ইসলাম ডেস্ক
রাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব ও উপকারিতা
যাঁরা রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাঁরা মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দা। আল্লাহ তাআলা তাঁদের অনেক ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যারা সচ্ছল ও অস্বচ্ছল উভয় অবস্থায়ই অর্থ সম্পদ ব্যয় করে। আর যারা ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ এ ধরনের সৎকর্মশীলদের অত্যন্ত ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৪)
রাগ নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের উত্তম বৈশিষ্ট্য। রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে ইহকাল ও পরকাল উভয় জীবনেই রয়েছে শান্তি ও পুরস্কার। রাসুল (সা.) রাগ নিয়ন্ত্রণ করাকে বীরত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘প্রকৃত বীর হলো সে-ই, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৭৯)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সে প্রকৃত বীর নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়। বরং সে-ই প্রকৃত বীর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৮৪)
রাগ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব বিষয়ে হাদিস শরিফে একটি বর্ণনা রয়েছে। একবার এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘আপনি আমাকে অসিয়ত করুন।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি রাগ করো না।’ ওই ব্যক্তি কয়েকবার একই কথা বলেন এবং রাসুল (সা.) প্রতিবারই তাঁকে বললেন, ‘তুমি রাগ করো না।’ (সহিহ বুখারি ৮/১৩৭)
রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখা জান্নাত লাভের সহজ মাধ্যম। বদমেজাজি ব্যক্তির জন্য জান্নাত লাভ করা কঠিন। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, ‘অশ্লীল ভাষা ব্যবহারকারী ও উগ্র মেজাজের ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪১৬৮)
এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়—রাগী ব্যক্তির পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
রাগের সময় কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে ধীরে ধীরে রাগ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রাগ নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায় হলো—
রাগ মানুষের ইহকাল ও পরকাল দুটোই ধ্বংস করে। রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তাই আমাদের সর্বদা রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের রাগ সংবরণকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
লেখক: শামসুন্নাহার সুমনা, প্রাবন্ধিক
রাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব ও উপকারিতা
যাঁরা রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাঁরা মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দা। আল্লাহ তাআলা তাঁদের অনেক ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যারা সচ্ছল ও অস্বচ্ছল উভয় অবস্থায়ই অর্থ সম্পদ ব্যয় করে। আর যারা ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ এ ধরনের সৎকর্মশীলদের অত্যন্ত ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৪)
রাগ নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের উত্তম বৈশিষ্ট্য। রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে ইহকাল ও পরকাল উভয় জীবনেই রয়েছে শান্তি ও পুরস্কার। রাসুল (সা.) রাগ নিয়ন্ত্রণ করাকে বীরত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘প্রকৃত বীর হলো সে-ই, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৭৯)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সে প্রকৃত বীর নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়। বরং সে-ই প্রকৃত বীর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৬৮৪)
রাগ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব বিষয়ে হাদিস শরিফে একটি বর্ণনা রয়েছে। একবার এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘আপনি আমাকে অসিয়ত করুন।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি রাগ করো না।’ ওই ব্যক্তি কয়েকবার একই কথা বলেন এবং রাসুল (সা.) প্রতিবারই তাঁকে বললেন, ‘তুমি রাগ করো না।’ (সহিহ বুখারি ৮/১৩৭)
রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখা জান্নাত লাভের সহজ মাধ্যম। বদমেজাজি ব্যক্তির জন্য জান্নাত লাভ করা কঠিন। এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, ‘অশ্লীল ভাষা ব্যবহারকারী ও উগ্র মেজাজের ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪১৬৮)
এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়—রাগী ব্যক্তির পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়
রাগের সময় কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে ধীরে ধীরে রাগ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। রাগ নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায় হলো—
রাগ মানুষের ইহকাল ও পরকাল দুটোই ধ্বংস করে। রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তাই আমাদের সর্বদা রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের রাগ সংবরণকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
লেখক: শামসুন্নাহার সুমনা, প্রাবন্ধিক
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
৮ ঘণ্টা আগেদুটি জিনিসের কারণে মানুষ আল্লাহবিমুখ হয়। ভুলে যায় তার স্রষ্টাকে এবং তাঁর দেওয়া দৈনন্দিন পালনীয় আদেশ-নিষেধ। এক. ধনসম্পদের আধিক্য ও প্রাচুর্য। দুই. নিজ সন্তান। মূলত এ দুটি জিনিসই মানুষের জন্য পরীক্ষার বস্তু। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি তো পরীক্ষার বস্তু।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে