ইসলাম ডেস্ক
আমানতদারি ও বিশ্বস্ততা মানুষের গুরুত্বপূর্ণ গুণ। এই গুণ অর্জনে ইসলামে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানুষের চারিত্রিক পূর্ণতার জন্য এই গুণ আবশ্যক। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমানতদারদের পরকালে সফল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘এরা সেই লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮)
চাকরি, দায়িত্ব, লেনদেন, হিসাবনিকাশ, নেতৃত্ব—সব বিষয়েই আমানতদারির পরিচয় দিতে হবে। এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোকজন, তোমাদের কোনো ব্যক্তিকে আমাদের সরকারি কোনো পদে নিয়োগ করার পর সে যদি তহবিল থেকে একটি সুই কিংবা তার বেশি আত্মসাৎ করে, তবে সে (আমানতের) খেয়ানতকারী। কিয়ামতের দিন সে তার এই খেয়ানতের বোঝা নিয়ে উপস্থিত হবে।’ (আবু দাউদ: ৩৫৮১)
মহানবী (সা.) ছিলেন পূর্ণ আমানতদার। মক্কার কাফির সরদাররা যখন তাঁর ওপর এবং মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন করে যাচ্ছিল, তখনো মক্কার মানুষের কাছে তিনি আল-আমিন তথা আমানতদার ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ কারণে নবীজির মক্কার ১৩ বছরের জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যত শত্রুতাই থাকুক, তবু মক্কার মানুষ তাঁকেই বিশ্বাস করে নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র রাখতে দিতেন। হিজরতের রাতে যখন তিনি মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় নিয়ে মক্কা ছেড়ে গোপনে মদিনা চলে যাচ্ছিলেন, তখন হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল, যাতে মক্কার মানুষ যে আমানতগুলো তাঁর কাছে গচ্ছিত রেখেছিল, তা ঠিকঠাক পৌঁছে দেওয়া যায়। (সুনানে বায়হাকি: ১২৬৯৬)
আমানতদারি ও বিশ্বস্ততা মানুষের গুরুত্বপূর্ণ গুণ। এই গুণ অর্জনে ইসলামে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানুষের চারিত্রিক পূর্ণতার জন্য এই গুণ আবশ্যক। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমানতদারদের পরকালে সফল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘এরা সেই লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮)
চাকরি, দায়িত্ব, লেনদেন, হিসাবনিকাশ, নেতৃত্ব—সব বিষয়েই আমানতদারির পরিচয় দিতে হবে। এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোকজন, তোমাদের কোনো ব্যক্তিকে আমাদের সরকারি কোনো পদে নিয়োগ করার পর সে যদি তহবিল থেকে একটি সুই কিংবা তার বেশি আত্মসাৎ করে, তবে সে (আমানতের) খেয়ানতকারী। কিয়ামতের দিন সে তার এই খেয়ানতের বোঝা নিয়ে উপস্থিত হবে।’ (আবু দাউদ: ৩৫৮১)
মহানবী (সা.) ছিলেন পূর্ণ আমানতদার। মক্কার কাফির সরদাররা যখন তাঁর ওপর এবং মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন করে যাচ্ছিল, তখনো মক্কার মানুষের কাছে তিনি আল-আমিন তথা আমানতদার ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ কারণে নবীজির মক্কার ১৩ বছরের জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যত শত্রুতাই থাকুক, তবু মক্কার মানুষ তাঁকেই বিশ্বাস করে নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র রাখতে দিতেন। হিজরতের রাতে যখন তিনি মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় নিয়ে মক্কা ছেড়ে গোপনে মদিনা চলে যাচ্ছিলেন, তখন হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল, যাতে মক্কার মানুষ যে আমানতগুলো তাঁর কাছে গচ্ছিত রেখেছিল, তা ঠিকঠাক পৌঁছে দেওয়া যায়। (সুনানে বায়হাকি: ১২৬৯৬)
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১৪ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২ দিন আগে