রাফাত আশরাফ
নবীনন্দিনী ফাতিমা (রা.) ও আলী (রা.)-এর ঘরে জন্ম নেওয়া দুই পবিত্র সন্তান হজরত হাসান ও হুসাইন (রা.) ইসলামি ইতিহাসে শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মানের প্রতীক। একজন তৃতীয় হিজরিতে এবং অপরজন চতুর্থ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আহলে বায়তের মূলধারা, তাঁর প্রাণের টুকরো, তাঁর ভালোবাসার মণিমুক্তা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের প্রতি যে গভীর স্নেহ ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, তা স্মরণীয় হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে যখন প্রশ্ন করা হতো, আপনার পরিবারের মধ্যে কে আপনার সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বলতেন—হাসান ও হুসাইন। তিনি তাঁদের নাক টিপে দিতেন এবং আদর করে জড়িয়ে ধরতেন। (জামেউল কাবির লিত্ তিরমিজি: ৩৭৭২)
নবীজি (সা.) তাদের সম্পর্কে বলেন, ‘হাসান ও হুসাইন এ দুজন পৃথিবীতে আমার দুটি সুগন্ধময় ফুল।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭০)
তিনি শুধু কথায় নয়, ব্যবহারেও তাঁদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন প্রকাশ করেছেন। ইয়ালা ইবনে মুররাহ (রা.)-এর বর্ণনায় জানা যায়, রাসুল (সা.) একদিন হুসাইন (রা.)-কে দেখে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ধরে কোলে তোলেন, তাঁর চোয়ালে ও মাথায় হাত রেখে চুমু দেন। এরপর বলেন, ‘হুসাইন আমার থেকে, আমি হুসাইন থেকে। যে হুসাইনকে ভালোবাসে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪)
হাসান ও হুসাইন রা. ছিলেন রাসুল (সা.)-এর আহলে বায়তের অন্তর্ভুক্ত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন প্রত্যুষে বের হলেন, তার শরীর মোবারক ছিল নকশা করা চাদর দ্বারা আবৃত। তখন হাসান (রা.) এলে নবীজি তাকে নিজের চাদরের মধ্যে শামিল করে নিলেন। এরপর হুসাইন (রা.) এলে তাকেও নবীজি (সা.) চাদর মোবারকে জড়িয়ে নিলেন।
অতঃপর ফাতেমা (রা.) এলে নবীজি (সা.) তাঁকেও চাদরের মধ্যে শামিল করে নিলেন। সর্বশেষে আলী (রা.) এলে তাকে চাদরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর সুরা আহজাবের ৩৩ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘আল্লাহ চান, হে নবী-পরিবার, তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের পবিত্র রাখতে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪২৪)
হাসান (রা.) ছিলেন অনুপম ও অমায়িক স্বভাবের অধিকারী। প্রিয় নবী (সা.)-এর চেহারা মোবারকের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল তার চেহারা। হুসাইন (রা.) হলেন পূতঃপবিত্র ও বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী এক মহাপুরুষ। তাঁরা উভয়ে প্রিয় নবীজির নবুওয়াতের সাক্ষ্যদাতা, জান্নাতি যুবকদের সরদার।
হাসান ও হুসাইন (রা.) শুধু প্রিয় নবীজির আদরের নাতি ছিলেন না, তাঁরা ছিলেন ইসলামের জীবন্ত সৌন্দর্য ও ত্যাগের প্রতীক।
নবীনন্দিনী ফাতিমা (রা.) ও আলী (রা.)-এর ঘরে জন্ম নেওয়া দুই পবিত্র সন্তান হজরত হাসান ও হুসাইন (রা.) ইসলামি ইতিহাসে শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মানের প্রতীক। একজন তৃতীয় হিজরিতে এবং অপরজন চতুর্থ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আহলে বায়তের মূলধারা, তাঁর প্রাণের টুকরো, তাঁর ভালোবাসার মণিমুক্তা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের প্রতি যে গভীর স্নেহ ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, তা স্মরণীয় হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে যখন প্রশ্ন করা হতো, আপনার পরিবারের মধ্যে কে আপনার সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বলতেন—হাসান ও হুসাইন। তিনি তাঁদের নাক টিপে দিতেন এবং আদর করে জড়িয়ে ধরতেন। (জামেউল কাবির লিত্ তিরমিজি: ৩৭৭২)
নবীজি (সা.) তাদের সম্পর্কে বলেন, ‘হাসান ও হুসাইন এ দুজন পৃথিবীতে আমার দুটি সুগন্ধময় ফুল।’ (জামে তিরমিজি: ৩৭৭০)
তিনি শুধু কথায় নয়, ব্যবহারেও তাঁদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন প্রকাশ করেছেন। ইয়ালা ইবনে মুররাহ (রা.)-এর বর্ণনায় জানা যায়, রাসুল (সা.) একদিন হুসাইন (রা.)-কে দেখে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ধরে কোলে তোলেন, তাঁর চোয়ালে ও মাথায় হাত রেখে চুমু দেন। এরপর বলেন, ‘হুসাইন আমার থেকে, আমি হুসাইন থেকে। যে হুসাইনকে ভালোবাসে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪)
হাসান ও হুসাইন রা. ছিলেন রাসুল (সা.)-এর আহলে বায়তের অন্তর্ভুক্ত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন প্রত্যুষে বের হলেন, তার শরীর মোবারক ছিল নকশা করা চাদর দ্বারা আবৃত। তখন হাসান (রা.) এলে নবীজি তাকে নিজের চাদরের মধ্যে শামিল করে নিলেন। এরপর হুসাইন (রা.) এলে তাকেও নবীজি (সা.) চাদর মোবারকে জড়িয়ে নিলেন।
অতঃপর ফাতেমা (রা.) এলে নবীজি (সা.) তাঁকেও চাদরের মধ্যে শামিল করে নিলেন। সর্বশেষে আলী (রা.) এলে তাকে চাদরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর সুরা আহজাবের ৩৩ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘আল্লাহ চান, হে নবী-পরিবার, তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের পবিত্র রাখতে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪২৪)
হাসান (রা.) ছিলেন অনুপম ও অমায়িক স্বভাবের অধিকারী। প্রিয় নবী (সা.)-এর চেহারা মোবারকের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল তার চেহারা। হুসাইন (রা.) হলেন পূতঃপবিত্র ও বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী এক মহাপুরুষ। তাঁরা উভয়ে প্রিয় নবীজির নবুওয়াতের সাক্ষ্যদাতা, জান্নাতি যুবকদের সরদার।
হাসান ও হুসাইন (রা.) শুধু প্রিয় নবীজির আদরের নাতি ছিলেন না, তাঁরা ছিলেন ইসলামের জীবন্ত সৌন্দর্য ও ত্যাগের প্রতীক।
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৩ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২১ ঘণ্টা আগে