
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আউয়াল মসজিদ সংস্কারের সময় একটি কাগজের ব্যাগের মধ্য এই কোরআনটি পাওয়া গিয়েছিল।
গবেষকদের ধারণা, ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে কাদি আবদুস সালাম, যিনি তুয়ান গুরু নামে পরিচিত। তিনি ১৭৮০ সালে ইন্দোনেশিয়ার তিডোর দ্বীপ থেকে রাজনৈতিক বন্দী হিসাবে কেপটাউনে আসেন ডাচ উপনিবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদানের জন্য। এই সময়েই তিনি কুরআনটি লিখেছিলেন।
এ বিষয়ে আউয়াল মসজিদ কমিটির সদস্য ক্যাসিয়াম আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, কোরআনটি অত্যন্ত ধুলোবালিযুক্ত ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাদের খুপড়ি ঘরে কেউ ছিল না। নির্মাণকালে তুয়ান গুরুর লেখা ধর্মীয় গ্রন্থের একটি বাক্সও পাওয়া গিয়েছিল।’
অসংখ্য আলগা পৃষ্ঠা সংবলিত কোরানটি আশ্চর্যজনকভাবে ভালো অবস্থায় ছিল। শুধু প্রথম কয়েক পৃষ্ঠার কিনারা ছিন্নভিন্ন ছিল।
আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লিখতে কালো এবং লাল কালি ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব লেখা এখনো সুস্পষ্ট।
১৬৯৪ সাল থেকে মূল্যবান এ নিদর্শনটি সংরক্ষণ করা স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ে জন্য বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এর মধ্য অন্যতম ছিল, কুরআনের ৬ হাজারেরও বেশি আয়াত ক্রমানুসারে রাখা।
এই কাজটি করেছিলেন কেপটাউনের মুসলিম বিচারিক পরিষদের প্রধান আইনবিদ প্রয়াত মাওলানা ত্বহা করণ। বেশ কয়েকজন স্থানীয় আলেমও এতে সহযোগিতা করেছিলেন। বাঁধাইসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন বছর সময় লেগেছিল।
তখন থেকেই কুরআনটি আউয়াল মসজিদে প্রদর্শন করা হয়। ১৭৯৪ সালে তুয়ান গুরু মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ হিসাবে বিবেচিত।
অমূল্য এই কোরআনটি চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে তিনবার। ফলে ১০ বছর আগে মসজিদ কমিটি কোরআনটিকে আগুন ও বুলেট নিরোধক করেছে।
তুয়ান গুরুর জীবনীকার শফিক মর্টন বিশ্বাস করেন, তুয়ান গুরু সম্ভবত রবেন দ্বীপে বন্দী থাকাকালে পাঁচটি কপির মধ্যে প্রথমটি লিখতে শুরু করেছিলেন। এই দ্বীপেই বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও ১৯৬০ থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত বন্দী ছিলেন।
এই অনুলিপিগুলোর বেশিরভাগই ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়সের মধ্যে তুয়ান গুরু লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়। আরবি প্রথম ভাষা না হওয়া সত্ত্বেও কোরআন লেখায় তাঁকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।
মর্টনের মতে, টুয়ান গুরুকে দুইবার রবেন দ্বীপে জেলে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম ১৭৮০ থেকে ১৭৮১ সাল। যখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। এরপর আবার ১৭৮৬ থেকে ১৭৯১ সাল পর্যন্ত তাঁকে কারাবাসে পাঠানো হয়।
মর্টন বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বন্দি ক্রীতদাসদের উজ্জীবিত করতেই তিনি কুরআন লিখেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কুরআনের অনুলিপি লিখতে পারলে লোকদের শিক্ষিত করতে পারবেন এবং সমাজে তাঁরা মর্যাদা পাবেন।
‘‘আপনি যদি আর্কাইভগুলিতে যান তাহলে দেখবেন, ডাচরা যে কাগজ ব্যবহার করত, সেই কাগজের সঙ্গে তুয়ান গুরুর লেখা কোরানের কাগজের মিল রয়েছে। আর তিনি নিজেই বাঁশ থেকে কলম তৈরি করতেন এবং কালো এবং লাল কালি ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।’ ’
তুয়ান গুরুর হাতে লেখা কুরআনের পাঁচটি কপির মধ্যে তিনটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি আউয়াল মসজিদে ও বাকি দুটি তার প্রপৌত্রের পরিবারের কাছে রয়েছে।
আউয়াল মসজিদের কোরানটি থেকে প্রায় ১০০ প্রতিলিপি তৈরি করা হয়েছে। এপ্রিলে এসবের মধ্যে একটি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আর কয়েকটি পরিদর্শনকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১৯ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম রাজনৈতিক দল আল জামাআহর নেতা গনিফ হেনড্রিকস সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় একটি প্রতিলিপি ব্যবহার করেছিলেন।
ডাচরা ধারণাই করতে পারেননি যেই তুয়ান গুরুকে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসিত করেছিল তিনি সেখানে ইসলাম প্রচারের অনুঘটক হবেন। কেপটাউনে এখন আনুমানিক ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে।
বিবিসি অবলম্বনে

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আউয়াল মসজিদ সংস্কারের সময় একটি কাগজের ব্যাগের মধ্য এই কোরআনটি পাওয়া গিয়েছিল।
গবেষকদের ধারণা, ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে কাদি আবদুস সালাম, যিনি তুয়ান গুরু নামে পরিচিত। তিনি ১৭৮০ সালে ইন্দোনেশিয়ার তিডোর দ্বীপ থেকে রাজনৈতিক বন্দী হিসাবে কেপটাউনে আসেন ডাচ উপনিবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদানের জন্য। এই সময়েই তিনি কুরআনটি লিখেছিলেন।
এ বিষয়ে আউয়াল মসজিদ কমিটির সদস্য ক্যাসিয়াম আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, কোরআনটি অত্যন্ত ধুলোবালিযুক্ত ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাদের খুপড়ি ঘরে কেউ ছিল না। নির্মাণকালে তুয়ান গুরুর লেখা ধর্মীয় গ্রন্থের একটি বাক্সও পাওয়া গিয়েছিল।’
অসংখ্য আলগা পৃষ্ঠা সংবলিত কোরানটি আশ্চর্যজনকভাবে ভালো অবস্থায় ছিল। শুধু প্রথম কয়েক পৃষ্ঠার কিনারা ছিন্নভিন্ন ছিল।
আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লিখতে কালো এবং লাল কালি ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব লেখা এখনো সুস্পষ্ট।
১৬৯৪ সাল থেকে মূল্যবান এ নিদর্শনটি সংরক্ষণ করা স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ে জন্য বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এর মধ্য অন্যতম ছিল, কুরআনের ৬ হাজারেরও বেশি আয়াত ক্রমানুসারে রাখা।
এই কাজটি করেছিলেন কেপটাউনের মুসলিম বিচারিক পরিষদের প্রধান আইনবিদ প্রয়াত মাওলানা ত্বহা করণ। বেশ কয়েকজন স্থানীয় আলেমও এতে সহযোগিতা করেছিলেন। বাঁধাইসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন বছর সময় লেগেছিল।
তখন থেকেই কুরআনটি আউয়াল মসজিদে প্রদর্শন করা হয়। ১৭৯৪ সালে তুয়ান গুরু মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ হিসাবে বিবেচিত।
অমূল্য এই কোরআনটি চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে তিনবার। ফলে ১০ বছর আগে মসজিদ কমিটি কোরআনটিকে আগুন ও বুলেট নিরোধক করেছে।
তুয়ান গুরুর জীবনীকার শফিক মর্টন বিশ্বাস করেন, তুয়ান গুরু সম্ভবত রবেন দ্বীপে বন্দী থাকাকালে পাঁচটি কপির মধ্যে প্রথমটি লিখতে শুরু করেছিলেন। এই দ্বীপেই বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও ১৯৬০ থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত বন্দী ছিলেন।
এই অনুলিপিগুলোর বেশিরভাগই ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়সের মধ্যে তুয়ান গুরু লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়। আরবি প্রথম ভাষা না হওয়া সত্ত্বেও কোরআন লেখায় তাঁকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।
মর্টনের মতে, টুয়ান গুরুকে দুইবার রবেন দ্বীপে জেলে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম ১৭৮০ থেকে ১৭৮১ সাল। যখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। এরপর আবার ১৭৮৬ থেকে ১৭৯১ সাল পর্যন্ত তাঁকে কারাবাসে পাঠানো হয়।
মর্টন বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বন্দি ক্রীতদাসদের উজ্জীবিত করতেই তিনি কুরআন লিখেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কুরআনের অনুলিপি লিখতে পারলে লোকদের শিক্ষিত করতে পারবেন এবং সমাজে তাঁরা মর্যাদা পাবেন।
‘‘আপনি যদি আর্কাইভগুলিতে যান তাহলে দেখবেন, ডাচরা যে কাগজ ব্যবহার করত, সেই কাগজের সঙ্গে তুয়ান গুরুর লেখা কোরানের কাগজের মিল রয়েছে। আর তিনি নিজেই বাঁশ থেকে কলম তৈরি করতেন এবং কালো এবং লাল কালি ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।’ ’
তুয়ান গুরুর হাতে লেখা কুরআনের পাঁচটি কপির মধ্যে তিনটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি আউয়াল মসজিদে ও বাকি দুটি তার প্রপৌত্রের পরিবারের কাছে রয়েছে।
আউয়াল মসজিদের কোরানটি থেকে প্রায় ১০০ প্রতিলিপি তৈরি করা হয়েছে। এপ্রিলে এসবের মধ্যে একটি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আর কয়েকটি পরিদর্শনকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১৯ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম রাজনৈতিক দল আল জামাআহর নেতা গনিফ হেনড্রিকস সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় একটি প্রতিলিপি ব্যবহার করেছিলেন।
ডাচরা ধারণাই করতে পারেননি যেই তুয়ান গুরুকে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসিত করেছিল তিনি সেখানে ইসলাম প্রচারের অনুঘটক হবেন। কেপটাউনে এখন আনুমানিক ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে।
বিবিসি অবলম্বনে

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আউয়াল মসজিদ সংস্কারের সময় একটি কাগজের ব্যাগের মধ্য এই কোরআনটি পাওয়া গিয়েছিল।
গবেষকদের ধারণা, ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে কাদি আবদুস সালাম, যিনি তুয়ান গুরু নামে পরিচিত। তিনি ১৭৮০ সালে ইন্দোনেশিয়ার তিডোর দ্বীপ থেকে রাজনৈতিক বন্দী হিসাবে কেপটাউনে আসেন ডাচ উপনিবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদানের জন্য। এই সময়েই তিনি কুরআনটি লিখেছিলেন।
এ বিষয়ে আউয়াল মসজিদ কমিটির সদস্য ক্যাসিয়াম আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, কোরআনটি অত্যন্ত ধুলোবালিযুক্ত ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাদের খুপড়ি ঘরে কেউ ছিল না। নির্মাণকালে তুয়ান গুরুর লেখা ধর্মীয় গ্রন্থের একটি বাক্সও পাওয়া গিয়েছিল।’
অসংখ্য আলগা পৃষ্ঠা সংবলিত কোরানটি আশ্চর্যজনকভাবে ভালো অবস্থায় ছিল। শুধু প্রথম কয়েক পৃষ্ঠার কিনারা ছিন্নভিন্ন ছিল।
আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লিখতে কালো এবং লাল কালি ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব লেখা এখনো সুস্পষ্ট।
১৬৯৪ সাল থেকে মূল্যবান এ নিদর্শনটি সংরক্ষণ করা স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ে জন্য বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এর মধ্য অন্যতম ছিল, কুরআনের ৬ হাজারেরও বেশি আয়াত ক্রমানুসারে রাখা।
এই কাজটি করেছিলেন কেপটাউনের মুসলিম বিচারিক পরিষদের প্রধান আইনবিদ প্রয়াত মাওলানা ত্বহা করণ। বেশ কয়েকজন স্থানীয় আলেমও এতে সহযোগিতা করেছিলেন। বাঁধাইসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন বছর সময় লেগেছিল।
তখন থেকেই কুরআনটি আউয়াল মসজিদে প্রদর্শন করা হয়। ১৭৯৪ সালে তুয়ান গুরু মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ হিসাবে বিবেচিত।
অমূল্য এই কোরআনটি চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে তিনবার। ফলে ১০ বছর আগে মসজিদ কমিটি কোরআনটিকে আগুন ও বুলেট নিরোধক করেছে।
তুয়ান গুরুর জীবনীকার শফিক মর্টন বিশ্বাস করেন, তুয়ান গুরু সম্ভবত রবেন দ্বীপে বন্দী থাকাকালে পাঁচটি কপির মধ্যে প্রথমটি লিখতে শুরু করেছিলেন। এই দ্বীপেই বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও ১৯৬০ থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত বন্দী ছিলেন।
এই অনুলিপিগুলোর বেশিরভাগই ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়সের মধ্যে তুয়ান গুরু লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়। আরবি প্রথম ভাষা না হওয়া সত্ত্বেও কোরআন লেখায় তাঁকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।
মর্টনের মতে, টুয়ান গুরুকে দুইবার রবেন দ্বীপে জেলে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম ১৭৮০ থেকে ১৭৮১ সাল। যখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। এরপর আবার ১৭৮৬ থেকে ১৭৯১ সাল পর্যন্ত তাঁকে কারাবাসে পাঠানো হয়।
মর্টন বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বন্দি ক্রীতদাসদের উজ্জীবিত করতেই তিনি কুরআন লিখেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কুরআনের অনুলিপি লিখতে পারলে লোকদের শিক্ষিত করতে পারবেন এবং সমাজে তাঁরা মর্যাদা পাবেন।
‘‘আপনি যদি আর্কাইভগুলিতে যান তাহলে দেখবেন, ডাচরা যে কাগজ ব্যবহার করত, সেই কাগজের সঙ্গে তুয়ান গুরুর লেখা কোরানের কাগজের মিল রয়েছে। আর তিনি নিজেই বাঁশ থেকে কলম তৈরি করতেন এবং কালো এবং লাল কালি ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।’ ’
তুয়ান গুরুর হাতে লেখা কুরআনের পাঁচটি কপির মধ্যে তিনটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি আউয়াল মসজিদে ও বাকি দুটি তার প্রপৌত্রের পরিবারের কাছে রয়েছে।
আউয়াল মসজিদের কোরানটি থেকে প্রায় ১০০ প্রতিলিপি তৈরি করা হয়েছে। এপ্রিলে এসবের মধ্যে একটি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আর কয়েকটি পরিদর্শনকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১৯ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম রাজনৈতিক দল আল জামাআহর নেতা গনিফ হেনড্রিকস সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় একটি প্রতিলিপি ব্যবহার করেছিলেন।
ডাচরা ধারণাই করতে পারেননি যেই তুয়ান গুরুকে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসিত করেছিল তিনি সেখানে ইসলাম প্রচারের অনুঘটক হবেন। কেপটাউনে এখন আনুমানিক ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে।
বিবিসি অবলম্বনে

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আউয়াল মসজিদ সংস্কারের সময় একটি কাগজের ব্যাগের মধ্য এই কোরআনটি পাওয়া গিয়েছিল।
গবেষকদের ধারণা, ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে কাদি আবদুস সালাম, যিনি তুয়ান গুরু নামে পরিচিত। তিনি ১৭৮০ সালে ইন্দোনেশিয়ার তিডোর দ্বীপ থেকে রাজনৈতিক বন্দী হিসাবে কেপটাউনে আসেন ডাচ উপনিবেশকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগদানের জন্য। এই সময়েই তিনি কুরআনটি লিখেছিলেন।
এ বিষয়ে আউয়াল মসজিদ কমিটির সদস্য ক্যাসিয়াম আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, কোরআনটি অত্যন্ত ধুলোবালিযুক্ত ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাদের খুপড়ি ঘরে কেউ ছিল না। নির্মাণকালে তুয়ান গুরুর লেখা ধর্মীয় গ্রন্থের একটি বাক্সও পাওয়া গিয়েছিল।’
অসংখ্য আলগা পৃষ্ঠা সংবলিত কোরানটি আশ্চর্যজনকভাবে ভালো অবস্থায় ছিল। শুধু প্রথম কয়েক পৃষ্ঠার কিনারা ছিন্নভিন্ন ছিল।
আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লিখতে কালো এবং লাল কালি ব্যবহার করা হয়েছিল। এসব লেখা এখনো সুস্পষ্ট।
১৬৯৪ সাল থেকে মূল্যবান এ নিদর্শনটি সংরক্ষণ করা স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ে জন্য বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এর মধ্য অন্যতম ছিল, কুরআনের ৬ হাজারেরও বেশি আয়াত ক্রমানুসারে রাখা।
এই কাজটি করেছিলেন কেপটাউনের মুসলিম বিচারিক পরিষদের প্রধান আইনবিদ প্রয়াত মাওলানা ত্বহা করণ। বেশ কয়েকজন স্থানীয় আলেমও এতে সহযোগিতা করেছিলেন। বাঁধাইসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন বছর সময় লেগেছিল।
তখন থেকেই কুরআনটি আউয়াল মসজিদে প্রদর্শন করা হয়। ১৭৯৪ সালে তুয়ান গুরু মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ হিসাবে বিবেচিত।
অমূল্য এই কোরআনটি চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে তিনবার। ফলে ১০ বছর আগে মসজিদ কমিটি কোরআনটিকে আগুন ও বুলেট নিরোধক করেছে।
তুয়ান গুরুর জীবনীকার শফিক মর্টন বিশ্বাস করেন, তুয়ান গুরু সম্ভবত রবেন দ্বীপে বন্দী থাকাকালে পাঁচটি কপির মধ্যে প্রথমটি লিখতে শুরু করেছিলেন। এই দ্বীপেই বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্বনেতা নেলসন ম্যান্ডেলাও ১৯৬০ থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত বন্দী ছিলেন।
এই অনুলিপিগুলোর বেশিরভাগই ৮০ থেকে ৯০ বছর বয়সের মধ্যে তুয়ান গুরু লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়। আরবি প্রথম ভাষা না হওয়া সত্ত্বেও কোরআন লেখায় তাঁকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।
মর্টনের মতে, টুয়ান গুরুকে দুইবার রবেন দ্বীপে জেলে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম ১৭৮০ থেকে ১৭৮১ সাল। যখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর। এরপর আবার ১৭৮৬ থেকে ১৭৯১ সাল পর্যন্ত তাঁকে কারাবাসে পাঠানো হয়।
মর্টন বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বন্দি ক্রীতদাসদের উজ্জীবিত করতেই তিনি কুরআন লিখেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কুরআনের অনুলিপি লিখতে পারলে লোকদের শিক্ষিত করতে পারবেন এবং সমাজে তাঁরা মর্যাদা পাবেন।
‘‘আপনি যদি আর্কাইভগুলিতে যান তাহলে দেখবেন, ডাচরা যে কাগজ ব্যবহার করত, সেই কাগজের সঙ্গে তুয়ান গুরুর লেখা কোরানের কাগজের মিল রয়েছে। আর তিনি নিজেই বাঁশ থেকে কলম তৈরি করতেন এবং কালো এবং লাল কালি ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়েছিলেন।’ ’
তুয়ান গুরুর হাতে লেখা কুরআনের পাঁচটি কপির মধ্যে তিনটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি আউয়াল মসজিদে ও বাকি দুটি তার প্রপৌত্রের পরিবারের কাছে রয়েছে।
আউয়াল মসজিদের কোরানটি থেকে প্রায় ১০০ প্রতিলিপি তৈরি করা হয়েছে। এপ্রিলে এসবের মধ্যে একটি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আর কয়েকটি পরিদর্শনকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১৯ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম রাজনৈতিক দল আল জামাআহর নেতা গনিফ হেনড্রিকস সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় একটি প্রতিলিপি ব্যবহার করেছিলেন।
ডাচরা ধারণাই করতে পারেননি যেই তুয়ান গুরুকে তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাসিত করেছিল তিনি সেখানে ইসলাম প্রচারের অনুঘটক হবেন। কেপটাউনে এখন আনুমানিক ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে।
বিবিসি অবলম্বনে

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
নবী করিম (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার নামাজের। যদি তার নামাজের হিসাব সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে এবং নাজাত পাবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরজ নামাজে কিছু কমতি হয়, তাহলে আল্লাহ বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল ইবাদত রয়েছে কি না? তখন নফল দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর এভাবে অন্য সব ফরজ আমলের ত্রুটি নফলের মাধ্যমে দূর করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৮৬৪)
নফল নামাজের মধ্য চাশতের নামাজ খুব ফজিলত পূর্ণ। এই নফল নামাজ দ্বিপ্রহরের আগপর্যন্ত আদায় করা যায়। চাশতের নামাজ সাধারণত ৪ রাকাত। তবে বেশিও আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) চাশতের নামাজ ৪ রাকাত আদায় করতেন। আল্লাহ চাইলে কখনো কখনো বেশিও পড়তেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৯৬)
আবু জর গিফারী (রা.)-কে নবী (সা.) একবার বলেন, ‘যদি তুমি চাশতের নামাজ ২ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে গাফেলদের মধ্যে গণ্য করা হবে না। যদি ৪ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে। যদি তুমি ৬ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি তুমি ৮ রাকাত পড়, তাহলে তোমাকে সফলকাম ব্যক্তিদের তালিকায় লেখা হবে। যদি ১০ রাকাত পড়, তাহলে সেদিন তোমার আমলনামায় কোনো গুনাহ লেখা হবে না। আর যদি ১২ রাকাত পড়, তাহলে জান্নাতে তোমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।’ (সুনানুল কুবরা বায়হাকি: ৪৯০৬)

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
২৩ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৮মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৯ মিনিট | ০৬: ০৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৪: ৪৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
২৩ আগস্ট ২০২৩
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১১ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য আহ্বান করে।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তখনকার যুগে বিজ্ঞান, দর্শন, রাজনীতি কিংবা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো এত উন্নত ছিল না, অথচ কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে, সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকরাও তা অনুকরণ করে তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্যই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং আল্লাহর বাণী।
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শেখায়। এতে বলা হয়েছে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা, নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার, সৃষ্টির অধিকারসহ এমন কোনো বিষয় নেই যে এতে বাদ আছে।
এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআনে শত শত বছর আগেই সেসব বিষয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মাথা খাটিয়ে গবেষণা করে এগুলোর খুঁটিনাটি বিচার-বিশ্লেষণ, গভীর তত্ত্ব বের করতে হবে।
পবিত্র কোরআন এমন এক মুজিজা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী পর্যন্ত মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয় বরং এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক—কোরআনের বাণী সব সময় সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক ও চিরন্তন সত্যের প্রতীক।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। কেয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরআনের একটি অক্ষরমাত্রও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন মোতাবেক জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
২৩ আগস্ট ২০২৩
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের প্রতি করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪১)
মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। তবে সমাজের সবাই সমান ভাগ্যবান নয়—কেউ কেউ আর্থিক, শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে আসা অত্যন্ত মহৎ কাজ। ইসলামে এ বিষয়টিতে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফেরানোটাই সৎকর্ম নয়, বরং প্রকৃত সৎকর্মশীল ওই ব্যক্তি, যে বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতা, আল্লাহর কিতাব ও নবীদের ওপর এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, প্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে, প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে; তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অন্যের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৬৬)

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০ বছর আগে এক ইন্দোনেশিয়ান ইমাম একটি কোরআন শরীফ হাতে লিখেছিলেন। সেই কোরআনের কপিটি আজও অক্ষত রয়েছে। কেপটাউনের মুসল্লিরা ঐতিহাসিক বো কাপ জেলার একটি মসজিদে সেই কোরআনের কপটি সংরক্ষণ করেছেন।
২৩ আগস্ট ২০২৩
ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তব্যের অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলক নয়, এমন নামাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নফল হিসেবে পরিচিত। নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্প সময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি, মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ—যা শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থে রয়েছে এমন গভীরতা ও প্রজ্ঞা যা মানবমস্তিষ্ককে চিন্তা ও গবেষণার জন্য...
১ দিন আগে