ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
রমজান মাসে জাকাত
জাকাত বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও সাধারণত তা রমজান মাসেই আদায় করা হয়। আর সেটিই যৌক্তিক। কারণ—
প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়।
দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব-কিতাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়।
জাকাত গরিবদের অধিকার
জাকাত ধনীদের সম্পদে গরিবদের অধিকার। এ জন্য জাকাত প্রদানকারীদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাতগ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
জাকাতের নিসাব
জাকাতের নিসাব হলো, সাড়ে সাত ভরি বা ৮৭.৪৫ গ্রাম স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা ৬১২.১৫ গ্রাম রৌপ্য বা সমমূল্যের নগদ টাকা, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএস অথবা সমমূল্যের ব্যবসার পণ্য থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে। বর্তমান বাজারে সনাতন এক ভরি রৌপ্যের বাজারদর (৯৫৩ টাকা) হিসাবে জাকাতের নিসাব দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা মাত্র।
যাদের ওপর জাকাত ফরজ
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী—যার কাছে ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় খাদ্য-বস্ত্রের ব্যয় বাদ দিয়ে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তিনিই সম্পদশালী। এই পরিমাণ সম্পদ এক বছর স্থায়ী হলে বা বছরের শুরু ও শেষে থাকলে বছর শেষে জাকাত দিতে হবে।
যাদের জাকাত দেওয়া যায়
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত উশুলের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী এবং যাদের মনোরঞ্জন করা উদ্দেশ্য তাদের হক। আর তা দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তের ঋণ পরিশোধ এবং আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের সাহায্যেও ব্যয় করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা: ৬০)
আয়াতে যে আট শ্রেণির লোকজনের জাকাত প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তারা হলো—
এক. ফকির তথা যার মালিকানায় জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, যদিও সে কর্মক্ষম বা কর্মরত হয়।
দুই. মিসকিন তথা যার মালিকানায় কোনো ধরনের সম্পদ না থাকে।
তিন. আমেল তথা ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
চার. অমুসলিমদের মনোরঞ্জনের জন্য জাকাত দেওয়া। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় অমুসলিমদের জাকাত দেওয়ার বিধান রহিত হয়ে গেছে। তবে নওমুসলিমকে পুনর্বাসনের জন্য জাকাত দেওয়া যায়।
পাঁচ. গোলাম তথা বিনিময় প্রদান করে মুক্ত হওয়ার জন্য ক্রীতদাসকে জাকাত প্রদান করা। বর্তমানে এই খাতটিও বিদ্যমান নেই।
ছয়. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে ঋণ আদায় করার পর তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না।
সাত. আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তি। যেসব মুসলমান আল্লাহর পথে রয়েছে এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ নেই।
আট. মুসাফির, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কোথাও সফরে এসে সম্পদশূন্য হয়ে পড়লে, সে বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এমন পরিমাণ জাকাত প্রদান করা যাবে।
উল্লিখিত সব খাতে অথবা যেকোনো একটি খাতে জাকাত আদায় করতে হবে।
জাকাতের উপকারিতা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করো, যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র ও বরকতময় করতে পারো এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া করো, নিশ্চয়ই তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনাস্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, জানেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৩)
জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ ও ব্যক্তিত্বের পরিশুদ্ধি হয়। আল্লাহ তাআলাই সম্পদের মূল মালিক, বিষয়টি প্রকাশ পায়। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদের মোহ দূর হয় এবং মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায়। সামর্থ্যবান সব মানুষ জাকাত প্রদান করলে দেশের অর্থনীতি অন্য রকম হতে পারত। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমে যেত।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ধনী ও গরিব আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে, একজন সম্পদের পাহাড় গড়বে আর অন্যজন খাবারের জন্য কুকুরের সঙ্গে লড়াই করবে। একজন একাধিক প্রাসাদ গড়বে আর অন্যজন রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে রাত কাটাবে। বরং পৃথিবীর সব মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা দরকার, আল্লাহ তা সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রতিটি বস্তুকে পরিমিত রূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা কামার: ৪৯) সুষম বণ্টনের অভাবে ধনী ও গরিবের মধ্যে এমন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। জাকাত এই বৈষম্য দূর করে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে।
হাদিসের ভাষায়, রমজান হলো ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। রোজার মাধ্যমে ধৈর্যের অনুশীলন হয় আর জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহানুভূতি বাস্তবায়িত হয়। উভয়ের সমন্বয়ে পূর্ণতা পায় বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
রমজান মাসে জাকাত
জাকাত বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও সাধারণত তা রমজান মাসেই আদায় করা হয়। আর সেটিই যৌক্তিক। কারণ—
প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়।
দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব-কিতাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়।
জাকাত গরিবদের অধিকার
জাকাত ধনীদের সম্পদে গরিবদের অধিকার। এ জন্য জাকাত প্রদানকারীদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাতগ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
জাকাতের নিসাব
জাকাতের নিসাব হলো, সাড়ে সাত ভরি বা ৮৭.৪৫ গ্রাম স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা ৬১২.১৫ গ্রাম রৌপ্য বা সমমূল্যের নগদ টাকা, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএস অথবা সমমূল্যের ব্যবসার পণ্য থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে। বর্তমান বাজারে সনাতন এক ভরি রৌপ্যের বাজারদর (৯৫৩ টাকা) হিসাবে জাকাতের নিসাব দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা মাত্র।
যাদের ওপর জাকাত ফরজ
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী—যার কাছে ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় খাদ্য-বস্ত্রের ব্যয় বাদ দিয়ে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তিনিই সম্পদশালী। এই পরিমাণ সম্পদ এক বছর স্থায়ী হলে বা বছরের শুরু ও শেষে থাকলে বছর শেষে জাকাত দিতে হবে।
যাদের জাকাত দেওয়া যায়
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত উশুলের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী এবং যাদের মনোরঞ্জন করা উদ্দেশ্য তাদের হক। আর তা দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তের ঋণ পরিশোধ এবং আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের সাহায্যেও ব্যয় করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা: ৬০)
আয়াতে যে আট শ্রেণির লোকজনের জাকাত প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তারা হলো—
এক. ফকির তথা যার মালিকানায় জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, যদিও সে কর্মক্ষম বা কর্মরত হয়।
দুই. মিসকিন তথা যার মালিকানায় কোনো ধরনের সম্পদ না থাকে।
তিন. আমেল তথা ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
চার. অমুসলিমদের মনোরঞ্জনের জন্য জাকাত দেওয়া। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় অমুসলিমদের জাকাত দেওয়ার বিধান রহিত হয়ে গেছে। তবে নওমুসলিমকে পুনর্বাসনের জন্য জাকাত দেওয়া যায়।
পাঁচ. গোলাম তথা বিনিময় প্রদান করে মুক্ত হওয়ার জন্য ক্রীতদাসকে জাকাত প্রদান করা। বর্তমানে এই খাতটিও বিদ্যমান নেই।
ছয়. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে ঋণ আদায় করার পর তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না।
সাত. আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তি। যেসব মুসলমান আল্লাহর পথে রয়েছে এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ নেই।
আট. মুসাফির, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কোথাও সফরে এসে সম্পদশূন্য হয়ে পড়লে, সে বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এমন পরিমাণ জাকাত প্রদান করা যাবে।
উল্লিখিত সব খাতে অথবা যেকোনো একটি খাতে জাকাত আদায় করতে হবে।
জাকাতের উপকারিতা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করো, যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র ও বরকতময় করতে পারো এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া করো, নিশ্চয়ই তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনাস্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, জানেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৩)
জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ ও ব্যক্তিত্বের পরিশুদ্ধি হয়। আল্লাহ তাআলাই সম্পদের মূল মালিক, বিষয়টি প্রকাশ পায়। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদের মোহ দূর হয় এবং মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায়। সামর্থ্যবান সব মানুষ জাকাত প্রদান করলে দেশের অর্থনীতি অন্য রকম হতে পারত। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমে যেত।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ধনী ও গরিব আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে, একজন সম্পদের পাহাড় গড়বে আর অন্যজন খাবারের জন্য কুকুরের সঙ্গে লড়াই করবে। একজন একাধিক প্রাসাদ গড়বে আর অন্যজন রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে রাত কাটাবে। বরং পৃথিবীর সব মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা দরকার, আল্লাহ তা সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রতিটি বস্তুকে পরিমিত রূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা কামার: ৪৯) সুষম বণ্টনের অভাবে ধনী ও গরিবের মধ্যে এমন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। জাকাত এই বৈষম্য দূর করে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে।
হাদিসের ভাষায়, রমজান হলো ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। রোজার মাধ্যমে ধৈর্যের অনুশীলন হয় আর জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহানুভূতি বাস্তবায়িত হয়। উভয়ের সমন্বয়ে পূর্ণতা পায় বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
রমজান মাসে জাকাত
জাকাত বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও সাধারণত তা রমজান মাসেই আদায় করা হয়। আর সেটিই যৌক্তিক। কারণ—
প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়।
দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব-কিতাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়।
জাকাত গরিবদের অধিকার
জাকাত ধনীদের সম্পদে গরিবদের অধিকার। এ জন্য জাকাত প্রদানকারীদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাতগ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
জাকাতের নিসাব
জাকাতের নিসাব হলো, সাড়ে সাত ভরি বা ৮৭.৪৫ গ্রাম স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা ৬১২.১৫ গ্রাম রৌপ্য বা সমমূল্যের নগদ টাকা, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএস অথবা সমমূল্যের ব্যবসার পণ্য থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে। বর্তমান বাজারে সনাতন এক ভরি রৌপ্যের বাজারদর (৯৫৩ টাকা) হিসাবে জাকাতের নিসাব দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা মাত্র।
যাদের ওপর জাকাত ফরজ
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী—যার কাছে ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় খাদ্য-বস্ত্রের ব্যয় বাদ দিয়ে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তিনিই সম্পদশালী। এই পরিমাণ সম্পদ এক বছর স্থায়ী হলে বা বছরের শুরু ও শেষে থাকলে বছর শেষে জাকাত দিতে হবে।
যাদের জাকাত দেওয়া যায়
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত উশুলের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী এবং যাদের মনোরঞ্জন করা উদ্দেশ্য তাদের হক। আর তা দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তের ঋণ পরিশোধ এবং আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের সাহায্যেও ব্যয় করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা: ৬০)
আয়াতে যে আট শ্রেণির লোকজনের জাকাত প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তারা হলো—
এক. ফকির তথা যার মালিকানায় জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, যদিও সে কর্মক্ষম বা কর্মরত হয়।
দুই. মিসকিন তথা যার মালিকানায় কোনো ধরনের সম্পদ না থাকে।
তিন. আমেল তথা ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
চার. অমুসলিমদের মনোরঞ্জনের জন্য জাকাত দেওয়া। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় অমুসলিমদের জাকাত দেওয়ার বিধান রহিত হয়ে গেছে। তবে নওমুসলিমকে পুনর্বাসনের জন্য জাকাত দেওয়া যায়।
পাঁচ. গোলাম তথা বিনিময় প্রদান করে মুক্ত হওয়ার জন্য ক্রীতদাসকে জাকাত প্রদান করা। বর্তমানে এই খাতটিও বিদ্যমান নেই।
ছয়. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে ঋণ আদায় করার পর তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না।
সাত. আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তি। যেসব মুসলমান আল্লাহর পথে রয়েছে এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ নেই।
আট. মুসাফির, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কোথাও সফরে এসে সম্পদশূন্য হয়ে পড়লে, সে বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এমন পরিমাণ জাকাত প্রদান করা যাবে।
উল্লিখিত সব খাতে অথবা যেকোনো একটি খাতে জাকাত আদায় করতে হবে।
জাকাতের উপকারিতা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করো, যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র ও বরকতময় করতে পারো এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া করো, নিশ্চয়ই তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনাস্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, জানেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৩)
জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ ও ব্যক্তিত্বের পরিশুদ্ধি হয়। আল্লাহ তাআলাই সম্পদের মূল মালিক, বিষয়টি প্রকাশ পায়। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদের মোহ দূর হয় এবং মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায়। সামর্থ্যবান সব মানুষ জাকাত প্রদান করলে দেশের অর্থনীতি অন্য রকম হতে পারত। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমে যেত।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ধনী ও গরিব আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে, একজন সম্পদের পাহাড় গড়বে আর অন্যজন খাবারের জন্য কুকুরের সঙ্গে লড়াই করবে। একজন একাধিক প্রাসাদ গড়বে আর অন্যজন রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে রাত কাটাবে। বরং পৃথিবীর সব মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা দরকার, আল্লাহ তা সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রতিটি বস্তুকে পরিমিত রূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা কামার: ৪৯) সুষম বণ্টনের অভাবে ধনী ও গরিবের মধ্যে এমন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। জাকাত এই বৈষম্য দূর করে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে।
হাদিসের ভাষায়, রমজান হলো ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। রোজার মাধ্যমে ধৈর্যের অনুশীলন হয় আর জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহানুভূতি বাস্তবায়িত হয়। উভয়ের সমন্বয়ে পূর্ণতা পায় বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
রমজান মাসে জাকাত
জাকাত বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও সাধারণত তা রমজান মাসেই আদায় করা হয়। আর সেটিই যৌক্তিক। কারণ—
প্রথমত, রমজান সহানুভূতির মাস। রমজানে জাকাত আদায় করলে সহানুভূতি প্রকাশ পায়।
দ্বিতীয়ত, রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, জাকাত আরবি বর্ষ হিসেবে আদায় করতে হয়। রমজান ছাড়া অন্য আরবি মাসের হিসাব-কিতাব অতটা জানা থাকে না। কাজেই রমজান মাসে জাকাত আদায় হিসাব করতেও সহজ হয়।
জাকাত গরিবদের অধিকার
জাকাত ধনীদের সম্পদে গরিবদের অধিকার। এ জন্য জাকাত প্রদানকারীদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাতগ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯)
জাকাতের নিসাব
জাকাতের নিসাব হলো, সাড়ে সাত ভরি বা ৮৭.৪৫ গ্রাম স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা ৬১২.১৫ গ্রাম রৌপ্য বা সমমূল্যের নগদ টাকা, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএস অথবা সমমূল্যের ব্যবসার পণ্য থাকলে জাকাত আদায় করতে হবে। বর্তমান বাজারে সনাতন এক ভরি রৌপ্যের বাজারদর (৯৫৩ টাকা) হিসাবে জাকাতের নিসাব দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা মাত্র।
যাদের ওপর জাকাত ফরজ
স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী—যার কাছে ঋণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় খাদ্য-বস্ত্রের ব্যয় বাদ দিয়ে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তিনিই সম্পদশালী। এই পরিমাণ সম্পদ এক বছর স্থায়ী হলে বা বছরের শুরু ও শেষে থাকলে বছর শেষে জাকাত দিতে হবে।
যাদের জাকাত দেওয়া যায়
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত উশুলের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী এবং যাদের মনোরঞ্জন করা উদ্দেশ্য তাদের হক। আর তা দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তের ঋণ পরিশোধ এবং আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের সাহায্যেও ব্যয় করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা: ৬০)
আয়াতে যে আট শ্রেণির লোকজনের জাকাত প্রদানের কথা বলা হয়েছে, তারা হলো—
এক. ফকির তথা যার মালিকানায় জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, যদিও সে কর্মক্ষম বা কর্মরত হয়।
দুই. মিসকিন তথা যার মালিকানায় কোনো ধরনের সম্পদ না থাকে।
তিন. আমেল তথা ইসলামি রাষ্ট্রের বায়তুল মাল কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জাকাত সংগ্রহে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
চার. অমুসলিমদের মনোরঞ্জনের জন্য জাকাত দেওয়া। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় অমুসলিমদের জাকাত দেওয়ার বিধান রহিত হয়ে গেছে। তবে নওমুসলিমকে পুনর্বাসনের জন্য জাকাত দেওয়া যায়।
পাঁচ. গোলাম তথা বিনিময় প্রদান করে মুক্ত হওয়ার জন্য ক্রীতদাসকে জাকাত প্রদান করা। বর্তমানে এই খাতটিও বিদ্যমান নেই।
ছয়. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যার এই পরিমাণ ঋণ রয়েছে যে ঋণ আদায় করার পর তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে না।
সাত. আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তি। যেসব মুসলমান আল্লাহর পথে রয়েছে এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ নেই।
আট. মুসাফির, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও কোথাও সফরে এসে সম্পদশূন্য হয়ে পড়লে, সে বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এমন পরিমাণ জাকাত প্রদান করা যাবে।
উল্লিখিত সব খাতে অথবা যেকোনো একটি খাতে জাকাত আদায় করতে হবে।
জাকাতের উপকারিতা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করো, যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র ও বরকতময় করতে পারো এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া করো, নিশ্চয়ই তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনাস্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, জানেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৩)
জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ ও ব্যক্তিত্বের পরিশুদ্ধি হয়। আল্লাহ তাআলাই সম্পদের মূল মালিক, বিষয়টি প্রকাশ পায়। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদের মোহ দূর হয় এবং মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায়। সামর্থ্যবান সব মানুষ জাকাত প্রদান করলে দেশের অর্থনীতি অন্য রকম হতে পারত। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমে যেত।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় ধনী ও গরিব আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার অর্থ এই নয় যে, একজন সম্পদের পাহাড় গড়বে আর অন্যজন খাবারের জন্য কুকুরের সঙ্গে লড়াই করবে। একজন একাধিক প্রাসাদ গড়বে আর অন্যজন রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে রাত কাটাবে। বরং পৃথিবীর সব মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা দরকার, আল্লাহ তা সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রতিটি বস্তুকে পরিমিত রূপে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা কামার: ৪৯) সুষম বণ্টনের অভাবে ধনী ও গরিবের মধ্যে এমন বৈষম্য সৃষ্টি হয়। জাকাত এই বৈষম্য দূর করে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করে।
হাদিসের ভাষায়, রমজান হলো ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। রোজার মাধ্যমে ধৈর্যের অনুশীলন হয় আর জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহানুভূতি বাস্তবায়িত হয়। উভয়ের সমন্বয়ে পূর্ণতা পায় বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজান।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৭ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
২২ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৭ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৩ মিনিট | ০৬: ১০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৩ মিনিট | ০৬: ১০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
২২ মার্চ ২০২৪
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
২ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৭ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

কোরআন নুর, আলো এবং এক চিরন্তন মুজিজা। এটি কেবল একটি কিতাব নয়, বরং মুমিন হৃদয়ের জন্য পরম শান্তি ও প্রশান্তির উৎস। কোরআন পাঠ করা মুমিনদের জন্য এক অফুরন্ত কল্যাণের পথ।
আল্লাহর কিতাব পাঠ ও সে অনুযায়ী আমল করা দুনিয়ার সব ব্যবসার চেয়ে বহুগুণে উত্তম ও নিরাপদ। এই ব্যবসায় কোনো ক্ষতি নেই, আছে শুধু লাভ আর লাভ, যা আমাদের আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সব সময় এই লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে রত ছিলেন। এই ব্যবসার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দেব—যা তোমাদের রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?’ (সুরা সাফ: ১০)
যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়নে রত থাকে, ইমানের সঙ্গে তা পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ পরকালে তাদের কর্মের প্রতিদান তাদের কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশি দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
কোরআন পাঠকারী মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ বহু মর্যাদা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন:
উহুদের শহীদদের দাফনের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) তাদের মধ্য থেকে কোরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখতেন এমন ব্যক্তিকে কবরে আগে রাখতেন। এটি কোরআন পাঠকারীর মর্যাদারই প্রমাণ।
কোরআন পাঠ করা, এর অর্থ বোঝা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবসা এবং মুক্তি লাভের একমাত্র পথ। আসুন, আমরা বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করি এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে অগ্রসর হই।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

কোরআন নুর, আলো এবং এক চিরন্তন মুজিজা। এটি কেবল একটি কিতাব নয়, বরং মুমিন হৃদয়ের জন্য পরম শান্তি ও প্রশান্তির উৎস। কোরআন পাঠ করা মুমিনদের জন্য এক অফুরন্ত কল্যাণের পথ।
আল্লাহর কিতাব পাঠ ও সে অনুযায়ী আমল করা দুনিয়ার সব ব্যবসার চেয়ে বহুগুণে উত্তম ও নিরাপদ। এই ব্যবসায় কোনো ক্ষতি নেই, আছে শুধু লাভ আর লাভ, যা আমাদের আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সব সময় এই লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে রত ছিলেন। এই ব্যবসার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দেব—যা তোমাদের রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?’ (সুরা সাফ: ১০)
যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়নে রত থাকে, ইমানের সঙ্গে তা পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ পরকালে তাদের কর্মের প্রতিদান তাদের কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশি দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
কোরআন পাঠকারী মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ বহু মর্যাদা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন:
উহুদের শহীদদের দাফনের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) তাদের মধ্য থেকে কোরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখতেন এমন ব্যক্তিকে কবরে আগে রাখতেন। এটি কোরআন পাঠকারীর মর্যাদারই প্রমাণ।
কোরআন পাঠ করা, এর অর্থ বোঝা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবসা এবং মুক্তি লাভের একমাত্র পথ। আসুন, আমরা বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করি এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে অগ্রসর হই।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
২২ মার্চ ২০২৪
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি ওয়াল মাগরামি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।’
একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আপনি ঋণ থেকে এত বেশি পরিত্রাণ চান কেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৩৯৭)
আবু উমামা (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), ঋণের বোঝা ও দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরেছে।’ রাসুল (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় তাকে এই দোয়া পড়তে বললেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে।’
আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘দোয়াটি পড়ার ফলে চিন্তামুক্ত হই এবং ঋণ আদায়ে সক্ষম হই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৮৯৩) ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আলি (রা.)-কে নবীজি (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করো না। তোমার অনুগ্রহে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৬৩)

জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি ওয়াল মাগরামি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।’
একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আপনি ঋণ থেকে এত বেশি পরিত্রাণ চান কেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৩৯৭)
আবু উমামা (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), ঋণের বোঝা ও দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরেছে।’ রাসুল (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় তাকে এই দোয়া পড়তে বললেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে।’
আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘দোয়াটি পড়ার ফলে চিন্তামুক্ত হই এবং ঋণ আদায়ে সক্ষম হই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৮৯৩) ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আলি (রা.)-কে নবীজি (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করো না। তোমার অনুগ্রহে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৬৩)

জাকাত ইসলামের অন্যতম মৌলিক আর্থিক ইবাদত। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে সামর্থ্যবানদের জন্য জাকাত দেওয়া ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০) অন্যত্র বলেন, ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য; যারা জাকাত দেয় না এবং তারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৬-৭)
২২ মার্চ ২০২৪
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১৭ ঘণ্টা আগে