শাব্বীর আহমদ
কোরবানির ঈদ—এক ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবে লুকিয়ে আছে ইমান, ভালোবাসা আর আত্মদানের গল্প। নবী ইবরাহিম (আ.) যখন আল্লাহর আদেশে প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন, তখন ইতিহাসে গেঁথে যায় এক অমর দৃষ্টান্ত—আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু ত্যাগের অনন্য উদাহরণ। তাই এই দিন শুধু আনন্দ বা ভোজ নয়, বরং হৃদয়ের গভীরে আল্লাহর প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা আর আনুগত্যের প্রতীক।
১০ জিলহজ ভোরটা যেন ভিন্ন এক রং ছড়ায়। আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কোরবানির পশুকে গোসল করিয়ে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি, আতর-সুরমা লাগিয়ে ঈদগাহের পথ ধরা, ঈদের নামাজ আদায়, তাকবিরের ধ্বনি তুলে বাড়ি ফেরা, কোরবানির পশু উৎসর্গ করে ভেতরের অহংকার-লোভ ও আসক্তি বিসর্জন দেওয়া—এ যেন ত্যাগ ও আনন্দের ঈদ।
ইসলামে ঈদুল আজহা ও কোরবানি
হিজরি সনের দ্বিতীয় বছর ইসলামে কোরবানি ও ঈদুল আজহার বিধান যুক্ত হয়। তখন থেকেই সামর্থ্যবানদের ওপর কোরবানি আবশ্যক। কেউ ইচ্ছাকৃত কোরবানি না দিলে, তার জন্য নবীজি (সা.) কঠিন বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যার সামর্থ্য আছে, অথচ সে কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৮২৫৬)
কোরবানির বিধান আসার পর নবী করিম (সা.) কোনো বছর কোরবানি না করে থাকেননি। নিজে কোরবানি দিয়েছেন এবং সাহাবিদের এই ইবাদত পালনে উৎসাহিত করেছেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি ভেড়া কোরবানি দিতেন। আর আমিও দুটি ভেড়া কোরবানি দিতাম। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৩)। অন্য হাদিসে এসেছে, নবীজি যখন কোরবানি করতে ইচ্ছা করতেন—তিনি চিত্রবিচিত্র, শিংবিশিষ্ট, মোটাতাজা দুটি খাসি-ভেড়া কোরবানি দিতেন। এর একটি তিনি ওই সব উম্মতের জন্য কোরবানি করতেন, যারা আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেবে ও তার দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করবে। অন্যটি তিনি নিজের ও তাঁর পরিবারের নামে জবাই করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২২)
নবী করিম (সা.) ঈদগাহে কোরবানির পশু জবাই করতেন। নিজ হাতে জবাই করতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯২, সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫২)। তিনি কোরবানির মাংস নিজেও খেতেন, পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও অসহায়দের খাওয়াতেন। আর তিনি উম্মতকেও এ রকমই নির্দেশ দিয়েছেন।’ (আউনুল মাবুদ: ৭ / ৩৪৫)
নানা দিক বিবেচনায় কোরবানির গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। সাহাবিরা একবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ তাঁরা জানতে চাইলেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ তাঁরা আবার জানতে চাইলেন, ‘লোমশ পশুর পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ তিনি বললেন, ‘লোমশ পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে।’ (সুনানে তিরমিজি: ১৪৯৩)
মনে রাখার বিষয় হলো, কোরবানির সময় পশুর সঙ্গে সদয় আচরণ করতে হবে। অযথা কষ্ট দেওয়া যাবে না। কেনার পর থেকে কোরবানি করার আগপর্যন্ত পশুর থাকা-খাওয়ায় যেন কষ্ট না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল কোরবানির আগে ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির আড়ালে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তোমাদের কেউ জবাই করার সময় যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে, যাতে পশু অধিক কষ্ট না পায়। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৭২)
ঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল
ঈদুল আজহার দিনে শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে কোরবানি করা। কোরবানির পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে ঈদুল আজহার দিনের বেশ কিছু সুন্নত আমল রয়েছে—১. অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু আগে আগে ঘুম থেকে ওঠা। ২. মিসওয়াক করা। ৩. গোসল করা। ৪. শরিয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। ৫. সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা। ৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। ৭. কিছু না খেয়ে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের পর নিজের কোরবানির গোশত দিয়ে দিনের প্রথম খাবার খাওয়া। ৮. আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া। ৯. ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপারগতায় মসজিদে আদায় না করা। ১০. যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে, সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। ১১. হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। ১২. ঈদগাহে যাওয়ার সময় উচ্চ স্বরে তাকবির পড়তে থাকা।
তাকবির হলো ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, সব প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।’
ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি ও সম্প্রতির মেলবন্ধন তৈরি করুক। সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ। উৎসবের আমেজে ঈদ হোক রঙিন। সময় কাটুক আনন্দে। সবাইকে ঈদ মোবারক।
কোরবানির ঈদ—এক ত্যাগের উৎসব। এই উৎসবে লুকিয়ে আছে ইমান, ভালোবাসা আর আত্মদানের গল্প। নবী ইবরাহিম (আ.) যখন আল্লাহর আদেশে প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন, তখন ইতিহাসে গেঁথে যায় এক অমর দৃষ্টান্ত—আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু ত্যাগের অনন্য উদাহরণ। তাই এই দিন শুধু আনন্দ বা ভোজ নয়, বরং হৃদয়ের গভীরে আল্লাহর প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা আর আনুগত্যের প্রতীক।
১০ জিলহজ ভোরটা যেন ভিন্ন এক রং ছড়ায়। আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কোরবানির পশুকে গোসল করিয়ে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি, আতর-সুরমা লাগিয়ে ঈদগাহের পথ ধরা, ঈদের নামাজ আদায়, তাকবিরের ধ্বনি তুলে বাড়ি ফেরা, কোরবানির পশু উৎসর্গ করে ভেতরের অহংকার-লোভ ও আসক্তি বিসর্জন দেওয়া—এ যেন ত্যাগ ও আনন্দের ঈদ।
ইসলামে ঈদুল আজহা ও কোরবানি
হিজরি সনের দ্বিতীয় বছর ইসলামে কোরবানি ও ঈদুল আজহার বিধান যুক্ত হয়। তখন থেকেই সামর্থ্যবানদের ওপর কোরবানি আবশ্যক। কেউ ইচ্ছাকৃত কোরবানি না দিলে, তার জন্য নবীজি (সা.) কঠিন বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যার সামর্থ্য আছে, অথচ সে কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ: ৮২৫৬)
কোরবানির বিধান আসার পর নবী করিম (সা.) কোনো বছর কোরবানি না করে থাকেননি। নিজে কোরবানি দিয়েছেন এবং সাহাবিদের এই ইবাদত পালনে উৎসাহিত করেছেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি ভেড়া কোরবানি দিতেন। আর আমিও দুটি ভেড়া কোরবানি দিতাম। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৩)। অন্য হাদিসে এসেছে, নবীজি যখন কোরবানি করতে ইচ্ছা করতেন—তিনি চিত্রবিচিত্র, শিংবিশিষ্ট, মোটাতাজা দুটি খাসি-ভেড়া কোরবানি দিতেন। এর একটি তিনি ওই সব উম্মতের জন্য কোরবানি করতেন, যারা আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেবে ও তার দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করবে। অন্যটি তিনি নিজের ও তাঁর পরিবারের নামে জবাই করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২২)
নবী করিম (সা.) ঈদগাহে কোরবানির পশু জবাই করতেন। নিজ হাতে জবাই করতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২৭৯২, সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫২)। তিনি কোরবানির মাংস নিজেও খেতেন, পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও অসহায়দের খাওয়াতেন। আর তিনি উম্মতকেও এ রকমই নির্দেশ দিয়েছেন।’ (আউনুল মাবুদ: ৭ / ৩৪৫)
নানা দিক বিবেচনায় কোরবানির গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। সাহাবিরা একবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এই কোরবানির তাৎপর্য কী?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ তাঁরা জানতে চাইলেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী উপকারিতা রয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘কোরবানির পশুর প্রতিটি লোমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ তাঁরা আবার জানতে চাইলেন, ‘লোমশ পশুর পশমের বদলেও কি নেকি পাওয়া যাবে?’ তিনি বললেন, ‘লোমশ পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি পাওয়া যাবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিন (পশু জবাই করে) আদমসন্তান রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় আর কোনো আমল করে না। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা কোরবানির মাধ্যমে নিজেকে প্রফুল্ল করো; অর্থাৎ প্রফুল্ল মনে কোরবানি করো। কিয়ামতের দিন জবাই করা পশু তার শিং, পশম, খুরসহ হাজির হবে।’ (সুনানে তিরমিজি: ১৪৯৩)
মনে রাখার বিষয় হলো, কোরবানির সময় পশুর সঙ্গে সদয় আচরণ করতে হবে। অযথা কষ্ট দেওয়া যাবে না। কেনার পর থেকে কোরবানি করার আগপর্যন্ত পশুর থাকা-খাওয়ায় যেন কষ্ট না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল কোরবানির আগে ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির আড়ালে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তোমাদের কেউ জবাই করার সময় যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে, যাতে পশু অধিক কষ্ট না পায়। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৭২)
ঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল
ঈদুল আজহার দিনে শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে কোরবানি করা। কোরবানির পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে ঈদুল আজহার দিনের বেশ কিছু সুন্নত আমল রয়েছে—১. অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু আগে আগে ঘুম থেকে ওঠা। ২. মিসওয়াক করা। ৩. গোসল করা। ৪. শরিয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। ৫. সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম পোশাক পরিধান করা। ৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। ৭. কিছু না খেয়ে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের পর নিজের কোরবানির গোশত দিয়ে দিনের প্রথম খাবার খাওয়া। ৮. আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া। ৯. ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপারগতায় মসজিদে আদায় না করা। ১০. যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে, সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। ১১. হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া। ১২. ঈদগাহে যাওয়ার সময় উচ্চ স্বরে তাকবির পড়তে থাকা।
তাকবির হলো ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ: ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, সব প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।’
ঈদুল আজহা আমাদের ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি ও সম্প্রতির মেলবন্ধন তৈরি করুক। সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ। উৎসবের আমেজে ঈদ হোক রঙিন। সময় কাটুক আনন্দে। সবাইকে ঈদ মোবারক।
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১৭ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১৭ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২০ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০ ঘণ্টা আগে