কে এম ছালেহ আহমদ জাহেরী
মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) উম্মতকে আমল-আখলাখে পূর্ণতা অর্জনের শিক্ষা দিয়েছেন। বিভিন্নভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগ দিতে উৎসাহ জুগিয়েছেন। কিছু কিছু আমলকে সেরা ও উত্তম আমল ঘোষণা দিয়ে তা পালন করতে আগ্রহী করে তুলেছেন। তেমনই কয়েকটি আমলের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
ফজরের সুন্নত নামাজ: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত নামাজ) দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম: ৭২৫)
প্রথম কাতারে নামাজ আদায়: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘পুরুষের কাতারের মধ্যে উত্তম হলো প্রথম কাতার এবং নিকৃষ্ট হলো শেষ কাতার।’ (মুসলিম: ৪৪০)
কোরআন শেখা ও শেখানো: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’ (বুখারি: ৫০২৭)
অসহায় লোকদের সাহায্য করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিচের হাত থেকে ওপরের হাত উত্তম। কেননা, ওপরের হাত হলো দানকারীর হাত, নিচের হাত হলো গ্রহণকারীর হাত।’ (বুখারি: ১৪২৯)
মানুষকে খাবার ও সালাম দেওয়া: এক ব্যক্তি নবী (সা.)কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইসলামের কোন আমলটি উত্তম?’ তিনি বললেন, ‘মানুষকে খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (বুখারি: ২৮)
ভদ্রতা: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ (বুখারি: ৩৫৫৯)
মীমাংসার উদ্যোগ: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো মুসলিমের পক্ষে তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি এভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করা বৈধ নয়, তাদের দুজনের দেখা-সাক্ষাৎ হলে একজন একদিকে আরেকজন অন্যদিকে চেহারা ঘুরিয়ে ফেলে। তাদের মধ্যে উত্তম ওই ব্যক্তি, যে প্রথম সালাম দেয়।’ (বুখারি: ৬২৩৭)
পরিবারের সঙ্গে উত্তম আচরণ: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি: ৩৮৯৫)
লেখক: খতিব, আবারপাড়া জামে মসজিদ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) উম্মতকে আমল-আখলাখে পূর্ণতা অর্জনের শিক্ষা দিয়েছেন। বিভিন্নভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগ দিতে উৎসাহ জুগিয়েছেন। কিছু কিছু আমলকে সেরা ও উত্তম আমল ঘোষণা দিয়ে তা পালন করতে আগ্রহী করে তুলেছেন। তেমনই কয়েকটি আমলের কথা এখানে তুলে ধরা হলো—
ফজরের সুন্নত নামাজ: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত নামাজ) দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম: ৭২৫)
প্রথম কাতারে নামাজ আদায়: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘পুরুষের কাতারের মধ্যে উত্তম হলো প্রথম কাতার এবং নিকৃষ্ট হলো শেষ কাতার।’ (মুসলিম: ৪৪০)
কোরআন শেখা ও শেখানো: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’ (বুখারি: ৫০২৭)
অসহায় লোকদের সাহায্য করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিচের হাত থেকে ওপরের হাত উত্তম। কেননা, ওপরের হাত হলো দানকারীর হাত, নিচের হাত হলো গ্রহণকারীর হাত।’ (বুখারি: ১৪২৯)
মানুষকে খাবার ও সালাম দেওয়া: এক ব্যক্তি নবী (সা.)কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইসলামের কোন আমলটি উত্তম?’ তিনি বললেন, ‘মানুষকে খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (বুখারি: ২৮)
ভদ্রতা: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ (বুখারি: ৩৫৫৯)
মীমাংসার উদ্যোগ: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো মুসলিমের পক্ষে তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি এভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করা বৈধ নয়, তাদের দুজনের দেখা-সাক্ষাৎ হলে একজন একদিকে আরেকজন অন্যদিকে চেহারা ঘুরিয়ে ফেলে। তাদের মধ্যে উত্তম ওই ব্যক্তি, যে প্রথম সালাম দেয়।’ (বুখারি: ৬২৩৭)
পরিবারের সঙ্গে উত্তম আচরণ: রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি: ৩৮৯৫)
লেখক: খতিব, আবারপাড়া জামে মসজিদ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৩ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২১ ঘণ্টা আগে