মুফতি শাব্বির আহমদ
বদনজর বা খারাপ দৃষ্টি এমন একটি অভিশাপ যা মানুষের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি কারও সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ, বা জীবনের যেকোনো ভালো কিছু দেখে বা জেনে হিংসা থেকে উদ্ভূত হয়। ইসলামে বদনজরের অস্তিত্ব এবং এর প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট আলোকপাত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘বদনজর সত্য। এটি এমন এক প্রভাব—যা মানুষকে উঁচু স্থান থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৪৭৩) এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, বদনজর কতটা মারাত্মক হতে পারে।
বদনজরের কুপ্রভাব
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এক জায়গায় বলেছেন, ‘কাফেররা যখন উপদেশ বাণী শোনে—তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়ে ফেলবে; আর তারা বলে—সে তো এক পাগল।’ (সুরা কলম: ৫১)।
এখানে আল্লাহ তাআলা সোজাসুজি বদনজরের প্রভাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তাফসিরে ইবনে কাসিরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলবে’-এর অর্থ, তারা তোমাকে বদনজর দেবে—তাদের হিংসা তোমাকে শারীরিক বা মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে, যদি আল্লাহ তাআলা তোমাকে রক্ষা না করেন।
এটা প্রমাণিত, বদনজরের কুপ্রভাব আমাদের জীবনের ভালো কিছু—যেমন সৌন্দর্য, সম্পত্তি, কিংবা সাফল্য প্রতিহত করতে পারে। সুতরাং, এসব ভালো জিনিস দেখার সময় আমাদের উচিত, সেই মানুষটির জন্য দোয়া করা, যাতে তার ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
‘বারাকাল্লাহু ফিহি’ (অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা এতে বরকত দান করুন) অথবা ‘মাশাআল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’—এই ধরনের বাক্য উচ্চারণ করা অত্যন্ত জরুরি।
শিশুর বদনজর থেকে রক্ষা
বিশেষ করে শিশুরা সহজেই বদনজরের শিকার হতে পারে। রাসুল (সা.) শিশুদের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দোয়া করতেন এবং তাদের বিভিন্ন দোয়ায় আশ্রয় দিতেন। তিনি হাসান এবং হুসাইন (রা.)-কে নিম্নলিখিত দোয়া পড়ে ফুঁ দিতেন:
‘উইজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।’
অর্থ: ‘তোমাদের দুজনকে আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামের আশ্রয়ে রাখতে চাই—সকল প্রকার শয়তান, ক্ষতিকারক বস্তু এবং সব ধরনের বদনজর থেকে।’ (সহিহ্ বুখারি)
বদনজর থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস ইত্যাদি পড়া উচিত। এসব আমল আমাদের এবং আমাদের প্রিয়জনদের জন্য আল্লাহর আশ্রয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া, যখন আমরা কারও সাফল্য, সৌন্দর্য বা যেকোনো ভালো কিছু দেখি, তখন ভালোভাবে দোয়া করে তার ওপর আল্লাহর বরকত কামনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর রহমত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক, এবং বদনজরের কুপ্রভাব থেকে সকলকে নিরাপদ রাখুন।
বদনজর বা খারাপ দৃষ্টি এমন একটি অভিশাপ যা মানুষের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি কারও সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ, বা জীবনের যেকোনো ভালো কিছু দেখে বা জেনে হিংসা থেকে উদ্ভূত হয়। ইসলামে বদনজরের অস্তিত্ব এবং এর প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট আলোকপাত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘বদনজর সত্য। এটি এমন এক প্রভাব—যা মানুষকে উঁচু স্থান থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৪৭৩) এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, বদনজর কতটা মারাত্মক হতে পারে।
বদনজরের কুপ্রভাব
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এক জায়গায় বলেছেন, ‘কাফেররা যখন উপদেশ বাণী শোনে—তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়ে ফেলবে; আর তারা বলে—সে তো এক পাগল।’ (সুরা কলম: ৫১)।
এখানে আল্লাহ তাআলা সোজাসুজি বদনজরের প্রভাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তাফসিরে ইবনে কাসিরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাদের দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলবে’-এর অর্থ, তারা তোমাকে বদনজর দেবে—তাদের হিংসা তোমাকে শারীরিক বা মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে, যদি আল্লাহ তাআলা তোমাকে রক্ষা না করেন।
এটা প্রমাণিত, বদনজরের কুপ্রভাব আমাদের জীবনের ভালো কিছু—যেমন সৌন্দর্য, সম্পত্তি, কিংবা সাফল্য প্রতিহত করতে পারে। সুতরাং, এসব ভালো জিনিস দেখার সময় আমাদের উচিত, সেই মানুষটির জন্য দোয়া করা, যাতে তার ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
‘বারাকাল্লাহু ফিহি’ (অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা এতে বরকত দান করুন) অথবা ‘মাশাআল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’—এই ধরনের বাক্য উচ্চারণ করা অত্যন্ত জরুরি।
শিশুর বদনজর থেকে রক্ষা
বিশেষ করে শিশুরা সহজেই বদনজরের শিকার হতে পারে। রাসুল (সা.) শিশুদের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দোয়া করতেন এবং তাদের বিভিন্ন দোয়ায় আশ্রয় দিতেন। তিনি হাসান এবং হুসাইন (রা.)-কে নিম্নলিখিত দোয়া পড়ে ফুঁ দিতেন:
‘উইজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।’
অর্থ: ‘তোমাদের দুজনকে আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামের আশ্রয়ে রাখতে চাই—সকল প্রকার শয়তান, ক্ষতিকারক বস্তু এবং সব ধরনের বদনজর থেকে।’ (সহিহ্ বুখারি)
বদনজর থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস ইত্যাদি পড়া উচিত। এসব আমল আমাদের এবং আমাদের প্রিয়জনদের জন্য আল্লাহর আশ্রয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া, যখন আমরা কারও সাফল্য, সৌন্দর্য বা যেকোনো ভালো কিছু দেখি, তখন ভালোভাবে দোয়া করে তার ওপর আল্লাহর বরকত কামনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর রহমত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক, এবং বদনজরের কুপ্রভাব থেকে সকলকে নিরাপদ রাখুন।
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১৭ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১৭ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২০ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০ ঘণ্টা আগে