মুফতি খালিদ কাসেমি
পরিশ্রম করে উপার্জন করা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। নিজ হাতে উপার্জন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিজ হাতের কামাইয়ের চেয়ে উত্তম খাবার কেউ কখনো খায়নি। আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে কামাই করে খেতেন।’ (বুখারি) একজন শ্রমিক এই প্রশংসনীয় কাজের মাধ্যমেই জীবিকা অর্জন করে থাকেন। কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে মহানবী (সা.) আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধ করো।’ (মিশকাত)
শ্রমের বিনিময়ে একজন শ্রমিক মালিকের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ও ন্যায্য মজুরি প্রাপ্য হন। একজন শ্রমিক পরিশ্রম করে তাঁর প্রয়োজনগুলো পূরণ করেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী একটি শ্রমজীবী পরিবারের জীবনযাপনের কথা বিবেচনায় রেখে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া উচিত। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির বিষয়টি হাদিস থেকেও প্রতীয়মান হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দাস-দাসীকে ন্যায্য খাদ্য ও পোশাক দিতে হবে। তাকে দিয়ে এমন কোনো কাজ করানো যাবে না, যা তার ক্ষমতাবহির্ভূত।’ (মুয়াত্তা মালিক)
একজন শ্রমিক যেহেতু দৈনন্দিন জীবনধারণের প্রয়োজন নিজ মজুরি থেকে পূরণ করে থাকেন, তাই তাঁর মজুরি আদায়ের ব্যাপারে মালিকপক্ষের কোনো ধরনের গড়িমসি কাম্য নয়। যারা শ্রমিকের মজুরি আদায়ে টালবাহানা করে, তাদের ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পাওনা পরিশোধে সামর্থ্যবান ব্যক্তির গড়িমসি জুলুম।’ (বুখারি)
শ্রমিকের অন্যতম অধিকার ন্যায্য মজুরি কোনো ধরনের গড়িমসি ছাড়া দ্রুত আদায় করা আমাদের কর্তব্য। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পরিশ্রম করে উপার্জন করা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। নিজ হাতে উপার্জন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিজ হাতের কামাইয়ের চেয়ে উত্তম খাবার কেউ কখনো খায়নি। আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে কামাই করে খেতেন।’ (বুখারি) একজন শ্রমিক এই প্রশংসনীয় কাজের মাধ্যমেই জীবিকা অর্জন করে থাকেন। কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে মহানবী (সা.) আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধ করো।’ (মিশকাত)
শ্রমের বিনিময়ে একজন শ্রমিক মালিকের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ও ন্যায্য মজুরি প্রাপ্য হন। একজন শ্রমিক পরিশ্রম করে তাঁর প্রয়োজনগুলো পূরণ করেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী একটি শ্রমজীবী পরিবারের জীবনযাপনের কথা বিবেচনায় রেখে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া উচিত। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির বিষয়টি হাদিস থেকেও প্রতীয়মান হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দাস-দাসীকে ন্যায্য খাদ্য ও পোশাক দিতে হবে। তাকে দিয়ে এমন কোনো কাজ করানো যাবে না, যা তার ক্ষমতাবহির্ভূত।’ (মুয়াত্তা মালিক)
একজন শ্রমিক যেহেতু দৈনন্দিন জীবনধারণের প্রয়োজন নিজ মজুরি থেকে পূরণ করে থাকেন, তাই তাঁর মজুরি আদায়ের ব্যাপারে মালিকপক্ষের কোনো ধরনের গড়িমসি কাম্য নয়। যারা শ্রমিকের মজুরি আদায়ে টালবাহানা করে, তাদের ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেন, ‘পাওনা পরিশোধে সামর্থ্যবান ব্যক্তির গড়িমসি জুলুম।’ (বুখারি)
শ্রমিকের অন্যতম অধিকার ন্যায্য মজুরি কোনো ধরনের গড়িমসি ছাড়া দ্রুত আদায় করা আমাদের কর্তব্য। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২ দিন আগে