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদে প্রথম নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নিজামুল মুলক একজন অনন্য বুদ্ধিমান ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। নিজামিয়া মাদ্রাসা ছিল গতানুগতিক শিক্ষায় সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। বাগদাদের পর ইস্পাহান, নিশাপুর, বলখ, হেরাত, তাবারিস্তান, খুজিস্তান, ইউফ্রেটিস দ্বীপসহ বিভিন্ন প্রধানতম শহরে নিজামিয়া ধারার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন।
ইসলাম বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুসংগঠিত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সূচনা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেছেন, নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থাই ইসলামের ইতিহাসের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর নামেই এর নামকরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে নিজামিয়া মাদ্রাসার অনুকরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।
নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল, শুদ্ধ ও একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর উপাসনা করার শিক্ষা দেওয়া, ধর্মের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালনের জন্য বিশুদ্ধ ইসলামি শিক্ষা দেওয়া, ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজে সৎভাবে জীবনযাপন করা, অন্যকে সৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি।
এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা গবেষণা ও লেখালেখির পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছিল। শিক্ষকেরা বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেন। গবেষণা করতেন। লেখালেখি রচনা ও সংস্কারের কাজ করতেন। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎ উন্মোচন করার কাজও আঞ্জাম দিয়েছিল নিজামিয়া মাদ্রাসা। ইতিহাস থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছিল।
পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও জোর দেওয়া হতো। বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হতো। পরবর্তী সময়ে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি নানা কাজে সম্পৃক্ত হতেন। এ ছাড়া সুন্নি চিন্তাধারার প্রচার-প্রসার করে শিয়া চিন্তাধারার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার একটি লক্ষ্যও ধারণ করত নিজামিয়া মাদ্রাসা।
সিলেবাসে দুটি মৌলিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক. শাফেয়ি মাজহাবের মতানুসারে ইসলামি আইনশাস্ত্র পাঠদান, দুই. আকিদা-বিশ্বাসে আশআরি চিন্তাধারার মৌলিক বিষয়গুলো পাঠদান। তা ছাড়া এই সিলেবাসে হাদিস, ব্যাকরণ, ভাষা ও সাহিত্যও বিদ্যমান ছিল।
নিজামুল মুলক মাদ্রাসার লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেন। মাদ্রাসার জন্য উদারভাবে ব্যয় করতেন। প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য সম্মানজনক মজুরি বরাদ্দ করেন। শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন চার পাউন্ড রুটির ব্যবস্থা করতেন। ছিল চমৎকার আবাসন-সুবিধাও। প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদা কক্ষ।
সময়ের সেরা আলিম ও ধর্মবিশারদদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হতো। যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী ছিলেন এই মাদ্রাসার শিক্ষক। ফারসি কবি শেখ সাদি বাগদাদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।
নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা প্রায় চার শ বছর টিকে ছিল। এখান থেকেই শাফিয়ি সুন্নি চিন্তাধারার অনেক বিশ্বখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত তৈরি হন। তাঁরা শাফিয়ি ফিকহ ও হাদিস পাঠদানের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন।

সেলজুক সুলতান মালিক শাহের উজির নিজামুল মুলক ১০৬৫ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদে প্রথম নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। নিজামুল মুলক একজন অনন্য বুদ্ধিমান ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। নিজামিয়া মাদ্রাসা ছিল গতানুগতিক শিক্ষায় সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। বাগদাদের পর ইস্পাহান, নিশাপুর, বলখ, হেরাত, তাবারিস্তান, খুজিস্তান, ইউফ্রেটিস দ্বীপসহ বিভিন্ন প্রধানতম শহরে নিজামিয়া ধারার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন।
ইসলাম বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুসংগঠিত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সূচনা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেছেন, নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থাই ইসলামের ইতিহাসের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর নামেই এর নামকরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে নিজামিয়া মাদ্রাসার অনুকরণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।
নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল, শুদ্ধ ও একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহর উপাসনা করার শিক্ষা দেওয়া, ধর্মের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালনের জন্য বিশুদ্ধ ইসলামি শিক্ষা দেওয়া, ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজে সৎভাবে জীবনযাপন করা, অন্যকে সৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা ইত্যাদি।
এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের জন্য শিক্ষা গবেষণা ও লেখালেখির পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছিল। শিক্ষকেরা বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেন। গবেষণা করতেন। লেখালেখি রচনা ও সংস্কারের কাজ করতেন। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎ উন্মোচন করার কাজও আঞ্জাম দিয়েছিল নিজামিয়া মাদ্রাসা। ইতিহাস থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছিল।
পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও জোর দেওয়া হতো। বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হতো। পরবর্তী সময়ে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি নানা কাজে সম্পৃক্ত হতেন। এ ছাড়া সুন্নি চিন্তাধারার প্রচার-প্রসার করে শিয়া চিন্তাধারার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার একটি লক্ষ্যও ধারণ করত নিজামিয়া মাদ্রাসা।
সিলেবাসে দুটি মৌলিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক. শাফেয়ি মাজহাবের মতানুসারে ইসলামি আইনশাস্ত্র পাঠদান, দুই. আকিদা-বিশ্বাসে আশআরি চিন্তাধারার মৌলিক বিষয়গুলো পাঠদান। তা ছাড়া এই সিলেবাসে হাদিস, ব্যাকরণ, ভাষা ও সাহিত্যও বিদ্যমান ছিল।
নিজামুল মুলক মাদ্রাসার লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেন। মাদ্রাসার জন্য উদারভাবে ব্যয় করতেন। প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীর জন্য সম্মানজনক মজুরি বরাদ্দ করেন। শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন চার পাউন্ড রুটির ব্যবস্থা করতেন। ছিল চমৎকার আবাসন-সুবিধাও। প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদা কক্ষ।
সময়ের সেরা আলিম ও ধর্মবিশারদদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় নিয়োগ দেওয়া হতো। যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী ছিলেন এই মাদ্রাসার শিক্ষক। ফারসি কবি শেখ সাদি বাগদাদের নিজামিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।
নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা প্রায় চার শ বছর টিকে ছিল। এখান থেকেই শাফিয়ি সুন্নি চিন্তাধারার অনেক বিশ্বখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত তৈরি হন। তাঁরা শাফিয়ি ফিকহ ও হাদিস পাঠদানের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ মিনিট আগে
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের স্থান অতুলনীয়। নবী করিম (সা.)-এর সরাসরি সঙ্গী এবং তাঁর শিক্ষার অনন্য প্রয়োগকারী হিসেবে তাঁরা মানবতার জন্য এক জীবন্ত উদাহরণ। সাহাবিরা শুধু আল্লাহর পথের পথিকই ছিলেন না; বরং ন্যায়, ধৈর্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের সর্বোত্তম পরিচয় স্থাপন করেছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা ছিল মুসলিম বিশ্বে উচ্চশিক্ষার প্রথম সুসংগঠিত বিদ্যাপীঠগুলোর একটি। সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিটি বড় শহরে এ মাদ্রাসার শাখা ছিল। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও বেশ জোর দেওয়া হতো এখানে। নিজামিয়া মাদ্রাসা এতই সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ছিল যে ইউরোপেও এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। ইউরোপে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের স্থান অতুলনীয়। নবী করিম (সা.)-এর সরাসরি সঙ্গী এবং তাঁর শিক্ষার অনন্য প্রয়োগকারী হিসেবে তাঁরা মানবতার জন্য এক জীবন্ত উদাহরণ। সাহাবিরা শুধু আল্লাহর পথের পথিকই ছিলেন না; বরং ন্যায়, ধৈর্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের সর্বোত্তম পরিচয় স্থাপন করেছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
ওই চিঠিতে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে—
* কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনি রোগ, গুরুতর হৃদরোগ, সব সময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, এ ধরনের ফুসফুসের রোগ ও ভয়াবহ লিভার সিরোসিস।
* গুরুতর স্নায়বিক কিংবা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা ও যেকোনো স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি মিলবে না।
* সংক্রামক রোগ যেমন—যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি কিংবা অন্য কোনো নিবিড় ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এমন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার।
হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন করে নুসুক মাসার প্লাটফর্মে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য আবশ্যিকভাবে বৈধ স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব।
আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিংয়ে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসুক মাসার প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যু করা স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে মনিটরিং দল। কোনো দেশের একজন হজযাত্রীকে তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য পাওয়া যায় তাহলে সেদেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মসৃণ ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশ থেকে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজের নিবন্ধন না করার জন্য নিবন্ধন শুরু আগেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে অনুরোধ হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে সৌদি সরকারের অনুরোধে সেদেশে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশি দুজন চিকিৎসক।
-------------------------------------------------------------
নির্দেশনা
সেই অনুযায়ী, সব হজযাত্রী বিষয়ক অফিসকে (Pilgrims’ Affairs Offices) নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে হবে:
নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ (Health Clearance Certificate) ইস্যু করতে হবে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে যে তিনি উপরোক্ত কোনো চিকিৎসাগত অবস্থায় ভুগছেন না। এই সনদ ভিসা ইস্যুর পূর্বশর্ত হিসেবে গণ্য হবে।
প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টসহ হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্কিত সব স্থানে কার্যরত তদারকি দলগুলোর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।
এসব দল নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যুকৃত স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে।
যদি কোনো দেশ থেকে আগত কোনো হজযাত্রীর মধ্যে উল্লেখিত রোগাবস্থা বা নিষিদ্ধ স্বাস্থ্যঝুঁকি পাওয়া যায়, তবে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রী বিষয়ক অফিসের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
অনুরোধ
আপনার মহামান্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে—
আপনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করুন যেন তাঁরা হজযাত্রীদের আগমনের পূর্বে সঠিক চিকিৎসা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন এবং তাদের জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ ইস্যু নিশ্চিত করেন।
এটি আপনার তত্ত্বাবধানে থাকা সব হজযাত্রীদের নিরাপদ, সুস্থ ও নিয়ম-সম্মতভাবে হজ পালনের জন্য অপরিহার্য।

প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
ওই চিঠিতে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে—
* কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনি রোগ, গুরুতর হৃদরোগ, সব সময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, এ ধরনের ফুসফুসের রোগ ও ভয়াবহ লিভার সিরোসিস।
* গুরুতর স্নায়বিক কিংবা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা ও যেকোনো স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি মিলবে না।
* সংক্রামক রোগ যেমন—যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি কিংবা অন্য কোনো নিবিড় ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এমন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার।
হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন করে নুসুক মাসার প্লাটফর্মে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য আবশ্যিকভাবে বৈধ স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব।
আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিংয়ে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসুক মাসার প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যু করা স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে মনিটরিং দল। কোনো দেশের একজন হজযাত্রীকে তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য পাওয়া যায় তাহলে সেদেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মসৃণ ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশ থেকে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজের নিবন্ধন না করার জন্য নিবন্ধন শুরু আগেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে অনুরোধ হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে সৌদি সরকারের অনুরোধে সেদেশে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশি দুজন চিকিৎসক।
-------------------------------------------------------------
নির্দেশনা
সেই অনুযায়ী, সব হজযাত্রী বিষয়ক অফিসকে (Pilgrims’ Affairs Offices) নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে হবে:
নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ (Health Clearance Certificate) ইস্যু করতে হবে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে যে তিনি উপরোক্ত কোনো চিকিৎসাগত অবস্থায় ভুগছেন না। এই সনদ ভিসা ইস্যুর পূর্বশর্ত হিসেবে গণ্য হবে।
প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টসহ হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্কিত সব স্থানে কার্যরত তদারকি দলগুলোর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।
এসব দল নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যুকৃত স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে।
যদি কোনো দেশ থেকে আগত কোনো হজযাত্রীর মধ্যে উল্লেখিত রোগাবস্থা বা নিষিদ্ধ স্বাস্থ্যঝুঁকি পাওয়া যায়, তবে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রী বিষয়ক অফিসের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
অনুরোধ
আপনার মহামান্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে—
আপনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করুন যেন তাঁরা হজযাত্রীদের আগমনের পূর্বে সঠিক চিকিৎসা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন এবং তাদের জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ ইস্যু নিশ্চিত করেন।
এটি আপনার তত্ত্বাবধানে থাকা সব হজযাত্রীদের নিরাপদ, সুস্থ ও নিয়ম-সম্মতভাবে হজ পালনের জন্য অপরিহার্য।

নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা ছিল মুসলিম বিশ্বে উচ্চশিক্ষার প্রথম সুসংগঠিত বিদ্যাপীঠগুলোর একটি। সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিটি বড় শহরে এ মাদ্রাসার শাখা ছিল। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও বেশ জোর দেওয়া হতো এখানে। নিজামিয়া মাদ্রাসা এতই সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ছিল যে ইউরোপেও এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। ইউরোপে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ মিনিট আগে
ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের স্থান অতুলনীয়। নবী করিম (সা.)-এর সরাসরি সঙ্গী এবং তাঁর শিক্ষার অনন্য প্রয়োগকারী হিসেবে তাঁরা মানবতার জন্য এক জীবন্ত উদাহরণ। সাহাবিরা শুধু আল্লাহর পথের পথিকই ছিলেন না; বরং ন্যায়, ধৈর্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের সর্বোত্তম পরিচয় স্থাপন করেছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১০ ঘণ্টা আগেমুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের স্থান অতুলনীয়। নবী করিম (সা.)-এর সরাসরি সঙ্গী এবং তাঁর শিক্ষার অনন্য প্রয়োগকারী হিসেবে তাঁরা মানবতার জন্য এক জীবন্ত উদাহরণ। সাহাবিরা শুধু আল্লাহর পথের পথিকই ছিলেন না; বরং ন্যায়, ধৈর্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের সর্বোত্তম পরিচয় স্থাপন করেছিলেন। তাঁদের জীবন ও চরিত্রের মর্যাদা আমাদের জন্য কেবল ইতিহাস নয়; বরং বর্তমান জীবনে নৈতিক ও আত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যবান শিক্ষা।
আজকের এ সমাজে সাহাবিদের আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জীবনচর্চার পথপ্রদর্শক হতে পারে। তাঁদের শিক্ষা আমাদেরকে ধৈর্য ধরে লক্ষ্য অর্জন, ন্যায় ও সততার প্রতি অটল থাকা এবং সমাজে সঠিক ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে উদ্বুদ্ধ করে।
সাহাবিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
ইমান ও নিষ্ঠা: সাহাবিরা নবী করিম (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে ছিলেন অবিচল। ইসলামের প্রাথমিক যুগে সামাজিক বৈরিতা, পরিবার ও সম্পদের ক্ষতি এবং নানাবিধ বিপর্যয় সত্ত্বেও তাঁরা দৃঢ় ছিলেন।
আত্মত্যাগ ও পরিশ্রম: সাহাবিরা ইসলামের জন্য নিজের সব জীবন উৎসর্গ করেছেন। হিজরতের সময় পরিবার, সম্পদ এবং মাতৃভূমি ত্যাগ, বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ, দান ও খয়রাত বিতরণ এবং শিক্ষার প্রচার—সবই ছিল তাঁদের জীবনের অংশ। এই ত্যাগ ও পরিশ্রম তাঁদের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করেছে এবং আমাদের শেখায় যে, ধর্মের জন্য আত্মত্যাগ সর্বদা সম্মানজনক।
সাহাবিদের শিক্ষণীয় দিক
নৈতিক ও সামাজিক আদর্শ: সাহাবিরা শুধু যুদ্ধে বা ধর্ম প্রচারে নয়, সামাজিক আচরণ ও নৈতিকতার ক্ষেত্রেও আদর্শ ছিলেন। তাঁরা সততা, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও ন্যায়পরায়ণতার সর্বোচ্চ উদাহরণ স্থাপন করেছেন। প্রতিটি মুসলিমের উচিত তাঁদের নৈতিকতা অনুকরণ করা এবং সমাজে একটি সুসংগঠিত ও ন্যায়পরায়ণ পরিবেশ গঠন করা।
নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা: সাহাবিরা নবী করিম (সা.)-এর নির্দেশনায় নেতৃত্বদান ও সমন্বয়পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁরা অসংখ্য মুসলিম সম্প্রদায়কে যুগোপযোগী নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে হিজরতের সময় মক্কা থেকে মদিনায় স্থানান্তর এবং সেখানে একটি সুশৃঙ্খল মুসলিম সমাজ গঠনের নেতৃত্ব ছিল তাঁদের।
শিক্ষা ও প্রচারের গুরুত্ব: সাহাবিরা ইসলামের শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁরা কেবল জ্ঞান অর্জন করতেন না; বরং তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেন। সাহাবিদের জীবন ছিল ধৈর্য, অধ্যবসায় ও জ্ঞানচর্চার অনন্য সংমিশ্রণ। তাঁদের শিক্ষা আমাদের শেখায় যে, জ্ঞান অর্জন ও সম্প্রসারণই সমাজের প্রকৃত উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সাহাবিদের জীবন আমাদের জন্য চিরন্তন দৃষ্টান্ত। আমাদের উচিত—
সাহাবিরা ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহ ও নবীর পথে সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সাহাবিদের মতো আদর্শ অনুসরণে সক্ষম করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি

ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের স্থান অতুলনীয়। নবী করিম (সা.)-এর সরাসরি সঙ্গী এবং তাঁর শিক্ষার অনন্য প্রয়োগকারী হিসেবে তাঁরা মানবতার জন্য এক জীবন্ত উদাহরণ। সাহাবিরা শুধু আল্লাহর পথের পথিকই ছিলেন না; বরং ন্যায়, ধৈর্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের সর্বোত্তম পরিচয় স্থাপন করেছিলেন। তাঁদের জীবন ও চরিত্রের মর্যাদা আমাদের জন্য কেবল ইতিহাস নয়; বরং বর্তমান জীবনে নৈতিক ও আত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যবান শিক্ষা।
আজকের এ সমাজে সাহাবিদের আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জীবনচর্চার পথপ্রদর্শক হতে পারে। তাঁদের শিক্ষা আমাদেরকে ধৈর্য ধরে লক্ষ্য অর্জন, ন্যায় ও সততার প্রতি অটল থাকা এবং সমাজে সঠিক ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে উদ্বুদ্ধ করে।
সাহাবিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
ইমান ও নিষ্ঠা: সাহাবিরা নবী করিম (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে ছিলেন অবিচল। ইসলামের প্রাথমিক যুগে সামাজিক বৈরিতা, পরিবার ও সম্পদের ক্ষতি এবং নানাবিধ বিপর্যয় সত্ত্বেও তাঁরা দৃঢ় ছিলেন।
আত্মত্যাগ ও পরিশ্রম: সাহাবিরা ইসলামের জন্য নিজের সব জীবন উৎসর্গ করেছেন। হিজরতের সময় পরিবার, সম্পদ এবং মাতৃভূমি ত্যাগ, বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ, দান ও খয়রাত বিতরণ এবং শিক্ষার প্রচার—সবই ছিল তাঁদের জীবনের অংশ। এই ত্যাগ ও পরিশ্রম তাঁদের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করেছে এবং আমাদের শেখায় যে, ধর্মের জন্য আত্মত্যাগ সর্বদা সম্মানজনক।
সাহাবিদের শিক্ষণীয় দিক
নৈতিক ও সামাজিক আদর্শ: সাহাবিরা শুধু যুদ্ধে বা ধর্ম প্রচারে নয়, সামাজিক আচরণ ও নৈতিকতার ক্ষেত্রেও আদর্শ ছিলেন। তাঁরা সততা, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও ন্যায়পরায়ণতার সর্বোচ্চ উদাহরণ স্থাপন করেছেন। প্রতিটি মুসলিমের উচিত তাঁদের নৈতিকতা অনুকরণ করা এবং সমাজে একটি সুসংগঠিত ও ন্যায়পরায়ণ পরিবেশ গঠন করা।
নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা: সাহাবিরা নবী করিম (সা.)-এর নির্দেশনায় নেতৃত্বদান ও সমন্বয়পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁরা অসংখ্য মুসলিম সম্প্রদায়কে যুগোপযোগী নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে হিজরতের সময় মক্কা থেকে মদিনায় স্থানান্তর এবং সেখানে একটি সুশৃঙ্খল মুসলিম সমাজ গঠনের নেতৃত্ব ছিল তাঁদের।
শিক্ষা ও প্রচারের গুরুত্ব: সাহাবিরা ইসলামের শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁরা কেবল জ্ঞান অর্জন করতেন না; বরং তা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেন। সাহাবিদের জীবন ছিল ধৈর্য, অধ্যবসায় ও জ্ঞানচর্চার অনন্য সংমিশ্রণ। তাঁদের শিক্ষা আমাদের শেখায় যে, জ্ঞান অর্জন ও সম্প্রসারণই সমাজের প্রকৃত উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সাহাবিদের জীবন আমাদের জন্য চিরন্তন দৃষ্টান্ত। আমাদের উচিত—
সাহাবিরা ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহ ও নবীর পথে সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সাহাবিদের মতো আদর্শ অনুসরণে সক্ষম করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি

নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা ছিল মুসলিম বিশ্বে উচ্চশিক্ষার প্রথম সুসংগঠিত বিদ্যাপীঠগুলোর একটি। সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিটি বড় শহরে এ মাদ্রাসার শাখা ছিল। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও বেশ জোর দেওয়া হতো এখানে। নিজামিয়া মাদ্রাসা এতই সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ছিল যে ইউরোপেও এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। ইউরোপে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ মিনিট আগে
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
১০ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ হেদায়ত উল্লাহ

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
কোরআনুল কারিমে মুমিনদের গুণাবলি এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও আত্মশুদ্ধির দিশা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে সুরা মুমিনুনে, যেখানে সফল মুমিনদের সাতটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা মুমিনুনে সফল মুমিনের ছয়টি বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা মুমিনুনে বলেন‚ ‘নিশ্চয়ই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ...’ (সুরা মুমিনুন: ১)। এরপর তিনি তাদের ছয়টি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ করেছেন—
এই ছয়টি বৈশিষ্ট্য অর্জনকারী মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তারাই উত্তরাধিকারী, যারা উত্তরাধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ১০ ও ১১)
এগুলোই হলো সেই পথ, যা মুমিনকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান করে এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানায়।
মুমিনের আরও কিছু মৌলিক গুণাবলি কোরআনের আলোকে
কোরআনে আরও বহু স্থানে মুমিনদের গুণাবলি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
কোরআনের আলোকে মুমিনের গুণাবলি কেবল আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা নয়; এটি এক সম্পূর্ণ জীবনপথের নির্দেশিকা। মুমিনের ইমান, নামাজ, তাকওয়া, দানশীলতা ও নৈতিকতা একত্রে গড়ে তোলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।
যারা কোরআনের বর্ণিত এই গুণাবলি অর্জনে সচেষ্ট হয়, তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা, সমাজের শান্তির দূত এবং আখিরাতে জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী।
‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে সেই মুমিনরা...।’ এই আয়াত শুধু ঘোষণা নয়—এটি প্রতিটি বিশ্বাসীর জন্য প্রেরণার উৎস, যা আমাদের আহ্বান জানায় এক উত্তম, ন্যায়নিষ্ঠ ও আলোকিত জীবনের পথে।
লেখক: প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ, দশমিনা ইসলামিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসা, পটুয়াখালী

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
কোরআনুল কারিমে মুমিনদের গুণাবলি এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও আত্মশুদ্ধির দিশা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে সুরা মুমিনুনে, যেখানে সফল মুমিনদের সাতটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা মুমিনুনে সফল মুমিনের ছয়টি বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা মুমিনুনে বলেন‚ ‘নিশ্চয়ই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ...’ (সুরা মুমিনুন: ১)। এরপর তিনি তাদের ছয়টি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ করেছেন—
এই ছয়টি বৈশিষ্ট্য অর্জনকারী মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তারাই উত্তরাধিকারী, যারা উত্তরাধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ১০ ও ১১)
এগুলোই হলো সেই পথ, যা মুমিনকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান করে এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানায়।
মুমিনের আরও কিছু মৌলিক গুণাবলি কোরআনের আলোকে
কোরআনে আরও বহু স্থানে মুমিনদের গুণাবলি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
কোরআনের আলোকে মুমিনের গুণাবলি কেবল আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা নয়; এটি এক সম্পূর্ণ জীবনপথের নির্দেশিকা। মুমিনের ইমান, নামাজ, তাকওয়া, দানশীলতা ও নৈতিকতা একত্রে গড়ে তোলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।
যারা কোরআনের বর্ণিত এই গুণাবলি অর্জনে সচেষ্ট হয়, তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা, সমাজের শান্তির দূত এবং আখিরাতে জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী।
‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে সেই মুমিনরা...।’ এই আয়াত শুধু ঘোষণা নয়—এটি প্রতিটি বিশ্বাসীর জন্য প্রেরণার উৎস, যা আমাদের আহ্বান জানায় এক উত্তম, ন্যায়নিষ্ঠ ও আলোকিত জীবনের পথে।
লেখক: প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ, দশমিনা ইসলামিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসা, পটুয়াখালী

নিজামিয়া মাদ্রাসাব্যবস্থা ছিল মুসলিম বিশ্বে উচ্চশিক্ষার প্রথম সুসংগঠিত বিদ্যাপীঠগুলোর একটি। সেলজুক সাম্রাজ্যের প্রতিটি বড় শহরে এ মাদ্রাসার শাখা ছিল। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায়ও বেশ জোর দেওয়া হতো এখানে। নিজামিয়া মাদ্রাসা এতই সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ছিল যে ইউরোপেও এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। ইউরোপে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ মিনিট আগে
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের স্থান অতুলনীয়। নবী করিম (সা.)-এর সরাসরি সঙ্গী এবং তাঁর শিক্ষার অনন্য প্রয়োগকারী হিসেবে তাঁরা মানবতার জন্য এক জীবন্ত উদাহরণ। সাহাবিরা শুধু আল্লাহর পথের পথিকই ছিলেন না; বরং ন্যায়, ধৈর্য, সাহস এবং আত্মত্যাগের সর্বোত্তম পরিচয় স্থাপন করেছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে