Ajker Patrika

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল: রাজকীয় অপারেটরেও কাটছে না গরিবি হাল

  • নিয়োগের ১৫ মাসেও প্রয়োজনীয় যন্ত্র-সরঞ্জাম আনতে পারেনি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল।
  • অপারেটরটির অদক্ষতায় এলসিএল কনটেইনার আনস্টাফিং ও এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারি বিলম্বিত হচ্ছে।
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৩
চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বন্দরে কাজের গতি বাড়াতে ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের ‘রাজকীয়’ অপারেটর রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই)। কিন্তু নিয়োগের ১৫ মাসেও রাজকীয় এই বিদেশি অপারেটরের গরিবি হাল কাটছে না। প্রতিষ্ঠানটি এখনো পণ্য খালাসের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারেনি। স্ক্যানার, গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্র-সরঞ্জাম না থাকায় প্রত্যাশিত কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারছে না বিদেশি অপারেটরটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব যন্ত্র-সরঞ্জাম আসতে আরও এক-দুই মাস সময় লাগবে। ফলে শিগগিরই গতি ফিরছে না পিসিটিতে।

গত বছরের ১১ জুন পিসিটি পরিচালনার জন্য আরএসজিটিআইকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্মিনালটি পরিচালনা করবে—এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু ১৫ মাসেও সেই প্রত্যাশার ধারেকাছে যেতে পারেনি বিদেশি অপারেটরটি। তাদের এই অক্ষমতার কারণে ভুগতে হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ অন্যদের।

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় সৌদি অপারেটরটির নানা ঘাটতি তুলে ধরে গত রোববার চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এতে বলা হয়, অপারেশনাল কার্যক্রমে বিদেশি অপারেটরটির অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এলসিএল কনটেইনার আনস্টাফিং এবং এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারির কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিলম্বিত হচ্ছে। এতে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে ছয়টি সমস্যার কথা তুলে ধরে বলা হয়, পিটিসিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত কনটেইনার রাখার কারণে মারাত্মক কনটেইনার জট সৃষ্টি হচ্ছে। এলসিএল কনটেইনার আনস্টাফিং এবং এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারির কার্যক্রম অত্যধিক বিলম্বিত হচ্ছে। এতে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আমদানি কাঁচামাল যথাসময়ে কারখানায় পৌঁছানো যাচ্ছে না, ফলে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য উৎপাদন। পিটিসিতে পর্যাপ্ত ও উন্নতমানের ইকুইপমেন্ট না থাকায় আমদানি পণ্য খালাসে বিলম্ব হচ্ছে।

কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আরও জানায়, পিটিসিতে অদক্ষ অপারেটরের মাধ্যমে ইকুইপমেন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে, এতে প্রায় সময় পণ্য নষ্ট হয়। তাদের কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করা প্রয়োজন।

পণ্য লোডিং-আনলোডিং কাজে অদক্ষ ও অপর্যাপ্ত শ্রমিক নিয়োগের দাবিও তুলেছে কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলেছে, অধিকাংশ শ্রমিক অদক্ষ হওয়ায় লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্তসংখ্যক দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম স্বপন জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হস্তান্তরের ১৫ মাসেও তারা ইকুইপমেন্ট সংযোজন করতে পারেনি।

বন্দর সূত্র জানায়, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের এ টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বছরে ৫ লাখ টিইইউস। বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি করা এই টার্মিনালের সক্ষমতার বড় অংশ অলস বসে রাখার ফলে হাজার কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ ব্যবস্থার অধীনে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আরএসজিটিআইয়ের সঙ্গে ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেইন’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার অনেক আগেই বন্দর কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তা এমন চুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারপরও প্রভাবশালী মহলের চাপেই তড়িঘড়ি করে আরএসজিটিআইকে বিদেশি অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০২২ সালের জুলাই মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই সিপিএ পতেঙ্গা টার্মিনালের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে বছরের নভেম্বরে মিয়ানমার থেকে চালবোঝাই জাহাজের বার্থিং এবং পরের বছর জানুয়ারিতে আরেকটি জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে সফল ট্রায়াল অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়। এটি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালটির নিজস্ব পরিচালনার সক্ষমতার প্রমাণ দেয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা যায়, বন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনতে হতো, যা টার্মিনালের এক বছরের আয় থেকেই ফেরত পাওয়া যেত। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতেঙ্গা টার্মিনালের জন্য একটি বিদেশি অপারেটর নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টার্মিনালের কার্যক্রম ২২ বছরের জন্য আরএসজিটিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনার জন্য আরএসজিটিআই ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, এমন কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই অর্থ বিনিয়োগ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত রোববার পতেঙ্গা টার্মিনালের একটি সভা হয়েছে, এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আনতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর আর কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আগামী ২২ বছর ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জনের আশা করছে। তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া সৌদি আরব ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে সাবেক মেম্বারের বাড়িতে চুরি

পিরোজপুর প্রতিনিধি
গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্যের (মেম্বার) বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের দাউদপুরে সাবেক ইউপি মেম্বার আসাদ খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে জেলা শহরে অন্তত ছয়টি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আসাদ খানের পরিবার জানায়, পিরোজপুর-কলাখালী সড়কের পাশে ওই বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে চোর ঢুকে বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে গেছে। আসাদ ও তাঁর স্ত্রী এ সময় বাড়িটিতে ছিলেন না।

আসাদের কলেজপড়ুয়া মেয়ে চৈতি জানান, তিনি ও তাঁর দাদি এ সময় বাড়িতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তাঁদের ঘরের জানালার গ্রিল কেটে চোর ঘরের মধ্যে ঢুকে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আসাদ মেম্বর জানিয়েছেন, তিনি থানায় মামলা করবেন।

এদিকে জানা গেছে, পিরোজপুর শহরের আদর্শপাড়ায় ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর সময়ের মধ্যে অন্তত ৬টি চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ওই পাড়া নিবাসী পিরোজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা বকুল, আদর্শ স্কুলের সাবেক শিক্ষক আ. লতিফ, আফজাল হুসাইন লাভলু ও নয়নের বাড়িতে চুরি হয়। এ ছাড়া শহরের মসিদ বাড়ি এলাকায়ও দিনে-দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম জানান, ওই সব চুরির ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ অবগত আছে। ভুক্তভোগীরা কেউ কোনো মামলা না করলেও পুলিশ ৫-৬ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেসবুকে প্রবাসীদের কামলা বলায় সওজের উপসহকারী প্রকৌশলীকে শোকজ

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে প্রবাসীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সওজের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান তাঁকে এ নোটিশ দেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি সওজের অধীনে সখীপুর-সাগরদীঘি আঞ্চলিক মহাসড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিল। ওই সড়কের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না অভিযোগ তুলে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে জাহিদ হাসান নামের এক প্রবাসীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সওজের মির্জাপুর সড়ক উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান লেখেন, ‘বিদেশি কামলারাও যদি ইঞ্জিনিয়ার হন, তাহলে তো দেশের ১৮টা বাজবে।’

এর পর থেকে সখীপুরের প্রবাসীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা গত শুক্রবার উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এদিকে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার পর অভিযুক্ত আনিছুর রহমান তাঁর ফেসবুকের মন্তব্যটি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে দাবি করেন। তাঁর পরিবারের সদস্যও প্রবাসী রয়েছেন বলে উল্লেখ করে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান চান।

অন্যদিকে প্রবাসীদের নিয়ে তাঁর ওই অশালীন মন্তব্য ভাইরাল হতে থাকে। আজ দুপুরে টাঙ্গাইল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশে আনিছুর রহমানকে জানানো হয়, ‘আপনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করেছেন। যা “সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯” আলোকে সরকারের গণকর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় বিষয়সমূহের পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় কেন আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে না, তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ৩ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল করার জন্য বলা হলো।’

এ প্রসঙ্গে উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার মন্তব্যের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’ এ ছাড়া শোকজের চিঠি তিনি হাতে পেয়েছেন বলেও জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইআইইউসির ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, নদভী দম্পতিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যান আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থার উপসহকারী পরিচালক কমল চক্রবর্তী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) ট্রাস্ট পরিচালিত আইআইইউসি টাওয়ার থেকে প্রায় ১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, মামলায় নদভী দম্পতিসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তকালে এই অপরাধের সঙ্গে অন্যান্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আসামি করা হবে বলে জানান তিনি।

আসামিরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ট্রাস্টের সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ খালেদ মাহমুদ, প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, প্রফেসর মো. আবদুর রহিম, ড. মো. শামসুজ্জামান, মোহাম্মদ বদিউল আলম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মুহাম্মদ শফিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহি উদ্দিন, অধ্যাপক আফজল আহমদ, নদভীর সহধর্মিণী রিজিয়া সুলতানা ও ড. মোজাফফর হোছাইন নদভী।

দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৬ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ট্রাস্টের ১২ কোটি ৭৯ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আইআইইউসি ট্রাস্ট একটি অলাভজনক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান। যার আয় শিক্ষাবৃত্তি, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, ইসলামি গবেষণা ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা। কিন্তু আসামিরা ট্রাস্ট আইন ও বিধি উপেক্ষা করে ওই অর্থ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে অবৈধ বালু উত্তোলন, আটক ৩

ফটিকছড়ি সংবাদদাতা
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার ব্রাহ্মণহাট এলাকায় হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিন যুবককে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় দুটি গাড়িও জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. নজরুল ইসলাম।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত