আবদুল আযীয কাসেমি

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রাথমিক জীবন
তার নাম মুহাম্মদ কাসেম বিন আসাদ আলি সিদ্দিকি নানুতুবি। উত্তর প্রদেশের মোজাফফরনগর জেলায় নানুতা নামক গ্রামে ১২৪৮ হিজরিতে মোতাবেক ১৮৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই অসাধারণ মেধা ও জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা তিনি নিজ গ্রামে অর্জন করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য দিল্লি গমন করেন। সেখানে মাওলানা মামলুকুল আলি নানুতুবির কাছে প্রায় সব শাস্ত্র শেখেন। হাদিস শাস্ত্রের পাঠ গ্রহণ করেন শায়খ আব্দুল গনি মুজাদ্দিদির কাছে। আরও পাঠ করেন শায়খ মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির কাছে। তিনি হাদিস, তাফসির, ফিকহ, দর্শন এবং অন্যান্য ইসলামি বিজ্ঞানে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। বিশেষত যুক্তিবিদ্যায় তিনি অনন্য অবস্থান তৈরি করেন।
সংগ্রামী কর্মজীবন
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির প্রতিষ্ঠিত ‘আহমদি প্রকাশনী’তে কাজ শুরু করেন। সেখানে বিভিন্ন বইয়ের সম্পাদনা ও টীকা লেখার কাজ করতেন। বিশেষত সহিহ বুখারি সম্পাদনার কাজে বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করেন। শেষ ষষ্ঠাংশ টীকার কাজ তিনি সম্পাদন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি এ কাজে পারদর্শিতার স্বাক্ষর রাখেন। পরবর্তী জীবনেও তিনি প্রকাশনীর কাজ পুরোপুরি ত্যাগ করেননি। দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পরও তিনি মিরাঠ শহরের প্রকাশনা সংস্থা ‘মাতবায়ে মুজতাবাই’তে কাজ করার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
১৮৫৭ সালে যখন পুরো ভারতব্যাপী ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়, তখন উত্তর প্রদেশের থানাভবন, চামেলি, মুজাফফরনগরকে কেন্দ্র করে হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী বাহিনী গঠিত হয়। সেখানে মাওলানা কাসেম নানুতুবি ও রশিদ আহমদ গাঙ্গুহিও নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৮৫৭ সালের ১০ নভেম্বর শামেলিতে অনুষ্ঠিত হয় কঠিন যুদ্ধ। যদিও এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী আধুনিক অস্ত্রের কারণে জয়ী হয়; তবে এটি স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা
১৮৬৬ সালে কাসেম নানুতুবি ও তাঁর সহযোগী মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি অন্যান্য আলেমদের সহায়তায় দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেওবন্দের পাঠ্যক্রমে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, তাফসির ও অন্যান্য ইসলামি জ্ঞানের পাশাপাশি যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ও গণিতও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সমাজসংস্কার
কাসেম নানুতুবি শুধু একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না, ছিলেন একজন সমাজসংস্কারকও। খুবই বিনয়ী ছিলেন। লোকসমাজে নিজেকে জাহির করা খুবই অপছন্দ করতেন। আলেম সুলভ পোশাক পরিচ্ছদও তিনি পরিধান করতেন না। পরবর্তীতে পীর হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নির্দেশে তিনি জনগণের মধ্যে সংস্কার মূলক কাজ শুরু করেন। এতে মুসলমানরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়। বিশেষ করে যখন খ্রিষ্টান মিশনারি ও হিন্দু বুদ্ধিজীবী সমাজ কর্তৃক মুসলমানদের ধর্মহীন করার চক্রান্ত শুরু হয়, তখন তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এ চক্রান্তের মোকাবিলা করেন। ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তিনি খ্রিষ্টান পণ্ডিতদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং তাদের পরাজিত করেন। এসব বিতর্কের বিবরণ বেশ কয়েকটি বইয়ে সংকলিত হয়েছে।
লেখালেখি
কাসেম নানুতুবি (রহ.) বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেগুলো ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইসলামের ওপর আরোপিত নানা আপত্তির অপনোদন ও খণ্ডনে বেশ কয়েকটি বলিষ্ঠ গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচনাসমগ্র পাকিস্তান থেকে বিশের অধিক ভলিয়মে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখাগুলোতে ইসলামি আইন, দর্শন, তাফসির ও হাদিসের গভীর বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। তাঁর রচনাগুলো আজও ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ও সমাদৃত।
মৃত্যু
১৮৮০ সালে কাসেম নানুতুবি (রহ.) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ আজও বিশ্বব্যাপী ইসলামি শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর আদর্শ ও শিক্ষা আজও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রাথমিক জীবন
তার নাম মুহাম্মদ কাসেম বিন আসাদ আলি সিদ্দিকি নানুতুবি। উত্তর প্রদেশের মোজাফফরনগর জেলায় নানুতা নামক গ্রামে ১২৪৮ হিজরিতে মোতাবেক ১৮৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই অসাধারণ মেধা ও জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা তিনি নিজ গ্রামে অর্জন করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য দিল্লি গমন করেন। সেখানে মাওলানা মামলুকুল আলি নানুতুবির কাছে প্রায় সব শাস্ত্র শেখেন। হাদিস শাস্ত্রের পাঠ গ্রহণ করেন শায়খ আব্দুল গনি মুজাদ্দিদির কাছে। আরও পাঠ করেন শায়খ মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির কাছে। তিনি হাদিস, তাফসির, ফিকহ, দর্শন এবং অন্যান্য ইসলামি বিজ্ঞানে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। বিশেষত যুক্তিবিদ্যায় তিনি অনন্য অবস্থান তৈরি করেন।
সংগ্রামী কর্মজীবন
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির প্রতিষ্ঠিত ‘আহমদি প্রকাশনী’তে কাজ শুরু করেন। সেখানে বিভিন্ন বইয়ের সম্পাদনা ও টীকা লেখার কাজ করতেন। বিশেষত সহিহ বুখারি সম্পাদনার কাজে বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করেন। শেষ ষষ্ঠাংশ টীকার কাজ তিনি সম্পাদন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি এ কাজে পারদর্শিতার স্বাক্ষর রাখেন। পরবর্তী জীবনেও তিনি প্রকাশনীর কাজ পুরোপুরি ত্যাগ করেননি। দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পরও তিনি মিরাঠ শহরের প্রকাশনা সংস্থা ‘মাতবায়ে মুজতাবাই’তে কাজ করার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
১৮৫৭ সালে যখন পুরো ভারতব্যাপী ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়, তখন উত্তর প্রদেশের থানাভবন, চামেলি, মুজাফফরনগরকে কেন্দ্র করে হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী বাহিনী গঠিত হয়। সেখানে মাওলানা কাসেম নানুতুবি ও রশিদ আহমদ গাঙ্গুহিও নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৮৫৭ সালের ১০ নভেম্বর শামেলিতে অনুষ্ঠিত হয় কঠিন যুদ্ধ। যদিও এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী আধুনিক অস্ত্রের কারণে জয়ী হয়; তবে এটি স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা
১৮৬৬ সালে কাসেম নানুতুবি ও তাঁর সহযোগী মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি অন্যান্য আলেমদের সহায়তায় দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেওবন্দের পাঠ্যক্রমে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, তাফসির ও অন্যান্য ইসলামি জ্ঞানের পাশাপাশি যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ও গণিতও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সমাজসংস্কার
কাসেম নানুতুবি শুধু একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না, ছিলেন একজন সমাজসংস্কারকও। খুবই বিনয়ী ছিলেন। লোকসমাজে নিজেকে জাহির করা খুবই অপছন্দ করতেন। আলেম সুলভ পোশাক পরিচ্ছদও তিনি পরিধান করতেন না। পরবর্তীতে পীর হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নির্দেশে তিনি জনগণের মধ্যে সংস্কার মূলক কাজ শুরু করেন। এতে মুসলমানরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়। বিশেষ করে যখন খ্রিষ্টান মিশনারি ও হিন্দু বুদ্ধিজীবী সমাজ কর্তৃক মুসলমানদের ধর্মহীন করার চক্রান্ত শুরু হয়, তখন তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এ চক্রান্তের মোকাবিলা করেন। ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তিনি খ্রিষ্টান পণ্ডিতদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং তাদের পরাজিত করেন। এসব বিতর্কের বিবরণ বেশ কয়েকটি বইয়ে সংকলিত হয়েছে।
লেখালেখি
কাসেম নানুতুবি (রহ.) বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেগুলো ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইসলামের ওপর আরোপিত নানা আপত্তির অপনোদন ও খণ্ডনে বেশ কয়েকটি বলিষ্ঠ গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচনাসমগ্র পাকিস্তান থেকে বিশের অধিক ভলিয়মে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখাগুলোতে ইসলামি আইন, দর্শন, তাফসির ও হাদিসের গভীর বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। তাঁর রচনাগুলো আজও ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ও সমাদৃত।
মৃত্যু
১৮৮০ সালে কাসেম নানুতুবি (রহ.) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ আজও বিশ্বব্যাপী ইসলামি শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর আদর্শ ও শিক্ষা আজও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
আবদুল আযীয কাসেমি

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রাথমিক জীবন
তার নাম মুহাম্মদ কাসেম বিন আসাদ আলি সিদ্দিকি নানুতুবি। উত্তর প্রদেশের মোজাফফরনগর জেলায় নানুতা নামক গ্রামে ১২৪৮ হিজরিতে মোতাবেক ১৮৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই অসাধারণ মেধা ও জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা তিনি নিজ গ্রামে অর্জন করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য দিল্লি গমন করেন। সেখানে মাওলানা মামলুকুল আলি নানুতুবির কাছে প্রায় সব শাস্ত্র শেখেন। হাদিস শাস্ত্রের পাঠ গ্রহণ করেন শায়খ আব্দুল গনি মুজাদ্দিদির কাছে। আরও পাঠ করেন শায়খ মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির কাছে। তিনি হাদিস, তাফসির, ফিকহ, দর্শন এবং অন্যান্য ইসলামি বিজ্ঞানে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। বিশেষত যুক্তিবিদ্যায় তিনি অনন্য অবস্থান তৈরি করেন।
সংগ্রামী কর্মজীবন
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির প্রতিষ্ঠিত ‘আহমদি প্রকাশনী’তে কাজ শুরু করেন। সেখানে বিভিন্ন বইয়ের সম্পাদনা ও টীকা লেখার কাজ করতেন। বিশেষত সহিহ বুখারি সম্পাদনার কাজে বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করেন। শেষ ষষ্ঠাংশ টীকার কাজ তিনি সম্পাদন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি এ কাজে পারদর্শিতার স্বাক্ষর রাখেন। পরবর্তী জীবনেও তিনি প্রকাশনীর কাজ পুরোপুরি ত্যাগ করেননি। দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পরও তিনি মিরাঠ শহরের প্রকাশনা সংস্থা ‘মাতবায়ে মুজতাবাই’তে কাজ করার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
১৮৫৭ সালে যখন পুরো ভারতব্যাপী ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়, তখন উত্তর প্রদেশের থানাভবন, চামেলি, মুজাফফরনগরকে কেন্দ্র করে হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী বাহিনী গঠিত হয়। সেখানে মাওলানা কাসেম নানুতুবি ও রশিদ আহমদ গাঙ্গুহিও নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৮৫৭ সালের ১০ নভেম্বর শামেলিতে অনুষ্ঠিত হয় কঠিন যুদ্ধ। যদিও এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী আধুনিক অস্ত্রের কারণে জয়ী হয়; তবে এটি স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা
১৮৬৬ সালে কাসেম নানুতুবি ও তাঁর সহযোগী মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি অন্যান্য আলেমদের সহায়তায় দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেওবন্দের পাঠ্যক্রমে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, তাফসির ও অন্যান্য ইসলামি জ্ঞানের পাশাপাশি যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ও গণিতও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সমাজসংস্কার
কাসেম নানুতুবি শুধু একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না, ছিলেন একজন সমাজসংস্কারকও। খুবই বিনয়ী ছিলেন। লোকসমাজে নিজেকে জাহির করা খুবই অপছন্দ করতেন। আলেম সুলভ পোশাক পরিচ্ছদও তিনি পরিধান করতেন না। পরবর্তীতে পীর হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নির্দেশে তিনি জনগণের মধ্যে সংস্কার মূলক কাজ শুরু করেন। এতে মুসলমানরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়। বিশেষ করে যখন খ্রিষ্টান মিশনারি ও হিন্দু বুদ্ধিজীবী সমাজ কর্তৃক মুসলমানদের ধর্মহীন করার চক্রান্ত শুরু হয়, তখন তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এ চক্রান্তের মোকাবিলা করেন। ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তিনি খ্রিষ্টান পণ্ডিতদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং তাদের পরাজিত করেন। এসব বিতর্কের বিবরণ বেশ কয়েকটি বইয়ে সংকলিত হয়েছে।
লেখালেখি
কাসেম নানুতুবি (রহ.) বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেগুলো ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইসলামের ওপর আরোপিত নানা আপত্তির অপনোদন ও খণ্ডনে বেশ কয়েকটি বলিষ্ঠ গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচনাসমগ্র পাকিস্তান থেকে বিশের অধিক ভলিয়মে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখাগুলোতে ইসলামি আইন, দর্শন, তাফসির ও হাদিসের গভীর বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। তাঁর রচনাগুলো আজও ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ও সমাদৃত।
মৃত্যু
১৮৮০ সালে কাসেম নানুতুবি (রহ.) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ আজও বিশ্বব্যাপী ইসলামি শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর আদর্শ ও শিক্ষা আজও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রাথমিক জীবন
তার নাম মুহাম্মদ কাসেম বিন আসাদ আলি সিদ্দিকি নানুতুবি। উত্তর প্রদেশের মোজাফফরনগর জেলায় নানুতা নামক গ্রামে ১২৪৮ হিজরিতে মোতাবেক ১৮৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই অসাধারণ মেধা ও জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা তিনি নিজ গ্রামে অর্জন করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য দিল্লি গমন করেন। সেখানে মাওলানা মামলুকুল আলি নানুতুবির কাছে প্রায় সব শাস্ত্র শেখেন। হাদিস শাস্ত্রের পাঠ গ্রহণ করেন শায়খ আব্দুল গনি মুজাদ্দিদির কাছে। আরও পাঠ করেন শায়খ মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির কাছে। তিনি হাদিস, তাফসির, ফিকহ, দর্শন এবং অন্যান্য ইসলামি বিজ্ঞানে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। বিশেষত যুক্তিবিদ্যায় তিনি অনন্য অবস্থান তৈরি করেন।
সংগ্রামী কর্মজীবন
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি মুহাদ্দিস আহমদ আলি সাহারানপুরির প্রতিষ্ঠিত ‘আহমদি প্রকাশনী’তে কাজ শুরু করেন। সেখানে বিভিন্ন বইয়ের সম্পাদনা ও টীকা লেখার কাজ করতেন। বিশেষত সহিহ বুখারি সম্পাদনার কাজে বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করেন। শেষ ষষ্ঠাংশ টীকার কাজ তিনি সম্পাদন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি এ কাজে পারদর্শিতার স্বাক্ষর রাখেন। পরবর্তী জীবনেও তিনি প্রকাশনীর কাজ পুরোপুরি ত্যাগ করেননি। দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পরও তিনি মিরাঠ শহরের প্রকাশনা সংস্থা ‘মাতবায়ে মুজতাবাই’তে কাজ করার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
১৮৫৭ সালে যখন পুরো ভারতব্যাপী ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়, তখন উত্তর প্রদেশের থানাভবন, চামেলি, মুজাফফরনগরকে কেন্দ্র করে হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী বাহিনী গঠিত হয়। সেখানে মাওলানা কাসেম নানুতুবি ও রশিদ আহমদ গাঙ্গুহিও নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৮৫৭ সালের ১০ নভেম্বর শামেলিতে অনুষ্ঠিত হয় কঠিন যুদ্ধ। যদিও এ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী আধুনিক অস্ত্রের কারণে জয়ী হয়; তবে এটি স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা
১৮৬৬ সালে কাসেম নানুতুবি ও তাঁর সহযোগী মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি অন্যান্য আলেমদের সহায়তায় দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেওবন্দের পাঠ্যক্রমে কোরআন, হাদিস, ফিকহ, তাফসির ও অন্যান্য ইসলামি জ্ঞানের পাশাপাশি যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ও গণিতও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সমাজসংস্কার
কাসেম নানুতুবি শুধু একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না, ছিলেন একজন সমাজসংস্কারকও। খুবই বিনয়ী ছিলেন। লোকসমাজে নিজেকে জাহির করা খুবই অপছন্দ করতেন। আলেম সুলভ পোশাক পরিচ্ছদও তিনি পরিধান করতেন না। পরবর্তীতে পীর হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নির্দেশে তিনি জনগণের মধ্যে সংস্কার মূলক কাজ শুরু করেন। এতে মুসলমানরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়। বিশেষ করে যখন খ্রিষ্টান মিশনারি ও হিন্দু বুদ্ধিজীবী সমাজ কর্তৃক মুসলমানদের ধর্মহীন করার চক্রান্ত শুরু হয়, তখন তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এ চক্রান্তের মোকাবিলা করেন। ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তিনি খ্রিষ্টান পণ্ডিতদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং তাদের পরাজিত করেন। এসব বিতর্কের বিবরণ বেশ কয়েকটি বইয়ে সংকলিত হয়েছে।
লেখালেখি
কাসেম নানুতুবি (রহ.) বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেগুলো ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইসলামের ওপর আরোপিত নানা আপত্তির অপনোদন ও খণ্ডনে বেশ কয়েকটি বলিষ্ঠ গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচনাসমগ্র পাকিস্তান থেকে বিশের অধিক ভলিয়মে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখাগুলোতে ইসলামি আইন, দর্শন, তাফসির ও হাদিসের গভীর বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। তাঁর রচনাগুলো আজও ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ও সমাদৃত।
মৃত্যু
১৮৮০ সালে কাসেম নানুতুবি (রহ.) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ আজও বিশ্বব্যাপী ইসলামি শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর আদর্শ ও শিক্ষা আজও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির
২৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির
২৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির
২৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মাওলানা কাসেম নানুতুবি (১৮৩৩–৮০) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি শিক্ষার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈপ্লবিক শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির
২৯ মার্চ ২০২৫
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে